নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হিন্দু না ওরা মুসলিম ঐ জিজ্ঞাসে কোনজন, কান্ডারি বলো ডুবিছে মানুষ সন্তান মোর মা'র

পারভেজ আলম

হাসরের ময়দানে ইট কাঠ আর কংক্রিটের দেয়ালে, রক্তের কালিতে, কবিতা কালাম লিখে মরা মানুষএর মিছিলে দাঁড়ায় একবিংশের রাসুল। দুই হাত ভরা ব্যাগে নানান ব্র্যান্ডের আমলনামা।

পারভেজ আলম › বিস্তারিত পোস্টঃ

ও্য়াশিংটন টাইমসে খালেদা জিয়ার লেখা, দালালীর উৎকৃষ্ট দলিল

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:৪০

বেগম খালেদা জিয়া ওয়াশিংটন টাইমসএ একটি লেখা লিখেছেন এই খবর জানতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত হয়েছি। এবং লেখাটি পড়ার পর আরো আনন্দে এই পরম দুঃখময় দিনকালেও আমার মুখের হাসি দুই কান বিস্তৃত হয়েছে। তবে আবার তার পরেই হতাশা, দুঃখবোধ ও আশংকায় ডুবে গেছি।



প্রথমে আনন্দিত হয়েছিলাম যে বর্তমান দুনিয়ার নয়া ঔপনিবেশিক ক্ষমতা কাঠামোয় প্রভু রাষ্ট্রের সামনে তার দাস রাষ্ট্রের দালাল শাসক ঠিক কিভাবে নিজের চাওয়া পাওয়া তুলে ধরেন তার একটা নমুনা পাওয়া যাবে, যেটা কাটাছেড়া করা যাবে। সচোরাচর এই বিষয়গুলা রূদ্ধদ্বার বৈঠকে হয়, টিভি মিডিয়ায় যা দেখায় তাও টুকরা টুকরা দেখায়, প্রায়ই কোন কথা থাকেনা। কিন্তু এযে জ্বলজ্যান্ত লেখা, যেটাকে কাটাছেড়া করে দালালীর নমুনাগুলা তুলে আনা যাবে। আর পড়ার পরে আরো আনন্দিত হলাম এই কারনে যে আমি বড়জোর টাকি মাছ আশা করেছিলাম, কিন্তু বিরাট একটা বোয়াল মাছ ধরা পরেছে। লেখার আনাচে কানাচে, আবেগে আকাঙ্খায় এবং প্রতিটি ছত্রে ছত্রে দালালী ঝড়ে পরছে। এই দালালী করার ক্ষেত্রে মিথ্যাচার, তোষামোদি এবং চুরান্ত রকম অপরাজনৈতিক এবং অগনতান্ত্রিক ও অনেতৃত্বসূলভ বক্তব্যের আশ্রয় নেয়া হয়েছে। লজ্জায়, অপমানে, হতাশায় আমার মাথা হেট হয়ে গেছে। এই মুহুর্তে রাগে ফুশছি।



প্রথমেই শুরু করা হয়েছে মিথ্যাচার দিয়ে। বলা হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নাকি বাংলাদেশের অন্যতম প্রথম স্বিকৃতীদানকারী রাষ্ট্র। চুরান্ত মিথ্যাচার। বাংলাদেশকে স্বিকৃতী দেয়া ১০২ টি রাষ্ট্রের মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ৪৮তম। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আগে দুনিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলের ৪৭টি রাষ্ট্র বাংলাদেশকে স্বিকৃতী দিয়েছে। তাইলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অন্যতম প্রথম কিভাবে হয়? তারা প্রথম ৫০এর ভেতরে আছে বলে? তাইলে দ্বিতীয় ৫০কে কি বলা যায় অন্যতম দ্বিতীয় স্বিকৃতীদানকারী রাষ্ট্র? বলা ঠিক হবেনা, কারন তা অতিকথন হবে। সত্য এড়িয়ে এই অতিকথন খালেদা জিয়া কেনো করলেন? মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পুরো মুক্তিযুদ্ধের সময়টাতেই বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধীতা করেছে, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক এমনকি সামরিকভাবেও পাকিস্তানকে সহায়তা করেছে, এবং তারা বাংলাদেশকে স্বিকৃতী দেয়া প্রথম ৫টা, ১০টা এমনকি ২০টা রাষ্ট্রের মধ্যেও পরেনা। তারা বাংলাদেশকে যখন স্বিকৃতী দিয়েছে ততদিনে বাংলাদেশ নিজের স্বিকৃতী আদায় করে নিয়েছে, একের পর এক অন্যান্য রাষ্ট্রের সহায়তা ছিলো সেসময় শ্রেফ আনুষ্ঠানিকতার বিষয়। তাহলে এই মিথ্যাচার, এই অতিকথনএর কারন কি? খালেদা জিয়া এটা কেনো করলেন?

আমি জানি কেউ কেউ বলবেন যে এটা খালেদা জিয়া লেখেন নাই, ওনাকে কেউ লিখে দিয়েছে। সেটা হতে পারে, দুনিয়ার অনেক বড় রাজনীতিকের লেখাই কেউ না কেউ লিখে দেয়। তা দিলেও সেটা ঐ রাজনীতিকের নিজের অভিমতই থাকে, লেখক সেখানে পরামর্শক অথবা উপদেষ্টা হিসাবে থাকতে পারেন। এমনকি এধরণের লেখা পুরো রাজনৈতিক দলটির অথবা এর নেতৃত্বের সম্মিলিত অভিমতও হতে পারে। খালেদা জিয়া এবং বিএনপির আন্তঃসম্পর্ক হিসাব করলে এই চিঠিটি আরো অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কারন খালেদা জিয়া একটা প্রতিকএর মতো যেই প্রতিকটি জিয়াউর রহমান নামক জণপ্রিয় নেতার প্রতিক হিসাবে এবং সেই নেতার জণপ্রিয়তা থেকে শক্তি গ্রহণ করে বিএনপি নামক রাষ্ট্রটির প্রতিনিধীত্ব করেন।(ফ্রাঞ্জ ফাঁনোর জণপ্রিয় নেতাতত্ত্ব বিষয়ে যাদের ধারণা আছে অথবা আমার লেখায় পড়েছেন তারা বিষয়টি পরিস্কার বুঝবেন)। বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপির চেয়ার পার্সন হওয়ার ক্ষেত্রে তার একটাই যোগ্যতা ছিলো, আর তা ছিলো জিয়াউর রহমানের স্ত্রী হওয়া। জিয়া মিথএর উপর ভর করে, খালেদা জিয়াকে কেন্দ্র করে এই দলটি সংগঠিত হয়, পরিচালিত হয়। বিএনপির মূল নেতৃত্ব আর খালেদা জিয়া তাই একসুতায় গাথা। খালেদা জিয়া এবং বিএনপি আসলে একে অপরের পরিপূরক, খালেদা জিয়া ছাড়া বিএনপি নাই, একারনেই এখন খালেদা জিয়ার বিকল্প হিসাবেই তারেক জিয়ার মিথ তৈরি করা হচ্ছে। কারন শহীদ জিয়ার মিথ, তার পরিবার ছাড়া বিএনপির কোন অস্তিত্ব থাকবেনা এবং এই বিষয়টি এইলেখার আরেকটি জায়গায় প্রকটভাবে ফুটে উঠেছে যা পরে আলোচনা করবো। জিয়া মিথ মুক্ত নয় এই লেখাটির শিরনামও। পুরো লেখায় জিয়াউর রহমান বিষয়ে কোন আলোচনা নাই, কিন্তু লেখার শিরনাম বাংলা করলে যা দাঁড়ায় তা হচ্ছে “জিয়াঃ বাংলাদেশের গণতন্ত্র রক্ষায় ধন্যবাদহীন ভূমিকা”। পুরো লেখায় না থাকলেও শিরনামে জিয়ার এই নাম জুরে দেয়ার অর্থ যারা খুঁজে পাবেন না তাদেরকে অবশ্যই বিএনপি দলটির সাথে জিয়া শব্দটির সম্পর্ক নিয়ে দ্বিতীয়বার চিন্তা করতে হবে, যাতে তিনি আবিস্কার করবেন যে বিএনপি ও জিয়া শব্দটি আসলে একটি আরেকটির প্রতিশব্দ। এই লেখাটির একটি উপনামও আছে, যার বাংলা করলে দাঁড়ায় “দুর্নিতী ও চুরি একটি সজিব রাষ্ট্রকে নির্জিব করে ফেলছে”। জিয়া শব্দের আবশ্যিক ব্যাবহারেরে সাথে সাথে শিরনাম ও উপনামে ‘গণতন্ত্র’ ‘দুর্নিতী’ এজাতীয় শব্দকে আলঙ্কারিকভাবে ব্যাবহার করা হয়েছে যেটা আমাদের এদেশের রাজনৈতিক দলগুলা নিয়মিতভাবেই করে থাকে। অথচ এই বিষয়গুলা যে তাদের চর্চায় নাই শ্রেফ ফাপা বূলি ও অভিযোগেই আছে তার প্রমান যেমন ইতিহাসে আছে তেমনি এই লেখাতেও আছে।



লেখার প্রথম প্যারাতেই ঔপনিবেশিক দাসত্বের মানসিকতা পুরো মাত্রায় ধরা পরেছে। লেখার প্রথম প্যারাতে খালেদা জিয়া উল্লেখ করেছেন যে গত বছর আমেরিকা বাংলাদেশের প্রতি উদাসিন ছিলো এবং এতে বাংলাদেশের গণতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে এবং বাংলাদেশের অর্থনৈতিক বশ্বতা যুক্তরাষ্ট্রের বদলে দুনিয়ার অন্যান্য উদিয়মান সুপার পাওয়ারের দিকে ঝুকে গেছে। জ্বি, বশ্বতার কথাই বলেছেন, বন্ধুত্বের কথা বলেন নাই। যিনি এই চিঠীটা লিখেছেন তিনি এতোটাই দাসমানসিকতার একজন ব্যক্তি যিনি সাধারণ আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক শিষ্ঠাচার এবং লজ্জা শরমের মাথা খেয়ে বসে আছেন। alliance শব্দটা ব্যাবহার করতে পারতেন, ব্যাবহার করেছেন allegiance শব্দটি, যারে বলে একবারে সরাসরি বশ্যতা, কোন লুকাছাপা নাই, কোন কূটনৈতিক শব্দের মারপ্যাচ নাই, সরাসরি খালেদা জিয়া বলছেন “বাংলাদেশ কিন্তু ২০১২ সালে অর্থনৈতিক ভাবে অন্য কিছু শক্তির দাসত্বের দিকে ঝুকছে, ২০১৩ সালেও কি এমনি চলবে? আমেরিকা কি কিছুই করবেনা? এটা হলো খালেদা জিয়ার প্রশ্ন। তার লেখার ভাষায়, “Yet in the past year, relations have been strained to the point where the United States may be accused of standing idle while democracy in Bangladesh is undermined and its economic allegiance shifts toward other growing world powers” । বিষয়টা কি হলো? নির্বাচনে জেতার জন্যে বাংলাদেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সহযোগিতা লাগে, এই নিয়া অভিযোগ অথবা কানাঘুষা পুরনো। যে কোন সচেতন ও সৎ ব্যক্তি স্বিকার করবেন যে বাংলাদেশের মতো তৃতীয় বিশ্বের রাষ্ট্র ট্যাগ পাওয়া দেশের নির্বাচনী রাজনীতিতে আন্তর্জাতিক নানান শক্তির প্রভাব ও স্বার্থের বিষয় আছে। কিন্তু এসবে বরাবরি কিছু রাখঢাক থাকে, রাজনৈতিক নেতারা লোক দেখানোর ছলে হলেও সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে কথা বলেন, দেশপ্রেম জাহির করতে চান, দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের কথা বলেন। কিন্তু এই লেখায় আমরা পাচ্ছি একেবারে খোলামেলা দালালী, এবং সেই দালালীর প্রধান বিষয়টাযে অর্থনীতি সেটাও স্বিকার করা হয়েছে। ২০১৩ সাল কেনো গুরুত্বপূর্ম? কারন নির্বাচন। লেখাটি ছাপা হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি সুপরিচিত পত্রিকায়। উদ্দেশ্য পরিস্কার, খালেদা জিয়া তথা বিএনপি এখানে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক গোষ্ঠির দৃষ্টি আকর্ষনের চেষ্টা করছেন, বলছেন যে আমরা কিন্তু অন্যদের দাস হয়ে যাচ্ছি, আমাদেরকে আপনাদের দাস বানান। আমাদের দলকে নির্বাচনে জিতিয়ে দিন, দিলে আমরা আপনার দাসানুদাস হয়ে থাকবো। খালেদা জিয়া ইনভেস্টর খুজছেন, যিনি বা যারা এবছর বিএনপিকে নির্বাচনে জিততে ইনভেস্ট করবে, অতঃপর বিএনপি ক্ষমতায় আসলে বাংলাদেশের জ্বালানী ও অন্যান্য সেক্টর লুটেপুটে খাবে, তবে অবশ্যই বিএনপিকে হালুয়া রুটির কিছু ভাগ দেবে। আবার কোন ইনভেস্টর যদি বাংলাদেশকে না চেনে সেই হিণ্যমনতা থেকে একেবারে শুরুতেই খালেদা জিয়া উল্লেখ করেছেন বাংলাদেশ হলো এমন একটি দেশ যে দেশের জনসংখ্যা ১৫০ মিলিয়ন (বিরাট বড় বাজার) এবং দেশটির অবস্থান ইন্ডিয়া ও মায়ানমারের মাঝখানে (এশিয়া প্যাসিফিক বিষয়ক সমসাময়িক আগ্রহের কারনে যুক্তরাষ্ট্রের জন্যে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল )।



প্রথম প্যারাটিকেই পুরো লেখার সারমর্ম বলা যায়। তাও পুরো লেখার আরো কিছু অংশ নিয়ে আলোচনা করতে চাই। লেখায় বিভিন্ন প্রসঙ্গ এসেছে। বিশেষ করে সাম্প্রতিক সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে যে যে বিষয়ে বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত কোন দৃষ্টিগ্রাহ্য সহমতে পৌছাতে পারেন নাই, সেই বিষয়গুলার ফিরিস্তি তুলে ধরেছেন খালেদা জিয়া। যেমন ডঃ মোহাম্মদ ইউনুস এবং পদ্মা সেতু প্রসঙ্গ। আমরা জানিযে এই বিষয়গুলাতে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের প্রতি সন্তুষ্ট না, তবে এর পেছনে আরো নানান কাহিনী আছে। টিফা চুক্তি থেকে শুরু করে এশিয়া এনার্জি এমন নানান ইস্যুতে এবং বঙ্গপোসাগরের উপর কর্তৃত্ব প্রসঙ্গেও আওয়ামীলীগ সরকার যুক্তরাষ্ট্রকে সন্তুষ্ট করতে পারেনি। তবে সন্তুষ্ট করার চেষ্টা যে তাদের ছিলো বা আছে তা বিশ্ব ব্যাংক বিষয় সরকারের বিভিন্ন ব্যক্তির একেকবার একেকরকম বক্তব্য শুনলেই বুঝা যায়। আওয়ামীলীগ সরকারের সমস্যা অন্য। তারা সবাইকে সন্তুষ্ট করতে চায়, সবার সাথেই তাল দিয়ে চলতে চায় এবং কম বেশী সবার দালালীই করতে চায়। তার উপর আবার দেশের ভেতরে অব্যাহত সচেতন সমাজের চাপ আছে। তাই সরকার চাইলেও যখন খুশি যা খুশি করতে পারেনাই। এতে যুক্তরাষ্ট্র গোস্যা করেছে, গোস্যা করে উদাসিন থেকেছে। এখন খালেদা জিয়া সেই মান ভাঙাতে গেছেন। নির্বাচনে জিততে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেম তার দরকার।



আবার জামাত ইসলামীকেও বিএনপির দরকার। বিএনপির বর্তমান সমস্যা অস্তিত্বের সমস্যা। বিভিন্ন কারনে বিএনপি ধারণা করছে যে জামাত ইসলামীকে ছাড়া সে নির্বাচনে জিততে পারবেনা, তাই যুদ্ধপরাধীদের বিচার বানচালের হরতালেও তার সমর্থন থাকে। আবার সরাসরি যুদ্ধাপরাধীদের সাপোর্ট করার উপায়ও নাই, তাতে তরুন প্রজন্মের চোখে ভিলেন হতে হবে। এখানেও তাই খালেদা জিয়া আমেরিকাকে মোড়ল মেনেছেন। তিনি বলছেন যে শেখ হাসিনা নিজের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে দমন করছে বিচারের নামে, এবং এক্ষেত্রে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের মোড়লগিরি কামনা করছেন।



পুরো লেখার বড় অংশ জুড়েই বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকারের নানান ধরণের নেতীবাচক দিকগুলো তুলে ধরা হয়েছে। এর মধ্যে দুর্নীতি, হত্যা, গুম কিছুই বাদ যায়নাই। সরকারের এসব অপকীর্তির ফিরিস্তি দিয়ে বিচার চেয়েছেন।সরাসরি বাংলাদেশের উপর নানাবীধ চাপ এবং এমনকি অর্থনৈতিক অবরোধ দাবি করেছেন।



তবে আমি এই লেখাটি আর একটি প্যারায় ফোকাস করেই শেষ করতে চাই। বাকিটা পাঠকের নিজ নিজ পাঠের উপর ছেড়ে দিচ্ছি। এই প্যারাটি খুবি গুরুত্বপূর্ণ। ঈতিপূর্বে প্রথম প্যারার নানা ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে যা যা বলেছি তার কিছু বিস্তারিত আলাপ এই প্যারাতে আছে এবং সেইসাথে বিএনপির প্রকৃত দাবি দাওয়া চাওয়াটুকুও আরো পরিস্কার হয়েছে।

খালেদা জিয়ার ভাষায়, “Bangladesh’s neighbor Burma is emerging from exile with the visit of President Obama in the aftermath of his re-election. India continues its growth as the world’s largest democracy. If Bangladesh succumbs to the rule of one family, it would be a major step backward for the region. Southeast Asia is now a region full of hope because of the freedoms America has helped foster. Under a caretaker government, the people ofBangladesh have the chance to express their will through the ballot box.



দক্ষীন এশিয়ার বর্তমান গুরুত্বের কথা খালেদা জিয়ার বারবার উল্লেখ না করলেও চলে। তিনি সেটা করেছেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে মনে করিয়ে দিতে চাচ্ছেন যে খালি মায়নমার আর ইন্ডিয়ার প্রতি নজর দিলেই চলবেনা, মাঝখানে বাংলাদেশের দিকেও নজর দিতে হবে। এবং এই নজরটা কিভাবে দিতে হবে তার প্রেসক্রিপশনও খালেদা জিয়া দিয়ে দিয়েছেন। তিনি খুব স্পষ্ট করেই বলছেন “If Bangladesh succumbs to the rule of one family”, ওয়ান ফ্যামিলি কথাটূকু বোল্ড করে দিলাম। এই চিঠীর সততা আমাকে মুগ্ধ করেছে। খালেদা জিয়া এবং বিএনপি এখানে সৎ। খালেদা জিয়া বলতে চান যে বাংলাদেশকে খালি একটা পরিবার লুটেপুটে খাবে তা হবেনা, এতে বাংলাদেশ পিছিয়ে যাবে, আরো পরিবারকে ভাগ দিতে হবে। আরো পরিবার বলতে শিরনামেই পরিবারের মার্কেটিং করা হয়েছে, জিয়া পরিবার। পুরো লেখায় বারবার গণতন্ত্র নিয়ে চাপাবাজি করে শেষপর্যন্ত মূল ভাবটা লুকানো যায়নাই। খালেদা জিয়া বলছেন, বাংলাদেশে খালি বঙ্গবন্ধু পরিবারের শাসন চললে হবেনা, জিয়া পরিবারেরও ভাগ চাই। অর্থাৎ জিয়ার নাম বেঁচে যারা খায় তাদেরও ভাগ চাই, যারা বঙ্গবন্ধুর নাম বেঁচে খায় তাদের পাশাপাশি।

লেখাটি শেষ হয়েছে আরেকটা পরিস্কার বক্তব্যের মধ্য দিয়ে। It is time for the world, led by America, to act and ensure that democracy is saved in Bangladesh. আমেরিকান নেতৃত্বাধীন দুনিয়াকে খালেদা জিয়া আহবান করছেন বাংলাদেশের গণতন্ত্র রক্ষা করতে, রক্ষা করে তার পরিবারকে বঙ্গবন্ধুর পরিবারের মতো শাসন শোসনের সুযোগ দিতে। এক্ষেত্রে শুধু আমেরিকা না বরং আমেরিকার নেতৃত্বাধীন অন্যান্য রাষ্ট্রের হস্তক্ষেপও তিনি বাংলাদেশে কামনা করছেন। দক্ষীন এশিয়ায় এখন যুক্তরাষ্ট্রের উইংএর সবচেয়ে বড় শক্তি ইন্ডিয়া। ইন্ডিয়াকে মাঝখানে রেখেই সর্বশেষ কিছুদিন যাবৎ বাংলাদেশকে ডিল করছে যুক্তরাষ্ট্র। খালেদা জিয়ার যেই ‘world, led by America র কথা বলছেন সেই ওয়ার্ল্ডের স্থানীয় মোড়ল হলো ইন্ডিয়া। অর্থাৎ লেখাটি যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্যে হলেও খালেদা জিয়া ইন্ডিয়ার প্রতিও নিজের আনুগত্ব এখানে ঘোষনা করে রাখলেন, যদিও কিছুদিন আগে ইন্ডিয়া সফরেই তিনি সেটা করেছিলেন।



বিএনপি এমন একটি রাজনৈতিক দল যার সমর্থক গোষ্ঠির বড় অংশই মূলত আওয়ামী বিরোধী। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পরপর আওয়ামী-বাম নেতৃত্ব যে প্রশ্নগুলোকে সঠিকভাবে মোকাবেলা করতে পারেনাই, সেসব প্রশ্নের উত্তর দেয়ার প্রতিজ্ঞা করে বিএনপির জন্ম। এদেশের একটা বড় সংখ্যক মানুষের মাঝে ইন্ডিয়া বিষয়ক ভয়, ঘৃণা ইত্যাদি অত্যন্ত স্বাভাবিক ভাবেই কাজ করে, সেই ঘৃনা আর ভয়ের উপর ভর করে, ইন্ডিয়া বিরোধীতার ধোয়া তুলে এই দলটির জন্ম। বরাবরি সংস্কৃতি এবং বুদ্ধিবৃত্তির প্রতি অনাগ্রহী এই দলটির একটি তরুন সমর্থক শ্রেণী এখন গড়ে উঠেছে যারা বুদ্ধিবৃত্তির মাধ্যমে দলটির রাজনৈতিক আদর্শ ও কাজকে ব্যাখ্যা করতে আগ্রহী, এদের বড় অংশই জামাতের সাথে বিএনপির জোট বিষয়ে আগ্রহী না। বিএনপিকে যারা গণমানুষের রাজনৈতিক দল হিসাবে দেখে, তারাও এই জোটের বিষয়ে বরাবরি বিএনপির ভেতরকার সমালোচক। কিন্তু ঈতিপূর্বে আমরা দেখেছি রুট লেভেলের সমর্থক এবং বুদ্ধিবৃত্তিক গুনগ্রাহীদের বদলে নির্বাচনে জেতার জন্যে জামাতের উপর দলটি বেশি নির্ভর করতে পছন্দ করেছে। এবং এবার দেখা যাচ্ছে এদেশের কোটি কোটি জনগণের উপর তার বিন্দুমাত্র কোন ভরশা নাই, তিনি নির্বাচনে জিততে চাইছেন খোলা মাঠে যুক্তরাষ্ট্র, ইন্ডিয়ার দালালী করে। এই করে দলটি যদি ভালো দর দাম করতে পারে তাইলে হয়তো সামনের নির্বাচনে জিততে পারে, কিন্তু জনগণের দল হিসাবে এই দলটির বিলুপ্তি হবে সময়ের ব্যাপার মাত্র।

মন্তব্য ৪৭ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (৪৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:৫০

এস্কিমো বলেছেন: বিএনপি কোন রাজনৈতিক দল না। রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ভাষায় একটা দলের যে মুল বৈশিষ্ট্য থাকার কথা তা বিএনপির নেই। বিএনপির কোন নির্দিষ্ঠ আদর্শ বা লক্ষ্য কোনটই নেই। এরা যখন যেমন তখন তেমন ধরনের পলিসি তৈরী করে। মুল লক্ষ্য একটাই - ক্ষমতায় যাওয়া। বিএনপিকে একটা রাজনৈতিক ক্লাব বলা যেতে পারে - যার সদস্যদের প্রধান বৈশিষ্ঠ্য হলো আওয়ামী এলার্জি। আরও কিছু টুকটাক বিষয় আছে বিএনপিতে - যেমন ধর্মের জজবা আর ভারত মানে হিন্দু বিদ্বেষ।

বিএনপি বিলুপ্ত হবে হয়তো - খালেদা জিয়ার পর বিএনপি নামক ক্লাব হয়তো দূর্বল হয়ে যাবে - কিন্তু বিকল্প আরেকটা ক্লাব তৈরী হবে। কারন ভারত আর হিন্দু বিদ্বেষ কার্যত একটা বাস্তবতা। সেই বাস্তবতাকে পুঁজি করে যেভাবে মুসলিম লীগের জন্ম হয়েছিলো - তারই উত্তরসূরী বিএনপি - পরে যারা আসবে তারাও এই ধারায় চলবে।

বামদের একটা সম্ভাবনা ছিলো - কিন্তু ধর্মের ইস্যুতে বামরা খিচুরী পাকিয়ে নিজেদের ক্ষতি করেছে। যদি ধর্মকে এরা সতর্কতার সাথে ট্যাকেল করতে পারলে হয়তো আজ আওয়ামীলীগের প্রতিদ্বন্দী হতো বামরাই। সেই আশা আপাতত নাই।

তাই বিএনপি বনাম আওয়ামীলীগ ফাইনাল খেলাটা দেখতে হবে আরো কিছু কাল ।

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৫০

পারভেজ আলম বলেছেন: ভারত বিদ্বেষটা বাস্তবতা, হিন্দু বিদ্বেষটা প্রথমতো কলোনিয়াল কনস্ট্রাকশন এবং দ্বিতীয়ত সাম্প্রদায়িক রাজনীতির মাধ্যমে ভারত বিদ্বেষ থেকে হিন্দু বিদ্বেষএ পরিণত হওয়া। এদেশের মুসলমানদের মধ্যে ব্রাহ্মন বিদ্বেষ থাকাটার ঐতিহাসিক কারন আছে, এটাকে এড়িয়ে যাওয়ার উপায় নাই, এর আর্থ সামাজিক ইতিহাস আছে অনেকদিনের। সুতরাং ভারত বিদ্বেষ টিকে থাকলেও হিন্দু বিদ্বেষ বিলুপ্ত হতে পারে, তার জন্যে ভারত বিরোধী রাজনীতির প্রগতিশীল নির্মান প্রয়োজন। বিএনপিকে আমি রাজনৈতিক দলই বলবো, ঔপনিবেশিক জাতাকল থেকে স্বাধীন হয়ে নয়া-ঔপনিবেশিক দাসত্বের কবলে পরা রাষ্ট্রের রাজনৈতিক দল হিসাবে তারা উত্তির্ণ। এমনকি আওয়ামীলীগও বাধ্য হয়েছে কিছুক্ষেত্রে তাদের নকল করতে, যেমন ধর্মীয় সেন্টিমেন্ট ব্যাবহারের রাজনীতিতে। আওয়ামীলীগ শুধুমাত্র সাংস্কৃতিকভাবেই বিএনপির চেয়ে এগিয়ে, এর বাইরে চরিত্রগত বিশেষ ফারাক নাই। আগে অবশ্য ফারাক বেশি ছিলো, দিন দিন কমছে। দুই দলই একটু একটু করে কমিয়ে আনছে।

২| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:৫৭

কলাবাগান১ বলেছেন: উনি ভুল পত্রিকায় লিখেছেন... প্রচন্ডভাবে ইসলাম বিদ্বেষী পত্রিকা ....ইসলামিস্ট ব্রাদারহুড আর কায়েদা নিয়ে তাদের যত মাথা ব্যাথ. আর তারা যদি জানত যে খালেদা জিয়া এখন ইসলামিস্ট গ্রুপ এর মুখপাত্র হিসাবে কাজ করছেন.. তাহলে মনে হয় এই লিখা ছাপত না।

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৫২

পারভেজ আলম বলেছেন: তারা জেনেশুনেই ছাপিয়েছে। ইসলামিস্টদের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের চিন্তাভাবনা বহুমাত্রিক, আপনি সেটা মনেহচ্ছে মিস করেছেন।

৩| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:০০

বিষন্ন পথিক বলেছেন: মার্কা ভিত্তিক ভোট ব্যাংকের কাছে দেশের আত্নসন্মান থাকলো কি না থাকলো সেটা কোনো বড় বিষয় না। পাচ বছরের পালাক্রমে ক্ষমতা পাওয়া আর ফুলে ফেপে বড় হওয়া! ওহ, সেতো অনেক দেরী হয়ে যায়। একজন মধু খাবে, আরেকজন পাচ বছর অপেক্ষা করবে, সেটা ধৈয্যর বাইরে। এখনি যেতে হবে, নাও যদি যেতে পারি, অ্যাটলিস্ট চামচামি করে রাখি যাতে দরকষাকষি সহজ হয়। দেশের পত্রিকায় বা মিডিয়ায় লিখব কেনো? দেশের বোকাোদা জনগন কি বুঝবে। ইন্টারন্যাশনাল মিডিয়ার চিঠিপত্র বিভাগে লিখি, মার্কাবাজ ভোটব্যাংক না বুঝে বাহবা দেবে।

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৫৪

পারভেজ আলম বলেছেন: মার্কাভিত্তিক ভোট ব্যাংক। ভালো বলেছেন।

৪| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:০৫

ক্ষুধিত পাষাণ বলেছেন: দেশের এই কঠিন স্বন্ধিক্ষণে, কঠিন দূর্যোগকালীন বাস্তবতা তুলে ধরে দেশের স্বাধীনতা, স্বার্বভৌমত্ব তথা সাধারন জনগনের অস্তিত্ব রক্ষায় খালেদা জিয়ার এই প্রচেষ্টাকে সাধুবাদ জানাই।

বিরোধীদলে থাকা কালীন শেখ হাসিনাও বিভিন্ন দেশের কাছে ধর্ণা দিয়েছিলেন এমনকি আমাদের দেশে সকল প্রকার সাহায্য সহযোগীতা বন্ধ করে দেবার আহবান জানিয়েছিলেন-যা জ্ঞান পাপীরা ভুলে গেলেও সাধারন জনগন ভুলে যাননি।

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৫৫

পারভেজ আলম বলেছেন: হ, শেখ হাসিনা গু খাইছে, সো খালেদা জিয়ার গু খাওয়া জায়েজ হইয়া গেছে। এই টেন্ডেন্সির জন্যেই বিএনপি দলটার কোন ভবিষ্যত নাই।

৫| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:০৫

রাফা বলেছেন: উনি জনগণের শক্তিতে বিশ্বাসী নন।উনি মোড়লদের শক্তিতেই ক্ষমতায় যেতে চান।শয়তানের দোষরে পরিনত হোয়েছে বিএনপি।

জিয়া ক্ষমতায় এসেছিলো অস্রের শক্তিতে।আর খালেদা ক্ষমতায় যেতে চায় যুদ্ধাপরাধী ও ইউরোপ ,আমেরিকার দালালী করে।

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:০০

পারভেজ আলম বলেছেন: দালালী জিনিসটায় আসলে বাংলাদেশের প্রধান দলগুলা কেউই কারো চেয়ে পিছায়া নাই।

৬| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:০৭

নিঃসঙ্গ ঢেউ বলেছেন: অবশেষে অরিন্দম কহিলা বিষাদে। বাম এবং আওয়ামী পাছা যে এক সূত্রে গাঁথা তা এই লেখায় স্বীকার করে নেয়া হলো। তাইতো বলি মেনন-ইনু কেন সরকারের গু এর গন্ধ শুঁকতে এত উদগ্রীব এবং সেই সাথে বামের হরতাল কেন পালন করে দেয় সরকার।

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পরপর আওয়ামী-বাম নেতৃত্ব- ;)


হাসিনা যখন ২০০৭ এ প্রতিটা পশ্চিমা দেশের দ্বারে দ্বারে ঘুরছে, আমেরিকারে চিঠি লেখছে , জাতিসংঘরে বলছে বাংলাদেশকে অবরুদ্ধ করতে , লন্ডনে শাহরিয়ার কবীরের উদীচিরে দিয়া সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্য প্রকাশ্যে আহবান জানাইছে তখন কিচ্ছু হয় নাই। ইণ্ডিয়ার সুবিধার জন্য নদী ভরাট কইরা দাদাদের অন্ডকোষ ডলে দিয়েছে, মখা যখন ভারতে গিয়ে সীমান্তে হত্যা জায়েজ বলে ঘোষনা করে আসে, আওয়ামীলিগকে রক্ষার জন্য দেশের অসংখ্য মানুষকে গুমের জন্য যখন 'র' এর কর্মীরা এদেশে ঘুরে, ঢাকায় এফ বি আইরে আনার জন্য এখন কোলে তুইলা চুম্মা দিচ্ছে, বামদের হোগাসুখ দেয়ার জন্য রাশিয়া থিকা ৮০০০ কোটি টাকার খেলনা কিনতেছে -তখন ও কোন দোষ হয় না। দোষ হয় কেবল খালেদার নিরীহ এক প্রবন্ধের। যেখানে শুধুমাত্র কৌশলগতভাবে আমেরিকাকে আহবান জানানো হইছে বাংলাদেশের গনতন্ত্রের বন্ধু হওয়ার জন্য তথা সামনের দিনে আওয়ামীলিগ বাংলাদেশকে ধ্বংস করে দিয়ে একদলীয় শাসন কায়েমের যে চিন্তা করছে তাতে যেন আমেরিকা সমর্থন না দেয় সেই আহবান জানিয়েছেন।

আপনাদের জ্বলুনি পরিস্কার। স্বাধীনতা যুদ্ধে আপনাদের কোন গ্রহনযোগ্য অবদান নেই, স্বাধীনতার পরে আওয়ামীলিগের কাছে মারা খাওয়ার পর ও এখন তাদের হোগা ডলেই আপনাদের বেঁচে থাকতে হচ্ছে, নৌকায় করে পার হতে হচ্ছে মেনন-ইনুকে, এমতাবস্থায় পরজীবি হয়ে বি এন পির বিরোধিতা করা ছাড়া আর কোন উপায় আপনাদের সামনে নেই।

জামাতের সাথে কৌশলগত জোট ছাড়া বি এন পির আর কোন ভুল নেই। এই ভুলটা বাদ দিলে বি এন পি আবারো এ দেশের শতভাগ গনমানুষের দল হিসেবে আবার আবির্ভুত হবে। আশা করি সেই দিন বেশি দূরে না। আপনাদের এসব ব্লগ-ফেসবুকের প্রপাগান্ডা বড়জোর নিজেদের অর্গাজমের সুখই দেবে, এর বেশি কিছু না।

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:০৮

পারভেজ আলম বলেছেন: না জেনে, না বুঝে এত্ত বড় একটা কমেন্ট করলেন। আপনের জন্যে দুঃখ হচ্ছে। বামদের নিয়া এতো দুশ্চিন্তা কেনো? এতবার বামনাম জপ করছেন কেনো? বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পর আওয়ামী-বাম নেতৃত্ব এইটা কি জীবনে প্রথম শুনলেন? এইটাতো ইতিহাস। আওয়ামীলীগেই তখন বিরাট সংখ্যক বাম ছিলেন, এরবাইরে ছিলো সিপিবি-ন্যাপ মিত্র। এরাই বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছে? এদের বিষয়ে আপনার কি কোন চুলকানি আছে? থাকলে কেনো আছে বলবেন কি?

আপনি আমার ব্লগ পড়েন? ঘেটে দেখেন তো, আওয়ামীলীগের বিরুদ্ধে কয়টা পোস্ট আর বিএনপির বিরুদ্ধে কয়টা পোস্ট? এই পোস্টের আগের পোস্টটাই কাদের বিরুদ্ধে পড়ে দেখেছেন? নাকি খালি বিএনপির বিরুদ্ধে কিছু কইলেই পাছা জ্বলে? বিএনপির দালালীর ভাগ পান নাকি? কেমন পান যে এইরকম নির্লজ্জ দালালীর পক্ষে দালালী করতে এসেছেন?

আর না জানা না বুঝার বিষয়টা বুঝিয়ে দেই। বাম কি জিনিস সেটা পড়াশোনা করে জেনে বুঝে বলবেন। মেনন-ইনু আওয়ামীলীগের মহাজোটের শরীক দলের সদস্য। এটা বামদের ছোট একটা অংশ। রাজপথে যেসব বামদের সরকার বিরোধী মুভমেন্টে দেখেন তারা আওয়ামীলীগের সরিক নয়, যেমন সিপিবি-বাসদ-বাম মোর্চা, এবং বামদের এরাই সংখাগরিষ্ঠ। না জেনে গাধার মতো কথা বলে গেলেন।

আর হ্য, আপনাদের আপনাদের করছেন কেন? আমি কি এখানে আপনার মতো কোন পার্টির প্রতিনিধিত্ব বা দালালী করছি? আমি কোন পার্টি করি? জানেন? না জেনে ছাগলামি করছেন কেন? আপনাদের মতো দালালদের জন্যে ঘৃনা। আর দালালী ছাড়লে ছাগলামি সারাতে আদর করে হেল্প করবো। ধন্যবাদ।

৭| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:১৫

দায়িত্ববান নাগরিক বলেছেন: শুরুতেই মিথ্যা দিয়ে শুরু, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের সাথে সাংঘর্ষিক। ফালতু রেটিং এর লেখা। সরল মনে বললাম।

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:১৩

পারভেজ আলম বলেছেন: সেটাই

৮| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:২২

স্পেলবাইন্ডার বলেছেন: আফসোস! মেরুদন্ডহীন বামগুলো দালাল হওয়ারও যোগ্যতা রাখে না, বড়জোড় সরকারী দলের চামচা হতে পারে....

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:১৩

পারভেজ আলম বলেছেন: আপনে যে অনেক উচুমানের দালাল সেটা সবাই জানে। কিন্তু আমাকে সরকারের চামচা বলছেন কোন হিসাবে?

৯| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:২২

বিবাগী বাউল বলেছেন: বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মাঝে এখন চলছে কে কত আমেরিকা, ভারত, রাশিয়ার দালালি/ সেবাদাসত্ব করতে পারে তার প্রতিযোগিতা, এই অসুস্থ প্রতিযোগিতায় দেশের সর্বনাশ হলেও তাতে বিন্দুমাত্র আপত্তি নেই তাদের। সাম্রাজ্যবাদীদের আনুগত্য কে কত বেশি করতে পারবে তার উপরই নির্ভর করবে আগামি নির্বাচনে কে পরাশক্তির আনুকূল্য পাবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আনুকুল্য এবং কৃপা লাভের জন্য দেশের প্রধান দুটি দল যেভাবে প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয়েছে তাতে আবারো প্রমানিত হল এ দেশের শাসকগোষ্ঠী যতোই জনগণের কথা বলুক না কেন তাদের মূল কাজ হচ্ছে সাম্রাজ্যবাদীদের সেবাদাসত্ব করে ক্ষমতার স্বাদ আস্বাদনের প্রয়াস চালানো। আর হাসিনা সরকারও বিদেশি প্রভুদের আনুগত্য করতে পিছিয়ে নেই। তিনি ভারতের দালালীতে ১০০ তে ১০০০ নম্বর পেয়ে গেছেন, ভারতকে ট্রানজিট, ট্র্ন্সশিপমেন্ট সবই দিলেন, বন্দর ব্যাবহারের সুবিধা দিলেন, ভারতের কোম্পানি সাহারার সাথে বাংলাদেশের আবাসন খাতে বিনিয়োগের অবৈধ সুযোগ দিলেন, ভারতের একজিম ব্যাংক থেকে উচ্চ হারে ঋণ নিলেন, ভারতের কোম্পানির সাথে এইতো কিছুদিন আগে রামপালে তাপ বিদ্দুতকেন্দ্র প্রতিষ্ঠার চুক্তি করলেন যার ফলে সুন্দরবন ধংসের আশংকা দেখা দিয়েছে!
এরপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেবা দাসত্ব হাসিনা সরকারও কম করছেনা। উৎপাদন বণ্টন চুক্তির (পি এস সি) মাধ্যমে হাসিনা সরকার দেশের ৮০% গ্যাসের মালিকানা সাম্রাজ্যবাদীদের বহুজাতিক কোম্পানির হাতে তুলে দিয়েছেন! বাংলাদেশের তেল গ্যাস এখন মার্কিন কোম্পানি শেভ্রন, কনকোফিলিপ্স , ব্রিটিশ কোম্পানি তাল্লো, কেয়ারন্স, সান্তোস এর দখলে। দেশের প্রাকৃতিক সম্পদ এভাবে বিদেশিদের লুণ্ঠনের সব আয়োজন সম্পন্ন করেছেন হাসিনা! এখন আবার ফুলবাড়ির কয়লা এশিয়া এনার্জির মাধ্যমে উন্মুক্ত পদ্ধতিতে উত্তোলনের সুযোগ করে দেয়ার চেষ্টা করছেন এই সরকার!!
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে টিকফা চুক্তি সাক্ষরের কাছাকাছি চলে এসেছেন এই সরকার। আকসা চুক্তির ব্যাপারেও আলোচনা চলছে। সন্ত্রাস দমন, আন্তর্জাতিক অপরাধ তদন্ত এবং এসব বিষয়ে বিশেষজ্ঞ বিনিময়ের কাজে বাংলাদেশ সরকারকে সহায়তা দেয়ার নামে বাংলাদেশে এফবিআই’র একজন স্থায়ী প্রতিনিধি নিয়োগ দানে ইতোমধ্যেই সরকার যুক্তরাষ্ট্রের সাথে চুক্তি করেছে। মূলত এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী ্যে কোন আন্দোলন প্রতিরোধের যাবতীয় কৌশল প্রণয়ন এবং বাস্তবায়নের জন্যই এফবিআই’র স্থায়ী প্রতিনিধি কাজ করবেন।

এভাবে হাসিনার লীগও আমেরিকার আনুগত্য বজায় রেখেই দেশ চালাচ্ছেন। কে কত বেশি মার্কিন দাসত্ব বরণ করতে পারেন তার নির্লজ্জ খেলা দেখতে হচ্ছে আমাদের। স্বাধীনতা আর মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযদ্ধের চেতনা সবই এখানে মুখের বুলি!

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:২২

পারভেজ আলম বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার এই মন্তব্যটি তাদের ভুল ভাঙাবে অথবা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেবে যারা খালি একদলের দোষ দেখে আরেক দলের টা দেখেনা। আমার এই পোস্টের চমৎকার সংযোজন হয়ে থাকলো আপনার এই মন্তব্যটি।

১০| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:২৩

বিবাগী বাউল বলেছেন: যেখানে বেগম জিয়ার উচিত দেশের একজন অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দলের চেয়ারপার্সন হিসেবে বাংলাদেশের সব পণ্যে ন্যায্য জিএসপি সুবিধা দানের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের কাছে আহবান জানানো সেখানে তিনি উল্টো বর্তমান সরকারের উপর শাস্তিস্বরূপ “জিএসপি” সুবিধা বাতিলের মত অবরোধ আরোপের আহবান জানান কিসের ভিত্তিতে? বাংলাদেশ যদি চরম একনায়কতান্ত্রিক শাসনেও চালিত হয় তারপরও বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার এলডিসিভুক্ত সদস্য হিসেবে জিএসপি সুবিধা বাংলাদেশের প্রাপ্য। বাংলাদেশের পোশাক খাতে জি এস পি সুবিধা না দিলে কিংবা যে কয়েকটি পণ্যে এই সুবিধা বহাল আছে তাও বাতিল করলে মূলত ক্ষতি হবে এদেশের খেটে খাওয়া আপামর জনসাধারণের । এদেশের রাজনৈতিক নেতারা কতটা দেউলিয়া হলে এবং ক্ষমতার নেশায় কতটা অন্ধ হলে দেশের অর্থনীতির জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর “জিএসপি” বাতিলের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের কাছে আবেদন জানাতে পারেন?

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:১৪

পারভেজ আলম বলেছেন: দলের চেয়ে দেশ ওনার কাছে বড় হয়ে উঠেনাই, স্লোগানটা খালি স্লোগানই থেকে গেলো।

১১| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:০৪

অনিক আহসান বলেছেন: এধরনরে একটা প্রবন্ধ লেখা ও বিদেশী পত্রিকায় ছাপানোর জন্য প্রথমতই খালেদা জিয়া রাজনৈতিক ভুল ও একি সাথে অন্যায় করেছেন। এই প্রবন্ধ তার দলের মোটো " ব্যাক্তির চেয়ে দল বড় দলের চেয়ে দেশ বড়" এই শ্লোগানের সম্পুর্ন বিপরীত। যে বা যাদের পরামর্শে খালেদা জিয়া এই লেখা লিখছেন তারা বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের পরিস্কার শত্রু। তারা ব্যাক্তি খালেদা জিয়ার ইমেজ ও রাজনৈতিক ওজনকে ব্যাবহার করে নিজের বা নিজেদের সুবিধা লাভ করতে চাইছেন।

খালেদা জিয়ার ৩০ বছরের জাতীয়তাবাদ সংশ্লিস্ট রাজনৈতিক ক্যারিয়ার থাকা সত্যেও তার "জাতীয়তাবাদ চেতনা" ধারন করার ক্ষেত্রে বিচার বিবেচনাহীনতার সবচেয়ে বাজে উদাহরন সম্ভবত এবারই উনি দিচ্ছেন। তার জীবনের এইবারই শেষবারের মত প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সুযোগ ও সমস্যায় থাকা পরিবারের সদস্যদের উদ্ধারে কিছুটা মরিয়া থাকায় তার বিচার বুদ্ধি লোপ পাইছে।তিনি অন্ধভাবে শেখ হাসিনা বা আওয়ামী লীগের নেগেটিভ দিকগুলিকে অনুসরন করতে চাচ্ছেন বিভিন্ন ভাবে যা তার জন্য রাজনৈতিক মৃত্যুও ডেকে আনতে পারে। শেখ হাসিনার রাজনীতির ও পররাস্ট্রনীতির সাথে তার রাজনীতি পররাস্ট্রনীতির সুস্পস্ট পার্থক্য থাকার কারনেই তিনি গৃহবধু থেকে দুইবার প্রধানমন্ত্রী হতে পারছেন তা ভুলে গেলে তার রাজনৈতিক বিপদ বাড়বে।


যারা জাতীয়তাবাদে বিশ্বাস করেন তাদের প্রতি আহবান রাজনীতিকে গোত্রবাদের মত না দেখে রাজনীতির মত দেখুন। আমরা রাজনীতি সচেতন কোন গোত্রের অন্তর্ভুক্ত না যে গোত্রপ্রধানের যেকোন ভুলকে অলঙ্ঘনীয় নির্দেশ হিসাবে ডিফেন্ড করতে হবে। "বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ" নামের রাজনৈতিক মতবাদ কোন একজন ব্যাক্তি খালেদা জিয়ার চাইতে অনেক বেশি অর্থবহ ও গুরুত্বপুর্ন।

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:১৯

পারভেজ আলম বলেছেন: দারুন মন্তব্য করেছেন ভাই। চেতনা, আদর্শ এই বিষয়গুলাকে যদি বিএনপি সমর্থকরা এমন সিরিয়াসলি নিতো তাইলে বাংলাদেশের রাজনীতির একটা ভালো ভবিষ্যত থাকতো।

১২| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:০৪

তানভীর চৌধুরী পিয়েল বলেছেন: ধিক্! শত ধিক্!

নিজের দীনতাকে তিনি এভাবে প্রকাশ না করলেও পারতেন।

যে বীরের জাতি লড়াই করে স্বাধীনতা এনছে, সেই জাতিকে খালেদা জিয়া লজ্জার সাগরে ডুবিয়ে দিলেন।

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:২০

পারভেজ আলম বলেছেন: সেটাই

১৩| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:২৭

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: ভোটের রাজনীতিতে সব জায়েজ ;)


অনিক আহসান বলেছেন: এধরনরে একটা প্রবন্ধ লেখা ও বিদেশী পত্রিকায় ছাপানোর জন্য প্রথমতই খালেদা জিয়া রাজনৈতিক ভুল ও একি সাথে অন্যায় করেছেন।

সহমত

১৪| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৩০

এডওয়ার্ড মায়া বলেছেন: আমাদের মত নিম্মমানের জাতি রা খালেদা জিয়া কে ধিক্ককা দেয়া ছাড়া আর কিছুই করার নেই।শত ধিক!! যাহারা নিজের দেশ কে অন্যের কাছে ছোট করে।

১৫| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:২০

রাসেল মেটামোরফোজ বলেছেন: অবাক হইনি। কারণ বাংলাদেশের তথাকথিত গনতন্ত্রে এসব অনেক দিন ধরেই চলছে।
২০০৫ সালে নিউইয়র্কে শেখ হাসিনা, জয় আর আওয়ামিলিগ নেতারা প্রকাশ্যে জাতিসংঘ ভবনের সামনে দাড়িয়ে শ্লোগান তুলেছিল "বাংলাদেশ মৌলবাদী-তালেবান রাষ্ট্র",মার্কিন হামলার পরবর্তী টার্গেট হওয়া উচিত বাংলাদেশ।"

১৬| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:২৪

নাজমুল৪৩৩ বলেছেন: ম্যাডাম জিয়া আদার মত কাজ করেছেন। আদা মানে জানেন তো ?????

১৭| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:২৯

পাব্লিক বলেছেন: দেশের ভেতরে বা বাইরে সরকারের সমালোচনা করলেই তা রাষ্ট্রদ্রোহ হয় না। এর আগে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল, ইকোনমিস্ট, ওয়াশিংটন পোস্ট, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালসহ নয়টি প্রতিষ্ঠান সরকারের বিভিন্ন বিষয়ে খালেদা জিয়ার চেয়ে আরও বেশি সমালোচনামূলক প্রতিবেদন প্রকাশ করে্ছিল।

বিশ্ব দরবারে ফ্যাসিস্ট জালেম সরকারের কুকর্মের কিছু তথ্য তুলে ধরার জন্য খালেদা জিয়াকে ধন্যবাদ।

১৮| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৫১

ঠোঁটকাটা বলেছেন: আমিতো সরাসরি লেখাটা পড়তেই পারলাম না। ওয়াশিংটন টাইমস এর অন্যান নিউজ ঠিকই পড়তে পারছি। কিন্তু ওই লেখাটাতেই ঢুকতে পারছি না। আর কারো এই সমস্যা হচ্ছে?

১৯| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৯

চলতি নিয়ম বলেছেন: অথচ সামুর পার বিএনপি ব্লগার এটার ও সাফাই গাইছে।

বুঝলাম না দলের ভেতর থেকে দলের এত বড় ক্ষতি কারা করলো ? =p~

২০| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৪

রাতুল রেজা বলেছেন: খালেদা জিয়া ইংলিশে আর্টিকেল লিখসে B:-) B:-)

২১| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৪

আব্দুল্লাহ সিদ্দিকী বলেছেন: এত লম্বা পোস্ট পড়ার ধৈর্য্য পাইলাম না। বিরক্তকর বর্ণনা।

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:১৮

পারভেজ আলম বলেছেন: আপনার মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ। তবে ভবিষ্যতে আমার ব্লগে না আসলেই ভালো করবেন, আমি বড় পোস্ট দেই। আমার যারা নিয়মিত পাঠক তাদের ধৈর্য্য ধরে পাঠ করার অভ্যাশ আছে। যারা ছোট পোস্ট দেয় আপনি তাদের লেখা পড়ুন। সবকিছু সবার জন্যে না।

২২| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৯

সংকেত মাহমুদ বলেছেন: "১৯৭১ সালে স্বাধীনতার সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ছিল অন্যতম দেশ, যারা আমাদের আত্মনির্ধারণের অধিকারকে স্বীকৃতি দিয়েছিল"।।বেজি ।

আমরা সকলেই জানি ১৯৭১ সালে স্বাধীকার আদায়ের সংগ্রামে মার্কিন যুক্তরাষ্টের ভুমিকা কি ছিল।স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃতি করে বেগম জিয়া তার এই কথাটির মাধ্যমে একজন স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃতিকারী পরদেশের নির্লজ্জ দালাল হিসেবে ইতিহাসের পাতায় নিজেকে অমর করে রাখলেন।
১৯৭১ সালে স্বাধীনতার সময় আমেরিকা আমাগো পক্ষে ছিল ?? Article টাতে বেজি -ছাগু এইডা কি কইলো :-P:-P:-P???
যত সব বেকুব । তয় আমরা কিন্তু এইসব বেকুবের কথা শুইনা বিয়াপুক বিনোদন পাই :P:P:P:P

২৩| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৯

এ্যাংগরী বার্ড বলেছেন: রাতুল রেজা বলেছেন: খালেদা জিয়া ইংলিশে আর্টিকেল লিখসে B:-) B:-)

হিঃ হিঃ হি;.।.।.।.।.।.।.।.।.।

২৪| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:২০

কালো ঘোড়ার আরোহী বলেছেন: "১৯৭১ সালে স্বাধীনতার সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ছিল অন্যতম দেশ, যারা আমাদের আত্মনির্ধারণের অধিকারকে স্বীকৃতি দিয়েছিল"

হায় আল্লাহ!!! এখানে আমাদের বলতে তিনি কী বুঝালেন?? তার নিশ্চয়ই এটা জানা আছে যে, '৭১-এ যুক্তরাষ্ট্র কাদের স্বার্থরক্ষার চেষ্টা করেছিল? তাহলে তিনি কি নিজেকে এত স্পষ্টভাবে ফাকিস্তানীদের দোসর হিসেবে স্বীকার করে নিলেন??? B:-) B:-)

২৫| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৫১

জেনারেশন সুপারস্টার বলেছেন: খালেদা জিয়া ইংলিশে আর্টিকেল লিখসে B:-) B:-)

২৬| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৫৫

মাজহারুল হুসাইন বলেছেন: মজার বিষয় হল বেগম জিয়াকে নিয়ে লেখায় সব ভারতের দালালরা উপস্থিতি দিয়ে পেমেন্ট হালাল করে গেলেন । দয়া করেসুন্দরবনে ইন্ডিয়ার থাবা! দালালী করবেন না যুদ্ধ? এ পোস্টে গিয়ে আপনার সুচিন্তিত মতামত দিয়ে কিছুটা বাংলাদেশী হন ।


অটঃ আমি লিন্ক খুজে পেলাম না । লিন্ক হবে ওয়াশিংটন পোস্টের ?

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:১৬

পারভেজ আলম বলেছেন: Click This Link

২৭| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:০০

আলাপচারী বলেছেন: thoughtful indeed. your spelling mistake diluted the article. The "Eskimo" said clearly. and your last line is important. BNP is downing.

২৮| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:১৫

সরোজ রিক্ত বলেছেন: যথারীতি ছাগলীয় প্রলাপ, হাসিনার মুখপাত্র।

২৯| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:২৭

টয় বয় বলেছেন: বামপন্হী যে আওয়ামীলীগের পোষ্য ভৃত্য তা আরেকবার প্রমান না করলেও পারতেন, আমরা সবাই সেই সত্য জানি|



এই বার বলেনতো আপনি ও আপনার মত আওয়ামী বামরা কোথায় ছিলেন যখন এই ৪ বছর আগে আম্লীগ ভারত-আমেরিকা-ইংল্যান্ডের দালালী কইরা ক্ষমতায় আসলো??

খালেদা যা লিখেছে, একটি লাইনও মিথ্যা না| সত্য লিখেছে, আওয়ামীলীগ কান্তাছে কেন??

হাসিনা যখন ইউরোপ-আমেরিকা-জাতি সংঘ স হস সব দেশের দূতাবাসে চিঠি লিখছিল, সেইটা কি ভুইলা গেল আম্লীগ??

অস্ট্রেলীয়া থেকে স্যার নিনিয়ানকে ডেকে এনে মাতাব্বরি করার সুযোগ দিয়েছিল আম্লীগ ও হাসিনা|

মাত্র ৪ বছর আগে আমেরিকা-ভারত-বৃটেনের সাথে হাসিনার গোপন বৈথক কি সবাই ভুইলা গেছে??

এখন খালেদা যা করেছে, ঠিক করেছে, আম্লীগের যায়গামত পেপার স্প্রে দিয়েছে, জ্বলছে আম্লীগের, জ্বলছে!!!!

৩০| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৫৫

নুরুজ্জামান মানিক বলেছেন: দারুণ লিখেছেন পারভেজ

৩১| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:০৯

ভাম_বেড়াল বলেছেন: দেশের সেরা জাতীয়তাবাদীর এই - প্লীজ হেল্প মী ওবামা - স্টাইলের আর্টিকেল দেখে আমি হেসেছিলুম, এবং দু:খিত হইনাই, আবারও হাসছি। কারণ এটা রাজনীতি নয়, বরং নিখাদ বিনুদুন। বিনুদুন থেকে নিজেকে বঞ্চিত করার কোনও কারণ পাইনা B-))

দুচারটে গালি যে দেইনি এমনও নয়। মানুষ যখন গালি দেয় তখন সিরিয়াস হয়েই দেয়। আম্রিকা হল সেইসব *** ** দেশগুলির একটা, যারা কিনা বাংলাদেশকে আদৌ স্বাধীনতার স্বীকৃতি দেবে কিনা তাই নিয়ে দীর্ঘদিন দ্বিধাদ্বন্দে ছিল। এখন তথাকথিত জাতীয়তাবাদীরা এদের তেল দিতেছে X((

৩২| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৮

জেনারেশন সুপারস্টার বলেছেন: বরাবরি সংস্কৃতি এবং বুদ্ধিবৃত্তির প্রতি অনাগ্রহী এই দলটির একটি তরুন সমর্থক শ্রেণী এখন
গড়ে উঠেছে যারা বুদ্ধিবৃত্তির মাধ্যমে দলটির রাজনৈতিক আদর্শ ও কাজকে ব্যাখ্যা করতে আগ্রহী-নাজমুল হুদারে এটিএন বাংলায় রবীন্দ্রসংগীত গাইতে দেখসি B-)) উনি তো আবার বিন্পি ছাইড়া
দিসেন :!> সুতরাং ভারত বিদ্বেষ টিকে থাকলেও হিন্দু বিদ্বেষ বিলুপ্ত হতে পারে,তার জন্যে ভারত বিরোধী রাজনীতির প্রগতিশীল নির্মান প্রয়োজন /:) কথাটার দাম আছে /:)

৩৩| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:১১

জেনারেশন সুপারস্টার বলেছেন: বিএনপির রাজনীতির একটা বড়অংশের উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হল বিরোধীমতাদর্শীদের কাজের একটা নেগেটিভ মিনিং বের করা।আপনি করলেন কিছু একটা,কিন্তু তার আরেকটা অর্থ বের করে নিজেদের ভেতর ফূর্তি করে তৃপ্তি পাওয়া।এদের বড় একটা অংশই চক্ষুলজ্জার কারণে জামায়াত করতে পারেনা।ফলে এক যুগ থেকে আরেক যুগে অতিক্রমের পর জাতীয়তাবাদের একটা প্ল্যাটফর্ম তৈরী করার চেষ্টা করলেও তা কালের আবর্তনে জামায়াতবান্ধব আদর্শে পরিণত হয় এবং এর মাধ্যমে চতুর জামায়াত কিভাবে এদেশে রাজনীতি করবে তা বিএনপির কাছ থেকে শিখে নিতে পারে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.