নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হিন্দু না ওরা মুসলিম ঐ জিজ্ঞাসে কোনজন, কান্ডারি বলো ডুবিছে মানুষ সন্তান মোর মা'র

পারভেজ আলম

হাসরের ময়দানে ইট কাঠ আর কংক্রিটের দেয়ালে, রক্তের কালিতে, কবিতা কালাম লিখে মরা মানুষএর মিছিলে দাঁড়ায় একবিংশের রাসুল। দুই হাত ভরা ব্যাগে নানান ব্র্যান্ডের আমলনামা।

পারভেজ আলম › বিস্তারিত পোস্টঃ

আসেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ন্যায্য আন্দোলনে সংহতি জানাই

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১:৫১

সর্বশেষ আপডেটঃ আটককৃতরা সবাই ছাড়া পেয়েছেন।

আপডেটঃ

কনকো ফিলিপ্সএর সাথে চুক্তি বিরোধী আন্দোলনের সময়ই পরিস্কার হয়ে গিয়েছিল যে বিদেশী প্রভু এবং নিজেদের হালুয়া রুটির স্বার্থে বর্তমান শাসকগোষ্ঠী গণতন্ত্রের ধার ধারেনা, বিনা অপরাধে দমন নিপিড়ন এবং গন গ্রেফতারের পথ বেছে নিতে তাদের কোন দ্বিধা নাই। যে কোন আন্দোলনকে একেবারে গোড়াতেই দমন নিপিড়নের মাধ্যমে শেষ করে দেয়াই তাদের পরিকল্পনা।







আজকেও তার ব্যতিক্রম হয় নাই। জাদুঘরের সামনে পৌছে যখন দেখলাম শত শত পুলিশ আর প্রিজন ভ্যানে একে একে তোলা হচ্ছে জগন্নাথের ছাত্রদের তখন একিসাথে বহু ধরণের অনুভুতি আর চিন্তাভাবনা ভর করছিল মাথায়। অনলাইনে প্রচার পাওয়া এবং অনলাইনে সংগঠিত হওয়া একটা কর্মসূচী নিয়েও প্রশাসন এতটা আক্রমনাত্বক হয়ে উঠেছে সেটা বিশ্বাস করতে কষ্ট হয়েছে, আমার ধারণা ছিল এই দিন বাংলাদেশে আসতে আরো সময় লাগবে। সেই সাথে সোসাল মিডিয়াকেন্দ্রীক গণ আন্দোলনকে যে জনস্বার্থবিরোধী শাসকগোষ্ঠী এরি মাঝে ভয় পাওয়া শুরু করেছে সেটাও পরিস্কার হলো। হতাশাবোধ করছিলাম এই ভেবে যে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের এই কর্মসূচীটাও বুঝি ভেস্তে গেলো। সিনিয়র এক ব্লগারের ফোনে জানতে পারলাম ৩টা থেকেই পুলিশ দখল করে নিয়েছে কর্মসূচীর স্থল আর ৩টা ৩০ থেকে শুরু হয়েছে গনগ্রেফতার। জানতে পারলাম ব্লগাররা সবাই মিলিত হচ্ছেন আজিজ সুপার মার্কেটে। একে একে আজিজ সুপার মার্কেটে জড়ো হতে থাকি আমরা, স্বিদ্ধান্ত নেয়ার চেষ্টা করি পরবর্তি কর্মসূচীর। এটা পরিস্কার হয়ে গিয়েছিল যে সমাবেশ করতে গেলেই পুলিশ গ্রেফতার করবে আমাদের। ৩ দিনমজুরদের একজন যিনি আজ উপস্থিত ছিলেন হঠাৎ বলে ওঠেন গ্রেফতার হলে হবো, আমরা সমাবেশ করবোই। গ্রেফতার হলে হবো, কিন্তু ত্রাসের কাছে মাথা নোয়াবোনা এই স্বিদ্ধান্ত নিয়ে আমরা রওনা হই শাহবাগে জাদুঘরের দিকে। শাহবাগে পৌছে এগোতে এগোতেই চোখে পরে বেশ কয়েকজন ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ব্লগার, ছাত্রবন্ধুদের। পুলিশ আমাদের ভালো মতো খেয়াল করার আগেই আমরা হঠাৎ করেই ব্যানার মেলে দিয়ে দাঁড়িয়ে পরি। চোখের পলকে চারদিক থেকে এসে জড় হয় বেশ কয়েকজন ছাত্র জনতা আর সেই সাথে টিভি পত্রিকার সাংবাদিকরা। মিডিয়ার এতগুলা ক্যামেরার সামনে দেখেই বোধহয় তরিঘরি আর কোন একশনে যেতে চায় নাই পুলিশ। এরপর আমরা শুরু করি সমাবেশ। একে একে বক্তৃতা রাখতে থাকেন বেশ কয়েকজন তরুন ব্লগার, সাংবাদিক, লেখক, বুদ্ধিজীবী এবং জগন্নাথের কয়েকজন ছাত্র। দেখতে দেখতে সমাবেশটা বড় হতে থাকে। গ্রেফতারের ভয়ে চারদিকে ছড়িয়ে থাকা ছাত্র, জনতারা আস্তে আস্তে এসে আমাদের চারপাশে জড় হতে থাকেন। ছোট্ট সমাবেশটা পুলিশের বাধা অতিক্রম করে ধিরে ধিরে পরিণত হয় জনসমুদ্রে। ব্লগার বাকী বিল্লাহ এবং ব্লগার ও সাংবাদিক ফারুক ওয়াসিফের আগুন ঝড়া বক্তব্যে এক পর্যায়ে সমাবেশটা পরিণত হয় এক গণ বিক্ষোভে। এরপর শত শত ছাত্র জনতাকে নিয়ে আমরা মিছিল করে এগিয়ে যাই রাজু ভাস্কর্যের দিকে। এতবড় গণবিক্ষোভ আটকানোর সাহস আর দেখাই নাই পুলিশ।







রাজু ভাস্কর্যে পৌছে আগামী মোঙ্গলবার শহীদ মিনারে পরবর্তি কর্মসূচীর ঘোষনা দিয়ে আমরা আমাদের আজকের কর্মসূচীর সমাপ্তি টানি। এরপরের কাহিনী পুলিশের কাছ থেকে ঘন্টার পর ঘন্টা আটককৃতদের ছারিয়ে আনার চেষ্টার। অনুষ্ঠানের শেষেই আমরা শাহবাগ থানায় পৌছাই। পুলিশের কাছে আমাদের দাবি ছিল যে আমরা এই কর্মসূচীর আহবান করেছি, এই ছাত্ররা তাতে অংশগ্রহণ করতে এসেছিল। যদি গ্রেফতার করতে হয় আমাদের করুন, এদের ছেরে দিন, এদের বিরুদ্ধে তো কোন অভিযোগ নাই, এরা কিছু করে নাই। শুরুতে অল্পকিছুক্ষনের মধ্যে তাদের ছেরে দেয়ার আশ্বাস দিলেও ঠিক কি বিবেচনায় পুলিশ এখন পর্যন্ত তাদের আটকে রেখেছে সেইটা কোন সুস্থ্য যুক্তি বুদ্ধিতে বুঝে ওঠা কঠিন।





বিনা অপরাধে আটককৃত ২৯ জনের অবিলম্বে মুক্তি দাবি করছি।



আজকে আমাদের কর্মসূচী ভেস্তে দেয়ার চেষ্টা চালিয়েছিল পুলিশ, কিন্তু আমরা সব বাধা উপেক্ষা করে কর্মসূচী সফল করেছি। জনগণ যদি একজোট হয় তবে কোন দমন নিপিড়ন তাদের দমিয়ে রাখতে পারবেনা, এইটা পরিস্কার। সহব্লগার বন্ধুরা, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবি আদায়ের আন্দোলনে সংহতি জানানো অব্যাহত রাখুন। দাবি আদায়ে সফলতা আসবেই, বাধা যতই আসুক না কেনো।

--------------------------------------------------------------------------



পুরনো পোস্টঃ



বিগত ২০০৬ সালে বাংলাদেশের তৎকালিন শাসক গোষ্টির হাতে শিক্ষা ব্যবস্থা বিষয়ক একখানা প্রকল্পের ফর্দ ধরায়া দিছিলেন বর্তমান দুনিয়ার পূজিতান্ত্রিক ঔপনিবেশিক ডাকাইত দলের সুভদ্র মোড়ল বিশ্বব্যাংক। ব্রিটিশ আমলে ম্যাকলে প্রমুখ লাট সাহেবদের প্রদানকৃত শিক্ষা ব্যবস্থা বিষয়ক ফর্দ গ্রহন করার অভ্যাস বাংলাদেশের গনতন্ত্রী অথবা স্বৈরতন্ত্রী, কোন শ্রেণীর শাসক গোষ্ঠিই ছারতে পারেন নাই। তার উৎকৃষ্ট প্রমান হইল যে সকল প্রকার বাস্তবতা এবং জাতীয় স্বার্থ বিরোধী এই প্রকল্প বিগত সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে যেমন সাদরে গ্রহণ করা হইছিল তেমনি বর্তমানে বিপূল গনভোট নির্বাচিত গনতান্ত্রিক সরকারও তা বাস্তবায়নে বধ্যপরিকর। আর তারই ফলাফল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি সরকারের নিদারুন অবহেলা এবং কর্তৃপক্ষের সাম্প্রতিক স্বিদ্ধান্ত এবং এর বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের উত্তাল বিক্ষোভ। মোড়ল বিশ্বব্যাংকের ঐ ফর্দ ২০২৬ সাল নাগাদ বাংলাদেশের সবগুলা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলারে আস্তে আস্তে বেসরকারিকরণের প্রকল্প হাতে নেয়ার নির্দেশ দেয়। এই প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যেই গত ৫ বছরে বাংলাদেশের প্রায় সবগুলা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষই বেতন অথবা ভর্তি ফি, রেজিষ্ট্রেশন, ক্যান্টিনের খরচ ইত্যাদির পরিমান ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি করছে। সরকারি ভর্তুকি ব্যাতিত এত দ্রুত গতিতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলার সম্পূর্ণ বাস্তবায়ন কিভাবে সম্ভব তারও নানান তরিকা বাতলায়ে দিছেন মোড়ল বিশ্বব্যাংক। শোনা যায়, বেতন সহ অন্যান্য আনুসাঙ্গিক খরচ বৃদ্ধি বাদেও বিশ্ববিদ্যালয় সমূহকে গরু ছাগল চাষাবাদ করার পরামর্শ এইসকল তরিকা সমূহের অন্যতম। আশংকা করিযে, সেইদিন আর দুরে নাই যেইদিন বাংলাদেশের ছাত্র শিক্ষক পড়াশোনা বাদ দিয়া ক্যাম্পাসের মাঠে গরু ছাগল চাষ কইরা কৃষিতে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত রাখবে।



তবে মোড়লের দেয়া এই প্রকল্প বাস্তবায়ন সহজ না, এইটা বাংলাদেশের শাসক গোষ্ঠির অজানা না। আর এই কারণেই পুরানা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলার বদলে প্রকল্পের মডেল হিসাবে গ্রহন করা হইছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে। এই কারনেই পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ার সময়ই তাকে ক্রম বেসরকারিকরণের প্রকল্প বাস্তবায়নের প্রতিজ্ঞা করতে হইছিল। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশের সবচেয়ে সুবিধাবঞ্চিত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থিদের মধ্যে অন্যতম। তাদের না আছে পরিপূর্ণ আবাসন, না আছে যান বাহন, না আছে উচ্চমানের শিক্ষার সুযোগ, এর মাঝে যুক্ত হইছে প্রকল্প বাস্তবায়নের মডেল বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ার মরার উপরে খাড়ার ঘা। দেয়ালে পিঠ ঠেইকা যাওয়া এই পোলাপানগুলা জান প্রান দিয়া আন্দোলন করবে না তো করবে কেডা? সেই আন্দোলন করতে গিয়াও দোষ, আওয়ামী সরকারের ব্যাপক ব্যাকাপে নয়া শীর্ষ সন্ত্রাসী পেটোয়া পুলিশ বাহিনী আর সদা কামোত্তেজিত সোনার ছাওয়ালদের সংগঠন ছাত্রলীগের হাতে লাত্থিগুতা খাইতে হয়, ন্যায্য দাবি চাইতে গিয়া জেলে আটক থাকতে হয়, শিবির ট্যাগ খাইতে হয়। বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থারে শুধুমাত্র বড়লোকের সম্পত্তি আর সৃষ্টিশীলতাহীন দাস শ্রেণীর শিক্ষা ব্যবস্থা বানাইতে বদ্ধপরিকর আওয়ামীলীগ সরকার যতই শিবির ট্যাগ মারুক না কেন, এই হাজার হাজার আন্দোলনকারী পোলাপাইন যে বিম্পি শিবিরের ভারাইট্যা লাইঠাল না তা বুঝবেনা বাংলাদেশের মানুষ এত ভোদাই না।



সারা দুনিয়াতেই পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় আছে। দুনিয়ার সব শতভাগ শিক্ষিত রাষ্ট্রগুলাতেও এখনো শিক্ষা খাতে বিপূল পরিমান ভর্তুকি দেয় সরকারগুলা। ইউরোপের বহু শিল্পন্নত এবং শতভাগ শিক্ষিত জনগোষ্ঠির রাষ্ট্রেও এখনো বিনা পয়সার বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়ন করা যায়। গনতান্ত্রিক ব্যবস্থায় সর্বোচ্চ শিক্ষার সুযোগ পাওয়া যেইখানে একটা ফকিরের পোলারও গনতান্ত্রিক অধিকার, সেইখানে এইসকল সরকারি ভর্তুকির বিকল্প নাই, বিকল্প নাই পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়েরও। বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল এবং বিপূল পরিমান শিক্ষাবঞ্চিত জনগোষ্ঠির রাষ্ট্রে এর গুরুত্ব আরো বেশি। বাংলাদেশের মতো তৃতীয় বিশ্বের রাষ্ট্রগুলার শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়া বিশ্বব্যাংকের এইসব মোড়লগিরী আর যাই হউক, বাংলাদেশের মানুষের কল্লান চিন্তায় যে করা হয়না, সেইটা বুঝতে খুব বেশি চালাক হওয়ার দরকার পরেনা।



বাংলাদেশ এত ফকির না যে এত অল্প কয়েকটা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় চালাইতে পারবেনা। প্রতি বছর বলা হয় শিক্ষা খাতে বরাদ্দ সবচেয়ে বেশি, তারপরে দেখা যায় সেই বাজেটের একটা বড় অংশই যায় সামরিক এবং অন্যান্য খাতে। বাংলাদেশের সামরিক বাহিনী ২০১০ সালে যেই বরাদ্দ পাইছে ৩০৬টা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেটের সমান। সামরিক খাতে মাত্র ১ শতাংশ খরচ কমাইলে তা দিয়া ৩টা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় পালা সম্ভব সরকারের পক্ষে। বাংলাদেশে যেইখানে আরো বেশি বেশি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হওয়া দরকার, যেইখানে গবেষনা এবং অন্যান্য খাতে এইসব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে বিপূল পরিমান ভর্তুকি বৃদ্ধী করা দরকার সেইখানে সরকারের এই ধরণের আচরন আর যাই হউক জনস্বার্থের পক্ষে যায়না।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কাহিনী কইতে গিয়া এত কথা কওয়ার অর্থ একটাই। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শ্রেফ শুরু মাত্র, এরপরে দেশের প্রত্যেকটা বিশ্ববিদ্যালয়রে ধরা হবে। একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে বাস্তবায়ন করতে পারলে বাকিগুলাও আস্তে আস্তে করে ফেলা হবে। বাংলাদেশের বিপূল পরিমান জনগষ্ঠি যেইখানে এমনিতেই শিক্ষা বঞ্চিত সেইখানে এই জাতীয় প্রকল্প এবং পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলার প্রতি এই জাতীয় আচরণ বাংলাদেশের জন্য আত্মঘাতি হবে।



আমি তাই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারন শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলনের পক্ষে। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর শুক্রবার বিকাল ৪টায় শাহবাগ এলাকায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের ব্যানারে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনের পক্ষে প্রতিবাদ সমাবেশের ডাক দেয়া হইছে। এই সমাবেশে উপস্থিত থাইকা মত বিনিময় করবে এবং নিজেদের দাবি দাওয়া তুলে ধরবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দলোনরত শিক্ষার্থীরা। আমিও সেইখানে থাকবো বাংলাদেশের সাম্প্রতিক জাতীয় স্বার্থ বিরোধী চুক্তির বিরুদ্ধে আন্দলোনের সময় জন্ম নেয়া “জাতীয় স্বার্থে ব্লগার -অনলাইন একটিভিস্ট”এর ব্যানারে। এই ন্যায্য আন্দোলনে সংহতি জানাইতে সবাইকে আগায়া আসার আহবান জানাই। আপডেটঃ

কনকো ফিলিপ্সএর সাথে চুক্তি বিরোধী আন্দোলনের সময়ই পরিস্কার হয়ে গিয়েছিল যে বিদেশী প্রভু এবং নিজেদের হালুয়া রুটির স্বার্থে বর্তমান শাসকগোষ্ঠী গণতন্ত্রের ধার ধারেনা, বিনা অপরাধে দমন নিপিড়ন এবং গন গ্রেফতারের পথ বেছে নিতে তাদের কোন দ্বিধা নাই। যে কোন আন্দোলনকে একেবারে গোড়াতেই দমন নিপিড়নের মাধ্যমে শেষ করে দেয়াই তাদের পরিকল্পনা।







আজকেও তার ব্যতিক্রম হয় নাই। জাদুঘরের সামনে পৌছে যখন দেখলাম শত শত পুলিশ আর প্রিজন ভ্যানে একে একে তোলা হচ্ছে জগন্নাথের ছাত্রদের তখন একিসাথে বহু ধরণের অনুভুতি আর চিন্তাভাবনা ভর করছিল মাথায়। অনলাইনে প্রচার পাওয়া এবং অনলাইনে সংগঠিত হওয়া একটা কর্মসূচী নিয়েও প্রশাসন এতটা আক্রমনাত্বক হয়ে উঠেছে সেটা বিশ্বাস করতে কষ্ট হয়েছে, আমার ধারণা ছিল এই দিন বাংলাদেশে আসতে আরো সময় লাগবে। সেই সাথে সোসাল মিডিয়াকেন্দ্রীক গণ আন্দোলনকে যে জনস্বার্থবিরোধী শাসকগোষ্ঠী এরি মাঝে ভয় পাওয়া শুরু করেছে সেটাও পরিস্কার হলো। হতাশাবোধ করছিলাম এই ভেবে যে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের এই কর্মসূচীটাও বুঝি ভেস্তে গেলো। সিনিয়র এক ব্লগারের ফোনে জানতে পারলাম ৩টা থেকেই পুলিশ দখল করে নিয়েছে কর্মসূচীর স্থল আর ৩টা ৩০ থেকে শুরু হয়েছে গনগ্রেফতার। জানতে পারলাম ব্লগাররা সবাই মিলিত হচ্ছেন আজিজ সুপার মার্কেটে। একে একে আজিজ সুপার মার্কেটে জড়ো হতে থাকি আমরা, স্বিদ্ধান্ত নেয়ার চেষ্টা করি পরবর্তি কর্মসূচীর। এটা পরিস্কার হয়ে গিয়েছিল যে সমাবেশ করতে গেলেই পুলিশ গ্রেফতার করবে আমাদের। ৩ দিনমজুরদের একজন যিনি আজ উপস্থিত ছিলেন হঠাৎ বলে ওঠেন গ্রেফতার হলে হবো, আমরা সমাবেশ করবোই। গ্রেফতার হলে হবো, কিন্তু ত্রাসের কাছে মাথা নোয়াবোনা এই স্বিদ্ধান্ত নিয়ে আমরা রওনা হই শাহবাগে জাদুঘরের দিকে। শাহবাগে পৌছে এগোতে এগোতেই চোখে পরে বেশ কয়েকজন ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ব্লগার, ছাত্রবন্ধুদের। পুলিশ আমাদের ভালো মতো খেয়াল করার আগেই আমরা হঠাৎ করেই ব্যানার মেলে দিয়ে দাঁড়িয়ে পরি। চোখের পলকে চারদিক থেকে এসে জড় হয় বেশ কয়েকজন ছাত্র জনতা আর সেই সাথে টিভি পত্রিকার সাংবাদিকরা। মিডিয়ার এতগুলা ক্যামেরার সামনে দেখেই বোধহয় তরিঘরি আর কোন একশনে যেতে চায় নাই পুলিশ। এরপর আমরা শুরু করি সমাবেশ। একে একে বক্তৃতা রাখতে থাকেন বেশ কয়েকজন তরুন ব্লগার, সাংবাদিক, লেখক, বুদ্ধিজীবী এবং জগন্নাথের কয়েকজন ছাত্র। দেখতে দেখতে সমাবেশটা বড় হতে থাকে। গ্রেফতারের ভয়ে চারদিকে ছড়িয়ে থাকা ছাত্র, জনতারা আস্তে আস্তে এসে আমাদের চারপাশে জড় হতে থাকেন। ছোট্ট সমাবেশটা পুলিশের বাধা অতিক্রম করে ধিরে ধিরে পরিণত হয় জনসমুদ্রে। ব্লগার বাকী বিল্লাহ এবং ব্লগার ও সাংবাদিক ফারুক ওয়াসিফের আগুন ঝড়া বক্তব্যে এক পর্যায়ে সমাবেশটা পরিণত হয় এক গণ বিক্ষোভে। এরপর শত শত ছাত্র জনতাকে নিয়ে আমরা মিছিল করে এগিয়ে যাই রাজু ভাস্কর্যের দিকে। এতবড় গণবিক্ষোভ আটকানোর সাহস আর দেখাই নাই পুলিশ।







রাজু ভাস্কর্যে পৌছে আগামী মোঙ্গলবার শহীদ মিনারে পরবর্তি কর্মসূচীর ঘোষনা দিয়ে আমরা আমাদের আজকের কর্মসূচীর সমাপ্তি টানি। এরপরের কাহিনী পুলিশের কাছ থেকে ঘন্টার পর ঘন্টা আটককৃতদের ছারিয়ে আনার চেষ্টার। অনুষ্ঠানের শেষেই আমরা শাহবাগ থানায় পৌছাই। পুলিশের কাছে আমাদের দাবি ছিল যে আমরা এই কর্মসূচীর আহবান করেছি, এই ছাত্ররা তাতে অংশগ্রহণ করতে এসেছিল। যদি গ্রেফতার করতে হয় আমাদের করুন, এদের ছেরে দিন, এদের বিরুদ্ধে তো কোন অভিযোগ নাই, এরা কিছু করে নাই। শুরুতে অল্পকিছুক্ষনের মধ্যে তাদের ছেরে দেয়ার আশ্বাস দিলেও ঠিক কি বিবেচনায় পুলিশ এখন পর্যন্ত তাদের আটকে রেখেছে সেইটা কোন সুস্থ্য যুক্তি বুদ্ধিতে বুঝে ওঠা কঠিন।





বিনা অপরাধে আটককৃত ২৯ জনের অবিলম্বে মুক্তি দাবি করছি।



আজকে আমাদের কর্মসূচী ভেস্তে দেয়ার চেষ্টা চালিয়েছিল পুলিশ, কিন্তু আমরা সব বাধা উপেক্ষা করে কর্মসূচী সফল করেছি। জনগণ যদি একজোট হয় তবে কোন দমন নিপিড়ন তাদের দমিয়ে রাখতে পারবেনা, এইটা পরিস্কার। সহব্লগার বন্ধুরা, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবি আদায়ের আন্দোলনে সংহতি জানানো অব্যাহত রাখুন। দাবি আদায়ে সফলতা আসবেই, বাধা যতই আসুক না কেনো।

--------------------------------------------------------------------------



পুরনো পোস্টঃ



বিগত ২০০৬ সালে বাংলাদেশের তৎকালিন শাসক গোষ্টির হাতে শিক্ষা ব্যবস্থা বিষয়ক একখানা প্রকল্পের ফর্দ ধরায়া দিছিলেন বর্তমান দুনিয়ার পূজিতান্ত্রিক ঔপনিবেশিক ডাকাইত দলের সুভদ্র মোড়ল বিশ্বব্যাংক। ব্রিটিশ আমলে ম্যাকলে প্রমুখ লাট সাহেবদের প্রদানকৃত শিক্ষা ব্যবস্থা বিষয়ক ফর্দ গ্রহন করার অভ্যাস বাংলাদেশের গনতন্ত্রী অথবা স্বৈরতন্ত্রী, কোন শ্রেণীর শাসক গোষ্ঠিই ছারতে পারেন নাই। তার উৎকৃষ্ট প্রমান হইল যে সকল প্রকার বাস্তবতা এবং জাতীয় স্বার্থ বিরোধী এই প্রকল্প বিগত সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে যেমন সাদরে গ্রহণ করা হইছিল তেমনি বর্তমানে বিপূল গনভোট নির্বাচিত গনতান্ত্রিক সরকারও তা বাস্তবায়নে বধ্যপরিকর। আর তারই ফলাফল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি সরকারের নিদারুন অবহেলা এবং কর্তৃপক্ষের সাম্প্রতিক স্বিদ্ধান্ত এবং এর বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের উত্তাল বিক্ষোভ। মোড়ল বিশ্বব্যাংকের ঐ ফর্দ ২০২৬ সাল নাগাদ বাংলাদেশের সবগুলা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলারে আস্তে আস্তে বেসরকারিকরণের প্রকল্প হাতে নেয়ার নির্দেশ দেয়। এই প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যেই গত ৫ বছরে বাংলাদেশের প্রায় সবগুলা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষই বেতন অথবা ভর্তি ফি, রেজিষ্ট্রেশন, ক্যান্টিনের খরচ ইত্যাদির পরিমান ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি করছে। সরকারি ভর্তুকি ব্যাতিত এত দ্রুত গতিতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলার সম্পূর্ণ বাস্তবায়ন কিভাবে সম্ভব তারও নানান তরিকা বাতলায়ে দিছেন মোড়ল বিশ্বব্যাংক। শোনা যায়, বেতন সহ অন্যান্য আনুসাঙ্গিক খরচ বৃদ্ধি বাদেও বিশ্ববিদ্যালয় সমূহকে গরু ছাগল চাষাবাদ করার পরামর্শ এইসকল তরিকা সমূহের অন্যতম। আশংকা করিযে, সেইদিন আর দুরে নাই যেইদিন বাংলাদেশের ছাত্র শিক্ষক পড়াশোনা বাদ দিয়া ক্যাম্পাসের মাঠে গরু ছাগল চাষ কইরা কৃষিতে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত রাখবে।



তবে মোড়লের দেয়া এই প্রকল্প বাস্তবায়ন সহজ না, এইটা বাংলাদেশের শাসক গোষ্ঠির অজানা না। আর এই কারণেই পুরানা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলার বদলে প্রকল্পের মডেল হিসাবে গ্রহন করা হইছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে। এই কারনেই পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ার সময়ই তাকে ক্রম বেসরকারিকরণের প্রকল্প বাস্তবায়নের প্রতিজ্ঞা করতে হইছিল। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশের সবচেয়ে সুবিধাবঞ্চিত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থিদের মধ্যে অন্যতম। তাদের না আছে পরিপূর্ণ আবাসন, না আছে যান বাহন, না আছে উচ্চমানের শিক্ষার সুযোগ, এর মাঝে যুক্ত হইছে প্রকল্প বাস্তবায়নের মডেল বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ার মরার উপরে খাড়ার ঘা। দেয়ালে পিঠ ঠেইকা যাওয়া এই পোলাপানগুলা জান প্রান দিয়া আন্দোলন করবে না তো করবে কেডা? সেই আন্দোলন করতে গিয়াও দোষ, আওয়ামী সরকারের ব্যাপক ব্যাকাপে নয়া শীর্ষ সন্ত্রাসী পেটোয়া পুলিশ বাহিনী আর সদা কামোত্তেজিত সোনার ছাওয়ালদের সংগঠন ছাত্রলীগের হাতে লাত্থিগুতা খাইতে হয়, ন্যায্য দাবি চাইতে গিয়া জেলে আটক থাকতে হয়, শিবির ট্যাগ খাইতে হয়। বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থারে শুধুমাত্র বড়লোকের সম্পত্তি আর সৃষ্টিশীলতাহীন দাস শ্রেণীর শিক্ষা ব্যবস্থা বানাইতে বদ্ধপরিকর আওয়ামীলীগ সরকার যতই শিবির ট্যাগ মারুক না কেন, এই হাজার হাজার আন্দোলনকারী পোলাপাইন যে বিম্পি শিবিরের ভারাইট্যা লাইঠাল না তা বুঝবেনা বাংলাদেশের মানুষ এত ভোদাই না।



সারা দুনিয়াতেই পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় আছে। দুনিয়ার সব শতভাগ শিক্ষিত রাষ্ট্রগুলাতেও এখনো শিক্ষা খাতে বিপূল পরিমান ভর্তুকি দেয় সরকারগুলা। ইউরোপের বহু শিল্পন্নত এবং শতভাগ শিক্ষিত জনগোষ্ঠির রাষ্ট্রেও এখনো বিনা পয়সার বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়ন করা যায়। গনতান্ত্রিক ব্যবস্থায় সর্বোচ্চ শিক্ষার সুযোগ পাওয়া যেইখানে একটা ফকিরের পোলারও গনতান্ত্রিক অধিকার, সেইখানে এইসকল সরকারি ভর্তুকির বিকল্প নাই, বিকল্প নাই পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়েরও। বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল এবং বিপূল পরিমান শিক্ষাবঞ্চিত জনগোষ্ঠির রাষ্ট্রে এর গুরুত্ব আরো বেশি। বাংলাদেশের মতো তৃতীয় বিশ্বের রাষ্ট্রগুলার শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়া বিশ্বব্যাংকের এইসব মোড়লগিরী আর যাই হউক, বাংলাদেশের মানুষের কল্লান চিন্তায় যে করা হয়না, সেইটা বুঝতে খুব বেশি চালাক হওয়ার দরকার পরেনা।



বাংলাদেশ এত ফকির না যে এত অল্প কয়েকটা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় চালাইতে পারবেনা। প্রতি বছর বলা হয় শিক্ষা খাতে বরাদ্দ সবচেয়ে বেশি, তারপরে দেখা যায় সেই বাজেটের একটা বড় অংশই যায় সামরিক এবং অন্যান্য খাতে। বাংলাদেশের সামরিক বাহিনী ২০১০ সালে যেই বরাদ্দ পাইছে ৩০৬টা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেটের সমান। সামরিক খাতে মাত্র ১ শতাংশ খরচ কমাইলে তা দিয়া ৩টা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় পালা সম্ভব সরকারের পক্ষে। বাংলাদেশে যেইখানে আরো বেশি বেশি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হওয়া দরকার, যেইখানে গবেষনা এবং অন্যান্য খাতে এইসব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে বিপূল পরিমান ভর্তুকি বৃদ্ধী করা দরকার সেইখানে সরকারের এই ধরণের আচরন আর যাই হউক জনস্বার্থের পক্ষে যায়না।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কাহিনী কইতে গিয়া এত কথা কওয়ার অর্থ একটাই। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শ্রেফ শুরু মাত্র, এরপরে দেশের প্রত্যেকটা বিশ্ববিদ্যালয়রে ধরা হবে। একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে বাস্তবায়ন করতে পারলে বাকিগুলাও আস্তে আস্তে করে ফেলা হবে। বাংলাদেশের বিপূল পরিমান জনগষ্ঠি যেইখানে এমনিতেই শিক্ষা বঞ্চিত সেইখানে এই জাতীয় প্রকল্প এবং পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলার প্রতি এই জাতীয় আচরণ বাংলাদেশের জন্য আত্মঘাতি হবে।



আমি তাই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারন শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলনের পক্ষে। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর শুক্রবার বিকাল ৪টায় শাহবাগ এলাকায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের ব্যানারে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনের পক্ষে প্রতিবাদ সমাবেশের ডাক দেয়া হইছে। এই সমাবেশে উপস্থিত থাইকা মত বিনিময় করবে এবং নিজেদের দাবি দাওয়া তুলে ধরবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দলোনরত শিক্ষার্থীরা। আমিও সেইখানে থাকবো বাংলাদেশের সাম্প্রতিক জাতীয় স্বার্থ বিরোধী চুক্তির বিরুদ্ধে আন্দলোনের সময় জন্ম নেয়া “জাতীয় স্বার্থে ব্লগার -অনলাইন একটিভিস্ট”এর ব্যানারে। এই ন্যায্য আন্দোলনে সংহতি জানাইতে সবাইকে আগায়া আসার আহবান জানাই।

মন্তব্য ১৮৭ টি রেটিং +৬১/-০

মন্তব্য (১৮৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ২:০৩

মোঃ উরমান বলেছেন: পোস্ট স্টিকি হোক.।।। সহমত

২| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ২:১৬

হামজা কানাল মোস্তফা বলেছেন: সহমত।স্টিকি হোক।View this link

৩| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ২:১৭

স্বল্পজ্ঞানী বলেছেন: পুরো সমর্থন থাকলো, উপস্থিত থাকতে পারলে ভাল লাগতো।

বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীর বরাদ্দের মাত্রা শূন্য করে দেয়া হোক, সামরিক বাহিনী বাংলাদেশে দরকার নাই।

পোস্ট স্টিকি হোক।

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ২:২৭

পারভেজ আলম বলেছেন: সামোরিক বাহিনীর দরকার থাকবেনা কেন? অবশ্যই থাকবে। তবে শিক্ষাখাতই সবার আগে গুরুত্ব পাবে। জগন্নাথের মতো ৩টা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় যদি সামরিক খাতের খরচ মাত্র ১ শতাংশ কমাইলে চালানো সম্ভব হয় তাইলে সামরিক খাত থেইকা খরচ কমায়া শিক্ষাখাতে খরচ আমরা কেন বারামু না? আর সামরিক খাতের উদাহরণ তো একটা উদাহরণ মাত্র। বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পেছনে আরো বড় ধরণের ভর্তুকি দেয়ার ক্ষমতাই বাংলাদেশের আছে, আরো নানান তরিকা আছে। পদ্মা সেতু তৈরিতে যেই পরিমান দুর্নিতি হইতাছে সেই পরিমান দুর্নিতির ট্যাকা দিয়া কয়ডা বিশ্ববিদ্যালয় চালান যাইবো হিসাব করে দেখা যাইতে পারে।

৪| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ২:২৭

প্রতিবাদীকন্ঠ০০৭ বলেছেন: আপনাদের আন্দোলনের সাথে সহমত। তবে এরপর আমাদের গাড়ি ভাইঙ্গেন নে, সরকারঈ বিল্ডিং ভাঙ্গেন যাইয়া। যার গাড়ি ভাংতেছেন সে ও মারপিট শুরু করলে কিন্তু ঘটনা প্যাঁচ খেয়ে যাবে।

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ২:৩৬

পারভেজ আলম বলেছেন: ভাই আমি জগন্নাথের ছাত্র না, সংহতি জানাইতাছি। তবে আপনের ম্যাসেজ তাদের কাছে আপনের এই মন্তব্য থেইকা পৌছায়া যাবে আশা করি। আমি গাড়ি ভাঙচুরের পক্ষে না, তবে শিক্ষার্থীদের কাছে শুনলাম শুরুতে তারা এই কাজ করে নাই, পরে পুলিশী নির্যাতনের মুখে পইরা পালটা ভায়ল্যান্স করছে। আমারো তাদের কাছে আহবান থাকবে জনস্বার্থের পক্ষের আন্দোলনে জনস্বার্থবিরোধী কর্মকান্ড এড়ায়া চলার চেষ্টা করার জন্যে।

৫| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ২:৪৬

মিঠুনসাহা বলেছেন: পোস্ট স্টিকি করা হোক.।।


সামরিক খাতে মাত্র ১ শতাংশ খরচ কমাইলে তা দিয়া ৩টা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় পালা সম্ভব

৬| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ২:৫৩

প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: শিক্ষার্থীদের ন্যায্য আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানাই।

৭| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ২:৫৪

নাহুয়াল মিথ বলেছেন: শিক্ষার অধিকার কেড়ে নেয়ার নীলনকশা সরকার বাস্তবায়ন করছে। শিক্ষাকে ক্রমেই অতি উচ্চমূল্যের পন্যে রুপান্তর এ প্রক্রিয়াকে ধিক্কার জানাই।

আন্দোলনে সহমত।

পোস্ট স্টিকি হোক ।

৮| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ৩:০৯

বাদ দেন বলেছেন: পোস্ট স্টিকি হোক.।।।

৯| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ৩:১৮

মাহবুব রশিদ বলেছেন: আমরা হারব না।

১০| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ৩:২৭

সমাধানদাতা বলেছেন: একমত হতে পারলামনা পারভেজ ভাই।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সম্মান সুদৃঢ় হউক,
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বিশ্বের অন্যতম সেরা চৌকশ ও জনকল্যাণমূলক বাহিনীতে পরিণত হয়ে দেশের নাম বিশ্বের দরবারে প্রতিষ্ঠা করুক,এই কামনা করি।

তবে অবশ্যই দেশের অর্থনীতিও ব্যাপক শক্তিশালী হউক।

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ১১:২৬

পারভেজ আলম বলেছেন: সেনাবাহিনী নিয়া এই পোস্টে বিতর্ক করতে চাইনা। সেনা খাতে বরাদ্দের বিষয়টা একটা উদাহরণ। এইরকম আরো বহু উদাহরণ দেয়া যায়। শুধু এইটাই বলি যে সেনাবাহিনীর দরকার সব দেশেই আছে, কিন্তু দেশের শিক্ষা খাতরে পিছায়া রাইখা সেনা খাতে এত অর্থ বরাদ্দের কোন মানে হয় না, যেইখানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ইন্ডিয়ার লগে যুদ্ধ লাগলে ১৫ দিনের বেশি ঠেকায়া রাখতে পারবেনা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নিজস্ব এনালিসিস অনুযায়ীই। আগে শিক্ষা এবং অর্থনীতিতে উন্নতি হউক, সেনাবাহিনী এমনিই উন্নত হয়া যাবে। সেইসাথে বাংলাদেশের মতো রাষ্ট্রে আরো কম খরচে আরো বড় এবং উন্নত সেনাবাহিনী পালা সম্ভব।

নিজের দেশের মানুষরে ভুখা রাইখা সেনাবাহিনীরে দুনিয়ার অন্যতম সেরা বানাইতে গিয়া পাকিস্তানে কি হইছে দেখছেন তো? বুদ্ধি কইরা চললে সবি হয়, হুদা মরদাঙ্গি দেখাইতে গেলে কিছুই হয় না।

১১| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ ভোর ৫:১৭

স্বাধীকার বলেছেন:
যতদূর জানি এই আন্দোলনটি করছে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট এর নেতৃত্বে কিন্তু কতিপয় দালালের মুখে শুনা গেলো এটা নাকি শিবির করছে। যেকোনো ন্যায্য দাবিকে পদানত করতে শিবির বলাটা এখন ক্ষমতাসীনদের একটি কৌশলে পরিনত হয়েছে।
সাম্প্রতিক সময় গুলোতে ছাত্র ইউনিয়ন এবং ছাত্রফ্রন্ট ছাড়া আর কোনো ছাত্র সংগঠন ছাত্র-ছাত্রীদের সমস্যা নিয়ে কোনো আন্দোলন করেছে বলে জানিনা। কোথাও কোথাও শিবির করেছে কিন্তু তা কেবল তাদের দলীয় স্বার্থকে মাথায় রেখেই।
ছাত্রলীগ এবং ছাত্রদল গত ১০ বছরে কোনো কল্যাণকর আন্দোলন করেছে বলে জানিনা। শিক্ষার্থীদের সমস্যা নিয়ে কোনো কথা ছাত্রদল-ছাত্রলীগের পক্ষে বলা সম্ভব নয়। কারণ ক্যাম্পাসে তাদের উপস্থিতিই এখন থাকে সরকারের উপস্থিতির উপর। তাই তাদের পক্ষ্যে নৈতিক অবস্থান নিয়ে আন্দোল করা সম্ভব হবেনা।
এ ক্ষেত্রে এই আন্দোলনকে সমর্থন করা প্রত্যেকেরেই নৈতিক দায়িত্ব। রাষ্ট্র যদি এক ঈদকে সামনে রেখে এক সপ্তাহে ৬১০ কোটি টাকা খরচ করতে পারে-তাহলে শিক্ষাখাতের মতো একটি শতভাগ রিটার্ন আসা একটি খাতে কেন বিনিয়োগ করবেনা?
পারভেজ ভাই কি বুঝায়ে বলবেন, নাহিদ সাহেবের মতো মন্ত্রীর পক্ষে এ জাতীয় প্রকল্প বাস্তবায়ন কিভাবে সম্ভব? কেবল ক্ষমতাটাই জন্যই নাকি অন্য কিছু?

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ১১:২১

পারভেজ আলম বলেছেন: নেতৃত্বের বিষয়টা আপনে যা কইলেন আমি যতদুর জানি ঠিক তেমন না। গত ৩ বছরে জগন্নাথের শিক্ষার্থীরা বেশ কয়েকটা আন্দোলন করছে, সবগুলাতেই সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের সতঃস্ফুর্ত অংশগ্রহণ ছিল এবং নেতৃত্বও দিছে বেশ কয়েকজন সাধারন ছাত্র ছাত্রী। সেইসাথে ছাত্র ফ্রন্ট, ছাত্র ইউনিয়ন ইত্যাদি বাম ছাত্র সংগঠনগুলা সবসময়ই এই আন্দোলনগুলাতে সাধারণ ছাত্র ছাত্রীদের সাথে একজোট হয়া আন্দোলন করছে।

ছাত্রদল ছাত্রলীগের বিষয়ে যা কইলেন ঘটনা তো তাই। সরকারী দলের পোলাপান লুটপাট কইরা খায় আর সরকারের মিলিশিয়া বাহিনীর কাম করে, সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষে এরা জীবনেও আন্দোলন করেনা, এরা রাজাকার। আর বিরোধী দলে যারা থাকে তাগোতো বেইলই থাকেনা। ইদানিং এরা চেষ্টা করে অন্যদের আন্দোলন পূজি কইরা নিজেরা জাতে উঠতে।

১২| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ ভোর ৬:২৯

আশিকুর রহমান অমিত বলেছেন: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে আছি।
তবে আমাদের দেশে আরেকটা দুঃখ যে বিশ্ববিদ্যালয়ের মত জায়গায় কোন কাজে বাজেট ৩ কোটি টাকা আসলে বেশ কিছু অংশ নাই হয়ে যায়।

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ১১:১৬

পারভেজ আলম বলেছেন: এইটাতো ভাই সারা দেশের চেহারা। লীগ বিম্পি যতদিন থাকবে এইরকম হইবেই, অগো লোকজনই তো সব জায়গায় লুটপাট কইরা খায়।

১৩| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ৭:০৩

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: আন্দলনের সাথে আছি।

পোস্ট স্টিকি করা হউক।

১৪| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ১০:১৭

পারভেজ আলম বলেছেন: এই লেখাটা ফেইসবুকে শেয়ার করা যাইতাছেনা। প্রায়ই অনেকের এই সমস্যা হয় বলে শুনি। সমাধান কি কেউ কইতে পারেন?

১৫| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ১০:২০

শক্তি-সম্রাট বলেছেন: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৫ সেপ্টেম্বরের বিক্ষোভের ঘটনায় ছাত্রশিবিরের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সভাপতি, সেক্রেটারি, প্রচার সম্পাদক ও অন্যান্য নেতৃবৃন্দসহ ঘটনাস্থল থেকে আটককৃতদের নামে মামলা দায়ের করেছে শাহবাগ থানা পুলিশ। ২৬ তারিখ রাতে এসআই সাইদুল হক ভূঁইয়া বাদি হয়ে এই মামলা দায়ের করে। অন্যদিকে, পরদিন পূর্বোক্ত মামলার আসামীসহ নতুন করে ১৫ জন সাংবাদিকদের আসামী করে আরো একটি মামলা দায়ের করা হয়। কোতয়ালী থানার এসআই মোদাচ্ছের হোসেন বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির জিন্দাবাদ

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ১০:৫১

পারভেজ আলম বলেছেন: এই ব্যাটা ছাগু, এইখানে ছাগলামি করতে আসিসনা, থাবরায়া দাত খুলে ফালামু। এই ব্যাজন্মা শিবির শালাগো লাইগা সাধারণ ছাত্ররাও জুত কইরা আন্দোলন করতে পারেনা।

ছাত্রলীগের মতো শিবিরও এই আন্দোলন বাঞ্চাল করতে নামছে। এই শুয়োর গুলারে প্রতিহত করা হউক। এরা সরকারের সাথে যুক্তি কইরা আন্দোলন নষ্ট করতে চায় নিজেগো পাছা বাচাইতে।

১৬| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ১১:০৬

অর্ক হাসনাত কুয়েটিয়ান বলেছেন: সামরিক খাতে মাত্র ১ শতাংশ খরচ কমাইলে তা দিয়া ৩টা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় পালা সম্ভব সরকারের পক্ষে।




কিন্তু উর্দির প্রতি আমাদের প্রেম ১শতাংশ কমানোও সম্ভব না পারভেয ভাই। দুঃখিত।

এফবিতে শেয়ার করতে কি ধরনের সমস্যা হয়?


২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ১১:১৫

পারভেজ আলম বলেছেন: শুধু প্রেম না, ডরও আছে। কিন্তু উর্দিপ্রেমের চেয়ে দেশপ্রেম বড় করা দরকার।

দ্যা ম্যাসেজ কুড নট বি পোস্টেড অন দিস ওয়াল।

১৭| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ১১:০৮

রাইসুল জুহালা বলেছেন: পারভেজ আলম বলেছেন: এই লেখাটা ফেইসবুকে শেয়ার করা যাইতাছেনা। প্রায়ই অনেকের এই সমস্যা হয় বলে শুনি। সমাধান কি কেউ কইতে পারেন?

শেষের দাড়িটা বাদ দিয়ে চেষ্টা করেন।

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ১১:১৪

পারভেজ আলম বলেছেন: নাহ, কাম হয়না। দ্যা ম্যাসেজ কুড নট বি পোস্টেড অন দিস ওয়াল।

১৮| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ১১:৩২

রাইসুল জুহালা বলেছেন: আমার ফেসবুকে দেখেন আমি এটা শেয়ার করেছি। শেয়ার করার প্রক্রিয়াটা একটু জটিল। আপনি চাইলে বিস্তারিত ব্যাখ্যা করতে পারি। কথা হচ্ছে, আপনি এই জটিল প্রক্রিয়ায় যেতে চান কিনা।

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:০৪

পারভেজ আলম বলেছেন: কত আর জটিল হবে? বলে ফেলেন। জিনিসটা জানা দরকার। ভবিষ্যতেও এমন হবেনা নিশ্চয়তা নাই, আগে থাইকা জানা দরকার।

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:০৭

পারভেজ আলম বলেছেন: আমি অবশ্য আপনের ওয়াল থেইকা আমার ওয়ালে শেয়ার দিয়া দিছি। আপাতত সমস্যা মিটছে।

১৯| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ১১:৪৯

শ।মসীর বলেছেন: বাংলাদেশ এত ফকির না যে এত অল্প কয়েকটা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় চালাইতে পারবেনা। এটাই হচ্ছে আসল কথা !!!!

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:০৬

পারভেজ আলম বলেছেন: সেটাই।

২০| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ১১:৫৪

সমাধানদাতা বলেছেন: আগে শিক্ষা এবং অর্থনীতিতে উন্নতি হউক, সেনাবাহিনী এমনিই উন্নত হয়া যাবে। সেইসাথে বাংলাদেশের মতো রাষ্ট্রে আরো কম খরচে আরো বড় এবং উন্নত সেনাবাহিনী পালা সম্ভব।
এই কথার সাথে একমত।

নিজের দেশের মানুষরে ভুখা রাইখা সেনাবাহিনীরে দুনিয়ার অন্যতম সেরা বানাইতে গিয়া পাকিস্তানে কি হইছে দেখছেন তো? বুদ্ধি কইরা চললে সবি হয়, হুদা মরদাঙ্গি দেখাইতে গেলে কিছুই হয় না।


এই কথার সাথেও সহমত।
আসলে একটা চিন্তা মাঝে মাঝে মাথায় আসে,আমাদের নিকটতম প্রতিবাশী ভার‌তের চেয়ে পাকিস্তান হলে আমরা আরো বেশী পরিমাণে গোল্লা যাইতাম।

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:২১

পারভেজ আলম বলেছেন: প্রতিবেশী বিষয় না ভাই, নিজের ভালো নিজের বুঝতে হবে। ভারতই বা কম কি? এত বড় একটা দেশ, সারা দেশের মানুষের ভাত কাপর শিক্ষার খবর নাই, পারমানবিক বোম বানায়া বইসা রইছে।

২১| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:১২

আরিফ রুবেল বলেছেন: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্ববিদ্যালয় হইছে চার দলীয় জোট সরকারের আমলে। কাজেই আজকের যে সংকট তাঁর দায় দায়িত্ব তাদের ঘাড়েও পড়ে। তাই উপরে যিনি শিবির জিন্দাবাদ বলে ম্যাতকার করছেন তাকেও গদাম দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।

পোস্ট স্টিকি করা হোক।

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:৩০

পারভেজ আলম বলেছেন: উনারে গদাম একবার দিলাম। সবাইরে গদাম দেয়ার আহবানও জানাইলাম।

২২| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:১৪

রাইসুল জুহালা বলেছেন: প্রথমে যথারীতি পোস্ট টাইটেলের ঠিক নিচে ফেসবুকের লিঙ্কে ক্লিক করেন। নতুন উইন্ডোতে পোস্ট টাইটেলটার উপরে ক্লিক করেন, দেখবেন যে এখন এই টাইটেলটা আপনি এডিট করতে পারবেন। লক্ষ্য করে দেখেন যে এখানে এখনও দাড়িটা আছে। (এটা সামহোয়ারের বাগ বোধহয়, টাইটেল ফিজিক্যালি এডিট হয়নি)। দাড়ি মুছে দেন। দাড়ির পরে "- পারভেজ আলম" আছে। "-" সিম্বলটাও আপনার মুছতে হবে। এটা যে পারভেজ আলমের লেখা সেটা আপনি কিভাবে দেখাবেন সেটা নিজস্ব বিবেচনা। না দেখালেও অসুবিধা নাই। উপরে "Write something" এর জায়গায় আপনার নাম লিখে দিতে পারেন। এবার শেয়ার বাটনে ক্লিক করেন। মোটকথা হচ্ছে যে সিম্বলগুলি অর্থাৎ দাড়ি, ব্র্যাকেট, হাইফেন ইত্যাদি থাকলে এই ঝামেলাটা করে।

(একান্তই ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে এই টিপস দিলাম। টেকনিক্যাল কার্যকারন আমার জানা নাই। সবসময় কাজ করবে কিনা সে ব্যাপারেও শতভাগ নিশ্চিত না। এই বিষয়ে আমার সমস্ত মন্তব্য মুছে দিতে পারেন। এরকম একটা পোস্টে এই ফালতু আলাপ না রাখাই ভাল। অবশ্য আপনার বিবেচনাই প্রাধান্য পাবে।)

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:২৮

পারভেজ আলম বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই। এইটা বাগ হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।

২৩| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:২৭

ফিরোজ খাঁন তুষার বলেছেন: দাবি আদায় করতে গিয়া সাধারণ মাইনষের গাড়ি ভাংগিস না, তাইলেই খুশি থাকুম, ঐ দিন যেমনে গাড়ি চুরমার করছে, ঠিক না।
পাবলিক বাস মানে হরতাল আর দাবি আদায়ের আন্দোলনের হাতিয়ার না,
আর সরকারি অনুদান পাবলিক প্রাইভেট সবার ই পাওয়া উচিৎ

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ১:১০

পারভেজ আলম বলেছেন: আশা করি জগন্নাথের শিক্ষার্থীরা এই অনুরোধ রক্ষা করবেন।

২৪| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ১:৩১

সবাক বলেছেন:

দেখা হবে শুক্রবার...

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ১:৩৫

পারভেজ আলম বলেছেন: দারুন পোস্টার করছেন সবাক। পোস্টে যুক্ত করে দিলাম। দেখা হবে শুক্রবার।

২৫| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:৪২

সায়েম মুন বলেছেন: আসুন সবাই সংহতি জানাই

২৬| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ বিকাল ৪:৫৩

megher_kannaa বলেছেন: পোস্ট স্টিকি করা হউক।সহমত।

২৭| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ বিকাল ৫:৫৬

আবরার হোসেন বলেছেন: আছি, থাকবো।

২৮| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:০০

মাইনাস এইটিন_পন্ডিত বলেছেন: পোস্ট স্টিকি করা হউক।সহমত।

২৯| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:২০

ইকরাম উল্যাহ বলেছেন: পোস্ট স্টীকি করা হোক।

ওদের দাবির সঙ্গে সহমত।

৩০| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৩০

ইকরাম উল্যাহ বলেছেন: এই পোস্টে শক্তি-সম্রাট বলেছেন: বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির জিন্দাবাদ

অপ্রাসঙ্গিক কথা বলেন কেন? আবুলামির জন্য গদাম


স্বল্পজ্ঞানী বলেছেন:বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীর বরাদ্দের মাত্রা শূন্য করে দেয়া হোক, সামরিক বাহিনী বাংলাদেশে দরকার নাই।


সম্পূর্ণ দ্বিমত।

লেখক বলেছেন:তবে শিক্ষাখাতই সবার আগে গুরুত্ব পাবে। জগন্নাথের মতো ৩টা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় যদি সামরিক খাতের খরচ মাত্র ১ শতাংশ কমাইলে চালানো সম্ভব হয় তাইলে সামরিক খাত থেইকা খরচ কমায়া শিক্ষাখাতে খরচ আমরা কেন বারামু না?

সহমত।

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১২:১৩

পারভেজ আলম বলেছেন: স্বল্পজ্ঞানী খুব সম্ভবত স্যাটায়ার করে কইছেন। কেউ কেউ আছেন যারা সামরিক বাহিনী বিষয়ক সামান্যতম সমালোচনাও সহ্য করতে পারেন না।

৩১| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১:২০

সুপান্থ সুরাহী বলেছেন:
জগন্নাতকে ভার্সিটিবানানো এবং একে নিজস্ব আয়ে চলতে হবে বলে বাধ্য করা একটা বাটপারি ছাড়া আর কিছুই না...

কেননা, সব ইউনি.গুলা চলবে সরকারের টাকায় আর এটা চলবে নিজস্ব আয়ে । কেন??
এর অপরাধ কী?

একই দেশে দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য দুই রকম আইন... পাগলামী ও বাটপারি ছাড়া আর কিছুই নয়...

শিক্ষা খাতে বরাদ্ধ বারানো হোক... আজাইরা রাষ্ট্রীয় সফর সহ সব আকাইম্যা ব্যয় কমানো হোক...

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:২৪

পারভেজ আলম বলেছেন: ভবিষ্যতে সব বিশ্ববিদ্যালয়কেই এই ঝামেলায় পরতে হবে। জগন্নাথ থেইকা প্রতিরোধ শুরু হইলে সেইটা সবার জন্যেই ভালো।

৩২| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ বিকাল ৩:৩৯

হিড্‌ন্‌ ম্যান বলেছেন: পাশে আছি

৩৩| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ বিকাল ৩:৪০

লেখোয়াড় বলেছেন: দারুন, সাথে আছি। স্বাধীকারের সাথে একমত।

ধন্যবাদ।

৩৪| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ বিকাল ৩:৫০

বেঈমান আমি বলেছেন: দেশের বাহিরে থাকি তাই স্বশরীরে থাকতে না পারলেও দুর থেকে শুভকামনা রইলো।

৩৫| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ বিকাল ৩:৫২

স্বল্পজ্ঞানী বলেছেন: আমি স্যাটায়ার করে বলি নাই, বাংলাদেশের মত একটা গরিব রাষ্ট্রে সেনাবাহিনীর পেছনে এতো টাকা ব্যয় করার কোন মানে হয় না। কারও সাথেই আমাদের যুদ্ধ হবে না, মহড়ারও দরকার নাই। আমাদের অনেক প্রবলেম আছে। শিক্ষা-গবেষণা এবং ইন্ডাস্ট্রিয়ালাইজেশনে টাকা ব্যয় করতে হবে। একটা উন্নয়ণশীল দেশে সেনাবাহিনীর পেছনে এতো টাকা খরচ করলে দেশ উন্নত হবে না, ঐ টাকা শিক্ষার পেছনে ব্যয় করলে আখেরে লাভ হবে। দেশ উন্নত হয়ে গেলে তখন শুধু সেনাবাহিনী নয়, অস্ত্র উৎপাদনও করা যাবে।

ধন্যবাদ।

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:২৮

পারভেজ আলম বলেছেন: দুঃখিত আপনেরে বুঝতে পারিনাই বইলা। আমি সেনাবাহিনীর বরাদ্দ শুন্য করার পক্ষে না, সেইটা প্রেকটিকাল না। তবে অবশ্যই বরাদ্দ কমানো উচিৎ। ব্যক্তিগত ভাবে আমি গনবাহিনীর কনসেপ্টে বিশ্বাস করি। বাংলাদেশের মতো রাষ্ট্রে ফুল টাইম সেনাবাহিনীর সাইজ ছোট কইরা জনগণরে বাধ্যতামূলক সামরিক প্রশিক্ষন দেয়া উচিৎ এবং সবার জন্যে একটা নির্দৃষ্ট সময় সামরিক বাহিনীতে কাজ করা বাধ্যতামূলক করা উচিৎ, এবং সেইটা তারা করবে নাম মাত্র বেতনে।

৩৬| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ বিকাল ৩:৫৪

পাগলাঘোড়াসিটিজি বলেছেন: শুভ কামনা রইলো

৩৭| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ বিকাল ৩:৫৫

পদ্ম।পদ্ম বলেছেন: +++

৩৮| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ বিকাল ৪:০৫

হুতম_পেছা বলেছেন: শিক্ষার অধিকার কেড়ে নেয়ার নীলনকশা সরকার বাস্তবায়ন করছে। শিক্ষাকে ক্রমেই অতি উচ্চমূল্যের পন্যে রুপান্তর এ প্রক্রিয়াকে ধিক্কার জানাই।

আন্দোলনে সহমত।

৩৯| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ বিকাল ৪:০৬

এস.কে.ফয়সাল আলম বলেছেন: স্টিকি করার জন্য কতৃপক্ষকে অনেক ধন্যবাদ।

আমাদের এই আন্দোলনে সবাইকে সংহতি জানানোর আহব্বান করছি।

৪০| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ বিকাল ৪:১১

ইকরাম উল্যাহ বলেছেন: পোস্ট স্টিকি হয়েছে দেখে ভাল লাগছে।

কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়তো বন্ধ ঘোষণা করেছে কতৃপক্ষ।

৪১| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ বিকাল ৪:১৫

ইশতিয়াক আহমেদ চয়ন বলেছেন: সংহতি জানালাম। নায্য পাওনা সবারই প্রাপ্য !!

৪২| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ বিকাল ৪:১৮

কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: শিক্ষার বানিজ্যিকিকরণের মাধ্যমে দরিদ্র মানুষেক শিক্ষাবঞ্চিত রেখে শুধুমাত্র ধনির ছেলেদের সামাজিক ভাবে প্রতিষ্ঠিত করার হীন চক্রান্ত যেকোন মুল্যে প্রতিহত করতে হবে।

শিক্ষা আমার সুযোগ নয় অধিকার - তাই দেশের সকল নাগরিকের বিনামুল্যে শিক্ষা প্রদানের ব্যাবস্থা করতে হবে।

৪৩| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ বিকাল ৪:২৩

অনিন্দিতা_একা বলেছেন: সমর্থন থাকলো, উপস্থিত থাকতে পারলে ভাল লাগতো।

৪৪| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ বিকাল ৪:২৩

বৃস্টি বলেছেন: ওই লেখক সাহেব !! X(
এতো চেতেন ক্যা ? X(
সরকার খারাপ কি করছে ? ভার্সিটিতে ভতুর্কি কমাইছে। কমাক। আমি জানি দরকার আছে। প্রাইমারী স্কুলের ভতুর্কি তো আর কমায় নাই। নিজেরে তো বুদ্ধিজীবি মনে করেম নাকি?

কন তো দেখি দেশের শতকরা কতো পার্সেন্ট পোলা ভার্সিটি পর্যন্ত যাইতে পারে। আর তার আগে কতো পার্সেন্ট ঝরে যায়? ইউরোপের কতো % পোলা ভার্সিটিতে পড়ে ? তাদের জিডিপি কতো? আর আমাগো কতো? দেশ অনুযায়ী আমাদের ভার্সিটি শিক্ষা বেশী জরুরী নাকি স্কুল পাশ দিয়া বাস্তব শিক্ষা?

শুনেন পারভেজ সাব। এই সব বিপ্লবী মার্কা কথা দিয়া চিড়া ভিজে না। :)

আর ওই যে সেনা বাহিনী মার্কা বরাদ্দের কথা কইলেন। এইডাও বালা লাগে নাই। আরে মিয়া আপনি যদি সত্যই মানুষের পক্ষে থাকতেন তাইলে সেনা বাহিনীর বরাদ্দের কথা কমাতে বলতেন। সেটা আপনি কন নাই। কিন্তু আমি কই। বাংলাদেশের সামরিক বাজেট ৬০% কমিয়ে সেটা কৃষি আর কৃষি ভিত্তিক শিল্পে প্রয়োগ করা হোক। আমি আরো কই। শিক্ষা তে ভতুর্কি কমিয়ে সেটা স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ করা হোক।

আরে মিয়া ভাই, মানুষ আগে খাইবো এর পরে অসুখ বিসুখ অনেক কিছু আছে। চিকিৎসা করতে হবে। এর পরে মানুষ বাচলে পড়া লিখা করবে। তয় সেটা প্রাইমারী /সেকেন্ডারী পাস দেওনের পরে। ভার্সিটি শিক্ষা বহু দূর। :)


বাম সাপোর্ট করেন, তয় মাথায় একটু বুদ্ধি নিয়া কইরেন।

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৫০

পারভেজ আলম বলেছেন: আমি চ্যাতলাম কুতায় ভাই?

কিন্তু আপনের একেকটা অসম্পূর্ণ বাক্য আর নানান অভিব্যাক্তির স্মাইলি দেইখা আপনে উত্তেজিত, নাকি কোন ধরণের নাবালক ইউফোরিয়ায় দিকভ্রান্ত সেইটা যেমন বুঝতে পারি নাই তেমনি আপনে কি কইতে চাইছেন তাও বুঝতে কষ্ট হইতাছে।

সেনাবাহিনীর বরাদ্দ কমানের কথা আমার পোস্টেই বলা আছে, আপনে ৬০% কমাইতে চান ভালো, আমি কত পার্সেন্ট চাই তার উল্লেখ করি নাই। সেনাবাহিনী সম্পর্কে আমার চিন্তা ভাবনা ব্লগে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন মন্তব্যে উল্লেখ করছি, উপরেও কইছি অন্তত ২টা মন্তব্যে। আপনে কি কইতাছেন সেইটা আপনেই ভালো বুঝেন।

এই জাতীয় মন্তব্যের জবাব দিতে যদিও কষ্ট লাগে, তাও কই কিছু। বাংলাদেশে কারিগরী বা কৃষি শিক্ষায় আরো বেশি অর্থ খরচ করতেই হবে, এর বিকল্প নাই। কিন্তু তাই বইলা বাংলাদেশে দরকারের চেয়ে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিমান বেশি হয়া গেছে এই তথ্য আপনে কই পাইলেন?

আমি বাম করি না ডাইন করি সেইটা বুঝতে হইলে আপনের আরো জ্ঞানার্জন করা দরকার। শিক্ষাতে ভর্তুকি কমায়া সাস্থ্য খাতে বারানের আইডিয়া কোন সুস্থ্য মানুষের মাথায় আইতে পারে এইটা ভাবতে কষ্ট হয়, বলি শিক্ষা দিয়া যদি ডাক্তারই না বানাইলাম তো সাস্থ্য খাত চলবে কেমনে? বাংলাদেশে কি দরকার অনুযায়ী ডাক্তারের সংখ্যা ঠিক আছে? মানুষ বাচলে পড়া লিখা করবে, অসাধারণ কথা, বলি তাগোরে বাচাইতে যেই পড়ালেখা লাগবে সেইটা কই থিকা আসবে?

এত অসংলগ্ন মন্তব্যের জবাব দিতে বাধ্য হইলাম কারন পোস্টটা স্টিকি হইছে এবং অনেকেই পড়বে, আর নাইলে সময় নষ্ট করতাম না।

আর শুনেন, চলতি ভাষা আর স্মাইলি জগাখিচুরি দিলেই ব্লগিয় সৃষ্টিশীল ভাষা হয় না, মেরিট না থাকলে অথবা সাধনা না থাকলে বিরক্তি উদ্রেগকারি বগর বগরও হয়।

৪৫| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ বিকাল ৪:২৯

শিপু ভাই বলেছেন: পাব্লিক বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষনা দিয়া আবার বলা যে, নিজেদের আয়ে চলতে হবে- এটা কেমন কথা। পাবলিক বিশ্ববিদ্যায়ে সর্বস্তর থেকে ছাত্র- ছাত্রী আসে।
সুপান্থ ভাইয়ের সাথে সহমত।



জরুরী কোন কাজ না পরলে- আসবো।
তবে আন্দোলন হতে হবে অহিংস।

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৫১

পারভেজ আলম বলেছেন: সেটাই।

৪৬| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ বিকাল ৪:২৯

আখতার ০১৭৪৫ বলেছেন: সবার সাথে সহমত

৪৭| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ বিকাল ৪:৪৩

জাহিদূল ইসলাম বলেছেন: মিডিয়ার উপেক্ষা দেখে একরকম হতাশই হয়ে পড়ছিলাম ।। কিন্তু এখন মনে হইতেচে আন্দোলন আরো বেগবান করতেন পারমু । সামু কে ধন্যবাদ । পারভেজ ভাইকে ধন্যবাদ দিয়া লিলিপুট বানাইতে চাইনা ।

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৫২

পারভেজ আলম বলেছেন: সকল প্রশংসা সামুর।

৪৮| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ বিকাল ৪:৪৭

জাহিদূল ইসলাম বলেছেন: আমাদের সম্বন্ধে বলা হচ্ছে আমারা বেশ ভাঙচুর করেছি । আমি এরকম সমালোচনার জবাবে লিখেছি.।একটিবার এর জন্য হলেও আমাদের কথাটা একটু শুনেন...............।।

৪৯| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ বিকাল ৫:১৪

সায়ান বলেছেন: স্টিকি করার জন্য কতৃপক্ষকে অনেক ধন্যবাদ।

৫০| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ বিকাল ৫:১৯

আকাশ_পাগলা বলেছেন: আমি যতদূর জানি মডেলটা এইরকম যে, ভার্সিটি স্বাবলম্বী না হইলে এখানকার পোলাপান কেমনে হইব?

মানে এই না যে, এইটা পোলাপানের টাকায় চলবে। বরং প্রতিটা ইউনি এর একটা নিজস্ব টাকার সোর্স থাকতে হবে। সেটা মুরগি পালা হউক, বা পোলাপানের কাছে থাকা অস্ত্র রপ্তানী কইরা !!

অথবা ভার্সিটিকে নিজেই ছাত্রদের জন্য উপার্জনের কিছু একটা সিস্টেম করে দিতে হবে।


কিন্তু যেই দেশে মানুষ জন্ম থেকেই ফকির থাকে, রাস্তায় বাইর হইলেই ফকির চোখে পড়ে, ফকিরের মধ্যে গরীব ফকির আর বড়লোক ফকির শ্রেণি থাকে, টাকার অভাবে রাস্তা হয় না, খাওয়ার অভাবে মানুষ মরে, হেন তেন মেন

সেখানে সমাজ বিজ্ঞান, নাট্যকলা, সংস্কৃতি ভাষা, পালি ভাষা এগুলি শিখানোর জন্য টাকা ঢালার পক্ষে নাই। শুধু জগন্নাথ না সবখানেই সবখানেই এসব সাবজেক্টে টাকা ঢালা বন্ধ করা উচিত।
গ্রামের কৃষকটা কী জানে তার টাকা দিয়ে নাট্যকলায় মানুষ নাটক শিখতেছে?


এর চেয়ে কৃষি, মেডিকেল, ইঞ্জিনিয়ারিং এ ব্যাপক ভাবে টাকা ঢালা সহ অন্যান্য ফান্ড দেয়া হোক। ফিজিক্স কেমিস্ট্রি গণিত বর্তমানে যতটুকু ভর্তুকি দেয় ততটুকুই থাক, আস্তে আস্তে এগুলা তেও ফান্ড বাড়ানো হোক।

জানি অনেকেই বিপক্ষে চলে যাবেন। কিন্তু সেটা যুক্তির অসারতায় না, আপনারা বা আপনাদের কাছের মানুষ ওখানে তাই !! আবেগ প্রায়ই বিবেকের চেয়ে বড় হয়ে চায়। তাই আমরা এখন এত গরীব।

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৫৯

পারভেজ আলম বলেছেন: কিছু জায়গায় প্রচন্ডরকম দ্বিমত পোষন করছি। বাংলাদেশের জন্যে অবশ্যই বাস্তবসম্মত কৃষি এবং কারিগরি শিক্ষার দরকার সবার আগে। কিন্তু নাট্যকলা, সমাজ বিজ্ঞান ইত্যাদি বিষয়ে পড়াশোনার প্রয়োজনীয়তা আপনে অস্বিকার করতে পারেন না। অনুরোধ করবো বিষয়গুলা নিয়া আরো গভির ভাবে চিন্তা করতে। সমাজ বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় যদি আরো সিরিয়াস এবং জাতীয় প্রয়োজনের সাথে সংজ্ঞতি রাইখা গবেষনামূলক পড়াশোনা হইতো তাইলে আইন, গনতন্ত্র, রাজনীতি, কুটনীতি, বৈদেশিক সম্পর্ক ইত্যাদি খাতে আমরা অনেক সুদক্ষ মানুষ পাইতাম, এইসব ক্ষেত্রে সুদক্ষ মানুষের সংখ্যা বাংলাদেশে এখনো কম বলেই আমরা নানান বিদেশী শক্তির কাছে মাথা নোয়াইতে বাধ্য হই। নাট্যতত্ত্ব বিষয়ক পড়াশোনার অভাব সেইসব কারন গুলার অন্যতম যেইসব কারনে আমরা প্রবল ভাবে বৈদেশিক অপসংস্কৃতির আগ্রাসনের স্বিকার হচ্ছি।

সংস্কৃত, পালি, ফারসি, প্রাচীন বাঙলা এই চারটা ভাষার একটা ভাষাও যে জানেনা তার পক্ষে বাঙলার ইতিহাস বিষয়ে কখনোই উচুমানের পড়াশোনা বা গবেষনা করা সম্ভব না। নিজেদের ইতিহাস বিষয়ে উদাসিনতা আমাদের পিছায়া থাকার অন্যতম কারন। আমেরিকায় গিয়া দেখেন, নিজেগো ইতিহাস বেশিদিনের না বইলা সারা দুনিয়ার ইতিহাসরে নিজেদের ইতিহাসে পরিণত করছে।

ফিজিক্স, ক্যামিস্ট্রি, গনিতে এখনকার ভর্তুকি একেবারেই নাম মাত্রে। আধুনিক দুনিয়ায় প্রতিযোগিতায় টিকতে হইলে ভর্তুকি অনেক অনেক বারাইতে হবে।

৫১| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ বিকাল ৫:২৯

অগ্নি যোদ্ধা বলেছেন: ৪৬ আর ৫২ নাম্বার কমেন্টের সাথে একমত। :) :) :)

৫২| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ বিকাল ৫:৩৯

মাসুম বাবু বলেছেন: আবুলদের চুরি চামারী কিছু কমলেই হয়ে সমস্যার সমাধান। কত টাকা কই যায় আর লেখাপড়ার দায়িত্ব সরকার নিতে চায় না।

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৫৯

পারভেজ আলম বলেছেন: সেইটাই। টেকার অভাব নাকি। দুনিয়ার টেকা নষ্ট হয়, আর শিক্ষার লাইগা নাকি টেকার অভাব।

৫৩| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ বিকাল ৫:৪২

আবু সালেহ বলেছেন: পাশে আছি..............

৫৪| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ বিকাল ৫:৪৮

মাহমুদুল হাসান কায়রো বলেছেন: পোস্ট স্টিকি হয়েছে দেখে ভাল লাগছে।

৫৫| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:০৫

ইমন কুমার দে বলেছেন: সহমত..

৫৬| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:০৮

এ হেলাল খান বলেছেন:
পোষ্টের সাথে সহমত।

৫৭| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:১০

তরুক মকতো বলেছেন: সংহতি প্রকাশ করছি আন্দোলনের সাথে। আশা রাখছি থাকবো।

৫৮| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:১৩

দুষ্ট_ছেলে বলেছেন: পোষ্টের সাথে সহমত।

৫৯| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:১৬

মোস্তফা মানিক বলেছেন: যতদুর জানি বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে এমন কিছু কনডিশন দেওয়া ছিল। সো এখন কিভাবে এ দাবিকে সমর্থন করা যায়।

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:০৬

পারভেজ আলম বলেছেন: কন্ডিশন কার লগে কার হইছে? ছাত্রগো যা কওয়ার তা ছাত্ররা কইতাছে। কর্তৃপক্ষ আর সরকার নিজেরা নিজেরা কন্ডিশন বানায়া তা দিয়া দেশ চালাইবো, আর সাধারণ মানুষ মাইনা নিবে এইটা আশা করা ঠিক না।

৬০| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:২৫

ইলুসন বলেছেন: যে কোন যৌক্তিক আন্দোলনের সাথে আছি।

৬১| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৪১

মেঘলা আকাশ ও বিষন্ন মন বলেছেন: আপনার সাথে আংশিক একমত। পুরোপুরি নই।

৪৬ ও ৫২ নাম্বার কমেন্টও অনেক কিছু বুঝার আছে।

৬২| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৫১

নিঃসঙ্গ পৃথিবী বলেছেন: সংহতি জানাচ্ছি।

৬৩| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৫৬

রবিউল হোসেইন বলেছেন: চালিয়ে যান, সমর্থন থাকবে সবসময়।

৬৪| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৫৬

রাজিয়েল বলেছেন: মোটেও গাড়ি ঘোড়া দোকান পাট ভাংচুরের পক্ষপাতি নই। বিশ্বব্যাংক-ট্যাংক বুঝি না, দেশের ছাত্রসমাজের নৈতিক অবস্থা একাবারেই রাস্তার পাশের আস্তাকুঁড়ে গিয়ে পড়েছে। যৌক্তিক আন্দোলনের হাজারটা উপায় আছে দুনিয়াতে। অনশন, মৌন মিছিল, অবস্থান গ্রহণ, লেখালেখি কত কি! ভিকারুন্নেসার মেয়েগুলা কি করে দেখালো একবার মনে করে দেখুন

এই ধরনের বর্বর, ধ্বংসপ্রবণতাসম্পন্ন ছাত্রদের প্রতি; তারা মুষ্টিমেয় হোক কি সংখ্যাগরিষ্ঠ হোক; আমার কাছে একবিন্দু সহানুভুতি নেই।

৬৫| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৫৭

সায়ান বলেছেন: ৪৬ নং কমেন্ট প্রসঙ্গে । বৃষ্টি ভাই জান আপনি বলেছেন বিপ্লবী কথায় চিড়ে ভিজে না । কথাটা পুরোপুরি ঠিক । কিন্তু আমাদের দেশে আন্দোলন ছাড়া কোন দাবীটা পূরণ হয়েছে ? আর যারা প্রাইমারী পাশ করেই ব্লগ লেখে তারা তো বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা বোঝার কথা না । তাই আপনিও বোঝেন নাই । বোঝার কথাও না ।

৬৬| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৪৪

মুসাফির রকস বলেছেন:

এই আন্দোলনকে স্বাগত জানাই।

দাবি আদায় সা হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবেই।

ঐ শিক্ষক কে নিন্দা জানাই যারা বলেছেন এই আন্দোলনে ক্যাম্পাসে বাইরের ছাত্ররা আছে। আমি জগন্নাথে পড়িনা। কিন্তু ছাত্রসমাজ এক দেহ। চ্ট্রগ্রাম বা কুড়গ্রাম যেখনেই ছাত্র নির্যাতন সেখানেই আমার প্রতিবাদ।
সবাইকে আমার বিদ্রোহী সালাম

৬৭| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৪৫

ল্যাটিচুড বলেছেন: এই পোষ্টে সরকারের পোষা কিছু কুত্তা আইসা পড়ছে, যারা সাধারণ ছাত্রদের স্বতফূর্ত আন্দোলন কে রাজাকারদের সাথে ত্যানা প্যাচাইয়া আন্দোলন দূর্বল করতে চাই।

এরা প্রথমে আন্দোলনের সাথে একাত্ব ঘোষনা করে কমেন্ট করে আর নিচে লিখে " বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির জিন্দাবাদ" অর্থাৎ ইহা সাধারণ ছাত্র জনতার আন্দোলন নয় ইহা ছাগুদের আন্দোলন সুতারাং আপনারা দুরে থাকুন। এই সব কুত্তা হতে দুরে থাকুন, যারা এধরণের রিভার্স গেম খেলছে - এদের পা্ওয়া মাত্র গদাম দিন।

আন্দোলনের সপক্ষে ব্যাপক সমর্থন। এই আন্দোলনে সরকার, বিরোধী দল, ছাগু , কাগু যেই বাধা দিবে তাকেই গদাম ..........

৬৮| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৫০

মুসাফির রকস বলেছেন:

নচিকেতার হাল্লা বেল গানটি সবার জন্য ডেডিকেট করলাম

৬৯| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৫১

মুসাফির রকস বলেছেন:

হাল্লা বোল ------------------------

৭০| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ৮:১৩

সেলিনা আক্তার বলেছেন: শিক্ষা হবে না ধনীর প্রসাধন,
চাই ন্যায্য হিস্যা,
চাই মেধার মূল্যায়ন ।

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ৮:৩১

পারভেজ আলম বলেছেন: সুন্দর তো।

৭১| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ৮:২৪

আকাশ_পাগলা বলেছেন: কিন্তু নাট্যকলা, সমাজ বিজ্ঞান ইত্যাদি বিষয়ে পড়াশোনার প্রয়োজনীয়তা আপনে অস্বিকার করতে পারেন না।


সেইটা করি নাই। আমি বলছি এইটা এখনই আর্জেন্ট না। সরকারের টাকার অভাব হলে শুধু একটা ইউনি এর ভর্তুকি বন্ধ না করে বাকি ইউনির গুটিকয়েক সাবজেক্ট অন্তত যেগুলার এখন প্রয়োজন কম, সেগুলার ভর্তুকি বন্ধ করতে পারে।

আম্রিকা ইউরোপের কথা বলে লাভ নাই। ওরা বড়লোক ওদের সিস্টেমে আমাদের চললে হবে না। সবকাজ একসাথে করলে হয় না। প্রয়োজন বুঝে আগে করতে হয়।

রাষ্ট্রবিজ্ঞান পৌরনীতি নাট্যকলা আর এখানকার গবেষক দল দেশকে কতটুকু দিল আর গার্মেন্টেসের মেয়েটা, দিনমজুরটা কতটুকু দিল সেটা হিসাব করেন। হিসেবেই আসবে যে, মেডিকেল আর কৃষিকে সবার আগে প্রাধান্য দিতে হবে। সেই টাকা না থাকলে বাকি বর্তমানে কম প্রয়োজনীয় সাবজেক্টে ভর্তুকি বন্ধ করতে হবে।

(ভাইবেন না আমি কৃষি বা মেডিকেলের !!)

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ৮:৩৪

পারভেজ আলম বলেছেন: প্রেকটিকাল এপ্রোচ নিতে হবে, এইখানে পুরাই সহমত। কিন্তু বাংলাদেশে কিন্তু সমাজ বিজ্ঞান, নাট্যতত্ত্বের মতো সাবজেক্টের চেয়ে বিবিএ নামক একটা সাবজেক্টের পেছনে সরকার এবং দেশের মানুষের টাকা খরচ হয় অনেক বেশি, যেই সাবজেক্টের সার্টিফিকেট ভ্যালু যেমনই হউক না কেন, প্রেকটিকাল ভ্যালু অনেক কম। আসলে ভাই একটা ভালো শিক্ষানীতি দরকার সবার আগে, দরকার শিক্ষা ব্যবস্থার দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা এবং তার পেছনে সুনির্দিষ্ট দর্শন। এইটুকু থাকলে বাকিটা ঠিক ঠাক হয়া যাবে।

আপনের মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ। সুস্থ্য ডিসকাশন দরকার আছে। এতে সবার বুদ্ধি এবং লক্ষ্য দুইটাই পরিস্কার হয়।

৭২| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ৮:২৪

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: লেখক বলেছেন: কন্ডিশন কার লগে কার হইছে? ছাত্রগো যা কওয়ার তা ছাত্ররা কইতাছে। কর্তৃপক্ষ আর সরকার নিজেরা নিজেরা কন্ডিশন বানায়া তা দিয়া দেশ চালাইবো, আর সাধারণ মানুষ মাইনা নিবে এইটা আশা করা ঠিক না।

+

৭৩| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ৮:২৪

ইউসুফ বিন সুলতান বলেছেন: কি বলবো অামি?

৭৪| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ৮:২৬

উম্মে মারিয়াম বলেছেন: শিক্ষাখাতে বরাদ্দ না বাড়ালে কখনই জাতি এগিয়ে যেতে পারেনা।উন্নত গবেষনা,আধুনিক শিক্ষা সরঞ্জাম আর বর্তমান বিশ্বের সাথে মানানসই কারিকুলাম আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে চালু করা উচিত।এইসকল প্রতিষ্ঠাঙ্গুলোলতে এখনও মান্ধাতার আমলে বই পড়ানো হয়।এটা কখনই একটা জাতিকে উন্নতির পথ দেখাতে পারেনা।আমরা দেশকে ডিজিটালাইজেশনের জন্যে উঠে পড়ে লেগেছি কিন্তু মুল সমস্যা এড়িয়ে চলছি।এটা কাম্য নয়।

মন্ত্রীদের বেতন ভাতা কমিয়ে দেওয়া হোক।উনারা সেই টাকাটা দেশের এই খাতে ব্যয় করুক দেশের স্বার্থে।

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ৮:৩৬

পারভেজ আলম বলেছেন: দেশের শিক্ষা খাত, জ্বালানি খাত, এইরকম বহু খাতেই সরকার কয় ট্যাকা নাই, ট্যাকা নাই। কিন্তু ট্যাকা খুজলে অনেক জায়গা থেইকাই বের করা সম্ভব।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় দুনিয়ার ব্যাংক ব্যালান্সের হিসাব প্রকাশ হইছিল। ঐ টাকাগুলা গেল কই? হিসাব চাই।

৭৫| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ৯:১২

অক্টোপাস বলেছেন: সংহতি প্রকাশ করছি। শিক্ষাকে পণ্যে রুপান্তরের সব অপচেষ্টা সম্মিলিতভাবে রুখে দিতে হবে।


দুমুখো সরকারের মন্ত্রী-এমপিদের (+অন্যরাও) অবশ্যই ট্যাক্সের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। X( X(

৭৬| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ৯:১৩

মৃগয়া বলেছেন: শিক্ষা এমন এক্টা খাত যেখানে যত ইনভেস্ট তার বহুগুন রিটার্ন। আজকে যদি এইভাবে সব ভার্সিটি প্রাইভেটাইজেশন হয় এর প্রভাব আমরা দশ বিশ বছর পর টের পাবো। লোন করে মেট্রো রেল বানানো থেকে লোন করে শিক্ষাখাতে ইনভেস্ট করা বেশি উপকারি। আমরা অশিক্ষিত জাতি হলে বেনিয়াদেরই বেশি লাভ তাই তারা সবসময়ই চাইবে আমাদের কে পঙ্গু করতে।

হে স্বদেশ তোমার কুত্তা নেতাদের ঘটে মাল দাও। সিনায় জোর দাও আর চামচামির স্বভাব থেকে মু্ক্ত করো।

৭৭| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ৯:১৬

এমদেশ বলেছেন: ইতিমধ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি বলেছেন, এইসব আন্দোলন যুদ্ধাপরাধীরে বিচার বিঘ্নিত করা বা বানচাল করার জন্য করা হচ্ছে। ভিসি বর্তমান সরকারের মতই একই ধুয়া তুলেছেন। সরকারের অপকর্মের নিন্দা বা প্রতিবাদ করলেই সেটা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বিঘ্নিত করা হয়- এ কেমন কথা??!!
আন্দোলন, প্রতিবাদ করলে সেটা দৃঢ়তার সাথে করতে হবে। সরকার চেষ্টা করবে এ প্রতিবাদ স্তব্ধ করে দিতে। প্রায় ১০০ সফরসঙ্গী নিয়ে সম্পূর্ণ ফালতু বিদেশ সফরে গিয়ে জন্মদিন পালন ও ছেলে-মেয়ে-নাতনিদের সাথে সাক্ষাত করার জন্য যারা রাষ্ট্রের ১৫ কোটি টাকা উড়িয়ে দেয়- তারা বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে কখনোই ভাববে না।
দেখতে হবে কেউ যেন নিজেকে বিক্রি করে বা উৎকোচ নিয়ে এই আন্দোলন বানচাল না করে।

৭৮| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ৯:২১

আমজামকাঠাল বলেছেন: ক্লিক করুন

৭৯| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ৯:২৪

ShusthoChinta বলেছেন: ২৭/৪ ধারা সত্যিই যদি বাস্তবায়ন হয় মানে জগন্নাথকে যদি নিজের খরচে চলতে হয় তাহলে যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে তার ভয়াবহতা এখনো অনেকেই অনুধাবন করতে পারেনি। সত্যিই যদি ২০-৩০ হাজার টাকা সেমিস্টার ফি হয় তাহলে অধিকাংশ শিক্ষার্থিই তা বহন করতে পারবে না, তখন পরিস্থিতিটা কি দাঁড়াবে কল্পনা করতে পারেন? আমার ব্যাচের অনেক স্টুডেন্টের আর্থিক অবস্থা আমি জানি, ওরা ঘিন্জি মেসে পাঁচ ছয়শো টাকা সিট ভাড়া দিয়ে থাকে,মাসে খাওয়ার খরচ হাজার বারোশো,আর মাস হিসেবে কয়েকশো টাকা ভার্সিটির খরচ, মোট প্রায় আড়াই থেকে তিন হাজার টাকায় ওরা পড়াশোনা চালাচ্ছে। এই খরচটুকু চালাতেও অনেকে টিউশনি করে,আর এই ধরণের ছাত্রের সংখ্যা প্রচুর জগন্নাথে, তো এই ছাত্রগুলো কিভাবে কোথায় থেকে বিশ হাজার টাকা সেমিস্টার ফি যোগাবে কেউ বলতে পারেন? আরেকটা ব্যাপার হল, প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিগুলোতে সীমিত কিছু ভাল সাবজেক্টে পড়তে উচ্চহারে সেমিস্টার ফি আর টাকা দিয়ে সবাই ভর্তি হয়, কিন্তু জগন্নাথের মত পাবলিক ভার্সিটিতে তো ইসলামিক স্টাডিজ,ইসলামিক হিস্ট্রি,দর্শনের মত অনেক কম গুরুত্ত্বপূর্ণ সাবজেক্ট আছে, তো এগুলোতে এত বেশি সেমিস্টার ফি দিয়ে কে পড়বে বা পড়াটা কতটা যুক্তিযুক্ত?
আবার আমাদের যাদের সামর্থ আছে তারা কেন এত টাকা সেমিস্টার ফি দিয়ে সরকারি পাবলিক ইউনিতে পড়বো? এখন আমি যদি গিয়ে আমার বাবাকে বলি এখন থেকে প্রতি সেমিস্টারে ত্রিশ হাজার টাকা শুধু ভার্সিটিতেই দিতে হবে, তো উনি কি বলতে পারেন ধারণা করতে পারেন? নির্ঘাত বলবেন, তাহলে পাবলিক ইউনিতে ভর্তি হলি কেন,প্রাইভেটে ভর্তি হতি!
সরকার বোধহয় ধারণাও করতে পারছে না জগন্নাথ প্রাইভেট হয়ে গেলে পরিস্থিতি কি দাঁড়াতে পারে!

৮০| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ৯:২৯

অনিক আহসান বলেছেন: দুইদিন আগে নুরুল কবীরের(নিউ এজ) একটা কথা শুনলাম..
যে বাংলাদেশের সমস্ত সরকারি প্রাথামিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ব্ল্যাক বোর্ড আর চক ডাস্টারের বদলে হোয়াইট বোর্ড আর মার্কার বাধ্যতামুলক করা হচ্ছে ..
দেশে দুই -আড়াই লাখ প্রাইমারী স্কুল থাকলে মোট কত টাকার হোয়াইট বোর্ড আর মার্কারের পিছনে সরকার অনর্থক ব্যায় করবে তা সহজেই অনুমেয়.. এই সাপ্লাইয়ের ঠিকা হয়তো বড় কোন বিশিস্ট ব্যবসায়ী নেতা বা পাতি নেতা পাবে অথচ এই ধরনের দুই একটা অপচয় রোধ করলে সহজেই একটা বিশ্ব বিদ্যালয়ের সমস্যা সমাধান করা যায়...।

সোজা কথা..জগন্নাথ কে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসাবে মর্যাদা যেহেতু দিছেন পুরো মর্যাদাই দিতে হবে...কোন প্রকার কর্তিত মর্যাদা সম্পুর্ন অগ্রহনযোগ্য.. টাকা কোত্থেকে দিবেন তা দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রনালয় ও সরকারের সমস্যা..সমস্যা সমাধানের জন্যই জনগন আপনাদের নির্বাচত করছে।

পুনশ্চঃ প্রতিরক্ষা বাজেট বাড়ানো কমানো বিস্তারিত ও ভিন্ন আলোচনার বিষয়..এ প্রসঙ্গ এখানে টেনে আনলে এই ব্লগের মুল উদ্দেশ্যই হয়তো ব্যাহত হয়ে যাবে।

৮১| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ৯:২৯

ShusthoChinta বলেছেন: বাংলাদেশের মিডিয়াকে কে না চেনে! একটা জিনিসকে এই মিডিয়া হাইলাইট করলে সেটা নিয়েই পাবলিক নাচানাচি করে বেশি। ঐ দিনের প্রথম আলোর নিউজটাতে খুব ভালোভাবেই বলা হয়েছে, শুরুতে সাধারণ শিক্ষার্থিরা শান্তিপূর্ণ মিছিল ই করছিল কিন্তু যখন পুলিশ নির্বিচারে মারতে শুরু করলো উপরন্তু ছাত্রলীগ হামলা করলো সেই বিশৃংখ্যল পরিস্থিতিতে গাড়ি ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। এতবড় আন্দোলন আর এত বিশাল ছাত্রসমাবেশে কিছু কিছু উশৃংখ্যল ছাত্র থাকবেই,তারাই কাজটা করেছে,তাছাড়া ছাত্রলীগ ও তো করতে পারে।বেশ কয়েকদিন ধরে আন্দোলন চলছে,এর মধ্যে ঐ একদিন ই ঘটনাটা ঘটেছে,অবশ্য ই কাজটা ঠিক হযনি। এই বিচ্ছিন্ন ঘটনাটাকেই এত বড় করে দেখছেন অনেকে অথচ মূল বিষয়টাকে গুরুত্ত্ব ই দিচ্ছেন না!

৮২| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ৯:৩৬

আমজামকাঠাল বলেছেন: একজন সাধারন ছাত্রের কথা শুনতে ক্লিক করুন

৮৩| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১০:০০

লেখাজোকা শামীম বলেছেন: শুনলাম, কয় দিন পর পর পত্রিকায় লেখে বাংলাদেশে অতো সাল নাগাদ মধ্য আয়ের দেশে পরিণত হচ্ছে । মধ্য আয়ের দেশে পরিণত হয়ে লাভ কী যদি পুলাপান বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তুকি না পায় ?
আপনার লেখায় আরেকটা কথা আসে নাই। শিক্ষাখাতে মেগা সিরিয়াল দুর্নীতি বন্ধ করলে বা আলীগ বিম্পির মেগা সিরিয়াল দুর্নীতি বন্ধ করলে এই রকম কত কত ইউনিভার্সিটির খরচ দেয়ার টাকার অভাব হইত না।
শিক্ষা খাতের মেগা সিরিয়াল দুর্নীতি বন্ধ করার দাবি তোলেন আগে।আর যারা দুর্নীতি কইরা মাল কামাইছে তাগো মালামাল বাজেয়াপ্ত কইরা ভার্সিটির ফান্ডে দিতে কন। ট্যাকারে ট্যাকা। ট্যাকার কোন অভাব নাই। মানি ইজ নো প্রোব্লেম।

৮৪| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১০:০১

স্বার্থত্তা বলেছেন: সফল হোক আন্দোলন। :)

৮৫| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১০:০৯

ShusthoChinta বলেছেন: ব্লগারদের তেমন সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না! ভিকারুন্নেসার ঘটনা নিয়ে যেমন সাড়া পাওয়া গিয়েছিল তা ছিল অভূতপূর্ব, অথচ ঐ ব্যক্তিগত ঘটনাটার চেয়ে এই বিষয়টা অনেক বেশি গুরুত্ত্বপূর্ণ! কারণটা কি?

৮৬| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১০:৩৯

মো আব্দুল করিম বলেছেন:
সেই আন্দোলন করতে গিয়াও দোষ, আওয়ামী সরকারের ব্যাপক ব্যাকাপে নয়া শীর্ষ সন্ত্রাসী পেটোয়া পুলিশ বাহিনী আর সদা কামোত্তেজিত সোনার ছাওয়ালদের সংগঠন ছাত্রলীগের হাতে লাত্থিগুতা খাইতে হয়, ন্যায্য দাবি চাইতে গিয়া জেলে আটক থাকতে হয়, শিবির ট্যাগ খাইতে হয়।

ছাত্র জীবনে ন্যায্য অধিকার আদায়ের জন্য দু’চারটা আন্দোলনে আমিও অংশ নিয়েছি। কিন্তু তখন জামাত-শিবির ট্যাগ খেতে হয়নি। আজ সময় বদলে গেছে। বর্তমান সরকারের পেটুয়া বাহিনী পুলিশ আর ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগ নামের মানুষরূপী কিছু জানোয়ার-পশু তাদের সাথে ভিন্নমত পোষণকারীদের এসব ট্যাগ পরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। অথচ জামাতের সাথে তাদেরই সবচেয়ে ঘনিষ্ট সখ্যতা ছিল যা বাংলার মানুষ প্রত্যক্ষ করে ১৯৯৪-১৯৯৬ সালে। কি বলব, সময় বদলে গেছে। নীতিহীন চরিত্রহীন আওয়ামী লীগের বর্তমানে একমত পোষণ না করায় বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীকেও তারা ‘রাজাকার’ উপাধি দেয়। আর আমরা তো সে তুলনায় কিছুই না। একটি স্বাধীন দেশে এই অবস্থা দেখতে ও এসব গালি শুনতে হয়। আল্লাহ তায়ালাই জানেন এসব থেকে উদ্ধার হব কবে।
আপনারা আন্দোলন চালিয়ে যান। সাথে আছি।

৮৭| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১০:৩৯

রাজর্ষী বলেছেন: সমর্থন দিলাম

৮৮| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১০:৪৯

সাইফুল১০১৩ বলেছেন: vaira amago netader polapan ai dese leha pora korena, tai hego batam na dele aandolon successfull hobena.

৮৯| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১০:৪৯

োমসতাক বলেছেন: প্রথমেই শিবির, লীগ আর দলের পোলাপান গো কানের লতির নিচে থাবরাইয়া ক্যাম্পাস ছাড়া করেন। পড়ে ভি.সি.র কার্যালয়ে তালা লাগান। এর পর স্থানীয় এম.পি.র কার্যালয়ের সামনে অবস্থান ধর্মঘট করেন। তার পর ইংলিশ রোডের এই পাশ থেকে রাস্তা অবরোধ করেন। তারপর স্থানীয় থানায় ঘিরে প্রথমে গ্রেফতারকৃত ছাত্রদের মুক্ত করেন।

তারপর মুল দাবী আদায়ের জন্য আশে পাশের যত কলেজ/বিশ্ববিদ্যালয় আছে তাদের নিয়ে পুরান ঢাকা অবোরোধ করেন। এর মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারন ছাত্রদের আন্দোলন শরীক হতে আহবান করেন। সাথে সাথে তেজগা কলেজ, সিটি কলেজ। সিদ্ধেশরী কলেজ। হাবিবুল্লাহ বাহার বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের সাথে লিয়াজো করেন। এরপর মিরপুর বাংলা কলেজের সাতে যোগা যোগ করেন। তারা এমনিতেই তাইতা আছে গনপিটুনী তাদের ভাই মারা যাওয়ার জন্য। মিরপুর বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের ছাত্ররা খুবই সচেতন অবশ্যই তারা আপনাদের সাথে একত্বতা প্রকাশ করবে। তারপর সবাইকে নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রীর বাসভবন ঘেরাও করে বসে থাকুন, আপনাদের ন্যায় সংগত দাবী হবেই। কিন্ত্তু মনে রাখবেন শত উসকানিতেও ভায়োলেন্স এ জড়াবেন না। আপনাদের আন্দোলন সফল হোক এই কামনায়

৯০| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১১:৩২

িরয়াজ েমাহাম্মদ শািকল বলেছেন: সংহতি প্রকাশ করছি আন্দোলনের সাথে। আশা রাখছি থাকবো।

৯১| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১১:৫৯

সমুদ্র বিলাস বলেছেন: সাথে আছি এবং থাকব......

জনসাধারণের সামনে যে কোন অত্যাচারী কিছুই না তা আরেকবার দেখিয়ে দিল জগন্নাথের সাধারণ ছাত্ররা!!
গতকাল দুপুরে জগন্নাথের খবর জানতে এক ছাত্রকে ফোন দিলাম। বলল...
সাধারণ ছাত্রদের পুলিশ বাধা দিলে পুলিশকেই নাকি উলটো ধাওয়া করে ভিক্টোরিয়া পার্ক নিয়ে গেছে ছাত্ররা!!
তো আমি জিজ্ঞেশ করলাম, "ছাত্রলীগ কোথায় ছিল?" বলল পরশু থেকে নাকি তারা চরম নমনীয় হয়ে গেছে! তাদের কোন কথাই নাকি ছাত্ররা শুনছে না! তার উপর যখন তারা ছাত্রদের সাথে আলোচনা আসে, তখন ছাত্ররা বলে, "শিক্ষামন্ত্রীকে আসতে বলেন!"
সাধারণ ছাত্রদের তুলনায় ছাত্রলীগ কর্মী এতই কম ছিল যে ছাত্রলীগের বড় বড় নেতাদের সাধারণ ছাত্ররা ধমক দিয়ে কথা বলেছে! অথচ কেউ কিছু বলার সাহস পায়নি!! ছাত্রলীগ নেতারা নাকি আলোচনার জন্য আন্দোলনকারী নেতাকে খুঁজছিলেন, কিন্তু ৭-৮ হাজার ছাত্র স্ব উদ্যোগে নিজের অধিকার আদায়ের জন্য নেমেছে, সেহেতু কাউকে নেতা হিসাবে পাওয়া জায়নি!
খুব মজা লাগল শুনে! যেই ছাত্রলীগ সাধারণ ছাত্রদের মুখের পা দিয়ে অত্যাচার করেছিল তাদের নাকি ক্যাম্পাসে বিড়ালের মত লেগেছে!!
এই ঘটনা শুনে আমার উপলব্ধি হল, মানুষ যদি স্ব উদ্যোগে তাদের অধিকার আদায়ে আন্দলনে নামে, তখন কোন শক্তি নেই তাদের আটকানোর!! রাজনীতিবিদদের তো তখন বেলই থাকবে না!!
জনগনই সকল ক্ষমতার উৎস! তবে সেই জনগন কবে জেগে উঠবে? সেই অপেক্ষাতেই রইলাম.............................

ফেসবুক থেকে সংগৃহিত
ভাল লাগল, তাই শেয়ার করলাম.......

৯২| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১২:২০

কাউসার রুশো বলেছেন: পূর্ণ সমর্থন থাকলো,
চেষ্টা করবো উপস্থিত থাকতে।

৯৩| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১২:২২

সরোজ মেহেদী বলেছেন: আমরা জবির সাধারণ শিক্ষার্থীরা ভয়কে জয় করে শাহবাগের জাদুঘরের সামনে,আপনি কোথায়? শুক্রবার বেলা চারটায় চলে আসুন আপনিও...

৯৪| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১২:২৮

আমি মাতাল বলেছেন: ShusthoChinta বলেছেন: ব্লগারদের তেমন সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না! ভিকারুন্নেসার ঘটনা নিয়ে যেমন সাড়া পাওয়া গিয়েছিল তা ছিল অভূতপূর্ব, অথচ ঐ ব্যক্তিগত ঘটনাটার চেয়ে এই বিষয়টা অনেক বেশি গুরুত্ত্বপূর্ণ! কারণটা কি?
: কারন কিছুই না, জগুতে পড়া পোলাপাইন, নাঙ্গা ভুখা কষ্টে খেটে খাওয়া ফ্রামিলি থেইকা আসা, তাগো লইয়া চিন্তা করার সময় কৈ? ভিকি হইতাছে নামি দামি ব্যপার স্যাপার! আর আছে মাইয়াদের ইস্যু। তাছাড়া "হিন্দু মুসলমান" বিষয়টা হট আইটেম ছিল! বুঝতে পারছেন?


পোস্টে +++

৯৫| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১:১০

দিনমজুর বলেছেন: দারুণ গুরুত্বপূর্ণ এই পোষ্টটির জন্য পারভেজ আলমকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

“জাতীয় পর্যায়ে উচ্চশিক্ষা, গবেষণা, আধুনিক জ্ঞানচর্চা ও পঠন-পাঠনের সুযোগ সৃষ্টি ও সম্প্রসারণ” এর “মহান” উদ্দেশ্যে ২০০৫ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর যে “জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আইন” এর মাধ্যমে কলেজ সরকারি জগন্নাথ কলেজ ক্যাম্পাসেই একটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের আশ্বাস প্রদান করা হয়, তার আর্টিক্যাল ৫ এ “ধর্ম, বর্ণ, গোত্র, জন্মস্থান এবং শ্রেণীর কারণে কাহারও প্রতি কোন বৈষম্য করা যাইবে না” বলিয়া হলফ করা হইলেও ঐ আইনেরই আর্টিক্যাল ২৭(৪) এ বলা হয়: “বিশ্ববিদ্যালয় প্রকল্প বাস্তবায়িত হইবার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের পৌনঃপুনিক ব্যয় যোগানে সরকার কর্তৃক প্রদেয় অর্থ ক্রমান্বয়ে হ্রাস পাইবে এবং পঞ্চম বত্সর হইতে উক্ত ব্যয়ের শতভাগ অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব আয় ও উত্স হইতে বহন করিতে হইবে৷”- আহারে শ্রেণী-বৈষম্য মুক্ত শিক্ষা!

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০০৫

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০০৬ এও একই ভাবে আর্টিক্যাল ২৭(৩) বলা আছে:
বিশ্ববিদ্যালয় প্রকল্প বাস্তবায়িত হইবার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের পৌনঃপুনিক ব্যয় যোগানে সরকার কর্তৃক প্রদেয় অর্থ ক্রমান্বয়ে হ্রাস পাইবে এবং দশম বত্সর হইতে উক্ত ব্যয়ের শতভাগ অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব আয় ও উত্স হইতে বহন করিতে হইবে৷

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০০৬

হুবহু একই ভাষায় একই কথা বলা হয়েছে “জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০০৬” এর আর্টিক্যাল ২৭(৩)এ।
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০০৬

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:২১

পারভেজ আলম বলেছেন: গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য এবং লিংকগুলার জন্যে আপনারে অসংখ্য ধন্যবাদ দিনমজুর ভাই।

৯৬| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১:১১

দিনমজুর বলেছেন: বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করলেই যে আন্দোলন শেষ হয়না, এই শিক্ষা সামরিক-গণতান্ত্রিক কোন স্বৈরাচারেরই কোন কালে হয়না। এদেরকে বারবার তাই শিক্ষা দিতে হয়। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও তাই দেয়ার সমস্ত আলামত দেখিয়ে দিয়েছেন-যত দিন পর্যন্ত এই বেসরকারি করণের কালো আইন বাতিল না হচ্ছে, এই আন্দোলন চলবে, জগন্নাথ থেকে কুমিল্লা, কুমিল্লা থেকে কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে ছড়িয়ে পড়ুক এই আন্দোলন। আসুন আগামী কাল বিকাল ৪টায় জাতীয় জাদুঘরের সামনে শিক্ষা বেসরকারি করণ ও বাণিজ্যিকীকরণের এই আয়োজনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাই, সংহতি জ্ঞাপন করি জবি'র লড়াকু বন্ধুদের সাথে।

৯৭| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১:২৬

অতি নগন্য বলেছেন: আসেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ন্যাজ্য আন্দোলনে সংহতি জানাই

রুখতে না পারলে ধীরে ধীরে সবাই আক্রান্ত হবেন

দাতা গোষ্ঠী আমাদের অন্য কাজের জন্য কোটি কোটি টাকা দেবে কিন্তু মানুষ হওয়ার জন্য টাকা খরচ করতে দেবে না।

৯৮| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১:২৮

বাদ দেন বলেছেন: স্টিকি হওয়ায় মডু দের ধন্যবাদ

৯৯| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১:৩৮

সুমনদেশ বলেছেন: ShusthoChinta বলেছেন: ব্লগারদের তেমন সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না! ভিকারুন্নেসার ঘটনা নিয়ে যেমন সাড়া পাওয়া গিয়েছিল তা ছিল অভূতপূর্ব, অথচ ঐ ব্যক্তিগত ঘটনাটার চেয়ে এই বিষয়টা অনেক বেশি গুরুত্ত্বপূর্ণ! কারণটা কি?
------------------------------------------------------------------------------
ঐ জঘন্য ঘটনাটার এটার তুলনা করা মূর্খতা। এসব মন্তব্য অত্যন্ত আপত্তিকর। এগুলো অসুস্থ চিন্তার প্রকাশ। ভিকারুন্নেসার ঘটনা গুরুত্বপূর্ণ ছিল বলেই সবার মাঝে ব্যাপক সাড়া পা্ওয়া গিয়েছিল। জগন্নাথের আন্দোলনের প্রসঙ্গে অন্য বিষয় টেনে আনা কেন? কে বললো, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে ব্লগারদের তেমন সাড়া পা্ওয়া যাচ্ছে না?

১০০| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ২:১১

ইরফানুলহক বলেছেন: মোডলের নোংডা হাত ভেঙ্গে দাউ.।.।।।

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:০১

পারভেজ আলম বলেছেন: গুডিয়ে দাউ।

১০১| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ২:৫১

বাকী বিল্লাহ বলেছেন: সাথে আছি...

১০২| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ২:৫৬

তানজিল মাহমুদ শাহ বলেছেন: Click This Link

Click This Link

Click This Link

Click This Link

১০৩| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ৩:০০

বৃষ্টি ভেজা সকাল ১১ বলেছেন: পোষ্টে সহমত এবং শুভকামনা

১০৪| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ৩:০৬

তানজিল মাহমুদ শাহ বলেছেন: এহহে। দুইবার পোস্ট হয়ে গেল। মুছে দিয়েন।
আমাদের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে গত বছর যে বেতন বৃদ্ধির আন্দলন হইসিল সেটার সাথে এটা বেশ সম্পর্কিত। ঐ বিশ্বব্যাঙকের শিক্ষা বিষয়ক কৌশলপত্রের ফলাফল।
একটা সমস্যা হইল, এই আন্দোলন শেষ পর্যন্ত শুধু মাত্র নিজের পকেট বাঁচানোর আন্দোলন হয়ে দাঁড়ায়। ভালর মধ্যে, কিছুটা সচেতনতা তৈরী হয়। ছাত্র শিক্ষক উভয়ের মধ্যে এ সুযগে কিছু জানা বোঝা... হয়ে যাওয়া উচিত। কেন সরকারকে এই টাকা দিতে হবে সেটা পরিষ্কার হয়ে যা্ওয়া দরকার। আর আন্দোলনে যোগদানে একদম প্রথমে নিজ নিজ বাসায় ইতিবাচকতা, সহমত তৈরী করতেই হবে।

১০৫| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ৩:১৩

তানজিল মাহমুদ শাহ বলেছেন: আমাদের আন্দোলনে এক মাসের জন্য ক্যাম্পাস বন্ধ করে দেয়া হলে, বাড়ি যাদের যেতে হয়েছিল তারা ছাড়া বাকিরা চট্টগ্রাম শহরে বিভিন্ন কর্মসূচি, প্রেস কনফারেন্স নিয়মিত করি। জগন্নাথেও এই বন্ধ জুড়ে আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে।

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:০৩

পারভেজ আলম বলেছেন: সেটাই। এই ধরণের কাজকর্ম যে মোটেই মেনে নেয়া হবে না সেইটা বুঝায়া দিতে হবে।

১০৬| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ ভোর ৬:৫৩

উপপাদ্য বলেছেন: বাংলাদেশের সামরিক বাহিনী ২০১০ সালে যেই বরাদ্দ পাইছে ৩০৬টা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেটের সমান। সামরিক খাতে মাত্র ১ শতাংশ খরচ কমাইলে তা দিয়া ৩টা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় পালা সম্ভব সরকারের পক্ষে।

মাননীয় মডারেটর, মন্তব্য করতে চাইনি তবুও করলাম।

বাংলাদেশে এক প্রকার সামাজিক জিব আছে যাদের চুলকানী রোগ হয় সিজনে দুই তিনবার। ধরেন, এই জিবগুলোর একজনের পেট ব্যাথা করছে। তিনি গেলেন ডাক্টারের কাছে গিয়ে দেখলেন, ডাক্তার তার প্রাইভেট চেম্বারে চলে গেছে তখনই তাদের মনে হবে সরকারের উচিত সামরিক খাতে ব্যায় কমিয়ে স্বাস্থ খাতে ব্যায় বাড়ানো, তো এরপর তিনি হাসপাতাল থেকে বের হয়ে যাবেন শাহ বাগের দিকে আড্ডাইতে তখন দেখেন বাসে প্রচন্ড ভীড়, এ ভীড় ঠেলে তার জন্য বাসে উঠা সম্ভব না এই পেঠে ব্যাথা নিয়ে তখন তার আবারো মনে পড়বে সামরিক খাতে ব্যায় কমিয়ে পরিবহন খাতে ব্যায় বাড়ালে একটু আরাম করে শাহবাগের আড্ডাতে যাওয়া যেতো। তারপর তিনি অগত্যা বাসে উঠতে না পেরে একটা রিক্সা নিলেন রিক্সাওয়ালার ধীর গতিতে চলা দেখে আড্ডাটা মিস হয়ে যায় কিনা ভেবে তিনি একটা ধমক দিবেন আর মনে মনে বলবেন সামরিক খাতে ব্যায় কমিয়ে এসব রিক্সাওয়ালাদের পূনর্বাসন করা দরকার। সরকার কেনো যে সামরিক খাতে টাকা খরচ করে?? শাহবাগে আসার পর শুনতে পেলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা একটা ন্যায্য দাবী আদায়ের জন্য আন্দোলন করছে এতে পুলিশ ও ছাত্রলীগ প্রকাশ্যে এইসব আন্দোলনকারীদের মারধর করছে। তখন আরো কিছু আঁতেল সহ মিলে একটা অদ্ভুত চিন্তার প্রসব করলেন যে ব্লগে যেয়ে দু লাইন লিখতে হবে আর সেনাবাহীনীর বিরোদ্ধে এক লাইন থাকতে হবে। যে সরকার সামরিক খাতে যে বরাদ্ধ দিয়েছে ২০১০সালে তা দিয়ে ৩০০টা জবি চালানো সম্ভব।

ভাইয়েরা এটা কোন কথা হলো। ছাত্রদের ন্যায্য আন্দোলনের সাথে দেশপ্রেমিক সামরিক বাহীনিকে নেগেটিভ ভাবে জড়ানো কি আমাদের ঠিক?

অতএব মাননীয় মডারেটর, আপনার কাছে সবিনয় অনুরুধ এইযে এক মহৎ আন্দোলন নিয়ে যে পোস্ট খানা স্টিকি করেছেন তা নামিয়ে দিয়ে বাংলাদেশের দেশপ্রেমিক সেনাবাহীনির প্রতি বিদ্ধেষ ছড়ানো থেকে নিজেদের দূরে রাখুন। কারনে অকারনে সেনাবাহীনীকে সব জায়গাতে জড়িয়ে সত্য ও মিথ্যার আশ্রয়ে গল্প লিখে সেনাবাহীনী বিরোধী মনোভাব জাগিয়ে দেশটাকে অকার্যকর আর ব্যার্থ বানানোর প্রয়াস বন্ধ করা উচিত। আর মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে যে সেনাবাহীনির জন্ম সেই বাহীনির প্রয়োজন নেই বলার অধিকার বাংলাদেশের দেশপ্রেমিক মানুষ কখনোই সহ্য করবেন না।

তাই পরোক্ষভাবে সেনাবাহীনির বিরোদ্ধে লেখা এই পোস্ট খানা সড়িয়ে ফেলার জন্য অনুরোধ করছি অথবা লেখককে বলুন সেনাবাহীনি বিরোধী বাক্যগুলো মুছে ফেলতে।

জবি ছাত্রদের অধিকার আদায়ের আন্দোলনে পূর্ন সংহতি প্রকাশ পূর্বক একথাও বলে রাখি সেনাবাহীনির বিরোদ্ধে ঢাবিতে ২১/২২ অগাস্টের আন্দোলনের একজন গর্বিত অংশগ্রহনকারী আমি।

ধন্যবাদ

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:০৯

পারভেজ আলম বলেছেন: কিন্তু সামাজিক স্বার্থে সেনাবাহিনীর বরাদ্দ নিয়া সামান্য কথা কইলেও যাগো গায়ে ফোসকা পরে তারা কেমনতর অসামাজিক জন্তু? সামাজিক জীব তো ভাল জিনিস, সমাজে থাকে, সমাজের লাইগা কথা কয়। সমস্যা তো অসামাজিক জন্তুদের নিয়া।

১০৭| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ৮:০৩

হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা বলেছেন: আন্দোলন ও দাবীর সঙ্গে সহমত ।

কিন্তু এটা মনে হয় ভুলে যান নি, জগন্নাথের আইন পাশ হয় বিগত চার দলীয় সরকার আমলে। তখন বিশিষ্ট জ্ঞানপাপী রা কোথায় ছিলেন? তখন কেন এই ধারার কুফল নিয়ে ছাত্রদের সঙ্গে আলোচনা করেন নি?

সামরিক বাহিনী সমর্থিত সরকারের দোষারোপ করছেন কেন?
সামরিক বাহিনী সমর্থিত সরকার কোন দোষ করেনি। সেই সরকার কারও ম্যান্ডেট নিয়ে ক্ষমতায় আসেনি অথবা বাস্তবায়ন করতে আসেনি। বেজন্মা রাজনীতিবিদদের কার্যকলাপের কারণে সামরিক সমর্থিত সরকার ক্ষমতায় এসেছে।
দোষ যদি করে থাকে তবে তা করেছে, আমার আপনার ভোটে নির্বাচিত, আমাদের প্রতিনিয়ত ধর্ষণ করে যাওয়া রাজনৈতিক দল তথা সরকার গুলো।

২০০৭-২০০৮ আমলে তথাকথিত গণতন্ত্রের লেবাসধারী ছাত্র সংগঠন ও তাদের কর্মী গুলো (যারা ৫ বছর মেয়াদে দেশের সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিজেদের খেলার ময়দান মনে করে, পিতৃ প্রদত্ত সম্পদ মনে করে) বিচারের ভয়ে রাস্তার নেড়ি কুকুরের মত ঝোপ জঙ্গলে ভয়ে পালিয়ে ছিল, কোনরূপ শক্তির মহড়া প্রদর্শন করতে পারেনি তারাই কেবল তত্ত্বাবধায়ক সরকারের শাসনকালকে দোষারোপ করতে থাকে।
সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা তাদের শিক্ষাজীবনে ২ টা বছর বেঁচে যাওয়াতে আজীবন সেই শাশন আমলকে প্রাণভরে স্মরণ করে যাবে।

সুতরাং, জগবি এর আন্দোলনের মূল সুরের সঙ্গে বিশ্বব্যাংক, ১/১১ সরকারের ম্যান্ডেট নিয়ে যোগসূত্র খুঁজে পাবার কোন কারণ আছে বলে মনে করিনা।

ধন্যবাদ।

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:১৮

পারভেজ আলম বলেছেন: বিশিষ্ট জ্ঞানপাপী বলতে কাদের কথা বলতাছেন জানিনা। তবে আপনের হয়তো জানা নাই যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্ণ বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ার সময়েই এই আইন নিয়া অনেকেই আপত্তি জানাইছেন। একিভাবে সেই ২০০৬ সালেই বিশ্বব্যাংকের ফর্মুলার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হইছে। ঘটনা হইল যে তখন দেশের বেশিরভাগ সচেতন জনগন এই বিষয়ে অসচেতন থাকাটাই শ্রেয় মনে কইরা আসছেন, পেপার পত্রিকায় এইসব আপত্তি বিশেষ গুরুত্বও পায় নাই। এখন জগন্নাথের পোলাপাইন খেইপা যাওয়ায় সইবা নইড়া চইড়া বসছেন, পেপার পত্রিকায় খবর আসতাছে। এই হইল বাংলাদেশ, গোলমাল ভায়লেন্স না হইলে কেউ উচিৎ কথা কইলেও দাম পায়না।

১/১১ সরকারের ম্যান্ডেট নিয়া এইখানে কিছু বলা হয় নাই, ঐ সরকারের আমলে ঘটনাটা ঘটছিল, গনতান্ত্রিক সরকার থাকলে তারাও হয়তো একি কাজ করতো। বিশ্বব্যাংকএর যোগসূত্র কেন খুজে পাচ্ছেন না ব্যখ্যা করবেন কি? উপরে দিনমজুর আর তানজিল মাহবুব শাহ এর মন্তব্য গুলা একটু পড়েন, আশা করি বিষয়টা পরিস্কার হবে।

১০৮| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ১১:২৩

এম আর ইকবাল বলেছেন: আমার খুব জানতে ইচ্ছা করছে, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা পড়ালেখা করে তাদের খরচ কেমন ? পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভত্তি হওযার জন্য তারা কোচিং করার জন্য যে অর্থ ব্যায় করে তার চেয়ে কত বেশী ।

১০৯| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ১১:২৫

বৈকুন্ঠ বলেছেন: একটা স্বাধীন রাস্ট্রের নাগরিক হিসাবে প্রত্যেকের যা মৌলিক প্রাপ্য, আমরা যারে ৫ টা মৌলিক অধিকার হিসাবে জানি - অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা - এর মইধ্যে শিক্ষার গুরুত্ব অনেক অনেক বেশি। আমার মনে হয় বিগত ২০ কি ৩০ বছরে বাংলাদেশের ইস্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়গুলাতে শিক্ষার মান খালি নীচু থেইকা নীচুতর হৈসে। শিক্ষা ব্যাবস্থার চেহারাও বদলাইসে ব্যাপকভাবে। কিন্তু এইটা আলাদা টপিক।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন পূঁজিবাদের গিনিপিগ হৈব? এর ছাত্ররা কেন বৈষম্যের শিকার হৈব? এর ছাত্ররা কেন মৌলিক অধিকার "শিক্ষা" থেইকা বন্চিত হওয়ার রিস্ক নিব????

দেশে হাজারো খাতে হাজার কোটি টাকা অপচয় রোধ কৈরা শিক্ষা আর কর্মসংস্থান খাতেরে কি চাংগা কৈরা তুলন যায়না???? বর্তমান সরকারের অকর্মন্য, অসৎ, পূঁজিবাদ আর সাম্রাজ্যবাদের দালাল কুত্তারবাচ্চা মন্ত্রিগুলার যে কোন একটারে হাতের কাসে পাইলে গলায় পারা দিয়া জিগাইতাম কথা কয়টা

শোষক বিশ্বব্যাংক আর তার দেশী দোষরদের কালো হাত ভেংগে দাও, গুঁড়িয়ে দাও !!!!!!!!!

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:১৯

পারভেজ আলম বলেছেন: শোষক বিশ্বব্যাংক আর তার দেশী দোষরদের কালো হাত ভেংগে দাও, গুঁড়িয়ে দাও !!!!!!!!!

১১০| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:০১

বিড়াল বলেছেন: আন্দলনের সাথে আছি।

১১১| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:২২

রাগিব আমি বলেছেন: @উপপাদ্যঃ আপনার ভাষাতেই বলতে হচ্ছে-
বাংলাদেশে এক প্রকার সামাজিক জীব আছে যাদের চুলকানী রোগ হয় সিজনে বহুবার । যেহেতু সারা বছরই সেনাবাহিনীকে বহু অন্যায্য সুযোগ সুবিধা দেওয়া হয় এবং সমাজের অনেক সচেতন মানুষ এর বিরোধিতা করে , তখন তাদের গা চুলকায় ।
যখন রূপগঞ্জে সেনাবাহিনী সাধারনের জমি দখল করে নিজেদের জন্য প্লট বানায় তখন মানুষের আন্দোলনে তাদের গা চুলকায় ।
যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তারা ছাত্র নির্যাতন করে তখন তাদের গা চুলকায় ।
স্বাধীনতার পরে যখন গুটিকয়েক কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের বদলে শতাধিক ক্যান্টনমেন্ট তৈরি হই এবং তার বিরুদ্ধে কথা হয় তখন তাদের গা চুলকাই ।
বই খাতা ও শিক্ষা উপকরনের বদলে কোটি কোটি টাকা খরচে অস্ত্র কেনার বিরুদ্ধে যখন আন্দোলন হয় তখন তাদের গা চুলকায় ।

এ চুলকানীর ওষুধ শিক্ষা । আর এ শিক্ষার উপর যে কোন আক্রমন ছাত্ররা রুখে দেবে ।

১১২| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:৪২

রাগিব আমি বলেছেন: *সংশোধন-- যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তারা ছাত্র নির্যাতন করে আর সারা দেশে আন্দোলন হয় তখন তাদের গা চুলকায় ।

১১৩| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ১:৫৩

ধুসরিত বলেছেন: এরা দেশের শিক্ষিত ভবিষ্যৎ হবে?? তাদের আন্দোলনের সাথে আছি কিন্তু এভাবে ভাংচুরকে আমি সমর্থন করি না। শিক্ষিত হয়ে অশিক্ষিতর মত আন্দোলন করা মানায় না।

১১৪| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:০৭

বেঙ্গল মাসুদ বলেছেন: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান আন্দোলনে পুর্ন সমর্থন জানিয়ে আমার এই ক্ষুদ্র কর্ম। ছড়িয়ে দিন সবার মাঝে...ভেঙ্গে দিন ক্ষমতাসীন নিপীড়কদের দম্ভ...আদায় করে নিন অধিকার।

১১৫| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:৪০

সািকল খান বলেছেন: ধন্যবাদ
উপস্থিত হইতে পারলে ভালো লাগতো
সেনাবাহিনীকে শুধুমাত্র হাতে রাখতেই বরাদ্দ বেশী বেশী

১১৬| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:৪৩

বাঙ্গাল বলেছেন: বুয়েটের ১ বছরের ব্যয় কত? সাবেক ভিসি স্যারের কাছে শুঞ্ছিলাম ২৬ কোটি। এখন ধরেন ৫০ কোটি। নন-টেকনিকাল ভার্সিটির ব্যয় আরো কম। বছরে ১০০০জন গ্রাজুয়েট বানাইতে মাত্র ৫০ কোটি টাকা বাজেট- এইটা বাইরের কোন ভার্সিটি শুনলে হাস্তে হাস্তে গড়াগড়ি খাবে।

আমাগো প্রধানমন্ত্রী শুধু জিয়ার নাম এয়ারপোর্ট থিকা খসাইতে হাজার কোটি খরচ করেন। নুতুন একটা এয়ারপোর্ট তৈরিতে সহস্র কোটির বাজেট দেন। 2007সালে হাসিনার মিগ ২৯ বিমানে মোট দূর্নীতির (সরকারী লস) পরিমান ছিল ৫১১ কোটি টাকা। খালেদার ফ্রিগেটেও একি রকম দূর্নীতি হোইছে। হচ্ছে। হবে।

১১৭| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:৫৮

সন্যাসী বলেছেন: সন্ধ্যায় পোস্টে আন্দোলনের আপডেট দিয়েন।

১১৮| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ বিকাল ৩:০৮

রাইজ বলেছেন: শোষক বিশ্বব্যাংক আর তার দেশী দোষরদের কালো হাত ভেংগে দাও, গুঁড়িয়ে দাও !!!

১১৯| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ বিকাল ৩:১৪

কালমেঘ বলেছেন: পোস্ট স্টিকি হোক.।।।

১২০| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ বিকাল ৩:১৫

রাগিব আমি বলেছেন: উপপাদ্য বলেছেন, "জবি ছাত্রদের অধিকার আদায়ের আন্দোলনে পূর্ন সংহতি প্রকাশ পূর্বক একথাও বলে রাখি সেনাবাহীনির বিরোদ্ধে ঢাবিতে ২১/২২ অগাস্টের আন্দোলনের একজন গর্বিত অংশগ্রহনকারী আমি।"

আমাদের গ্রামে এক পেশাদার চোর ছিল। সে যে চোর তা সবাই জানার আগে, গ্রামে কোন চুরি হলে পরদিনই তাকে হাটে বলতে দেখা যেত "হায়, হায়, এইটা ক্যামনে হইল? চোরে ঢুকল কেমনে? আমি তো রাইতে পাহারা দিতেছিলাম...."

মানুষ এতই বোকা; যে যা বলবে তা বিশ্বাস করে বসে থাকবে??!! তার আগের কথাগুলোতেই তো সে আসলে কে, কার দালাল তা স্পষ্ট বোঝা যায়।

১২১| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ বিকাল ৪:৫৯

নষ্ট ছেলে বলেছেন: জিয়া বিমান বন্দরের নাম পরিবর্তন করছে বর্তমান সরকার খরচ করেছে প্রায় ১২০০ কোটি টাকা। শুনতেছি বিএনপি ক্ষমতায় আসলে নাকি তারাও আবার নাম পরিবর্তন করে জিয়া রাখা হবে, তখনও হয়তো খরচ হবে ১২০০ কোটি টাকা(বেশি হতে পারে কিন্তু কম হবে না নিশ্চিত)।
১২০০+১২০০=২৪০০ কোটি টাকা।

২০১১-২০১২ অর্থবছরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেট প্রায় ৩০ কোটি টাকা।

২৪০০/৩০= ৮০ বছর!

১২২| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ বিকাল ৫:০৬

চির সবুজ ২৫ বলেছেন: জগন্নাথের শিক্ষার্থীদের সমাবেশে বাধা, আটক


Fri, Sep 30th, 2011 4:06 pm BdST
Dial 2000 from your GP mobile for latest news
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, সেপ্টেম্বর ৩০ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- নিজেদের আয়ে চলা সংক্রান্ত আইন সংশোধনসহ তিন দফা দাবিতে শাহবাগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সমাবেশ ভণ্ডুল করে দিয়েছে পুলিশ। আটক করা হয়েছে ২২ জনকে।

পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী পুরান ঢাকার এ বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সমাবেশ ছিলো শুক্রবার বিকাল ৪টায় শাহবাগে।

কিন্তু সমাবেশস্থল জাতীয় জাদুঘরের সামনে সাড়ে ৩টা থেকে শিক্ষার্থীরা জড়ো হওয়া মাত্রই তাদের আটক করে ভ্যানে তুলতে শুরু করে পুলিশ। ২০ মিনিটে ২২ জনকে পুলিশ ভ্যানে তুলতে দেখা যায়।

এ বিষয়ে শাহবাগ থানার ওসি রেজাউল করিম সাংবাদিকদের বলেন, "এখানে সমাবেশের কোনো অনুমতি নেওয়া হয়নি।"

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের তাদের ক্যাম্পাসে কর্মসূচি পালনের পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

গত রোববার থেকে আন্দোলনের মুখে বুধবার এ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় পূজার ছুটি ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। এরপর বৃহস্পতিবার আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করে।

শিক্ষার্থীরা ২০০৫ সালে প্রতিষ্ঠিত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আইনের ২৭(৪) ধারা বাতিলের দাবি জানাচ্ছে। এ ধারায় বলা আছে, প্রতিষ্ঠার পাঁচ বছর পর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থায়ন অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে করতে হবে।

এতে শিক্ষার্থীদের সেমিস্টার ফি ৩ হাজার ৫০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২০ হাজার টাকা করার পর শিক্ষার্থীরা গত রোববার বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। জাতীয় প্রেসক্লাবে সামনে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভের সময় ভাংচুর চালালে পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে মামলা করে।

শিক্ষার্থীরা ওই মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছে। এর পাশাপাশি বেদখল হল উদ্ধার, শিক্ষক সঙ্কট দূর করার দাবিও রয়েছে তাদের।

আগামী ২ অক্টোবর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন এবং ৮ অক্টোবর শহীদ মিনারে সংহতি সমাবেশের কর্মসূচি রয়েছে শিক্ষার্থীদের।

এছাড়া ৮ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয় খোলার পর দাবি না মানা পর্যন্ত ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন চলবে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/প্রতিনিধি/এমআই/১৫৫৮ ঘ.

১২৩| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৪৬

জিনাত বলেছেন: পুরো সমর্থন থাকলো

১২৪| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ৯:১০

সািকল সরকার বলেছেন: বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে গিয়ে জগন্নাথের শিক্ষার্থীদের ভাংচুর কোন মতেই কাম্য নয়।

১২৫| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ৯:১৪

মনোজ মুকুট বলেছেন: আমি এমন সময় পোস্টাটা পড়ছি যখন আপনাদের প্রোগ্রাম শেষ হয়ে গেছে এবং আমি তা পত্রিকায় বসে এডিট করছি। আফসোস, আমি আপনাদের প্রোগ্রামে থাকতে পারলাম না। গত কয়েকদিন ধরে আমার ভেতরেও ক্ষোভ জমা হচ্ছিল। জবির ছাত্রদের উপর যে নির্যাতন চলছে এবং জবি নিয়ে সরকার যে ছিনিমিনি খেলছে তা সচেতন সকলকেই আহত করে। আমি আপনাদের পরবর্তী প্রোগ্রামে থাকতে পারবো বলে আশা রাখি। জয় আমাদের হবেই। ধন্যবাদ পারভেজ।

১২৬| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১০:২৮

ঠাকুরজম্‌ বলেছেন: ভাইসব,
এইটা জগন্নাথ ভার্সিটি সংক্রান্ত পোষ্ট, কিন্তু এর সাথে উঠে আসছে আরও হাজারও সমস্যা! ব্যাপারটা অনেকটা Cancer এর মত, Cancer হইলে জ্বর হয়, বমি হয়। কিন্তু আপনি Paracetamol খাইলে ক্যান্সার সারবো না।
এই সব গুলা সমস্যার গোড়া একটাই, রাষ্ট্রযন্ত্র! সেইসাথে মার্কিনিদের থেকে ধার করা পুজিবাদ। আগে ঠিক করেন, এইটা কি দিয়া Replace করবেন? এরপর আন্দোলন করলে আমারে ডাইকেন, সাথে পাবেন। আমি এই একটা বিষয় সমাধানের লাইগা জেল খাটতে পারমু না। আমার চাই আরেকটা স্বাধীন রাষ্ট্র...

১২৭| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১১:৫০

ঘুনেপোকা বলেছেন: বাংলাদেশ সরকারের বর্তমান শিক্ষামন্ত্রীটা বিশ্ব ব্যাংকের পা চাটা গোলাম

১২৮| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১১:৫০

হামজা কানাল মোস্তফা বলেছেন: সাম্প্রতিক সময়ে জবির ঘটনা নিয়ে সামুতে লেখা বিভিন্ন ব্লগের সংকলন

১২৯| ০১ লা অক্টোবর, ২০১১ রাত ১২:২৪

পারভেজ আলম বলেছেন: বিডিনিউজ এইটা কি রিপোর্ট করছে? বুঝাই যাইতাছে ওদের কোন সাংবাদিক স্পটে ছিলনা। পুরান কথাবার্তা মিলায়া যা খুশি একটা লিখা রাখছে। গ্রেফতারকৃতদের সংখ্যাটাও ভুল।

১৩০| ০১ লা অক্টোবর, ২০১১ রাত ১২:২৫

পারভেজ আলম বলেছেন: আটককৃত ২৯ জনকে এখনো মুক্তি দেয়া হয় নাই। অবিলম্বে তাদের মুক্তি দাবি করছে।

১৩১| ০১ লা অক্টোবর, ২০১১ রাত ১:০৮

জোবায়েন সন্ধি বলেছেন:


অবশ্যই আন্দোলনের সাথে আছি। পাশে আছি। বিজয় ছিনিয়ে আনার আগ পর্যন্ত।

১৩২| ০১ লা অক্টোবর, ২০১১ রাত ২:১৯

ব্লাক সোলজার বলেছেন: @ ঠাকুরজম- কি বালটা ফালাইবা তুমি জানা আছে, এইরাকাম বহুত দেখচি, ব্লগে খালি কি বোর্ডে বালফালানি কমেন্ট কর্তে পার, মাগার আসল যায়গায় তম্রার ছায়াও পরে না। X(



আবাল, বিপ্লব কোনদিন ধরেই পুরা মাত্রা পায় না, বিপ্লব আসে ধিরে ধিরে, ছোট ছোট ইস্যু থেকে জন্মনেয় বড় কোন আন্দোলন, এটা বুঝার্মত তর্মাথায় বুদ্ধি নাই।


তর্মত ছাগ্লারে বুঝাইতে সহজ একটা উদাহরন দেই- ৫২ ভাষা আন্দোলন আর মুক্তিযুদ্ধ কিন্তু একই সুত্রে গাথা, এটা জানস তো ???


তো মনে কর তর্মত ছাগ্লা অইসময় দুই একটা ছিল। তারা কর্চে কি জানস? তারা কয় এই সব বালছালের পুচকা আন্দলনে যামু ক্যা? ডাইরেক্ট মুক্তিযুদ্ধ কর্মু।


তো দেখা গেল যে দিনের বেলায় বালফালাইতে পারে না হ্যাঁয় রাইতে পার্ব এ টা বিশ্বাসযোগ্য কথা না।
X(


এই বার দূরে গিয়া মাম্মি ডেডি ছাগ্লা তুই মর্গিয়া X( X(

১৩৩| ০১ লা অক্টোবর, ২০১১ রাত ৩:৪২

পিথক বলেছেন: লেখকের সাথে সহমত। এই আন্দোলন যেন বেগবান হয় এবঙ জাতীয় স্বার্থ বাস্তবায়নের একটি মডেল আন্দোলন হয় প্রবাস থেকে এই কামনায় করছি। আমি বিশ্বাস করি যারা সক্রিয় রাজনীতি করে তাদের সঙখ্যা কখনই বেশী নয় বলা যায় নগন্য। যে কোন দুনীতিবাজ সরকার বা মহলকে বুঝিয়ে দেয়া উচিত শুধু তাদের ভোটে নির্বচিত হওয়া সম্ভব নয়।

১৩৪| ০১ লা অক্টোবর, ২০১১ ভোর ৬:১৩

উপপাদ্য বলেছেন: পারভেজ ভাই:

আন্দোলনের শতভাগ সাফল্য কামনা করছি। আন্দোলনের ব্যাপারে আমার কোন দ্বিমত নাই। আন্দোলন সরকারের নীতির বিরোদ্ধে, শিক্ষার মতো মৌলিক চাহিদার বানিজ্যিকীকরনের বিরোদ্ধে।

কিন্তু আমার পয়েন্ট টা হচ্ছে সেনাবাহীনিকে জড়িয়ে যে কথা গুলো বলা হয়েছে তার বিরোদ্ধে। সেনাবাহীনিকে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা দেয়া হয় ভবিষ্যতেও হবে। শুধু সেনা বাহীনি নয় আরো অনেক কেই অবৈধভাবে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা দেয়া হয়, হচ্ছে এবং হবে কিন্তু আমরা তা নিয়ে কতটা উচ্চবাচ্য করি? করিনা। কারন আমাদের অতে আ্যালার্জি নাই। কিন্তু সেনাবাহীনিতে আ্যালার্জি আছে। একটা চৌকষ সেনাবাহীনি আজ সৌর্যবীর্যহীন হয়ে পড়ছে আমাদের নোংড়া রাজনীতির কারনে।

আর বাকী যারা আমার কমেন্টের বিরোদ্ধে কথা বলেছেন তাদেরকে ভেবে দেখতে বলবো আপনি কেন সেনাবাহীনির বিরোদ্ধে কথা বলছেন? আপনারা কি মনে করেন দেশে সেনাবাহীনির কোন প্রয়োজন নাই? সেনারা কি বাংলাদেশের উন্নয়নে কোন ভূমিকা রাখেনি আজ পর্যন্ত?? এরা কি অচ্ছ্যুৎ? এরা কি মানুষ নয়? এরা দেশের জন্য কোন সুনাম বয়ে আনেনি?

আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশের গর্ব বলতে তো দু'টিই ১. সেনাবাহীনি ২. ড. ইউনুস।

১৩৫| ০১ লা অক্টোবর, ২০১১ সকাল ৭:০৯

হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা বলেছেন: আপনার পোস্টের শুরুতেই একটা ভুল তথ্য আছে,
সেটা হল ২০০৬ এ সেনা সমর্থিত সরকার এসেছে ।

সাল টা হবে ২০০৭।

০১ লা অক্টোবর, ২০১১ সকাল ১০:২৫

পারভেজ আলম বলেছেন: হুম। এক লাইনে কথাটা আসায় ভুল তথ্য বলে মনে হচ্ছে। আসলে ২০০৬ সালেই বিশ্বব্যাংকের প্রকল্পের প্রস্তাবনা করা হয়, কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন এই প্রকল্প বিষয়ে তথ্য প্রকাশ করে ২০০৭ সালে সেনা সমর্থিত সরকারের আমলে। খুব সম্ভবত ২০০৬ সালের আগে থেইকাই এই তৎপরতার শুরু। নানান ঘটনাও সেই দিকেই ইঙ্গিত দেয়। আলাদা ভাবে সেনাসমর্থিত সরকারে প্রতি আমার কোন বিদ্বেষএর জন্যে এইভাবে লিখি নাই, লীগ-বিম্পি-সেনা সবাই তো সাম্রাজ্যবাদীগো লেঞ্জা ধইরা ঝুলে, তাই কাউরে আলাদা ভাবে দেখিনা। এনিওয়ে, শুদ্ধতার স্বার্থে আমি প্রথম লাইনটা খানিকটা পালটে দিচ্ছি।

১৩৬| ০১ লা অক্টোবর, ২০১১ সকাল ৮:৫০

কাঙাল বলেছেন: শুরুতেই নাকি ভুল।

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তুকি পাবে ঠিক আছে? কিন্তু কত পার্সেন্ট পাবে সেইটা একটা প্রশ্ন। ঢাবি তো প্রায় পুরাটাই পায়......

জগন্নাথ পাবে কিনা সেটাই প্রশ্ন। জগন্নাথ পাইলে বাকিরা কী দোষ করলো সেইটাও প্রশ্ন।

ভর্তির সময় যদি আমি রাজি থাকি যে মাসে ২/৩ হাজার টাকা ফী দিতে রাজি আছি, ব্যস। পরে রাস্তায় গিয়ে গাড়ি ভাঙচুর করবো আর এতে সরকার ভয় পেয়ে সব দাবী মেনে নেবে...... এই হলো আমাদের অবস্থা।

সরকার ভীত হয়ে দোষীদের নাম পর্যন্ত নেবার সাহস পাবে না.... আবার বলবে দেশে নাকি আইনের শাসন বিদ্যমান..... বাহ বাহ বাহ

০১ লা অক্টোবর, ২০১১ সকাল ১০:৩০

পারভেজ আলম বলেছেন: পেপার পত্রিকা পড়েন গো ভাইডি? নাকি এই মুল্লুকে নয়া আইছেন?

১৩৭| ০১ লা অক্টোবর, ২০১১ সকাল ৯:৫২

মো আব্দুল করিম বলেছেন:
পোস্টটি হচ্ছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ন্যায্য আন্দোলনে সংহতি নিয়ে। এখানে সেনাবাহিনীর বাজেট কিংবা সেনাবাহিনীর প্রয়োজন আছে কি নেই- এই নিয়ে তর্কের মাত্রাটা অনেক বেশি হয়ে যাচ্ছে।

ব্লগার ভাইদের অনুরোধ করব এই পোস্টের সাথে সেনাবাহিনীকে বা এর প্রয়োজনীয়তাকে টেনে আনবেন না।

এই নিয়ে তর্কের প্রয়োজন মনে করলে শুধু এই নিয়েই একটি পোস্ট দিতে পারেন।

দয়া করে এই দুইটি বিষয়কে এক করে পোস্টটিকে আসল উদ্দেশ্য থেকে বিচ্যুত করবেন না।

১৩৮| ০১ লা অক্টোবর, ২০১১ সকাল ১০:১৭

কাঙাল বলেছেন: আমার ভাতিজিকে একজন পড়ান, ঢাবির মাঝারি মানের ছা্ত্র।
মাসে ৯০০০ টাকা নেয়্।

মাসে ৫০০০ টাকা কোন ছাত্রের সৎ পথে কামানো কোন ব্যাপারই না। এতে তার শিক্ষার সব খরচ মিটিয়ে আরামসে থাকতে পারবে।

কিন্তু না, তারা রাজনীতি করবে, ঠিকাদার ke theka debe... etc etc..

০১ লা অক্টোবর, ২০১১ সকাল ১০:২৮

পারভেজ আলম বলেছেন: ভাই কোন দুনিয়ায় থাকেন? আলোচনার খাতিরে ধইরা নিলাম যে একজন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রের পক্ষে মাসে ৫০০০টাকা কামানো সম্ভব। এইবার আমারে কোনতো এই যে এত আন্দোলন হইতাছে সেইটা মাসিক কত টাকা বেতনের বিরুদ্ধে?

হয়তো আপনে বাংলাদেশে থাইকাও নাই, অথবা জাইগাও ঘুমান। প্রস্তাবিত মাসিক বেতনের পরিমান ২০০০০টাকা।

১৩৯| ০১ লা অক্টোবর, ২০১১ দুপুর ১২:৪৬

পারভেজ আলম বলেছেন: পোস্টটা যেহেতু এখনো স্টিকি আছে তাই আপডেট এখানেই যুক্ত করে দিলাম।

১৪০| ০১ লা অক্টোবর, ২০১১ দুপুর ১:০৪

মাহমূদ হাসান বলেছেন: মায়া জড়ানো কেয়া গাছ আর সারি সারি নারিকেল বাগানে ঘেরা নীল সাগরের মাঝে প্রবালের উপর বিস্তৃত দ্বীপ সেন্টমার্টিন। জীবন্ত প্রবাল, শৈবাল, সামুদ্রিক কচ্ছপ, বিভিন্ন প্রজাতির সামুদ্রিক মাছ, কাকড়া, হাঙ্গর, সামুদ্রিক পাখি, অধিবাসীদের জীবন যাত্রা ও কৃষি প্রণালী ভ্রমন পিপাসুদের আকৃষ্ট করবে। পিন পতন নিস্তব্ধতায় সমুদ্রের হু হু গর্জন ও আকাশে তারার মেলায় আপনার রাত্রি যাপন হবে এক অপূর্ব অনুভূতি!

http://www.facebook.com/saintmartinbangladesh' target='_blank' >সেন্ট মার্টিন নিয়ে ফেসবুকে একটি ফ্যান পেজ

১৪১| ০১ লা অক্টোবর, ২০১১ দুপুর ১:০৮

চির সবুজ ২৫ বলেছেন: জগন্নাথ বিশ্ব্ববিদ্যালয়
আমরা কেমন আছি
মাহফুজুর রহমান, আবদুল হান্নান, আমিরুল ইসলাম, খসরু আহমেদ, সোহেল রানা ও সরোজ মেহেদী

উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা পাসের পর দীর্ঘ ছয় মাসের অধ্যবসায় আর প্রতীক্ষার পর আমরা জগন্নাথ বিশ্ব্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হই। প্রথম প্রথম ছিল আনন্দ, উচ্ছ্বাস, হইচই, উচ্ছল জীবনের কোলাহল। দিন যেতে যেতে উচ্ছ্বাস কমে যেতে থাকে, উঁকি মারা শুরু করে হতাশা। বৈষম্য আর বঞ্চনার যেন শেষ নেই এই প্রিয় বিশ্ববিদ্যালয়ে। শিক্ষক-শিক্ষার্থী সবারই যেন বাণিজ্যিক মন। ২০১০ সালে নতুন ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নামে। নিজেদের অধিকার রক্ষা আর অর্থনৈতিক অক্ষমতার জন্য এ আন্দোলন। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অনেকেই তরুণ শ্রমজীবী। সারা দিন টিউশনির ঘানি টেনেও ভরণপোষণের ব্যবস্থা করতে পারে না। মেস-ভাড়া দিতে গেলে খাওয়ার টাকা থাকে না। তার ওপর কয়েক দিন পর পর প্রশাসনের চাপিয়ে দেওয়া নানা চার্জে শিক্ষার্থীরা নাকাল।
আমাদের আবাসিক হল নেই, তার ওপর অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায় কয়েক গুণ বেশি খরচ দিয়ে পড়তে হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একজন শিক্ষার্থীকে প্রতি মাসে বেতন দিতে হয় ১২ টাকা, আর আমরা দিই ১০০ টাকা। ভর্তিসহ সব ক্ষেত্রেই অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায় দুই গুণ ফি গুনতে হয় আমাদের। আমাদের কাছ থেকে খেলাধুলা আর শরীরচর্চা বাবদ চার্জ নেওয়া হয়, অথচ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে এসবের কোনো সুযোগ নেই।
সাধারণ শিক্ষার্থীরা আবাসিক হলের জন্য দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছে, কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন নির্বিকার। ন্যায্য অধিকারের জন্য শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নামলে প্রশাসন শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে পুলিশ লেলিয়ে দেয়। সহিংস ঘটনা ঘটে। রক্তপাত হয়। তারপর আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করার হুমকি দেয় প্রশাসন। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন সরকারি দলের লেজুড়বৃত্তি করে। ঝড়-ঝাপ্টা নেমে আসে প্রগতিশীল সংগঠনগুলোর ওপর।
বিভাগে বিভাগে দলীয় শিক্ষকদের মাধ্যমে হুমকিসহ নোটিশ পাঠানো হয় সাধারণ শিক্ষার্থীরা যাতে আন্দোলন করার সাহস না দেখায়। আন্দোলন বানচালের জন্য কি না করতে পারে প্রশাসন, সবশেষে নামিয়ে দেওয়া হয় একটি বিশেষ সংগঠনের কর্মীদের। তারা শিক্ষার্থীদের এলোপাতাড়ি পেটায়।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে আমাদের শিক্ষক কারা? সবার গায়ে দলীয় ছাপ্পড় মারা আছে। তাঁদের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পেছনের কাহিনি সবার জানা। সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাই তাঁদের সম্মান করে না, তাঁরাও সম্মানিত হতে সচেষ্ট নন। তাঁরা গর্ব করেন তাঁদের দলীয় পরিচয় নিয়ে। কোনো কোনো শিক্ষককে তো নিজ বিভাগে পাওয়া যায় না, তাঁরা সময় কাটান প্রশাসনিক ভবনে।
দুটি ছাত্রসংগঠনের অভ্যন্তরীণ কোন্দল এ বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি প্রধান সমস্যা। সারাক্ষণ মারামারিতে ব্যস্ত তারা। কিন্তু যে বিশ্ব্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা দলীয় ক্যাডারের ভূমিকায় অবতীর্ণ, নিজ বিভাগে দলীয় রাজনীতির প্রভাব দেখান, তাঁদের ছাত্ররা দুর্ধর্ষ ক্যাডার হবে না তো কী হবে? শিক্ষকদের রাজনৈতিক ক্ষমতার ঝনঝনানি মোকাবিলা করার জন্যও অনেক শিক্ষার্থী ছাত্ররাজনীতিতে জড়িয়ে পড়ে!
সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলন নানাভাবে দমন করার জন্য প্রশাসনের যে প্রচেষ্টা, তা যদি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামো উন্নয়ন আর শিক্ষার মান উন্নয়নের ক্ষেত্রে থাকত, তবে এত দিনে আমাদের ক্যাম্পাসের চেহারা অন্য রকম হতো। তাহলে ১২টি বেদখল হওয়া হল উদ্ধারের জন্য, গত অর্থবছরে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ পাওয়া নতুন ভবনের নির্মাণকাজ শুরু করার জন্য, ১০১ একর জমির নতুন ক্যাম্পাস নির্মাণের জন্য আমাদের এত বছর অপেক্ষা করতে হতো না। আমাদের দাবি ও স্বপ্নগুলো দীর্ঘ ছয় বছর পরও অপূর্ণ থাকত না আর আমাদের কাঁথা-বালিশ নিয়ে ছুটতে হতো না মেস থেকে মেসে। প্রশাসন আমাদের নির্বিঘ্নে পড়াশোনা করার নিশ্চয়তা দিতে পারেনি, এত বছরেও একটি নতুন ক্যাম্পাস দিতে পারেনি, বেদখল হওয়া একটি হলও উদ্ধার করতে পারেনি। কোনো অধিকারের কথা বললে আমাদের মাথায় শক্ত করে লাঠির বাড়ি পড়ে। প্রশাসন দলবাজিতে ব্যস্ত, বিশ্ব্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে তাদের মন নেই। প্রশাসনের প্রতিশ্রুতি শুনতে শুনতে আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা ক্লান্ত। কবে হবে সব প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন?
দলীয় ভিত্তিতে নিয়োগের এ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকসংকট ব্যাপক। এ ছাড়া শ্রেণীকক্ষেরও বেশ অভাব। একটি নতুন বিভাগের জন্য জন্য বরাদ্দ একটি মাত্র শ্রেণীকক্ষ, সেমিনার কক্ষ নেই। কেন্দ্রীয় পাঠাগারের অবস্থাও করুণ। বইপত্র অপ্রতুল, কোনো ফটোকপি মেশিন নেই, বিকেল সাড়ে চারটার মধ্যেই পাঠাগার বন্ধ হয়ে যায়। এসব নিয়ে পত্রপত্রিকায় একাধিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নির্বিকার। আমরা জানি, অনেক সমস্যার ত্বরিত কোনো সমাধান নেই। কিন্তু যখন দেখি সমাধানের কোনো চেষ্টা নেই, তখন কী বলার থাকে?
গত মার্চে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের জের ধরে বন্ধ হয়ে যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র ক্যানটিনটি। কর্তৃপক্ষ তা আজও খুলতে পারেনি। একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি মাত্র গেটের একটি সব সময় বন্ধ থাকে, বিশ্বাস করা যায়? শিক্ষার্থীদের চাপের মুখে কর্তৃপক্ষ দক্ষিণ গেটটি খুলে দেয়। কিন্তু গেটের সামনে গাড়ির গ্যারেজ আর লেগুনার স্টেশন। অদৃশ্য কারণে গাড়িগুলোকে গেটের সামনে থেকে সরানো যাচ্ছে না। গেটটি সাধারণ শিক্ষার্থীদের চলাচলের জন্য মুক্ত করে দিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ব্যর্থ। আমাদের জীবন কেমন চলছে? হল নেই তাই জীবন নির্বাহের ব্যয় দাঁড়িয়েছে দ্বিগুণ। পুরান ঢাকায় টিউশনির তেমন কদর নেই। ফলে একাধিক টিউশনি করতে হচ্ছে আমাদের আর মেসে ছারপোকার সঙ্গে বসবাস। শিক্ষার্থীর মৌলিক অধিকার থেকে আমরা বঞ্চিত। আমাদের করুণ চাহনি কারও মনে দাগ কাটে না। অতি ব্যস্ত ডিজিটাল সরকারের কর্ণকুহরে পৌঁছায় না আমাদের নিবেদন, কোনো দিন পৌঁছাবে কি না কে জানে!
লেখকেরা: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী।

১৪২| ০১ লা অক্টোবর, ২০১১ দুপুর ১:২০

রাগিব আমি বলেছেন: উপপাদ্য বলেছেনঃ
আপনারা কি মনে করেন দেশে সেনাবাহীনির কোন প্রয়োজন নাই? সেনারা কি বাংলাদেশের উন্নয়নে কোন ভূমিকা রাখেনি আজ পর্যন্ত?? এরা কি অচ্ছ্যুৎ? এরা কি মানুষ নয়? এরা দেশের জন্য কোন সুনাম বয়ে আনেনি?
আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশের গর্ব বলতে তো দু'টিই ১. সেনাবাহীনি ২. ড. ইউনুস

দেশে সেনাবাহিনীর প্রয়োজন আছে । তারা অচ্ছ্যুৎ ও নয় । তারা দেশকে দিয়েছে সুনাম । কিন্তু বছর বছর তাদের পেছনে বাজেটের সবোচ্চ ব্যয় তো মানা যায় না । যেখানে শিক্ষা, জ্বালানী, স্বাস্থ্য আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ । সুনাম দিয়ে তোঁ মানুষের পেট ভরে না ।
আর উত্তরবঙ্গসহ আরো অনেক বহু অঞ্চলে গেলে আপনি ইউনুসকে নিয়ে গরব করায় অপরাধ বধ করবেন ।

১৪৩| ০১ লা অক্টোবর, ২০১১ দুপুর ১:৪২

পাথরের কান্না বলেছেন: দোষরদের কালো হাত ভেংগে দাও, গুঁড়িয়ে দাও !!!!!!!!! X( X( X( X( X( X(

১৪৪| ০১ লা অক্টোবর, ২০১১ বিকাল ৪:৩৮

ওরাকল বলেছেন: সরকার যে ভাবে ছাত্রদের এই আন্দলনে ডিল করছে তা এক কথায় ন্যাক্কাট যনক। সরকার এই আন্দলনকে রাজনৈতিক আন্দলনের সাথে গুলিয়ে ফেলেছে।


বাংলাদেশে চলে আসা উচ্চশিক্ষা খাতে ভর্তুকির ব্যপারে অবশ্য আমার অবস্থান ভিন্ন

Click This Link

১৪৫| ০১ লা অক্টোবর, ২০১১ বিকাল ৫:০২

জন রাসেল বলেছেন: আমি জগন্নাথের বিবিএ এর ছাত্র। আপনার এমন সুন্দর পোষ্ট দেখে কমেন্ট না করে পারলাম না।

বিশ্বাস করবেন না সত্যি অবাক হচ্ছি কিছু জিনিস দেখে। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্তিত্ব যেখানে দেয়ালে ঠেকে গেছে এমতাবস্থায় এসে আমাদের ভার্সিটিরই ছাত্রলীগের কিছু ছাত্র আমাদেরকেই মারধোর শুরু করল। তারা আন্দোলনকে থামিয়ে দেয়ার চেষ্টা করল। পুলিশের সাথে যোগ দিয়ে নিরীহ ছাত্রদেরকে পায়ের তলায় ফেলে পিষ্ট করতে পাগল। আমি রাজনীতি নিয়ে আগ্রহী কোন কালেই ছিলাম না। তবে এ দৃশ্য দেখে অবাক হয়ে ভাবতেই হল "রাজনীতি এর নোংরা হতে পারে !" । তারপর ঢাকা ভার্সিটির লীগের কিছু ছাত্র আমাদের ছাত্রদের ধরে রাস্তায় ফেলে মারল, সেটা তো সবাই-ই দেখেছে। এগুলো কিভাবে সম্ভব হচ্ছে আমার জানা নেই। পুলিশ লাঠিপেটা করছে সেটা আলাদা ব্যাপার। সরকার পুলিশকে নিজের পা চাটতে বললে পুলিশ তাও করতে বাধ্য। কিন্তু ছাত্রলীগ নামক "কুকুরশ্রেনীকে" এত ক্ষমতা কে দিল? তারা কি দেশের আইন শৃংখলা রক্ষার দায়িত্বে আছে? আমি ভার্সিটিতে দাঁড়িয়ে সরাসরি দেখেছি জিনিসগুলো। তাই আমার কাছে জিনিসটা অনেক বেশী খারাপ লেগেছে।

অনেক ধন্যবাদ এমন একটি মহৎ কাজে সমর্থন দেয়ার জন্য। ৬ অক্টোবর ক্লাস শুরু হওয়ার কথা আমাদের। এর মধ্যে দাবী না মানলে ছাত্রলীগ (নকল পুলিশ) আর ঘুসখোর (আসল পুলিশ) এই দুই দলকেই উচিত শিক্ষা দেয়া হবে। দেখা যাক, তখন কারা আটকায় আমাদের। আন্দোলনকে উগ্র হতে তারাই বাধ্য করছে। একবারও ভাবছে না ২২ হাজার স্টুডেন্ট যদি পথে নেমে উগ্র আন্দোলন শুরু করে তাহলে সেই ঝড় কাদের উপর দিয়ে যাবে।

১৪৬| ০১ লা অক্টোবর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:০১

ওঙ্কার বলেছেন: দুইবার কপি পেস্ট হয়ে গেছে.. মেরামত করেন্

১৪৭| ০১ লা অক্টোবর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৫২

সা-জ বলেছেন: জগন্নাথ কে বেসরকারি বানানোর চেষ্টা বন্ধ হবে কবে ?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.