![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আসুন সবাই মিলেমিশে আমাদের দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যায়, যেখানে থাকবে না দরিদ্র, রাজনৈতিক হানাহানি, দুর্ণিতি, পেশীশক্তির শোষন।
প্রেমিকার অপেক্ষায় রোকেয়া হলের সামনে চার বছর !
===================
প্রেমিকার অপেক্ষায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হলের সামনে চার বছর কাটিয়ে দিলেন পটুয়াখালীর গলাচিপার মামুনুর রশীদ। মামুনের বিশ্বাস তিনি যাকে ভালবাসতেন একদিন না একদিন তার দেখা মিলবেই। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত তিনি রোকেয়া হলের সামনে দাঁড়িয়ে থাকেন। অপেক্ষা ভালবাসার মানুষটির জন্য। একটু সময়ের জন্য কোথাও যান না যদি তার ভালবাসার মানুষটি চলে যায়। তাকে অনেকবার পুলিশের হাতেও তুলে দিয়েছে রোকেয়া হল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু ছাড়া পেয়ে এসে আবার এখানেই দাঁড়িয়ে থাকেন।
জানা গেছে, ২০০৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনে মাস্টার্স মামুন একই বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত ইংরেজি বিভাগের এক শিক্ষার্থীর প্রেমে পড়েন। ২০০৭ সালে তার পরিচয় হয় ইংরেজি বিভাগের একটি মেয়ের সঙ্গে। মার্চ মাসে ডিপার্টমেন্টে দেখেন তাকে। তখন তাকে দেখলেই মামুনের কথা বলতে ইচ্ছা হতো, কি যেন মনে হতো। যেন সে তার কত আপন। তাকে নিয়ে সারাক্ষণ ভাবতো। তখন তিনি বুঝতে পারলেন মেয়েটিকে তিনি ভালবাসেন। সেই ধারণা থেকেই তিনি মেয়েটিকে তার ভালবাসার কথা জানালেন। কিন্তু অনিমা তাকে মোটেও ভালবাসতো না। পাত্তা দিতো না। তিনি সেই সময় থেকেই একতরফা ভালবেসে যান। মেয়েটিকে একটু দেখার জন্য তার ক্লাসের সামনে দাঁড়িয়ে থাকতেন, মেয়েটি রোকেয়া হলে থাকতো তাই তিনি হলের সামনে দাঁড়িয়ে থাকতেন। কিন্তু কোন সাড়া পেতেন না। তবে তার ধারণা মেয়েটি তাকে ভালবাসে এবং আজীবন ভালবেসে যাবে। এই ধারণা থেকে তিনি আজও মেয়েটির অপেক্ষা দাঁড়িয়ে থাকেন রোকেয়া হলের সামনে।
জানা গেছে, তবে মেয়েটি এখন আর রোকেয়া হলে থাকে না। তার বিয়ে হয়ে গেছে। চলে গেছে স্বামীর বাড়িতে। কিন্তু এই কথাটি এখন মামুন বিশ্বাস করতে চান না। বাবা-মায়ের সঙ্গে কোন সম্পর্ক নেই। সেই মনের মানুষটিকে ছাড়া তার ভাবনার মধ্যে আর কেউ নেই।একদিন পছন্দের মানুষের দেখা মিলবে এমনটাই বিশ্বাস। এই বিশ্বাস থেকেই অপেক্ষায় কেটে গেছে তার চারটি বছর। এক তরফা ভালবাসায় কাতর মামুন পাগল হয়ে সব কিছু ভুলে গেলেও, মামুন ভোলেনি রোকেয়া হল আর অনিমাকে। আজও তিনি অপেক্ষা করেন তার ভালবাসার মানুষকে পাওয়ার জন্য। দাঁড়িয়ে থাকে। রোকেয়া হলের সামনে। প্রতিটি বিশেষ দিনে অনিমার জন্য লাল গোলাপ ও উপহার হাতে নিয়ে অপেক্ষা করেন। তার বিশ্বাস অনিমা তার উপহার নিতে আসবে। তার মুখে বার বার একটি কথা উচ্চারিত হতে শোনা যায়, ‘সে আসবে। তাকে তো আসতেই হবে। সে আমার ভালবাসা। হয়তো বা পড়ছে, তাই আসতে একটু দেরি হচ্ছে। এই তো এখনি চলে আসবে।’
অনেকেই তাকে বলেছে মেয়েটি এখন আর রোকেয়া হলে থাকে না। কিন্তু কারো কথাই সে বিশ্বাস করে না। মামুন বলেন, আমার সঙ্গে একটু রাগারাগি হয়েছিল তার। অভিমানে কাতর আমার মনের মানুষটি তাই আমার সঙ্গে দেখা করে না। কিন্তু রাগ কমলে সে আসবে। আমি যখন গেট থেকে একটু দূরে যাই তখন সে হল থেকে বাইরে আসে। আমার সঙ্গে তার শেষ দেখা হয়েছিল গত বছরের পহেলা বৈশাখে। তখন আমি কথা বলতে পারিনি। আমার কিছু চাওয়ার নেই। শুধু দেখা হওয়ার অপেক্ষায়। তাই এখানে দাঁড়িয়ে থাকা। আমাকে সবাই পাগল বলে। কাউকে ভালবাসা যদি পাগলামি হয় তাহলে আমি তাই। যে যাই বলুক আমি এখান থেকে যাবো না।
বেঙ্গলি টাইমস
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২৫
সোনারবাংলা বলেছেন: তাইতো দেখছি। প্রেমিকার আশায় হলের সামনে দাড়িয়ে থাকে। অন্যদিকে প্রেমিকা অন্যজনকে বিয়ে করে ঘর-সংসার করছে।
২| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:০২
জাহাঙ্গীর জান বলেছেন: one way love is danger for human life so god saved the mamun....
©somewhere in net ltd.
১|
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১৮
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আহারে....
আফসোস!!
....আমাকে সবাই পাগল বলে। কাউকে ভালবাসা যদি পাগলামি হয় তাহলে আমি তাই। যে যাই বলুক আমি এখান থেকে যাবো না।....
এ দেখি পুরাই ডিজিটাল মজনু!!!!!