![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দক্ষিণ কোনার নারিকেল গাছের পাতায় শেষ দুপুরের রোদের টুকরো গুলো ঝলমল করে আছড়ে পড়ছে। একটু পরপর প্রচন্ড বাতাসে লম্বা নারিকেল গাছের মাথাটা তিন-চার হাত এদিক-সেদিক সরে যাচ্ছে। আমার পেছনের বুড়ো আমগাছের শুকনো পাতা গুলো ঝরে ঝরে পড়ছে। পাতা গুলো উড়তে উড়তে আমার পায়ের কাছ দিয়ে ঘুরে ফিরে কয়েক হাত দূরে গিয়ে নিস্তেজ হয়ে থমকে যাচ্ছে। তারপর আরেকটু বাতাসের ছোঁয়া পেয়ে আরেক জায়গায় গিয়ে থমকে যাচ্ছে। মা মুখে আঁচল দিয়ে শব্দ করে কাঁদছে। মার কান্নার শব্দ আমি শুনতে পাচ্ছিনা। হয়তোবা আমি শুনতে পাচ্ছি, কিন্তু আমার অজান্তেই আমার মন সেই কান্নার শব্দ গুলো আমার কানে প্রবেশ করতে দিচ্ছেনা। মার চোখ দিয়ে জলের ফোটা গুলো টুপটুপ করে গালের ওপর আছড়ে পরছে। তারপর নদীর স্রোতের মতো করে গাল বেয়ে নিচের দিকে নামছে। মা চরম মায়াভরা চোখে তাকিয়ে আছে মার থেকে তিন-চার হাত সামনে রাখা একটি নিচু খাটের দিকে। সেই খাটে ছোট্ট একটা মানুষ প্রচন্ড শান্ত ভাবে শুয়ে আছে, সারা শরীর ধবধবে সাদা কাপরে মুড়িয়ে। শুয়ে থাকা সেই ছোট্ট মানুষটা আমার বোন। আমি ডাকি টুশি।
***
তখন আমি ক্লাস টেনে পড়ি। সবে মাত্র নাইন পেড়িয়ে টেনে উঠেছি। মোটামুটি খেলাধুলা আর আড্ডাবাজিতে স্কুলের সেরা ছিলাম আমি। সেই সুবাদে স্কুলে আমার বন্ধু-বান্ধবের অভাব ছিলনা। সব বন্ধুরই আমার প্রতি ছিল প্রচন্ড আগ্রহ। স্কুলের এমন কোন বন্ধু বাকী ছিলোনা, যার বাসায় আমি যাইনি। বন্ধুদের বাবা-মা ও আমাকে তাদের ছেলের মতই দেখতো। কিন্তু আমি সেইসব বন্ধুদের বাসায় যেতে চাইতাম না বেশি একটা, যাদের পিচ্চি পিচ্চি বোন আছে। কেমন যেন হিংসে হতো। ওরা আমার কাছে এসে ওদের পিচ্চি পিচ্চি বোনদের গল্প করতো। একজন বলতো ওর বোন নাকি বড় হলে দেখতে পুরোপুরি পরীর মতো হবে। আরেকজন গালে খামচির দাগ দেখিয়ে বলতো, আমার বোনকে কোলে নিতে গিয়ে খামচি খেয়েছি। আমরা একসাথে একবার এক মেলায় গেলাম। সারা বিকেল ঘুরাঘুরি করলাম। এটা-ওটা খেলাম। খুব মজা করলাম। সন্ধ্যার আগে আগে যখন চলে আসবো, তখন বিশু আর রাজু বললো ওদের নাকি আরেকটু কাজ বাকী আছে। ওরা খেলনার দোকানে গিয়ে এইটা-সেইটা দেখতে লাগলো। ওরা সাদা দুইটা পুতুল কিনলো। ওদের ছোট বোনের জন্য। ওদের পুতুল কেনা দেখে আমার খুব ইচ্ছে করলো আমারও একটা পুতুল কিনতে। কিন্তু আমি কার জন্য কিনবো? আমার তো ছোট ভাই-বোন কেও নেই। মনমরা হয়েই মেলা থেকে বের হয়ে এলাম। কিন্তু আমার পুতুল কেনার ইচ্ছেটা মন থেকে কিছুতেই যাচ্ছে না। মাঝপথে এসে হঠাৎ করে আবার মেলায় গিয়ে আরেকটা পুতুল কিনে আনলাম। পুতুল হাতে বাসায় ঢোকার পর মা বললো,
“কিরে এইটা দিয়ে তুই কী করবি!”
আমি কোন কথা না বলে সোজা আমার রুমে গিয়ে পুতুলটা আমার ওয়্যারড্রবের ওপর সুন্দর করে রেখে দিলাম। তারপর থেকে পুতুলটার দিকে তাকালেই একটা স্বপ্ন এসে চোখের সামনে ঘুরাঘুরি করতো। একটা ছোট্ট বোনের স্বপ্ন। তাঁর ঠিক একবছর পর আমার স্বপ্নটা পূরণ হতে চললো। আমার মা ফুটফুটে একটা কন্যা সন্তান জন্ম দিলেন। যেদিন আমার বোনের জন্ম হলো, সেদিন আমি আমার প্রতিটা বন্ধুর বাসায় গিয়ে খবর দিয়েছিলাম- আমার একটা ফুটফুটে ছোট্ট বোন হয়েছে। তোদের বোনদের চাইতে হাজার গুন সুন্দর। এই কথা শুনে রাজু খুব হাসছিলো। বলেছিলো, সবার বোনকেই সবাই পৃথিবীর সবচাইতে সুন্দর বোন মনে করে। আর বিশু এই কথা শুনে আমার সাথে কথাই বন্ধ করে দিল। বোনের নাম আমি কাওকে রাখতে দিলাম না। কাওকেই না। শুধু একমাত্র আমি নাম রাখলাম- টুশি।
***
আকাশের কোনায় সাদা সাদা মেঘ ঘুলো একটু একটু করে নড়াচড়া করছে। মাথার ওপর আম গাছটার ডালে বসে একটা শালিক ডাকছে। দূরে নাম না জানা একঝাক পাখি উড়ে যাচ্ছে। আকাশের নীলে পাখি গুলোকে কেমন কালো দেখাচ্ছে। বাবা খাটটার থেকে কিছুটা দূরে দাঁড়িয়ে আছেন। কান্না লুকানোর ব্যর্থ চেষ্টা চালিয়েই যাচ্ছেন। কিছুক্ষণ পরপর মুখ অন্য দিকে ঘুরিয়ে দু’হাত দিয়ে চোখ জোড়া মুছে নিচ্ছেন। তারপর আবার নিজেকে একজন ব্যস্ত মানুষ হিসেবে সবার সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করছেন। বাবা কিছুতেই চাচ্ছেন না, তাঁর দৃষ্টি তাঁর থেকে সাত-আট হাত সামনের খাটের দিকে নিতে। কিন্তু তারপরেও বারবার তাঁর দৃষ্টি সেই খাটের দিকে চলে যাচ্ছে, যেখানে ছোট্ট একটা মানুষ প্রচন্ড শান্ত ভাবে শুয়ে আছে। সারা শরীর ধবধবে সাদা কাপরে মুড়িয়ে। শুয়ে থাকা সেই ছোট্ট মানুষটা আমার বোন। আমি ডাকি টুশি।
***
টুশির বয়স যখন তিন, তখন থেকেই ও আমাকে ছাড়া কিচ্ছু বুঝেনা। আমি যতক্ষণ বাসায় থাকি, ততক্ষণ ও আমার পিছু লেগেই থাকতো। একটু পরপরই এসে আমার গলা জড়িয়ে ধরে বলতো,
“ভাইয়া চক্কেত দাও! ভাইয়া চক্কেত দাও!”
বাইরে থেকে আসলেই গায়ে ঝাপ দিয়ে পরবে। টুশি মনির মেজাজ কোন কারনে একটু খারাপ থাকলেই আমার ওপর দিয়ে ধকল যাবে। তখন আমার মুখে খামচি দেবে, কান ধরে টানবে অথবা মাথার চুল ধরে ঝুলে পরবে। বাবাকে বিচিত্র কোন কারনে ভয় পেত। তাই বাবার সামনে তেমন একটা যেত না। মা চোখ রাঙিয়ে বকা দিত। তাই মাকেও মারতে পারতো না। আর আমাকে মারলে তো উল্টো আমি হেসে হেসে চুমু খাই, চকলেট দেই। তাই আমার ওপরই কারনে অকারনে ঝাপিয়ে পড়তো। আমিও মহানন্দে দুষ্টু টুশি মনির কোমল হাতের অত্যাচার পেতে ইচ্ছে করেই রাগিয়ে দিতাম। আর মা বলতো,
“দুইটাই বদের হাড্ডি হয়েছে।”
বাবা শুধু মুখ টিপে হাসতেন।
***
চারজন মানুষ খাটটা কাঁধে তুলে নিলেন। সেই চারজনের মধ্যে আমিও একজন। রাস্তার ধুলোবালি হালকা বাতাসে উড়ে এসে চোখে-মুখে লাগছে। রাস্তার দু’ধারের গাছ গুলোর ডাল-পালায় এসে পাখিরা ভীড় করছে। মাঝেমাঝে কিছু পাখিরা ডানা ঝাপটিয়ে আওয়াজ করছে। সামনের দিকে যে দু’জন খাটটা কাঁধে করে রেখেছে, তাদের মধ্যে একজন বিশু। আমার কিশোর জীবনের বন্ধু। যেদিন টুশির জন্ম হলো সেদিন ওকে বলেছিলাম, ওদের সবার বোনের চাইতে আমার বোন সুন্দর। এই নিয়ে আমার সাথে কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছিলো। অনেকদিন কথা বলেনি। অনেকদিন পর যখন বুঝতে পেরেছিলাম, সবার বোনকেই সবাই কতটা আদর করে, ভালোবাসে, সেদিন বিশুর কাছে গিয়ে স্যরি বলে ওর রাগ ভাঙ্গিয়েছিলাম। ওর বোনটার বয়স এখন প্রায় ছয় হয়ে গেছে। নিশ্চয়ই বিশুকে দেখলে দৌড়ে গিয়ে ওর কোলে আছড়ে পরে। আমাদের সাথে বিশুও খাটটা কাঁধে করে আছে। খাটের মধ্যে চুপটি করে নিঃশব্দে শুয়ে আছে ছোট্ট একটা মানুষ। সারা শরীর ধবধবে সাদা কাপরে মুড়িয়ে। শুয়ে থাকা সেই ছোট্ট মানুষটা আমার বোন। আমি ডাকি টুশি।
***
আমি যখন ভার্সিটিতে ভর্তি হলাম, তখন টুশির বয়স তিন। ছোট-ছোট পায়ে সারাদিন এঘর থেকে ওঘরে দৌরে বেড়ায়। আমি বাসায় আসলে আমাকে দেখে মাঝে মাঝে দরজার আড়ালে লুকায়। তারপর যখন টুশিকে শুনিয়ে মা-কে টেনে টেনে বলি,
“মা এই চকলেট গুলো কে খাবে? বিশুর বোনকে দিয়ে দিলে কেমন হয়?”
তখন টুশি প্রচন্ড বেগে ছুটে এসে আমার শার্ট ধরে ঝুলে পরে। তারপর হাত-পা ছুড়ে শব্দ করে কাঁদতে থাকে। আমি কোলে নিয়ে এত্ত এত্ত মজার চকলেট বের করে শান্ত করি। দুইটা চকলেট ও মুখে দিলে একটা আমার মুখে ঢুকিয়ে দেয়। মাঝে মাঝে এমন হতো, একটা চকলেট মুখে ঢুকিয়ে বলতো, খাবোনা। আমি বলতাম, তাহলে আসো চকলেটটা জানালা দিয়ে ফেলে দিয়ে আসি। টুশি বলতো, না ফেলবো না। আমি বলতাম, তাহলে চকলেটটা কী করবে দুষ্টু টুশি মনি? টুশি মাথা নেড়ে বলতো, তুমি খাবে। আর না খেলে তো চিরচেনা সেই কান্না আছেই। বাধ্য ছেলের মতো দুষ্টু টুশি মনির আধখাওয়া কত চকলেট যে আমার পেটে ঢুকেছে, তাঁর ইয়ত্তা নেই। একদিন ভার্সিটি থেকে আসার সময় চকলেট আনতে ভুলে গেলাম। তখন ওর বয়স চার। যতই বয়স হচ্ছে, টুশি মনির দূরন্তপনা ততই বাড়ছে। বাসায় আসার পর দেখলাম টুশি দরজার আড়ালে লুকিয়েছে। তারপর মনে পড়লো চকলেট না আনার মতো বিরাট একটা অপরাধ করে ফেলেছি আমি। কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে বললাম,
“আমার জানু পাখিটা কই রেএএএ...!!”
টুশি ধড়মড় করে ছুটে আসার সময় দরজার সাথে ধাক্কা খেল একটা। আমি টান মেরে ওকে কোলে তুলে নিলাম। টুশির কান্না দেখে আমিও কেঁদে ফেলেছিলাম। আধঘন্টা পর যখন কান্না থামালো, তখন দেখি ওর মাথার সামনের দিকে একটা জায়গা ফুলে গেছে। টুশিকে কোলে করে বাসা থেকে বের হয়ে সোজা চকলেটের দোকানে গেলাম। পরিচিত দোকান। দোকানদারকে টুশি ডাকে ম্যাও মামা। ঠিক কী কারনে ম্যাও মামা ডাকে, সেইটা আমি কোনদিনই জানতে পারিনি। দোকানদার টুশিকে দেখে বত্রিশটা দাত বের করে বললো,
“টুশি মনির মাথায় কী হয়েছে গো?”
টুশি বললো,
“ছিং হইছে।”
ম্যাও মামা বললো,
“তোমার শিংটা তো অনেক সুন্দর।”
আমি দোকানদারকে ধমক দিয়ে বললাম,
“ধুর মিয়া! পরে আবার শিং বানানোর নেশায় পরে যাক। আলতু-ফালতু কথা বাদ দিয়ে চকলেট দ্যান।”
দোকানদারের হাত থেকে চকলেট গুলো নিয়ে সোজা বাসার দিকে হাটা দিলাম।
***
কবরস্থানের পাশেই মসজিদ। আছর নামাজ পরে মুসল্লীরা মসজিদ থেকে বের হচ্ছে। মসজিদের পাশেও আমাদের বাসার সামনের নারিকেল গাছটার মতো একটা নারিকেল গাছ আছে। বিকেলের ঝিকঝিকে সোনালী রোদে পাতা গুলো নিজেদেরকে মাখিয়ে নিচ্ছে। বাতাস আর রোদের সাথে পাতাগুলো খেলা করে চলেছে। জানাযাহ এর জন্য সবাই সারিবদ্ধ ভাবে দাঁড়িয়েছে। আমি সামনের কাতারের মাঝামাঝি স্থানে দাঁড়িয়ে আছি। হুজুর এসে কিছুক্ষণ কথা বলে আল্লাহু আকবার বলে নামাজ শুরু করলেন। হুজুর যেখানে দাড়িয়েছেন, তাঁর থেকে কয়েক হাত সামনে একটা খাট রাখা। খাটের মধ্যে চুপটি করে নিঃশব্দে শুয়ে আছে ছোট্ট একটা মানুষ। সারা শরীর ধবধবে সাদা কাপরে মুড়িয়ে। শুয়ে থাকা সেই ছোট্ট মানুষটা আমার বোন। আমি ডাকি টুশি।
***
টুশির বয়স যখন দুই পেড়িয়েছে, তখন থেকেই টুশি রাতে আমার সাথে ঘুমায়। তিন বছরে একদিনও আমি টুশিকে ছাড়া ঘুমায়নি। প্রথম প্রথম ইচ্ছে করে গল্প শুনাতাম টুশিকে। একবছর পর হঠাৎ খেয়াল করলাম, টুশি প্রত্যেকদিন ঘুমানোর আগে আমার মুখের গল্প শোনার নেশায় পরে গেছে। টুশি আমার বুকের ওপর শুয়ে চুপ করে ভুতের গল্প শুনতো। তারপর কিছুক্ষণ গল্প বলার পরেই ওর ঘন ঘন নিঃশ্বাসের শব্দ পেতাম। একদিন পূর্নিমা রাতে টুশি ঘুমানোর আগে জানালার দিকে তাকিয়ে বললো,
“ভাইয়া দ্যাখো দ্যাখো আজকে রাত হায়নাই।”
আমি বললাম,
“রাত তো হয়েছে। কিন্তু পূর্ণিমার আলোতে দিনের মতো দেখাচ্ছে।”
টুশি বললো,
“ভাইয়া পূর্ণিমা কী?”
আমি ওকে পূর্ণিমা দেখাতে আমাদের ছয় তলা বাসার ছাদে নিয়ে গেলাম। তারপর দূরের ছোট ছোট জোনাকী দেখালাম, বড় একটা চাঁদ দেখালাম। কয়েকটা তারার সাথে পরিচয় করিয়ে দিলাম। টুশি কোলে বসে, গলা পেঁচিয়ে ধরতে ধরতে বললো,
“ভাইয়া ঐ বড় তারাটার নাম কী?”
আমি বললাম,
“আমি তো ঐটার নাম জানিনা। তোমাকে পরে একদিন বলবো, ক্যামন?”
“আচ্ছা।”
এর কয়েকদিন পর থেকেই ও ঘুরেফিরে আমার কাছে এসে বলতো, ভাইয়া ভাল্লাগেনা। আমার ভাল্লাগেনা। কয়েকজন ডাক্তার দেখানোর পরেও যখন কোন কাজ হচ্ছিল না, তখন শহরের নামী একটা বেসরকারী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় টুশিকে। ধরা পরে ব্লাড ক্যান্সার। আমার টুশির দিকে আমি তাকাতেই পারছিলাম না। নিজেকে কেমন যেন পৃথিবীর সবচাইতে পাপী, ব্যর্থ, নিকৃষ্টতম একজন মনে হচ্ছিলো। আমরা জীবন দিয়ে চেষ্টা করছিলাম ওকে ভালো করার।
***
ছোট্ট একটা কবর খোঁড়া হয়েছে। আড়াই হাতের মতো। ফালি ফালি করে কাটা বাশের টুকরো গুলো কবরের একপাশে রাখা হয়েছে। কবরে নারিকেল পাতা দিয়ে তৈরী একটা মাদুর বিছানো হচ্ছে। টুশি খাটের ওপর শুয়ে আছে নিঃশব্দে। আমি আস্তে করে খাটের দিকে এগিয়ে গেলাম। ছোট্ট মানুষটা কেমন নড়াচড়া ছাড়া একদম চুপটি করে ঘুমিয়ে আছে। হঠাৎ আমি থাবা দিয়ে টুশিকে আমার কোলে তুলে নিলাম। হাউমাউ করে কাঁদতে কাঁদতে বললাম,
“এই দুষ্টু টুশি মনি এই! আমার কাছ থেকে চকলেট কেড়ে নিবিনা? আমি আবার তোকে এত্তগুলা চকলেট কিনে দেব। এত্ত এত্ত চকলেট তুই মাথায় নিয়ে হাটতেও পারবি না। এই দুষ্টু টুশি মনি এই! আমার বুকে ঘুমাবি না? আমার গলা পেঁচিয়ে ধরে তিন মাথা ওয়ালা ভূতের গল্প শুনবি না? তোকে না বলেছিলাম, একটা পাখা ওয়ালা ঘোড়া কিনে দেব? তারপর তুই আমাকে সেই ঘোড়ার পেছনে উঠিয়ে পরীর দেশে ঘুরতে নিয়ে যাবি। এই দুষ্টু টুশি মনি এই! আমি তোকে এখানে একা একা রেখে যাবোনা। তুই একদম ভয় পাবিনা, ক্যামন? এই দেখ আমি। দেখ দেখ। আমার গালটা একবার ছুয়ে দিবিনা তুই? এই দুষ্টু টুশি মনি এই!”
আমার কাছ থেকে জোড় করে টুশিকে সবাই নিয়ে গেল। পেছন থেকে আমার হাত পা শক্ত করে কয়েকজন ধরে রাখলো। আমার সর্বশক্তি প্রয়োগ করেও নিজেকে ছাড়াতে পারছিনা। আমি আকাশ বাতাস কাঁপিয়ে চিৎকার করে বলছি,
- আমার বোনকে আমি এখানে রেখে যাবোনা। ও আমাকে ছাড়া একদম ঘুমুতে পারেনা। আমি আমার বোনকে আবার বাসায় নিয়ে যাবো। আবার গল্প শোনাবো। চকলেট কিনে দেব। আমার বোন আমার বুকে ঘুমুবে। আমার বোনকে আমি এখানে রেখে যাবোনা।
ছোট্ট মানুষটাকে আলগোছে কবরে নামানো হলো। ফুটফুটে আমার বোনটাকে কবরে নামানো হলো। ছোট্ট ছোট্ট পায়ে এঘর থেকে ওঘরে ছুটে চলে যেই ছোট্ট মানুষটা, তাকে কবরে নামানো হলো। ধবধবে সাদা কাপরের ওপর মুঠি মুঠি মাটি পরতে লাগলো। আস্তে আস্তে সাদা কাপরে পেঁচানো আমার ছোট্ট বোনটা মাটির আড়ালে চলে গেল। আমি নিস্পলক চেয়ে থেকে অবশেষে চারপাশটা অন্ধকার দেখতে লাগলাম। আমার জ্ঞান ফিরলো রাত প্রায় একটায়। সারা শরীর কেমন ব্যাথায় ছেয়ে গেছে। খাট থেকে নেমে আমার ড্রয়ারটা খুলে সিগারেট বের করলাম। লাইটার খুঁজতে আরেক ড্রয়ারে হাত দিতেই কচকচ আওয়াজ করে ড্রয়ার থেকে বের হয়ে এল কিছু চকলেটের প্যাকেট। চকলেট গুলো পকেটে ঢুকিয়ে নিলাম। সিগারেটটা খুব জোড়ে জোড়ে টানতে লাগলাম। সিগারেটের প্রতিটা টানে কলিজা পুড়ে ছাই করার চেষ্টা করলাম। জানালার কাচ ভেদ করে পূর্ণিমার আলো ঘরের ভেতর আছড়ে পড়ছে। সিগারেটের শেষ প্রান্ত পর্যন্ত পুড়িয়ে আলগোছে বেড়িয়ে এলাম রুম থেকে। তারপর সোজা ছয়তলা বাসার ছাদে চলে গেলাম। বড় একটা চাঁদ দেখা যাচ্ছে। মনে হচ্ছে চাঁদটা চারিদিক তাঁর আলো দিয়ে মাখিয়ে রেখেছে। দূরে, নিচে জোনাকীরা টিপটিপ করে জ্বলছে। আকাশে বড় একটা তারা দেখা যাচ্ছে। আমি তারাটার একটা নাম দিলাম-টুশি। এই নক্ষত্রের নাম আজ থেকে টুশি। ছয়তলার ওপর থেকে নিচের পিচ ঢালা পথের দিকে একবার তাকালাম। ল্যাম্পপোষ্ট থেকে আলো বের হয়ে রাস্তাটার অনেকটা আলোকিত করে রেখেছে। রাস্তার মাঝখানে একটা কুকুর দাঁড়িয়ে আছে। কুকুরটার ছায়া ডানদিকে দু’হাত লম্বা হয়ে পড়ছে। আমার দিকে তাকিয়ে ঘেউ ঘেউ করছে। আমি ছাদের রেলিং পেরিয়ে কার্ণিশে এসে দাড়ালাম। আরেকবার টুশি নামের নক্ষত্রের দিকে তাকালাম। আমাকে কেমন হাতছানি দিয়ে ডাকছে। আমি দু’হাত দিয়ে আমার প্যান্টের পকেট চাপড়ে বললাম, এই দেখ দুষ্টু টুশি মনি, তোর জন্য কত্তগুলা চকলেট এনেছি। এই দেখ আমার পকেট ভরা চকলেট। তুই একটু অপেক্ষা কর আমি আসছি। আমি আবার রাস্তাটার দিকে তাকালাম। কুকুরটা চলে গেছে। রাস্তাটাকে এখন বড় খালি খালি লাগছে।
(নিঃসঙ্গ কল্পচারী ভাইকে দেখে ভেবেছিলাম, দেখি, আমিও কিছু একটা লিখতে পারি কিনা। গল্পটি ফেসবুকে প্রকাশ করার পর অনেকেই ভালোলাগা জানিয়ে আমাকে ধন্য করেছেন, অনেক পরামর্শ দিয়েছেন। বানান ভুল নিয়ে কিছুটা সমস্যায় ছিলাম। যথাসম্ভব ঠিকঠাক করার চেষ্টা করেছি।)
১০ ই জুন, ২০১৩ সকাল ১১:২৬
সোহাগ সকাল বলেছেন: বাস্তব জীবনে আমারও ছোট বোন নেই ভাই। থাকলে কি আর সারাদিনে একবারও আমার কোল থেকে নামতে পারতো নাকি!
অনেক ভালো থাকবেন ভাই। শুভ কামনা।।
২| ১০ ই জুন, ২০১৩ সকাল ১১:২৪
ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
চমৎকার লিখসেন সোহাগ ||
১০ ই জুন, ২০১৩ সকাল ১১:২৮
সোহাগ সকাল বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ইমরাজ। অনেক ভালো থাকবেন।
শুভ কামনা।।
৩| ১০ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৯
শীলা শিপা বলেছেন: মন খারাপ করা একটা গল্প। ভীষন খারাপ লাগছে।
কিন্তু লিখেছেন অসাধারন।
১০ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৫
সোহাগ সকাল বলেছেন: আচ্ছা!
অনেক ভালো থাকবেন শীলা শিপা। শুভ কামনা রইলো!
৪| ১০ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৫
তন্দ্রা বিলাস বলেছেন: প্রতিবাদীকন্ঠ০০৭ বলেছেন: মন খারাপ করা গল্প।
কিন্তু অসাধারণ।
জানেন ,আমার কোন ছোট্ট বোন নাই, মাঝে মাঝে মনে হয়, আহা যদি থাকত !
আমারও কোন ছোট বোন নাই
১০ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৮
সোহাগ সকাল বলেছেন: আমারও নাই।
অনেক ভালো থাকবেন তন্দ্রা বিলাস।
৫| ১০ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:৫২
হাসি .. বলেছেন: বেশ ভাল লিখেছেন সোহাগ ভাইয়া
১০ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১:০৫
সোহাগ সকাল বলেছেন: তাইনাকি!
অনেক ধন্যবাদ হাসি। ভালো থাকবেন অনেক।
৬| ১০ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১:০১
শুকনোপাতা০০৭ বলেছেন: মনটা খারাপ হয়ে গেলো!
১০ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১:০৬
সোহাগ সকাল বলেছেন: আমি দুঃখিত!
অনেক ভালো থাকবেন। শুভ কামনা।
৭| ১০ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১:০২
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: বিষণ্ণ হলাম গল্পটা পড়ে।
১০ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১:০৭
সোহাগ সকাল বলেছেন:
অনেক ভালো থাকবেন অপর্ণা। শুভ কামনা রইলো।
৮| ১০ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১:১১
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: আক্ষেপ। বিষাদ। হতাশা। অর্থহীন সবকিছু।
ভালো লেগেছে।
১০ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১:১৮
সোহাগ সকাল বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ শঙ্কু। ভালো লেগেছে জানতে পেয়ে ভালো লাগলো। অনেক ভালো থাকবেন।
৯| ১০ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১:২১
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ভালো লাগলো ।
+++++
১০ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১:২৫
সোহাগ সকাল বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মাহমুদ। ভালো থাকবেন অনেক।
১০| ১০ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১:৫৪
ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: +++++++++++++++
১০ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:০৫
সোহাগ সকাল বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ইরফান। ভালো থাকবেন।
১১| ১০ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ২:০৬
সপ্নাতুর আহসান বলেছেন: ফেবুতে পড়েছিলাম। চোখে জল এসে গিয়েছিল।
১০ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:০৭
সোহাগ সকাল বলেছেন: আচ্ছা! ফেবুতে দিয়েছিলাম অনেকদিন হয়ে গেছে।
অনেক ভালো থাকবেন আহসান।
শুভ কামনা।
১২| ১০ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ২:৩২
রহস্যময়ী কন্যা বলেছেন:
১০ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:০৮
সোহাগ সকাল বলেছেন: কি হলো?
ভালো আছেন?
১৩| ১০ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ২:৪০
স্বপ্নছোঁয়া বলেছেন: ভালো লেগেছে,এই ধরণের গল্প আমাকে বেশি স্পর্শ করে মনে হয় আমার ই পাশের কোন মানুষের গল্প।
১০ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:১০
সোহাগ সকাল বলেছেন: আসলেই তো পাশের মানুষের গল্প। এইটা তো খুবই স্বাভাবিক ঘটনা। প্রতিদিন কতো হচ্ছে!
অনেক ভালো থাকবেন স্বপ্ন। শুভ কামনা রইলো।
১৪| ১০ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ২:৫৩
স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন ! কিন্তু মন খারাপ করে দিয়েছেন এই জন্য প্লাসের বাটনে মাইনাস নিবেন !
১০ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:১২
সোহাগ সকাল বলেছেন: মন খারাপ হয়ে গেলে স্যরি।
অনেক ভালো থাকবেন অভি। শুভ কামনা।
১৫| ১০ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৩:০৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: ভালো লিখসেন।
১০ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:১৫
সোহাগ সকাল বলেছেন: হামা ভাই ভালো আছেন?
ভুল গুলো ধরিয়ে দিলে আরও ভালো লাগতো হামা ভাই। আপনাদের কাছ থেকে আমরা শিখতে চাই।
অনেক ভালো থাকবেন।
১৬| ১০ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৩:২৪
মামুন রশিদ বলেছেন: মন খারাপের গল্প ।
আমারও একটা বোন ছিলো, নাম নূপুর । ছয় মাস বয়সে মারা গেছে । আমার বয়স তখন ৭/৮ । ওর মৃত্যুর দিনের কথা আজও মনে ভাসে ।
১০ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:১৬
সোহাগ সকাল বলেছেন: নূপুরের জন্য রইলো অনেক অনেক ভালোবাসা। নিশ্চয়ই অনেক ভালো আছে ও। হয়তো আমাদের থেকেও বেশি ভালো আছে।
১৭| ১০ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৪
ক্লান্ত কালবৈশাখি বলেছেন: এতদিন পরে ব্লগে দিলে যে? ফেবুতে তো অনেক আগে পড়েছিলাম...
১০ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:১৮
সোহাগ সকাল বলেছেন: হা। ফেবুতে অনেক আগে দিয়েছিলাম। কিছু কিছু ভুল শুধরে এখন ব্লগে দিলাম।
ভালো আছেন ভাই?
১৮| ১০ ই জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪০
আফসিন তৃষা বলেছেন: প্লটের সাথে সাথে গল্প লেখার স্টাইলটাও ভালো লেগেছে। শুভকামনা
১০ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:১৯
সোহাগ সকাল বলেছেন: আচ্ছা!
অনেক ভালো থাকবেন তৃষা। শুভ কামনা।
১৯| ১০ ই জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২০
বাংলাদেশী দালাল বলেছেন:
বেদনাদায়ক, অনেক বেদনাদায়ক কিন্তু খুবই ভালো লেগেছে সোহাগ ভাই।
মে জাতি ভিষণ আদরের ভালোবাসার আর শ্রদ্ধার আমরা যেন তাদেরকে প্রাপ্য টুকু দিতে পারি।
ভালো থাকবেন।
১০ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:২০
সোহাগ সকাল বলেছেন: ভালো লাগলে ভালো লাগে।
অনেক ভালো থাকবেন দালাল ভাই। শুভ কামনা।।
২০| ১০ ই জুন, ২০১৩ রাত ৯:০৩
~মাইনাচ~ বলেছেন: আপনার লেখার হাত ভাল বলতেই হয়
১০ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:২১
সোহাগ সকাল বলেছেন: তাইনাকি!
অনেক ভালো থাকবেন মাইনাচ।
২১| ১০ ই জুন, ২০১৩ রাত ৯:২৫
সকাল রয় বলেছেন:
মোটামুটি ভালো
লিখতে থাকলে একসময় আরো সুন্দর হয়ে আসবে।
অনেক শুভ কামনা
১০ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:২৪
সোহাগ সকাল বলেছেন: আপনাদের মতো ভালো লেখার চেষ্টায় আছি। আপনাদের ভালোবাসা থাকলে একদিন নিশয়ই পারবো!
অনেক ভালো থাকবেন প্রিয় কবি। আপনার কবিতা আমার অনেক ভালো লাগে।
২২| ১০ ই জুন, ২০১৩ রাত ৯:২৫
সকাল রয় বলেছেন:
মোটামুটি ভালো
লিখতে থাকলে একসময় আরো সুন্দর হয়ে আসবে।
অনেক শুভ কামনা
১০ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:২৫
সোহাগ সকাল বলেছেন: কমেন্টটা সম্ভবত দুইবার পড়ছে!
২৩| ১০ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:২১
জুন বলেছেন: এমন কষ্টের গল্প যত ভালোই লিখেন আমার ভালোলাগে না। অনেক মন খারাপ হয়ে যায়।
+
১০ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:২৬
সোহাগ সকাল বলেছেন: মন খারাপ করে দিলাম?
অনেক ভালো থাকবেন জুনাপ্পু! শুভ কামনা।
২৪| ১০ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:৩১
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: ভাল লিখেছেন সুপ্রিয় ব্লগার কষ্টের গল্প ই গল্প ।বাকী গুলো ফাও যত ফেমাস গল্প সব কষ্টের। কষ্টে ভাল লাগা ।
১০ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:৩৬
সোহাগ সকাল বলেছেন: যত ফেমাস ফল্প সব কষ্টের! রম্য গল্পও কিন্তু ফেমাস হয়।
ভালো লাগলে ভালো লাগে। অনেক ভালো থাকবেন সেলিম ভাই।
২৫| ১০ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:৩২
কালোপরী বলেছেন:
১০ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:৩৮
সোহাগ সকাল বলেছেন: কি হলো?
ভালো আছেন?
২৬| ১০ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:৪৫
ডাঃ নাসির বলেছেন: কি যাতনা বিষে , বুঝিবে সে কিসে ,দংশনি যারে।
১০ ই জুন, ২০১৩ রাত ১১:০০
সোহাগ সকাল বলেছেন: কাব্য টুকরো ভাল্লাগলো!
অনেক ভালো থাকবেন ডাক্তার ভাই।
২৭| ১০ ই জুন, ২০১৩ রাত ১১:৫৫
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
টুশির গল্প পড়ে মনটা খারাপ হয়ে গেল।
১১ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১:৫৫
সোহাগ সকাল বলেছেন: আচ্ছা! আমি দুঃখিত।
অনেক ভালো থাকবেন অথর্ব ভাই। শুভ কামনা।
২৮| ১০ ই জুন, ২০১৩ রাত ১১:৫৭
রমাকান্তকামার১১০১১৪৫ বলেছেন:
১১ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১:৫৬
সোহাগ সকাল বলেছেন: কি হলো?
ভালো আছেন?
২৯| ১১ ই জুন, ২০১৩ ভোর ৫:৪১
একজন আরমান বলেছেন:
গল্প কেমন হয়েছে সেটা বলবো না।
শুধু গল্পটা পড়ে আমার আবেগের অবস্থাটা জানিয়ে যাই। টুসির মতো আমার কোন ছোট বোন নেই, তবে এই মুহূর্তে আমার চোখের কোনে দু ফোঁটা জল।
১১ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১:৫৮
সোহাগ সকাল বলেছেন: তেমন ভালো না লিখলেও আপনাদের মন্তব্য পেয়ে অনেক ভালো লাগছে। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আরমান ভাই। অনেক অনেক ভালো থাকুন। শুভ কামনা রইলো।
৩০| ১২ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৯
এরিস বলেছেন: অনেক অনেকদিন আগে পড়েছিলাম। ভালোবাসার ডাকপিয়নে। মন খারাপ করেছিলো। এখন আবার মন খারাপ করতে চাই না। গল্পটা ভিন্ন রকমের সুন্দর। মন খারাপ করা সুন্দর।
১৩ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ২:০৫
সোহাগ সকাল বলেছেন: হা। এইটা ডাকপিয়নেও প্রকাশ হয়েছিলো। এই গল্প সম্পর্কে আপনার মন্তব্য তো তখনই পেয়েছিলাম।
৩১| ১২ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৪:১০
স্বপ্নছায় বলেছেন: আমার কন বড় ভাই নাই। ছোট বেলা থেকেই যে ইচ্ছাটা হইত, যদি আমার একটা বড় ভাই থাকতো! আজ'ও এই আফসোস যায় নাই :'(
১৩ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ২:০৬
সোহাগ সকাল বলেছেন: সবাই কি আর সবকিছু পায়!
৩২| ১২ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৪:১৫
স্বপ্নছায় বলেছেন: আমি একটা বড় ভাই চাই :'( :'(
১৩ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ২:০৬
সোহাগ সকাল বলেছেন:
৩৩| ১৩ ই জুন, ২০১৩ রাত ১১:০০
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: একটা অসাধারণ গল্প। আপনার কোনো লেখা এই প্রথম পড়লাম সোহাগ ভাই, এবং আপনার হাত এতো পরিণত যে আফসোসই হচ্ছে আপনার আর কোনো লেখা আগে পড়ি নি বলে।
শুয়ে থাকা সেই ছোট্ট মানুষটা আমার বোন। আমি ডাকি টুশি। এ কথাটার পুনরাবৃত্তি লেখাটাকে আরও আবেগময় ও মর্মস্পর্শী করে তুলেছে, এবং একটা সুন্দর ব্যঞ্জনা ও মূর্ছনা সৃষ্টি করেছে।
ছোটোবোনকে নিয়ে এতো প্রাঞ্জল ও হৃদয়ছোঁয়া গল্প এর আগে কখনো পড়েছি বলে মনে পড়ে না। তবে গল্পটিতে আমার শৈশব, কৈশোর, তারুণ্যসহ বর্তমানকে ফিরে পেলাম, যা প্রায় সবার সাথেই মিলে যেতে পারে।
গল্পটা পড়তে পড়তে পাশে বসা আমার ছোটো ছেলের দিকে তাকালাম। বাস্তবিকই আমার চোখ ফেটে যাচ্ছিল।
ভালো থাকুন সোহাগ ভাই। সময় পেলে আবার আসবো আপনার বাকি লেখা পড়তে।
১৩ ই জুন, ২০১৩ রাত ১১:৩৮
সোহাগ সকাল বলেছেন: প্রিয় কবি, আপনার মন্তব্য পেয়ে খুব ভালো লাগছে। আমি সবসময় আপনার লেখা গুলোতে মন্তব্য করি ভয়ে ভয়ে। আপনার লেখায় বিশ্লেষণধর্মী মন্তব্য করার যোগ্যতা হয়তো নেই, তাই এমন হয়। আর আপনি আমার লেখায় মন্তব্য করে যাবেন, এইটা তো আমার পরম পাওয়া। এদিক-সেদিক আর কিচ্ছু বলতে চাচ্ছিনা, আপনি যা বলবেন, সেটাই হবে!
অনেক অনেক ভালো থাকবেন খলিল ভাই।
৩৪| ১৪ ই জুন, ২০১৩ সকাল ৯:১০
দেহঘড়ির মিস্তিরি বলেছেন: ছোটবেলা থেকেই একটা ছোটবোন নেই বলে আক্ষেপ ।
ভাল লিখেছেন ।
সুপ্রভাত
১৪ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১:৪৮
সোহাগ সকাল বলেছেন: আমারও নেই। আক্ষেপ তো আমারও!
অনেক ভালো থাকবেন মিস্তিরি। শুভ দুপুর!
৩৫| ১৫ ই জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫২
বোকামন বলেছেন:
অ সা ধা র ণ !!
চমৎকার লেখনী ......
১৬ ই জুন, ২০১৩ রাত ৮:১৪
সোহাগ সকাল বলেছেন:
অনেক ধন্যবাদ বোকামন। শুভ কামনা।
৩৬| ১৬ ই জুন, ২০১৩ রাত ৮:৩৯
মায়াবতী নীলকন্ঠি বলেছেন: আপনি একটা জঘন্য লোক...এভাবে মানুষ কে কেউ কাদায়ে কি মজা পান?সাদা কাপড়ের স্মৃতিগুলো বড্ড ভয়ংকর..যে না হারায় সে বুঝে না
১৭ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১:৪৫
সোহাগ সকাল বলেছেন: শুধুই কি কাঁদাই?
কষ্ট করে পড়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ মীম। ভালো থাকবেন।
৩৭| ২০ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ২:০১
স্বাধীন বিদ্রোহী বলেছেন:
সাদা মাটা গল্প তবে লেখায় কোন অহমিকা নেই। মনে দাগ কাটল।
২০ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ২:০৭
সোহাগ সকাল বলেছেন: আচ্ছা! অনেক ধন্যবাদ বিদ্রোহী! অনেক ভালো থাকবেন।
৩৮| ২০ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ২:৩১
সাদাত হোসাইন বলেছেন: মন খারাপের এক একটা দিন নিকষ কালো মেঘলা লাগে.
চমৎকার লেখা।
২০ শে জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৯
সোহাগ সকাল বলেছেন: "মন খারাপের এক একটা দিন নিকষ কালো মেঘলা লাগে"
আসলেই তো!
ভালো থাকবেন সাদাত।
৩৯| ২৩ শে জুন, ২০১৩ ভোর ৪:৫৪
বন্ধু তুহিন প্রাঙ্গনেমোর বলেছেন: বেশি কষ্টের...... টুশিরা ভালো থাকুক, লেখকের লেখায় অথবা বাস্তবে যেখানেই থাকুক.... শুভকামনা...
২৩ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৩:০৬
সোহাগ সকাল বলেছেন: হুম, টুশিরা ভালো থাকুক। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ তুহিন। অনেক অনেক ভালো থাকবেন।
৪০| ২৬ শে জুন, ২০১৩ রাত ৩:০৫
মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: গপ ভালা পাইছি - টাচি !
অট - "রেবতী – আমার ব্যক্তিগত নক্ষত্রের নাম " শিরোনামে আমার একটা গপ আছে -
Click This Link
২৬ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ১:৪২
সোহাগ সকাল বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মাসুম। শুভ কামনা।
আপনার গল্পটা পড়ে দেখবো।
৪১| ৩০ শে জুন, ২০১৩ রাত ১১:৪৭
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: আপানার ব্লগে এসে নিজের সাথে বেশ মিল পেলাম! আপনি আর আমি প্রায় একই সময় থেকে ব্লগিং করি। উভয়েই ৪৮টা পোস্ট করেছি!
আপনার গল্প বলার ভঙ্গি ভাল। শেষ দিকে এসে তো চোখে পানি চলে আসার মত অবস্থা হয়েছিল। ভাল লেগেছে অনেক।
০১ লা জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:২৬
সোহাগ সকাল বলেছেন: আপনার ব্লগে গিয়ে ব্যাপারটা আমিও খেয়াল করেছি। অনেক মিল। শুধু একটা দিক থেকেই অমিল। সেইটা হচ্ছে, আপনি খুব ভালো লেখেন, আর আমি ভালো লেখার চেষ্টা করি।
তারপরেও আমার লেখা ভালো লেগেছে জানতে পেরে অনেক ভালো লাগছে। অনেক ভালো থাকবেন নাজিম ভাই।
৪২| ০১ লা জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:২০
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: কাঁদলাম আপনার গল্প পড়ে, এমন আবেগী লিখা কখনো পড়েছি কিনা মনে পরে না++++++
০১ লা জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:৩০
সোহাগ সকাল বলেছেন: আচ্ছা। আমি দুঃখিত। কিন্তু আমার কেন যেন ভালো লাগছে। একটু হলেও হয়তো গল্পটা সার্থক হয়েছে। ভালো থাকবেন অনেক।
৪৩| ০৩ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ১:১০
সাকিব শাহরিয়ার বলেছেন: আপনি তো অসম্ভব ভালো লিখেন।
০৩ রা জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:০০
সোহাগ সকাল বলেছেন: তাইনাকি! অনেক ধন্যবাদ সাকিব। ভালো থাকবেন।
৪৪| ০৩ রা জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:৫৬
আরমিন বলেছেন: এসব কি লিখেছেন ভাইয়া! সকাল বেলায় কাঁদিয়ে দিলেন!
++
০৩ রা জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:০১
সোহাগ সকাল বলেছেন: শুধুই কি কাঁদাই?
শুভ কামনা রইলো আরমিন।
৪৫| ০২ রা জুলাই, ২০১৪ সকাল ১১:১৬
জাহাঙ্গীর.আলম বলেছেন:
গল্পটি মনকে ছুঁয়ে গেল ৷ বিষন্নতায় ও হাহাকারে ৷
১৭ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ২:০৭
সোহাগ সকাল বলেছেন: অনেক দুঃখিত ভাই, দুই বছর পর আপনার মন্তব্যটির উত্তর দিতে পারলাম। শুভ কামনা রইলো অনেক।
©somewhere in net ltd.
১|
১০ ই জুন, ২০১৩ সকাল ১১:২৩
প্রতিবাদীকন্ঠ০০৭ বলেছেন: মন খারাপ করা গল্প।
কিন্তু অসাধারণ।
জানেন ,আমার কোন ছোট্ট বোন নাই, মাঝে মাঝে মনে হয়, আহা যদি থাকত !