![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
"সত্য যে কঠিন; কঠিনেরে ভালবাসিলাম, সে কভু করেনা বঞ্চনা" ফেবুঃ https://www.facebook.com/humayundmc
অদ্য হইতে অনেক অনেক কাল পর- পৃথিবীর সবাই যখন পাক্কা ধার্মিক হইয়া যাইবে, নাস্তিকের একখানা বালেরও (চুল শব্দটা হিন্দিতে উচ্চারন করিলাম বইলা মাইন্ড খাইয়েননা) অস্তিত্ব থাকিবেনা এই বসুন্ধরায়। তখন সানি লীওন নামক বিশাল একখানা হারিকেন আঘাত হানিবে এই পৃথিবীতে। তছনছ হইয়া যাইবে বর্তমান সভ্যতা, হারাইয়া যাইবে শিল্প, বিজ্ঞান ও সভ্যতার যাবতীয় নথী। উল্লেখ্য- ওই মহাপ্রলয়ে একজন ধার্মিকও মরিবেনা। প্রত্যেক ধর্মের অনুসারীকে তাদের স্ব- স্ব ঈশ্বর কুনো না কুনো ভাবে বাঁচাইয়া রাখিবেন।
ধরা যাক, তখন সময়টা ৫০৫০ সাল। উক্ত প্রলয়ের পর সমস্ত পৃথিবী হিম শীতল হইয়া গেছে; নাই হইয়া গেছে সমস্ত আইন, বিদ্যুৎ, বিজ্ঞান, দালানকোঠা। পৃথিবী শাসন করিতেছে সকল ধর্মের সম্মিলিত বিশেষ একটি শক্তি।
৫০৫০ সালের ২৫ এপ্রিল ধরণীর বিভিন্ন এলাকায় ৪ জন ইয়ো ইয়ো ব্যাবি জন্ম গ্রহণ করিল। অতঃপর তারা বড় হইল, অনেক কিছু জানিল। এরপর তারা একসাথে ইউরেকা, ইউরেকা কইয়া চিল্লাইতে চিল্লাইতে রাজ দরবারে ( যেখান হইতে পৃথিবী শাসন করা হইতাছে) হাজির হইল।
১ম ব্যক্তিঃ একখানা জিনিষ আবিস্কার করিয়াছিলাম। জাহাপনার মর্জি হইলে পেশ করিতাম।
মহারাজঃ নাম বাতাও।
১ম ব্যক্তিঃ আজ্ঞে স্টিফেন হকিং।
মহারাজঃ আরজি পেশ কর।
১ম ব্যক্তিঃ আজ্ঞে জনাব, আমি মনেহয় বুঝিতে পারিয়াছি মহাবিশ্বের সৃষ্টি কিভাবে হইল।
মাহারাজঃ (চোখ পাকাইয়া) মহাবিশ্ব কিভাবে হইল তুমি বুঝিতে পারিয়াছ? তা বলতো শুনি ইহা ক্যামনে পয়দা হইল?
১ম ব্যক্তিঃ ইয়ে মানে বহুকাল আগে মহাবিশ্ব একখানা ক্ষুদ্র বিন্দু ছিল। এরপর প্রচণ্ড এক বিস্ফোরণের পর প্রসারিত হইতে থাকে বিন্দুটি। প্রসারিত হইতে হইতেই আমাদের আজকের এই পৃথিবীর ও অন্যান্য গ্রহ উপগ্রহের জন্ম। আমি ওই বিস্ফোরণের নাম দিয়াছি বিগব্যাং।
মহারাজঃ তার মানে তুমি কইতে চাইতাছ বিগ ব্যাঙ কিংবা বিগ সাপ নামক বিস্ফোরণ হইতে মহাবিশ্বের সৃষ্টি?
১ম ব্যক্তিঃ আজ্ঞে হ্যাঁ জনাব।
মহারাজঃ কোথায় মন্ত্রী, বন্দি কর এই কুলাঙ্গারকে। আর কাল সূর্যোদয়ের আগেই কতল কর একে। এই ভণ্ড ভুইলা গেছে সৃষ্টিকর্তাকে। সৃষ্টিকর্তা উচ্চারন করিয়াছিলেন "কুম" আর সাথে সাথে সৃষ্টি হইয়াছিল এই দুনিয়ার। আবার তিনি উচ্চারন করিবেন "ধুম" তখন সাথে সাথেই ধ্বংস হইবে সবকিছু।
২য় ও ৩য় ব্যক্তির রাজসভায় প্রবেশ।
মহারাজঃ কি চাও তোমরা? নাম কি?
২য় ব্যক্তিঃ আজ্ঞে আমার নাম অরভিল রাইট ওর নাম উইলবার রাইট। আমরা একখানা যন্ত্র কল্পনা করিয়াছি যাহার দ্বারা আকাশে উড্ডয়ন করা যায়।
মহারাজঃ বন্দি কর আর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়া দাও এদের। এরা দেবদেবীদের অসম্মান করছে। এরা কি জানেনা দেবদেবী এবং পক্ষী ছাড়া আর কাউরেই আকাশে উড্ডয়নের ক্ষমতা দেয়নি ঈশ্বর?
৪র্থ ব্যক্তির রাজসভায় প্রবেশ।
৪র্থ ব্যক্তিঃ আজ্ঞে মহারাজ, আমি এরভিন স্রোডিঞ্জার। আমি একখানা সমীকরণ আবিস্কার করিয়াছি। নাম দিয়াছি বিড়াল সমীকরণ।
(লম্বা সময় ধইরা মহারাজকে উক্ত সমীকরণের বিষয়বস্তু বুঝাইল স্রোডিঞ্জার)
মহারাজঃ আজকে কয় পুরিয়া গাঁজা টানিয়াছ স্রোডিঞ্জার? বাইবেল, কোরানের কি কোথাও উল্লেখ আছে এমন উদ্ভট কাহিনীর? এরেও বন্দি কর মন্ত্রী। আর কাল সূর্যোদয়ের আগেই ফাঁসিতে ঝুলাও এই নেমক হারামকে।
সূর্য উদিত হইবার পূর্বেই সবাইকে মৃত্যুদণ্ড ও যাবজ্জিবন দেওয়া হইল। পরদিন আইন কইরা নিষিদ্ধ করা হইল সমস্ত মুক্ত চিন্তা ও গবেষণাকে। অতঃপর সুখে শান্তিতে বসবাস করিতে লাগিল ৫০৫০ সালেই সেই জাতি।
২| ১৪ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:৪৫
এই সব দিন রাত্রি বলেছেন: অল্প বিদ্যা ভয়ংকরী!
৩| ১৪ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:১১
রাতপাখি বলেছেন: Click This Link
৪| ১৪ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:২৭
আয়রন ম্যান বলেছেন: আপনার এই পোষ্ট সকল ধর্মের মানুষের ধর্মীয় বিশ্বাসে আঘাত করে।
যাক আপনেরে আর আমার কিছুই বলার নাই
জয় নাস্তিকতা ..............
৫| ১৪ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:৪৩
রাজীব বলেছেন: সরকার তদন্ত কমিটি গঠন করেছে, ব্লগ ও ফেসবুকের উপর নজর রাখার জন্য।
অতএব সাবধান!!!
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:৩৬
ব্লগার রানা বলেছেন: মনে হচ্ছে আপনার মাথায় নতুন বাল/চুল গজান আরম্ভ হইছে