নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

fb.com/sohagsokal

সোহাগ সকাল

বুকের ভিত্রে কিছু সামুদ্রিক পাতিহাঁস ডানা ঝাঁপটায়া ছাট পারতাছে

সোহাগ সকাল › বিস্তারিত পোস্টঃ

পাগল-ছাগল বৌ

১৩ ই মে, ২০১৩ রাত ১০:৩৯



বাসের জানালা দিয়ে বাইরে তাকালাম। এই গরমে এভাবে বিরক্তিকর জ্যামে আটকে থাকার কোনো মানে হয়না। এক গ্লাস ঠান্ডা পানি পেলে ভালো হতো। কিছু বরফকুঁচি ডোবানো থাকতে পারে তাতে। ভাবতে না ভাবতেই মাথায় ঠান্ডা পানি ঢেলে দিল মেয়েটা। বরফকুঁচিগুলো টপ টপ করে মাথায় পড়লো। ঘাম আর ঠান্ডা পানিতে ভিজে কাকের বাচ্চা হয়ে গেলাম। মেয়েটা আরও কিছু খুঁজছে, আমার মাথায় ঢেলে দেবার জন্য। হাত ধরে টান মেরে পাশে বসালাম।

বললাম, “শান্ত হও। ঐ দেখ, পাখিদের দেখা যায়”।

মেয়েটা রাগ মাখানো কন্ঠেই বললো, “কই?”

আমি বললাম, “জানালার বাইরে”।

মেয়েটা জানালার বাইরে তাকিয়ে গিজগিজ করা গাড়িদের কালো ধোয়া আর ধুলোবালি ছাড়া আর কিছুই দেখতে পেল না। মেজাজ আরও বিগড়ে গেল। আমার কাঁধে একটা কামড় বসিয়ে দিল। হাত দিয়ে আরও শক্ত করে চেপে ধরলাম মেয়েটাকে।

মেয়েটা আজকে কান্না করেছে খুব। এখন ওর চোখের কাজল চোখের জলে লেপ্টে গেছে। মেয়েদের কপালে বড় লাল টিপ আমার তেমন একটা ভাল্লাগেনা। কিন্তু মেয়েটাকে খুব সুন্দর লাগছে। মেয়েটার শরীরে মিষ্টি একটা গন্ধ আছে। বিয়ের পরদিন মেয়েদের যেমনটা লাগে, তেমন লাগছে। তবে ওর গায়ে বিয়ের শাড়ীটা এখনও আছে। মেয়েটাকে আমি ভাগিয়ে নিয়ে এসেছি। আজকে ওর বিয়ে হবার কথা ছিল। ছেলে মেরীল্যান্ড থাকে। বিয়ের পর কোনো এক সন্ধ্যায় বৌ-কে নিয়ে নায়াগ্রা জলপ্রপাত দেখার কথা ছিল। দু’জন মিলে নায়াগ্রার ঘোরলাগা বাতাস বুকে টেনে নেবার কথা ছিল। ছেলে খুব ভালো। কিন্তু এখন ভালো না। ছেলে আর ছেলের বাবা ভালো ছিল সবার কাছে, আজকের আগ পর্যন্ত।

বিয়ের দিন বরযাত্রী না এসে দুঃসংবাদ আসার কোনো মানে হয়না।

ছেলের বাবা মেয়ের বাবাকে হঠাত ফোন দিয়ে বললো, “কি বলে যে ক্ষমা চাইবো ভাই! দোয়া করি, আপনাদের মেয়ে আরও ভালো জামাই পাবে”।

মেয়ের বাবা মোবাইলটা আছাড় মেরে ভেঙে ফেললো।

কয়েকজন ফিসফিসিয়ে বলা শুরু করলো, “আগেই কইছিলাম, মেয়ের মাথা যে মাঝে মইধ্যে আওলায়া যায়, এইটা ছেলেপক্ষরে জানায় রাখতে। কেই বা চায়, পাগল-ছাগল মাইয়ারে ছেলের বৌ বানাইতে?”

মেয়েটা পাগল নয়। তবে আমি শুধু জানি, মাঝে মাঝে মেয়েটা অদ্ভুত আচরন করে। যখন মেয়েটাকে বাসায় এসে পড়াতাম, তখন একদিন মেয়েটাকে এই সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেছিলাম। মেয়েটা অনেক্ষণ চুপ করে থেকে বললো, “পরে একদিন বলবো”।

মেয়েটা যখন জানতে পারলো, তাঁর বিয়ে ভেঙে গেছে, তখন একটুও কাঁদেনি। সে হয়তো জানতো, ছেলেটা তাকে বিয়ে করবে না। কারন, পাগল-ছাগল নিয়ে নায়াগ্রা জলপ্রপাত দেখা যায়না। মেয়েটার বাবা আমাকে এতদিন কোনো এক বা একাধিক কারনে সহ্য করতে পারতেন না। যে কারনে তাঁর বাসায় আমার প্রবেশ নিষিদ্ধ হয়েছিলো। সেইসব কারন অথবা অকারনের তোয়াক্কা না করেই মেয়েটাকে নিয়ে আজকে চম্পট মারলাম। আসলে আমি এই সুজোগটাকে হাতছাড়া করতে চাইনি। যে যাই বলুক, আমি জানি, সেই মেরীল্যান্ডী ছেলের নায়াগ্রা-ফায়াগ্রার চাইতে আমাদের ছোট্ট আর পুরনো বাড়িটার ছাদে নিয়ে কোনো এক তারার রাতে বড় একটা চাঁদ দেখালেই আমার পাগল-ছাগল বৌ বেশি খুশি হবে। আনন্দে আত্মহারা হয়ে, লাফ দিয়ে একটা মস্ত বড় চুমুও খেয়ে বসতে পারে। এইটাই বা কম কিসের!



মেয়েটা আমার কাঁধ কামড়াতে কামড়াতে কাঁধে মাথা রেখেই ঘুমিয়ে গেছে, যে কিনা কিছুক্ষণ পর আমার বৌ হবে। পাগল-ছাগল বৌ।



বাইরে সন্ধ্যা নেমে আসছে। বিরক্তিকর জ্যামটাও ধীরে ধীরে শেষ হয়ে যাচ্ছে।



বাসের জানালা দিয়ে বাইরে তাকালাম। এই গরমে এভাবে বিরক্তিকর জ্যামে আটকে থাকার কোনো মানে হয়না। এক গ্লাস ঠান্ডা পানি পেলে ভালো হতো। কিছু বরফকুঁচি ডোবানো থাকতে পারে তাতে। ভাবতে না ভাবতেই মাথায় ঠান্ডা পানি ঢেলে দিল মেয়েটা। বরফকুঁচিগুলো টপ টপ করে মাথায় পড়লো। ঘাম আর ঠান্ডা পানিতে ভিজে কাকের বাচ্চা হয়ে গেলাম। মেয়েটা আরও কিছু খুঁজছে, আমার মাথায় ঢেলে দেবার জন্য। হাত ধরে টান মেরে পাশে বসালাম।

বললাম, “শান্ত হও। ঐ দেখ, পাখিদের দেখা যায়”।

মেয়েটা রাগ মাখানো কন্ঠেই বললো, “কই?”

আমি বললাম, “জানালার বাইরে”।

মেয়েটা জানালার বাইরে তাকিয়ে গিজগিজ করা গাড়িদের কালো ধোয়া আর ধুলোবালি ছাড়া আর কিছুই দেখতে পেল না। মেজাজ আরও বিগড়ে গেল। আমার কাঁধে একটা কামড় বসিয়ে দিল। হাত দিয়ে আরও শক্ত করে চেপে ধরলাম মেয়েটাকে।

মেয়েটা আজকে কান্না করেছে খুব। এখন ওর চোখের কাজল চোখের জলে লেপ্টে গেছে। মেয়েদের কপালে বড় লাল টিপ আমার তেমন একটা ভাল্লাগেনা। কিন্তু মেয়েটাকে খুব সুন্দর লাগছে। মেয়েটার শরীরে মিষ্টি একটা গন্ধ আছে। বিয়ের পরদিন মেয়েদের যেমনটা লাগে, তেমন লাগছে। তবে ওর গায়ে বিয়ের শাড়ীটা এখনও আছে। মেয়েটাকে আমি ভাগিয়ে নিয়ে এসেছি। আজকে ওর বিয়ে হবার কথা ছিল। ছেলে মেরীল্যান্ড থাকে। বিয়ের পর কোনো এক সন্ধ্যায় বৌ-কে নিয়ে নায়াগ্রা জলপ্রপাত দেখার কথা ছিল। দু’জন মিলে নায়াগ্রার ঘোরলাগা বাতাস বুকে টেনে নেবার কথা ছিল। ছেলে খুব ভালো। কিন্তু এখন ভালো না। ছেলে আর ছেলের বাবা ভালো ছিল সবার কাছে, আজকের আগ পর্যন্ত।

বিয়ের দিন বরযাত্রী না এসে দুঃসংবাদ আসার কোনো মানে হয়না।

ছেলের বাবা মেয়ের বাবাকে হঠাত ফোন দিয়ে বললো, “কি বলে যে ক্ষমা চাইবো ভাই! দোয়া করি, আপনাদের মেয়ে আরও ভালো জামাই পাবে”।

মেয়ের বাবা মোবাইলটা আছাড় মেরে ভেঙে ফেললো।

কয়েকজন ফিসফিসিয়ে বলা শুরু করলো, “আগেই কইছিলাম, মেয়ের মাথা যে মাঝে মইধ্যে আওলায়া যায়, এইটা ছেলেপক্ষরে জানায় রাখতে। কেই বা চায়, পাগল-ছাগল মাইয়ারে ছেলের বৌ বানাইতে?”

মেয়েটা পাগল নয়। তবে আমি শুধু জানি, মাঝে মাঝে মেয়েটা অদ্ভুত আচরন করে। যখন মেয়েটাকে বাসায় এসে পড়াতাম, তখন একদিন মেয়েটাকে এই সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেছিলাম। মেয়েটা অনেক্ষণ চুপ করে থেকে বললো, “পরে একদিন বলবো”।

মেয়েটা যখন জানতে পারলো, তাঁর বিয়ে ভেঙে গেছে, তখন একটুও কাঁদেনি। সে হয়তো জানতো, ছেলেটা তাকে বিয়ে করবে না। কারন, পাগল-ছাগল নিয়ে নায়াগ্রা জলপ্রপাত দেখা যায়না। মেয়েটার বাবা আমাকে এতদিন কোনো এক বা একাধিক কারনে সহ্য করতে পারতেন না। যে কারনে তাঁর বাসায় আমার প্রবেশ নিষিদ্ধ হয়েছিলো। সেইসব কারন অথবা অকারনের তোয়াক্কা না করেই মেয়েটাকে নিয়ে আজকে চম্পট মারলাম। আসলে আমি এই সুজোগটাকে হাতছাড়া করতে চাইনি। যে যাই বলুক, আমি জানি, সেই মেরীল্যান্ডী ছেলের নায়াগ্রা-ফায়াগ্রার চাইতে আমাদের ছোট্ট আর পুরনো বাড়িটার ছাদে নিয়ে কোনো এক তারার রাতে বড় একটা চাঁদ দেখালেই আমার পাগল-ছাগল বৌ বেশি খুশি হবে। আনন্দে আত্মহারা হয়ে, লাফ দিয়ে একটা মস্ত বড় চুমুও খেয়ে বসতে পারে। এইটাই বা কম কিসের!



মেয়েটা আমার কাঁধ কামড়াতে কামড়াতে কাঁধে মাথা রেখেই ঘুমিয়ে গেছে, যে কিনা কিছুক্ষণ পর আমার বৌ হবে। পাগল-ছাগল বৌ।



বাইরে সন্ধ্যা নেমে আসছে। বিরক্তিকর জ্যামটাও ধীরে ধীরে শেষ হয়ে যাচ্ছে।



বাসের জানালা দিয়ে বাইরে তাকালাম। এই গরমে এভাবে বিরক্তিকর জ্যামে আটকে থাকার কোনো মানে হয়না। এক গ্লাস ঠান্ডা পানি পেলে ভালো হতো। কিছু বরফকুঁচি ডোবানো থাকতে পারে তাতে। ভাবতে না ভাবতেই মাথায় ঠান্ডা পানি ঢেলে দিল মেয়েটা। বরফকুঁচিগুলো টপ টপ করে মাথায় পড়লো। ঘাম আর ঠান্ডা পানিতে ভিজে কাকের বাচ্চা হয়ে গেলাম। মেয়েটা আরও কিছু খুঁজছে, আমার মাথায় ঢেলে দেবার জন্য। হাত ধরে টান মেরে পাশে বসালাম।

বললাম, “শান্ত হও। ঐ দেখ, পাখিদের দেখা যায়”।

মেয়েটা রাগ মাখানো কন্ঠেই বললো, “কই?”

আমি বললাম, “জানালার বাইরে”।

মেয়েটা জানালার বাইরে তাকিয়ে গিজগিজ করা গাড়িদের কালো ধোয়া আর ধুলোবালি ছাড়া আর কিছুই দেখতে পেল না। মেজাজ আরও বিগড়ে গেল। আমার কাঁধে একটা কামড় বসিয়ে দিল। হাত দিয়ে আরও শক্ত করে চেপে ধরলাম মেয়েটাকে।

মেয়েটা আজকে কান্না করেছে খুব। এখন ওর চোখের কাজল চোখের জলে লেপ্টে গেছে। মেয়েদের কপালে বড় লাল টিপ আমার তেমন একটা ভাল্লাগেনা। কিন্তু মেয়েটাকে খুব সুন্দর লাগছে। মেয়েটার শরীরে মিষ্টি একটা গন্ধ আছে। বিয়ের পরদিন মেয়েদের যেমনটা লাগে, তেমন লাগছে। তবে ওর গায়ে বিয়ের শাড়ীটা এখনও আছে। মেয়েটাকে আমি ভাগিয়ে নিয়ে এসেছি। আজকে ওর বিয়ে হবার কথা ছিল। ছেলে মেরীল্যান্ড থাকে। বিয়ের পর কোনো এক সন্ধ্যায় বৌ-কে নিয়ে নায়াগ্রা জলপ্রপাত দেখার কথা ছিল। দু’জন মিলে নায়াগ্রার ঘোরলাগা বাতাস বুকে টেনে নেবার কথা ছিল। ছেলে খুব ভালো। কিন্তু এখন ভালো না। ছেলে আর ছেলের বাবা ভালো ছিল সবার কাছে, আজকের আগ পর্যন্ত।

বিয়ের দিন বরযাত্রী না এসে দুঃসংবাদ আসার কোনো মানে হয়না।

ছেলের বাবা মেয়ের বাবাকে হঠাত ফোন দিয়ে বললো, “কি বলে যে ক্ষমা চাইবো ভাই! দোয়া করি, আপনাদের মেয়ে আরও ভালো জামাই পাবে”।

মেয়ের বাবা মোবাইলটা আছাড় মেরে ভেঙে ফেললো।

কয়েকজন ফিসফিসিয়ে বলা শুরু করলো, “আগেই কইছিলাম, মেয়ের মাথা যে মাঝে মইধ্যে আওলায়া যায়, এইটা ছেলেপক্ষরে জানায় রাখতে। কেই বা চায়, পাগল-ছাগল মাইয়ারে ছেলের বৌ বানাইতে?”

মেয়েটা পাগল নয়। তবে আমি শুধু জানি, মাঝে মাঝে মেয়েটা অদ্ভুত আচরন করে। যখন মেয়েটাকে বাসায় এসে পড়াতাম, তখন একদিন মেয়েটাকে এই সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেছিলাম। মেয়েটা অনেক্ষণ চুপ করে থেকে বললো, “পরে একদিন বলবো”।

মেয়েটা যখন জানতে পারলো, তাঁর বিয়ে ভেঙে গেছে, তখন একটুও কাঁদেনি। সে হয়তো জানতো, ছেলেটা তাকে বিয়ে করবে না। কারন, পাগল-ছাগল নিয়ে নায়াগ্রা জলপ্রপাত দেখা যায়না। মেয়েটার বাবা আমাকে এতদিন কোনো এক বা একাধিক কারনে সহ্য করতে পারতেন না। যে কারনে তাঁর বাসায় আমার প্রবেশ নিষিদ্ধ হয়েছিলো। সেইসব কারন অথবা অকারনের তোয়াক্কা না করেই মেয়েটাকে নিয়ে আজকে চম্পট মারলাম। আসলে আমি এই সুজোগটাকে হাতছাড়া করতে চাইনি। যে যাই বলুক, আমি জানি, সেই মেরীল্যান্ডী ছেলের নায়াগ্রা-ফায়াগ্রার চাইতে আমাদের ছোট্ট আর পুরনো বাড়িটার ছাদে নিয়ে কোনো এক তারার রাতে বড় একটা চাঁদ দেখালেই আমার পাগল-ছাগল বৌ বেশি খুশি হবে। আনন্দে আত্মহারা হয়ে, লাফ দিয়ে একটা মস্ত বড় চুমুও খেয়ে বসতে পারে। এইটাই বা কম কিসের!



মেয়েটা আমার কাঁধ কামড়াতে কামড়াতে কাঁধে মাথা রেখেই ঘুমিয়ে গেছে, যে কিনা কিছুক্ষণ পর আমার বৌ হবে। পাগল-ছাগল বৌ।



বাইরে সন্ধ্যা নেমে আসছে। বিরক্তিকর জ্যামটাও ধীরে ধীরে শেষ হয়ে যাচ্ছে।



বাসের জানালা দিয়ে বাইরে তাকালাম। এই গরমে এভাবে বিরক্তিকর জ্যামে আটকে থাকার কোনো মানে হয়না। এক গ্লাস ঠান্ডা পানি পেলে ভালো হতো। কিছু বরফকুঁচি ডোবানো থাকতে পারে তাতে। ভাবতে না ভাবতেই মাথায় ঠান্ডা পানি ঢেলে দিল মেয়েটা। বরফকুঁচিগুলো টপ টপ করে মাথায় পড়লো। ঘাম আর ঠান্ডা পানিতে ভিজে কাকের বাচ্চা হয়ে গেলাম। মেয়েটা আরও কিছু খুঁজছে, আমার মাথায় ঢেলে দেবার জন্য। হাত ধরে টান মেরে পাশে বসালাম।

বললাম, “শান্ত হও। ঐ দেখ, পাখিদের দেখা যায়”।

মেয়েটা রাগ মাখানো কন্ঠেই বললো, “কই?”

আমি বললাম, “জানালার বাইরে”।

মেয়েটা জানালার বাইরে তাকিয়ে গিজগিজ করা গাড়িদের কালো ধোয়া আর ধুলোবালি ছাড়া আর কিছুই দেখতে পেল না। মেজাজ আরও বিগড়ে গেল। আমার কাঁধে একটা কামড় বসিয়ে দিল। হাত দিয়ে আরও শক্ত করে চেপে ধরলাম মেয়েটাকে।

মেয়েটা আজকে কান্না করেছে খুব। এখন ওর চোখের কাজল চোখের জলে লেপ্টে গেছে। মেয়েদের কপালে বড় লাল টিপ আমার তেমন একটা ভাল্লাগেনা। কিন্তু মেয়েটাকে খুব সুন্দর লাগছে। মেয়েটার শরীরে মিষ্টি একটা গন্ধ আছে। বিয়ের পরদিন মেয়েদের যেমনটা লাগে, তেমন লাগছে। তবে ওর গায়ে বিয়ের শাড়ীটা এখনও আছে। মেয়েটাকে আমি ভাগিয়ে নিয়ে এসেছি। আজকে ওর বিয়ে হবার কথা ছিল। ছেলে মেরীল্যান্ড থাকে। বিয়ের পর কোনো এক সন্ধ্যায় বৌ-কে নিয়ে নায়াগ্রা জলপ্রপাত দেখার কথা ছিল। দু’জন মিলে নায়াগ্রার ঘোরলাগা বাতাস বুকে টেনে নেবার কথা ছিল। ছেলে খুব ভালো। কিন্তু এখন ভালো না। ছেলে আর ছেলের বাবা ভালো ছিল সবার কাছে, আজকের আগ পর্যন্ত।

বিয়ের দিন বরযাত্রী না এসে দুঃসংবাদ আসার কোনো মানে হয়না।

ছেলের বাবা মেয়ের বাবাকে হঠাত ফোন দিয়ে বললো, “কি বলে যে ক্ষমা চাইবো ভাই! দোয়া করি, আপনাদের মেয়ে আরও ভালো জামাই পাবে”।

মেয়ের বাবা মোবাইলটা আছাড় মেরে ভেঙে ফেললো।

কয়েকজন ফিসফিসিয়ে বলা শুরু করলো, “আগেই কইছিলাম, মেয়ের মাথা যে মাঝে মইধ্যে আওলায়া যায়, এইটা ছেলেপক্ষরে জানায় রাখতে। কেই বা চায়, পাগল-ছাগল মাইয়ারে ছেলের বৌ বানাইতে?”

মেয়েটা পাগল নয়। তবে আমি শুধু জানি, মাঝে মাঝে মেয়েটা অদ্ভুত আচরন করে। যখন মেয়েটাকে বাসায় এসে পড়াতাম, তখন একদিন মেয়েটাকে এই সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেছিলাম। মেয়েটা অনেক্ষণ চুপ করে থেকে বললো, “পরে একদিন বলবো”।

মেয়েটা যখন জানতে পারলো, তাঁর বিয়ে ভেঙে গেছে, তখন একটুও কাঁদেনি। সে হয়তো জানতো, ছেলেটা তাকে বিয়ে করবে না। কারন, পাগল-ছাগল নিয়ে নায়াগ্রা জলপ্রপাত দেখা যায়না। মেয়েটার বাবা আমাকে এতদিন কোনো এক বা একাধিক কারনে সহ্য করতে পারতেন না। যে কারনে তাঁর বাসায় আমার প্রবেশ নিষিদ্ধ হয়েছিলো। সেইসব কারন অথবা অকারনের তোয়াক্কা না করেই মেয়েটাকে নিয়ে আজকে চম্পট মারলাম। আসলে আমি এই সুজোগটাকে হাতছাড়া করতে চাইনি। যে যাই বলুক, আমি জানি, সেই মেরীল্যান্ডী ছেলের নায়াগ্রা-ফায়াগ্রার চাইতে আমাদের ছোট্ট আর পুরনো বাড়িটার ছাদে নিয়ে কোনো এক তারার রাতে বড় একটা চাঁদ দেখালেই আমার পাগল-ছাগল বৌ বেশি খুশি হবে। আনন্দে আত্মহারা হয়ে, লাফ দিয়ে একটা মস্ত বড় চুমুও খেয়ে বসতে পারে। এইটাই বা কম কিসের!



মেয়েটা আমার কাঁধ কামড়াতে কামড়াতে কাঁধে মাথা রেখেই ঘুমিয়ে গেছে, যে কিনা কিছুক্ষণ পর আমার বৌ হবে। পাগল-ছাগল বৌ।



বাইরে সন্ধ্যা নেমে আসছে। বিরক্তিকর জ্যামটাও ধীরে ধীরে শেষ হয়ে যাচ্ছে।



বাসের জানালা দিয়ে বাইরে তাকালাম। এই গরমে এভাবে বিরক্তিকর জ্যামে আটকে থাকার কোনো মানে হয়না। এক গ্লাস ঠান্ডা পানি পেলে ভালো হতো। কিছু বরফকুঁচি ডোবানো থাকতে পারে তাতে। ভাবতে না ভাবতেই মাথায় ঠান্ডা পানি ঢেলে দিল মেয়েটা। বরফকুঁচিগুলো টপ টপ করে মাথায় পড়লো। ঘাম আর ঠান্ডা পানিতে ভিজে কাকের বাচ্চা হয়ে গেলাম। মেয়েটা আরও কিছু খুঁজছে, আমার মাথায় ঢেলে দেবার জন্য। হাত ধরে টান মেরে পাশে বসালাম।

বললাম, “শান্ত হও। ঐ দেখ, পাখিদের দেখা যায়”।

মেয়েটা রাগ মাখানো কন্ঠেই বললো, “কই?”

আমি বললাম, “জানালার বাইরে”।

মেয়েটা জানালার বাইরে তাকিয়ে গিজগিজ করা গাড়িদের কালো ধোয়া আর ধুলোবালি ছাড়া আর কিছুই দেখতে পেল না। মেজাজ আরও বিগড়ে গেল। আমার কাঁধে একটা কামড় বসিয়ে দিল। হাত দিয়ে আরও শক্ত করে চেপে ধরলাম মেয়েটাকে।

মেয়েটা আজকে কান্না করেছে খুব। এখন ওর চোখের কাজল চোখের জলে লেপ্টে গেছে। মেয়েদের কপালে বড় লাল টিপ আমার তেমন একটা ভাল্লাগেনা। কিন্তু মেয়েটাকে খুব সুন্দর লাগছে। মেয়েটার শরীরে মিষ্টি একটা গন্ধ আছে। বিয়ের পরদিন মেয়েদের যেমনটা লাগে, তেমন লাগছে। তবে ওর গায়ে বিয়ের শাড়ীটা এখনও আছে। মেয়েটাকে আমি ভাগিয়ে নিয়ে এসেছি। আজকে ওর বিয়ে হবার কথা ছিল। ছেলে মেরীল্যান্ড থাকে। বিয়ের পর কোনো এক সন্ধ্যায় বৌ-কে নিয়ে নায়াগ্রা জলপ্রপাত দেখার কথা ছিল। দু’জন মিলে নায়াগ্রার ঘোরলাগা বাতাস বুকে টেনে নেবার কথা ছিল। ছেলে খুব ভালো। কিন্তু এখন ভালো না। ছেলে আর ছেলের বাবা ভালো ছিল সবার কাছে, আজকের আগ পর্যন্ত।

বিয়ের দিন বরযাত্রী না এসে দুঃসংবাদ আসার কোনো মানে হয়না।

ছেলের বাবা মেয়ের বাবাকে হঠাত ফোন দিয়ে বললো, “কি বলে যে ক্ষমা চাইবো ভাই! দোয়া করি, আপনাদের মেয়ে আরও ভালো জামাই পাবে”।

মেয়ের বাবা মোবাইলটা আছাড় মেরে ভেঙে ফেললো।

কয়েকজন ফিসফিসিয়ে বলা শুরু করলো, “আগেই কইছিলাম, মেয়ের মাথা যে মাঝে মইধ্যে আওলায়া যায়, এইটা ছেলেপক্ষরে জানায় রাখতে। কেই বা চায়, পাগল-ছাগল মাইয়ারে ছেলের বৌ বানাইতে?”

মেয়েটা পাগল নয়। তবে আমি শুধু জানি, মাঝে মাঝে মেয়েটা অদ্ভুত আচরন করে। যখন মেয়েটাকে বাসায় এসে পড়াতাম, তখন একদিন মেয়েটাকে এই সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেছিলাম। মেয়েটা অনেক্ষণ চুপ করে থেকে বললো, “পরে একদিন বলবো”।

মেয়েটা যখন জানতে পারলো, তাঁর বিয়ে ভেঙে গেছে, তখন একটুও কাঁদেনি। সে হয়তো জানতো, ছেলেটা তাকে বিয়ে করবে না। কারন, পাগল-ছাগল নিয়ে নায়াগ্রা জলপ্রপাত দেখা যায়না। মেয়েটার বাবা আমাকে এতদিন কোনো এক বা একাধিক কারনে সহ্য করতে পারতেন না। যে কারনে তাঁর বাসায় আমার প্রবেশ নিষিদ্ধ হয়েছিলো। সেইসব কারন অথবা অকারনের তোয়াক্কা না করেই মেয়েটাকে নিয়ে আজকে চম্পট মারলাম। আসলে আমি এই সুজোগটাকে হাতছাড়া করতে চাইনি। যে যাই বলুক, আমি জানি, সেই মেরীল্যান্ডী ছেলের নায়াগ্রা-ফায়াগ্রার চাইতে আমাদের ছোট্ট আর পুরনো বাড়িটার ছাদে নিয়ে কোনো এক তারার রাতে বড় একটা চাঁদ দেখালেই আমার পাগল-ছাগল বৌ বেশি খুশি হবে। আনন্দে আত্মহারা হয়ে, লাফ দিয়ে একটা মস্ত বড় চুমুও খেয়ে বসতে পারে। এইটাই বা কম কিসের!



মেয়েটা আমার কাঁধ কামড়াতে কামড়াতে কাঁধে মাথা রেখেই ঘুমিয়ে গেছে, যে কিনা কিছুক্ষণ পর আমার বৌ হবে। পাগল-ছাগল বৌ।



বাইরে সন্ধ্যা নেমে আসছে। বিরক্তিকর জ্যামটাও ধীরে ধীরে শেষ হয়ে যাচ্ছে।



বাসের জানালা দিয়ে বাইরে তাকালাম। এই গরমে এভাবে বিরক্তিকর জ্যামে আটকে থাকার কোনো মানে হয়না। এক গ্লাস ঠান্ডা পানি পেলে ভালো হতো। কিছু বরফকুঁচি ডোবানো থাকতে পারে তাতে। ভাবতে না ভাবতেই মাথায় ঠান্ডা পানি ঢেলে দিল মেয়েটা। বরফকুঁচিগুলো টপ টপ করে মাথায় পড়লো। ঘাম আর ঠান্ডা পানিতে ভিজে কাকের বাচ্চা হয়ে গেলাম। মেয়েটা আরও কিছু খুঁজছে, আমার মাথায় ঢেলে দেবার জন্য। হাত ধরে টান মেরে পাশে বসালাম।

বললাম, “শান্ত হও। ঐ দেখ, পাখিদের দেখা যায়”।

মেয়েটা রাগ মাখানো কন্ঠেই বললো, “কই?”

আমি বললাম, “জানালার বাইরে”।

মেয়েটা জানালার বাইরে তাকিয়ে গিজগিজ করা গাড়িদের কালো ধোয়া আর ধুলোবালি ছাড়া আর কিছুই দেখতে পেল না। মেজাজ আরও বিগড়ে গেল। আমার কাঁধে একটা কামড় বসিয়ে দিল। হাত দিয়ে আরও শক্ত করে চেপে ধরলাম মেয়েটাকে।

মেয়েটা আজকে কান্না করেছে খুব। এখন ওর চোখের কাজল চোখের জলে লেপ্টে গেছে। মেয়েদের কপালে বড় লাল টিপ আমার তেমন একটা ভাল্লাগেনা। কিন্তু মেয়েটাকে খুব সুন্দর লাগছে। মেয়েটার শরীরে মিষ্টি একটা গন্ধ আছে। বিয়ের পরদিন মেয়েদের যেমনটা লাগে, তেমন লাগছে। তবে ওর গায়ে বিয়ের শাড়ীটা এখনও আছে। মেয়েটাকে আমি ভাগিয়ে নিয়ে এসেছি। আজকে ওর বিয়ে হবার কথা ছিল। ছেলে মেরীল্যান্ড থাকে। বিয়ের পর কোনো এক সন্ধ্যায় বৌ-কে নিয়ে নায়াগ্রা জলপ্রপাত দেখার কথা ছিল। দু’জন মিলে নায়াগ্রার ঘোরলাগা বাতাস বুকে টেনে নেবার কথা ছিল। ছেলে খুব ভালো। কিন্তু এখন ভালো না। ছেলে আর ছেলের বাবা ভালো ছিল সবার কাছে, আজকের আগ পর্যন্ত।

বিয়ের দিন বরযাত্রী না এসে দুঃসংবাদ আসার কোনো মানে হয়না।

ছেলের বাবা মেয়ের বাবাকে হঠাত ফোন দিয়ে বললো, “কি বলে যে ক্ষমা চাইবো ভাই! দোয়া করি, আপনাদের মেয়ে আরও ভালো জামাই পাবে”।

মেয়ের বাবা মোবাইলটা আছাড় মেরে ভেঙে ফেললো।

কয়েকজন ফিসফিসিয়ে বলা শুরু করলো, “আগেই কইছিলাম, মেয়ের মাথা যে মাঝে মইধ্যে আওলায়া যায়, এইটা ছেলেপক্ষরে জানায় রাখতে। কেই বা চায়, পাগল-ছাগল মাইয়ারে ছেলের বৌ বানাইতে?”

মেয়েটা পাগল নয়। তবে আমি শুধু জানি, মাঝে মাঝে মেয়েটা অদ্ভুত আচরন করে। যখন মেয়েটাকে বাসায় এসে পড়াতাম, তখন একদিন মেয়েটাকে এই সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেছিলাম। মেয়েটা অনেক্ষণ চুপ করে থেকে বললো, “পরে একদিন বলবো”।

মেয়েটা যখন জানতে পারলো, তাঁর বিয়ে ভেঙে গেছে, তখন একটুও কাঁদেনি। সে হয়তো জানতো, ছেলেটা তাকে বিয়ে করবে না। কারন, পাগল-ছাগল নিয়ে নায়াগ্রা জলপ্রপাত দেখা যায়না। মেয়েটার বাবা আমাকে এতদিন কোনো এক বা একাধিক কারনে সহ্য করতে পারতেন না। যে কারনে তাঁর বাসায় আমার প্রবেশ নিষিদ্ধ হয়েছিলো। সেইসব কারন অথবা অকারনের তোয়াক্কা না করেই মেয়েটাকে নিয়ে আজকে চম্পট মারলাম। আসলে আমি এই সুজোগটাকে হাতছাড়া করতে চাইনি। যে যাই বলুক, আমি জানি, সেই মেরীল্যান্ডী ছেলের নায়াগ্রা-ফায়াগ্রার চাইতে আমাদের ছোট্ট আর পুরনো বাড়িটার ছাদে নিয়ে কোনো এক তারার রাতে বড় একটা চাঁদ দেখালেই আমার পাগল-ছাগল বৌ বেশি খুশি হবে। আনন্দে আত্মহারা হয়ে, লাফ দিয়ে একটা মস্ত বড় চুমুও খেয়ে বসতে পারে। এইটাই বা কম কিসের!



মেয়েটা আমার কাঁধ কামড়াতে কামড়াতে কাঁধে মাথা রেখেই ঘুমিয়ে গেছে, যে কিনা কিছুক্ষণ পর আমার বৌ হবে। পাগল-ছাগল বৌ।



বাইরে সন্ধ্যা নেমে আসছে। বিরক্তিকর জ্যামটাও ধীরে ধীরে শেষ হয়ে যাচ্ছে।



বাসের জানালা দিয়ে বাইরে তাকালাম। এই গরমে এভাবে বিরক্তিকর জ্যামে আটকে থাকার কোনো মানে হয়না। এক গ্লাস ঠান্ডা পানি পেলে ভালো হতো। কিছু বরফকুঁচি ডোবানো থাকতে পারে তাতে। ভাবতে না ভাবতেই মাথায় ঠান্ডা পানি ঢেলে দিল মেয়েটা। বরফকুঁচিগুলো টপ টপ করে মাথায় পড়লো। ঘাম আর ঠান্ডা পানিতে ভিজে কাকের বাচ্চা হয়ে গেলাম। মেয়েটা আরও কিছু খুঁজছে, আমার মাথায় ঢেলে দেবার জন্য। হাত ধরে টান মেরে পাশে বসালাম।

বললাম, “শান্ত হও। ঐ দেখ, পাখিদের দেখা যায়”।

মেয়েটা রাগ মাখানো কন্ঠেই বললো, “কই?”

আমি বললাম, “জানালার বাইরে”।

মেয়েটা জানালার বাইরে তাকিয়ে গিজগিজ করা গাড়িদের কালো ধোয়া আর ধুলোবালি ছাড়া আর কিছুই দেখতে পেল না। মেজাজ আরও বিগড়ে গেল। আমার কাঁধে একটা কামড় বসিয়ে দিল। হাত দিয়ে আরও শক্ত করে চেপে ধরলাম মেয়েটাকে।

মেয়েটা আজকে কান্না করেছে খুব। এখন ওর চোখের কাজল চোখের জলে লেপ্টে গেছে। মেয়েদের কপালে বড় লাল টিপ আমার তেমন একটা ভাল্লাগেনা। কিন্তু মেয়েটাকে খুব সুন্দর লাগছে। মেয়েটার শরীরে মিষ্টি একটা গন্ধ আছে। বিয়ের পরদিন মেয়েদের যেমনটা লাগে, তেমন লাগছে। তবে ওর গায়ে বিয়ের শাড়ীটা এখনও আছে। মেয়েটাকে আমি ভাগিয়ে নিয়ে এসেছি। আজকে ওর বিয়ে হবার কথা ছিল। ছেলে মেরীল্যান্ড থাকে। বিয়ের পর কোনো এক সন্ধ্যায় বৌ-কে নিয়ে নায়াগ্রা জলপ্রপাত দেখার কথা ছিল। দু’জন মিলে নায়াগ্রার ঘোরলাগা বাতাস বুকে টেনে নেবার কথা ছিল। ছেলে খুব ভালো। কিন্তু এখন ভালো না। ছেলে আর ছেলের বাবা ভালো ছিল সবার কাছে, আজকের আগ পর্যন্ত।

বিয়ের দিন বরযাত্রী না এসে দুঃসংবাদ আসার কোনো মানে হয়না।

ছেলের বাবা মেয়ের বাবাকে হঠাত ফোন দিয়ে বললো, “কি বলে যে ক্ষমা চাইবো ভাই! দোয়া করি, আপনাদের মেয়ে আরও ভালো জামাই পাবে”।

মেয়ের বাবা মোবাইলটা আছাড় মেরে ভেঙে ফেললো।

কয়েকজন ফিসফিসিয়ে বলা শুরু করলো, “আগেই কইছিলাম, মেয়ের মাথা যে মাঝে মইধ্যে আওলায়া যায়, এইটা ছেলেপক্ষরে জানায় রাখতে। কেই বা চায়, পাগল-ছাগল মাইয়ারে ছেলের বৌ বানাইতে?”

মেয়েটা পাগল নয়। তবে আমি শুধু জানি, মাঝে মাঝে মেয়েটা অদ্ভুত আচরন করে। যখন মেয়েটাকে বাসায় এসে পড়াতাম, তখন একদিন মেয়েটাকে এই সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেছিলাম। মেয়েটা অনেক্ষণ চুপ করে থেকে বললো, “পরে একদিন বলবো”।

মেয়েটা যখন জানতে পারলো, তাঁর বিয়ে ভেঙে গেছে, তখন একটুও কাঁদেনি। সে হয়তো জানতো, ছেলেটা তাকে বিয়ে করবে না। কারন, পাগল-ছাগল নিয়ে নায়াগ্রা জলপ্রপাত দেখা যায়না। মেয়েটার বাবা আমাকে এতদিন কোনো এক বা একাধিক কারনে সহ্য করতে পারতেন না। যে কারনে তাঁর বাসায় আমার প্রবেশ নিষিদ্ধ হয়েছিলো। সেইসব কারন অথবা অকারনের তোয়াক্কা না করেই মেয়েটাকে নিয়ে আজকে চম্পট মারলাম। আসলে আমি এই সুজোগটাকে হাতছাড়া করতে চাইনি। যে যাই বলুক, আমি জানি, সেই মেরীল্যান্ডী ছেলের নায়াগ্রা-ফায়াগ্রার চাইতে আমাদের ছোট্ট আর পুরনো বাড়িটার ছাদে নিয়ে কোনো এক তারার রাতে বড় একটা চাঁদ দেখালেই আমার পাগল-ছাগল বৌ বেশি খুশি হবে। আনন্দে আত্মহারা হয়ে, লাফ দিয়ে একটা মস্ত বড় চুমুও খেয়ে বসতে পারে। এইটাই বা কম কিসের!



মেয়েটা আমার কাঁধ কামড়াতে কামড়াতে কাঁধে মাথা রেখেই ঘুমিয়ে গেছে, যে কিনা কিছুক্ষণ পর আমার বৌ হবে। পাগল-ছাগল বৌ।



বাইরে সন্ধ্যা নেমে আসছে। বিরক্তিকর জ্যামটাও ধীরে ধীরে শেষ হয়ে যাচ্ছে।



বাসের জানালা দিয়ে বাইরে তাকালাম। এই গরমে এভাবে বিরক্তিকর জ্যামে আটকে থাকার কোনো মানে হয়না। এক গ্লাস ঠান্ডা পানি পেলে ভালো হতো। কিছু বরফকুঁচি ডোবানো থাকতে পারে তাতে। ভাবতে না ভাবতেই মাথায় ঠান্ডা পানি ঢেলে দিল মেয়েটা। বরফকুঁচিগুলো টপ টপ করে মাথায় পড়লো। ঘাম আর ঠান্ডা পানিতে ভিজে কাকের বাচ্চা হয়ে গেলাম। মেয়েটা আরও কিছু খুঁজছে, আমার মাথায় ঢেলে দেবার জন্য। হাত ধরে টান মেরে পাশে বসালাম।

বললাম, “শান্ত হও। ঐ দেখ, পাখিদের দেখা যায়”।

মেয়েটা রাগ মাখানো কন্ঠেই বললো, “কই?”

আমি বললাম, “জানালার বাইরে”।

মেয়েটা জানালার বাইরে তাকিয়ে গিজগিজ করা গাড়িদের কালো ধোয়া আর ধুলোবালি ছাড়া আর কিছুই দেখতে পেল না। মেজাজ আরও বিগড়ে গেল। আমার কাঁধে একটা কামড় বসিয়ে দিল। হাত দিয়ে আরও শক্ত করে চেপে ধরলাম মেয়েটাকে।

মেয়েটা আজকে কান্না করেছে খুব। এখন ওর চোখের কাজল চোখের জলে লেপ্টে গেছে। মেয়েদের কপালে বড় লাল টিপ আমার তেমন একটা ভাল্লাগেনা। কিন্তু মেয়েটাকে খুব সুন্দর লাগছে। মেয়েটার শরীরে মিষ্টি একটা গন্ধ আছে। বিয়ের পরদিন মেয়েদের যেমনটা লাগে, তেমন লাগছে। তবে ওর গায়ে বিয়ের শাড়ীটা এখনও আছে। মেয়েটাকে আমি ভাগিয়ে নিয়ে এসেছি। আজকে ওর বিয়ে হবার কথা ছিল। ছেলে মেরীল্যান্ড থাকে। বিয়ের পর কোনো এক সন্ধ্যায় বৌ-কে নিয়ে নায়াগ্রা জলপ্রপাত দেখার কথা ছিল। দু’জন মিলে নায়াগ্রার ঘোরলাগা বাতাস বুকে টেনে নেবার কথা ছিল। ছেলে খুব ভালো। কিন্তু এখন ভালো না। ছেলে আর ছেলের বাবা ভালো ছিল সবার কাছে, আজকের আগ পর্যন্ত।

বিয়ের দিন বরযাত্রী না এসে দুঃসংবাদ আসার কোনো মানে হয়না।

ছেলের বাবা মেয়ের বাবাকে হঠাত ফোন দিয়ে বললো, “কি বলে যে ক্ষমা চাইবো ভাই! দোয়া করি, আপনাদের মেয়ে আরও ভালো জামাই পাবে”।

মেয়ের বাবা মোবাইলটা আছাড় মেরে ভেঙে ফেললো।

কয়েকজন ফিসফিসিয়ে বলা শুরু করলো, “আগেই কইছিলাম, মেয়ের মাথা যে মাঝে মইধ্যে আওলায়া যায়, এইটা ছেলেপক্ষরে জানায় রাখতে। কেই বা চায়, পাগল-ছাগল মাইয়ারে ছেলের বৌ বানাইতে?”

মেয়েটা পাগল নয়। তবে আমি শুধু জানি, মাঝে মাঝে মেয়েটা অদ্ভুত আচরন করে। যখন মেয়েটাকে বাসায় এসে পড়াতাম, তখন একদিন মেয়েটাকে এই সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেছিলাম। মেয়েটা অনেক্ষণ চুপ করে থেকে বললো, “পরে একদিন বলবো”।

মেয়েটা যখন জানতে পারলো, তাঁর বিয়ে ভেঙে গেছে, তখন একটুও কাঁদেনি। সে হয়তো জানতো, ছেলেটা তাকে বিয়ে করবে না। কারন, পাগল-ছাগল নিয়ে নায়াগ্রা জলপ্রপাত দেখা যায়না। মেয়েটার বাবা আমাকে এতদিন কোনো এক বা একাধিক কারনে সহ্য করতে পারতেন না। যে কারনে তাঁর বাসায় আমার প্রবেশ নিষিদ্ধ হয়েছিলো। সেইসব কারন অথবা অকারনের তোয়াক্কা না করেই মেয়েটাকে নিয়ে আজকে চম্পট মারলাম। আসলে আমি এই সুজোগটাকে হাতছাড়া করতে চাইনি। যে যাই বলুক, আমি জানি, সেই মেরীল্যান্ডী ছেলের নায়াগ্রা-ফায়াগ্রার চাইতে আমাদের ছোট্ট আর পুরনো বাড়িটার ছাদে নিয়ে কোনো এক তারার রাতে বড় একটা চাঁদ দেখালেই আমার পাগল-ছাগল বৌ বেশি খুশি হবে। আনন্দে আত্মহারা হয়ে, লাফ দিয়ে একটা মস্ত বড় চুমুও খেয়ে বসতে পারে। এইটাই বা কম কিসের!



মেয়েটা আমার কাঁধ কামড়াতে কামড়াতে কাঁধে মাথা রেখেই ঘুমিয়ে গেছে, যে কিনা কিছুক্ষণ পর আমার বৌ হবে। পাগল-ছাগল বৌ।



বাইরে সন্ধ্যা নেমে আসছে। বিরক্তিকর জ্যামটাও ধীরে ধীরে শেষ হয়ে যাচ্ছে।

মন্তব্য ২৪ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (২৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই মে, ২০১৩ রাত ১২:৪১

হ্যাজাক বলেছেন: আপতত একখান পাগল ছাগল হইলেও মজনু ভাইর জন্য বউ চাই

১৪ ই মে, ২০১৩ রাত ১০:৩৮

সোহাগ সকাল বলেছেন: অবিলম্বে দাবী আদায় হোক! :#>

ভালো থাকবেন মজনু! :#)

২| ১৪ ই মে, ২০১৩ সকাল ৯:৫৯

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
পাগল- ছাগল বউ হলেও বিয়ে করে সুখি হন এই কামনা রইল আর কাঁধে এখন হতে কড়লা মেখে রাখবেন।

১৪ ই মে, ২০১৩ রাত ১০:৪১

সোহাগ সকাল বলেছেন: বিয়ে করার ম্যালা দেরী! :(

গল্প লেখার আগে আপনার আইডিয়াটা মাথায় আসলে খারাপ হতোনা। :#)

ভালো থাকবেন কান্ডারী ভাই।।

৩| ১৪ ই মে, ২০১৩ সকাল ১০:৩০

গিরিনদী বলেছেন: মানুষের ভিতরের সুন্দরটাকে যে এমন করে বুঝতে পারে সে কখনো অসুন্দর হতে পারে না। পাগলীটাকে নিয়ে অনেক সুখী হন দোয়া থাকল।

১৪ ই মে, ২০১৩ রাত ১০:৪৩

সোহাগ সকাল বলেছেন: আপনি কি সত্যি সত্যি মনে করছেন নাকি! |-) #:-S

এইটা তো গল্প ভাই!! B-)

অনেক ধন্যবাদ আপনারে।।

৪| ১৪ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৩:২৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: আমি জানি, সেই মেরীল্যান্ডী ছেলের নায়াগ্রা-ফায়াগ্রার চাইতে আমাদের ছোট্ট আর পুরনো বাড়িটার ছাদে নিয়ে কোনো এক তারার রাতে বড় একটা চাঁদ দেখালেই আমার পাগল-ছাগল বৌ বেশি খুশি হবে (Y)

১৪ ই মে, ২০১৩ রাত ১০:৪৪

সোহাগ সকাল বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ হামা ভাই।

ভালো আছেন নিশ্চয়ই!

৫| ১৪ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৩:৪০

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: অনেক বেশি ভালো লাগা।

১৪ ই মে, ২০১৩ রাত ১০:৪৬

সোহাগ সকাল বলেছেন: আপনাকেও অনেক বেশি ধন্যবাদ ময়ূরাক্ষী! :-&

অনেক ভালো থাকবেন।

৬| ১৪ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৫:১১

আমি ইহতিব বলেছেন: ভালো লাগলো গল্পটা।

১৪ ই মে, ২০১৩ রাত ১০:৪৮

সোহাগ সকাল বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ইহতিব।

ভালো থাকবেন অনেক।

৭| ১৪ ই মে, ২০১৩ রাত ৯:৩৮

রাইভী বলেছেন: অসাধারণ এবং অদ্ভুত ভাল লাগলো!

+

১৫ ই মে, ২০১৩ রাত ১০:৪৭

সোহাগ সকাল বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ রাইভী। ভালো থাকবেন।।

৮| ১৫ ই মে, ২০১৩ সকাল ১০:২৭

কাওসার আহমেদ খান বলেছেন: অনেক ভাল লেগেছে। পাগল-ছাগলের গল্প।

১৫ ই মে, ২০১৩ রাত ১০:৪৮

সোহাগ সকাল বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ কাওসার।

অনেক ভালো থাকবেন।

৯| ১৯ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৬

রোকেয়া ইসলাম বলেছেন: ভালোবাসার সুন্দর কথামালায় ভালোবাসা রেখে গেলাম......।

১৯ শে মে, ২০১৩ রাত ১০:২৭

সোহাগ সকাল বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ রোকেয়া ইসলাম। অনেক ভালো থাকবেন।

১০| ২৯ শে মে, ২০১৩ রাত ১০:৩০

বটবৃক্ষ~ বলেছেন: কান্ডারী অথর্ব বলেছেন:
পাগল- ছাগল বউ হলেও বিয়ে করে সুখি হন এই কামনা রইল আর কাঁধে এখন হতে কড়লা মেখে রাখবেন।
হাহাহা!!

অসাধারন!!! +++++

২৯ শে মে, ২০১৩ রাত ১০:৫০

সোহাগ সকাল বলেছেন: বৃক্ষ তোমার নাম কি? কমেন্টে পরিচয়! :D

অনেক ধইন্যাপাতা ভাই।

১১| ৩০ শে মে, ২০১৩ রাত ৯:৪৬

অদ্ভুতুরে বলেছেন: অর্পা? :D

৩০ শে মে, ২০১৩ রাত ৯:৫০

সোহাগ সকাল বলেছেন: নাহ। এমএমএম! :D

১২| ১৮ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৫:১৭

অহন_৮০ বলেছেন: অসাধারন

১৯ শে জুন, ২০১৩ রাত ১০:২৩

সোহাগ সকাল বলেছেন: ধন্যবাদ অহন। অনেক ভালো থাকবেন। :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.