![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এ বছর যারা ইউনির্ভাসিটি জীবন শুরু করেছ তাদের সবাইকে আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা। আজ কেন জানি বারবার আমি আমার র্ভাসিটি লাইফের প্রথম দিনে ফিরে যাচ্ছি। প্রথম দিনের সেই উত্তেজনা, আনন্দের কথা আমাকে এখন শিহরিত করছে। সেই দিন আমি যে প্রত্যয় আর স্বপ্ন দেখেছিলাম তা বারবার মনে পড়ছে। যদিও গত কিছু বছরে দৃশ্যপট এখন অনেকটা বদলে গেছে।
তোমাদের একটি কথা না বললেই নয়, তোমাদের মধ্যে বেশির ভাগ স্টুডেন্ট কিন্তু অমনোযোগী। হ্যাঁ, আমি তোমাদের অমনোযোগী বলছি। তোমরা কারও কথাই যেন শুনতে চাও না। আমি কিন্তু সবাইকে অমনোযোগী বলছি না, কেউ কেউ। এই যে আমার লেখা পড়তে পড়তে তোমাদের মধ্যে কেউ কেউ চ্যাটিং, স্ট্যাটাস আর টেক্সট নিয়ে ব্যস্ত।
এখন আসি মূল কথায়। র্ভাসিটিতে এসে তোমরা মূলত মানসিক দক্ষতা, গাণিতিক যুক্তি, সমস্যা সমাধানের কৌশল, যোগাযোগ দক্ষতা, টিমওয়ার্ক ইত্যাদি নিয়ে পড়াশোনা করবে। কয়েক দশক আগে এগুলো ছিল সফলতার সূত্র। এখনো মানুষকে সফল হতে হলে এসব দক্ষতা প্রয়োজন। কারণ, আগে এসব গুণ সফলতার পথ নির্মাণ করত। আর এখন মানুষ এই সব দক্ষতা নিয়ে ক্যারিয়ার শুরু করে।
আমার ছোটো এই জীবনে অনেক কিছু শিখেছি। যা শিখেছি তার থেকে কিছু নীতিকথা তোমাদের জানাতে চাই।
১) যে কাজ একবার শুরু করেছ, তা নিয়ে টেনশন করবে না। সফল হওয়ার ইচ্ছা আর পরিশ্রম দিয়ে সেই কাজ করে যাও। আমার অভিজ্ঞতায় বলতে পারি, স্কুল-কলেজে, পেশাজীবনে, ব্যক্তিজীবনে, খেলাধুলায় সব জায়গায় অনেক প্রতিভাবান লোকের দেখা মেলে। কিন্তু মনে রেখো, প্রতিভা দিয়েই সব হয় না। সফলতার জন্য তোমাদের প্রয়োজন প্রচণ্ড ইচ্ছাশক্তি ও পরিশ্রম। সাফল্যের দরজায় জোরে ধাক্কা দাও। পরিশ্রম করো৷
২) বন্ধু তৈরি করো৷ মনে রেখো, সাকসেস কখনো একা আসে না। একসময় তোমরা নিশ্চয়ই বড় বড় সাকসেস অর্জন করবে। কিন্তু কখনোই একা একা তুমি কিছুই করতে পারবে না। বন্ধু তৈরি করো৷ বড় সাকসেস সব সময় একটা টিম থেকে আসা সম্ভব। তোমরা আগামীর লিডার। লিডিং-এর জন্য তোমাদের অন্য মানুষের কাছ থেকে সম্মান ও বিশ্বাস অর্জন করতে হবে। নিজের কথা বলার চেয়ে অন্যদের কথা শোনার যোগ্যতা থাকতে হবে। সত্যি বলতে মানুষ তখনই তোমার প্রতি সহানুভূতি দেখাবে, যখন তুমি তাদের সহানুভূতি দেখাবে। জীবনের নানা প্রয়োজনীয় কাজের সঙ্গে সঙ্গে ধীরে ধীরে তোমাকে অনেক মানুষের সঙ্গে মিশতে হবে, বাড়াতে হবে বন্ধুর সংখ্যা।
৩) দিনশেষে মানুষের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো নিজের সততা। সততা আর বিনয় একজন মানুষকে অনেক ওপরে নিয়ে যায়। প্রত্যেক মানুষের হাতেই লুকিয়ে আছে তার ভবিষ্যৎ। মানুষ নিজেই তার ভবিষ্যৎ গড়ে। আমাদের শুধু বর্তমানকেই নিয়ন্ত্রণ করা শিখতে হবে। আর তাহলে ভবিষ্যৎ এসে তোমার দুয়ারে কড়া নাড়বে। কাজ কর, অপেক্ষা কর, দেখবে সম্ভবনাময় এক ভবিষ্যৎ অপেক্ষা করছে তোমার জন্য।
৪) মানুষের জীবনে ভুল থাকেই। ভুলের ঘটনা ভুলে যাওয়া বোকামি, আর ভুল নিয়ে পড়ে থাকা আরও বড় বোকামি। ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে সামনে পা বাড়ানোই সত্যিকারের মানুষের কাজ। তুমি যতই বিখ্যাত হও না কেন, কোথা থেকে তুমি এসেছ, কোথায় তোমার শিকড়, তা মনে রাখতে হবে।
৫) নিজের সমালোচনাকে সব সময় গ্রহণ করা শেখা উচিত। সমালোচকেরা তোমার ভুল ধরবেই। তুমি সেই ভুল থেকে নিজেকে শুধরে নিবে। সমালোচনাকে পাশ কাটিয়ে এগিয়ে যাওয়া কষ্টকর। তার চেয়ে সমালোচকদের মুখ বন্ধ করাই সহজ কাজ। অন্যরা তোমাকে দেখে বাঁকা হাসি হাসবেই। তুমি হতাশ হবে না।
৬) একবার জয়ী হলেই সব শেষ না, আবারও মাঠে নামতে হয়। জয়কে ধরে রাখতে হয়। এবং এই ব্যাপারটাই সব থেকে গুরুত্বপূর্ন।
র্ভাসিটি লাইফের সব নতুন অভিজ্ঞতা তোমার দক্ষতাকে বিকশিত করবে, দৃষ্টিভঙ্গিকে বদলে দেবে। যেকোনো কাজকে ভালোবাসো। কাজ উপভোগ করো। অভিজ্ঞতাই তোমার সাফল্যের গতি নির্ধারণ করে দেবে। জীবনের লক্ষ্য নির্ধারণে মনোযোগী হও।
মনে রাখবে, বুদ্ধিমানেরা তর্ক করেন, প্রতিভাবানেরা এগিয়ে যান। সাফল্য কখনোই ডিজার্ভ করা যায় না, তাঁকে আর্ন করে নিতে হয়। গুড লাক!
©somewhere in net ltd.