নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ফেসবুকে আমিঃ www.facebook.com/sohag143

অরণ্যের কাব্যে পারিজাত

অরণ্যের কাব্যে পারিজাত › বিস্তারিত পোস্টঃ

ব্রেকআপ... শেষ পর্ব

১৭ ই জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৩

সকালে ঘুম ভাঙল অনিকের ডাকে। আরে বাসায়
অনিক আসল কই থেকে? ইহসানকে টেনে উঠিয়ে বলল, রেডি হয়ে নে।
- আমি যাব না।
- একদম বেশি কথা বলবি না। নতুন ড্রেস থাকলে পরে নে, ঐ ছেড়া জুতা পরে যাস না আবার। ইহসা রেডি হয়ে বের হল অনিক।

উদ্যানে এসে অনিক বলল- শোন, এখানেই আসবে নীলা। ভাল করে কথা বলবি। এই ধর, এই গোলাপ গুলো ওকে দিবি। আর ভয় পাবি না একদম। নীলা হয়ত আসবে একটু পর। তার আগে ইপ্সিতাকে ফোন দেয়া দরকার। ইপ্সিতাকে অনিক ফোন দিয়ে বলল- আসো না একবার। দেখে যাও, তোমার এক্স বয়ফ্রেন্ড কি করছে। ইপ্সিতা তার কিছুক্ষণ পরেই আসল উদ্যানে।

এদিকে ইহসান এখনও দাঁড়িয়ে আছে নীলার জন্য। হায় আল্লাহ..!! ওটা কে আসতেছে? ইহসান লুকানোর জায়গা খুঁজছে।
ইপ্সিতা এখানে কি করছে? নিশ্চয় কারও সাথে প্রেম করতে আসছে। না, ছিঃ ছিঃ.!! সে এমন মেয়ে না। সে ইহসানের দিকেই আসছে। এসে ঠোঁট কামড়ে রাগী রাগী মুখে দাঁড়াল ইহসানের সামনে।

- এই, এই জায়গায় কি তোমার?
- মানে, কিছু না তো।
- প্রেম করতে আসছ? একদিন হয় নায় ব্রেক আপের আর তুমি কিনা, আজই প্রেম শুরু করে দিছ? ছিঃ ছিঃ। হাতে কি দেখি তো?
হাত থেকে গোলাপ গুলো টেনে নিল। নিয়ে বলল- আমাকে তো জীবনে একটা ফুল দাও নাই।আর এতগুলা গোলাপ আনছ ঐ মেয়ের
জন্য?

-মানে আমি....আমি না অনিক......
- হ্যাঁ, অনিক। আমি তো ওর কথা বিশ্বাসই করি নাই। ও না বললে তো আমি জানতামই না। প্রেম করা ছুটিয়ে দিব একেবারে। আমাকে চিনো তুমি?
- হ্যাঁ, চিনি। তুমি....।
- চুপ, নাম ধরে ডাকে আবার? পা ভেঙ্গে হাতে ধরিয়ে দিব তোমার। কত বড় সাহস, আসছে কিনা অন্য মেয়ের সাথে প্রেম করতে। তোমাকে এতো বড় সাহস কে দিছে? ব্রেক আপ হইছে তো কি হইছে? তুমি জানো না আমি তোমাকে ভালবাসি?
আমি তো অভিমান করে চলে গেছিলাম। অভিমান কি সারাজীবন থাকে?

আমি প্রতিদিন কাঁদছি তোমার জন্য, আর তুমি আসছ এখানে প্রেম করতে। একবারও ভাবলে না আমার কথা? রাগী মুখটায় হঠাৎ একটা মায়া চলে এসেছে ওর। চোখ ভিজে আসছে। কাজল দেয়া চোখগুলো পানিতে টলটল করছে। রাগের মধ্যে এই মায়াময় চেহারায় দেখতে অন্য রকম লাগছে ইপ্সিতাকে।ইহসানের বুকের ভিতর কেমন যেন করছে। এই ইপ্সিতাকে চিনে না সে।

এই রূপ ইপ্সিতার দেখেনি কখনও। চোখে কখনই পানি দেখেনি ইপ্সিতার। তাই মনে মনে ভেবে নিত, কষ্ট শুধু তার একা হয়, ইপ্সিতা কষ্ট দিয়ে আর কষ্ট পায় না। ঐ রাগের আড়ালেও যে কত ভালবাসা ছিল। শুদ্ধ হয়ত কখনই তা বুঝতে পারে নি।

ইপ্সিতার চোখের দিকে তাকিয়েই বলল-আমি কিছু করি নি। অনিক আমাকে উল্টাপাল্টা বুঝিয়ে নিয়ে আসছে। আমিও তো তোমাকে ভালবাসি এখনও। আর তুমি শুধু একা কাঁদছ না? আমিও কাঁদছি, অনিক সাক্ষী।
- অনিক? ও তোমাকে প্রেম করিয়ে দিয়ে ,আবার আমাকে খবর দিছে? কি রকম বেয়াদব।

ইপ্সিতা ফোন দিল অনিককে। অনিক ধরে বলল- শুধু শুধু অভিমান করে লাভ কি বল? যাকে ছাড়া থাকতে পারবে না, তাকে দূরে ঠেলে দেবার কি দরকার? তার হাত ধরেই থাক না সারাজীবন। ঐ বদ ইহসান টা অনেক ভাল ছেলে, অনেক সহজ সরল। তোমাকে অনেক ভালবাসে, তুমি একটু কষ্ট দিলেই ভেউ ভেউ করে কাঁদে। ওকে কষ্ট দিও না।আর শোন, নীলা হল আমার গার্লফ্রেন্ড। আমরা ২ জন মিলেই এই কাজটা করলাম। বুদ্ধিটা নীলার আর কাজগুলো আমার। ধন্যবাদ দিও না, বকা দিতে পার।

ইপ্সিতা কিছু না বলেই ফোন কেটে দিল।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.