নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এসো---ছোঁও--- সম্পূর্ণ পাথর হয়ে গেছি কিনা দেখো।

স্পর্শিয়া

স্পর্শিয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

২৫শে নভেম্বর!! বিশ্ব নারী সহিংসতা দূরীকরণ দিবস- শুধু এ দিনটি নয়, বছরের প্রতিটি দিন নারীর প্রতি সহিংসতা - না বলুন

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৩২


আপনি কি দেখেছেন? গলে পড়া চোখ, কুঁচকে যাওয়া চামড়াবৃত মুখ বা কারো গলা, হাত, পা, বুক পিঠের শুস্ক দগ্ধ অনাবৃত অংশটুকু। চোয়াল গলে বেরিয়ে পড়া দাত। বিভৎস্য চেহারার এই মানুষগুলোকে কি দেখেছেন আপনি কখনও? হয়তো দেখেছেন, পত্রিকার পাতায় কিংবা টিভিতে খবরের ভিডিও ফুটেজে অথবা কোনো প্রামান্য চিত্রে, আর্ট ফিল্ম বা কোনো বিদেশী সাহায্যের ডকুমেন্টারী ছবির দৃশ্যে। হয়তো শিউরে উঠেছেন, চোখ ফিরিয়ে নিয়েছেন বা দ্রুত আপনা আপনি চোখ বন্ধ হয়ে এসেছে আপনার। আপনার কিশোরী মেয়েটির দিকে তাকিয়ে কেঁপে উঠেছে বুক। আপনার তরুণী বোনটির কথা ভেবে কাঁটা হয়ে উঠেছেন আপনি, ভেবেছেন, এক মুহুর্তের জন্যও মাথায় এসেছে একটি বিস্ময়, এ কোন সমাজে বাস করছি আমরা!

যারা অনেক সাহস সঞ্চয় করে তাকিয়ে থেকেছেন সেসব দৃশ্যে হয়তো দু'চোখে জলও গড়িয়ে পড়েছে কারো কারো। ভেবেছেন কি করে এই দুঃসহ অসহনীয় জীবন বহন করছেন তারা। শুধু সৌন্দর্য্য নয়, বাহ্যিক সৌন্দর্য্যের সাথে সাথে ওদের ভেতরের মনটাও মরে গেছে অনেক আগেই। ওরা হারিয়েছে ওদের সোনালী অতীত, বর্নীল ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখতে ভুলে গেছে তারা অনেকেই। এখন ওরা পার করছে প্রথম জীবনে ফেলে আসা সকল সুন্দর পেরিয়ে এক বিভিষিকাময় দ্বিতীয় জীবন। আপনি জানেন না, এ যাতনা কারো পক্ষে অনুধাবন করাও সম্বব নয়, জানে শুধু তারাই কি যাতনা কোনোরূপ কলঙ্ক না করেও সে কলঙ্কিত জীবনের।

অথচ ওদের এই বিভিষিকাময় জীবনে টেনে আনলো কারা? আপনার আমার মতই দেখতে তারা। মানুষেরা। তাদের নাম মানুষ, মানুষের মতই দুটো হাত, পা চোখ মুখ রয়েছে তাদের কিন্তু ভেতরের মনটা মানুষের নয়। পশুর। তারা মানুষরূপী নরপশু। তারা এই নৃশংশতম এসিড সন্ত্রাসী পশু। হিতাহিত জ্ঞান, ভালো মন্দ, দোষ ত্রুটি, ন্যায় অন্যায় কিছুই যাদের হৃদয়ে কাজ করেনা। প্রতিহিংসা পরায়ন নির্বোধ এই পশুগুলিই ঘটিয়েছে এই নৃশংসতম অপরাধ।

এসিড সন্ত্রাস। বাংলাদেশের নারীর প্রতি ঘটে চলা সকল নির্যাতনের নিকৃষ্টতম রুপটিই বুঝি এই এসিড সন্ত্রাস। এ সন্ত্রাসের শিকার মূলত নারীরা। অধিকাংশ সময় প্রেম প্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় অশিক্ষা কুশিক্ষা ও নীতিগত শিক্ষাহীন পুরুষ ঝলসে দিচ্ছে নারীর সুন্দর মুখ। ঘৃন্যতম এসব নরপশুদের নেই বিবেক, বোধ, লজ্জা, বুদ্ধি কিংবা জ্ঞান। এসিড হামলা ছাড়াও ধর্ষণ, পথে-ঘাটে উত্যক্ত করা, অপহরন কিংবা নারী পাচার এসবই নারীর প্রতি সহিংসতা। শুধু তাই নয় গালমন্দ, গঞ্জনা, অশালীন আক্রমন, অতি সামান্য দোষে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য, মারধোর সকলই নারীর প্রতি সহিংসতার নৃশংসতম রূপগুলি। বেশিভাগ ক্ষেত্রে নারী লুকিয়ে ফেলে এসব গালমন্দ বা মার ধোরের মত নৃশংসতাগুলিকে। তবে এসিড সন্ত্রাসের শিকার মানুষগুলির সম্ভব নয় সেসব লুকিয়ে ফেলা বা স্বাভাবিক জীবনে আর কখনও ফিরে আসা। এসব মানুষগুলিকে দেখলে বোঝা যায় আমরা মানুষরুপী কিছু নরপশু মনুষত্ব ভুলে কি নিদারুন পশুত্ব ধারন করে রাখতে পারি। পশুরাও বুঝি এমন নিষ্ঠুরতা কখনও দেখাতে পারবেনা। লজ্জা পাবে তারাও।

এসিড সন্ত্রাসের কিছু কারনসমূহঃ-
১) প্রেমে প্রত্যাখ্যান
২) বিবাহ- বিচ্ছেদ
৩) জমি জমা, টাকা পয়সা সংক্রান্ত বিবাদ
৪) মনোমালিন্য বা ঝগড়া-বিবাদ
৫) পারিবারিক প্রতিহিংসা ইত্যাদি
৬)যৌতুক
৭)যৌন সম্পর্কে অসম্মতি

নারী পুরুষ নির্বিশেষে যে কোনো মানুষের জীবনেই ঘটতে পারে এসব কারনগুলো তথাপি এসিড সন্ত্রাসের শিকার মূলত নারীরা। কারণ আমাদের সমাজে নারীকে হেয় করা ও অপবাদ দেওয়া খুব সহজ। এতে আক্রমনকারী পূর্ব থেকেই আত্মতৃপ্তি লাভ করে ফেলে। তারা বিবেক বুদ্ধি ও ন্যায় অন্যায় জ্ঞান হারায়। বেছে নেয় এই কুৎসিৎতম পন্থা।

এসিড আক্রমণের ফলাফলঃ-
এসিড সন্ত্রাসের পরিণতিতে একজন নারীর শারীরিক, মনস্তাত্ত্বিক এবং সামাজিকভাবে যে ভয়াবহতার শিকার হন তা একমাত্র ভুক্তভোগী ছাড়া অন্য কারো পক্ষে উপলব্ধি করা সম্ভব নয়। সাধারণ মানুষ এক্ষেত্রে শুধুমাত্র সহানুভূতি জানাতে পারে কিন্তু সমব্যথী হওয়া কখনও সম্ভব নয়। এসিড নামক রাসায়নিক এ দাহ্যপদার্থটির ভয়াবহতা এতটাই যে তা চামড়া ভেদ করে তা হাড় পর্যন্ত গলিয়ে দেয়।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও এসিড সারভাইভার্স ফাউন্ডেশন এর হিসাব অনুযায়ী ১৯৯৯ সালের মাঝামাঝি থেকে ২০১২ সালের শেষার্ধ্ব পর্যন্ত সারাদেশে ৩ হাজার ৮৬টি এসিড নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। আর এতে আহত হয়েছে অন্তত ৩ হাজার ৩৯২ জন। এদের প্রায় সবার নাক ও চোখসহ মুখমন্ডল এবং শরীরের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ মারাত্মকভাবে ঝলসে যাওয়ায় জীবন এক কষ্টকর উপাখ্যানে পরিণত হয়েছে।
বাংলাদেশ সরকার এই ধরণের অপরাধের বিরুদ্ধে সামাজিকভাবে সচেতনতা সৃষ্টি ও এসিড দগ্ধদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য বেশ কিছু উদ্যোগ ও আইন প্রণয়ন করেছে। এসিড সহিংসতা রোধে এসব আইন ও এ সংক্রান্ত বিধিমালা হলেও দেশে এসিড সন্ত্রাস সেভাবে কমেনি।
বাংলাদেশের দণ্ডবিধি অনুযায়ী এসিড ছোড়ার শাস্তি হিসেবে রয়েছে সর্বনিম্ন ৭-১২বছরের জেল বা সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। এই আইন বিদ্যমান থাকলেও অনেক সময় আইনের অপর্যাপ্ততা ও প্রয়োগ না করার কারনে এসিড নিক্ষেপকারী দিব্যি ঘুরে বেড়ায়। পরিসংখ্যানে দেখা যায়, শতকরা ৩০ভাগ এসিড নিক্ষেপকারী দোষী স্বাব্যস্ত হলেও উচ্চাদালতে তাদের আপিলের কারনে দণ্ড স্থগিত হয়ে যায়। বর্তমানে প্রায় ৩০০ টি মামলা নিম্ন আদালতে প্রক্রিয়াধীন আছে। পুলিশ সদস্যদের দুর্নীতি ও তথ্যের অপর্যাপ্ততার কারনে অধিকাংশ মামলা যথাযথ ভাবে তদন্ত করা সম্ভব হয় না। ফলে এসিড নিক্ষেপকারী ছাড় পেয়ে যায় ও বাদী উপযুক্ত বিচার পায় না।


এসিড সারভাইভারস ফাউন্ডেশন (এ এস এফ)
বাংলাদেশে সরকারী সহযোগিতার পাশাপাশি বেসরকারী ভাবে এসিড আক্রান্ত নারীদের পুনর্বাসনের জন্য যে প্রতিষ্ঠানের কথা অবশ্যই বলা উচিত তা হল এসিড সারভাইভারস ফাউন্ডেশন( এ এস এফ)
এ এস এফের প্রতিষ্ঠার আগে এসিড হামলায় আক্রান্তদের চিকিৎসার ও পুনর্বাসন এবং এসিড সন্ত্রাসের প্রতিরোধের জন্য কোন সমন্বিত উদ্যোগ ছিল না। ফলে বাংলাদেশে এসিড সন্ত্রাস ব্যপক বিস্তৃতি লাভ করে। প্রথমদিকে কিছু এনজিও বিচ্ছিন্নভাবে এসিড আক্রান্ত নারীদের আইনি ও অন্যান্য সহযোগিতা প্রদান শুরু করে। কিন্তু তা ছিল অপর্যাপ্ত, নির্যাতিত নারীদের জন্য সরকারী আশ্রয়কেন্দ্রটিই ছিল আক্রান্তদের একমাত্র আশ্রয়স্থল। একজন এসিড আক্রান্তকে যতই সুযোগসুবিধা ও চিকিৎসাসেবা প্রদান করা হোক না কেন তাকে সাধারণ সমাজে সুস্থভাবে বাঁচার সুযোগ না করে দিতে পারলে প্রকৃত সমস্যার সমাধান হওয়া সম্ভব নয়। এই চিন্তাধারা থেকেই কেবলমাত্র এসিডকে উপলক্ষ করে একটি স্বাধীন ও স্বাবলম্বী ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তা অনুভূত হয়। তাছাড়া তখন ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিট ছাড়া অন্য কোথাও চিকিৎসার সুব্যবস্থাও ছিল না আর এসিড সহিংসতার বিরুদ্ধে জনমত গঠনের উদ্যোগ ছিল খুবই সীমিত।
এই প্রেক্ষাপটের এক পর্যায়ে ১৯৯৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ইউনিসেফ প্রণীত একটি প্রতিবেদনে এসিড হামলায় আক্রান্তদের সাহায্য এবং পুনর্বার আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রোধকল্পে এ ধরনের একটি ফাউন্ডেশন গঠনের সুপারিশ করা হয় এবং পাশাপাশি এর অপরিহার্যতার প্রতিও সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় CIDA (কানাডিয়ান ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি) এবং ইউনিসেফ একসাথে কাজ করা শুরু করে। এসময় কয়েকটি বিষয় বিশেষ গুরুত্বের সাথে বিবেচনায় আনতে হয় -
এসিডদগ্ধ ও তাদের নিকট আত্মীয় স্বজনদের নিরাপদে থাকার ব্যবস্থা করা।
আক্রান্তদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করা।
নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
তাদের পুনর্বাসনে সাহায্য করা।
এ সব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বিবেচনায় রেখেই পরবর্তী বছরের মে মাসে এ এস এফের আত্মপ্রকাশ ঘটে। এর প্রতিষ্ঠা প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশের অনেক আত্মনিবেদিত স্বেচ্ছাসেবক এবং ট্রাস্টিদের প্রভূত সহযোগিতা ছিল।
১৯৯৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে ফাউন্ডেশন বাংলাদেশে সংঘটিত প্রতিটি এসিড হামলার ঘটনা রেকর্ড করে ৷ সংগৃহীত প্রতিটি সহিংসতার ঘটনার বিরুদ্ধে জনগণের তীব্র প্রতিবাদের মুখে, ২০০২ সালে সরকার দুইটি আইন জারি করে -একটি হলো এসিডের সহজলভ্যতা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য, এবং অন্যটি হলো এসিড নিক্ষপকারীদেরকে মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদানের জন্য ৷
এই আইনগুলো এবং ফাউন্ডেশনের গণসচেতনতা কর্মসূচিকে ধন্যবাদ, এসিড হামলার সংখ্যা ২০১১ সালে ৮৪তে নেমে এসেছে, যা ২০০২ সালে ৪৯৪ ছিল ৷
এসিডে ঝলসে যাওয়ার চিকিৎসায়, কয়েক বছর ধরে কয়েকবার অপারেশন করানোর প্রয়োজন হয়, যা ব্যয়বহুল ৷ ফাউন্ডেশন ঢাকায় একটি হাসপাতাল পরিচালনা করে থাকে যেখানে চারজন পূর্ণ-কালীন ডাক্তার রয়েছেন ৷ সেই সাথে, ঢাকার নেতৃস্থানীয় হাসপাতালগুলোর চারজন প্লাস্টিক সার্জন ভিকটিমদের জন্য স্বেচ্ছাসেবা দিয়ে থাকেন ৷এ প্রতিষ্ঠানটির ঠিকানা, বাড়ি: ১২, সড়ক: ২২, ব্লক: কে, বনানী, ঢাকা, বাংলাদেশ।
এএসএফ পাঁচটি ইউনিটের মাধ্যমে কাজ করে চলেছে—
১) নোটিফিকেশন ইউনিট: এসিড হামলার ঘটনা বাংলাদেশের যে স্থানেই ঘটুক না কেন, এএসএফ যাতে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জানতে পারে ও রেকর্ডভুক্ত করতে পারে এবং রিপোর্ট পাওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে যেন এসিডদগ্ধ ব্যক্তিকে চিকিৎসার আওতায় নিয়ে আসতে পারে।

২) মেডিকেল ইউনিট: আক্রান্ত ব্যক্তিকে যত দ্রুত সম্ভব এএসএফের হাসপাতাল জীবনতারায় স্থানান্তর করে। ২০ শয্যাবিশিষ্ট এই হাসপাতালে গড়ে তোলা হয়েছে দেশে-বিদেশে পাওয়া সর্বোন্নত চিকিৎসা ও নার্সিং কেয়ার ব্যবস্থা।

৩) আইনি সহায়তা ইউনিট: এ ইউনিট মামলাগুলো সহযোগী সংস্থার কাছে পাঠিয়ে দিয়ে মামলার অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করে, আক্রান্তদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে এবং মামলার গৃহীত ব্যবস্থা সম্পর্কে তাদের ও তাদের পরিবারের কাছে ব্যাখ্যা করে। নিয়মিত আইন ও আইনি পদক্ষেপ বিষয়ে প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করে যাচ্ছে।

৪) সামাজিক পুনর্বাসন ইউনিট: এসিড-আক্রান্তদের পরিবারকে তাত্ক্ষণিক দুর্যোগ মোকাবিলায় আর্থিক সহায়তা দেওয়া, আক্রান্ত ছেলেমেয়ের লেখাপড়া চালিয়ে যেতে বৃত্তি দেওয়া, দক্ষতা উন্নয়নমূলক ও কাজভিত্তিক প্রশিক্ষণের আয়োজন, আক্রান্তদের জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা এবং উদ্যোক্তাদের সঙ্গে যোগসূত্র স্থাপন।

৫) গবেষণা, অ্যাডভোকেসি ও প্রতিরোধ ইউনিট: ২০০২ সালে আন্তর্জাতিক নারী দিবসে এসিড-সহিংসতার বিরুদ্ধে সোচ্চার প্রায় পাঁচ হাজার পুরুষ নিয়ে এক বর্ণাঢ্য ‘পুরুষদের শোভাযাত্রা’ আয়োজনের মধ্য দিয়ে এএসএফের এসিড অপরাধ দমন প্রচারাভিযানের সূচনা হয়। প্রথম আলো ও এসিড সারভাইভারস ফাউন্ডেশন যৌথভাবে এ শোভাযাত্রার আয়োজন করেছিল।

সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনের জন্য তারা নিয়মিত আয়োজন করে চলেছে সভা, সেমিনার ও কর্মশালা।
এসিড-সহিংসতার বিরুদ্ধে ব্যাপক জনসচেতনতা সৃষ্টির ক্ষেত্রে যে ইস্যুগুলোকে এই ইউনিট বিবেচনা করে তা হলো, এসিড-সহিংসতা সম্পর্কিত আইনের প্রচার, এসিড অপরাধীদের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন, বিনা লাইসেন্সে এসিড বিক্রি প্রতিরোধ ইত্যাদি। যোগাযোগ উপকরণ; যেমন—পোস্টার, লিফলেট, স্টিকার, তথ্যপুস্তিকা, নিউজ লেটার, ফেস্টুন, প্লাকার্ড তৈরি এবং জাতীয় থেকে তৃণমূল অবধি এসব উপকরণের বিতরণ চলছে।
এ ছাড়া জাতীয় এসিড নিয়ন্ত্রণ কাউন্সিল ও জেলা এসিড নিয়ন্ত্রণ কমিটি, স্থানীয় সরকার ও প্রশাসনসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট এজেন্সিগুলোর সঙ্গে ফলদায়ক লবি গড়ে তোলার লক্ষ্যে এ ইউনিট কাজ করে চলেছে।


আমি এতক্ষন বলেছি শুধুমাত্র নারীর প্রতি এসিড সন্ত্রাসের বিভৎস্য দুঃসহ জীবনের ভয়াবহতার কথা। এ ছাড়াও সারা বিশ্বের কোথাও কোনোখানেই আসলে নারীরা নিরাপদ নয়। তাদের প্রতি অহরহ যে নৃশংসতা, নির্মমতার পরিচয় পাওয়া যাচ্ছে তার বিভিন্ন রুপ ও প্রকারভেদ বা বর্ণনার কথা শুনে আমাদের বিবেক প্রায়ই কেঁপে ওঠে। কিন্তু কিছু নরপশুদের জন্য থেমে থাকেনা এসব বিভৎস্য কদর্য্যতা। আমি যখন এ লেখা লিখছি আমার চোখে ফুটে উঠছে আমার দেখা কিছু মানুষরূপী কিলবিলে কীটের মুখগুলো। যারা এই আমাদের বা আপনাদেরই সন্তান, কারো ভাই, মামা , চাচা বা আত্মীয় পরিজন। যাদের পরিচয় দিতে আজ আমাদের ঘেন্না হয়।

নারীর প্রতি সহিংসতা দূরীকরণ - বড় প্রয়োজন আজ দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তনঃ-
১৯৬০ সালের ২৫ নভেম্বর ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্রে তিনজন নারী নির্যাতিত হয়। এ ঘটনার স্মরণে ১৯৮১ সালের জুলাই মাসে প্রথম লাতিন আমেরিকায় নারী অধিকার সম্মেলনে ২৫ নভেম্বরকে নির্যাতনবিরোধী দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয় এবং প্রতিবছর ২৫ নভেম্বর থেকে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত পক্ষকালব্যাপী সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রচার চালানোর সিদ্ধান্ত হয়। ১৯৯৩ সালের ২৫ নভেম্বর জাতিসংঘ 'নারী নির্যাতন দূরীকরণ ঘোষণা' প্রকাশ করে। ১৯৯৯ সালের ১৭ ডিসেম্বর জাতিসংঘ ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্রের খসড়া অনুমোদন করে প্রতিবছর ২৫ নভেম্বরকে আনুষ্ঠানিকভাবে 'আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন দূরীকরণ দিবস' হিসেবে গ্রহণ করেছে।

নারী নির্যাতন ও বিশ্ব জরীপঃ-
জরিপে জানা গেছে, বিশ্বের তিন ভাগের এক ভাগ নারী তাদের জীবনে শারীরিক ও যৌন নির্যাতনের শিকার হয়।
কারণগুলো-
১) পরিবারের বা খুব কাছের সদস্য দ্বারা।
২) যৌতুক
৩) ভালোবাসার ডাকে সাড়া না দিলেও নারীকে হতে হচ্ছে লাঞ্ছিত।
৪) স্কুল ও কলেজগামী মেয়েরা ইভ টিজিং
৫) ধর্ষন
৬) অনেক ক্ষেত্রে আমাদের দেশে দেখা যায়, নারী নির্যাতনের মূল হোতা আরেকজন নারী। যেমন বলা যায়, একজন মেয়ের বিয়ের পর সর্বপ্রথম শাশুড়ি-ননদ বা কাছের মানুষের কাছেও অনেক সময় তারা নিগৃহীত হয়।
৭)এ ছাড়া গৃহকর্ত্রীর হাতে মেয়ে গৃহকর্মী নির্যাতনের কথাও সবার জানা।

মেনে নেওয়া অবিচার ও নারীঃ-
বিশেষজ্ঞদের মতে, নারী নির্যাতনের ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ ঘটনারই কোনো বিচার হয় না।
কারণ-
১) বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দুর্বল ও দরিদ্র নির্যাতিতরা নির্যাতনের ঘটনার বিচার চাইতে আইনের দ্বারস্থ হয় না।
২) হয়রানি ও নির্যাতনের ভয়ে ও আর্থিক সংকটের ফলে তারা নীরব থাকে।
৪) উপযুক্ত তদন্ত ও তথ্য-প্রমাণের অভাব, বিদ্যমান আইন বাস্তবায়নের দুর্বলতায় বিচারকাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয় না।
৫)এ ছাড়া নির্যাতনকারীরা আর্থসামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী হওয়ায় তারা সহজেই পার পেয়ে যায়।
৬)তা ছাড়া অনেক নারী নির্যাতিত হয় স্বামীর দ্বারা। স্বামীর বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর আর্থিক সংগতি ও আশ্রয় মেয়েদের কমই থাকে।
৭) মান সন্মান ও পারিপার্শ্বিকতার কথা ভেবে অনেক নারীই প্রতিবাদে সোচ্চার না হয়ে মুখ বুজে সহ্য করে।

নারীদের প্রতি বৈষম্য প্রতিরোধে, নিগ্রহের হাত থেকে রক্ষা করতে জাতিসংঘের বিভিন্ন কনভেনশন রয়েছে, রয়েছে অসংখ্য প্রতিবেদন। জাতিসংঘের বিভিন্ন সম্মেলনে গৃহীত পদক্ষেপের ওপর ভিত্তি করেই তৈরি করা হয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) গাইডলাইন। নামকরণ করা হয়েছে- সব ধরনের বৈষম্য ও নিপীড়নের হাত থেকে নারীদের রক্ষা করতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিশেষ গাইডলাইন। এ ছাড়া নারী নির্যাতন বা নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধে বাংলাদেশে ১৯৮৫ সালের পারিবারিক আদালত, ১৯৯৫ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন আইন, ২০০০ ও ২০০৩ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, সিটিজেনশিপ অ্যাক্ট-২০০৮, হাইকোর্ট নির্দেশিত যৌন নিপীড়নবিরোধী নীতিমালা-২০০৮ পাস হয়েছে।

এখন কথা হলো, এত আইন বা নীতিমালা পাস হওয়া সত্ত্বেও কেন বন্ধ হচ্ছে না নারীর প্রতি সহিংসতার ঘটনা। তা ছাড়া দেশের নারীসমাজের আন্দোলন তো থেমে নেই।
কারণঃ-

১) যেসব নারী সহিংসতার শিকার হয়, তাদের মনে এ-সংক্রান্ত সচেতনতার যথেষ্ট অভাব রয়েছে।
২) আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর কিছু সদস্যের মধ্যে সততার বড়ই অভাব।
৩) যে পরিবারে নারী নির্যাতন বা সহিংসতার ঘটনা ঘটে, সেই পরিবারের শিশুরা হয়ে পড়ে নানা দিক দিয়ে অরক্ষিত। ফলে অনেক সময় তারা সুষ্ঠুভাবে বেড়ে ওঠার ক্ষেত্রে নানা সমস্যায় পড়ে।

আসুন আমরা এ ব্যাপারে আরো সচেতন হই এবং নারী নির্যাতন না করার শপথ নিই। পাশাপাশি এ অভিশাপ দূরীকরণের চেষ্টা করি। আমাদের মনে রাখতে হবে, নারীর প্রতি সহিংসতা শুধু আইন করেই বন্ধ করা যাবে না, এ জন্য চাই সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন।

আমাদেরকে-

১) সামাজিক সংস্কৃতি গড়ে তুলতে হবে।
২) নারীর মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় সরকার ও রাষ্ট্রকে এ ক্ষেত্রে অধিকতর আন্তরিক হতে হবে।
৩) সাধারণ নিরাপত্তা জোরদার করাটা জরুরি
৪) রাজনীতি থেকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড দূর করতে হবে।
৫) সুষ্ঠু বিচারব্যবস্থা ও বিচারব্যবস্থায় স্বচ্ছতা আনয়ন করা প্রয়োজন।
৬) নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে আমাদের আরো দীর্ঘপথ অতিক্রম করতে হবে। এই সহিংসতা বন্ধে আমি থেকে শুরু করতে হবে। আমি, আমার পরিবার, তারপর সমাজ।
সর্বোপরি-
নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে ব্যক্তি থেকে সমাজ, প্রাতিষ্ঠানিক ও রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন দরকার। এ ক্ষেত্রে নিজে নির্যাতন থেকে দূরে থাকলেই চলবে না, সেই সঙ্গে আমাদের আশপাশে ঘটে যাওয়া যেকোনো নির্যাতনের প্রতিবাদ করতে হবে। সম্মিলিতভাবে রুখে দাঁড়াতে হবে।

এই নির্যাতনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন সচেতন নারীরা এবং তারা ক্রমাগত আন্দোলন করে যাচ্ছে। এ আন্দোলনের সঙ্গে সচেতন পুরুষরাও এগিয়ে এসেছেন। যদিও সংখ্যাগত দিক থেকে তা অনেক কম। তবে পুরুষের তথাকথিত পৌরুষত্বমূলক মনোভাবকে পরিবর্তন করে মনুষ্যত্ববোধকে জাগ্রত করার নিমিত্তে তাদের এই এগিয়ে আসা। একটা সময় ছিল নারীকে নির্যাতন করা যে অপরাধের পর্যায়ে পড়ে, সেটা অনেকেই জানত না। তখন নির্যাতিত নারীর পাশে দাঁড়ানোর কোন সুযোগ ছিল না বা নির্যাতনের কথা জানানোর কোন জায়গা ছিল না। এখন গণমাধ্যমের সুবাদে মানুষ এ বিষয়গুলো সহজে জানতে পারছে। যদিও তা সংখ্যায় অনেক কম। যেমন ১০০ জন নারী নির্যাতিত হলে রিপোর্ট হচ্ছে ১০ জনের। দেশের তিনটি রফতানিকারক পণ্যের অধিকাংশ শ্রমিক নারী। এর মধ্যে চা, গার্মেন্ট ও হিমায়িত খাদ্যে ৮০ ভাগ নারী শ্রমিক কাজ করেন। ৭০ ভাগ নারী কৃষিক্ষেত্রে কাজ করছেন। যদি কোন কারণে নারী শ্রমিকরা কাজ বন্ধ করে দেন তবে গোটা দেশের অর্থনীতি ভয়াবহ হুমকির মধ্যে পড়বে। সুতরাং নারীকে বাদ দিয়ে কোন অগ্রগতি সম্ভব নয়। নারী নির্যাতন প্রতিরোধের জন্য আমাদের শিক্ষা কারিকুলামের পাশাপাশি অতিরিক্ত ইস্যুগুলো যুক্ত করতে হবে। বেশিরভাগ পরিবারে পারিবারিক সহিংসতাকে খুব হালকাভাবে দেখা হয়। অথচ এটি যে অপরাধের পর্যায়ে পড়ে সেটি অনেকেই জানেন না। এ সহিংসতা নারীর জীবনকে দুর্বিষহ করে তোলে। প্রায়ই নারী শারীরিক মানসিক, অর্থনৈতিক ক্ষতির শিকার হন। এ সমস্যাগুলোর সমাধানের জন্য অর্থাৎ ঘরের ভেতরে নারীর সম্মানজনক অবস্থানে থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করা, পারিবারিক সহিংসতা যে একটি গুরুতর অপরাধ, এটিকে বোঝানো ইত্যাদি বিষয়গুলো খুব জরুরি।

নারী নির্যাতন - ভেবে দেখেছেন কি?

প্রেমে প্রত্যাখ্যাত হয়ে এসিড সন্ত্রাস- অধিকাংশ সময় দেখা যায় অশিক্ষা, কুশিক্ষা ও বিবেক বুদ্ধিহীন কিছু নরপশু প্রেমের প্রস্তাবে প্রত্যাখ্যাত হয়ে ঝলসে দিয়েছে কোনো মেয়ের সুন্দর মুখ। একটু চিন্তা করলেই বোঝা যায় কি পরিমান পশুত্ব এবং প্রতিহিংসা পরায়নতা কাজ করে এসব মানুষের মাঝে যারা মানুষ নামের কলঙ্ক। প্রেম প্রস্তাবে সাড়া না দেবার প্রধান কারণ ঐ পশুর অযোগ্যতা। যে মেয়েটি সাড়া দেয়নি দোষ তার নয়। বরং দোষ সেই অযোগ্য পশুটির। নিজের অযোগ্যতা সত্বেও সে অযোগ্যতার কথা না ভেবে অপরের উপর প্রতিহিংসা পরায়ন হয়ে ওঠে। এই জঘন্যতম হীন অপরাধ করবার আগে নরপশুরা কখনই কি উপলদ্ধি করতে পেরেছে তারা যে মানুষ নামের পশু?

মনোমালিন্য বা ঝগড়া-বিবাদ - হতে পারে তা প্রেমিক- প্রেমিকার বা স্বামী-স্ত্রীর মাঝে। এক সময়কার মধুর প্রেমের পরিসমাপ্তিও ঘটতে পারে একজনের মাঝে অথবা দুজনাতেই। তার মানেই কি জোর করে অপরের জীবন নষ্ট করে দিতে হবে? আমাকে কারো আর ভালো লাগছেনা, হতে পারে তার পছন্দ অপছন্দের পরিবর্তন এসেছে। তার মানে কি আমাকে তাকে জোর করে ভালো লাগতেই হবে? সে অযোগ্যতাও তো আমার।আমি তার মনের মত হতে পারিনি। অথবা আমার কোনো দোষই নেই কিন্তু তারও তো নেই তার ভালো লাগছে না আর আমাকে। এতে কাকে দোষ দেওয়া যাবে? কারুরই নয় হয়তো। দুজনের দুটি পথ আলাদা হতেই পারে। তবে এক হাতে তালি বাজেনা । একে অন্যের প্রতি ভালোবাসা বা আকর্ষন হারানোতে দুজনেরই কিছু না কিছু ঘাটতি, কমতি থাকতেই পারে। সোজা ভাষায় জোর করে কিছু হয়না। তাই বলে তার জীবন তার মত আমার জীবনও আমার মতই কাটিয়ে দিতে হবে। এসব সন্ত্রাসে নিজের মনুষত্ব বিসর্জন করা যায়না।

যৌতুকের জন্য বিবাহ বিচ্ছেদ মানষিক বা শাররিক অত্যাচার- এই হীন মানষিকতার অবসান কবে হবে জানা নেই। কথায় কথায় গালমন্দ মারধোর এতে পুরুষের সাথে সাথে সামিল হন কিছু নারীরাও। খুব সহজেই সমাজে এ লোভ ও লালসার বীজ প্রোথিত হয়ে পড়েছে। একজন নারী যখন বঁধু হয়ে আসেন তখনও তিনি শিকার হন যৌতুকের এক সময় ছেলে সন্তানের বঁধুর উপরেও খড়গ হস্ত হতে কুন্ঠিত হন না।

পারিবারিক প্রতিহিংসা- পারিবারিক প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে অনেকেই নারীর প্রতি সহিংস হয়ে ওঠেন । কারণ নারী সে শাররিক, মানষিক ক্ষমতায় সহজে পরাজেয় ও সামাজিকভাবে তাকে হেয় করাটা খুব সহজ। অথচ আপনি নিজের কাছে কতটা হেয় হলেন ভেবেছেন কি?

যৌন সম্পর্কে অসম্মতি বা ধর্ষন - পৃথিবীর আদিমতম প্রবৃত্তি বা পাশবিক এই প্রবৃত্তি নিরসনে আপনি নিজের কাছে কতটা ছোট হলেন? একটাবার অন্তত ভাবুন।

পরিবারের বা খুব কাছের সদস্য দ্বারা যৌন নির্যাতন- বাড়িতে শৈশবে এমন অনেক শিশু , কিশোরীরাই আছেন যারা চাচা, মামা খালু দ্বারা যৌন নির্যাতনের শিকার হন। লজ্জা ও ভয়ে বেশিভাগ সময়ই লুকিয়ে রাখে তারা সেসব নির্মম নির্যাতনের কাহিনীগুলো। একটাবার ভাবুন আপনার অনাগত সন্তানের কথা। ভাবুন আপনার ছোট বোনটিকে। পারবেন কি ওদের জলেভেজা চোখ দুটো সহ্য করতে?

স্কুল ও কলেজগামী মেয়েরা ইভ টিজিং- ইভ টিজিং নারীর প্রতি সহিংসতার আরেক উদাহরন। ব্যাক্তিত্বহীন নরপশুদের সুচনাই হয় এই ইভটিজিং থেকে। এ থেকে ইভ টিজাদের আশু মুক্তির প্রয়োজন। পারিবারিক, সামাজিক মূল্যবোধ বাড়ি্যে তুলতে হবে। বিশেষ করে পরিবার পারে এই নৈতিকতার শিক্ষা দিতে।

নারী যখন নারীর শত্রু- একজন মেয়ের বিয়ের পর সর্বপ্রথম শাশুড়ি-ননদ বা কাছের মানুষের কাছেও অনেক সময় তারা নিগৃহীত হয়। যৌতুক, কাজ না পারার খোঁটা, হাঁটা চলা, কথা বার্তা নিয়ে নানা প্রকার খোঁটা দেওয়া থেকে শুরু করে কখনও কখনও অকথ্য নির্যাতনের শিকার হন নারীরা।

গৃহকর্ত্রীর হাতে মেয়ে গৃহকর্মী নির্যাতনের কথাও সবার জানা- প্রায়ই দেখা যায় সনামধন্য শিক্ষিত মানুষেরা গৃহকর্মীদের নির্যাতন করে পুলিশের হাতে ধরা পড়েন। তারা ছাড়াও ছোটখাটো নির্যাতন, কথায় কথায় গালমন্দ, চড় থাপ্পড় এসব যেন তাদেরই প্রাপ্য এমন মানষিকতার মানুষও আমাদের সমাজে অসংখ্য ছড়িয়ে আছে।

আরও একটিবার দেখুনঃ-
দুঃস্বপ্নে সেই রাতের বিভীষিকার দৃশ্য দেখে এখনও প্রায়ই আঁৎকে ওঠেন শামিমা আকতার।

অনেক চেষ্টা করেও রিয়েল ভিক্টিমদের ছবি দিতে পারলাম না। অনেকবার আপলোড করেও মুছে দিলাম। শুধু প্রতিকী ছবিগুলি রইলো আমার এ লেখায়।

এ সকল অসুস্থ্য মানষিকতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। নারী পুরুষ নির্বিশেষে নারীর প্রতি সহিংসতাকে না বলুন! সুখী সুন্দর সুস্থ্য একটি সমাজ ও পরিবার গড়ে তুলুন। ২৫শে নভেম্বর, বিশ্ব নারী সহিংসতা দূরীকরণ দিবস- শুধু এ দিনটি নয়, বছরের প্রতিটি দিন নারীর প্রতি সহিংসতাকে - না বলুন। মানুষ হিসাবে নিজের পরিচয়কে প্রতিষ্ঠিত করুন।


সুত্রসমূহ-

এসিড সন্ত্রাস ভয়াবহতা ও প্রতিকার
এসিড সন্ত্রাস এবং বাংলাদেশের নারী সমাজ

এসিড সন্ত্রাস ও আইন

নারীর প্রতি সহিংসতা

মন্তব্য ১৬১ টি রেটিং +৩৬/-০

মন্তব্য (১৬১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৬

গেম চেঞ্জার বলেছেন: প্রিয়তে রাখলাম। সময় নিয়ে পড়তে চাই।

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৫১

স্পর্শিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় গেম চেঞ্জার।

২| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৭

প্রামানিক বলেছেন: নারী প্রতিহিংসার শিকারে পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও জড়িত।

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৩

স্পর্শিয়া বলেছেন: হ্যাঁ শুধু পুরুষেরা নয় কিছু নারী দ্বারাও নারী নির্যাতিত হন।

গৃহকর্ত্রীর হাতে মেয়ে গৃহকর্মী নির্যাতনের কথাও সবার জানা- প্রায়ই দেখা যায় সনামধন্য শিক্ষিত মানুষেরা গৃহকর্মীদের নির্যাতন করে পুলিশের হাতে ধরা পড়েন। তারা ছাড়াও ছোটখাটো নির্যাতন, কথায় কথায় গালমন্দ, চড় থাপ্পড় এসব যেন তাদেরই প্রাপ্য এমন মানষিকতার মানুষও আমাদের সমাজে অসংখ্য ছড়িয়ে আছে।

যে কোনো রকম সহিংসতাই নিন্দনীয় ও অবশ্য পরিত্যাজ্য।

৩| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৫২

উধাও ভাবুক বলেছেন: অনেক দিন পরে লিখলেন।
আসলেই সকল অসুস্থ্য মানষিকতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।

এত বড় লেখা ! এমন ধৈর্য্য আমার জানামতে একজন ব্লগারই পারতো। তার সাথে আপনার লেখার অনেক মিল খুঁজে পাচ্ছি।
শুভকামনা রইল।

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৯

স্পর্শিয়া বলেছেন: হ্যাঁ অনেক দিন পর।

আমাদেরকে সকল মানষিক অসুস্থ্যতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।

শুভকামনা

৪| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:১৭

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: শুধু আইন কাগজে কলমে না রেখে, আইনের কঠোর প্রয়োগ হলেই এসব বন্ধ হয়ে যেত।

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:২০

স্পর্শিয়া বলেছেন: সবার আগে প্রয়োজন মানষিকতার পরিবর্তন, দৃষ্টিভঙ্গির উন্নয়ন, নৈতিক মানবিক শিক্ষার প্রসার।
সর্বোপরি-
নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে ব্যক্তি থেকে সমাজ, প্রাতিষ্ঠানিক ও রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন দরকার। এ ক্ষেত্রে নিজে নির্যাতন থেকে দূরে থাকলেই চলবে না, সেই সঙ্গে আমাদের আশপাশে ঘটে যাওয়া যেকোনো নির্যাতনের প্রতিবাদ করতে হবে। সম্মিলিতভাবে রুখে দাঁড়াতে হবে।

৫| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৪২

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: আমাদেরকে সকল অসুস্থ্য মানষিকতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে সেই সংগে সম্মিলিতভাবে রুখে দাঁড়াতে হবে।





ধন্যবাদ। ভালো থাকুন নিরন্তর।

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩২

স্পর্শিয়া বলেছেন: আমাদেরকে সকল অসুস্থ্য মানষিকতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে সেই সংগে সম্মিলিতভাবে রুখে দাঁড়াতে হবে।

ধন্যবাদ দেশ প্রেমিক বাঙালী

৬| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৪৯

ধমনী বলেছেন: সবার আগে প্রয়োজন মানষিকতার পরিবর্তন, দৃষ্টিভঙ্গির উন্নয়ন, নৈতিক মানবিক শিক্ষার প্রসার।
- পূর্ণ সহমত। শুধু নারীরাই যদি নিজেদের নির্যাতন করা বন্ধ করতো তাহলেই অনেকাংশে নির্যাতন কমে যেতো। বেশিরভাগ ক্ নারী নির্যাতনের ক্ষেত্রে কোন না কোন নারীর প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ইন্ধন থাকে।
পোস্টে ++

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৯

স্পর্শিয়া বলেছেন: নারী পুরুষ নির্বিশেষে এই সহিংসতার বিরুদ্ধে না বলা আজ বড় প্রয়োজন।

নারীর প্রতি নারীর নির্যাতন প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ অংশগ্রহন এবং কিছু নরপশুদের পাশবিক নির্যাতন অবশ্য পরিতাজ্য। ভেবে দেখুন

এসিড সন্ত্রাস,
ধর্ষন,
যৌতুক
ভালোবাসার ডাকে সাড়া না দেওয়া নারীর প্রতি লাঞ্ছনা
স্কুল ও কলেজগামী মেয়েদের ইভ টিজিং

এসব চরম অবমাননাকর অমানবিক নির্যাতন একটি নারীর জীবনে কতখানি নিষ্ঠুরতার নিদর্শন হতে পারে। শাররিক ও মানষিকভাবে নারীরা কিন্তু দূর্বল এবং তাদেরকে খুব সহজেই হেয় করা সম্ভব।কিছু মানুষের কুটিল হিংস্র পাশবিক স্বভাবের তাই এই বহিপ্রকাশ।

৭| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: এ সকল অসুস্থ্য মানষিকতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। নারী পুরুষ নির্বিশেষে নারীর প্রতি সহিংসতাকে না বলুন! সুখী সুন্দর সুস্থ্য একটি সমাজ ও পরিবার গড়ে তুলুন। ২৫শে নভেম্বর, বিশ্ব নারী সহিংসতা দূরীকরণ দিবস- শুধু এ দিনটি নয়, বছরের প্রতিটি দিন নারীর প্রতি সহিংসতাকে - না বলুন। মানুষ হিসাবে নিজের পরিচয়কে প্রতিষ্ঠিত করুন।

অসাধারন পোষ্ট।

ষ্টীকি করা হোক।

নারী দিবস কাল। নারী দিবসের জন্য এটা দারুন উপযোগী, দরকারী, সচেতনামূলক পোষ্ট ।

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৬

স্পর্শিয়া বলেছেন: সত্যি বলতে এইসব দিবস টিবস কোনো অর্থবহ মূল্য বহন করে কিনা জানা নেই। তবে অন্তত একটা দিনও মানুষ এসব ব্যাপারে ভাবে সেটাই বা কম কি?
আসলে ভাই আমরা যারা জানিনা , নিজের চোখে দেখিনি বা পরিবারের কোনো সদস্যের এই করুন পরিনতির প্রত্যক্ষদর্শী নই বা ভুক্তভুগী নই তারা কখনই হয়তো এ যন্ত্রনা এ কষ্টের এক বিন্দু বা কনাও অনুধাবন করতে পারবেনা।

আমাদের প্রয়োজন মানষিকতার পরিবর্তন, বিবেক বোধের উন্নয়ন। সর্বোপরি আত্মন্নোয়ন।

অসংখ্য ধন্যবাদ বিদ্রোহী ভৃগুভাই।

সৃষ্টিকর্তা সকলের মঙ্গল করুন।

৮| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৭

মায়াবী রূপকথা বলেছেন: খুব ভাল পোষ্ট। অনেক কথা বলতে ইচ্ছে করছে। কি করে লিখব বুঝতে পারছিনা। যারা এ কাজগুলো করে এ লেখা বা অন্য যে কোন প্রচারনা ওদের কাছে কতটা পৌছায় তা নিয়ে প্রশ্ন করা যায়। শিশুদের পাঠ্যেও এ ব্যাপারগুলো আসতে পারে।

পোষ্ট পড়ে আমার দুজনের কথা মনে হল। ওরা আজকাল এখানে আসে না। আপনার নামের মত লেখাগুলোও ষ্পর্শ করে যায়। ভাল থাকবেন

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৬

স্পর্শিয়া বলেছেন: এ লেখা তাদের কাছে পৌছোনো হবে মায়াবী রুপকথা। আমাদেরকে পৌছোতেই হবে। শিশুদের পাঠ্যে অবশ্য আসা উচিৎ। একটি শিশু যে এসিডের বোতল হাতে তুলে নেয়, একটি কিশোর যে পেট্রল বোমা ছুড়ে মারে। তাদের বিবেক বুদ্ধিতে এসব হাতে নেবার কথা আসবে কেনো? এ শিক্ষা তো তার বুদ্ধি হবার পর থেকেই একটি সভ্য সমাজে মগজে প্রোথিত হয়ে যাবার কথা ছিলো। এ শিক্ষা তাদের মগজে প্রোথিত করার কথা ছিলো একটি পরিবারের , একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের। আমাদের ব্যার্থতা আমরা তা পারিনি।

কিছু আগে উধাও ভাবুকও বলেছেন আমার এ লেখা পড়ে আরও কোনো একজনকে উনি মনে করেছেন। আপনিও বললেন আরও দুজনের কথা। জানিনা তারা কে । উনারা যেই হোননা কেনো সকলের শুভ ইচ্ছা ও শুভ বুদ্ধি ও শুভ মানষিকতার জয় হোক।

৯| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৭

ডার্ক ম্যান বলেছেন: বছরের প্রতিটি দিনই হোক নির্যাতনমুক্ত

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩২

স্পর্শিয়া বলেছেন: শুভকামনা ডার্কম্যান।

আমাদের সকলের এ ইচ্ছার সফল বাস্তবায়ন হোক।

১০| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩০

শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: সময় নিয়ে পড়লাম। এই লেখাটাই যদি এই ব্লগের লেখা প্রতিযোগিতায় দেয়া হতো তবে আমার ধারনা একটা পুরস্কার অবশ্যই পেয়ে যেতো। কিন্তু পুরস্কারই জীবনের সবকিছু না। সমাজ এবং মানুষের প্রতি দায়বদ্ধতা একটা বড় ব্যাপার, সেটা একজন মানুষ যে পরিস্থিতিতেই থাকুক না কেন। আর এটাই মানুষ হিসেবে কাউকে মহৎ করে। এ পোস্টটা তৈরী করতে আপনি কতটা যত্ন নিয়েছেন তা পড়েই বুঝতে পারছি, উপলব্ধির ব্যাপারটা যার যার। কোন ভুমিকা রাখুক কিংবা নাই রাখুক এই প্রচেষ্টাগুলো অব্যাহত থাকুক আগামী প্রজন্মের কিছু সুন্দর দিনের জন্য।

আমার মতে এ ধরনের অপরাধের শাস্তি হওয়া উচিত এ ধরনেরই কিছু। সেটা যেহেতু সম্ভব না, তাই সর্বোচ্চ শাস্তির সাথে আসামীর সমস্ত সম্পত্তি জব্দ করে তা ভুক্তভোগীকে দিয়ে দেয়া উচিত। তাতেও অবশ্য যে মানসিক অবস্থার মধ্যে দিয়ে এর ভিকটিমরা যায় তার ক্ষতিপুরন সম্ভব না।

আশা করবো পোস্টটা স্টিকি হবে, হওয়া উচিত।

অনেক অনেক শুভকামনা রইলো। :)

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:০৩

স্পর্শিয়া বলেছেন: প্রতিযোগীতা কখনও কখনও প্রতিহিংসার কারণ ঘটায় কারণ আমরা বাঙ্গালীরা কখনও স্পোর্টিং মনোভাবাপন্ন হতে পারবো কিনা জানিনা। পুরষ্কার জীবনের সব না তবুও আমরা পুরষ্কারের পিছে ছুটে চলি। প্রথমেই আমার লেখনী সম্পর্কে আপনার উচ্ছসিত প্রশংসা আমার চোখে পানি এনে দিলো। আপনি সবসময় আমাকে উৎসাহ জুগিয়েছেন তার জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা।

সমাজ এবং মানুষের প্রতি দায়বদ্ধতা এসব নিয়ে খুব কম মানুষ ভাবেন বা ভেবেছেন আর তাই আজও একটি কিশোর প্রেমে প্রত্যাক্ষাত হয়ে কোনো কিশোরীর সুন্দর মুখটি ঝলসে দিতে দু মিনিট ভাবে না। অথচ প্রেম ভালোবাসায় কারো ইচ্ছা বা অনিচ্ছার উপর জোর জবরদস্তি চলেনা। এটা মানবিকতা নয়, পাশবিকতা সে শিক্ষা সে পায়নি। এ শিক্ষা তাকে পরিবার দেয়নি , দেয়নি সমাজ। আর তাই দিনে দিনে এ নৈতিক অবক্ষয়। এ ব্যাপারে আমাদেরকে যত্নশীল হতে হবে। সমাজ ও পরিবারের রয়েছে গুরু দায়িত্ব।

মানুষকে মানুষের মত করে বড় হতে হবে এই হোক আমাদের চাওয়া। অসংখ্য ধন্যবাদ আবারও।শুভকামনা।

১১| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৩

সুমন কর বলেছেন: দিবসটি সম্পর্কে জানতাম না....

তথ্যবহুল পোস্ট।

চোখ বুলিয়ে ভালো লাগা রেখে গেলাম। +।

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:১৬

স্পর্শিয়া বলেছেন: বিশেষ দিবস গুলো আসলে কিছু তাৎপর্য্য বহন করে ঠিকই তবে বছরের একটি দিনই সব নয়। আমাদের প্রতিটি দিন প্রতিটি মুহুর্ত সহিংসতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে শুধু তাই নয় বরং আমাদের নৈতিক মূল্যবোধ বাড়াতে হবে ও আমাদের মাঝের মনের পশুকে দূর করতে হবে।

ধন্যবাদ সুমন কর।

১২| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:০৫

হোসেন মালিক বলেছেন: আমার এক্স-গার্লফ্রেন্ড ১ বছর আমার সাথে রিলেসন রাখার পরে এখন অন্য পোলার সাথে ঘুরতাছে। আপ্নেই বলেন এগুলারে এসিড মারতে মন চায় কিনা?

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৩০

স্পর্শিয়া বলেছেন: আপনার ক্ষোভ শতভাগ ঠিক আছে। আমাদের জীবনের নানা পর্যায়ে আমাদের খুনে ক্রোধ জন্মে। ইচ্ছে করে সব ভেঙ্গে চুরে শেষ করে ফেলতে বা প্রতিপক্ষকে খুন করে ফেলতে। কিন্তু যা ইচ্ছে তাই করে ফেলাটা যেমনই অপরিনামদর্শিতার পরিচয় তেমনি বোকামি এবং তেমনি পাশবিকতা। আপনি মানুষ আপনি পশু নয় আর তাই আপনি তা করেন না।

নারী নির্যাতন - ভেবে দেখেছেন কি?

প্রেমে প্রত্যাখ্যাত হয়ে এসিড সন্ত্রাস- অধিকাংশ সময় দেখা যায় অশিক্ষা, কুশিক্ষা ও বিবেক বুদ্ধিহীন কিছু নরপশু প্রেমের প্রস্তাবে প্রত্যাখ্যাত হয়ে ঝলসে দিয়েছে কোনো মেয়ের সুন্দর মুখ। একটু চিন্তা করলেই বোঝা যায় কি পরিমান পশুত্ব এবং প্রতিহিংসা পরায়নতা কাজ করে এসব মানুষের মাঝে যারা মানুষ নামের কলঙ্ক। প্রেম প্রস্তাবে সাড়া না দেবার প্রধান কারণ ঐ পশুর অযোগ্যতা। যে মেয়েটি সাড়া দেয়নি দোষ তার নয়। বরং দোষ সেই অযোগ্য পশুটির। নিজের অযোগ্যতা সত্বেও সে অযোগ্যতার কথা না ভেবে অপরের উপর প্রতিহিংসা পরায়ন হয়ে ওঠে। এই জঘন্যতম হীন অপরাধ করবার আগে নরপশুরা কখনই কি উপলদ্ধি করতে পেরেছে তারা যে মানুষ নামের পশু?

মনোমালিন্য বা ঝগড়া-বিবাদ - হতে পারে তা প্রেমিক- প্রেমিকার বা স্বামী-স্ত্রীর মাঝে। এক সময়কার মধুর প্রেমের পরিসমাপ্তিও ঘটতে পারে একজনের মাঝে অথবা দুজনাতেই। তার মানেই কি জোর করে অপরের জীবন নষ্ট করে দিতে হবে? আমাকে কারো আর ভালো লাগছেনা, হতে পারে তার পছন্দ অপছন্দের পরিবর্তন এসেছে। তার মানে কি আমাকে তাকে জোর করে ভালো লাগতেই হবে? সে অযোগ্যতাও তো আমার।আমি তার মনের মত হতে পারিনি। অথবা আমার কোনো দোষই নেই কিন্তু তারও তো নেই তার ভালো লাগছে না আর আমাকে। এতে কাকে দোষ দেওয়া যাবে? কারুরই নয় হয়তো। দুজনের দুটি পথ আলাদা হতেই পারে। তবে এক হাতে তালি বাজেনা । একে অন্যের প্রতি ভালোবাসা বা আকর্ষন হারানোতে দুজনেরই কিছু না কিছু ঘাটতি, কমতি থাকতেই পারে। সোজা ভাষায় জোর করে কিছু হয়না। তাই বলে তার জীবন তার মত আমার জীবনও আমার মতই কাটিয়ে দিতে হবে। এসব সন্ত্রাসে নিজের মনুষত্ব বিসর্জন করা যায়না।

বোল্ড করা অংশগুলোর দ্বিতিয়াংশটি দেখুন। এক সময় যাকে ছাড়া পৃথিবী চলবেনা মনে হয় একটা সময় সেই হয়তো অসহ্য হয়ে ওঠে। হতে পারে এক তরফা বা উভয় পক্ষেই। যেটাই হোক না কেনো দুজনের সন্মতি বা ইচ্ছা ছাড়া অসুস্থ্য সম্পর্ক টেনে নিয়ে বেড়াবার মানে নেই। বরং অন্যের ইচ্ছে সন্মান করতে শিখলে নিজেও লাভবান হওয়া যায়। ভেবে দেখুন তো যার আর আপনাকে ভালো লাগছেনা জোর করে তাকে ধরে রাখা বা ভালো লাগানো কি নিজেকেই প্রতারিত করা নয়?

তার থেকে সেই ভালো যে স্বেচ্ছায় আপনার সাথে থাকছেনা বা আপনাকে ভালোবাসছে না তাকেও আর ভালোবাসার দরকার নেই আপনারও। তবে মনুষত্ব বিসর্জন দেবেন কেনো? আপনার মূল্য হয়তো আছে আরও মূল্যবান কোনো হৃদয়ের কাছে।

শুভকামনা হোসেন মালিক। ভালো থাকবেন। আপনার সর্বাঙ্গিন মঙ্গল কামনা করি।


১৩| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৩৪

অগ্নি সারথি বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ এমন একটা পোস্ট এমন সময়ে দেবার জন্য। শুভ কামনা।

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৫৩

স্পর্শিয়া বলেছেন: শুভকামনা অগ্নিসারথি । ভালো থাকবেন।

১৪| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:১৩

ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
খুব ভাল পোস্ট​।
আমরা সবাই মানুষ হই।
সবার জন্য শুভকামনা ||

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৪৪

স্পর্শিয়া বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ ইমরাজ কবির মুন। আমাদের সবাইকে মানুষ হবার দীক্ষা নিতে হবে।

১৫| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৪২

ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
ইমরা:|

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৪৩

স্পর্শিয়া বলেছেন: দুঃখিত। খেয়াল করিনি। ঠিক করে দিচ্ছি।

১৬| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৪৫

শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: ১২ নং কমেনের রিপ্লাই ভালোলাগলো।

@মালিক ভাই
শুকর আদায় করেন যে অল্পতেই বাচছেন। যে চইলা গেছে ওরে যাইতে দ্যান। আবার ফিরা আসতে চাইলে তখনও টাটা দিয়েন। যে একবার চইলা গেছে সে কখনোই আপনার ছিলনা আর আবার ফিরা আসলে যে একই কাজ করবে না আর গ্যারান্টি কি? এই অভিজ্ঞতা ভবিষ্যতে আপনারে আসল মানুষ চিনতে সাহায্য করুক। এতো ঘৃনা কিংবা আফসোস কেন রাখবেন যেইটা আপনারে কেবল খারাপলাগাই দিবে?

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:০১

স্পর্শিয়া বলেছেন: আবারও ধন্যবাদ শতদ্রু।

মালিকভাইকে বলা আপনার কমেন্টটি সম্পর্কে কিছু বলতে চাই-

শুকর আদায় করেন যে অল্পতেই বাচছেন। যে চইলা গেছে ওরে যাইতে দ্যান। আবার ফিরা আসতে চাইলে তখনও টাটা দিয়েন। যে একবার চইলা গেছে সে কখনোই আপনার ছিলনা আর আবার ফিরা আসলে যে একই কাজ করবে না আর গ্যারান্টি কি? এই অভিজ্ঞতা ভবিষ্যতে আপনারে আসল মানুষ চিনতে সাহায্য করুক।

আসলে জোর করে কোনো কিছু হয়না। দুজনের মাঝে ভুল বুঝাবুঝি হোক বা গুরুতর কোনো অপরাধ হোক না কেনো একদম অকারন বা বিনা কারণে আসলে কিছু হয়না। অপরাধ বা ভুল একজন বা উভয়েরই থাকতে পারে। অনেক সময় দেখা যায় সেপারেশনের পরেও মানুষ ফিরে আসে। সারাজীবন সুখে কাঁটায়।

তবে যে যায় সে অভিমান করেই যায় অথবা সম্পর্কের আকর্ষন হারায় বলেই যায়। যে একবার আকর্ষন হারিয়েছে বা সন্মান হারিয়েছে তার কাছে জোর করে সন্মান বা আকর্ষন ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করাটা বৃথা। একটু উলটো করে বলি যদি তবে বলতে হবে যে কারনে যে যায় সে ফিরে আসলেও অপরপক্ষ সেই কারণ আবারও ঘটাবে না তারই বা গ্যারান্টি কি ?

কাজেই দোষে গুনেই মানুষ। কেউ যদি ভালোবাসা হারায় তো ভালোবাসা হারাবার দোষ তার না।যার প্রতি ভালোবাসা হারিয়েছে সেও কিছু না কিছু ভাবে দোষী থাকেই । হয়তো আমার আপনার চোখে না কিন্তু তাদের চোখে। তাই বলে যেই দোষই হোক না কেনো আমরা মানুষ। আমাদের স্বাভাবিক মনুষ্যত্ব বোধটুকু হারালে চলবেনা। যার যার ভালো লাগা মন্দ লাগা রাইট তার তার আছে। অন্যের পছন্দ অপছন্দের মূল্য দিতে হবে। শুধু ভুলেও নিজের বিবেক বর্জিত কোনো কাজ করা যাবেনা।

১৭| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:২২

হোসেন মালিক বলেছেন: @শতদ্রু একটি নদী...
নারীবাদী একজন লেখকের কমেন্টের উত্তর শুনে জাস্ট মোহিত হয়ে গেলেন। ব্যাপারটা কি এতই সিম্পল?
ব্রেক আপের বেদনা কতটা ভয়াবহ তা কেবল ভুক্তভোগীই জানে। যখনই দেখি অন্য ছেলের সাথে এক্স-গার্লফ্রেন্ডের ফেসবুকে তোলা মাখামাখি হাসিমুখের ছবি, নিজের অজান্তেই হাতে পিন ফুটাতে থাকি।
ভার্সিটিতে সিজি থ্রি এর নিচে কখনও ছিল না, এখন পাস-ফেলের শঙ্কায় আছি। ফেল করলে অতিরিক্ত আড়াই হাজার ডলার জরিমানা গুনতে হবে, অতিরিক্ত এই অর্থ (বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ২ লক্ষ টাকা) কোথা থেকে যোগাড় করব, চিন্তা করতেও গায়ে কাঁটা দেয়।
আমি জানি এক সময় ঠিকই তাকে ক্ষমা করে দেব, তার কোন ক্ষতি করা আমার পক্ষে সম্ভব না। কিন্তু এসব আজাইরা নারী অধিকারের সবক শুনলেও জ্বালা করে, দেশে নারী নির্যাতন আইন কঠোর হচ্ছে, পুরুষ নির্যাতনের ব্যাপারে কোথাও কিছু বলা নেই। এই ডিসক্রিমিনেসনটা কি না করলেই নয়?
ব্লগার স্পর্শিয়া ,
কথাচ্ছলে টপিকের বাইরে অনেক কথা বলে ফেললাম। আপনাকেও ধন্যবাদ সুন্দর রিপ্লাই দেয়ার জন্য। পরামর্শ মেনে চলব। ভালো থাকবেন।

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৫১

স্পর্শিয়া বলেছেন: ব্রেক আপের বেদনা কতটা ভয়াবহ হতে পারে তা মাদকাসক্ত বা হতাশাগ্রস্থ মানুষের জীবনের কিছু করুন পরিনতি দেখে বুঝা যায়।
বা হতাশা নিস্ফল আক্রোশে আপনি যা করছেন অবশ্যই তা দুঃখজনক। তবে তার বদলে কি আপনি কোনো অযোগ্য যুবকের প্রেমে সাড়া না দেওয়া কোনো কিশোরী বা যৌতুক দিতে না পারা কোনো তরুনীর উপর তার নরপশু স্বামীটির এই ধরণের নিষ্ঠুর অমানবিকতা আশা করেন?

দেখুন যে ভুক্তভোগী সেই জানে এসবের বেদনা। আপনার বেদনাটাকেও আমি অবমূল্যায়ন করছি ভাববেন না। আমি নারীবাদী এটা আপনি অনায়াসে বলে দিলেন কিন্তু আমি এমনটা ভাবিনা। আমি চাই নারী পুরুষ নির্বিশেষে সহিংস মনোবৃতি দূর করুক সকলেই। নারীরা পুরুষের চাইতে এইসব পাশবিকতার শিকার হয় বেশি তাই এই আলোচনা বা সচেতনতা বৃদ্ধির প্রয়াশ।

আর আপনাকে বিনয়ের সাথে বলবো, মানুষ কিন্তু নিজের দোষটা সচরাচর দেখতে পায়না। আপনার এক্স গার্লফ্রেন্ড যে কারনেই যাক না কেনো সেখানে কি শুধু তারই এক তরফা দোষ ছিলো? আপনি নিরপেক্ষ দৃষ্টি দিয়ে ভেবে দেখেছেন কি? আর এই দোষ বা অপরাধ কার কতটা ছিলো সেসব পরিমাপ করাটাও এক ধরনের বোকামি। সোজা কথা যা হয়নি বা ভেঙ্গে গেছে তার দিকে দ্বিতীয়বার ফিরেও না তাকানো। এবার আমাকে শতদ্রুর ভাষায় বলতে হচ্ছে ফিরে আসলেও গুডবাই। আপনি শক্ত হোন ভাই। এসব পিন ফুটানো বা নিজেকে কষ্ট দেওয়াটা ইমম্যাচিওরিটি। এমনটা আর কখনও করবেন না। আপনি মন দিয়ে পড়ালেখা করুন। মনে রাখবেন মানুষই পারে সকল অসাধ্য সাধন করতে। একজন মানুষ যে যেভাবে ভালো থাকতে চায় থাকতে দিন। বিনিময়ে নিজের মনুষ্যত্ব বিসর্জন দেবার কথাটাও স্বপ্নেও ভাববেন না।
আপনার সর্বাঙ্গিন মঙ্গল কামনা করি। আর একটা কথা মনে রাখবেন যার জন্য নিজের ক্ষতি করছেন তার তাতে ক্ষতি বৃদ্ধি হচ্ছে না পক্ষান্তরে আপনার নিজের আপনজন রয়েছে । আপনার ক্ষতি বা কষ্ট তাদেরও বুকে বাঁজে। আপনার পৃথিবীর গন্ডি এত ছোট নয় যে ঐ একটা মাত্র মেয়ের জন্য নষ্ট করবেন। আপনার প্রিয়জনদের কথা ভাবুন। মা বাবা ভাই বোন কত মানুষ আপনাকে ভালোবাসে। আপনার মঙ্গল চায়। আপনার উন্নতি তাদেরকে আনন্দিত করে।

মালিকভাই আপনি যেমন একটা মেয়ের দোষ খুঁজে পেয়েছেন। এমন কিন্তু শত শত মেয়েরা হাজারও পুরুষের নিষ্ঠুরতার বলি। এটাও ভেবে দেখবেন। পৃথিবী শুধু আপনাকে আমাকে নিয়ে নয়। আমি শত শত নারীদের কথা বলছি যারা এইসব নিষ্ঠুর পরিনতি বা করাল গ্রাসের শিকার।

আপনি ভালো থাকবেন। আপনার জন্য আমার প্রার্থনা থাকবে। আপনি অবশ্যই ভালো থাকবেন এখন থেকে।

১৮| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৪৮

সাহসী সন্তান বলেছেন: চমৎকার তথ্য সমৃদ্ধ পোস্ট! অনেক কিছু জানতে এবং শিখতে পারলাম!


সুন্দর পোস্টের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ! শুভ কামনা জানবেন.......!!

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৫৪

স্পর্শিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ সাহসী সন্তান। শুভকামনা জানবেন।

১৯| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:১৫

আরজু পনি বলেছেন:

খুব ভালো শেয়ার ।

অনেক ধন্যবাদ, স্পর্শিয়া ।
আজ প্রায় কাছাকাছি বিষয় নিয়ে কাছাকাছি সময়ে দুটি পোস্ট পড়লাম এবং দুটিকেই নিজের প্রিয় তালিকায় সযতনে রাখলাম ।

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:২৪

স্পর্শিয়া বলেছেন: অজস্র ধন্যবাদ আরজুপনি। শুভকামনা জানবেন।

২০| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:২৪

বাংলার ফেসবুক বলেছেন: আমাদের ইতিহাসের এত ডাল পালা গজিয়েছে কিছু বেপরোয়া ছেলে আর মেয়ের প্রেম নামক দৈহিক সম্পর্কের কুফলেরজন্যই। এই বিষয়ে সঠিক তথ্য সম্পূর্ণ আপনার জানা নাই। কিন্তু আপনি মনগড়া এক তরফা মেয়ালী ইতিহাস তৈরি করছেন। ব্লগে কিছু লেখার আগে অন্তত সঠিক কিছু জেনে তারপর লিখা উচিৎ। কিছু না জেনেই সরাসরি বলে দিলেন (
মনোমালিন্য বা ঝগড়া-বিবাদ - হতে পারে তা প্রেমিক- প্রেমিকার বা স্বামী-স্ত্রীর মাঝে। এক সময়কার মধুর প্রেমের পরিসমাপ্তিও ঘটতে পারে একজনের মাঝে অথবা দুজনাতেই। তার মানেই কি জোর করে অপরের জীবন নষ্ট করে দিতে হবে? আমাকে কারো আর ভালো লাগছেনা, হতে পারে তার পছন্দ অপছন্দের পরিবর্তন এসেছে। তার মানে কি আমাকে তাকে জোর করে ভালো লাগতেই হবে? সে অযোগ্যতাও তো আমার।আমি তার মনের মত হতে পারিনি। অথবা আমার কোনো দোষই নেই কিন্তু তারও তো নেই তার ভালো লাগছে না আর আমাকে। এতে কাকে দোষ দেওয়া যাবে? কারুরই নয় হয়তো। দুজনের দুটি পথ আলাদা হতেই পারে। তবে এক হাতে তালি বাজেনা । একে অন্যের প্রতি ভালোবাসা বা আকর্ষন হারানোতে দুজনেরই কিছু না কিছু ঘাটতি, কমতি থাকতেই পারে। সোজা ভাষায় জোর করে কিছু হয়না। তাই বলে তার জীবন তার মত আমার জীবনও আমার মতই কাটিয়ে দিতে হবে। এসব সন্ত্রাসে নিজের মনুষত্ব বিসর্জন করা যায়না। ) আপনি নিজেই বায়াসড আর বিভ্রান্ত। সঠিক কিছু না জানাতে পারলে অন্তত মিথ্যা ছড়ানো বন্ধ করুন। আমাদের ইতিহাস এ জটিলতা এ জন্যই তৈরি হয়েছে। আপনার লেখার ধার আছে বাট অনেক লম্বার আর কঠিন ভাষা প্রয়োগ করেছেন। আপনার কাছে একটা প্রশ্ন এখনও কি আপনি ভাবেন এই দেশ বা সমাজ পুরুষ শাসিত?

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৩৫

স্পর্শিয়া বলেছেন: আপনার মন্তব্যই প্রমান করছে পুরুষ শাসনের নেতিবাচক দিকটি।
এত এসিড সন্ত্রাস, এত ধর্ষণ আর এত নারীর প্রতি সহিংসতাকে যদি আপনার আমার মন গড়া তথ্যের বিভ্রান্তি মনে হয় তাহলে আপনার সাথে তর্ক করা বা মত বিনিময় মনে হয় বৃথা।


শুধু আপনার লাস্ট লাইনটির সুত্র ধরে বলছি। পুরুষ শাসিত দেশ বা সমাজের চাইতে নারী পুরুষ সকলের প্রতি সহিংসতা রোধে তৎপর হোন। আপনার কথার মাঝে যে ঔদ্ধত্য ও অমানবিকতা প্রকাশ পাচ্ছে তাতে আমি এ কথা বলতে বাধ্য হচ্ছি অকারণে তর্কের খাতিরে তর্ক না করে নিজেই এসিড সন্ত্রাস বা নারীদের প্রতি নৃশংসতার ইতিহাস জেনে নিয়ে কমেন্ট করলে মনে হয় ভালো করতেন।

সমাজের অবাধ মেলামেশার এই একটি কারণকেই যদি আপনি নারীর প্রতি সহিংসতার কারণ মনে করে থাকেন আর তাতে যে সহিংসতা হচ্ছে বেশ হচ্ছে মনে করেন তাহলে আমার কিছু বলার নেই।

২১| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৩১

আলি জুয়েল বলেছেন: দারুন লিখেছেন। আমার ছোট বোনদের জন্যে আমার প্রায়ই চিন্তা হয়। এগিয়ে চলুন । সাথে আছি।

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৪৬

স্পর্শিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ আলি জুয়েল। শুভকামনা।

২২| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:০২

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: খুব চমৎকার পোস্ট । এসিড সন্ত্রাস সমাজের এক মারাক্তক ব্যাধি । যারা এসব করে তারা আসলে বিকৃত গ্রস্থ । কোন সুস্থ মস্তিষ্ক এই জগণ্যতম কাজ করতে পারে না ।এদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়াই একমাত্র পন্থা এই এসিড সন্ত্রাস নির্মূলে। এবং শাস্তি কার্যকর প্রক্রিয়াও খুব দ্রুত হওয়া জরুরী ।

অনেক ধন্যবাদ পোস্ট শেয়ারে ।

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:০৬

স্পর্শিয়া বলেছেন: শাস্তি দিয়ে কতখানি এসব সামাজিক ব্যাধি নিরাময় করা যাবে জানা নেই আমার। আসল ব্যাপারটা বোধনে। বিবেকের উন্নয়ন, শিশুকাল হতে পারিবারিক ও সামাজিক শিক্ষা, নৈতিকতার চর্চা এসব সন্ত্রাস অনেকাংশেই কমাতে পারে।

ধন্যবাদ কথাকথিকেথিকথন।

২৩| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:২৪

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: বিবেকের উন্নয়ন, শিশুকাল হতে পারিবারিক ও সামাজিক শিক্ষা, নৈতিকতার চর্চা - এইটুকু সকলকে মানুষ করতে পারে না । কেউ বিলঝিলে বড় হয়েও মানুষ হয়ে যায় আবার কেউ বিশাল অট্টালিকায় থেকে, বড় বড় ডিগ্রি অর্জন করেও মানুষ হতে পারে না । উচ্চশিক্ষা থেকে সুশিক্ষাটা অনেক বেশি দরকার সামাজিক মূল্যবোধ সৃষ্টিতে । আর এই সুশিক্ষাটা আসে যে যত বেশি স্বশিক্ষিত হওয়ার ক্ষমতা থেকে ।

তাই এইসব সন্ত্রাস নির্মূলের ক্ষেত্রে এইসবের পাশাপাশি আইনের শাসনও সমভাবে জরুরী ।

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৫

স্পর্শিয়া বলেছেন: বিবেকের উন্নয়ন, শিশুকাল হতে পারিবারিক ও সামাজিক শিক্ষা, নৈতিকতার চর্চা - এইটুকু সকলকে মানুষ করতে পারে না । কেউ বিলঝিলে বড় হয়েও মানুষ হয়ে যায় আবার কেউ বিশাল অট্টালিকায় থেকে, বড় বড় ডিগ্রি অর্জন করেও মানুষ হতে পারে না । উচ্চশিক্ষা থেকে সুশিক্ষাটা অনেক বেশি দরকার সামাজিক মূল্যবোধ সৃষ্টিতে । আর এই সুশিক্ষাটা আসে যে যত বেশি স্বশিক্ষিত হওয়ার ক্ষমতা থেকে ।

তাই এইসব সন্ত্রাস নির্মূলের ক্ষেত্রে এইসবের পাশাপাশি আইনের শাসনও সমভাবে জরুরী।

আপনার মন্তব্যটি খুব ভালো লাগলো। এর প্রতিটি কথার সাথে একমত পোষন করছি।

২৪| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১:০৮

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: পোষ্টের লেখা আর পোষ্টের নিচের মন্তব্য সবই এতক্ষণ ধরে পড়লাম।

আপনার পোষ্টটি প্রশংসার দাবিদার।

কিন্তু আপু সমস্যা হল - পোষ্টটা পড়ে এখন আমরা বাহবা দিব - পোষ্টটা ভাল, দরকার ছিল - ব্লা ব্লা ব্লা...
সত্যিকার অর্থে কিন্তু দরকার এগুলোকে মেনে নেওয়া। সচেতন নিজে হওয়ার পাশাপাশি আরেকজনকে করা। আর আপু যারা এই ধরণের হিংস্র কাজ করে তারা আমার জানামতে সচেতনতামূলক কোন আর্টিকেল পড়েও না। পড়ে তারাই যারা জ্ঞান আহরণ করতে চায়।

এইখানে আসল কর্তব্যটা হল - আপনার থেকে প্রাপ্ত জ্ঞানটা নিয়ে অন্যকে সেইটা জানানো। এইভাবেই ছড়িয়ে দেওয়া। তাহলেই হয়তো সচেতনতা বাড়বে ও হিংস্রতাও কমবে।

পোষ্টটি প্রিয়তে রেখে দিলাম।

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:১২

স্পর্শিয়া বলেছেন: কিন্তু আপু সমস্যা হল - পোষ্টটা পড়ে এখন আমরা বাহবা দিব - পোষ্টটা ভাল, দরকার ছিল - ব্লা ব্লা ব্লা...
সত্যিকার অর্থে কিন্তু দরকার এগুলোকে মেনে নেওয়া। সচেতন নিজে হওয়ার পাশাপাশি আরেকজনকে করা। আর আপু যারা এই ধরণের হিংস্র কাজ করে তারা আমার জানামতে সচেতনতামূলক কোন আর্টিকেল পড়েও না। পড়ে তারাই যারা জ্ঞান আহরণ করতে চায়।

এইখানে আসল কর্তব্যটা হল - আপনার থেকে প্রাপ্ত জ্ঞানটা নিয়ে অন্যকে সেইটা জানানো। এইভাবেই ছড়িয়ে দেওয়া। তাহলেই হয়তো সচেতনতা বাড়বে ও হিংস্রতাও কমবে।

ঠিক তাই। সচেতনতা বৃদ্ধির সাথে সাথে মানুষ ক্ষোভ, হতাশার কারণ থেকে যে অন্যায়গুলো করে ফেলে সেগুলো সম্পর্কেও ভাবতে শিখবে। আমরা মানুষ সাধারণত নিজেদের দোষ দেখিনা বা বুঝিনা। কিন্তু আমাদের উচিৎ আমাদের নিজের কৃত অপরাধ বা ভুল নিয়ে আগে ভাবতে শেখা।

এ কথা অনস্বীকার্য্য যে নৈতিক সামাজিক অবক্ষয়ের কারণে সমাজে আমাদের ধর্মীয়, সামাজিক অনুশাসন বেড়া ডিঙ্গিয়েছে কিন্তু তাই বলে এই নয় আমরা একটা অন্যায়কে আরেকটা অন্যায় দিয়ে চাপা দেবো। ফ্রি মিক্সিং বেড়েছে আর তাতে এসব অপরাধও বেড়েছে যারা ভাবছেন তাদের জন্য একটাই কথা, শুধু এক পক্ষ দায়ী নয় বরং উভয় পক্ষেরই সম অন্যায় বা অপরাধ আছে। এখন কথা হলো, আমি যদি এতই বুঝি এতই জানি তাহলে আমিও সেই একই অপরাধে অপরাধী হবো কেনো?

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ রক্তিম দিগন্ত । শুভকামনা জানবেন।

২৫| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৫৭

কিরিটি রায় বলেছেন: কিভাবে ফেরাবেন?

কর্পোরেট কালচার যেখানে নারীর পন্যায়নে মূখিয়ে! আধুনিকতার নামে যেখানে নারী নগ্নতাই উপজীব্য, সংস্কৃিতর নামে যেখানে আইটেম হট সং যুবকদের সুস্থ চেতনাকে দুমড়ে মুচড়ে দিচ্ছে! যেখানে নাটক সিনেমা মানেই জীবন বাস্তবতা বহির্ভূত সস্তা সুড়সুড়ি প্রেমের নামে যৌনতার প্রচ্ছন্ন উপস্থাপনা!
ধর্ম যেখানে আধূনিকতার, বিজ্ঞানের আড়ালে অবহেলিত, জীবন বোধ যখন সার্ভাইভ বা প্রতিষ্ঠার নেশঅয় অন্ধ, মানুষ্যত্ব মানবতা যেখানে অর্থের মানদন্ডে ক্লাসিফায়েড সেখানে ভাল কিছূ আশা করাও বাতুলতা নয়!

নালীর সম্মান, অধীকার আর ভালবাসা যে পাঠ পরিবার থেকে হবার কথা তাও আজ কারাতে বসেছে। প্রযুক্তির নেগেটিভ ওপ্রোচ খূব দ্রুতই ভাইরাল হয়ে পড়েছে!
সো আবার ফিরে আসতে হলে এই পথ পদ্তিগুলোকে আগে শুধরাতে হবে। নইলে বাকী সবই হেবে অরণ্যে রোদন!

আপনার লেখাটা খূবই সমৃদ্ধ তথ্যবহুল। শৈষ শুভকামনায় সহমত।

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৩১

স্পর্শিয়া বলেছেন: সামাজিক অবক্ষয়, ধর্মীয় অনুশাসনের অবমাননা এ সব নারীর প্রতি সহিংসতার ক্রমবৃদ্ধির একটি কারণ। লোভ, হতাশা, অশিক্ষা, মানষিক বিকার ও মানবিক মূল্যবোধের ঘাটতি এসবও এ সহিংসতার অনেকগুলো কারণ। আর তাই যৌতুকের লোভে এসিড সন্ত্রাস বা বিষ খাইয়ে খুনের শিকার হন একজন জরিনা কিংবা রহিমা। শুধু তাই নয় উচ্চবিত্ত সমাজের নারীরাও এই সন্ত্রাসের আওতামুক্ত নন।তারা কিন্তু আইটেম সং এ খাঁটো পোষাকে নাচেন না।


অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই-

ধর্ম যেখানে আধূনিকতার, বিজ্ঞানের আড়ালে অবহেলিত, জীবন বোধ যখন সার্ভাইভ বা প্রতিষ্ঠার নেশঅয় অন্ধ, মানুষ্যত্ব মানবতা যেখানে অর্থের মানদন্ডে ক্লাসিফায়েড সেখানে ভাল কিছূ আশা করাও বাতুলতা নয়!

নালীর সম্মান, অধীকার আর ভালবাসা যে পাঠ পরিবার থেকে হবার কথা তাও আজ কারাতে বসেছে। প্রযুক্তির নেগেটিভ ওপ্রোচ খূব দ্রুতই ভাইরাল হয়ে পড়েছে!


এসব নিয়ে আসলেই ভাববার সময় এসেছে।

২৬| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৭

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: মানুষের মধ্যে মানসিক বৈকল্য ধরা পড়ছে, বিবেকবোধ কমে যাচ্ছে । নৈতিকতার অবক্ষয়ের দরুণ সমাজে এরুপ সহিংসতার বিকাশ ঘটছে ।

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:০১

স্পর্শিয়া বলেছেন: বিবেক জাগ্রত হোক। মানুষ অনেক সময়ই ক্ষোভ, হতাশা ও ক্রোধের বশে মানুষ থেকে অমানুষ হয়ে ওঠে। ন্যায় অন্যায় জ্ঞান লোপ পায়। কিন্তু একজন মানুষ শত প্রতিকূলতার মাঝেও ভুলে যাবেনা তার মনুষত্ব সেই হোক চাওয়া। সহিংসতা কোনো সমস্যার সমাধান নয়।

২৭| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৯

জানা বলেছেন:
খুব গুরুত্বপূর্ণ এই লেখাটির জন্যে অশেষ ধন্যবাদ স্পর্শিয়া।

আলোচনা চলুক।

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:০৮

স্পর্শিয়া বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ আপা। আমাদের ঘরে ঘরে আর একটি কন্যা, জায়া, জননীও যেন নির্যাতিত না হন, সহিংসতার শিকার না হন এই হোক আমাদের চাওয়া। যদিও নারী পুরুষ নির্বিশেষে কোনো সহিংসতাই কাম্য নয়।

২৮| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৪২

প্রকৌশলী মোহাম্মদ সাহেদ বলেছেন: আইনের কঠোর প্রয়োগ হলেই এসব বন্ধ হয়ে যেত।

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:১৩

স্পর্শিয়া বলেছেন: আমার ব্যাক্তিগত মতামতে, শুধু আইন দিয়ে কোনো অপরাধ দমন হয় না। মনুষত্বের বিকাশ প্রয়োজন। ছোট একটি শিশুকে খুব ছোট থেকেই পারিবারিক, সামাজিক ভাবে মানবিকতা শিখতে হবে।

২৯| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৪৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: স্পর্শিয়া ,



মানুষ যদি আসলেই মানুষ হতে চায় , তবে তেমন মানুষকে স্পর্শ করে যাবে এ লেখাটি ।

আলোচনায় অনেক কথাই আসবে পক্ষে বিপক্ষে । এর সবগুলো থেকে বেড়িয়ে আসা সত্যগুলো অনুধাবনে আমাদের মন ও মনন সজাগ থাকুক, সে কামনা রইলো ।

কালকে-ই পড়েছিলুম । মন্তব্যের সময় পাইনি । আজ মন্তব্য করবো ভেবে পাতা খুলতেই দেখি লেখাটি সামু কর্তৃপক্ষের নজরে পড়েছে এবং ঠিক দিনটিতে তা চোখের সামনে তুলে ধরাও হয়েছে । । সামু এ জন্যে ধন্যবাদ পেতেই পারে ।

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:২৫

স্পর্শিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ আহমেদ জী এসভাই।
পৃথিবীর আদি লগ্ন থেকেই যেমন নারী পুরুষের মাঝে প্রেম ভালোবাসা, বিরহ কলহ বেঁচে রয়েছে, তেমনি রয়েছে দ্বন্দ ও বিবাদ। একজন নারী যখন সহিংসতার শিকার হন তখন তার প্রতিপক্ষ পুরুষটি। আবার একজন পুরুষ যখন প্রেমে প্রত্যাক্ষাত হন বা স্ত্রী বা প্রেমিকার প্রতারণা বা অবহেলার শিকার হন তখন তার প্রতিপক্ষ নারী। সে দৃষ্টিকোন থেকে অনেকেই আমার এই লেখার উপর বিরাগ ভাজন হবেন।আর আমি সেসবের বিচার করতে বসিনি, কার দোষ কতখানি। আমি শুধু বলতে চেয়েছি একটু মানবিক হোন। সবাই মনুষত্ব বজিয়ে রাখা শিখুন।

নারী পুরুষ নির্বিশেষে কারও প্রতিই সহিংসতা আমাদের কাম্য নয়। তবুও যেহেতু নারীরা শাররিকভাবে ও মানষিকভাবে দূর্বল তাই তাদের প্রতি এ ধরনের সহিংসতার পরিমানও বেশি। আর বিশ্বে এই ধরনের পাশবিকতার পরিমান পুরুষের তুলনায় নারীরাই বেশি ভুক্তভোগী।
আমার এ লেখা পৃথিবীর সকল নারী ও পুরুষের প্রতি যারা সকল ক্ষোভ, হতাশা ক্রোধ ভুলে এই নির্মম নৃশংসতা নিয়ে একটু ভাববেন।
লেখার শুরুতেই আমি কিছু এসিড সন্ত্রাসের শিকার মানুষের বর্ণনা দিয়েছি। যারা এই মেয়েগুলির এই অবস্থা করলো, সেই সন্ত্রাসীকে প্রমোট করা কি কোনো মনুষত্বের লক্ষন?

৩০| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:১৪

সুলতানা রহমান বলেছেন: শুধু একটি দিন নয়, সবসময়ের জন্য নারী সহিংসতাকে না বলতে হবে। খুব গুরত্তপূর্ণ পোস্ট। ভাল লাগলো।

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৩

স্পর্শিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ সুলতানা। ভালো থাকবেন।

৩১| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৩৫

জুন বলেছেন: sultana rahman এর সাথে একমত।
শুধু একটি দিন নয়, সবসময়ের জন্য নারী সহিংসতাকে না বলতে হবে।

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৫

স্পর্শিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ জুন আপা। নারী পুরুষ নির্বিশেষে সকল সহিংসতার অবসান চাই।

৩২| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৩৫

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: ইংরেজীতে একটি প্রবাদ রয়েছে – “ Prevention is better than Cure” প্রবাদটি একেবারেই মিথ্যে নয়।
প্রতিকারের আগে প্রতিরোধ করা উত্তম।

[link|http://www.somewhereinblog.net/blog/nurubrl/29995285|নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধের কোনো বিকল্প

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৩৯

স্পর্শিয়া বলেছেন: আপনার লেখাটি আমার খুব ভালো লেগেছে। আপনার কমেন্টের প্রবাদ বাক্যটিরও যথার্থতা রয়েছে।

৩৩| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৫২

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ এই পোস্টটির জন্য। শুভেচ্ছা জানবেন।

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৩৯

স্পর্শিয়া বলেছেন: আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ও শুভকামনা । ভালো থাকুন।

৩৪| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৫৫

মুহাম্মদ তারেক্ব আব্দুল্লাহ বলেছেন: প্রায় অর্ধকটা পড়েছি , তারপর দেখি আরও অনেক বাকি , তাই আর হলো না । তবে ভালো লিখেছেন । কিন্তু কয়েকটা স্থানে সহমত পোষণ করতে পারলাম না ।

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:০৯

স্পর্শিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ মুহাম্মদ তারেক্ব আব্দুল্লাহ। সবখানেই সহমত হবেন এমনটা আশা করিনা। তবে আমাদের সকলেরই চাওয়া হোক সহিংসতার বিরুদ্ধে।

৩৫| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৫৬

সালাহউদ্দীন আহমদ বলেছেন:
খুব ভাল পোস্ট। অনেক কিছুই বর্ণনায় এনেছেন।

"এই সহিংসতা বন্ধে আমি থেকে শুরু করতে হবে। আমি, আমার পরিবার, তারপর সমাজ।" এ জায়গায় বাঙ্গালী বড়ই একচোখা। এসিড যারা ছোড়ে, তারা নিশ্চয়ই কারো ছেলে, কারো ভাই, কারো বাবা। বাংলাদেশে ক'জন মা/বোন/মেয়ে আছেন যারা তাদের বাড়ীর পুরুষদের এ ব্যাপারে কিছু বলেছেন। নারী নির্যাতন বিষয়ক আলোচনা এ ব্লগেও বিস্তর হয়েছে। এক লেখিকাকে অনুরোধ করেছিলাম তিনি যেন তার বাড়ীর পুরুষ প্রাণীদের এ ব্যাপারে কিছু বলেন। তার মন্তব্য ছিলো অনেকটা এরকম 'তার সুমহান পিতার দ্বারা কখনোই কোন নোংরামী হতে পারেনা।'

যাকগে..১২ নং কমেন্টের হোসেন মালিকের সাহসী স্বীকারোক্তির জন্য অভিনন্দন। ভাই, দোষ যদি সম্পূর্ণ তারও হয় তাহলেও ক্ষমা করে দিন।

২৫ নং কমেন্টের কিরীটি রায়কে ধন্যবাদ।

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:২৬

স্পর্শিয়া বলেছেন: আপনার মন্তব্যটি ভালো লাগলো। ধন্যবাদ সালাউদ্দীন।

৩৬| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:১০

রিকি বলেছেন: কালকেই পড়েছিলাম আপু মন্তব্য দেয়া হয়নি, পোস্টটা স্টিকি দেখে অনেক অনেক ভাল লাগছে। সমাধানের পথ আমার কাছে তিনটা এই ঘরে-বাইরের প্রাত্যহিক একটা গুপ্ত সমস্যা সম্পর্কে-----অন্যায়ের প্রতিবাদ, সচেতনতা সৃষ্টি আর নারীকে শুধু নারী নয় মানুষ হিসেবে মূল্যায়ন করতে হবে ।

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৪১

স্পর্শিয়া বলেছেন: খুব ভালো লাগলো রিকি।

অন্যায়ের প্রতিবাদ, সচেতনতা সৃষ্টি আর নারীকে শুধু নারী নয় মানুষ হিসেবে মূল্যায়ন করতে হবে ।

আমাদের চাওয়া পূর্ণতা পাক।

৩৭| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:১৩

আবু শাকিল বলেছেন: "নারী নির্যাতন -ভেবে দেখেছেন কি" প্যারা য় যা লিখছেন তা মনগড়া লেখা।
প্রেম-বিয়ে,পারিবারিক কলহ এগুলোতে সঠিক পরিসংখ্যান প্রয়োজন।আপনি এগুলোতে একক ভাবে পুরুষদের দায়ি করে গেছেন।

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৫৯

স্পর্শিয়া বলেছেন: প্রেমে প্রত্যাখ্যাত হয়ে এসিড সন্ত্রাস- অধিকাংশ সময় দেখা যায় অশিক্ষা, কুশিক্ষা ও বিবেক বুদ্ধিহীন কিছু নরপশু প্রেমের প্রস্তাবে প্রত্যাখ্যাত হয়ে ঝলসে দিয়েছে কোনো মেয়ের সুন্দর মুখ। একটু চিন্তা করলেই বোঝা যায় কি পরিমান পশুত্ব এবং প্রতিহিংসা পরায়নতা কাজ করে এসব মানুষের মাঝে যারা মানুষ নামের কলঙ্ক। প্রেম প্রস্তাবে সাড়া না দেবার প্রধান কারণ ঐ পশুর অযোগ্যতা। যে মেয়েটি সাড়া দেয়নি দোষ তার নয়। বরং দোষ সেই অযোগ্য পশুটির। নিজের অযোগ্যতা সত্বেও সে অযোগ্যতার কথা না ভেবে অপরের উপর প্রতিহিংসা পরায়ন হয়ে ওঠে। এই জঘন্যতম হীন অপরাধ করবার আগে নরপশুরা কখনই কি উপলদ্ধি করতে পেরেছে তারা যে মানুষ নামের পশু?

মনোমালিন্য বা ঝগড়া-বিবাদ - হতে পারে তা প্রেমিক- প্রেমিকার বা স্বামী-স্ত্রীর মাঝে। এক সময়কার মধুর প্রেমের পরিসমাপ্তিও ঘটতে পারে একজনের মাঝে অথবা দুজনাতেই। তার মানেই কি জোর করে অপরের জীবন নষ্ট করে দিতে হবে? আমাকে কারো আর ভালো লাগছেনা, হতে পারে তার পছন্দ অপছন্দের পরিবর্তন এসেছে। তার মানে কি আমাকে তাকে জোর করে ভালো লাগতেই হবে? সে অযোগ্যতাও তো আমার।আমি তার মনের মত হতে পারিনি। অথবা আমার কোনো দোষই নেই কিন্তু তারও তো নেই তার ভালো লাগছে না আর আমাকে। এতে কাকে দোষ দেওয়া যাবে? কারুরই নয় হয়তো। দুজনের দুটি পথ আলাদা হতেই পারে। তবে এক হাতে তালি বাজেনা । একে অন্যের প্রতি ভালোবাসা বা আকর্ষন হারানোতে দুজনেরই কিছু না কিছু ঘাটতি, কমতি থাকতেই পারে। সোজা ভাষায় জোর করে কিছু হয়না। তাই বলে তার জীবন তার মত আমার জীবনও আমার মতই কাটিয়ে দিতে হবে। এসব সন্ত্রাসে নিজের মনুষত্ব বিসর্জন করা যায়না।

যৌতুকের জন্য বিবাহ বিচ্ছেদ মানষিক বা শাররিক অত্যাচার- এই হীন মানষিকতার অবসান কবে হবে জানা নেই। কথায় কথায় গালমন্দ মারধোর এতে পুরুষের সাথে সাথে সামিল হন কিছু নারীরাও। খুব সহজেই সমাজে এ লোভ ও লালসার বীজ প্রোথিত হয়ে পড়েছে। একজন নারী যখন বঁধু হয়ে আসেন তখনও তিনি শিকার হন যৌতুকের এক সময় ছেলে সন্তানের বঁধুর উপরেও খড়গ হস্ত হতে কুন্ঠিত হন না।

পারিবারিক প্রতিহিংসা- পারিবারিক প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে অনেকেই নারীর প্রতি সহিংস হয়ে ওঠেন । কারণ নারী সে শাররিক, মানষিক ক্ষমতায় সহজে পরাজেয় ও সামাজিকভাবে তাকে হেয় করাটা খুব সহজ। অথচ আপনি নিজের কাছে কতটা হেয় হলেন ভেবেছেন কি?

যৌন সম্পর্কে অসম্মতি বা ধর্ষন - পৃথিবীর আদিমতম প্রবৃত্তি বা পাশবিক এই প্রবৃত্তি নিরসনে আপনি নিজের কাছে কতটা ছোট হলেন? একটাবার অন্তত ভাবুন।

পরিবারের বা খুব কাছের সদস্য দ্বারা যৌন নির্যাতন- বাড়িতে শৈশবে এমন অনেক শিশু , কিশোরীরাই আছেন যারা চাচা, মামা খালু দ্বারা যৌন নির্যাতনের শিকার হন। লজ্জা ও ভয়ে বেশিভাগ সময়ই লুকিয়ে রাখে তারা সেসব নির্মম নির্যাতনের কাহিনীগুলো। একটাবার ভাবুন আপনার অনাগত সন্তানের কথা। ভাবুন আপনার ছোট বোনটিকে। পারবেন কি ওদের জলেভেজা চোখ দুটো সহ্য করতে?

স্কুল ও কলেজগামী মেয়েরা ইভ টিজিং- ইভ টিজিং নারীর প্রতি সহিংসতার আরেক উদাহরন। ব্যাক্তিত্বহীন নরপশুদের সুচনাই হয় এই ইভটিজিং থেকে। এ থেকে ইভ টিজাদের আশু মুক্তির প্রয়োজন। পারিবারিক, সামাজিক মূল্যবোধ বাড়ি্যে তুলতে হবে। বিশেষ করে পরিবার পারে এই নৈতিকতার শিক্ষা দিতে।

নারী যখন নারীর শত্রু- একজন মেয়ের বিয়ের পর সর্বপ্রথম শাশুড়ি-ননদ বা কাছের মানুষের কাছেও অনেক সময় তারা নিগৃহীত হয়। যৌতুক, কাজ না পারার খোঁটা, হাঁটা চলা, কথা বার্তা নিয়ে নানা প্রকার খোঁটা দেওয়া থেকে শুরু করে কখনও কখনও অকথ্য নির্যাতনের শিকার হন নারীরা।

গৃহকর্ত্রীর হাতে মেয়ে গৃহকর্মী নির্যাতনের কথাও সবার জানা- প্রায়ই দেখা যায় সনামধন্য শিক্ষিত মানুষেরা গৃহকর্মীদের নির্যাতন করে পুলিশের হাতে ধরা পড়েন। তারা ছাড়াও ছোটখাটো নির্যাতন, কথায় কথায় গালমন্দ, চড় থাপ্পড় এসব যেন তাদেরই প্রাপ্য এমন মানষিকতার মানুষও আমাদের সমাজে অসংখ্য ছড়িয়ে আছে।


আবু শাকিলভাই। আবারও আপনাকে বলবো আমার লেখাটা ভালো করে পড়ুন ও ভেবে দেখুন। এখানে আমি যা লিখেছি তা কিন্তু কোনো গল্প বা কবিতা না যে মন থেকে বানিয়ে বানিয়ে লিখবো। এসব কি আমাদের সমাজে হচ্ছে না? আপনি কি সেটাই বলতে চাচ্ছেন? এসব কখনও হয়না বা মিথ্যা যা আমি বানিয়ে লিখেছি?

উপরে পরিসংখ্যান দেবার প্রয়োজন যেখানে সেখানে দিয়েছি কিন্তু আমি যেখানে ভেবে দেখতে বলেছি তা গোটা লেখাটার একটি সারমর্ম বা সারাংশ। আমি আমাদের বিবেককে প্রশ্ন করতে বলেছি। এখানে পরিসংখ্যান উপাত্ত প্রয়োজন কেনো বুঝলামনা। আপনি যদি বুঝিয়ে বলতেন সত্যিই খুশী হতাম। এখানে নারী পুরুষ কার কতখানি দোষ , কার কতখানি গুন তা আমি বিচার করতে বসিনি। আমি যেহেতু নারীর প্রতি সহিংসতার হার বেশি তাই আজ নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দিবসে স্মরণ করেছি। আসুন আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হই নারী পুরুষ নির্বিশেষে কারো প্রতিই সহিংসতা কাম্য নয়।আপনি আমার গোটা পোস্ট ভালো করে পড়লে কখনো বলতেন না আমি এককভাবে শুধু পুরুষদেরকে দায়ী করেছি।

এমনকি ভেবে দেখেছেন কি প্যারাতেও বোল্ড করা অংশ টুকু পড়লে বুঝতেন আমি শুধু একটি কারণ নিয়েই লিখিনি বা শুধু পুরুষকেই দায়ী করিনি। পুরো পোস্ট ভালো করে পড়লে আপনার এ সন্দেহ দূর হয়ে যেত। আমার ক্ষুদ্র মস্তিস্কে যতদূর, ভাবা যায় লেখা যায় বা রিসার্চ করা যায় তা দিয়েই লিখেছি।

আপনার জন্য শুভকামনা। ভালো থাকবেন।

৩৮| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:২২

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: ইংরেজীতে একটি প্রবাদ রয়েছে – “ Prevention is better than Cure” প্রবাদটি একেবারেই মিথ্যে নয়।
প্রতিকারের আগে প্রতিরোধ করা উত্তম।

নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধের কোনো বিকল্প নেই

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:০২

স্পর্শিয়া বলেছেন: আপনার সব লেখায় অনবদ্য।
নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধ হোক।

৩৯| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫০

কিরমানী লিটন বলেছেন: "... তোমার ছেলে উঠলে মাগো
রাত পোহাবে তবে" সকলের জেগে উঠার,সেই কাঙ্ক্ষিত ভোরের আশায়...

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:০৩

স্পর্শিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ কিরমানী লিটন।

৪০| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৪

তিথির অনুভূতি বলেছেন: সরাসরি প্রিয়তে :)

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৪

স্পর্শিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ তিথির অনুভুতি। শুভকামনা।

৪১| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৭

অশুভ বধ বলেছেন: এখনো স্বশিক্ষিত হতে পারে নাই মানুষ ।

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৫

স্পর্শিয়া বলেছেন: স্বশিক্ষিত হওয়া জরুরী প্রয়োজন।

৪২| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:২৭

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে লেখাটির জন্য ।

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৬

স্পর্শিয়া বলেছেন: শুভকামনা জানবেন।

৪৩| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:২৮

শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: @মালিক ভাই

কমেন্টের উত্তর ভালোলাগছে তাই জানাইছি কেবল। কারন উত্তরটা যুক্তিসঙ্গতই ছিলো। আমার তো মনে হয় পৃথিবীতে সফল প্রেমের চেয়ে ব্রেকআপের সংখ্যাই বেশি। সহিংসতার চিন্তাগুলাকে প্রশয় দিলে দুনিয়ার অবস্থা খুব একটা ভালো হবে না। এরচেয়ে এই ধরনের চিন্তা বাদ দিয়ে সামনের দিকে তাকানোই মঙ্গল। ঈশ্বর যদি চাইতো আমরা পিছন ফিরে দেখি বারবার তাইলে আমাদের মাথার পিছনেও একটা চোখ দিয়ে দিতেন। যাকে আপনি এতো পছন্দ করতেন তার প্রতি ঘৃনা না থাকুক এইটাই মঙ্গলের হবে। আবার আপনিও তো বললেন তার ক্ষতি করা আপনার পক্ষে সম্ভব না। তাই তাকে সুখেই থাকতে দেন আর আপনিও চেহটা করেন ওই এক বছর ভুলে বাকী যত বছর আছে সেটা উপভোগ করতে। পুরোপুরি সফল হবেন নাকি জানি না, কিন্তু এই চেষ্টায় আপনাকে ভালোর দিকেই নিবে, খারাপের দিকে না।

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:০৪

স্পর্শিয়া বলেছেন: খুব সুন্দর মতামত বা সাজেশন। প্রতিহিংসা ব্যাপারটিই অন্যের জন্য, সমাজের জন্য সর্বোপরি নিজের জন্য একটি আত্মঘাতি ক্ষতিকর ব্যাপার। যেখানে কোনো মঙ্গল নেই। শুভকামনা সর্বদা।

৪৪| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: পোষ্টটি স্টীকি করায় জানাপু, কা_ভা এবং সামু টিমের সকলকে ধন্যবাদ! :)

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:০৫

স্পর্শিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ বিদ্রোহি ভৃগু। শুভকামনা।

৪৫| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:০২

মামুন ইসলাম বলেছেন: চমৎকার একটি গঠনমূলক লেখা । পোস্টটি স্টিকি করায় কতপক্ষকে ধন্যবাদ না দিলেই হয় না ।

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:০৬

স্পর্শিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ মামুন ইসলাম।

৪৬| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০১

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: নারি নির্যাতন কারিদের সনাক্ত করে এদের ফাঁসী দেওয়া হোক । পোস্টে ধন্যবাদ।

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:০৭

স্পর্শিয়া বলেছেন: পৃথিবী হতে সকল সহিংসতা দূর হোক।

৪৭| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:২৮

আমিই মিসির আলী বলেছেন: যতদিন না দৃষ্টি ভঙ্গির পরিবর্তন এবং যথাযথ আইন প্রনয়ন করে তা সুষ্ঠু প্রয়োগ করা হবে ততদিন নারীদের প্রতি এসব অন্যায়, অবিচার, অনাচার বন্ধ হবে না।

আপনার লেখনি অসাধারণ।

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:০৮

স্পর্শিয়া বলেছেন: দৃষ্টি ভঙ্গির পরিবর্তন বড় প্রয়োজন।

অসংখ্য ধন্যবাদ।

৪৮| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৩৬

চাঁদগাজী বলেছেন:

সবকিছুই সঠিকভাবে বলা হয়েছে পোস্টে; এরপর কোন ব্লগার এসিড নিয়ে খেলবে না।

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:১১

স্পর্শিয়া বলেছেন: এমনটা হলে সত্যিই খুব ভালো হত। আর একটা মুখও ঝলসে যেত না।

৪৯| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:০৯

পার্থিব পার্থ বলেছেন: সামগ্রিক ব্যাপারগুলো খুব চমৎকার ভাবে উপস্থাপন করেছেন। এসিড সন্ত্রাস একটি মানসিক ব্যাধিও বটে। যেমন এখানে মালিক নামে একজনের কমেন্ট দেখলাম যিনি এসিড মারার ইচ্ছে পোষণ করেন। এই ধরনের অসুস্থ মনোভাব থেকেই ভয়ংকর কোন অপরাধ সংঘটিত হয়ে যেতে পারে। আবার শাকিল ভাই একধরনের পুরুষতান্ত্রিক মনোভাব থেকে বাস্তবতাকে অগ্রাহ্য করার চেষ্টা করেছেন। যে দুজনের কথা উল্লেখ করলাম এদের মত করে অনেকেই চিন্তা করে। যা আসলে এসিড সন্ত্রাস রোধে ব্যারিয়ার হিসাবে কাজ করে। স্পষ্ট ভাবেই বললাম। কারন এসব সমস্যা সমাধানে ধরি মাছ না ছুঁই পানি অবস্থান নিলে পরিনতি আরো ভয়াবহ হয়।

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৪৭

স্পর্শিয়া বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য। ক্রোধ, ক্ষোভ, হতাশা থেকে এমন একটি মানষিক বৈকল্যের সৃষ্টি হয় মানুষ যখন তার নিয়ন্ত্রন হারায়, মনুষত্ব বা বিবেক বর্জিত কাজগুলো করে ফেলে। আমাদের দরকার আত্ম উন্নয়ন এবং আত্ম নিয়ন্ত্রন।পৃথিবীতে বেঁচে থাকবার জন্য অনেক ভালো কাজ পড়ে রয়েছে। হিংসা, দ্বেষ, লোভ ক্ষোভ পরিত্যাগ করে বরং সুন্দরভাবে আরও কিছু বছর বেঁচে থাকা যায়।

৫০| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৩০

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: অসম্ভব সুন্দর একটি লেখা শেয়ার করারা জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ । লেখাটি প্রিয়তে নিয়ে নিলাম ।

অনেক অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য স্পর্শীয়া ।


২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৪৮

স্পর্শিয়া বলেছেন: আপনাকে শুভেচ্ছা এবং কৃতজ্ঞতা।

৫১| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:০৩

গাজী ইলিয়াছ বলেছেন: এর জন্য আজকের শিক্ষিত নামধারী তথাকথিত নারীরা নারীর প্রতি পুরুষের সহিংস মনোভাব সৃষ্টির জন্য অনেকাংশে দায়ী ! সে সকল নারীরা তাদের নৈতিক মূল্যবোধ নিয়ে সত্যিকারের সচেতন নয় বলে আজ তাদের এই অবস্হা !

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:০০

স্পর্শিয়া বলেছেন: নৈতিক মূল্যবোধের সচেতনতা নারী পুরুষ নির্বিশেষে সকলের জন্য সম প্রযোজ্য।

৫২| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৩৯

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: বিশ্ব নারী সহিংসতা দূরীকরণ দিবস- শুধু এ দিনটি নয়, বছরের প্রতিটি দিন নারীর প্রতি সহিংসতা - না বলুন উঁহু, শুধু না নয়, বলুন প্রতিরোধ করুন।

পোস্ট +++ উইথ লাইক, প্রিয়তে তুলে রাখলাম।

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:০০

স্পর্শিয়া বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ বোকামানুষ বলতে চায়।

৫৩| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১:৫০

উল্টা দূরবীন বলেছেন: এতো সুন্দর লেখা শেয়ার করেছেন বলে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:০১

স্পর্শিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানবেন উল্টা দূরবীন।

৫৪| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৩:৩৩

চাটগাইয়া জাবেদ বলেছেন: আধুনিক কালে নারীর ক্ষমতায়ন ঘটলেও নারী নির্যাতন বন্ধ হয় নি। মুখে নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠা থাকলেও অথচ দেশে আইনের সঠিক ব্যবহার নেই বললেই চলে। তাই নারী নির্যাতন কমছে না, বরং বাড়ছে। তবে সবচেয়ে বিবেক অপমানিত হয় তখন, যখন দেখি নারী দ্বারা নারী নির্যাতিত হয়!!

নারীর ওপর নির্যাতনের প্রভাব সমাজের সব ক্ষেত্রে পড়বে, এটাই স্বাভাবিক। তাই নারীর প্রতি সব ধরনের নির্যাতন ও সহিংসতা বন্ধ করতে সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে ভূমিকা রাখতে হবে। আসুন একসাথে হাতে হাত রেখে সামাজিক এই দুষ্ট ক্ষতের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াই।

খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং জানার মত অনেক তথ্যবহুল পোস্ট। অনেক পরিশ্রম করেছেন আর পরিশ্রমের দিক দিয়ে ধন্যবাদটা খুবই ছোট। স্যালুট আপনাকে

সোজা প্রিয়তে নিলাম....

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:০৫

স্পর্শিয়া বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য। আপনার লেখাটি পড়েছি। আমাদের চাওয়া পূর্ণ হোক। সকল সহিংসতা বন্ধ হোক।

৫৫| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ ভোর ৫:৩১

কবি এবং হিমু বলেছেন: ভাল একটি পোস্টের জন্য ধন্যবাদ।আমার মতে কেবল আমদের মন-মানুষিকতা বদলালেই হবে না।সেই সব অপরাধীদের দ্রুত বিচারের আওতায় এনে কঠিন শাস্তির বিধান করলে আমার মনে হয় মানুষ করার আগে একবার চিন্তা করবে।এখন সবাই দেখে যে অপরাধীরা ছাড়া পেয়ে যাচ্ছে।তাই আমাদের সবার সাথে সাথে সরকার ও যদি কঠোর মনোভাব পোষন করে তাহলে ২-৩ বছরের ভিতর আমার মনে হয় এই নির্যাতন শুন্যর কোঠায় নেমে আসবে।

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:০৯

স্পর্শিয়া বলেছেন: অবশ্যই আইনের আওতায় অপরাধীকে আনা উচিৎ তবে মানুষের বিবেক যতদিন শিক্ষিত না হবে ততদিন শাস্তি পাবার আগে সে বুঝবেনা কত বড় অপরাধ সে করতে যাচ্ছে। কাজেই অপরাধ সংঘঠনের আগে থেকেই তা প্রতিরোধের ব্যাবস্থা নিতে হবে আর সেটা সম্ভব শিশুকাল থেকে পারিবারিক ও সামাজিকভাবে নৈতিকতা শিক্ষার মাধ্যমে।

৫৬| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ ভোর ৬:৩০

সোহানী বলেছেন: সরি লিখাটা অনেক আগে পড়লে ও মন্তব্য দিতে দেরী করলাম।

প্রথমেই ধন্যবাদ জানাই চমৎকার লিখাটির জন্য। অনেকদিন ধরে জেন্ডার আর নারী অধিকার নিয়ে কাজ করার সুবাধে বিষয়গুলো বারবার সামনে আসে কিন্তু তাকিয়ে দেখেন সাধারন মানুষ কি জানে বা বুঝে বা বোঝার চেস্টা করে। না করে না বরং শিক্ষিত সমাজে নারী নির্যাতন এর ডাটা দেখলে আতঁকে উঠতে হয় আর অশিক্ষিত সমাজেরকে কি দোষ দিব।

ভালো থাকুন ও সকলের সুভবুদ্ধি উদয় হোক, মনুষ্যত্ব জাগ্রত হোক।

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:১৫

স্পর্শিয়া বলেছেন: বরং শিক্ষিত সমাজে নারী নির্যাতন এর ডাটা দেখলে আতঁকে উঠতে হয় আর অশিক্ষিত সমাজেরকে কি দোষ দিব।


কথাটি বড় মূল্যবান।

১। শিক্ষিত হলেও বিবেক শিক্ষিত হয়না তাই আজও বিংশ শতাব্দীতে এসে একজন নারীকে মানুষ না ভেবে নারী হিসাবে একটু আধটু শাসন থেকে শুরু করে পিটিয়ে ঢিঢ করার মত নির্যাতনকেও অনেকেই আজও সঠিক মনে করে।

২। মেয়েদের ক্রমশ বৃদ্ধি পাওয়া বহির্গমন সে চাকুরী বা পড়াশোনার ক্ষেত্রে হলেও ক্রম বৃদ্ধি পাওয়া ফ্রি মিক্সিং কেও এ সব অপরাধের কারণ মনে করে তার বিরুদ্ধে বা নারীদের বিরুদ্ধে নির্যাতন সমর্থন করেন।

অথচ ভেবে দেখেন না একই অপরাধে পুরুষটিও সম দায়ী বা তার নিজেরও একদিন কন্যাসন্তান হলে তারও একই পরিনতিই হতে পারে।

৫৭| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:০৪

নীল সঞ্চিতা বলেছেন: চমৎকার এবং তথ্য সমৃদ্ধ গুছানো একটি লেখা। পড়ে অনেক কিছু জানতে পারলাম। ধন্যবাদ জানাই। মানুষের বিবেক জেগে উঠুক।

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:১৬

স্পর্শিয়া বলেছেন: নীল সঞ্চিতা শুভকামনা জানবেন।

৫৮| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:১৪

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: চমৎকার পোস্টটি স্টিকি করায় কতৃপক্ষকে ধন্যবাদ , স্পর্শিয়া'কে অভিনন্দন !

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:২৩

স্পর্শিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ গিয়াস উদ্দিন লিটনভাই।

৫৯| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৩৯

নাজমুল হাসান মজুমদার বলেছেন: খুব গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:২৪

স্পর্শিয়া বলেছেন: সহিংসতা, নির্যাতন বন্ধ হোক। বিবেক জাগ্রত হোক।

৬০| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:১৮

সুমন অনিরুদ্ধ বলেছেন: সময়োপযোগী বিষাদের চিহ্ন লেখাটি। চোখে আঙুল দিয়ে দেখায় আমাদের নিজস্ব বিবেকের ক্ষত,
লেখককে আন্তরিক ধন্যবাদ।

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:২৬

স্পর্শিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ সুমন অনিরুদ্ধ। শুধু প্রাতিস্ঠানিক শিক্ষালাভে শিক্ষিত হলে চলবেনা। আমাদের বিবেককে শিক্ষিত করতে হবে।

৬১| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:০০

কাবিল বলেছেন: সচেতন মূলক পোস্ট ভাল লাগলো।

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:০০

স্পর্শিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ কাবিল।

৬২| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৪৮

হোসাইন আল মামুন বলেছেন: নারী নির্যাতন বন্ধ হোক , এই হোক সবার অঙ্গীকার। লেখাটা দারুণ ও সময়োপযোগী।

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:২৩

স্পর্শিয়া বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ হোসাইন আল মামুন।

৬৩| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৮

blackant বলেছেন: নারীবাদী, বা পুরুষবাদী নয় বরং মানুষবাদী হতে চাই । সেই পৃথিবীর নাগরিক হতে চাই যেখানে নারী বা পুরুষের জন্য আলাদা কোন সংহতি দিবস নাই ।

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:২৬

স্পর্শিয়া বলেছেন: blackant বলেছেন: নারীবাদী, বা পুরুষবাদী নয় বরং মানুষবাদী হতে চাই । সেই পৃথিবীর নাগরিক হতে চাই যেখানে নারী বা পুরুষের জন্য আলাদা কোন সংহতি দিবস নাই ।


খুব সুন্দর মন্তব্য। শুভকামনা।

৬৪| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৯

তানিয়া হাসান খান বলেছেন: অনেকদিন পরে ব্লগে এসে এমন তথ্য নির্ভর আর সচেতনতামূলক পোস্ট পড়ে ভাল লাগছে। স্পর্শিয়াকে অসংখ্য ধন্যবাদ :)

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৩৭

স্পর্শিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ তানিয়া হাসান। শুভকামনা।

৬৫| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:০২

তানিয়া হাসান খান বলেছেন: আমিও একটু চেষ্টা করেছি আমার ব্লগে এ্ই বিষয়টি নিয়ে লিখতে । ব্লগে আসার আমন্ত্রণ রইল।

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৪১

স্পর্শিয়া বলেছেন: আপনার লেখাটি পড়েছি। অসংখ্য ধন্যবাদ আমন্ত্রনের জন্য।

৬৬| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:১০

অলৌকিক আগন্তুক বলেছেন: আবদ্ধ মানষিকতা থেকে বেড়িয়ে আসতে হবে। তাহলেই কেবল এই সমস্যা দূর করা সম্ভব। +++

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৪৩

স্পর্শিয়া বলেছেন: সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ অলৌকিক আগন্তক।

৬৭| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১:২২

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন:
এ সকল অসুস্থ্য মানষিকতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। নারী পুরুষ নির্বিশেষে নারীর প্রতি সহিংসতাকে না বলুন! সুখী সুন্দর সুস্থ্য একটি সমাজ ও পরিবার গড়ে তুলুন। ২৫শে নভেম্বর, বিশ্ব নারী সহিংসতা দূরীকরণ দিবস- শুধু এ দিনটি নয়, বছরের প্রতিটি দিন নারীর প্রতি সহিংসতাকে - না বলুন। মানুষ হিসাবে নিজের পরিচয়কে প্রতিষ্ঠিত করুন। ---------


২৭ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৪৫

স্পর্শিয়া বলেছেন: মানুষ হিসাবে নিজের পরিচয়কে প্রতিষ্ঠিত করুন। ---------

ধন্যবাদ বিথী।

৬৮| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৩৪

রাজেশ চক্রবর্তী জিতু বলেছেন: প্রতিদিন পত্রিকা পাতা খুললেই ধর্ষণ, খুন, ইভটিজিং এর ঘটনা চোখে পড়বেই। কেন আমাদের সমাজ টা এত খারাপ হয়ে গেল? এমন কোনো দিন নেই ধর্ষণের মত জঘন্য ঘটনা ঘটছে না। মেয়েরা ঘরে বাইরে কোথাও নিরাপদ নয় আজকাল। জঘন্য মন-মানসিকতার এক উজ্জল নিদর্শন হচ্ছে আজকের এই সমাজ। মেয়েরা মায়ের জাত তাই তাদের প্রতি হিংস্র মনোভাব বর্জন করুন। এর চেয়ে বেশি কিছুই আর বলার নেই। প্রত্যেক মেয়েদের সুন্দর নিরাপদ জীবন কামনা করি। ভালো থাকবেন সবাই।

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৫১

স্পর্শিয়া বলেছেন: প্রত্যেক মেয়েদের সুন্দর নিরাপদ জীবন কামনা করি। ভালো থাকবেন সবাই

আন্তরিক ধন্যবাদ রাজেশ চক্রবর্তী। ভালো থাকবেন ।

৬৯| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৩৯

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: অসাধারণ এই পোস্টটির জন্য কৃতজ্ঞতার ভাষা নেই। প্রিয়তে রাখলাম স্পর্শিয়া।

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৫২

স্পর্শিয়া বলেছেন: কৃতজ্ঞতা জানবেন ময়ুরাক্ষী। ভালো থাকুন।

৭০| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:১১

দর্পণ বলেছেন: আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: অসাধারণ এই পোস্টটির জন্য কৃতজ্ঞতার ভাষা নেই। প্রিয়তে রাখলাম স্পর্শিয়া।

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৩

স্পর্শিয়া বলেছেন: অশেষ ধন্যবাদ দর্পন । ভালো থাকবেন।

৭১| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৬

শাওন আকন্দ বলেছেন: স্পর্শীয়া আপু, আপনার প্রতিটি পোষ্ট ই আমার অনেক ভালো লাগে কিন্তু এই লেখাটার প্রশংসা কিভাবে করব ভেবে পাচ্ছি না।


আপাতত ভাবছি!

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৯

স্পর্শিয়া বলেছেন: শাওন আকন্দ আপনার মন্তব্যে আপ্লুত হলাম। শুভকামনা। ভালো থাকুন।

৭২| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৭

সাইফুলইসলাম সাইফ বলেছেন: লেখাটির জন্য আপনার প্রতি ভালবাশা রইল ।

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১৪

স্পর্শিয়া বলেছেন: অশেষ কৃতজ্ঞতা সাইফুল ইসলাম সাইফ।

৭৩| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৪

বনমহুয়া বলেছেন: কিছুদিন আগে দেখছিলাম পুরুষ নির্যাতন। সেটা নিয়ে কত কথা। কারা কারা নাকি বউদের কাছে মাইর খায়। এমন অসম্ভব কথা নিয়ে পুরুষ নির্যাতন দিবসও হয়েছে। এই পোস্ট দেখিয়ে তাদের কাছে জানবার ছিলো তাদের মতামত।

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৫৩

স্পর্শিয়া বলেছেন: নারী পুরুষ কারো প্রতিই সহিংসতা কাম্য নয়। ভালো থাকবেন বনমহুয়া।

৭৪| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৪

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: নারী নির্যাতন বন্ধ হোক ।
আসলে মানব নির্যাতন বন্ধ হওয়া উচিত ।
দুঃখের ব্যাপার মানুষই মানুষকে নির্যাতন করছে ।
নারীর মাধ্যমে নারী নির্যাতিত হচ্ছে আর পুরুষের মাধ্যমে পুরুষ নির্যাতিত হচ্ছে এমন ঘটনা বা দৃষ্টান্ত কম নেই ।

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৩৪

স্পর্শিয়া বলেছেন: মানব নির্যাতন বন্ধ হওয়া উচিত ।

যথার্থ। মানব নির্যাতন চাইনা। শুভকামনা সেলিম আনোয়ার।

৭৫| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৩৪

আরাফাত আল মাসুদ বলেছেন: নারী বা পুরুষ হিসেবে নয়, প্রত্যেকেরই মানুষ হিসেবে প্রাপ্য অধিকার নিশ্চিত হৗয়া উচিত।

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৩৫

স্পর্শিয়া বলেছেন: নারী বা পুরুষ হিসেবে নয়, প্রত্যেকেরই মানুষ হিসেবে প্রাপ্য অধিকার নিশ্চিত হৗয়া উচিত।


সুন্দর মতামতটির জন্য অশেষ ধন্যবাদ আরাফাত। ভালো থাকবেন।

৭৬| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:২২

গেম চেঞ্জার বলেছেন: প্রকৃতার্থে দৃষ্টিভঙির পরিবর্তন জরুরী।
একজন শাশুরী যদি নিজের ছেলেকে আপন ও অন্যের মেয়েকে অন্যের মেয়ে হিসেবে দেখেন তাহলেই কিন্তু শুরু হয় বড়ো রকমের পারিবারিক একটা সমস্যা। গুপ্ত এক চিন্তাধারা সম্পর্ক নির্মাণে পদে পদে বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়। যৌতুকের মতো অন্যায়ের সূচনা হয়।

আরেকটা ব্যাপার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সেটা হলো পারিবারিক শিক্ষা। একটা পরিবার যদি ছেলেদের উদ্ভট আচরণ, অবাধ্যতা, উশৃংখলতা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে তাহলে এসিড সন্ত্রাস/ইভটিজিংয়ের অস্তিত্বে টানাপোড়ন হতে মাত্রাধিক সময় লাগবে না।

সুশিক্ষার উপর সরকারের জোর দেয়া জরুরী। এতে পারিবারিক, সামাজিক শান্তির পাশাপাশি রাষ্ট্রীয় ও প্রাতিষ্ঠানিকভাবে দুর্নীতির হৃাস বোনাস হিসেবে পাওয়া যেতে পারে।

এ তো গেল প্রতিরোধের কথা। সুশিক্ষা প্রচলন ও বাস্তবায়িত হতে যে সময় দরকার তাতে হা করে এর দিকে তাকিয়ে তাকলে তো চলবে না। তাই প্রতিকারের জন্যও জোর দেয়া আবশ্যক। উপরে আপনি যেইসব সামাজিক প্রতিষ্ঠানের কথা বলেছেন, তাদের কার্যক্রম বেগবান সহ আরো প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করার দরকার থাকলে করতে হবে। তবে কেবল প্রতিকারের জন্য চিন্তা করলে হবে না। প্রতিরোধের ও সমূলে নির্মূল করার জন্য জোর তৎপরতা থাকতে হবে।

চিন্তা করতে হবে। গবেষণা করতে হবে। উপায় বের করতে হবে।

(পোস্ট স্টিকি হওয়ায় অভিনন্দন। আর আপনার সমাজকল্যাণমুখী চিন্তাগুলো আরো প্রসারিত হোক। আরো সমৃদ্ধি ও পরিপক্ষতা লাভ করুক সেই কামনায়.......)

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:১৯

স্পর্শিয়া বলেছেন: অসাধারণ মন্তব্যটির জন্য আপনার প্রতি চির কৃতজ্ঞতা থাকলো গেম চেঞ্জার।

৭৭| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:১৯

রুদ্র জাহেদ বলেছেন: আপুনি লেখাটি যখন পোস্ট করেছেন তখনই প্রিয়তে নিয়ে রেখেছিলাম।একাডেমিক পড়ালেখার ব্যস্ততায় ভালোভাবে ভালো লেখাগুলি দেখা হয়ে উঠে না।আজকে আপনার লেখাটি একটু বিলম্ব করে ভালোভাবে পড়ে ফেললাম।

সহিংসতা নিয়ে আপনার এই লেখাটি আমার কাছে একটি পরিপূর্ণ লেখা মনে হলো।আমাদের সমস্যা অনেক।সমাজে প্রতিটি ক্ষেত্রেই বৈষম্য বিদ্যমান।

ভালোর চেয়ে খারাপটা খোঁজা আমাদের নিত্যনৈমিত্তিক অভ্যাসে পরিণত হয়ে আছে।উপরে অনেক কথা বলা হয়েছে, নতুন করে তেমন কিছু আর বলার নেই।সত্যিই আমাদের দৃষ্টিভঙ্গির আমূল পরিবর্তন দরকার।দেখা যাচ্ছে যে, আমরা নিজেকে সুগঠিত করতে নতুন চিন্তার সাথে পরিচিত হয় না,নিজের গতানুতিক ভাবধারা লালন করতে এবং তা সমাজে জাহির করতে তৎপর।

আমার জীবনে পিতামাতা বলতে আমার মাকেই জেনে আসছি--আমার মা হচ্ছেন আমার অস্তিত্ব।কারণ আমার জন্মের কয়েকদিন পরই পিতার মৃত্যু হয়।নিজের অস্তিত্বকে স্বীকার করতে হবে,জীবনকে অস্বীকার ককরে জীবনের বিকাশ সম্ভব নয়! তাই আমি কাউকে অসম্মান করার কথা চিন্তাই করতে পারি না।

নারী-পুরুষ হিসেবে নয় সমাজের বিকাশ ঘটাতে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন ঘটিয়ে সবাইকে মানুষই ভাবতে হবে...

শুভকামনা আপুনি,আপনার কল্যাণমূলক চিন্তাধারা আর লিখনি আরো বিকশিত হোক...

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৩২

স্পর্শিয়া বলেছেন: রুদ্রভাই আপনার এই মূল্যবান মন্তব্যটি খুব ভালো লাগলো। আপনি যে কাউকে কখনও অসন্মান করার কথাটা চিন্তাও করতে পারেন না তা আপনার পূর্ববর্তী মন্তব্যগুলি দেখলেও বোঝা যায়। মাকে নিয়ে ভালো থাকুন। আপনার জন্য এক রাশ শুভকামনা ।

৭৮| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:২৫

আলোরিকা বলেছেন: পোস্টটি পড়ে একই সাথে সমৃদ্ধ , ব্যথিত , কুণ্ঠিত , লজ্জিত হলাম মানুষ হিসেবে । চমৎকার তথ্যবহুল একটি পোস্ট ।মন্তব্য গুলোও পড়লাম - এপর্যন্ত মন্তব্য করেছেন ৭৮ জন ।এর মধ্যে নেতিবাচক মন্তব্য পেয়েছি খুব সম্ভবত তিনটি । বাস্তবতাও কিন্তু এমনই সমাজের বেশীরভাগ ভাল মানুষের মাঝে অসুরের সংখ্যাও নগণ্যই - কিন্তু এ অপশক্তিরই কিনা এত দাপট ! আমাদের সবার সদিচ্ছাই এ অপশক্তিকে রুখে দেয়ার জন্য যথেষ্ট ।

প্রতিটি মন্তব্যের এত সুন্দর করে , ধৈর্য ধরে উত্তর দেয়ার কারিশমায় আমি মুগ্ধ ! সুন্দর করে মন্তব্যের উত্তর দেয়াও যে একটা শিল্প এটাও ব্লগারদের জানা প্রয়োজন । কাউন্সেলর হিসেবে আপনাকে পুরো একশই দিলাম :)
অনেক অনেক শুভকামনা স্পর্শিয়া ।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৫৯

স্পর্শিয়া বলেছেন: আলোরিকা আপনার জন্য অন্তর থেকে ধন্যবাদ। মানুষের যখন অনেক থাকে তখন ধৈর্য্য কম থাকে। জীবন কখনও কখনও কাউকে শিখিয়ে দেয় ধৈর্য্যের যে শেষ থাকতে নেই। শুভকামনা আলোরিকা।

৭৯| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৭

জেন রসি বলেছেন: অসাধারন পোষ্ট।

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:১১

স্পর্শিয়া বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ জেন রসি।

৮০| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:২৩

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: ২৫শে নভেম্বর, বিশ্ব নারী সহিংসতা দূরীকরণ দিবস- শুধু এ দিনটি নয়, বছরের প্রতিটি দিন নারীর প্রতি সহিংসতাকে - না বলুন। মানুষ হিসাবে নিজের পরিচয়কে প্রতিষ্ঠিত করুন।

প্লাস সহ প্রিয়তে।

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৫৭

স্পর্শিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ দিশেহারা রাজপুত্র।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.