নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কাকতাড়ুয়া

স্পাউট রক

প্রতিটি জিনিসের ভিন্ন ভিন্ন সৌন্দর্য বোঝার ক্ষমতা মানুষের নেই ,যদি কোনো মানুষের থেকে থাকে তবে সে মহামানব নয়ত মহাবেকুব ।

স্পাউট রক › বিস্তারিত পোস্টঃ

আন্তর্জাতিক মে দিবস

০১ লা মে, ২০১৪ দুপুর ১:৩৩

আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস

(মে দিবস নামেও

পরিচিত)



আন্তর্জাতিক শ্রমিক

আন্দোলন ও

বামপন্থী আন্দোলনের উদযাপন

দিবস । পৃথিবীর বিভিন্ন

দেশে শ্রমজীবী মানুষ এবং শ্রমিক

সংগঠন সমূহ

রাজপথে সংগঠিতভাবে মিছিল ও

শোভাযাত্রার

মাধ্যমে দিবসটি পালন করে থাকে ।

বিশ্বের প্রায়

৮০টি দেশে ১লা মে জাতীয় ছুটির

দিন । আরো অনেক

দেশে এটি বেসরকারি ভাবে পালিত

হয় ।



ইতিহাসঃ ১৮৮৬ সালে আমোরিকার শিকাগো

শহরের 'হে মার্কেটের ম্যাসাকার'

শহীদদের আত্মত্যাগকে স্মরণ

করে পালিত হয় । সেদিন দৈনিক

আটঘন্টার কাজের

দাবীতে শ্রমিকরা হে মার্কেটে জমায়েত হয়েছিল ।

তাদেরকে ঘিরে থাকা পুলিশের

প্রতি এক অজ্ঞাতনামার

বোমা নিক্ষেপের পর পুলিশ

শ্রমিকদের ওপর গুলীবর্ষণ শুরু

করে । ফলে প্রায় ১০-১২জন

শ্রমিক ও পুলিশ নিহত হয় । ১৮৮৯ সালে

ফরাসী বিপ্লবের

শতবার্ষিকীতে প্যারিসে দ্বিতীয়

আন্তর্জাতিক ১লা মে এর প্রথম

কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হয় ।

সেখানে ১৮৯০ সাল

থেকে শিকাগো প্রতিবাদের

বার্ষিকী আন্তর্জাতিকভাবে বিভিন্ন দেশে পালনের প্রস্তাব করেন

রেমন্ড লাভিনে । ১৮৯১ সালের

আন্তর্জাতিক দ্বিতীয়

কংগ্রেসে এই প্রস্তাব

আনুষ্ঠানিকভাবে গৃহীত হয় ।

এরপরপরই ১৮৯৪ সালের

মে দিবসের দাঙ্গার ঘটনা ঘটে ।

পরে, ১৯০৪ সালে আমস্টারডাম

শহরে অনুষ্ঠিত সমাজতন্ত্রীদের

আন্তর্জাতিক সম্মেলনে এই

উপলক্ষ্যে একটি প্রস্তাব গৃহীত

হয় । প্রস্তাবে দৈনিক

আটঘন্টা কাজের সময় নির্ধারণের

দাবী আদায়ের জন্য

এবং শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য

বিশ্বজুড়ে পয়লা মে তারিখে মিছিল

ও শোভাযাত্রা আয়োজনের সকল

সমাজবাদী গণতান্ত্রিক দল

এবং শ্রমিক সংঘের (ট্রেড

ইউনিয়ন) প্রতি আহবান

জানানো হয় । সেই

সম্মেলনে “শ্রমিকদের হতাহতের

সম্ভাবনা না খাকলে বিশ্বজুড়ে সকল শ্রমিক সংগঠন মে’র ১

তারিখে “বাধ্যতামূলকভাবে কাজ

না করার” সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে ।

অনেক

দেশে শ্রমজীবী জনতা মে মাসের ১

তারিখকে সরকারি ছুটির দিন

হিসাবে পালনের দাবী জানায়

এবং অনেক দেশেই

এটা কার্যকরী হয় । দীর্ঘদিন

ধরে সমাজতান্ত্রিক, কমিউনিষ্ট

এবং কিছু উগ্রবাদী সংগঠন তাদের

দাবী জানানোর জন্য

মে দিবসকে মুখ্য দিন

হিসাবে বেছে নেয় । কোন কোন

স্থানে শিকাগোর হে মার্কেটের

আত্মত্যাগী শ্রমিকদের

স্মরণে আগুনও

জ্বালানো হয়ে থাকে । পূর্বতন

সোভিয়েত রাষ্ট্র, চীন, কিউবাসহ

বিশ্বের অনেক দেশেই মে দিবস

একটি তাৎপর্যপূর্ণ দিন। সে সব

দেশে এমনকি এ

উপলক্ষ্যে সামরিক

কুচকাওয়াজের আয়োজন করা হয় ।

বাংলাদেশ এবং ভারতেও এই

দিনটি যথাযথভাবে পালিত

হয়ে আসছে ।

আমেরিকা ও কানাডাতে অবশ্য

সেপ্টেম্বর মাসে শ্রম দিবস

পালিত হয় । সেখানকার কেন্দ্রীয়

শ্রমিক ইউনিয়ন এবং শ্রমের নাইট

এই দিন পালনের উদ্যোক্তা ।

হে মার্কেটের হত্যাকান্ডের পর

আমেরিকার তৎকালিন প্রেসিডেন্ট

গ্রোভার ক্লিভল্যান্ড

মনে করেছিলেন

পয়লা মে তারিখে যে কোন

আয়োজন হানাহানিতে পর্যবসিত

হতে পারে । সে জন্য ১৮৮৭ সালেই

তিনি নাইটের সমর্থিত শ্রম দিবস

পালনের প্রতি ঝুকে পড়েন ।



মূলত শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার আদায়ের লক্ষ্যেই এই দিনটি পালিত হয়ে আসছে । তাই এই দিনটি সকল দেশের শ্রমিক তথা সাধারণ জনগনের কাছে একটি গুরুত্বপূর্ন দিন ।



আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবসে সকল শ্রমিকদের জানাই শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছা । :)

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.