![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পেশায় সাহিত্যের শিক্ষক। মতাদর্শে মার্কসবাদী। কোলকাতার বাসিন্দা
বাংলাদেশে বিদ্যুৎ ঘাটতি মেটাতে সে দেশের বিদ্যুৎ উন্নয়ন পর্ষদ ভারত থেকে বিদ্যুৎ কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিভিন্ন ভারতীয় বিদ্যুৎসংস্থার কাছে তারা এ মর্মে প্রস্তাব চেয়ে আবেদন (রিকোয়েস্ট ফর প্রোপোজাল) পাঠিয়েছে। পুরো প্রক্রিয়ায় মধ্যস্থ্যতা করবে কেন্দ্রীয় দুই নিগম এনটিপিসি বিদ্যুৎ ব্যাপার নিগম (এনভিভিএন) এবং পাওয়ার ট্রেডিং কর্পোরেশন (পিটিসি)। রফতানিতে আগ্রহী ভারতীয় সংস্থাগুলিকে ঢাকার কাছে প্রস্তাব পাঠাতে হবে এদেরই মাধ্যমে।
প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ বছর দুয়েক আগে বাংলাদেশ সফরে গিয়ে শেখ হাসিনা সরকারের সঙ্গে বিদ্যুৎ রফতানির চুক্তি সই করে এসেছিলেন। ঠিক হয়েছে, বাংলাদেশ ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করবে ভারত থেকে। ২৫০ মেগাওয়াট জোগাবে এনটিপিসি। বাকি ২৫০ মেগাওয়াট বাংলাদেশের পর্ষদ কিনতে পারবে পছন্দমাফিক যে কোনও সংস্থার কাছ থেকে। ভারতীয় সব বিদ্যুৎ বাংলাদেশে সংবহন করা হবে পাওয়ার গ্রিড কর্পোরেশনের মাধ্যমে। সেই মতো সীমান্তবর্তী মুর্শিদাবাদ জেলার নবগ্রাম ব্লকের দক্ষিণগ্রাম মৌজায় ৩০ একর জমিতে ৪০০ কেভি-র সাবস্টেশন তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্পোরেশন। বাংলাদেশের দিকে সাবস্টেশনটি গড়ে উঠবে ভেড়ামারায়। দুু’টির মধ্যে হাই-ভোল্টেজ লাইন টেনে বিদ্যুৎ রফতানি হবে। ২০১৩ সালের মধ্যে সীমান্তের দু’দিকেই প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো নির্মাণ সেরে ফেলা যাবে বলে আশা করছে কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ মন্ত্রক। পাশাপাশি শুরু হয়েছে বরাত দেওয়ার তোড়জোড়। “আমাদের বলা হয়েছে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ রফতানির জন্য এনভিভিএন এবং পিটিসি মারফত প্রস্তাব পাঠাতে।”
[ আনন্দবাজারের রিপোর্ট থেকে]
প্রতিবেশীর সঙ্গে এরকম সম্পর্কই হওয়া উচিৎ, যার ভিত্তি হবে পারস্পরিক সাহায্য। কিন্তু সম্প্রসারণবাদী মনোভাবের জন্য ভারত প্রিয় এই প্রতিবেশী দেশের অসংখ্য জনগণের কাছে বিরূপভাবে প্রতিভাত হয়। তার ন্যায্যতা আছে। অনেক ঘটনার মধ্যে ফেলানী হত্যার উল্লেখ করা যাক। আমরা কোলকাতাবাসী / পশ্চিমবঙ্গবাসী কি লজ্জায় মুখ ঢাকিনি তার পর ? আমরা এখানে আওয়াজও তো তুলেছিলাম এর বিরুদ্ধে, যদিও সে স্বর সীমাবদ্ধ পরিসরে আবদ্ধ ছিল। যে কোনও অন্যায়, সীমান্ত হত্যা থেকে আর্থিক দাদাগিরি, তার বিরুদ্ধে বিশেষ করে কমিউনিস্ট গণতান্ত্রিক মানুষকে আওয়াজ তুলতেই হবে। বিজেপি বা হিন্দুওয়ালা তো আর তুলবে না সেটা। কমিউনিস্টদের আন্তর্জাতিকতা মাপার কষ্টিপাথর এগুলিই।
যাইহোক দাদাগিরি লোপ পাক, এরকম সাহায্য সহযোগিতা হোক দু দেশের সম্পর্কের ভিত্তি। ভ্রাতৃপ্রতিম বাংলাদেশের পাশে থেকে পশ্চিমবঙ্গ এই কথা বলে যাবে ও পারের মানুষের প্রতি তার অনিঃশেষ আবেগ থেকে।
২| ০১ লা জুন, ২০১৩ সকাল ৯:৩২
পথহারা সৈকত বলেছেন: Suspicious
৩| ০১ লা জুন, ২০১৩ সকাল ১০:০৮
কসমিক রোহান বলেছেন: ওদের কোনকিছুই কোনদিনও ভালো ছিল না। আমাদের দেশের ক্ষতি সাধন ছাড়া কোন উপকারে আসেনি।
৪| ০১ লা জুন, ২০১৩ সকাল ১০:১৫
লিঙ্কনহুসাইন বলেছেন: আমার তো মনে হয় আমাদের চাইতে ভারতে বিদ্যুৎ সমস্যা বেশি
ভারতের কাছ থেকে বিদ্যুৎ সহায়তা নেওয়া মানে খাল কেটে কুমির আনার সমান
৫| ০১ লা জুন, ২০১৩ সকাল ১১:২২
কান্টি টুটুল বলেছেন:
চলমান বাস্তবতায় বিদ্যুতের জন্য ভারত নির্ভরতা হবে নিজের পায়ে নিজে কুড়াল মারার সমান।
৬| ০১ লা জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:১৮
বোকা_ছেলে বলেছেন: varot k bissas korina.... they cant help us.....
৭| ০১ লা জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৬
দূর আকাশের নীল তারা বলেছেন: ভারতের নিজেরই বিদ্যুৎ ঘাটতি আছে। তারা কিভাবে বাংলাদেশকে বিদ্যুৎ রপ্তানী করবে, বুঝলাম না। বিদ্যুৎ সংযোগ নেয়ার কয়েকদিন পর পর বিদ্যুতের দাম বাড়াবে, তখন আমাদের অবস্থা হবে, ছাড়তেও পারছি না, ধরে রাখতেও পারছি না। সরকারকে তখন বাধ্য হয়ে ভতুর্কি দিতে হবে। ভারত আমাদের সাথে কোনদিন বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ করেছে বলে তো মনে পরে না।
৮| ০১ লা জুন, ২০১৩ দুপুর ১:৩৬
বাংলার আকাশ বলেছেন: ভারত কোনো দিনও আমাদের ভাল চায় না, বজ্জাতদের কারনে আমাদের অনেক দেশী শিল্প মরে গেছে ।
৯| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৮:৫৭
সাইফুল আলী বলেছেন: হুম্মম,সৌভিক দাদা যে অন্যান্য ভারতীয়দের থেকে আলাদা সেটা বোঝা গেল।আপনার মনোভাব ভাল লাগলো
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা জুন, ২০১৩ সকাল ৯:২১
কষ্টবিলাসী বলেছেন: সাহায্য কেমনে করবে। ওরা যে-ই কিপ্টার কিপ্টা।