নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আশা নিরাশার দোলনায় আপনাকে স্বাগতম

চরম নৈরাশ্যবাদী ও আশাবাদী দুটোর সংমিশ্রনে আমি সৈকত বলছিঃ সমস্যা ছুড়ে ফেলে ধূর ধূর জ্বালা বলে দেখইনা রুখে তুমি দাড়িয়ে,কেটে যাবে আধার,ছুড়ে ফেল সংস্কার দেখবে জীবন হাত বাড়িয়ে...............।।

আমি সৈকত বলছি

নিজেকে খুজে ফিরি সারাক্ষন।এই পৃথিবীর রাজ পথে,অলি গলি আর চোরা চিপা গলিতে খুজে ফিরি নিরন্তর।এ আমার আত্মার কথাঃ \"হারিয়ে খুজি নিজেকে\" নিজের মাঝেই খুজি নিজেকে।।খুব সাধারন একটা মানুষ,লিখতে ভালোবাসি বলেই লিখি অন্যের লিখা পড়তে ভালোবাসি বলেই পড়ি।ব্লগের সকল লেখকের প্রতি রইলো অজস্র শুভ কামনা ও অগ্রজদের জন্য রইলো স্পেশালি বিনম্র শ্রদ্ধা।♥ভালোবাসি সবাইকে♥

আমি সৈকত বলছি › বিস্তারিত পোস্টঃ

"নির্যাতিত শিশু" এড়িয়ে না গিয়ে পড়ুন,বিবেকের দরজা খুলুন।।।।

২০ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২০

" নির্যাতিত শিশু "



গ্রামে দারিদ্রতার

কষাঘাতে জর্জরিত এক পরিবারে জন্ম

শারমিনের।পরিবারের এত

ছেলেমেয়ের ভরণ-পোষণ

চালাতে না পেরেই বাধ্য হয়ে নিজের

আদরের মেয়ে শারমিন কে এক আত্মীয়র

মাধ্যমে ফেনী শহরের উকিল পাড়ায়

পেট্রোবাংলার কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম

রানার বাসায় গৃহপরিচারিকার

কাজে দিয়ে দেন।অনেক স্বপ্ন ছিল

তার,সন্তানদের

পড়ালেখা শিখিয়ে শিক্ষিত করবেন

কিন্তু তারমত দারিদ্র্যের

কষাঘাতে জর্জরিত মানুষের

কাছে তা ছেঁড়া কাথায় শুয়ে লাখ

টাকার স্বপ্ন দেখার মতই।যেদিন

মেয়েকে দিয়ে এসেছিলেন রানার

বাসায়.....মেয়ে শারমিন

তাকে ধরে অসহায়ের মত কেঁদে বলছিল

বারবার," বাজান আমি এইখানে থাকুম

নাহ,আমি তোমাগো লগে থাকুম"মেয়ের

কথায় সেদিন চোখের

পানি ধরে রাখতে পারেন

নি তিনি তাই মেয়ের অলক্ষ্য

কাদতে কাদতে বাড়ি ফিরেছিলেন।

সেদিন থেকেই শুরু হয় শারমিন নামের ৯

বছরের গ্রাম্য অবুঝ শিশুর

শহুরে জীবিকা নির্বাহের গল্প।কিন্তু

বলে না,শহরের ইট পাথরের গড়া শক্ত

দেয়ালগুলোর মতই শহরের মানুষদের মন।

কয়েকদিন পর থেকেই শিশু শারমিনের

উপর নেমে আসে নির্যাতনের খড়গ। গৃহস্থ

নজরুলের স্ত্রী প্রিয়া আকতার তার উপর

চালাতে থাকে নির্যাতনের স্টীম

রোলার।অল্প স্বল্প কিছুতেই হাত

তুলতে দ্বিধা করতেন না প্রিয়া।

তবে তার অত্যাচার মধ্যযুগীয়

বর্বরতাকেও হার মানায়। খুন্তি তপ্ত

আগুনে গরম করে ছ্যাকা দিতেন

শারমিনে মুখমণ্ডলসহ শরীরের বিভিন্ন

জায়গায়।গরম খুন্তির ছ্যাকা লাগতেই

ছ্যাৎ করে জ্বলে উঠত ঐ জায়গাটা আর

শারমিন যন্ত্রনা সহ্য

করতে না পেরে কেদে উঠত,আর তার এই

যন্ত্রণা দেখে প্রিয়া আক্তারের

মুখে পৈশাচিক হাসি ফুটে উঠত।শারমিন

কাঁদতে চাইলে প্রিয়া আক্তার বলতেন,"

খবরদার কাদবি না,কাদলে আমার

মেয়ে ঘুম থেকে উঠে যাবে " --

একথা বলেই গুতো দিতেন শিশু

শারমিনের বিশেষ অংগে............

এভাবেই আবার চলত তার নির্যাতন আর

পৈশাচিক হাসির খেলা,এভাবেই শিশু

শারমিন বর্ণনা দেয় তার উপর

চালানো নির্যাতনের বর্ণনা।

অবশেষে শনিবার রাতে , স্থানীয়

এলাকাবাসীর সহায়তায় শিশু শারমিন

মুক্তি পেয়েছে এই নির্যাতনের হাত

থেকে,এলাকাবাসী শুধু তাকে মুক্তই

করে নি বরং নজরুল ইসলাম রানার

বাড়ি ঘেরাও

দিয়ে প্রিয়া আক্তারকে পুলিশে সোপর্দ

করে।শিশুটি এখন ফেনী জেলা সদর

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন

রয়েছে,চিকিৎসক ডা.গোলাম মাওলার

মতে মেয়েটার পুড়ে যাওয়া শরীরের

স্থান সমূহে ফোসকা পড়ে গেছে,এজন্য

তার উন্নত চিকিৎসা চলছে।ফেনীর

বিভিন্ন সমাজসেবা প্রতিষ্ঠান

হতে শিশু শারমিনের জন্য অর্থ বরাদ্দের

দাবি উঠানো হয়েছে এবং আসামী গৃহকর্ত্রী প্রিয়া আক্তারের

দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির

দাবি জানানো হয়েছে।হাসপাতালে

কিছুক্ষন পর পরই শিশু শারমিন যন্ত্রনায়

কেঁদে উঠে।এমনি অনেক শিশু আমাদের

চারপাশে রয়েছে যারা পেটের

দায়ে দু বেলা দু মুঠো ভাতের আশায়

বাসা বাড়িতে কাজ করে।আমরা যেমন

আমাদের সন্তানদের,ছোট ভাইবোনদের

স্নেহ করি ঠিক

তেমনি করে এরা কারো না কারো আদরের

সন্তান,কলিজার

টুকরা,কারো না কারো আদরের ভাই

বোন।একটু ভেবে দেখুন, পেটের দায়েই

তো সে আজ অন্যের বাড়িতে কাজ

করতে এসেছে।যে বয়সে আমার আপনার

সন্তান স্কুলে যায়

সে বয়সে তারা হয়তো আমার আপনার

বাড়ির কোন কোণায়

বসে নিরলসভাবে ক্ষুধা মেটানোর জন্য

কাজ করে যাচ্ছে।অথচ

প্রিয়া আক্তারের মত এমন অসংখ্য মানুষ

আছেন যারা সন্তানের

জননী হয়ে অন্যের সন্তানের উপর

পৈশাচিক নির্যাতন

চালাতে দ্বিধা করেন না।

হায়রে মানুষ আর

কবে হবি তোরা মানুষের মত মানুষ,

কিভাবে পারিস নিজের সন্তানের

বয়সী অতটুকু বাচ্চাকে খুন্তির

ছ্যাকা দিতে।



জানতে ইচ্ছে করে প্রিয়া আক্তার

কি কোন মানুষের গর্ভে জন্মেছেন

না কি কোন পিশাচিনীর গর্ভে!!!!!উত্তর

টা আপনাদের হাতেই ছেড়ে দিলাম।

যদি এমন কোন মানুষ থাকেন যার মধ্য

বিবেক আর মনুষত্য রয়েছে,প্লিজ

দয়া করে এগিয়ে আসুন আমরা

রাস্তায় নেমেছি মেয়েটাকে সুস্থ

দেখার জন্য অর্থ সংগ্রহে,যদি কোন ভাই

বোন এই অসহায়

বাচ্চা শিশুটি কে সাহায্য করে তার

সুস্থতায় এগিয়ে আসতে চান প্লিজ

নিম্নে লিখিত বিকাশ

নাম্বারে যে যা পারেন সাহায্য

করেন,

শারমিনকে বাচাতে এগিয়ে আসুন।



বিকাশ নম্বর : ০১৬৭৯৩৫১৮০০...



বিঃদ্রঃ প্রতিটি শিশুর শিশুকাল হোক

নিরাপদ,মধুর ও প্রাণচঞ্চল......... আসুন আজই

রুখে দাড়াই শিশু নির্যাতনের

বিরুদ্ধে আর ফুটতে দেই নতুন

একটি কুড়ি কে....................................

--------------- ফেইসবুকের এক ফ্রেন্ডের বদৌলতে আমি ব্যাপারটি জানতে পারি এবং জানার পর আমি ফেনীর ছেলে হিসেবে মেয়েটির সাহায্যার্থে এগিয়ে যেতে বিবেকের তাড়না অনুভব করছি।



দয়া করে এগিয়ে আসুন।।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.