নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হিন্দু না ওরা মুসলিম ঐ জিজ্ঞাসে কোনজন, কান্ডারি বলো ডুবিছে মানুষ সন্তান মোর মা'র

পারভেজ আলম

হাসরের ময়দানে ইট কাঠ আর কংক্রিটের দেয়ালে, রক্তের কালিতে, কবিতা কালাম লিখে মরা মানুষএর মিছিলে দাঁড়ায় একবিংশের রাসুল। দুই হাত ভরা ব্যাগে নানান ব্র্যান্ডের আমলনামা।

পারভেজ আলম › বিস্তারিত পোস্টঃ

জনতার জান, মাল, ধর্মের হেফাজত জনতাকেই করতে হবে

০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:৪৪

মানুষের জান মালের হেফাজত যারা করতে পারেনা, জাতীয় সম্পদের যারা হেফাজত করতে পারেনা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার হেফাজত করার বদলে যারা জাতীয় বেঈমানদের হেফাজত করে, জাতীয় বেঈমানদের সাথে আপোষ করে, জনতার উপরে যাদের ঈমান নাই, জনমানুষের ধর্মের হেফাজত তাদের মাধ্যমে হবেনা। জনমানুষের নয়া প্রতিনিধীরা যারা জনমানুষের হক আদায়ে বিগত বছর গুলাতে সোচ্চার থেকেছে, ইনসাফ প্রতিষ্ঠার জন্যে যারা শাহবাগে একজোট হয়েছে, তাদের গলা টিপে হত্যা করতে আওয়ামীলীগ, বিএনপি, জামাত ইসলাম এবং জাতীয় পার্টি একজোট হয়েছে। এদের রাজনীতিতে ইনসাফ নাই, জনতার হক আদায়ের তৎপরতা নাই, মানুষের জান মালের নিরাপত্ত্বা নাই। বেঈনসাফি, বেঈমানী এদের রাজনীতির পরতে পরতে। এমন কোন অধর্ম নাই, এমন কোন পাপ নাই, যা তারা করে নাই, এর সাক্ষি বাঙলার ১৬ কোটি জনগণ। এরা ক্ষমতাসীন অথবা বিরোধী দল হিসাবে নিজ নিজ স্বার্থ রক্ষায় জানোয়ারের মতো কামড়াকামড়ি করলেও জনগণকে শোষনের জায়গায় সবাই একাট্টা, একজোটে এরাই বাঙলার শাসকশ্রেণী। বাঙলার রাজনীতিতে এরা যতোদিন শাসকগোষ্ঠি হিসাবে টিকে থাকবে ততোদিন এই দেশে ইনসাফ প্রতিষ্ঠা হবেনা, জনগণের হক আদায় হবেনা, মিরজাফর, গোলাম আজমের মতো রাজাকার বেঈমানরা যুগে যুগে আসবে, টিকে থাকবে আর সেই বেঈমানীর বিরুদ্ধে গিয়ে খুন হবে সহস্ত্র তাজা প্রাণ। এই জালেম শাসকগোষ্ঠি যতোদিন আছে ততোদিন বাঙলার বুকে অধর্ম রাজত্ব করবে, জোর জুলুমের আইন হবে খোদার কালাম, রাষ্ট্রিয় সংবিধান। এই শাসকগোষ্ঠির বিরুদ্ধেই জনতার জেহাদ পরিচালনা করতে হবে। সেই জেহাদে জিতলেই জনতার জান, মাল, ধর্ম রক্ষা হবে। তার আগেনা।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:৪৬

দায়িত্ববান নাগরিক বলেছেন: একটা প্রশ্নই শুধু মনের মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে। বাংলাদেশ তালেবান হতে কোথায় বাকি আছে। শুধু দরকার এখন মৌলবাদীদের হাতে অস্ত্র। কেল্লাফতে। আশা করি অচিরেই তারা সেটা পেয়ে যাবে। টাকা পয়সার তো কোনো অভাব নাই ওদের।

২| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:৪৮

rafiq buet বলেছেন: লিস্টে কি আপনের নাম আছে নি ?

৩| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:৪৯

দিশার বলেছেন: বাংলাদেশ কে বহির্বিশ্বে জঙ্গি রাষ্ট্র হিসাবে পরিচয় করাতে কার কিসু বাকি নাই .

৪| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:২৮

ম্যানিলা নিশি বলেছেন:

চুয়াত্তরের পর পচাত্তুর আসবেই এটি যেমন এড়িয়ে যাওয়া যায় না তেমনি প্রকৃতিতে অলিখিত কিছু সমীকরণ রয়েছে যা কখনো খণ্ডানো যায় না বা খণ্ডানোর চেষ্টা করাও বুদ্ধিমানের কাজ না।

আজকে আওয়ামী লীগের তোফায়েল সাহেবের কথা বেশী করে মনে পরছে।

৫| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:১০

ঠেলা বলেছেন: সময়ে সরকারের নির্লজ্জ দালালী করতে ভুলেন না, সময়ে ভিন্নমতের অমিল হলেই ইসলামের অবমাননা করতে ভুলেন না, এখন যখন ঠেলা পড়ছে আইছো শুশীলগিরি দেখাইতে??? চুতিয়াগিরি আর কতো???

৬| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:১৮

পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: ইসলামের ইজারাদার এখন আমার দেশের সম্পাদক মাহুমুদুর রহমান। এই মোনাফেকরা নাকি ধর্ম রক্ষা করবে। হা... হা...

Click This Link

৭| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৪

সাইবার অভিযত্রী বলেছেন: জনতার জান, মাল, ধর্মের হেফাজত জনতাকেই করতে হবে - কিন্তু সেটা কিভাবে ?

বাংলী-বাংলাদেশীদের মাঝে ঐক্য নেই । পারপরিক আস্হা নেই । এই আস্হা আর ঐক্যের শুন্যতায় যুগে যুগে এই মাটিতে তৈরী হয়েছে মীরজাফর আর রাজাকার ।তাই নিপিড়ীত , নির্যাতিত যুগে যুগে ।

১৯৯৯-২০০১ সময়কালে পরিচালিত এক সমীক্ষায় দেখা গেছে বাংলাদেশের মাত্র ২৩.৫ শতাংশ মানুষ একে অপরকে বিশ্বাস করে । অর্থাৎ ৭৬.৫ শতাংশ মানুষের মধ্যে এধরনের আস্হা নেই! বিশ্বের ৮০ টি দেশে এ সমীক্ষা চালানো হয় । বাংলাদেশের পারস্পরিক আস্হার হার ৮০ টি দেশের গড় হারের চেয়ে প্রায় ১৫ হতাংশ কম ( খান, ২০১১, ১১৩ ) ।বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় এখনও বাংলাদেশের মানুষের পারষ্পরিক আস্হা কম।
- বলেছেন ড: আকবর আলি খান : " আজব ও জবর আজব অর্থনীতি। পৃ ২৩৬ "

এই আস্হা হীনতা থেকে তৈরী হয় অবিশ্বাস, আর তাথেকে অনৈক্য । আর এই অনাস্হা -অবিশ্বাস-অনৈক্যই স্বার্থান্বেষী চক্রের জন্য রাজাকার আর মীরজাফর তৈরীর উর্বর ক্ষেত্র । ড: খান বা বিদেশী সমীক্ষার দিকে না তাকিয়ে সম্পড়তিক কিছু ঘটনা দেখলেও এটা বুঝা যাবে । এদেশের মাটিতে এদেশেরই স্বাধীনতা বিরোধী ঘাতক-দালাল জামাতকে নিষিদ্ধ করার দাবী নিয়ে " শহীদ রুমী স্কোয়াড" যখন আমরণ অনশণে নেমেছে, এদের উপর আস্হা রাখতে পারছেন না শাহবাগের ইমরান-পিয়াল । আমি কারো সমালোচনায় এগুবো না, আর এই পোষ্টে এ নিয়ে আলোচনাও সংগত না, শুধু মাত্র পুরা বিষয়টাকে প্রথমিক ভাবে " আস্হার সংকট" বলব ।


ফলাফল কি ? আমরা অনেক বড় বড় উদ্দোগের ফসলও ঘরে তুলতে পারি নি ! আষ্হার সংকটে পতিত হয়েছে, নি:শেষ হয়েছে আমাদের অনেক চেতনা সৃষ্টিকারী, প্রেরণা জাগরণী প্রয়াশ । তা ফালানী ইসুতে জাতীয় জনমত তৈরী-ই বলুন, ইউ ল্যাবের ঘটনাই বলুন, অথবা পরিমলের শাস্তি, শাহাবাগের যুগন্টকারী আন্দোলন বা রুমী স্কোয়াডের আমরণ অনশন, যাই বলুন । ঘাতকদের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবীতেও যখন পাওয়া যায় প্রতিবিপ্লব বা ষড়যন্ত্রের শংকা, তখন একে " আস্হার সংকট " না বলে আর কি বা বলবেন ?????


আস্হার সংকটে নিমজ্জিত বাংগালী সত্ত্বা ।

৮| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:২৪

রাহি বলেছেন: যদি আপনি ধার্মিক হোন তাহলে এটা অবশ্যই বিশ্বাস করেন নাস্তিকদের জায়গা নরকে। আর সেখানে তারা থাকবে অনন্ত কাল। তাহলে এই ক্ষুদ্র জীবনটাতে তাদের নরকবাস করিয়ে লাভ নেই। তাদের মুক্ত করে দিন দুনিয়ার নরক তথা জেলখানা থেকে। আর প্রার্থনা করুন সেই অদৃশ্য সত্তার কাছে, নরকের আগুন আরও উত্তপ্ত করতে!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.