![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
'সাত কোটি জয় বাংলার বীর!
ভয় করি নাকো কোন
বেয়নেট আর বুলেটের ঝড় ঠেলে
চির বিজয়ের পতাকাকে দেবো, সপ্ত আকাশে মেলে
আনো দেখি আনো সাত কোটি এই দাবির মৃত্যু তুমি
চির বিজয়ের অটল শপথ
জয় এ বাংলায় তুমি...'
- শহীদ কবি মেহেরুননেসা
কবি মেহেরুননেসার কথা কি আমরা ভুলে যাবো? তার হত্যার এই বিচার? ১৫ বছরের কারাদন্ড! কবি মেহেরুননেসা ‘জনতা জেগেছে’ কবিতা লিখে বাঙালির জাগরণের পক্ষে কথা বলেছেন, তাতে পাকিস্তানীদের শত্রু হয়েছেন, রাজাকারদের শত্রু হয়েছেন। ২৭ মার্চ, ১৯৭১ তাকে হত্যা করা হয় বাঙালির মুক্তি সংগ্রামের পক্ষে কাজ করায়। তাকে এবং তার পরিবারের প্রত্যেক সদস্যকে কেটে টুকরা টুকরা করা হয়, মাথা কেটে সিলিং ফ্যানে ঝুলিয়ে দেয়া হয়। এই হত্যাকান্ডে প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ করেন কাদের মোল্লা। এই হত্যাকান্ড প্রমানিত হওয়া সত্ত্বেও রায়ে কাদের মোল্লাকে ১৫ বছরের কারাদন্ড দেয়া হয়েছে। এই রায় প্রহসন, এই রায় বেঈমানী। এই রায় আমরা মানবোনা। মেহেরুননেসার রক্তের সাথে বেঈমানী মেনে নেয়া হবেনা।
যুদ্ধাপরাধীদের মধ্যে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর একজন এই কাদের মোল্লা। ‘মিরপুরের কসাই’ নামে কূখ্যাত এই রাজাকারের বিরুদ্ধে যদি ন্যাজ্য বিচার না হয় তাইলে কার বিরুদ্ধে হবে? পলাতকের ফাসির রায় হয়, যে জেলে আটক তার হয় যাবজ্জিবন। বিচারের নামে প্রহসন হচ্ছে। রাজাকারের সাথে আপোষ হচ্ছে। এই আপোষ, এই বেঈমানী মেনে নেয়া হবেনা। আমরা লড়াই করবো। ব্লগে, ফেসবুকে, রাজপথে। বিন্দুমাত্র ছাড় দেয়া হবেনা। দলীয় এবং গোষ্ঠিগত স্বার্থে কেউ জনতার সাথে বেঈমানী করবেন না। দল মতের ঊর্ধে উঠে রাজাকারের বিচার দাবির জন্যে লড়াই শুরু করুন। এক দফা এক দাবি, “আমরা কাদের মোল্লার ফাঁসি চাই”।
এটা ছিয়ানব্বই সাল না। এটা ২০১৩ সাল। মেহেরুননেসার রক্তের কসম, আমরা লড়াই থামাবোনা, বাঙলার মাটিতে রাজাকারের ঠাই নাই।
আগামীকাল বিকাল ৬ ফেব্রুয়ারী বিকাল ৫টায়, “জাতীয় স্বার্থে ব্লগার অনলাইন একটিভিস্ট” ফোরামের ব্যানারে আমরা একজোট হচ্ছি। প্রেসক্লাবে সমাবেশ এবং তারপরে শিখা চিরন্তন পর্যন্ত মশাল মিছিল। সমাবেশে পরবর্তি কর্মসূচী ঘোষনা করা হবে। আমাদের সাথে যোগ দিন। প্রত্যেক ব্লগার ও অনলাইন একটিভিস্টের কাছে আহবান রইলো, প্রত্যেক ব্লগ এবং প্রত্যেক ফেসবুক গ্রুপ এবং পেজএর কাছে আহবান রইলো নিজ নিজ ব্যানার নিয়ে উপস্থিত হন। আমি আগেো বোলেছি, আবারো বলছি, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার আমাদেরকেই করতে হবে। নির্বাচনী ভোট ব্যাংক সদৃশ্য রাজনৈতিকদলগুলার কাছে কিছু আশা করে লাভ নাই।
সুতরাং জাগুন। আমরা না জাগলে সকাল হবেনা।
ষোল কোটি জয় বাংলার বীর!
ভয় করি নাকো কোন
বেয়নেট আর বুলেটের ঝড় ঠেলে
চির বিজয়ের পতাকাকে দেবো, সপ্ত আকাশে মেলে
আনো দেখি আনো ষোল কোটি এই দাবির মৃত্যু তুমি
চির বিজয়ের অটল শপথ
জয় এ বাংলায় তুমি
২| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:০২
শরৎ চৌধুরী বলেছেন: থু থু থু থু থু থূথু থু থু থু থু থূথু থু থু থু থু থূথু থু থু থু থু থূথু থু থু থু থু থূথু থু থু থু থু থূথু থু থু থু থু থূথু থু থু থু থু থূথু থু থু থু থু থূথু থু থু থু থু থূথু থু থু থু থু থূথু থু থু থু থু থূথু থু থু থু থু থূথু থু থু থু থু থূথু থু থু থু থু থূথু থু থু থু থু থূথু থু থু থু থু থূথু থু থু থু থু থূথু থু থু থু থু থূথু থু থু থু থু থূথু থু থু থু থু থূথু থু থু থু থু থূথু থু থু থু থু থূথু থু থু থু থু থূথু থু থু থু থু থূথু থু থু থু থু থূথু থু থু থু থু থূথু থু থু থু থু থূথু থু থু থু থু থূথু থু থু থু থু থূথু থু থু থু থু থূথু থু থু থু থু থূথু থু থু থু থু থূথু থু থু থু থু থূথু থু থু থু থু থূথু থু থু থু থু থূথু থু থু থু থু থূথু থু থু থু থু থূথু থু থু থু থু থূথু থু থু থু থু থূথু থু থু থু থু থূথু থু থু থু থু থূথু থু থু থু থু থূথু থু থু থু থু থূথু থু থু থু থু থূথু থু থু থু থু থূথু থু থু থু থু থূথু থু থু থু থু থূথু থু থু থু থু থূথু থু থু থু থু থূথু থু থু থু থু থূথু থু থু থু থু থূথু থু থু থু থু থূথু থু থু থু থু থূথু থু থু থু থু থূথু থু থু থু থু থূথু থু থু থু থু থূথু থু থু থু থু থূথু থু থু থু থু থূথু থু থু থু থু থূথু থু থু থু থু থূথু থু থু থু থু থূ
৩| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:০২
দুরন্ত ইসলাম বলেছেন:
রাজাকারদের একটা বাল ছেড়ার সাহস এদেশের কারো হয়নি!
৪| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:০২
নিঃসঙ্গ ঢেউ বলেছেন: আপনার সাথে এর আগে ভালো বাক্য বিনিময় হয়নি। বামদের আমি পছন্দ ও করি না। কিন্তু কাল আশা করছি আসবো। এই ইস্যুতে দ্বিমতের কোন স্থান নেই।
৫| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:০৫
নেক্সাস বলেছেন: আসছি এবার...
থু থু থু থু...
৬| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:০৬
রেজোওয়ানা বলেছেন:
নির্বাচনী ভোট ব্যাংক সদৃশ্য রাজনৈতিকদলগুলার কাছে কিছু আশা করে লাভ নাই।
সুতরাং জাগুন। আমরা না জাগলে সকাল হবেনা।
৭| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:০৬
আহমেদ রশীদ বলেছেন: আরে ভাই ফাঁসি হবে একটু ধৈয্য ধরেন এটা আওয়ামীলীগের চাল দেখাবে মুরগী খাওয়াবে ডাল।
৮| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:২৬
ইনকগনিটো বলেছেন: আর একবার মুক্তিযুদ্ধ করতে পারবো।
৯| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:২৭
মঙ্গল গ্রহের যাত্রী বলেছেন: রাজনীতিতে শেষ বলে কিছু নাইরে ভাই সবই ষড়যন্ত্র
১০| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:৩৮
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: সাথে আছি। অবশ্যই আসব।
১১| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:০০
মোঃ নুর রায়হান বলেছেন: আমার থুতুর তো দাম আছে ভাই ।সাথে আপনারও। চলুন সবাই মিলে কাদের মোল্লার মুলে মলত্যাগ করি।
তাতে যদি মেহেরুননেসার আত্মার কিছুটা শান্তি হয়।
১২| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:০২
মোঃ নুর রায়হান বলেছেন: * মুখে।
১৩| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:০৩
প্রত্যাবর্তন@ বলেছেন: স্রেফ ফাঁসি চাই ।
১৪| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:০৭
গোসাই বলেছেন: অসংখ্য গনহত্যা আর ৩০লক্ষ মা বোনের রক্ত নিয়ে যারা আনান্দ করেছে সেই সব রাজাকারদের কিনা স্বাধীনদেশের মানুষের টাকায় জেলে ভাত মাছ খাওয়াবো এ রায় আমি মানি না ।রাজাকারের ফাঁসি চাই !রাজাকারের ফাঁসি চাই ।
১৫| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৯
ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন:
শত বছর পড়ে বাংলার মাটিতে ভুল করেও যদি,
কেউ ‘রাজাকার’ শব্দ উচ্চারন করে বসে,
বলছি আমি, সত্যি হবে, দেখিস তোরা,
যে মুখ এই শব্দ উচ্চারন করবে,
সেই মুখ ঘৃণায় কালো হয়ে যাবে।
যে কান এই শব্দ শুনবে,
সেই কান তীর্থে যাবে পবিত্র হতে।
আমরা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে,
এক ঘৃণার অগ্নিগিরি পুতে দিয়ে যাব !
এই রায় মানিনা,
যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসি চাই।
১৬| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৬
আদিম পুরুষ বলেছেন: অবস্থা আরো খারাপ, ট্রাইবুনাল মুক্তযুদ্ধ আমাদের মা বোন দের , শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের ও অপমান করল। শুন্তেছি ট্রাইবুনাল নাকি বলেছে ৩০ লক্ষ শহীদ হয়নি। শহীদ সংখ্যা নাকি ৩ লক্ষ। বি বি সি এই রেফারেন্সে খবর ছেপেছে। দেশ কে আর ধর্ষণের বাকীটা রাখলো কোথায়।
১৭| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:০০
স্বপনবাজ বলেছেন: Defeat of history ...............
১৮| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:১১
তুহিন সরকার বলেছেন: কসাই কাদের সহ অন্যান্য মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি চাই, ফাঁসি।
©somewhere in net ltd.
১|
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:০০
গেদু চাচা বলেছেন: পলাতক যুদ্ধাপরধী বাচ্চু রাজাকরের ফাঁসি হয়েছে। কিন্তু একি অপরাধে কাদের মোল্লার হল যাবজ্জীবন। সত্যি সেলুকাস ! বিচিত্র আওয়ামী দুনিয়া !
যুদ্ধাপরাধী বিচার নামক লাটিম খেলায় নৈতিক পরাজয় ঘটেছে আওয়ামিলীগের। সেই সাথে উন্মোচিত হয়েছে আওয়ামী ভন্ডামীর মুখোশ।
যে আোয়ামীলিগ স্বাধীনতার চেতনার ফেরী করে বেড়ায় সেই আওয়ামিলীগই বারবার স্বাধীনতার সত্যিকার চেতনা কে ভূলন্ঠিত করে আওয়ামী চেতনার উৎকর্ষ সাধন করেছে। সেই ৭২ থেকে শুরু। বাকশাল কায়েক করে আওয়ামীলিগ গনতন্ত্রের টুটি চেপে ধরেছিল। আওয়ামিলীগের চেলা চামুন্ডা থেকে শুরু করে নেতা পাতি নেতা এবং কি বঙ্গবন্ধু তনয় শেখ কামাল গং রাহাজানি আর লুটতরাজ করে একটি স্বনির্ভর সাম্যবাদি অর্থনীতির স্বপ্ন কে হত্যা করেছিল। জাতি উপহার পেয়েছিল দূর্ভিক্ষের দুসঃহ দিন। ঐসব কি স্বাধীনতার চেতনা পরিপন্থি ছিলনা?
আওয়ামিলীগই পরাজিত শক্তি জামাত শিবির কে রাজনীতিতে শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছিল। ১৯৯৬ সালের আওয়ামিলীগের নেতৃত্বে যে সহিংস আন্দোলন হয়েছিল তার নৈপথ্য কুশিলব ছিল জামাত শিবির ক্যাডারারা। সেদিন শিবির- ছাত্রলীগ ছিল এক বৃন্তের দুটি ফুল। সেদিন হাসিনা- নিজামী একসাথে বশে নৈরাজ্যের নীল নকশা তৈরি করেছিলেন। সেদিন রাস্তায় মানুষ মরেছে। গাড়ি পুড়েছে ! রাস্তায় দিগম্বর করা হয়েছে অফিসগামী প্রজাতন্ত্রের অশায় চাকর কে। সেদিন কি স্বাধীনতার চেতনা ভূলন্ঠিত হয়নি?
সেদিন ছাত্রদলের ক্ষমতা ছিল ছাত্রলীগ কে প্রতিহত করার। কিন্তু জামাত- লীগের যৌথ প্রযোজনায় সৃষ্ট সহিংসতায় নতি স্বীকার করে বিএনপি সরকার। পরবর্তিতে বিএনপি বুঝতে পারে জামাতের ক্যারিশমেটিক ক্ষমতার কথা। আর তাই ২০০১ সালে এসে ক্ষমতার ইঁদুর দৌঁড়ে আদর্শকে জলাঞ্জলি দিয়ে জামাতের সাথে জোট গড়ে তুলে বিএনপি। সফলও হয় বিএনপি।
আর তখনই শুরু হয় আওয়ামিলীগের যুদ্ধাপরাধী নামক লাটিম খেলা। যুদ্ধাপরাধীর বিচার নামক লাটিম ঘুরিয়ে তারা জনগন কে ভিব্রান্ত করতে থাকে। গত চার বছরে আওয়ামি রাজনীতির শত ব্যার্থার ইতিহাসের সামান্তরালে প্রবাহিত হয়েছে যুদ্ধাপরাধী বিচার নামক চর্বিত চর্বনের ইতিহাস। আওয়ামী ব্যার্থতা ও দুঃশাসনের সকল প্রতিবাদ কে তারা যুদ্ধাপরাধীর বিচার নামক লাটিমের ঘূর্ণায়মান পৃষ্ঠে টেনে এনে জাতিকে বিভ্রান্ত করেছে।
যুদ্ধাপরাধীর বিচার এদেশের গনমানুষের দাবি। অথচ সেই দাবি নিয়ে চরম রাজনীতির নগ্ন খেলা খেলেছে আওয়ামিলীগ। আজ আওয়ামীলিগের সেই ভন্ডামীর মুখোশ অনেকটাই উন্মোচিত। জামাতের প্রথম আশ্রয় আওয়ামিলীগ কোনদিনই নৈতিক বা চেতনার জায়গা থেকে যুদ্ধাপরাধীর বিচার চায়নি। অবশ্য সেটুকু চাওয়ার নৈতিক ভিত্তিও তাদের নেই। খোদ আওয়ামী রাজনীতির তল্পি বাহক এখনো অনেক চিহ্নিত রাজাকার। রাজাকারের ঔরষে আত্মীয়তার সম্পর্ক পেতেছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী। আওয়ামীলিগের সাধারণ সম্পাদক এখনো ঘুরে বেড়ান রাজাকার এপিএস কে সাথে নিয়ে।
আওয়ামিলীগ শুধু চেয়েছে যুদ্ধাপরাধের বিচার নিয়ে আমজনতার যে আবেগ তা নিয়ে ঘৃণিত রাজনীতির পসরা সাজাতে। এবং এতদিন তারা তাতে সফলও হয়েছে। ভোটের রাজনীতিতে আওয়ামীলিগের বড় ভয় বিএনপি জামাতের জোট। তাই তারা জোট ভাঙ্গনের সকল চেষ্ঠায় রত থেকেছে গত চার বছরের প্রতিটি দিন। আর আওয়ামীলিগের সেই যুদ্ধের বড় হাতিয়ার ছিল " যুদ্ধাপরাধীর বিচার নিয়ে জনগনের আবেগ।
কিন্তু নির্বাচন ঘনিয়ে এসেছে। নিজেদের অধীনে একদলীয় নির্বাচন করতে মরিয়া পায়ের নীচে মাটি হারানো ব্যার্থ আওয়ামীলিগ। কিন্তু কিভাবে? চারদলীয় জোটেতো ভাঙ্গন ধরানো যায়নি। ঐদিকে পতিত স্বৈরাচার আওয়ামী আঁচল ছেড়ে একক নির্বাচনের দিকে এগুচ্ছে। এই অবস্থায় আওয়ামীলিগের সামনে একটাই পথ পুরনো বন্ধুর কাছে ফিরে যাওয়া। আবার অপরদিকে আমজনতার প্রত্যাশা !
এখানেও রাজনীতি করলো আওয়ামিলীগ। পলাতক যুদ্ধাপরাধী এবং জামাতের রাজনীতিতে ইনএক্টিভ বাচ্চু রাজাকারের ফাঁসি দিয়ে জনগনের মুখে কুলুপ এটে দিল। তারপর জামাত কে দিয়ে কৌশলে সারা দেশে সহিংস রাজনীতির জন্মদিল। সরকারের নির্দেশে পুলিশ মার খেল। শিবিরের সহিংসতায় জনগন ভীত হল। জনগন বলা শুরু করলো শিবিরই দল। বিএনপি একটা দূর্বল দল। এরা পারেনা আওয়ামী পুলিশের সাথে যুদ্ধ করতে। পারে শিবির। জয়তু শিবির !
পত্রিকায় খবর আসলো পর্দার আড়ালে জামাত- লীগের পুরনো সখ্যতার স্মৃতিচারণের। জামাত-লিগের আঁতাতের খবর ছড়িয়ে পড়ল দেশে। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম নিজেই সেই ইঙ্গিত দিলেন। একসময় রাজধানীর রাস্তায় যুদ্ধাপরাধীদের মুক্তি চেয়ে প্রকাশ্য রাজপথে সভা করার অনুমতি পেল জামাত। ফুল দিয়ে একে অপরকে বরণ করে নিল জামাত আর গোপালগঞ্জের পুলিশ। প্রকাশ্য জনসভায় গৃহযুদ্ধের হুমকি আসলো। বাহ ! বাংলাদেশ বাহ!!
তারপর ! হ্যাঁ তারপর সবকিছুই সরল সমীকরণ! থেমে গেল ঘূর্নায়মান লাটিম। কসাই রাজাকের ফাঁসি হলনা। লোক দেখানো রায় হল যাবজ্জীবন।বন্ধুত্বের নব দিগন্ত উন্মোচনের দিনে বিজয়ের হাসি হাসলো জামত শিবির। মাঝখানে লাশ হল অসহায় বাস যাত্রীর। জয় হল সহিংস রাজনীতির। আর সেই সাথে উন্মোচিত হল আওয়ামী রাজনীতির ভন্ডামীর মুখোশ।