![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আসুন সবাই মিলেমিশে আমাদের দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যায়, যেখানে থাকবে না দরিদ্র, রাজনৈতিক হানাহানি, দুর্ণিতি, পেশীশক্তির শোষন।
সম্মান ক্ষুণ্ন হওয়ার ভয়ে ওদের দাবি মানতে হয় ।। নগরীতে প্রতারণার নানা কৌশল
ঋত্বিক নয়ন ॥ চট্টগ্রাম থেকে
======================
তাদের কেউ ছাত্রী, কেউ প্রবাসীর স্ত্রী, কেউ এনজিও কর্মী, কেউবা উঠতি মডেল। এগুলো তাদের আসল পরিচয় নয়। এই পরিচয় দিয়ে তারা প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আদায় করে থাকে। নগরীতে এমন চারটি সিন্ডিকেটের সংবাদ পেয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ। গত ৬ মার্চ বিকেলে গোয়েন্দা কার্যালয়ে একটি সিন্ডিকেটের আটককৃত ৪ জনের সাথে কথা বলার সময় তাদের চোখে মুখে দুশ্চিন্তার ছাপ দেখা যায়নি। অবলীলায় তারা জানিয়েছে প্রতারণার আদ্যোপান্ত। এপ্রসঙ্গে নগর গোয়েন্দা শাখার অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মো: বাবুল আক্তার বলেন, তাদের উদ্দেশ্য ব্ল্যাক মেইলিংয়ের মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নেয়া। আগে আমরা ভুয়া র্যাব-ডিবির কথা শুনেছি। জিনের বাদশা, ভাগ্য প্রতারকের কথাও শুনেছি। এ ক্ষেত্রে নতুন সংযোজন এটি।
যেভাবে আইনের জালে : দীর্ঘদিন ধরে নগরজুড়ে কয়েকটি সিন্ডিকেট সমাজের প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সম্মান ক্ষুণ্ন করার ভয় দেখিয়ে মোটা অংকের অর্থ আদায় করে আসছে। এমন অভিযোগ পেয়ে নগর গোয়েন্দা পুলিশ গত ৫ ও ৬ মার্চ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে কুলসুম প্রকাশ তানিয়া (২৭), মুন্না কামাল (৩৬), রবি (২২) ও আব্দুছ সাত্তারকে (২৮) আটক করে।
প্রতারণার কৌশল : জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশের কাছে কুলসুম জানায়, অপরিচিত নম্বরে ফোন দিয়ে টার্গেট করা হয়। গভীর রাতেই সচরাচর ফোন করে তারা। কয়েকবার রিং পড়তেই ঘুম জড়ানো কণ্ঠে ওপ্রান্ত থেকে হ্যালো বলতেই সুললিত নারী কণ্ঠে নিজেকে তানিয়া পরিচয় দেয় সে। কথা বলতে বলতে তাদের মধ্যে বন্ধুত্ব গড়ে উঠে। ফোনে মাঝে মধ্যে কথা হয় তাদের । টার্গেট করা ব্যক্তি দেখা করার জন্য উতলা হয়ে ফাঁদে পা বাড়ায়।
দেখা করতে গিয়ে জিম্মি : পরিচয়পর্ব শেষে টুকটাক কথা বলার এক পর্যায়ে টার্গেট করা ব্যক্তি তাকে আপ্যায়ন করতে আগ্রহী হন। কোন রেষ্টুরেন্টে নিরালায় গিয়ে বসতে চান। টেক্সি ভাড়া করা হয়। তবে আগে থেকে অপেক্ষারত টেক্সিতেই কৌশলে উঠে তারা। এসময় অপরিচিত দুটি ছেলে জোরপূর্বক টেক্সিতে উঠে বসে। তাদের একজন টার্গেটের পেটে পিস্তল ঠেকিয়ে চ্যাঁচামেচি করলে গুলি করার ভয় দেখায়। প্রথমেই তারা টার্গেটকৃত ব্যক্তির মোবাইল ফোন ও মানি ব্যাগ নিয়ে নেয়। নিয়ে যায় নিজেদের ফ্ল্যাটে।
মূল অস্ত্র সম্মান ক্ষুণ্ন করার ভয় : গ্রেফতারকৃত মুন্না কামাল আজাদীকে জানান, তাদের মূল অস্ত্র টার্গেট ব্যক্তির সম্মান হানি । সে বলে, ‘এসব মানুষ টাকার চেয়েও মান-সম্মানকে বেশি ভয় পায়’। তাই তাদের সেই অস্ত্র দিয়েই ঘায়েল করা হয়। এসময় পুলিশের এডিসি জানান, এক অভিযোগকারীর করুণ কাহিনী। ঐ ব্যক্তিকে জোরপূর্বক বিবস্ত্র করা হয়। কুলসুম অর্ধ নগ্ন হয়ে তার সাথে জড়াজড়ি করতে থাকে, অন্যরা ক্যামেরা ও মুঠোফোনে ছবি তুলে। তিনি বাধা দেয়ার চেষ্টা করলে তারা তাকে মারধর করে। এরপর শুরু হয় ছবিগুলো তার আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধবের কাছে পাঠানোর ভয় দেখানো। বাঁচতে চাইলে তাদেরকে দশ লাখ টাকা দিতে হবে । চক্রটি বিকাশের মাধ্যমে টাকা গ্রহণ করে। তাদের রয়েছে একাধিক বিকাশ নম্বর।
চার সিন্ডিকেটের খোঁজ মিলেছে : এডিসি বাবুল আক্তার জানান, নগরীতে এলাকা ভিত্তিক চারটি দল রয়েছে। প্রতিটি দলে একজন করে নারী সদস্য রয়েছে। তারা হল বগারবিল এলাকার জেসি, ইস্পাহানি এলাকার শারমিন, ষ্টিলমিল এলাকার সুমি ও চান্দগাঁও এলাকার তানিয়া প্রকাশ কুলসুম। প্রতিটি দলে ৫/৬ জন সদস্য রয়েছে। এ দলের পুরুষ সদস্যরা টার্গেটকৃত ব্যক্তিদের মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে মহিলা সদস্যদের দেয়। তারা ফোনে ঐ ব্যক্তিদের সাথে কথা শুরু করে। একপর্যায়ে তাকে দেখা করার প্রস্তাব দেয়। এই চক্রের সদস্যদের ভাড়া করা ঘরে দেখা করতে গেলে তাকে আটকে রেখে ছবি তুলে টাকা আদায় করে। আবার কখনো এই চক্রের মহিলারা টার্গেটকৃত ব্যক্তির সাথে রিক্সায় ওঠার সাথে সাথে দলের অন্যান্য সদস্যরা জোরপূর্বক তার কাছ থেকে টাকা-পয়সা, মোবাইল ছিনিয়ে নেয়। চারটি দলে প্রায় বিশ জন সদস্য আছে। এদের মধ্যে গ্রেফতারকৃতরা ছাড়াও জাফর, নূরুদ্দিন, ফারুক, সিলেটি আনোয়ার, বস্তি শাহাবুদ্দিন, সেলিম, সুমি, জুয়েল, এনাম, শারমিন ও জেসি অন্যতম।
পুরো পরিবার জড়িত: পুলিশ জানান, মুন্না কামালের পুরো পরিবার ধাপে ধাপে এ পেশায় জড়িত । পুলিশের হাতে আটক তানিয়া প্রকাশ কুলসুম এ দলের নেতা মুন্না কামালের তৃতীয় স্ত্রী। এ দলে আছে নুরুদ্দিন ও জাফর। নুরুদ্দিন সম্পর্কে মুন্না কামালের ভাগিনা । মুন্নার স্ত্রী তানিয়া নিজেকে প্রবাসীর স্ত্রী বলে পরিচয় দেয়। সে তার কন্যা সন্তানসহ একাকী বসবাস করে বলে ফোনে টার্গেটকৃত ব্যক্তিকে জানায়। কখনো কখনো তার চার বছরের সন্তানের সাথে তাদের কথা বলিয়ে দেয়। যাতে উক্ত ব্যক্তি বিষয়টি বিশ্বাস করে।
মুন্না প্রথমে টেম্পু চালাতো। প্রায় ৪/৫ বছর এ কাজের সাথে জড়িত । প্রথমে সে ঘর ভাড়া নিয়ে দেহ ব্যবসা করতো। পরে স্ত্রী ও ভাগিনাকে নিয়ে ব্ল্যাক মেইলিং এর কাজ শুরু করে। এ দলের সদস্য রবি জানায়, ৩ বছর আগে কুলসুমা ফোনে ভাব জমিয়ে বাকলিয়ার একটি ঘরে নিয়ে তার কাছ থেকে মোবাইল ও বার হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। পরবর্তীতে কুলসুমার সাথে তার দেখা হলে তখন কুলসুমা তাকে তাদের দলের হয়ে কাজ করার প্রস্তাব দেয়।
০৯ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ১০:৪১
সোনারবাংলা বলেছেন: নারীর কন্ঠ বলে কথা..সুন্দর সুন্দর কথা বললে কি আর হুস থাকে?
২| ০৮ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১০:৩৯
শাহ আজিজ বলেছেন: আমার কাছে ক দফা ফোন এসেছিল , জানিয়েছি
আমি সে নই বা এই নম্বরটি তার নয় যাকে খুজছেন ।
ভাই এইটা কোথায় ?
কোথায় দিয়া দরকার কি, আমি আপনার আকাংক্ষিত ব্যাক্তি নই । এই নম্বরে আর ফোন করবেন না ।
সরি !!
একটু কঠিন হলেই চলবে ।
এদের দালাল আছে যারা শুরুতেই "এইটা কোথায়, ভাই আপনি কে?"
আমি রেগে গেলে বলি এইটা টানবাজার আর খুব ব্যাস্ত আছি তোর মারে নিয়া ।
গালাগালি বিনিময়ের পর শেষ হয় বাতচিত ।
০৯ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ১০:৪০
সোনারবাংলা বলেছেন: গালি না দিয়ে উপায় নাই।
৩| ০৮ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:১৩
রাসেলহাসান বলেছেন: :-& :- :-& এখন থেকে সাবধান হয়ে যেতে হবে। আমার নাম্বারেও মাঝে মধ্যে রং নাম্বার থেকে কল আসে! :-&
০৯ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ১০:৩৯
সোনারবাংলা বলেছেন: সাবধান।
৪| ০৮ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:৩৬
এম.এল.এইচ বলেছেন: ভদ্রলোক ???
০৯ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ১০:৩৯
সোনারবাংলা বলেছেন: সহজ-সরল-ভদ্রলোকেরা ওদের ফাঁদে পড়ে।
৫| ০৯ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ২:৩৬
হু-কেয়ারস বলেছেন: শাহ আজিজ বলেছেন: আমি রেগে গেলে বলি এইটা টানবাজার আর খুব ব্যাস্ত আছি তোর মারে নিয়া ।
গালাগালি বিনিময়ের পর শেষ হয় বাতচিত ।
মজাক পাইলাম ভাই !!!!!!!!!!!!!!!!!!
০৯ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ১০:৩৯
সোনারবাংলা বলেছেন: হাহাহা...গালি না দিলে ওরা আরো বেশী ডিস্টাব করতো।
৬| ০৯ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ১০:১১
মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: অচেনা মেয়েদের সাথে ফোনে যারা প্রেম করে তারা 'ভদ্রলোক' কিভাবে হয় বুঝলাম না
০৯ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ১০:৩৯
সোনারবাংলা বলেছেন: সহজ-সরল-ভদ্রলোকেরা ওদের ফাঁদে পড়ে।
©somewhere in net ltd.
১|
০৮ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ৯:৩৫
মোমেরমানুষ৭১ বলেছেন: ঠিকই আছে, প্রেমালাপ করার সময় হুশ থাকে না....