নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বশির আহমদ সোহেল

বশির আহমদ সোহেল › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভারতের ধর্ষণ নিয়ে মাতামাতি

০২ রা জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৮

সমগ্র বিশ্বে নারীর প্রতি সহিংসতার চিত্রটি ভয়ংকর। বিশ্বে নারী নির্যাতন, ধর্ষণ, অপহরণ, হত্যা আশংকাজনক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। শুধু তাই নয়, গত কয়েক বছরে পরিসংখ্যান পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায়, দক্ষিন এশিয়ার দেশগুলোতে নারীর প্রতি সহিংসতার মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে বহুলাংশে। একই সাথে সামাজিকভাবে নারীকে বিভিন্ন জায়গায় হেনস্ত হতে দেখা যাচ্ছে আগের থেকে অনেক বেশি। নারী নির্যাতনের ঘটনাগুলোর তদন্তে সরকারের উচ্চপদস্থ অনেক কর্মকর্তা এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের মানসিকতা বিবেচনায় আনলে এই আশংকা আরও বৃদ্ধি পায়। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর খোদ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারই ধর্ষিতা-নির্যাতিতা নারীর প্রতি হীন মানসিকতা রয়েছে। তাই আবারও এই বিতর্কটি সামনে উঠে এসেছে যে, সমাজে নারীকে আসলে কি দৃষ্টিতে দেখা হয়? একজন নির্যাতিতা নারীকে সমাজ কিভাবে গ্রহণ করে? আইন নারীকে কতটুকু সাহায্য করছে? নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে সরকারইবা কতোটা সফল?



বর্তমানে ভারতে নারী নির্যাতনের মাত্রা যেকোনো সময়ের পরিসংখ্যানকে আশংকাজনকভাবে ছাড়িয়ে গেছে। জানা যায়, ভারতে পূর্বের অপেক্ষা ধর্ষণের ঘটনা ২৩ শতাংশ বেড়েছে। শুধু নির্যাতনই নয়, সামাজিক বৈষম্যের মাত্রাও বেড়ে চলেছে দিনকে দিন। বিশেষ করে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লী নাকি নারীদের জন্য সবচেয়ে বিপদজনক স্থান। নতুন দিল্লী ভারতের ‘যৌন আক্রমণের রাজধানী’ হওয়ার নিন্দনীয় উপাধি লাভ করেছে। দিল্লীতে নারী ধর্ষণ নিত্যদিনের ঘটনা। সেখানে এ কথা প্রচলিত যে, দিনের বেলাতেও যদি কোনো নারী ১০ মিনিট নিরাপদে দিল্লীতে ঘুরতে পারেন, সেটা বিরাট একটা ব্যাপার। নয়ডা, গুরগাঁও এর মত জায়গাগুলোতে ঘটছে অহরহ নারীদের অপহরণ, পরবর্তীতে নির্যাতন ও ধর্ষণের মত ঘটনা।



পারিবারিক ধর্ষণের অধিকাংশ ঘটনা লোকচক্ষুর অন্তরালে থেকে যায়, এতে নির্যাতিতা এবং নির্যাতনকারী কেউই মুখ খুলতে রাজি হননা। একারণে আশংকাজনক হারে বেড়ে চলেছে এই ঘটনা। এছাড়াও পারিবারিকভাবে নির্যাতন, কন্যা ভ্রুণ হত্যা, কন্যা সন্তান জন্মের পরে কাঁচের গুঁড়ো খাইয়ে হত্যাসহ নানা ধরনের অত্যাচার সারা দেশজুড়ে অব্যাহত আছে। ইভ টিজিং বৃদ্ধি পেয়েছে আশঙ্কাজনক হারে। দিল্লী ও মুম্বাইয়ে বেশ কিছু ইভ টিজিংয়ের ঘটনায় নিহত হয়েছে প্রতিবাদকারী বেশ কয়েকজন।



ভারতীয় সমাজে সবচেয়ে উত্তপ্ত আলোচনার বিষয়বস্তু হয়েছিলো গত বছরের ১৬ই ডিসেম্বর দক্ষিণ দিল্লীতে এক মেডিকেল ছাত্রীকে যাত্রীবাহী বাসে গণধর্ষণ ও তার পরবর্তী পরিণাম হিসাবে সেই ছাত্রীর মৃত্যু সংক্রান্ত অপরাধের অভিযোগে পাঁচ অপরাধীর বিচার, যা বাস্তবিকভাবেই বিশ্বে প্রতিধ্বনি তুলেছে। সেই মেধাবী ছাত্রীটির ধর্ষণ নিয়ে খুব জোরেশোরে আওয়াজ উঠেছিলো। তখন আমি সবার মতই ভেবেছিলাম, এবার বোধহয় একটা কিছু হবে। কিন্তু কদিন যেতে না যেতেই আবার খোদ দিল্লীতেই এক বিদেশি নারী গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন। ২১ ডিসেম্বরের ওই ঘটনার শিকার নারী আফ্রিকার নাগরিক। ন্যাক্কারজনক এ ঘটনা ঘটেছে দক্ষিণ দিল্লীর মালবয়ীয় নগরের হৌজরানী এলাকায়। অপরদিকে, পশ্চিম দিল্লীর সাগরপুর এলাকায় ১৭ ডিসেম্বর এক স্কুলে ৩ বছরের এক শিশু ধর্ষণের শিকার হয়। এ ঘটনা দু’দিন পর জানা যায় যখন শিশুটিকে মারাত্মক অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।



এ কারণে কোলকাতার নাইটক্লাবগুলো রাত ১১টার পরেই বন্ধের নির্দেশ রয়েছে। মনে করা হচ্ছে, নাইটক্লাব ধর্ষণের মাত্রা বাড়িয়ে দিচ্ছে, সেখানে ধর্ষণের অনেক ঘটনা সংঘটিত হচ্ছে পুলিশের নাগালেই। অধিকাংশ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা মনে করেন, ধর্ষণের ঘটনার জন্য নারীরা নিজেরাই দায়ী। নারীদের পোশাক-আশাক, চালচলন, অনেক রাতে ঘরের বাইরে থাকা ইত্যাদি কর্মকান্ড নাকি একজন পুরুষকে ধর্ষণের জন্য উত্তেজিত করে। অনেকেই সরাসরি বলেছেন, নারীরা ধর্ষণের ঘটনা নিয়ে ব্যবসা ও নাম কামানোর ধান্দা করে। ধর্ষণের ঘটনায় তদন্তকারী কর্মকর্তা পর্যন্ত নারীকেই দোষারোপ করেন এই ঘটনার জন্য। এসব কারণগুলো কিন্তু উড়িয়ে দেয়ার নয়। আমাদের নতুন করে ভাবতে হবে এ বিষয়ে।



রোগ আছে বলেই ঔষধও আবিষ্কার হয়েছে। কিন্তু ঔষধ অপেক্ষা আমাদের রোগ প্রতিরোধেই উপায় নিয়েই বেশি ভাবতে হয় বা ভাবা উচিত। চিকিৎসকরাও রোগ প্রতিষেধক অপেক্ষা রোগ প্রতিরোধই সুপারিশ করে থাকেন। আর তাছাড়া কেউই রোগে ভুগতে চায় না। প্রতিরোধের উপায় জানা থাকলে সেটাই আগেভাগে করে রাখেন।



ভারতে বর্তমানে ধর্ষণ নিয়ে এত মাতামাতি হচ্ছে, কিন্তু তবুও এর কারণ ও প্রতিরোধের উপায়ে সংশ্লিষ্টরা অনেকটাই ব্যর্থ। তাছাড়া, এত মাতামাতির পরও পুনরায় একইভাবে বাসে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে যাচ্ছে। মনে হচ্ছে যেন, আগের ঘটনারই পুনরাবৃত্তি। এমনকি বাংলাদেশেও দিল্লীতে ঘটা অভিনব কায়দায় ঘটনার শিকার হয়েছেন এক পোশাকশ্রমিক তরুণী। জানা গেছে, ২৪ জানুয়ারি, দুপুরে মানিকগঞ্জে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের মানরা এলাকায় চলন্ত বাসে তরুণীটি (১৮) এর শিকার।



সমাজে বিচিত্র রকমের, বিভিন্ন প্রকারের ভাল-মন্দ, সাধু/সন্ন্যাসী-পাপী/চোর মানুষ বাস করে। দিল্লীতে মেডিকেল ছাত্রী ধর্ষণের প্রতিবাদে দেখেছিলাম, ধর্ষণের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে “STOP RAPE”….. এ জাতীয় লিপি নগ্ন পিঠে লিখে কয়েকটি মেয়ে প্রতিবাদ জানাচ্ছে। ব্যাপারটা দেখে অদ্ভুত লেগেছিলো আমার! এ ধরণের বিকৃত রুচির মেয়েদের প্রতি আমার তীব্র ঘৃণা হয়, যারা অবাধে দেহ বিকিয়ে, প্রদর্শনী করে পুরুষদের রুচি বিকৃত করে দিচ্ছে। তাদের এ ধরণের হেয় ও ঘৃণ্য কর্মের খেসারত দিতে হচ্ছে ভারতের ধর্ষিতা মেয়েটির মতো নিরীহ মেয়েদের।



এতে ধর্ষকদেরও যেমন সরাসরি/প্রত্যক্ষ অপরাধ অস্বীকার করার নয়, অপরদিকে এ ধর্ষণের ঘটনায় seduction করাও কিন্তু এক ধরণের অপরাধ। আমরা সমাজের বিকৃত মনমানসিকতার কিছু নরপশুদের কার্যকলাপে অতীষ্ঠ। এসব মানুষরূপী নরপশুদের চিহ্ণিত করা কঠিন। তাই আমাদের উচিত অপরাধ যাতে না ঘটে, তার উপায় নিয়ে ভাবা। আজকাল মিডিয়াতে, বিজ্ঞাপনে নারীদের পণ্য হিসেবে ব্যবহার করে হেয় করা হচ্ছে। মনে হয় যেন নারীবিহীন কোন বিজ্ঞাপনই বেমানান। হোক সেটা পুরুষদের পণ্য, নারীর যেখানে কোন উপস্থিতিই নেই, সেখানেও দেখা যায়, নারীদের বিজ্ঞাপনে উপস্থাপিত করা হয়, তাও আবার স্বল্পবসনা হয়ে।



গাড়ি বিক্রির সাথে নারীর সম্পর্ক কোথায়? কোনো মোটর কোম্পানির কোনো বিলাসবহুল গাড়ি বাজারে আসলে বা গাড়ি বিক্রয় বা প্রদর্শনীর জন্য রাখা হলে সেখানেও গাড়ির সঙ্গে বিভিন্ন ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় নারীদের। দেখে মনে হতেই পারে ‘গাড়ি কিনলে নারী ফ্রি’। আবার, বাস্তবে এমন অভিজ্ঞতা কি কারও হয়েছে যে কোনো পুরুষ বডি স্প্রে মাখলে সমুদ্র পার হয়ে আসে এমনকি আকাশের পরীরাও পৃথিবীতে নেমে আসে। এখানে নারীকে খাটো করা হয়েছে প্রকটভাবে। বিজ্ঞাপনটিতে নারীকে ‘কামুক’ হিসেবে দেখানো হয়েছে। কথায় কথায় উচ্চারিত হতে দেখা যায়, ওমুক মেয়েটি সেক্সি, কি সর্বনাশ এর অর্থ কী, আমরা কি এতটুকু ভেবে দেখেছি? আসলে হয়তো শুনতে শুনতে আমরা এমন অভ্যস্ত হয়ে গেছি যে, কথাটির তাৎপর্য বা প্রভাব সম্পর্কে আমরা অজ্ঞাত, কিছু পুরোপুরি প্রভাবিত।



খেলার মাঠেও একইভাবে প্রদর্শিত হচ্ছে নারীরা। খেলার মাঠে ‘চিয়ার্স গার্ল’দের ভূমিকা কী? কেন রাখা হয় তাদের? নাকি সেখানেও দর্শক আকর্ষণের হাতিয়ার হিসেবে নারীকেই বেছে নেওয়া হয়! একটি দর্শনীয় খেলা হলে দর্শক আকর্ষণের জন্য নারীকে ব্যবহার করার কি প্রয়োজন? তাহলে কি দেখা যাচ্ছে না, নারীর প্রতি সম্মানজনক মন-মানসিকতার পরিবর্তন হতে বাধ্য হচ্ছি বা করছি আমরা বিভিন্ন অজুহাতে? এ যেন গিলতে না পারলেও বা না চাইলেও জোর করে মদ গেলানো!



থার্ড পারসন সিঙ্গুলার নাম্বারের তপুরা কনডম কিনে নিয়ে গিয়ে “mutual sex” করতে না পেরে রাগে ফুঁসতে থাকে! আর এসবে অনুপ্রাণিত আধুনিক পুলা মাইয়ারা “mutual sex” কে পান্তাভাত মনে করলে কি কোন সমস্যা! কিন্তু এইসব দেখে কুলাঙ্গাররা “mutual sex” এর সঙ্গী জোগাড় করতে না পেরে যা ঘটছে তা মেনে নেয়ার নয়। এ ধরণের স্পর্শকাতর বিষয়গুলো নিয়ে সিনেমা বা নাটক না বানালেই কি নয়? এগুলো দেখে কমবয়সী ছেলেমেয়েরা এমনকি প্রাপ্তবয়স্করাও সিনেমাকে নকল করতে গিয়ে এসব খারাপ বিষয়গুলোয় সমাজ প্রভাবিত হয়। আমি মানছি সিনেমা বা নাটকে শিখার মত বিষয়ও রয়েছে, কিন্তু তা উপস্থাপন করতে হবে সতর্কভাবে, যাতে দর্শকরা বিশেষ করে শিশুদের উপর এর ক্ষতিকর প্রভাব না পড়ে।



সাধারণত, যে মেয়েটি ধর্ষণের শিকার হয়, সে হয়তো seduction বা উস্কানিমূলক কার্যকলাপ করেনা। কিন্তু মিডিয়ায়, রাস্তা-ঘাটে, যেভাবে প্রকাশ্যে নগ্ন নারীদেহ প্রদর্শণী হচ্ছে, আর এর কোন ক্ষতিকর প্রভাবের আশা কি আমরা করব না?



ধর্ষকদের শাস্তি দেওয়া ধর্ষণের সমাধান নয়! ধর্ষকদের শাস্তি দিলে তো আর মেয়েটির সম্ভ্রম ফিরে পাওয়া যাবে না, ক্ষতিপূরণও হবে না। কখনও কখনও দোষী ধর্ষকদের ধরাও সম্ভব হয় না, পালিয়ে বেড়ায়, হুমকি দিয়ে বেড়ায়। প্রথম কথা হলো, সমাজে মূল্যবোধ যদি না থাকে, পরিবার থেকে যদি নারীদের সম্মানজনক মানুষ বলে দীক্ষা দেয়া না হয়, ভাল-মন্দ না শিখানো হয়, তবে তো শুধু ধর্ষণ নয়, কোন অপরাধই রোধ করা সম্ভব নয়। অপসংস্কৃতির প্রভাবে সমাজে অশ্লীলতা আর যৌনতার প্রসার ঘটিয়ে “ধর্ষক” ও “ধর্ষিতা” বৃদ্ধি রোধ করা যাবে না। শুধু ধর্ষককে শাস্তি দিলেই কোন সমাধান আসবেনা!



আমার মনে হয়, যদি আমরা একপেশে চিন্তা করে শুধু ধর্ষকদের নিয়েই চিল্লাচিল্লি করি, তবে দুনিয়ার সমস্ত পুরুষদের এবং পরবর্তীতে যত পুরুষ জন্ম নিবে সবার যৌন আকাঙ্ক্ষা রোধ করার জন্য একটি ভ্যাকসিন অথবা এ জাতীয় চিকিৎসা বিজ্ঞানের কোন কিছু আবিষ্কার করতে হবে। যেহেতু একটি ধর্ষণ ঘটার পিছনে বিকৃতমনা পুরুষ দায়ী তেমনি অপরদিকে তাদের বিকৃতমন সৃষ্টির পিছনের কারণগুলো ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের দায়ও অস্বীকার করার নয়।



তবুও আমরা কেউই এ দায় থেকে মুক্ত নই। আমাদের অনেকেই মুখে ধর্ষণের ক্ষতিকর প্রভাব নিয়ে উদ্বিগ্ন হলেও নারীদেহ প্রদর্শনীতে ভূমিকা রাখছি বিভিন্নভাবে। তাছাড়া যেসব কুলাঙ্গার নারীদের সম্মান দেয় না, এ ধরণের বর্বরোচিত কাজ করে, তাদের জন্য জনসম্মুখে মৃত্যুদণ্ডের বিধান করা উচিত। পারিবারিকভাবে অভিভাবকদের উচিত শিশুদের মূল্যবোধের শিক্ষা দেয়ার পাশাপাশি পর্যবেক্ষণও করা, তারা কার সাথে মেশে, কোথায় যায়, কি করে?



শুধু স্কুলে ভর্তি করিয়ে দিয়ে উচ্চশিক্ষিত করালেই দায়িত্ব শেষ নয়। শুধু শিক্ষিত হলেই হবে না, শিক্ষার্জন করে যদি সে শিক্ষা কাজে না লাগে, মানবের মঙ্গলে না আসে, তবে সে শিক্ষার্জনে সফলতা কোথায়? কুশিক্ষিত থেকে সুশিক্ষিতই উত্তম। যেভাবে প্রতিনিয়ত মানুষের শিক্ষার হার বেড়েছে, আনুপাতিকভাবে সমাজের অন্যায়-অত্যাচারও বেড়েছে। এর মূলে রয়েছে মূল্যবোধের অবক্ষয়, অপসংস্কৃতির সয়লাব।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.