![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ইহার মতো, তাহার মতো বা তাহাদের মতো নই। আমি আমার মতো। আমার মাঝে ইহাকে, উহাকে, তাহাকে খুঁজিয়া কোন লাভ নাই...।
বাংলা নববর্ষ ‘পহেলা বৈশাখ’, ইংরেজি নববর্ষ ‘থার্টিফাস্ট নাইট’ কিংবা হিজরি নববর্ষ পালন করা হারাম।
ইবনে কাসির রাহিমাহুল্লাহ্ বলেনঃ
“কোন মুসলিমের সুযোগ নেই কাফেরদের সামঞ্জস্য গ্রহণ করা, না তাদের ধর্মীয় উৎসবে, না মৌসুমি উৎসবে, না তাদের কোন ইবাদতে। কারণ আল্লাহ তায়ালা এ উম্মতকে সর্বশেষ নবী দ্বারা সম্মানিত করেছেন, যাকে পরিপূর্ণ ও সর্বব্যাপী দ্বীন দেয়া হয়েছে। যদি মূসা ইবনে ইমরান জীবিত থাকত যার উপর তাওরাত নাযিল হয়েছে; কিংবা ঈসা ইবনে মারইয়াম জীবিত থাকত যার উপর ইঞ্জিল নাযিল
হয়েছে; তারাও ইসলামের অনুসারী হত। তারা সহ সকল নবী থাকলেও কারো পক্ষে পরিপূর্ণ ও সম্মানিত শরিয়তের বাইরে যাওয়ার সুযোগ থাকত না। অতএব মহান নবীর আদর্শ ত্যাগ করে আমাদের পক্ষে কীভাবে সম্ভব এমন জাতির অনুসরণ করা, যারা নিজেরা পথভ্রষ্ট, মানুষকে পথ ভ্রষ্টকারী ও সঠিক দীন থেকে বিচ্যুত। তারা বিকৃতি, পরিবর্তন ও অপব্যাখ্যা করে আসমানি ওহির কোন বৈশিষ্ট্য
তাদের দীনে অবশিষ্ট রাখেনি। দ্বিতীয়ত তাদের ধর্ম রহিত, রহিত ধর্মের অনুসরণ করা হারাম, তার উপর যত আমল করা হোক আল্লাহ গ্রহণ করবেন না। তাদের ধর্ম ও মানব রচিত ধর্মের মধ্যে কোন
পার্থক্য নেই। আল্লাহ যাকে চান সঠিক পথের সন্ধান দান করেন”।
.
প্রিয় বন্ধুগণ, নববর্ষ উদযাপন করে আমরা তাদের অনুসরণ করতে পারি না। তারা অভিশপ্ত ও গোমরাহ। এসব তাদের বানানো উৎসব, কুসংস্কার ও পাপ কর্ম।
ইহুদিদের সম্পর্কে আল্লাহ বলেনঃ
“ইহুদিদের মধ্যে কিছু লোক আছে যারা কালাম সমূহকে তার স্থান থেকে পরিবর্তন করে ফেলে এবং বলে, ‘আমরা
শুনলাম ও অমান্য করলাম’। আর তুমি শোন না শোনার মত, তারা নিজেদের জিহবা বাঁকা করে এবং দীনের প্রতি খোঁচা মেরে বলে, ‘রাইনা’। আর
তারা যদি বলত, ‘আমরা শুনলাম ও মান্য করলাম এবং তুমি শোন ও আমাদের প্রতি লক্ষ্য রাখ’ তাহলে এটি
হত তাদের জন্য কল্যাণকর ও যথার্থ। কিন্তু তাদের কুফরির কারণে আল্লাহ তাদেরকে লানত করেছেন। তাই তাদের কম সংখ্যক লোকই ঈমান আনে”।
খৃস্টানদের সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ
“আর যারা বলে, ‘আমরা নাসারা’, আমি তাদের থেকে অঙ্গীকার গ্রহণ করেছিলাম। অতঃপর তাদেরকে যে উপদেশ দেয়া হয়েছিল, তারা তার
একটি অংশ ভুলে গেছে। ফলে আমি তাদের মধ্যে কেয়ামতের দিন পর্যন্ত শত্রুতা ও ঘৃণা উস্কে দিয়েছি এবং তারা যা করত সে সম্পর্কে অচিরেই আল্লাহ তাদেরকে অবহিত করবেন”।
মুসলিম ভাই ও বোনেরা, আমরা বিভিন্ন উপলক্ষকে কেন্দ্র করে যেসব অনুষ্ঠান পালন করি তার অধিকাংশ ইহুদি, খৃস্টান ও মুশরিকদের তৈরি। সন্তান ভূমিষ্ঠ হলে আমরা আকিকা ত্যাগ করে
খতনার সময় ঘটা করে অনুষ্ঠান করি। খতনা করা সুন্নাত, এতে কোন অনুষ্ঠান নেই, কিন্তু তাতে আমরা অনুষ্ঠান করি। এদিকে আকিকা দেয়া নবী
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নির্দেশ, অথচ আমরা তাই ত্যাগ করছি। আমরা কি এতটাই নির্বোধ বনে গেলাম! আমরা প্রতিদিন কমপক্ষে সতেরো বার সূরা ফাতেহা পাঠ করে সিরাতে
মুস্তাকিমের প্রার্থনা করি, বাস্তবে আমরা যা ত্যাগ করছি, অর্থাৎ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পথ ও সুন্নাত। কমপক্ষে সতেরো বার অভিশপ্ত ও পথভ্রষ্টদের রাস্তা থেকে পানাহ চাই, অথচ বাস্তবে আমরা তাদের অনুসরণ করছি, অর্থাৎ ইহুদি ও খৃস্টানদের পথ।
এ কেমন বৈপরীত্য......???
আমাদের অবচেতনতা যেন পাগলামিকেও হার মানায়.....!!!
মহান আল্লাহ্ আমাদেরকে হেফাজত করুন।
আমিন.....।।।
২| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:০১
বনমহুয়া বলেছেন: তাইলে কি হ্যাপী নিউ ইয়ার বলা যাবেনা?
৩| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:১২
স্বপ্নীল পরান বলেছেন: ১০০% হারাম.......
কেননা এগুলো মুসলিম সংস্কৃতি না, ইহুদী-খৃষ্টানদের সংস্কৃতি।
আর তাদের কোন কিছু পালন করা ইসলামে সম্পুর্ণ হারাম করে দেওয়া হয়েছে।
৪| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:১৪
স্বপ্নীল পরান বলেছেন: যেহেতু এটা পালন করা হারাম সেহেতু এর কোন শব্দ উচ্চারণ করার কি কোন মানে হয়......???
৫| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:১৪
বনমহুয়া বলেছেন: বলাও যাবেনা?
৬| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:২২
স্বপ্নীল পরান বলেছেন: কাউকে Happy New Year বলার মানে হচ্ছে তাকে সুভেচ্ছা জানানো। আর সুভেচ্ছা জানানোর মানে হচ্ছে আপনি এটা সাপোর্ট করছেন।
সুতরাং যেই বিষয়টা হারাম সেই বিষয়টাকে সাপোর্ট করাওকি হারাম নই???
অতএব বলাও যাবে না।
আশা করি বুঝতে পেরেছেন।
©somewhere in net ltd.
১|
৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:০১
বনমহুয়া বলেছেন: বাংলা নববর্ষ ‘পহেলা বৈশাখ’, ইংরেজি নববর্ষ ‘থার্টিফাস্ট নাইট’ কিংবা হিজরি নববর্ষ পালন করা হারাম।
এই সব হারাম? কি কন?