নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বপ্ন দেখার মাজে নেই কোন উৎব

ধুসর এই পৃথিবীতে আমি প্রতিনিয়ত স্বপ্ন খুজে বেড়াই

শেখ মোহাম্মদ রাসেল উদ্দিন

নিজের সম্পর্কে কিছু বলার নেই

শেখ মোহাম্মদ রাসেল উদ্দিন › বিস্তারিত পোস্টঃ

আইন করে হরতাল নিষিদ্ধ করা হোক

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:১২

হরতাল শব্দটি মূলত একটা গুজরাটি শব্দ (গুজরাটিতে হাড়্‌তাল্‌) যা সর্বাত্মক ধর্মঘটের প্রকাশক। মহাত্মা গান্ধী ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে প্রথম এই শব্দটি ব্যবহার করেন।হরতালের সময় সকল কর্মক্ষেত্র, দোকান, আদালত বন্ধ থাকে। তবে সাধারণত এ্যাম্বুলেন্স, ফায়ারসার্ভিস, গণমাধ্যমসমূহ এর আওতার বাইরে হয়ে থাকে।রতাল, রূপভেদে বিশ্বের প্রায় সব দেশে বর্তমান থাকলেও ভারতীয় উপমহাদেশেই এই রাজনৈতিক হাতিয়ারটির ব্যবহার বেশি দেখা যায়।

[সুত্রঃ উইকিপিডিয়া]

গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থায় হরতালকে গণতান্ত্রিক অধিকার হিসেবেই মানা হয়, এই উক্তিটির চর্চা আমরা সব সময়ই করে থাকি। দাবি দাওয়া-আলোচনা ও সমঝোতার মধ্য দিয়ে আদায় না হলে সর্বশেষ পন্থা হিসেবে চূড়ান্ত পর্যায়ে এই পন্থাটিকে ব্যবহার করা হয় প্রতিপক্ষকে বাধ্য করার জন্যে।



হরতালের বিরুদ্ধে দায়ের করা একটি মামলা আদালত খারিজ করে দিয়েছেন এই বলে যে, হরতাল নাগরিকের সাংবিধানিক অধিকার।

সুত্রঃপ্রথম আলো ১১জুন ২০১২



যে দলই বিরোধী দলে থাকুক না কেন, হরতালকে তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার বলে দাবি করে, আর সরকারি দলে থাকলে হরতাল বিরোধী কথা বলে।

যদিও ১৯৯০ সালের পর থেকে জাতীয় ইস্যু নিয়ে অথবা জনদাবি নিয়ে কোন প্রধান বিরোধী দল হরতাল দেয় নাই,

যখনই তাদের ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন বাধাগস্ত হয়েছে তখনই তারা হরতালকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যাবহার করেছে,

কোন দলই হরতাল নিষিদ্ধের কথা ভাবেনি কখনো, কারন তারা জানে বিরোধীদলে গেলে হরতালই তাদের একমাত্র হাতিহার।



"বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ বিরোধীদলে গেলেও কখনো হরতাল দিবেনা" জনসম্মুখে এমন জ্বালাময়ী বক্তিতা দেয়ার পরও ২০০১-২০০৭ সাল পর্যন্ত ১৩০দিন হরতালের ডাক দেয়।



আসুন দেখে নেই আওয়ামিলীগ, বিএনপি কে কত দিন হরতাল দিয়েছেঃ

১৯৯১-১৯৯৬ বিরোধী দল আওয়ামীলীগঃ ১৭৩দিন

১৯৯৬-২০০১ বিরোধী দল বিএনপিঃ ৫৩দিন

২০০১-২০০৭ বিরোধী দল আওয়ামীলীগঃ১৩০দিন

২০০৯-২০১৩ বিরোধী দল বিএনপিঃ৯০ দিন


[সুত্রঃ প্রথম আলো]



সুতরাং দেখা যায় যে, যে দলই বিরোধী দলে থাকুক না কেন,

যখন ই তাদের ক্ষমতায় যাওার পথ সঙ্কুচিত হয়েছে তখনই হরতালকে ব্যাবহার করেছে নিষ্ঠুর ভাবে।

শুধুমাত্র তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ইস্যুতে গত ২০ বছরে ৪৫০দিনেরও বেশি হরতাল হয়েছে।



বাংলাদেশে হরতালের নামে যা শুরু হয়েছে, তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। জ্বালাও, পোড়াও, মানুষ হত্যা এসব কোনো রাজনৈতিক অধিকার হতে পারে না।নেতাদের গদিতে গিয়ে এদেশকে চেটেপুটে খাওয়ায় এক নিষ্ঠুর বাহনা মাত্র। যে বাহনার মাসুল সাধারণ জনগণকে দিতে হয়, নেতাদের নয়।

তাই আমরা চাই কঠোর আইন প্রয়োগ করে এদেশ থেকে চিরতরে হরতাল নামক রাজনৈতিক নোংরা খেলাটি নিষিদ্ধ করা হোক।

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৩

নিজাম বলেছেন: তা সম্ভব? এদেশে? আমার মনে হয় না।

২| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:১৭

শেখ মোহাম্মদ রাসেল উদ্দিন বলেছেন: হয়তো একদিন সম্ভব হবে।

৩| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৪

মদন বলেছেন: ১০০% একমত

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৯

শেখ মোহাম্মদ রাসেল উদ্দিন বলেছেন: একমত হওার জন্য ধন্যবাদ

৪| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৪

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: আমি মনে প্রাণে এটা চাই।

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৫৪

শেখ মোহাম্মদ রাসেল উদ্দিন বলেছেন: আল্লাহ্‌ আপনার মনের আসা পূরণ করুক

৫| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৬

আশমএরশাদ বলেছেন: ----------------হরতাল সম্পর্কে আদালতের রায়
১৯৯৯ সালে সুপ্রিম কোর্টের উচ্চ আদালত বেঞ্চের এক পিটিশনের মাধ্যমে হরতাল ইস্যু প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের আদালতে উত্থাপিত হয়। সংবিধানের ১০২ নং অনুচ্ছেদের অধীনে পিটিশনটি করা হয়। খন্দকার মোদাররেছ এলাহির মধ্যে সরকারের মামলায় সুপ্রিম কোর্টের উচ্চ আদালত বিভাগের দেয়া রুলে বলা হয়, ১৯৯৯ সালের ১৮ এপ্রিল বা অন্য কোনো দিনের হরতালকে কেন সংবিধানে রক্ষিত মৌলিক অধিকারের প্রতি হুমকি এবং একে অবৈধ ঘোষণা করা হবে না— সরকারকে এ মর্মে কারণ দর্শাতে হবে।

প্রয়োজন ছাড়া বল প্রয়োগের আইনটি (রুল নিসি) তখনো ঝুলে ছিল। ঠিক সে সময় ১৯৯৯ সালের ১১ মে আবার হরতাল হয়। পিটিশনকারী এবার হরতালের ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের আরো প্রমাণসহ হাজির হন। অভিযোগকারীর বক্তব্য ছিল, স্বাভাবিকভাবে হরতালের দিনটি শান্তিপূর্ণ থাকে না। অন্যদিকে হরতালকে অবৈধ বলার কারণ, এ দিনে নগরবাসীকে তাদের প্রাত্যহিক কাজকর্ম থেকে শারীরিকভাবে বিরত থাকতে হয়, পঙ্গুত্ব বরণ করে বাণিজ্যিক খাত, শ্রমিকরা কর্মস্থলে হাজিরা দিতে পারেন না এবং জনস্বার্থবিরোধী কর্মকাণ্ড সরকারি ও বেসরকারি উভয় খাতকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। পিটিশনকারী যুক্তিতর্কের একপর্যায়ে বলেন, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা যথাযথ নিরাপত্তা দানে ব্যর্থ হয় এবং এতে অনিচ্ছা সত্ত্বেও নগরবাসী নিজেদের নিরাপত্তার স্বার্থে ঘরে আবদ্ধ থাকে।
পিটিশনকারী তার তর্কে আরো উপস্থাপন করেন, রাজনৈতিক দলগুলো তাদের অসন্তুষ্টি প্রকাশের জন্য হরতালের চেয়েও কার্যকর আলোচনা ও বিক্ষোভ কর্মসূচির পথ বেছে নিতে পারে। তিনি যুক্তি দেন, নিজেদের অধিকার রক্ষার নামে দলগুলো নাগরিক অধিকার জিম্মি করতে পারে না।
বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের উচ্চ আদালত ডিভিশন যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের আগেই কেরালা উচ্চ আদালতের দেয়া ‘বান্ধ্’ ও হরতালের গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্য তুলে ধরেন। কেরালা আদালতের ঘোষণা অনুযায়ী ‘বান্ধ্’ হিন্দি শব্দ, যার অর্থ ‘বন্ধ’ বা ‘রুদ্ধ’। ভারতের সংগঠনগুলো যখন ‘বান্ধ্’ আহ্বান করে, তখন তাদের উদ্দেশ্য থাকে সব কার্যক্রম স্থগিত রাখা। বাংলাদেশে চলা এলাহির মামলায় বাদী যুক্তি উপস্থাপন করে, হরতাল আর ভারতের ‘বন্ধ্’ একই। বাদীপক্ষের দাবিতে যে বিষয়টি আসেনি সেটি হচ্ছে, ভারতের কুমারের মামলার রেফারেন্সে ‘বান্ধ্’-এর সংজ্ঞার সঙ্গে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে হরতালের সংজ্ঞার কার্যত পার্থক্য নেই। তাই সে অর্থে রাজনৈতিক দলগুলোর হরতাল আহ্বানকেও বেআইনি বিবেচনা করা উচিত।
পর্যবেক্ষণসাপেক্ষে আদালত বাদীপক্ষের যুক্তির সঙ্গে ভিন্নমত পোষণ করে বলেন, সবসময় সব কার্যক্রম স্থগিত করা হরতাল আহ্বানকারীর উদ্দেশ্য থাকে না। হরতাল আহ্বানকারীর উদ্দেশ্য যদি জনস্বার্থের জন্য হুমকি বা আতঙ্কের উদ্রেক না করে কোনো নির্দিষ্ট কারণে সংহতি প্রকাশ করা হয়, তবে তা সংবিধানে রক্ষিত মৌলিক নাগরিক অধিকারের পথে কোনো বাধা নয়। অন্যদিকে বিশেষ পরিস্থিতিসাপেক্ষে হরতাল আহ্বান সংবিধানের ৩৯ (২) নং অনুচ্ছেদে রক্ষিত বাকস্বাধীনতার নিশ্চয়তা বিধানের আওতায় পড়ে। আদালত যে বিষয়টির প্রতি মনোযোগ আকর্ষণ করেন তা হচ্ছে, যদি ‘হরতাল কেবল আহ্বানে সীমাবদ্ধ না থেকে তা হুমকির ভাষা বা জোর দেখানো বা এর পরিণতি সাধারণ মানুষের মনে ভীতির সঞ্চার করে’, তবে এ সংহতির বৈধ অভিব্যক্তি অবৈধ হতে পারে। সার্বিক বিবেচনাসাপেক্ষে ব্যক্ত বা অব্যক্ত হুমকি বা আতঙ্কের আশঙ্কা বিবেচনা করে আদালত ঘোষণা করেন, পরিস্থিতি অনুযায়ী এটা ভীতি প্রদর্শনের সমতুল্য বিবেচ্য হতে পারে। বাংলাদেশের দণ্ডবিধির ৫০৩ ধারার আওতায় ভীতি প্রদর্শনের শাস্তির উল্লেখ আছে।

সর্বোপরি আদালত নিশ্চয়তা দেন, একটি গণতান্ত্রিক অধিকার হিসেবে হরতাল আহ্বানকে আদালত বেআইনি ঘোষণা করতে পারে না। আদালত জোর দিয়ে আরো বলেন, হরতাল আহ্বানকারীর পক্ষের উচিত কোনো ধরনের অবৈধ কর্মকাণ্ড বা প্ররোচনা না দিয়ে অথবা হরতালবিরোধীদের প্রতি আক্রমণাত্মক আচরণ বা মাত্রাতিরিক্ত প্রতিক্রিয়া না দেখিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে হরতাল পালন করা।
সূত্র: আইনী পরামর্শক সংস্থা ‘দ্য ল’ইয়ারস অ্যান্ড জুরিস্টস’-এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট
ভাষান্তর: মো. হামজা কামাল মোস্তফা
Click This Link

৬| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪২

বেকার যুবক বলেছেন: প্রথমত আইনটা করবে কে?
দ্বিতীয়ত কোন সরকার যদি এই আইন করে তবে বিরোধী পক্ষে এই আইনের বিরুদ্ধে হরতাল ডাকবে।

সম্ভবত সমস্যা অন্য কোথাও। হয়তো অন্ধকারাচ্ছান্ন, কিংবা দিবালোকের মতো পরিষ্কার।

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৫৬

শেখ মোহাম্মদ রাসেল উদ্দিন বলেছেন: কোন দলই করবে বলে মনে হয় না,সবাই হরতালকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যাবহার করবে।

৭| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৪

বেকার সব ০০৭ বলেছেন:

৮| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৩৭

মোঃ আনারুল ইসলাম বলেছেন: :( :( :( :(

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.