![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ৪০ পাওয়া ক্লাশের সেই ছাত্র যার বাবা ছেলে ৪০ পাওয়ার খুশী তে গাড়ি কিনে আনে। ভুল বুঝবেন না মোটেও। যা দেখবেন সব ফাপড়, আলগা পার্ট। আমি ভবঘুরে অথবা নষ্ট একটি ছেলে। মেধাবী কিংবা জিনিয়াস হওয়ার খেলায় আমি অংশ নেই না।
মধ্যবিত্ত ঘরের সন্তান। বাবা-মার কাছ থেকে গাড়ি কিংবা বাইক পাওয়ার সৌভাগ্য হয়নি। সখ্যতা নেই বড়লোক বাবার একমাত্র মেয়ের সাথে।
স্বাভাবিকভাবেই বাসে চড়ে নিয়মিত চলাচল। যদিও শিতকালে সাইকেলিং করি কিন্তু গ্রীষ্মে শরীর সায় দেয় না।
যাইহোক, মূল কথায় আসি। জানি, লেখাটি পড়ার পরে অনেকে আমার উপর রাগ করবেন বা মনে কষ্ট পাবেন। কিন্তু এটা মাথায় রাখবেন, বাস্তবতাটা বড় কঠিন।
প্রায়ই দেখা যায় বাসে কন্ডাক্টারের সাথে যাত্রীদের ঝগড়া লেগে যায়। তাদের বিরুদ্ধে কখনও বেশী ভাড়া নেওয়ার দাবি, আবার কখনওবা রাস্তায় অপেক্ষা করে যাত্রী তোলার অভিযোগ। আবার প্রায়ই দেখা যায় তাদের শিক্ষার্থীদের হাতে পিটুনি খেতে।
ঘটনাগুলো প্রতিনিয়ত ঘটছে আমাদের চারপাশে। একটু চোখ কান খোলা রাখলেই দেখতে পারবেন।
অধিকাংশ পরিবহন শ্রমিক আছেন যারা প্রায় টানা ১৮ থেকে ২০ ঘন্টা গাড়িতেই থাকেন। যার ফলে পরের দিন তাদের পক্ষে আর কাজে যাওয়া সম্ভব হয় না। ফলে তারা চেষ্টা করেন দুইদিনের টাকাটা একদিনেই উঠিয়ে নিতে। তাই তারা একটু বেশি যাত্রী বাসে উঠাতে চান। এতে করে প্রতিদিনই ***কির ছেলে, শু** বাচ্চা, কু*** বাচ্চা প্রভৃতি গালি শুনতে হয়। এর সাথে কখনও পিটুনি ফ্রী থাকে।
এবার একটু নিজের দিকে খেয়াল করুন। আপনি হয়ত হবেন একজন চাকুরিজীবি কিংবা শিক্ষার্থী। প্রথমে ধরে নিলাম আপনি শিক্ষার্থী। আপনি পড়াশোনা করছেন কি জন্য? জানি এ প্রশ্নের উত্তরে অনেকে অনেক স্মার্ট উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু মোদ্দা কথাটা হল, ভালো একটা চাকরি এবং ভালো অ্যামাউন্টের একটা বেতন।
ধরে নিলাম এবার আপনি একজন চাকুরিজীবি। আপনার বেতন যাই হোক না কেন, আপনার চেষ্টা থাকে আরো একটু বেশী বেতন পাবার।
আপনার যদি এই প্রত্যাশা থাকে তবে একজন পরিবহন শ্রমিকের থাকলে ক্ষতি কী? নাকি সত্যি সত্যি তারা মানুষের বাচ্চা না? তাদেরও সংসার আছে। তাদেরও দুমুঠো খেতে হয়।
বাস একটু থেমে যাত্রী তুললেই আপনার অফিসে দেরী হয়ে যাবে কিন্তু বউয়ের সাথে সকাল ৯টা পর্যন্ত ঘুমাতে বেশ ভালো লাগে যেখানে আপনার অফিসে পৌঁছাতে হবে ১০ টার মধ্যে।
আর ভাই প্রতিদিন কোন স্কুল, কলেজ কিংবা বিশ্ববিদ্যিলয়ে পরীক্ষা হয় না। আপনি যখন জানেনই আপনি রাত জাগলে সকালে তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠতে দেরী হবে তথা ক্লাশে যেতে দেরী হবে, রাতে না হয় আড্ডাটা* কমই দিলেন।
এবার একটু অন্য প্রসঙ্গে আসা যাক। কাউন্টার বাস সার্ভিসগুলোতে ঘটা একটা দৈনন্দিন ঘটনা। প্রায়ই দেখা যায় টিকিট না কেটেই বাসে উঠে পড়ছেন বাসে। টিকিট চাইলে বলছেন টিকেট লাগবে না। হাফ টিকেটেও রয়েছে আপত্তি। এর বেশি কথা হলেই ধরে পিটুনি।
৯ টাকা দিয়ে ব্যানসন খেতে আপনার সমস্যা নেই। কেএফসি বিএফসিতে বন্ধু বন্ধুনী নিয়ে ঘুরতেও আপনার কোন সমস্যা নেই। যত সমস্যা ঐ বাসে উঠলেই। তখন আপনার ছাত্রত্ব জেগে ওঠে।
আরে ভাই যদি নিজে টাকা আয় করেনতো ভালো। আর না হলে বাড়ি থেকেতো বাবা-মা টাকা দিচ্ছেই। আর যদি সেটাও না থাকেতো কন্ডাক্টারকে একবার বলুন, সে নিশ্চই আপনাকে রেখে চরে যাবে না। শুধু শুধু মা-বাবাকে গালি শোনানোর কোন মানে হয় বলুন?
## অনেকদিন পর আজ লিখতে বসলাম (যদিও খুব কম লিখি )। ভুল হলে আমি ক্ষমাপ্রর্থী।
০৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৩:৪০
বঙ্গপুত্র বলেছেন: ভালো বলেছেন। কিন্তু আমাদের সহ্য ক্ষমতা দিন দিন কেমন তলানীতে এসে ঠেকেছে। অনেক বেশি সেলফ সেন্টারড্। নিজের প্রয়োজনটাই বড়!
২| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১০:১৪
সোহেল১৯৭৫ বলেছেন: আপনার মত সবার চিন্তা করা উচিত....
০৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৮:৪৯
বঙ্গপুত্র বলেছেন: চেষ্টা করুন। সবাই পারবে ...
৩| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:৩২
লুৎফুল ইসলাম বলেছেন: ভাইজান আপনাকে ধন্যবাদ।আপ নি নিশ্চয় সারাদিন বাসে কাটানোর পরিকল্পনা নিয়ে বাসে উঠেননা।অবশ্যই কোননা কোন কাজে বাসে আপনাকে চড়তেই হয়। সময়ের চেয়ে বেশীক্ষন বসে থাকলে আপনিও বিরক্ত হবেন।তবে সবাই কে ধৈর্যশীল হতে হবে।
০৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৮:৫৩
বঙ্গপুত্র বলেছেন: ভাইয়া, আপনি যখন ট্রাফিক জ্যামে ঘন্টার পর ঘন্টা বসে থাকেন, তখন কোন যুক্তিটা কাজে আসবে বলবেন? আর বেশির ভাগ সময় সর্বোচ্চ ৫-৭ মিনিট সময় নেয়। আর হ্যাঁ, ট্রাফিক জ্যাম? এক্ষেত্রে মানুষের অভিযোগের শেষ নেই। সরকারের গুষ্টি উদ্ধার করে ফেলেন অনেকে। আরে ভাই, ট্রাফিক জ্যাম কেন হয়? বাসের জানালা দিয়ে একটু বাইরে ভালোকরে তাকালেই বোঝা যায়।
৪| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:৫৫
দীপ্তিহীন সূর্য বলেছেন: ৯ টাকা দিয়ে ব্যানসন খেতে আপনার সমস্যা নেই। কেএফসি বিএফসিতে বন্ধু বন্ধুনী নিয়ে ঘুরতেও আপনার কোন সমস্যা নেই। যত সমস্যা ঐ বাসে উঠলেই।
©somewhere in net ltd.
১|
০৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৩:৩৫
সীমানা ছাড়িয়ে বলেছেন: আসলে সমস্যাটা দুই পক্ষেই। বাস চালক এবং কন্ডাকটরেরা এমন খারাপ ব্যবহার করে যে ওদের সাথে ভাল ব্যবহারের চিন্তাও মাথায় আসে না। পারষ্পরিক শ্রদ্ধাবোধ না থাকলে এমন ঘটনা চলতেই থাকবে। আমার মতে সিটিং, বিরতিহীন - এসব উঠিয়ে দেয়া উচিত। আমি বাংলাদেশের বাইরে কখনো সিটিং বা বিরতিহীন দেখি নাই। এইসব সিটিং বিরতিহীনের কারনেই বেশি ঝামেলা হয়। এসব ঝামেলা উত্তরনের জন্য যাত্রী এবং বাস-স্টাফ দুই পক্ষেরই আন্তরিকতার প্রয়োজন আছে।