নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্যের সন্ধ্যানে সর্বদায় এগিয়ে

Md.Raihan sheikh

সাংবাদিক

Md.Raihan sheikh › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশের জনগনের ভাগ্য বিধাতা হতে চায় নরেন্দ্র মোদি

২১ শে জুন, ২০১৫ দুপুর ১২:০৯

ইন্ডিয়ার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফরকে কেন্দ্র করে ১৪ দলীয় জোটসহ দেশের রাজনিতীকরা চাতক পাখির মত তার দিকে চেয়েছিল একটু আশ^াসের অপেক্ষায়। কিন্তু বাংলাদেশ থেকে দিল্লি তার স্বার্থ পুরাপুরি পূরন করলেও বাংলাদেশের জনগনের অধীকার প্রতিষ্ঠায় অনিহা ছিল। বরং রাজনৈতিক সঙ্কট সৃষ্টি করে ইরাক লিবিয়া সিরিয়া ইয়েমেন সহ মুসলিম দেশের মত বিসৃঙ্খলা সৃষ্টির অপকৌশল রেখেগেছে কি না তা এখন প্রশ্ন হয়ে দেখা দিয়েছে।

বাংলাদেশের জনগন ও ইন্ডিয়ান জনগনের বন্ধুত্বপূর্ণ সর্ম্পকে অবিশ^াস জন্ম দিয়েছে দিল্লীর আধিপত্যমুলক পররাষ্ট্রনীতি। আর এ পররাষ্ট্রনীতি দক্ষিন এশিয়ার জনজীবন অতিষ্ঠ করে তুলেছে। ইন্ডিয়ার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঢাকা সফর শেষে আবার ইসরাইল যাবেন বিশ^ জঙ্গীবাদ ও দখলদারদের কাছে। বাংলাদেশের শাসন ক্ষমতায়ে এখন একই কায়দায় দখলদাররা ক্ষমতায় আছে।

ওয়ান ইলেভেনের ফকরুদ্দীন – মঈনউদ্দীন ঠান্ডা মাথায় সরকার গঠনে জনগনের ভোটের অধিকার হরনের সে অভিলাস অনুযায়ী? তারই ধারাবাহিকতায় ২০১৪ এর ৫ জানুয়ারী তা আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ ঘটে। তারই উপজেলা নির্বাচন তৃতীয় পর্যায় থেকে ভোটের অধিকার খর্ব করে।

২৮ এপ্রিল ২০১৫ সিটি কর্পোরেশনের ডিজিটাল কায়দায় চরদখল প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করেছে। দেশের প্রধান বিরোধী দলের ও জোটের শীর্ষ পর্যায় থেকে তৃণমূল পর্যন্ত লক্ষাধীক নেতাকর্মী রাজনৈতিক হয়রানী মূলক মামলায় কারারূদ্ধ হয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে তাদের কোন উপয্ক্তু চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হচ্ছেনা।

আবার কাউকে ন্যায় বিচার বহির্ভূত হত্যা করা হচ্ছে। দেশ জুড়ে হাজার হাজার কর্মী বিভিন্ন জায়গায় আত্মগোপন করে অমানবিক জীবন-যাপন করছে। বিচারকদের অভ্যাহতি প্রদান আইন প্রনয়ন করে তাদের নিরপেক্ষভাবে বিচার কার্যে দায়িত্বপালনে ভীতিকর পরিস্থিতির মুখোমুখী দাড় করিয়ে রাখায় রাজনৈতিক মামলাকে আর রাজনৈতিকভাবে বিবেচনায় নিতে পারছেনা বলে রাজনিতীকদের অপমৃত্যুর আশংঙ্খা দেখা দিয়েছে।

হত্যা, খুন, গুম, অপহরন ছাড়াও আইনশৃঙ্খলা রক্ষার বাহিনীর সদস্য কর্তৃক বন্দুক যুদ্ধে হত্যা, ধরে নিয়ে পায়ে গুলী করে চিরতরে পঙ্গু করে দেওয়া। প্যাট্রোল বোমাসহ রাষ্ট্রকে ভীতিকর পরিস্থিতির মুখোমুখী করে রাখা হয়েছে। ইন্ডিয়ার দাবী অনুযায়ী তারা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। যদি তাই হয় তাহলে তারা কি জনগন কতৃক প্রত্যাক্ষিত কোন শাসনকে বৈধতা বা স্বীকৃতি দিতে পারে এ প্রশ্ন উভয় দেশের নাগরিকদের মধ্যে রয়েছে।

তাছাড়াও ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বিএসএফ কতৃক বাংলাদেশী নাগরিক হত্যা। বাংলাদেশের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে ক্ষতিকর মাদকদ্রব্য বাংলাদেশে প্রবেশ করানোর মাধ্যমে যুব সমাজকে ধ্বংস করা। ভারতীয় আকাশ সাংস্কৃতি বাংলাদেশের সাংস্কৃতিকে গ্রাস করলেও বাংলাদেশের আকাশ সাংস্কৃতি ভারতে প্রচারনায় বাধা দান করা।

ফারাক্কা, টিপাইমুখ, তিস্তাসহ ৫৪ টি নদী থেকে আন্তর্জাতীক রীতিনীতি উপেক্ষা ভারত কতৃক পানি প্রত্যাহার করা। ফেনী নদী থেকে পানি উত্তোলন। বাণিজ্যিক বৈষম্যসহ বাংলাদেশের শীর্ষ সন্ত্রাসী ও বিশেষ মহল কর্তৃক বাংলাদেশ থেকে হুন্ডির মাধ্যমে অর্থ পাচার করে ভারতের বিভিন্ন স্থানে তা নিরাপদ সংরক্ষনের সুযোগ দান। বাংলাদেশের বিভিন্ন ব্যবসায় ইন্ডিয়ান মালিকানার আধিপত্য বিস্তার। রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের শীর্ষপর্যায়ে বিশেষ মতাদাশের্ বিশ^াসীদের দায়ীত্ব অর্পন।

এসব দেখে মনে হচ্ছে বাংলা ১৭৫৭ সালের ২৩ জুনের মতো বিপর্যয়ের মুখোমুখী হওয়ার পথে। সেদিন বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজুদ্দৌলার সেনাপাতি মীর জাফর আলী খানের জন্য বাংলার পরাধীনতার জিঞ্জির বিনা যুদ্ধে ফিরীঙ্গিররা পরাতে সক্ষম হয়েছিল। তেমনি ওয়ান ইলেভেনে স্বাধীন বাংলাদেশের সেনাপতি মঈন ইউ আহম্মেদ আধিপত্য বিস্তারে ছয় মাদি ঘোড়া নিয়ে সন্তষ্ঠি প্রকাশ করার পরিনাম ভোগকরছে বাংলাদেশের জনগন। অবশ্য বহুদলীয় গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পর আরেক সেনা প্রধান এইচ, এম, এরশাদ মূলত যাত্রা শুরু করেন।

স্বাধীন বাংলাদেশের রাজনীতিকরা ওয়ান ইলেভেনকে সেনা সমর্থিত সরকার হিসেবে আখ্যায়িত করে। আসলে কি তা সত্য প্রকৃত অর্থে সেনা প্রধান অধিনস্থদের যে আদেশ ও নির্দেশনাদেন সেটা তাদের পালন করতে হয় দেশ মাত্রিকা রক্ষার অতন্ত্র প্রহরী হিসেবে। আসলে ওয়ান-ইলেভেন এর সরকার ছিল জাতি সংঘের ইমেইল বার্তা আর দিল্লীর আধিপত্যবাদের মদদে এমন বিশ^াসই দেশপ্রেমিক জনগনের প্রতিপক্ষ। ভারতের আগ্রাসনের সামান্য চিত্র দক্ষিন ত্রিপুরার সাবরু মহকুমার ১৭টি সীমান্ত পয়েন্টে নোম্পান্সল্যান্ড ৩০টি উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন বিদ্যুৎ চালিত লো লিফট পাম্প মেশিন স্থাপন করে পানি তুলে নিচ্ছে।

সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে সম্পূর্ণ অবৈধভাবে স্থাপিত পাম্প হাউজের মাধ্যমে একতরফা পানি তুলে নেওয়ার ফলে পানি শুকিয়ে শুষ্ক মওসুমে ফেনী নদী ধু-ধু বালুচরে পরিণত হয়। বাংলাদেশকে মরুভূমিতে পরিণত করা প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবসা-বাণিজ্যে অধিপত্য বিস্তার অপসাংস্কৃতির মাধ্যমে যুব সমাজকে ধ্বংস ও নাগরিকের ভোটের অধিকার খর্বে স্বীকৃতি প্রদানের বিনিময়ে ট্রানজিটসহ অন্যান্য সুবিধা নিবেগ্নে গ্রহন করেছে দিল্লি। আর ভোটার বিহীন ভোট বিহীনে সরকার সবকিছু পূরণ করতে দ্যার্থহীন ভাবে কাজ করে চলেছে।

বিশ^জুড়ে যারা বিরোধী দল ও জোট হিসেবে বিবেচিত তারাও চাতক পাখির মতো চেয়ে ছিলেন কখন নরেন্দ্র মোদি পতাকা আর মানচিত্র রেখে বাকী সবকিছুর উপর আধিপত্য বিস্তারে সফলতার সংবাদ দিতে সৌজন্য সাক্ষাৎ এ মিলিত হবে। সৌজন্যে স্বাক্ষৎ হয়েছে ঠিকই আধিপত্যবাদেও দালালরা ২০ দলীয় জোটের ভাঙ্গনের মাধ্যমে বিরোধীদলে থাকার নিশ্চয়তার মাধ্যমে নির্বাচন ঘোষনার প্রত্যাশা করছে।

এমন অভিমত আওয়ামীপন্থী জাতীয়তাবাদীরা করছে। আবার কেউ কেউ বলছে ইন্ডিয়ার রাষ্ট্রপতি প্রনব মূখার্জীর সঙ্গে বেগম খালেদা জিয়া দেখা না করে ভুল করেছিল। নরেন্দ্র মোদীর সাথে দেখা করে সেই ভুল সুধরানো যাবে কি? নাকি আওয়ামীলীগ এখন বিএনপি জামাতের রাজনৈতিক দিক নির্দেশনা দিচ্ছে। এমন সব অপপ্রচারের জবাব একটাই বেগম জিয়ার সিদ্ধান্ত নির্ভুল ছিল এবং এখনো তা নির্ভূল আছে। বাংলাদেশের জনগন আরেকটি পলাশী হতে দেবেনা এটা রাজনিজীকদের উপলব্ধি করতে হবে।

বাংলাদেশ কখনই পাকিস্থান হবেনা এ মূলা ঝুলিয়ে মিথ্যাচার জনগন বিশ^াস করানো যাবে না। তাদের ধারণা গান্ধী নেহেরু প্যাটেল যে স্বপ্ন দেখে ছিল পূর্ব বাংলা তথা পূর্ব পাকিস্থান ১৫/২০ বছরের মধ্যে পশ্চিম বাংলার অধীনে চলে আসবে দেশপ্রেমিক জনতা এখন সেই আশঙ্খা করছে। আর সেই লক্ষ্যে আদর্শবান সৎচরিত্রের অধিকারী দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক দেশ প্রেমিকদের হত্যা পঙ্গু করা হচ্ছে কিনা তাও সন্দেহের মধ্যে রয়েছে। আর নরেন্দ্র মোদি দেশে ফিরে এখন তালিকা প্রনয়ন করে এ হত্যা, খুন, গুম, অপহরন বিচার বহির্ভূত হত্যায় ন্যায় বিচার বহির্ভূত হত্যায় রাজনৈতিক হয়রানী মুলক মামলা বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্খা দেখ্ াদিয়েছে। কারণ নরেন্দ্র মোদির পরবর্তী সফর দখলদার ইসরাইল।

তিনি অসহায় মানবাধিকার বঞ্চিত স্বরাষ্ট্র পরবাসী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ফ্রান্সসহ অনেক দেশের ভাষায় ইসরাইলের আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে। তার অর্থ ফিলিস্থিনির জনগনের আত্মরক্ষার অধিকার নাই। রোহিঙ্গায় মুসলিম গণহত্যা, ইরাক, লিবিয়া, সিরিয়া ইয়েমেনসহ বিভিন্ন মুসলিম দেশে মোসাদ “র” সিআইএ সহ মুসলিম বিদ্বেষী গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে মুসলমানদের হত্যার ফাঁদ পেতেছে।

বাংলাদেশে এমন ফাঁদ পাততে ইন্ডিয়ার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এখন ফাঁদ বসিয়ে গেলেন কিনা তাই এখন আলোচনা সমালোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রসঙ্গক্রমে বলতেই হয় যারা গুপ্ত হত্যা, খুন, অপহরণ, নাগরীকের অধিকার হরণ, প্রতিহত নিরপেক্ষ ও ন্যায় বিচারক নিশ্চিত করতে পারে না তাদের নাম মুসলমানের নাম হলেও তারা মুনাফেক মুসলিম সম্প্রদায়ের অন্তর্ভূক্ত নয়। বাংলাদেশের সিংহভাগ মানুষ মনে করে ইন্ডিয়ার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি অনির্বাচিত শাসকের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি থেকে বিরত থাকা এবং বাংলাদেশের সাথে বৈষম্যমূলক আচরনে যেসব বিদেশনীতি আছে তা প্রত্যাহার করলে জনগন তাকে স্বাগত জানাতো।

মহান আল্লাহ্-তালার সার্বভৌমে তার বান্দার স্বাধীনতা হরণ করতে গিয়ে ফেরাউন, নমরুদ, কিংবা কারুন কাউকে সফল হতে দেইনি। জঙ্গলে যেমন হিংস্র জানোয়ার শান্তিপ্রিয় জানোয়ারদের উপর আক্রমন করে তাদের সংখ্যা যেমন সীমিত থাকে। তেমনি মানুষ জাতির মধ্যে ফেরাউন নমরুদের সংখ্যাও সীমিত। নরেন্দ্র মোদির আগমন উপলক্ষ্যে ইতিহাসের পেছনের দিকটা আলোচনায় আনতেই হয়। তদানীন্তন কংগ্রেস নেতা কুমিল্লার আশরাফউদ্দীন চৌধুরীর চিঠির উত্তরে নেহেরু লিখেন- “অখন্ড ভারতের নীতিকে আমরা জলাঞ্জলি দিয়েছি একখা সত্য নয়।

তবে আমরা কোনকিছু চাপিয়ে দিতে চাইনা। ভারত বিভাগ আমরা মেনে নিব একটি শর্তে তা হলো বাংলা ও পাঞ্জাবকে বিভক্ত করতে হবে। কারণ একমাত্র এ পথেই অখন্ড ভারত পুণরায় ফিরে পাওয়া সম্ভব হবে। (সূত্র: জাতির উত্থান-পতন সূত্র পৃষ্ঠা-১৫১) বিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয় দশকে খেলাফত ও অসহযোগ আন্দোলনকালে গান্ধীর নেতৃাত্বে যখন হিন্দু-মুসলিম ঐক্যবদ্ধভাবে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ে তখন রবীন্দ্রনাথ হিন্দুদেরকে সতর্ক করে দিয়ে বললেন ভারতে স্বায়ত্ত¦শাসন এলে মুসলমান শাসন কায়েম হয়ে যাবে।

তিনি হিন্দুদেরকে যৌথ আন্দোলন থেকে বিরত থাকার উপদেশ দেন।”(সূত্র: জাতির উত্থান-পতন সূত্র প্রাপ্ত, পৃষ্ঠা-১০৭)(তৎসূত্রদ: সাপ্তাহিক সুলতান, ১৯২৩ সালের জ্যৈাষ্ঠ সংখ্যা) ভারতের প্রধানমন্ত্রী পন্ডিত জওহরলাল নেহেরু ১৯৫০ সাল পর্যন্ত (হায়দারবাদের মত) তিনবার পুলিশ এ্যাকশন করে পূর্ব পাকিস্থান দখলের পরিকল্পনা করেছিলেন। এ তথ্য ফাঁস করে দিয়েছিলেন নিরদ চৌধুরী। একপর্যায়ে জয়প্রকাশ নারায়নের মত ব্যক্তিও সৈন্য ঢুকিয়ে পূর্ব পাকিস্থান গ্রাস করার পরামর্শ দিয়েছিলেন। পাকিস্থানের অংশ থাকার কারনে এসব দূর্ঘটনা ঘটেনি।(সূত্র: একাত্তরের স্মৃতি ড: সৈয়দ সাজ্জাদ হোসেন, পৃষ্ঠা-৪০)।

এ থেকেও পরিস্কার স্বাধীন বাংলাদেশকে প্রদেশ বানানোর ষড়যন্ত্র পাকিস্থানের নয় ভারতের। ১৯৩০ সালে বোম্বাইয়ে অনুষ্ঠিত কংগ্রেস অধিবেশনে সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা মোহাম্মদ আলী ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের বলেন “মি: গান্ধী সাম্প্রদায়িকতাবাদী হিন্দু মহাসভার প্রভাবাধীন কাজ করিতেছেন। তিনি হিন্দু ধর্মের প্রাধান্যের জন্য এবং মুসলিম জাতির স্বতন্ত্র মুছিয়া ফেলার জন্য সংগ্রাম করিতেছেন। আইন অমান্য আন্দোলনের ব্যাপারে তিনি কখনও মুসলিম জাতির সাথে পরামর্শ করেন নাই।

তিনি চান, ভারতীয় মুসলিম জাতির মাথার উপর দিয়া বিজয়রথ চালনা করিতে। গত ১০ বছর মুসলমানগণ সংখ্যাগুরু হিন্দুদের দ্বারা নির্যাতিত ও নিপীড়িত হইয়াছে। মি: গান্ধী অবস্থায় হিন্দুদের স্বৈরাচারের প্রতিবাদ করেন নাই। এই সমস্ত আন্দোলনের উদ্দেশ্য হইতেছে ভারতের বুক হইতে ইসলাম ও মুসলমানের অস্তিত্ব মুছিয়া ফেলা।(সংক্ষেপিত) সূত্র: একশ বছরের রাজনীতি, আবুল আসাদ পৃষ্ঠা-৩৪৫) ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদি দায়িত্ব গ্রহনের পর জোরপূর্বক মুসলমানদের হিন্দু বানালেও নরেন্দ্র মোদি চুপচাপ থেকেছেন।

১৯৪৬ এর হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গার মাধ্যমে ভারতবর্ষ বিভক্ত এবং রাজনৈতিক কুট কৌশলে পূর্ব বাংলা তথা আজকের স্বাধীন বাংলা নিয়ন্ত্রনের চক্রান্ত ভুলে নাই! সীমান্ত চুক্তি অনুমোদনে শুধু বাংলাদেশের জনগনই লাভবান হয়নি, ভারতীয় জনগনও সমানভাবে লাভবান হয়েছে। কিন্তু মোদি রাজ্যসভা ও লোকসভায় বলেন এ চুক্তি স্বাক্ষর বার্লিন প্রাচীরের পতনের মতো ঐতিহাসিক ঘটনা। তার এ মন্তব্যে মনে হয় ক্ষমতাকে কুক্ষিগত রাখতে ভারত বিভক্ত করা হয়েছিল। ভারত ও বাংলাদেশ আবার একীভূত হয়ে গেল। আর তাই হয়তো বা অনির্বাচিত সরকারকে দিয়ে সব চুক্তি করাচ্ছে ব্যবসা বাণিজ্যে ইংরেজ ফিরিঙ্গীদের মত অধিপত্য বিস্তার করছে।

তারপরও তার এ সফর সফল হবে এ চিন্তা মোদী করলে তা ভুল করবেন। ভারত কেবলমাত্র বাংলাদেশের সীমানায় কাঁটাতারের বেড়া দিয়েছে। অন্যান্য প্রতিবেশি দেশ যথা বার্মা, চীন, নেপাল, পাকিস্থান সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দেয়নি। ভারত তার দীর্ঘ সীমান্তে অন্য কোন দেশের মানুষকে গুলি করে হত্যা করেনা, ধরে নিয়ে যায়না। ইসরাইল যেভাবে ফিলিস্তিনিদেরকে যখন খুশি হত্যা করে ঠিক তদ্রুপ ভারতও বাংলাদেশিদেরকে হত্যা করে। কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে তারা বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের নিয়ন্ত্রন পুরোপুরি করায়ত্ত্ব করেছে।

এতে বাংলাদেশের কোন নিয়ন্ত্রনের সুযোগ নেই। বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্বপ্নদ্রোষ্ঠা স্থপতি মজলুম জননেতা মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর বক্তবে- পরিপূর্ণ স্বধীনতা ও মুক্তি আমাদের আসে নাই, কেননা আগেকার প্রাদেশিক গভর্নর ও মন্ত্রীদের চাইতে অধিকতর নগ্নভাবে বাংলাদেশের মন্ত্রীরা নয়াদিল্লীতে সপ্তায়-সপ্তায় গমন করেন। সেখান হইতে যে নির্দেশ দেয়া হয়। ভারতীয় কিসিনুর বাংলাদেশের অমরকারী প্রধানমন্ত্রী ডিপিধর আসিয়া যে নির্দেশ দিয়ে যান, ঠিক সেভাবেই দেশ চালনার এস্তেমাল হইতেছিল।

তখনকার ভারতের চিন্তাধারার সাথে আজকের চিন্তধারার কোন অমিল খুঁজে পাওয়া যায় না। আর এখানেই জনগন চিন্তিত ও সংঙ্কিত। রাজনীতিবিদরা মাওলানা ভাসানীর মতো দ্ব্যার্থহীন কন্ঠে বলতে পারেনা পিন্ডির দাস মুক্ত হয়ে দিল্লীর দাসত¦ গ্রহনের জন্য এত রক্ত দেয়নি। সবাই চাতক পাখির মতো চেয়ে আছে কখন নরেন্দ্র মোদি এসে ক্ষমতা পাকা পোক্ত করে দিয়ে যাবেন অথবা ক্ষমতায় বসিয়ে দিবেন। দিল্লীর নয়া চক্রান্ত দেশের মেধা সম্পূর্ন যুব সমাজকে হত্যা অথবা পঙ্গু করে দেওয়া।

আর মুসলমানদের চরিত্র হনন করে তাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করাই মূল উদ্দেশ্য। দেশবাসীকে সজাগ থাকতে হবে প্রতিরোধ গড়তে। মনে রাখতে হবে বাংলাদেশের সার্বভৌম রক্ষার মূলমন্ত্র ইসলাম যা অসম্প্রদায়িক! ধর্মনির নিরপক্ষতা মানেই সাম্প্রদায়িকতা। নরেন্দ্র মোদী ইন্ডিয়ার সাবেক নেতাদের অনুস্মরন করেও ৩৬ ঘন্টার ব্যার্থ সফর শেষ করে দেশে ফিরেছেন। বাংলাদেশের অনির্বাচিত সরকার সবকিছু উজার করে দিয়েছে নরেন্দ্র মোদীকে।

ইন্ডিয়ার সাবেক পররাষ্ট্র সচিব সুজাতা সিং ও ইন্ডিয়ার বাংলাদেশে কর্মরত হাই কমিশনার তার দেশের রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত সূক্ষ্মভাবে বাস্তবায়নের পরিবেশ সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছে ইন্ডিয়ান বেনিয়ারা বাংলাদেশকে উপনিবেশীক রাষ্ট্র পরিণত করতে এফবিসিসিআই নিয়ন্ত্রনে নিয়েছে। ৬০ বছরের ঐতিহ্যকে পদদলিত করে জাতীয় প্রেস্ক্লাবের গণতান্ত্রিক ধারাবহিকতা ব্যহত করে অনিয়মতান্ত্রিকভাবে একটি কমিটি ঘোষনা করে গনতন্ত্রকামী মানুষের শেষ আশ্রয়স্থলটা কেড়ে নিচ্ছে। বাংলাদেশ বারবার কাউন্সিলের নির্বাচন লজ্জাজনক পরিস্থিতির করবে কিনা তা নিয়ে অনেকেই চিন্তিত।

২০১৪ এর জানুয়ারী ভোটারবিহীন নির্বাচনে ঘোষিত সরকার। দখলদার করে উপজেলা নির্বাচনে নিজদলের প্রার্থীদের বিজয়ী করে। সর্বশেষ সিটি করপোরেশনে নির্বাচনের নামে চরদখল করে জনগনের ভোটের অধিকার খর্ব করে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের বিজয়ী ঘোষনা! স্থানীয় সরকারের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের আমলা কতৃক বহিস্কার করে দলীয় নেতা কর্মীকে দায়িত্ব অর্পন যদি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা হয়। তাহলে নরেন্দ্র মোদীর সফর সফল হয়েছে।

১৯৪৬ সালে হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গায় অবিভক্ত ভারতের নাগরীক রা বর্তমান বাংলাদেশে বাংলাভাষী উর্দূভাষী মুসলমানরা বিশেষ করে উর্দূভাষীরা অমানমিক জীবন যাপন করলেও নরেন্দ্র মোদী তাদের খোঁজ খবর নেওয়ার প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করেননি। বাংলাদেশের অব্যবস্থার প্রতি জনগন আস্থা হারানোর পথে যেমন দিল্লীর প্রতি মজলুম জনতার কোন আস্থা নাই। দূর্নীতির অভিযুক্ত কাউকে বিচারের দায়িত্ব যখন দেওয়া হয় তখন তার পিছনে নিশ্চয়ই কোন উদ্দেশ্য থাকে। আর তা হচ্ছে দায়িত্বপ্রদানকারীর ইচ্ছাই বাস্তবায়ন করা।

বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতির জন্য দিল্লীর পররাষ্ট্রনীতিই দায়ী তাকে কালো পতাকা প্রদর্শনের পরিবর্তে আলোচনায় বসতে এত আগ্রহ কিসের জন্য ছিল! বাংলাদেশের ধর্মপ্রান ও দেশপ্রেমিক ইসলামপ্রিয় মানুষ আজ ফেৎনা সৃষ্টিকারী ও মুনাফেকদের কারনে আল্লাহ্ পাকের প্রদত্ত স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব প্রকৃত অধিকার থেকে বঞ্চিত। আর যারা পাপাচার অনাচারের সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইন অন্ধ হলেও স্বাধীনতা গনতন্ত্র সার্বভৌমত্ব রক্ষায় যারা নিবেদীত আইনের অপপ্রয়োগে তারা ক্ষত বিক্ষত। দেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি ও নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি স্বাধীনতা ঘোষক শহীদ জিয়ার পরিবার দূর্বিসহ নির্যাতনের স্বীকার।

বেগম জিয়ার নেতৃত্বাধীন বয়বৃদ্ধনেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার চুড়ান্ত অভিযোগ দাখিল করে গনতান্ত্রিক অধিকার ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনকারীদের কারাগারে রেখে হত্যার পরিকল্পনার ফাঁদ পেতেছে। ইসলামিক নেতৃবৃন্দুকে ন্যায় বিচার বহির্ভূত হত্যা করা হচ্ছে। এমন একটি কাজে প্রত্যক্ষ পরোক্ষভাবে ১২৫ কোটি মানুষের নেতা নির্বচিত হয়ে অগনতান্ত্রিক শাসককে সমর্থন দেওয়ার পর জাতীসংঘের স্থায়ী সদস্য পাওয়ার স্বপ্ন দেখা পাগলের প্রলাপ নয় কি? দক্ষিন এশিয়াতে বোমাবাজী জঙ্গী তৎপরতা বন্ধ।

জনগনের মধ্যে স্থিতিশীলতা গনতন্ত্র ও মৌলিক নাগরীক অধিকার আইনের শাসন প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধিত্বশীল প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখলে এমন স্বপ্ন দেখা যৌক্তিক হতো। মুসলমানদের ক্ষমতা থেকে দুরে রাখতে গান্ধী থেকে যে বিদ্বেষ মুলক আচরন শুরু হয় তা আজো অব্যাহত আছে! তাদের নেতা নরেন্দ্র মোদির কাছে ইসলামী মূল্যবোধ ও জাতীয়তাবাদী আদর্শে বিশ^সীরা বাংলাদেশে গনতন্ত্র অনুপস্থিত এর সংবাদ জানাতে গিয়েছে। তাদের প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষ সহযোগীতায় গনতন্ত্র মৌলিক অধিকার, ন্যায় বিচার, আইনের শাসন নির্বাসনে গেছে।

বিশ^াস ঘাতকদের চিহ্নিত করে তাদের গনমানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জোটে অন্তরভূক্ত ও নেতৃত্ব দিতে হবে। আর বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার ফেৎনা সৃষ্টিকারী আস্তাকুড়ে ছিটকে পড়বে। ধর্ম বর্ণ ভাষার কোন ভেদাভেদ থাকবেনা সকল মানুষের জন্য একটা কল্যানকর অসম্প্রদায় রাষ্ট্রপ্রতিষ্ঠিত হবে।

যেখানে সকল বিষয়ে খোলামেলা আলোচনা সমালোচনায় কোনকিছু অবমাননার পর্যায় পরবেনা। আর যখন অবমাননার পর্যায়ই পরবেনা তখন মানুষের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠা পাবে। নরেন্দ্র মোদি একটি অনির্বাচিত সরকারের সাথে যে সকল চুক্তি করেছে তা সুস্থ ও শান্তিপ্রিয় মানুষ বৈধ দৃষ্টিতে দেখছেনা।

তিনি র‌্যাব পুলিশ বিজিবি এবং তার দেশের বিশেষ বাহিনী কতিপয় সদস্য কর্তৃক ক্ষমতাসীনদের কাছে লাল গালিচার সংবর্ধনা পেলেও বাংলাদেশের ৯৫ ভাগ মানুষের তাজা রক্ত মাড়িয়া গেলেন ৩৬ ঘন্টা ধরে। বাংলাদেশের জনগন তাদের রক্ত মাড়ানো দেখে পলাশীর চক্রান্ত স্মরন করে দেশ রক্ষায় দীপ্ত শপথ নিয়েছে। এ শপথ ভঙ্গ করে গান্ধ-রবীন্দ্রনাথদের স্বপ্ন সফল করার চক্রন্ত স্বপ্নই থেকে যাবে। সাধারন মানুষ মন্তব্য করছে তাহলে দিল্লীই কি বাংলাদেশীদের অধিকার নির্ধারন করার দায়িত্বে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.