নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্যের সন্ধ্যানে সর্বদায় এগিয়ে

Md.Raihan sheikh

সাংবাদিক

Md.Raihan sheikh › বিস্তারিত পোস্টঃ

সন্তানদের সঠিক খোঁজ না নেওয়ার কারণে সমাজে যা ঘটছে

১৪ ই জুন, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২২

আপনার সন্তান কোথায় যায়? কি করে? কার সাথে মেশে? কার সাথে খেলাধুলা করে? কতটুকু খেয়াল রাখেন? যদি আপনার সন্তান টিউশনের কথা বলে আসলেই কি সে টিউশনের জন্য গিয়েছে? স্কুল কলেজের কথা বলে আসলেই কি তারা স্কুল কলেজে আছে কিনা খবর নিয়েছেন কখনো?

প্রায় সময় রাস্তায় চলতে ফিরতে দেখা যায়, রিকশায় বসে থাকা তরুণী মুখে কাপড় চাপা দেওয়া, পাশে আরেকটি তরুণ বসা, তরুণীটি হয়ত সাধারণের কাছে নিজের পরিচয় গোপনে চেষ্টারত। এই তরুণ তরুণীরা যখন বাসায় ফিরে তখন তাদেরকে কি কোন জবাবদিহি করতে হয়? বাবা মায়েরা কি জিজ্ঞেস করে তাঁরা এতক্ষন কোথায় ছিল?

স্কুল কলেজের ড্রেস পড়ে কিংবা ভদ্র, শান্ত চেহারার ছেলে মেয়েদের আমরা বিভিন্ন পার্ক অথবা শহরের বিভিন্ন যায়গায় যেমন হোটেল, রেষ্টুরেন্ট, বিভিন্ন শপিংমলে অশালীন অথবা বিব্রতকর অবস্থায় দেখি তাদের বাবা মায়েরা কি তাদেরকে বাসায় ফেরার পর জিজ্ঞাসা করে তোমরা কোথায় ছিলে, কোথা থেকে আসলে?

বর্তমান সময়ে দেখা যায় অনেক বাবা মায়েরা এখনো হয়ত সন্তানকে হাতে তুলে খাইয়ে দেন। এদের বাবা মায়েরা সন্তানের পরীক্ষার রেজাল্টের খবর রাখে, স্কুল কলেজের খবর রাখে, তাদের ক্যারিয়ার কোনদিকে গেলে ভালো হবে সেই খবর রাখে। শুধু খবর রাখেনা ছেলেমেয়ে কোথায় যায়, কি করে! (অন্তত আমার তেমনই মনে হয়, অনেকের দ্বিমত থাকতে পারে)।

প্রায় সময়ই রাস্তায় কোন রিকশা কিংবা সিএনজিতে ভুলে চোখ গেলে লজ্জায় মাথা কাটা যায়। এসব অকালপক্ক ছেলেমেয়েগুলোর প্রকাশ্য ব্যভিচার ‘বয়সের দোষ’ হলেও এ ক্ষেত্রে বাবা মায়েদের ও দোষ কম নয় কি?

ছেলে মেয়েকে দেশের সেরা সেরা বিশ্ববদ্যালয়ে ভর্তি করিয়ে লোকসমাজে নিজেদের স্ট্যাটাস বৃদ্ধির তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলেন কেউ কেউ। তাদের ছেলেমেয়েদের এসব আধুনিক রঙ্গশালায় এসে ব্যভিচার আর নষ্টামির আমলনামা বর্তমানে ভালোই দেখা যাচ্ছে সহজলভ্য ইন্টারনেটের এই যুগে! গার্লফ্রেন্ডের সাথে ঝোপে ঝাড়ে জৈবিক চাহিদা চরিতার্থ করে বন্ধুদের সাথে রসালো বর্ণনা করে আড্ডা জমায় আদরের সন্তানেরা। মোবাইলের লাউড স্পিকারে বান্ধবির সাথে অশ্লীল কথোপকথন বন্ধুদের নিয়ে উপভোগ করে স্মার্ট! (তাদেরভাষায়) ছেলেরা! অথচ প্রায়ই সকল বাবা মায়েরা ঠিকই বলে বেড়ায় আমার ছেলে/মেয়ে কিন্তু আর দশজনের মত না! আর আপনার এই সার্টিফিকেটই যথেষ্ট আপনার সন্তানকে বিপথগামী করার জন্য।

যে কোন ছেলে বা মেয়ের মা বাবার সাথে কথা বললে তারা তো নিশ্চিত করেই বলবেন, তাদের সন্তান ওমন না৷ তবে অশালীনতা করছে কারা? তবে কারা নোট, বই, লাইব্রেরীতে যাবার কথা বলে, বাড়তি ক্ল্যাসের কথা বলে বা ক্ল্যাস ফাঁকি দিয়ে বা ক্ল্যাসের ফাঁকে, মেসে, হোটেলে, নির্জন ফ্ল্যাটে, ঝোপঝাড়ে যায়? রিক্সায়, সিএনজিতেই মেতে ওঠে আদিমতায়? মোবাইল, ইণ্টারনেট জুড়ে কেন এ অশ্লীল ছবির ছড়াছড়ি বলবেন কি?

অনেক অভিভাবক বিশ্বস্ত বান্ধবীদের বাড়িতে বা বিশ্বস্ত বান্ধবীদের সাথে স্বল্প সময়ের জন্যও কোথাও যাবার অনুমতি দেন না৷ কিন্তু তাদের সন্তান মিথ্যে বলে প্রেমিকের সাথে যা তা করছে, তার খবর রাখেন না৷

ইভটিজিং, যৌন সন্ত্রাস, ধর্ষণ, নেশার জগতে যারা আছে কারা তারা? আপনার আমার সন্তান! আপনার আমার তাদের প্রতি বেখেয়ালী আচরনই তাদের এমন পশুর মতো হতে বাধ্য করেছে। বর্তমানে আমাদের সমাজের দিকে একটু খেয়াল করুন কি চলছে বা কি হচ্ছে। হঠাৎ করেই কিন্তু বর্তমানের ইভটিজিং, যৌন সন্ত্রাসের মত ঘটনাগুলো সৃষ্টি হয়ে যায় নি? কোচিং সেন্টারগুলোতেও বেড়ে চলছে ধর্ষণের মত ঘটনা। যার অধিকাংশতেই দেখা যায় শ্রদ্ধাভাজন শিক্ষক কর্তৃকই ঘটছে ধর্ষণের মত পৈশাচিক ঘটনা।

আপনার সন্তানের ভালো আপনি চান বলেই তার ক্যারিয়ার নিয়ে আপনি শঙ্কিত। তার জন্য আপনি তাকে ভালো নামি-দামী স্কুল কলেজে পড়াশোনার পাশাপাশি আলাদাভাবে কোচিং সেন্টারে পাঠাচ্ছেন, ভালো কথা সেই সাথে একটু খেয়াল রাখুন আপনার সন্তানের প্রতি সে কোথায় যায়? কি করে? তার কাছে জবাবদিহী চান। সেই সাথে তাকে নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলুন। তাকে আদর্শ চরিত্রবান করে তোলার ক্ষেত্রে পরিবারের ভূমিকা সবচেয়ে বেশি। পরিবারই পারে তার পৌষ্যকে আদর্শ চরিত্রবান ও সৎ মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে।



আমি বিশ্বাস করি আপনার আমার একটুখানি সচেতনতায় আমাদের ভবিষৎ প্রজন্ম সৎ-চারিত্রিক গুনাবলীর অধিকারী হবে এবং সেই সাথে আমাদের এই সমাজ অপরাধমুক্ত হবে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.