নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অন্তরে-বাহিরে বাংলা

রুদ্র হুমায়ূন

"সত্য যে কঠিন; কঠিনেরে ভালবাসিলাম, সে কভু করেনা বঞ্চনা" ফেবুঃ https://www.facebook.com/humayundmc

রুদ্র হুমায়ূন › বিস্তারিত পোস্টঃ

সত্য ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত হরর গল্প

০২ রা জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:১৮

মাকছুদা আক্তার মালা; সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার ডুমুরমুছা গ্রামের পশ্চিম পাড়ার মেয়ে। বয়স ৮ বছর। ২০০৮ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর রাত ৮টার সময় কল ঘরে তার বাবাকে খাবার দিয়ে বাড়ি ফিরছিল মালা। ওদের বাড়ি থেকে কল ঘরে হেঁটে যেতে প্রায় মিনিট পাঁচেকের মত সময় লাগে। রাস্তাটা পুরোটাই ফাঁকা। মাঝখানে একটা ছোট কবরস্থান ছাড়া ভয় লাগার মত তেমন কিছু নেই।



চারদিক নিস্তব্ধ। নিকষ কাল অন্ধকারে নিজের হাতটাও দেখা যাচ্ছেনা ভালমতো। দূরে কোথায় যেন একটা কুত্তা বিলাপ করার মত সুর করে কাঁদছে। আগেও এই কবরস্থানের পাশদিয়ে অনেকবার বাবার কাছে গিয়েছে মালা। কিন্তু আজকের মত ভয় কোনদিন লাগেনি তার। কেমন জানি একটা ভয়ংকর পরিবেশ চারদিকে। কবরস্থানটি আজকে কেন যেন অপার্থিব মনে হচ্ছে। মনে হচ্ছে অসংখ্য ছায়ামূর্তি যেন সারি সারি বসে আছে রাস্তার দুপাশে। জাম গাছটার কাছে কিসের যেন একটা ছায়া হঠাৎ নড়ে উঠল। আস্তে আস্তে বড় হচ্ছে ছায়াটি। হ্যাঁ, ছায়াটি তার দিকেই আসছে। আতংকিত মালা ছুটে পালাতে যাবে ঠিক এমন সময় একটি লোমশ হাত শক্ত করে চেপে ধরে মালার মুখ। প্রচণ্ড আতংকে জ্ঞান হারায় মালা।



মালা চোখ খুলে দেখতে পায় প্রকাণ্ড এক নরপশু তার উপর চেপে বসে আছে। তার পাজামাটা খোলা। মালা তখনও বুঝতে পারেনি কি হতে যাচ্ছে। লোমশ হাতটা ধীরে ধীরে নিচে নামছে। মালা ইচ্ছে করলেই ডাকতে পারে তার বাবাকে। এখান থেকে কল ঘরটা দেখা যাচ্ছে। কিন্তু তা সম্ভব না। লোমশ হাতটা তার নাক ও মুখ চেপে ধরে আছে। দম বন্ধ হয়ে আসছে মালার। আকাশের তারাগুলো যেন একটি একটি করে নিভে যাচ্ছে, সমস্ত শব্দ কোথায় যেন মিলিয়ে যাচ্ছে।



নাহ। আর কোন শব্দ নেই, আর কোন তারা নেই।

বিরক্তিতে গা জ্বলছে সাহেদুলের। কাজ শেষ হবার আগেই মরে গেল জিনিষটা! মড়াটার উপরই বাকিটুকু এপ্লাই করমু নাকি? নাহ থাক।



পরদিন সকালে মালার বাবার কল ঘরের পাশের ধান ক্ষেতে পাওয়া যায় মালার লাশ। ময়না তদন্তের রিপোর্ট ছিল- ধর্ষণের পর হত্যা করা হয় মালাকে।



এই গল্পের শিক্ষণীয় বিষয়ঃ রাতের বেলা মেয়েদের বাইরে যেতে নেই, মেয়েদের পর্দা মেনে চলতে হবে; হো'কনা সে ৪ বছরের মেয়ে। অন্যথায় রেইপ হতে হবে মেয়েদের। আর এতে ছেলেদের কোন দোষ থাকবেনা।



তথ্যসুত্রঃ http://www.banglanews24.com (02-01-2013)

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:২৬

এম এম ইসলাম বলেছেন: তাহলে কি গ্রাম দেশের মেয়েদের বরকা পড়ে কলপাড়ে, টয়লেটে যেতে হবে। শুধু পর্দা মেনে চললেই কি সে রক্ষা পাবে?

০২ রা জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৩৪

রুদ্র হুমায়ূন বলেছেন: আমিও তো তাই ভাবছি। এই কথাটাই তথাকথিত ধার্মিকদের কে বঝায়!!!

২| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৪৬

সময়একাত্তর বলেছেন: পক্ষে-বিপক্ষে অনেক মত। তবে সমাধানে প্রয়োজন মানসিকতা পরিবর্তন আর সেজন্য দরকার সুষ্ঠু পারিবারিক ও প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা, মূল্যবোধ ও সুস্থ সমাজব্যবস্থা এবং কঠোর আইন। পরিধেয় ধর্ষণের মূল কখনোই নয়। এটা ধর্ষকামীর বাহানামাত্র।

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৩

রুদ্র হুমায়ূন বলেছেন: আমি আপনার সাথে একমত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.