![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আসুন সবাই মিলেমিশে আমাদের দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যায়, যেখানে থাকবে না দরিদ্র, রাজনৈতিক হানাহানি, দুর্ণিতি, পেশীশক্তির শোষন।
সুন্দর শিক্ষা ও উত্তম আদর্শ শিক্ষা দেয়া পিতামাতার দায়িত্বঃ
পিতামাতার প্রতি সন্তানের সবচেয়ে বড় হক হচ্ছে তারা তাদের সন্তান-সন্তুতিকে উত্তম শিক্ষা প্রদানের সবাত্মক চেষ্টা করবে। উত্তম আদর্শের অধিকারী হওয়ার জন্য প্রাণপনে চেষ্টা করবে। কারণ এব্যাপারে পিতামাতাকে কিয়ামতের মাঠে জিজ্ঞেস করা হবে।
আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাঃ) বলেন, রাসুল (সাঃ) বলেছেন, ‘সাবধান! তোমরা প্রত্যেকেই এক একজন দায়িত্বশীল। আর কিয়ামতের দিন তোমাদের প্রত্যেকের দায়িত্ব সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। সুতারাং জনগনের শাসক ও একজন দায়িত্বশীল। কিয়ামদের দিন তার দায়িত্ব সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। আর পুরুষ তার পরিবারের দায়িত্বশীল। তাকে এই পরিবারের দায়িত্ব সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। স্ত্রী তার স্বামীর ঘর-সংসার এবং সন্তানের উপর দায়িত্বশীলা। কিয়ামদের দিন এ দায়িত্ব সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এমন কি কোন ব্যক্তির দাস-দাসী বা চাকর-চাকরাণী ও তার মালিকের সম্পদের ব্যাপারে একজন দায়িত্বশীল। সেদিন তাকেও তার দায়িত্ব সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এতএব মনে রেখো, তোমরা প্রত্যেকেই একজন দায়িত্বশীল আর তোমাদে প্রত্যেককেই কিয়ামতের দিন এই দায়িত্ব সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হবে।” (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/ ৩৫, বাংলা মিশকাত হা/৩)
সন্তানের প্রতি পিতামাতার কর্তব্য
সুত্রঃ কোরআন ও সুন্নার আলোকে ইসলামী ফিকাহ (দ্বিতীয় খন্ড)
হজ্ব ও উমরাহ অধ্যায়
২| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:১২
িফল্ড মার্শাল বলেছেন: প্রিয় সন্তান,
আমি যখন বার্ধক্য উপনীত হবো…আমি আশা করবো..”তুমি আমাকে বুঝবে এবং আমার সাথে ধৈর্যশীল হবে”
ধরো আমি যদি হঠাৎ থালা ভেঙ্গে ফেলি,অথবা টেবিলে স্যুপ ফেলে নষ্ট করি…..কারণ আমি আমার দৃষ্টিশক্তি হরিয়ে ফেলছি….আশা করি তুমি আমার প্রতি চিৎকার করবে না
বয়স্ক মানুষ খুব স্পর্শকাতর……….
তুমি যখন চিৎকার করে কথা বলো তখন তারা নিজের কাছে খুব ছোট হয়ে যায় , অসহায় আর অপরাধী মনে করে নিজেকে।।
যখন আমার শ্রবণশক্তি শেষ হয়ে আসছে…এবং আমি শুনতে পাচ্ছি না তুমি কী বলছ!!
তোমার তখন আমাকে “বধির” বলা উচিৎ নয়।
দয়া করে তুমি পুনরায় বলো অথবা লিখে দেখাও
আমি দুঃখিত বাবা………….আমি বৃদ্ধ হয়ে যাচ্ছি……..আমার পা দুর্বল হয়ে আসে
আমি মনে মনে চাই তোমার সে ধৈর্য থাকবে আমাকে দাঁড়াতে সাহায্য করার জন্য।
যেভাবে আমি তোমার পাশে ছিলাম, যখন তুমি ছোট ছিলে……… হাঁটতে শিখছিলে পা পা করে….
আমার কথা শুনো…….
যখন আমি অসহায়ের মত তোমার নিকট কথা বলবো…. ভাঙা রেকর্ডের মতো ….
আমি চাইবো তুমি শুধু আমার কথাটুকু শুনবে..
আমাকে নিয়ে ঠাট্টা করো না…. অথবা আমার কথা শুনে বিরক্ত হয়ো না……….
তোমর মনে আছে??
তুমি ছোট থাকতে আমার কাছে একটা বেলুন চেয়েছিলে!!!!!
সেটা না পাওয়া পর্যন্ত তুমি বারবার আমাকে সেটাই বলতে….. সারাক্ষণ জিজ্ঞেস করতে.. “কখন দেবে কখন দেবে…………..”
এবং আমার গন্ধ সহ্য করো
বৃদ্ধের মতই আমার গন্ধ হবে…..
এজন্য….
দয়া করে আমাকে গোসল করার জন্য জোর করোনা
আমার শরীর দুর্বল
ঠাণ্ডায় বয়স্ক মানুষেরা খুব তাড়াতাড়ি অসুস্থ হয়ে পড়ে….
আমার আশা আমি তোমকে অমার্জিত করি নি
তুমি যখন ছোট ছিলে…আমাকে তোমার পেছনে দৌড়াতে হতো… কারণ তুমি গোসল করতে চাইতে না
আমি যখন সহজে রেগে যাই..
এটা বয়স্ক হবার একটা সাধারণ দোষ,
বার্ধক্য আসলে তুমি নিজেই বুঝতে পারবে।।
আর যখন তোমার অলস সময় থাকবে
আমি আশা করবো তুমি আমার সাথে একটু সময়ের জন্য হলেও কথা বলো……..
আমি এ সময়ে সর্বদা একাকীত্বে ভুগি এবং কথা বলার মানুষ পাই না ।
আমি জানি তুমি ব্যস্ত থাকো কাজের মাঝে..
যদিও তুমি আমার কথায় ও গল্পে আনন্দ না পাও..
আমার জন্য কিছু সময় রেখো
তুমি যখন ছোট ছিলে তোমার কী মনে পড়ে??
তোমার টেডি বিয়ারের কথাও আমি শুনতাম….
যখন সময় আসবে আমি অসুস্থ হয়ে পড়বো এবং
বিছানায় শায়িত হয়ে পড়বো
তুমি কী আমার যত্ন করার মতো ধৈর্য রাখবে??
আমি আশা করি তুমি এটুকু ধৈর্য রাখবে জীবনের শেষ মুহূর্তগুলোতে আমাকে দেখে রাখার জন্য…
আমি আর বেশিদিন বেঁচে থাকব না,
………..
যাই হোক………..
যখন আমার মৃত্যু আসবে..
তুমি কী আমার হাত ধরে থাকবে না; যা আমাকে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করার জন্য সাহস যোগাবে।
এবং চিন্তা করোনা….
যখন আমার সৃষ্টিকর্তার সাথে দেখা হবে….
আমি তার কানে অবশ্যই বলবো….
তোমকে অনুগ্রহ করতে………..
কারণ তুমি তোমার বাবা-মাকে ভালবেসেছিলে………
তোমার যত্ন ও সহমর্মিতার জন্য ধন্যবাদ………
আমরা তোমাকে ভালোবাসি।।।।
আরও ভালোবাসার সাথে……
-বাবা-মা ।
( সামু থেকে নেয়া আমার জীবনের একটি চিঠি যা আমি আমার ছেলেকে দিয়েছি । চিঠিটি আমার লেখা নয় । মূল লেকক কে তা ও জানি না )
৩| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৫
বেলা শেষে বলেছেন:
رَّبِّ ٱغۡفِرۡ لِي وَلِوَٰلِدَيَّ وَلِمَن دَخَلَ بَيۡتِيَ مُؤۡمِنٗا وَلِلۡمُؤۡمِنِينَ وَٱلۡمُؤۡمِنَٰتِۖ وَلَا تَزِدِ ٱلظَّٰلِمِينَ إِلَّا تَبَارَۢا ٢٨ ﴾ [نوح: ٢٨
‘হে আমার রব! আমাকে, আমার পিতা-মাতাকে, যে আমার ঘরে ঈমানদার হয়ে প্রবেশ করবে তাকে এবং মুমিন নারী-পুরুষকে ক্ষমা করুন এবং ধ্বংস ছাড়া আপনি যালিমদের আর কিছুই বাড়িয়ে দেবেন না ’[সূরা নুহ: ২৮] ।
©somewhere in net ltd.
১|
২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৫১
মদন বলেছেন: ++++++++++