নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শিক্ষাই দরিদ্রদের জন্য সম্পদ।

সোনাগাজী

একমাত্র সোস্যালিষ্ট অর্থনীতি বাংগালী জাতিকে নিজ পায়ে দাঁড়াতে সাহায্য করবে।

সোনাগাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

সুদানের মতো দেশ কি কারণে মিলিটারীকে পালন করছিলো?

০৯ ই জুন, ২০২৩ সকাল ১০:৪৯



সুদান, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, মিসর, বার্মা, বাংলাদেশের সিভিল সরকারগুলো অকারণে দরকারের থেকে বেশী পরিমাণ মিলিটারী ও মিলিটারী অফিসার পালন করতে গিয়ে, আসলে জাতির জন্য জল্লাদ পালন করেছিলো। এসব দেশের মিলিটারী জাতির বিপক্ষে কলোনিয়েল শক্তিরমতো আচরণ করেছে সব সময়। মনে হয়, বাংলাদেশ কিছুটা মিলিটারীর খপ্পর থেকে মুক্ত হয়েছে; বাকী দেশগুলো নিজদেশে নিজেদের দৈত্যের হাতে বন্দী।

আজকে, সুদানের রাজধানীর ১ এতিমখানা থেকে ৩০০ শিশুকে অন্যত্র সরায়েছে ইউরোপিয়ানরা। এসব শিশুদের বয়স ২বছরের নীচে; যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর, এই এতিমখানায় ৬০ টি শিশু ওষধ ও সেবার অভাবে মৃত্যু বরণ করেছে। আজকে শিশুদের রাজধানী থেকে সামান্য দুরে নেয়া হয়েছে বাসে করে। যুদ্ধরত উভয় গ্রুপ বদান্যতা দেখায়েছে, শিশুদের বাস আক্রমণ করেনি। এই শিশুদের যুদ্ধ এলাকা থেকে সরানোর প্রয়োজন মনে করেনি খার্তুম বাসীরা, এই কাজও করতে হয়েছে ইউরোপিয়ানদের।

দেশের সিভিল সরকারকে সরায়ে মিলিটারী ক্ষমতা নিয়েছিলো কোভিডের ভেতর, ২৫'শে মে, ২০২১ সালে। ইহার নেতৃত্ব দেয় ১ জেনারেল (? ), আবদুল ফাতাহ আল বুরহান; দেখতে সাধারণ আফ্রিকার চোর-ডাকাতের মতো। সিভিল সরকার এসব চোরডাকাতকে কেন পালন করে বলা মুশকিল।

১৯৭২ সালে শেখ সাহেব ককি কারণে এতগুলো মিলিটারী অফিসারকে লালন পালন করছিলো বুঝা মুশকিল; যেসব অফিসার যুদ্ধ করেছিলো, তাদেরকে শিল্প কারখানা চালাতে দিলে ওরা সেই কাজটা ভালো করতে পারতো; এদের মাথায় মগজ কম থাকলেও, নিয়মিত ট্রেনিং ইত্যাদির কারণে শারীরিক গঠন কাজ করার জন্য বেশ ভালো থাকে; এর বাহিরে, নিয়ম কানুনও মেনে চলে; কিন্তু এদেরকে বসায়ে খাওয়ালে এরা সরকারের লোকদের হত্যা করে দেশ দখল করে। ২য় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে ৩য় বিশ্বে ইহা একটি সুনামীর মতো কাজ করছিলো; কিন্তু ৩য় বিশ্বের সিভিল সরকারগুলো এসব অক্টোপাশগুলো থেকে কখনো নিজকে মুক্ত করার মতো বুদ্ধিমান ছিলো না।

পাকিস্তান, মিশর, বার্মার সরকারগুলো অনেক চেষ্টা করেও তাদের মিলিটারী থেকে মুক্ত হতে পারেনি; শেখ সাহেব সব দেখে শুনেও একই বিপর্ষয় ডেকে এনেছিলো। সুদানের মিলিটারীর কথা কি বলবো, সিভিল সরকারও অপরাধীদের আড্ডাখানা ছিলো।

মন্তব্য ২৪ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (২৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই জুন, ২০২৩ সকাল ১১:২৫

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: মিলিটারিকে নিয়ে জনগণের আলাদাভাবে ভাবা দরকার। এদেরকে প্রশ্রয় দিলেই এরা জাতির ঘাড়ে চেপে বসে। এদের থেকে রক্ষা পেতে সিভিল সরকারের জনপ্রিয়তা খুব দরকার।

০৯ ই জুন, ২০২৩ সকাল ১১:৩২

সোনাগাজী বলেছেন:


সুদান সিভিলওয়ার থেকে বেরিয়ে আসার পর, রেডক্রস ও আরদের ফিতরা খেয়ে চলছিলো, রাইফেলের বুলেট কিনার পয়সা ছিলো না, বাচ্চাদের জন্য দুধ ইমপোর্ট করার পয়সা ছিলো না, কিন্তু মিলিটারী নামের ডাকাত পুষছিলো; এখন মিলিটারীর ২ পক্ষই মানুষ মারছে।

২| ০৯ ই জুন, ২০২৩ সকাল ১১:৩৬

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: সুদানের মিলিটারি অসভ্য, পাকিস্তানের মিলিটারি অসভ্য, মায়ানমারের মিলিটারি অসভ্য, বাংলাদেশের মিলিটারিও অসভ্য ছিল। এদেশের মিলিটারি গঠিত দলকে আর ক্ষমতায় আনার দরকার নাই। জনগণ এভাবে মিলিটারীকে এভোয়েড করলে তারা আর ক্ষমতা কেড়ে নিতে আগ্রহী হবে না।

০৯ ই জুন, ২০২৩ বিকাল ৩:০৩

সোনাগাজী বলেছেন:


শেখ হাসিনা ১ জেনারেলের দলকে ও তার চোর বউকে পার্লামেন্টে রেখেছেন।

৩| ০৯ ই জুন, ২০২৩ দুপুর ১২:০১

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিদেশিদের নিয়োগ দিলে কেমন হয়? দেশের জনগন কি তা মনে নিবে?
দেশ পরিচালনার মত গুরুদয়িত্ব এদেশের মানুষের দ্বারা সম্ভব নয়, গত ৫০ বছরে পারেনি আর পারবেও না অথচ এই সময়ে অন্যন্য অনেক দেশ এগিয়ে গিয়েছে আর আমরা পিছু হাঁটছি। আমি চাই বিদেশীরা একটু এই দেশটাকে ঠিকঠাক করে দিয়ে যাক, তাদের যত বেতন, সুযোগ সুবিধা লাগে দেশের জননগণ দিবে।

০৯ ই জুন, ২০২৩ বিকাল ৩:০৬

সোনাগাজী বলেছেন:



পলিটিক্যাল সংস্হাগুলোতে এডভাইজার হিসেবে আনলে জাতি উপকৃত হতো; এর বাহিরে টেক্স আদায়, বাজেট ও প্ল্যানিং, ইমপ্লিমেনটেশান ও চাকুরী সৃষ্টির জন্য ওদের আনা দরকার।

৪| ০৯ ই জুন, ২০২৩ দুপুর ১২:১৭

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:




সুদান, বার্মা, পাকিস্তান, আফগানিস্তান দীর্ঘদিন চেষ্টা করেও মিলিটারীর খপ্পর থেকে বের হতে পারেনি, অদূর ভবিষ্যতে পারবে না। তার অন্যতম কারণ দেশগুলোর দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি এবং অযোগ্য নেতৃত্ব। এসব দেশের গণতান্ত্রিক সরকারের চেয়ে মিলিটারী অনেক শক্তিশালী; আর মিলিটারীর সাথে আঁতাত করেই সরকারগুলো টিকে থাকে। এসব দেশের সিভিল সোসাইটি, সাধারণ নাগরিকরা গণতান্ত্রিক সরকারকেও বিশ্বাস করে না। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর প্রথম দুই দশক মিলিটারী তাদের ইচ্ছেমতো ক্ষমতার দপট দেখালেও এখন সেই দিন নেই। বাংলাদেশ দেরীতে হলেও মিলিটারীর খপ্পর থেকে বেরিয়ে এসেছে।

তবে, আমি মনে করি বাংলাদেশের এতো বড় মিলিটারী হাজার হাজার কোটি টাকা খরছ করো রাখার প্রয়োজন নেই। এই টাকা দেশের আর্ত-সামাজিক উন্নয়নে, মানব সম্পদ উন্নয়নে, শিক্ষা ও চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নয়নে ব্যায় করলে ভালো হতো। দেশের দুর্নীতিবাজ পুলিশ বাহিনীকে বিলুপ্ত করে মিলিটারীকে পুলিশ হিসাবে নিয়োগ দিলে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো হবে, দুর্নীতি কমবে। এছাড়া দেশ রক্ষার প্রয়োজন হলে এরা যুদ্ধ করবে।

ভালো থাকুন। আপনার সুস্বাস্থ্য কামনা করছি।

০৯ ই জুন, ২০২৩ বিকাল ৩:১৩

সোনাগাজী বলেছেন:



প্রথমে বিচারিক প্যানেলে দায়িত্ব নেয়ার জন্য আপনাকে অভিনন্দন; কমেন্ট ব্যানে থাকায়, সেখানে আপনাদের অভিনন্দন জানাতে পারিনি।

আপনার মুল্যবান মতামত খুবই সঠিক।

বাংলাদেশের সব তরুণ তরুণীদের মিলিটারী রিজার্ভ হিসেবে বিবিধ মেয়াদে মোট ৬ মাসের ট্রেনিং দিয়ে সবাইকে দেশ রক্ষার দায়িত্ব দেয়ার দরকার। এতে তারা সুশৃংখল, দায়িত্ববান , সুস্বাস্হ্য ও ব্যক্তিত্বের অধিকারী হবে।

৫| ০৯ ই জুন, ২০২৩ দুপুর ১২:৪০

কাছের-মানুষ বলেছেন: ৩য় বিশ্বের দেশগুলোর দুর্নীতিই মিলিটারিকে আশার শক্তি যোগায়! তাছাড়া দেশের মানুষের মৌন সমর্থন ছাড়া মিলিটারি
ক্ষমতায় আসার সাহস পায় না! পাকিস্তানে কোন সরকার পূর্ণ মেয়াদের আগেই মিলিটারি হস্তক্ষেপ করে, আমি পাকিস্তানিদের
সাথে মিশেছি, আমি দেখেছি জনগণের সমর্থন থাকে মিলিটারির প্রতি, এটা অবশ্যই সিভিল সরকারের দুর্নীতি এবং বার্থটাই দায়ী! সরকারগুলো দুর্নীতি পরায়ণ এবং অযোগ্য না হলে মিলিটারি সাহস পেত না!

০৯ ই জুন, ২০২৩ বিকাল ৩:১৫

সোনাগাজী বলেছেন:


পাকিস্তানীরা মনের থেকে যোদ্ধা ও অসৎ জাতি, প্রতি পরিবারের কেহ না কেহ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে মিলিটারীতে আছে; আমাদের রাজধানীর মানুষের সাথে পাকীদের কিছুটা মিল আছে; পুরান ঢাকার লোকজন এখনো আইয়ুব খানের সুনাম করে।

৬| ০৯ ই জুন, ২০২৩ বিকাল ৩:০৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বাংলাদেশের সামরিক বাহিনী পাকিস্তান আর্মির চিন্তাধারা নিয়ে যাত্রা শুরু করে এবং এখনও তেমন কোন উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন নাই। এখন আমাদের দেশে মানুষ সামরিক বাহিনীতে যায় সুযোগ সুবিধা, আরাম আয়েশ, ক্ষমতার কারণে। অথচ একটা ছেলেকে সামরিক বাহিনীতে নেয়ার সময় সবার আগে দেখা উচিত তার দেশপ্রেম, নৈতিক মূল্যবোধ, সমাজের প্রতি দায়িত্ব ইত্যাদি।

০৯ ই জুন, ২০২৩ বিকাল ৩:১৭

সোনাগাজী বলেছেন:




বাংগালীদের বড় অংশ অসৎ; মিলিটারী অফিসারেরা কোরান হাতে শপথ নেয়; কিন্তু তারা প্রেসিডেন্টকেও হত্যা করেছে, মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করেছে।

৭| ০৯ ই জুন, ২০২৩ বিকাল ৩:২৪

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



মিলিটারী সংক্রান্ত বিষয়ে কাছের-মানুষ সঠিক বলেছেন। এছাড়া আপনি পোস্টে কি লিখেছেন তাও বোধগম্য নয়। মিলিটারী একটি দেশে কিভাবে ক্ষমতায় জড়িয়ে পরে - আমার ধারণা আপনি এই বিষয়ে তেমন কিছু জানেন না। না জানাটা সমস্যা না। তবে ভুল জানাটা সমস্যা।


০৯ ই জুন, ২০২৩ বিকাল ৩:৪৫

সোনাগাজী বলেছেন:



জিয়া জিভাবে জড়ালো তা বলেন,।
১২ জন মুক্তিযোদ্ধা জেনারেল থাকার পরও, এরশাদ কিভাবে সেনাপ্রধান হলো?

৮| ০৯ ই জুন, ২০২৩ বিকাল ৫:৩১

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:


একজন সেনা সদস্য সব দায়িত্ব পালন করতে পারবে, কিন্তু, রাজনীতি করতে পারবে না কেন?

০৯ ই জুন, ২০২৩ বিকাল ৫:৫৮

সোনাগাজী বলেছেন:


প্রত্যেক সরকারী চাকুরীর একটা দায়িত্ব, কর্তব্য ও রিকোয়ারমেন্ট আছে; সেনাবাহিনীর দায়িত্ব হলো দেশ রক্ষা ও ইমারজেন্সীর সময় দেশকে সাহায্য করা; এই দায়িত্ব পালনের জন্য বাহিনীর মাঝে ঐক্য দরকার; রাজনীতি করলে ঐক্য থাকবে না।

৯| ০৯ ই জুন, ২০২৩ বিকাল ৫:৩৪

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



আপনার পোস্টের উত্তরে আমি নিজে আলাদা একটি পোস্ট দিয়েছি, আশা করি, উত্তর আপনি পেয়েছেন। আপনার পোস্টে মন্তব্য করিনি কারণ আমার পোস্টটি সাময়িক।

০৯ ই জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:০০

সোনাগাজী বলেছেন:




আপনার পোষ্ট পড়েছি।
আপনার কাছে প্রশ্ন, শেখ সাহেব জেনারেল জিয়া ও এরশাদকে ব্যবহার করে কোন জনতাকে নিপীড়ন করেছিলেন?

১০| ০৯ ই জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:০৫

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



দুঃখিত। শেখ সাহেব সম্পর্কে কিছু বলতে চাচ্ছি না।

০৯ ই জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:১০

সোনাগাজী বলেছেন:



ঠিক আছে।

১১| ০৯ ই জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৪৫

কামাল১৮ বলেছেন: আমরাই বা কেনো পালন করছি।এখন অবশ্য অনেক কাজের সাথে যুক্ত।ধান কাটার কাজেও লাগানো দরকার।এসব কাজের জন্য টাকা দেয়া ঠিক না।তারা তো বেতন পায়।এবং সেটা জনগনের টাকা।

০৯ ই জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৫২

সোনাগাজী বলেছেন:




সরকার ওদেরকে ইউএন'এর কাজে পাঠায়ে সামান্য টাকা পায়; আর, অফিসার্বেরা ঢাকায় বসে বসে বড় বড় ব্যবসা করে, বাড়ীঘর পায়।

১২| ০৯ ই জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৪৭

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:



বিশ্বনেতাদের বসিয়ে চিরতরে যুদ্ধ বন্ধ করার চুক্তি করে মিলিটারীমুক্ত দেশ গড়া যায় যাবে?

০৯ ই জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৫৫

সোনাগাজী বলেছেন:



বিশ্ব এখন এমন পর্যায়ে এসেছে, মিলিটারী ব্যতিতও অনেক ধরণের যোদ্ধায় পৃথিবী ভরে গেছে; এই ধরণের যোদ্ধাদের কারখানা খুলেছে ইরান, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, লিবিয়া, সিরিয়া, লেবানন ও আফ্রিকা। ফলে, সামান্য পরিমাণ মিলিটারী সবার দরকার।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.