নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হিন্দু না ওরা মুসলিম ঐ জিজ্ঞাসে কোনজন, কান্ডারি বলো ডুবিছে মানুষ সন্তান মোর মা'র

পারভেজ আলম

হাসরের ময়দানে ইট কাঠ আর কংক্রিটের দেয়ালে, রক্তের কালিতে, কবিতা কালাম লিখে মরা মানুষএর মিছিলে দাঁড়ায় একবিংশের রাসুল। দুই হাত ভরা ব্যাগে নানান ব্র্যান্ডের আমলনামা।

পারভেজ আলম › বিস্তারিত পোস্টঃ

আল্লাম শফি ধ্যযুগীয় ব্রাহ্মণদের মতো নাস্তিকতার সংজ্ঞা দিচ্ছেন

০৩ রা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:৪৯

৬ মার্চ হেফাজতে ইসলামের লংমার্চ এখন হয়ে উঠেছে সারাদেশের রাজনীতির কেন্দ্রীয় বিষয়। ১৩ দফা দাবির এই লংমার্চে সমর্থন দিয়েছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোট এবং বিকল্প ধারা বাংলাদেশ। সরকার ঈতিমধ্যে বেশ কয়েকজন ব্লগারকে গ্রেফতার করেছে, ধর্ম বিদ্বেষী হিসাবে পরিচিত ব্লগারদের শাস্তি দেয়ার জন্যে ট্রাইবুনাল গঠন করেছে। সেই সুবাদে এও বলা যায়যে হেফাজতে ইসলামের দাবির প্রতি সমর্থন সরকারেরও আছে। হেফাজতে ইসলামের সাথে সমঝোতার চেষ্টার প্রক্রিয়া এবং শাহবাগ আন্দোলনের প্রতি সরকারের বর্তমান অবস্থান এবিষয়ে সরকারের অবস্থান আরো পরিস্কার করেছে। চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ প্রশাসক ও উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এম এ ছালাম, যিনি সরকারের পক্ষ নিয়ে হেফাজতে ইসলামের সাথে সমঝোতা চেষ্টা চালিয়ে গেছেন তার বরাতে জানা যায়যে হেফাজতে ইসলামকে তাদের যৌক্তিক দাবিগুলা মেনে নেয়ার এবং পর্যায়ক্রমে সকল দাবী মেনে নেয়ার আশ্বাস দেয়া হয়েছিলো। হেফাজতে ইসলামএর যৌক্তিক দাবি কোনগুলা কিংবা তাদের সবগুলা দাবি সরকার কেনো মেনে নেবে সেই বিষয়ে অবশ্য আমরা অবগত নই। বিরোধীদল যেখানে সমর্থন দেয়, সরকারী দলের কেউ যখন সেইসব দাবি মেনে নেয়ার আশ্বাস দেয় অথবা ঐসব দাবিদাওয়াকে যৌক্তিক বলে তখন সেই দাবিগুলো পর্যালোচনা করা অত্যন্ত জরুরি হয়ে ওঠে। কিছুদিন আগেই শাহবাগ আন্দোলনকে ঘিরেও একি ধরণের একটা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিলো, সে সময় সরকারের পক্ষ থেকে যেমন সমর্থনের বানী শোনা গেছে তেমনি শুরুর দিকে বিরোধী দলের গলায়ও ছিলো সমর্থনের সূর। কিন্তু এদেশের রাজনৈতিক বাস্তবতা এমনি যে শাহবাগের আন্দোলনকারী বনাম হেফাজতে ইসলামের যে রাজনৈতিক বিরোধ এই মুহুর্তে জাতীয় রাজনীতির কেন্দ্রীয় বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে সেখানে দুই মাসের ব্যাবধানে প্রচলিত রাজনৈতিক দলগুলোর এই দ্রুত অবস্থান পরিবর্তন তাদের রাজনৈতিক আদর্শের দেউলিয়াপনাই প্রকাশ করে। তবে হেফাজতে ইসলামের এই লংমার্চ যতোই রাজনৈতিক বিষয় হোক না কেনো হেফাজতের আমির ইমাম শাফি বলছেন যে এটা আদতে কোন রাজনৈতিক দলের পক্ষের আন্দোলন নয়, বরং ‘ঈমানী আন্দলন’। ঈমান কথাটা যেখানে আছে সেখানে আদর্শের প্রশ্ন আসে। অর্থাৎ হেফাজতে ইসলামের এই আন্দোলন আদর্শের আন্দোলন। শাহবাগের আন্দোলনের পেছনেও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার আদর্শ কাজ করেছে। সেই হিসাবে এই কথা বলা যায়যে শাহবাগের আদর্শবাদী এবং হেফাজতে ইসলামের আদর্শবাদী আন্দোলনকারীরা নিজ নিজ আদর্শের জায়গায় অনড় থাকলেও এদেশের মূল ধারার রাজনৈতিক দলগুলোর কোন আদর্শ নাই, তারা ভোটের রাজনীতির হিসাব মাথায় রেখে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন আদর্শের নৌকায় পা দিতে পারেন, আদর্শহীণ ডিগবাজি দিতে পারেন। এটা প্রমানিত এবং এক্ষেত্রে কোন সন্দেহ নাই। হেফাজতে ইসলামের দাবি দাওয়াগুলা পর্যালোচনা করলে সেই প্রমান আরো শক্তিশালী হয়।



তবে হেফাজতে ইসলাম তথা ইমাম শাফির আদর্শ বিষয়ে প্রশ্ন না তুলে পারছিনা। এই প্রশ্ন তুলতে হবে কারন শাহবাগ আন্দোলন শুরু হওয়ার আগে হেফাজতে ইসলামের ব্যানারে এই দাবিদাওয়াগুলো নিয়ে কোন আন্দোলন ছিলনা। তাদের ঈমান তখন কোথায় ছিলো সেই প্রশ্ন তুলতে হবে। তাছারা ‘হেফাজতে ইসলাম’ নাম নিয়েছে বলেই তারা ইসলামের হেফাজতকারী হয়ে উঠেছে কিনা সেই প্রশ্নের উত্তরও আমাদের খুঁজে দেখতে হবে। ইমাম শাফি ইতিমধ্যে দাবি করেছেন যে লংমার্চে বাধা দিলে সরকার’কে ‘নাস্তিক’ ঘোষনা করা হবে। অর্থাৎ সরকার তাদের লংমার্চ করতে দিলে সরকার ‘আস্তিক’ থাকবে। তারমানে দাঁড়ালো যে নাস্তিকতা এবং আস্তিকতার সংজ্ঞা তারা নির্ধারণ করছেন তাকে সাফ কথায় বলে দেয়া যায় ‘হেফাজতের পক্ষ হলে আস্তিক এবং বিপক্ষ হলে নাস্তিক’। নাস্তিকতার এমন সংজ্ঞা ইসলাম সম্মত কিনা সেই প্রশ্নের জবাব ইমাম শাফি দেবেন কি? এবং যাকে তাকে তিনি এইভাবে আস্তিক অথবা নাস্তিক ঘোষনা দিতে পারেন কিনা সেইটাও আমাদের বিবেচনা করতে হবে। সেইসাথে নাস্তিক হলেই কেউ খারাপ হয় কিনা সেই বিষয়টাও খতিয়ে দেখতে হবে। বাঙলা ভাষায় নাস্তিক বলতে আমরা বুঝি যে বা যারা সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্বে বিশ্বাস করেনা। বৌদ্ধ ধর্মে সৃষ্টিকর্তার কোন ধারণা নাই। সেই সুবাদে বৌদ্ধরা নাস্তিক। এর বাইরেও সারা দেশে হাজার হাজার নাস্তিক আছে যাদের নানান রকম ধর্ম বিশ্বাস আছে। নাস্তিকতাকে একটি ‘নেতীবাচক’ শব্দ হিসাবে ব্যাবহার করে ইমাম শাফি সারাদেশের ‘সৃষ্টিকর্তা’ বিশ্বাসহীণ বিভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত করেছেন। ইমাম শাফি এবং হেফাজতে ইসলাম আরো নানান পদ্ধতিতে বিভিন্ন মানুষের ধর্মানুভুতিতে আঘাত করেছে, তবে সেই আলোচনায় পরে আসছি। তার আগে তিনি নাস্তিকতার যে সংজ্ঞা দিচ্ছেন তার পর্যালোচনা করা দরকার। ইমাম শাফি আস্তিক হওয়ার শর্ত বেধে দিয়েছেন ‘হেফাজতে ইসলাম’ কে সমর্থন দেয়ায়, অন্যদিকে তাদের বাধা দিলে নাস্তিক হতে হবে। এধরণের কোন সংজ্ঞা ইসলাম সমর্থন করেনা। বরং ইসলামে সুস্পষ্টভাবে কাউকে ‘কাফির’ বলার ব্যাপারে বিভিন্ন রকম নিষেধাজ্ঞা এবং সাবধানতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে। তবে ইসলামসম্মত না হলেও ইমাম শাফির নাস্তিকতার সংজ্ঞা ব্রাহ্মণ্যবাদীদের সংজ্ঞার সাথে হুবহু মিলে যায়। মধ্যযুগে নাস্তিক শব্দটা প্রথম ব্যাবহার করতো বৈদিক ব্রাহ্মণ্যবাদীরা। বর্ণবাদী ব্রাহ্মণরা সেসময় ‘নাস্তিক’ শব্দটা ব্যাবহার করতো বেদবিরোধী তথা ব্রাহ্মণ্যবাদ বিরোধীদের ক্ষেত্রে, ইশ্বরে বিশ্বাস অবিশ্বাস দিয়ে তারা তখন আস্তিক নাস্তিকের ভেদাভেদ করেনাই। বিষয়টা ছিলো ব্রাহ্মণদের পক্ষে নেয়া অথবা বিরোধীতার সাথে সম্পর্কৃত। ইমাম শাফির আস্তিকতা নাস্তিকতা বিষয়ক শর্তের সাথে তাই ইসলামের কোন মিল না থাকলেও ব্রাহ্মণ্যবাদের মিল আছে শতভাগ। ইমাম শাফি নাস্তিকতা শব্দটিকে তার মধ্যযুগীয় ব্রাহ্মন্যবাদী অর্থের কাছাকাছি নিয়ে গিয়েও নয়া ব্রাহ্মণ্যবাদের পুরোহিত হয়ে উঠেছেন, ইসলামের আলেম নয়।



দেখা যাচ্ছে স্বঘোষিত ইসলামের হেফাজতকারী হয়ে ‘হেফাজতে ইসলাম’ ইসলামকে ব্যাবহার করছে নিজেদের রাজনৈতিক বিপক্ষকে হয়রানী করতে, আক্রমন করতে। সেটা করতে গিয়ে তারা নিজেদের খেয়াল খুশি মতো আস্তিকতা নাস্তিকতার সনদ বিলাচ্ছেন। সেইসাথে তাদের দাবিদাওয়া থেকে এও পরিস্কার হয় যে কে মুসলমান আর কে মুসলমান না, সেটাও তারা নির্ধারণ করে দিতে চাচ্ছে। তারা দাবি করেছে সরকারীভাবে ‘কাদিয়ানী’দের অমুসলিম ঘোষনা করতে হবে। কাদিয়ানীরা নিজেদের মুসলমান বলেই দাবি করে। এখন কেউ তাদের এই দাবির সাথে একমত নাও হতে পারে। কিন্তু বাংলাদেশ সরকার কাউকে মুসলিম অথবা অমুসলিম ঘোষনা করার এখতিয়ার রাখেনা। উলটো সাংবিধানিকভাবে বাংলাদেশ সরকার প্রত্যেক ধর্মীয় গোষ্ঠিকে স্বাধীন ভাবে ধর্মচর্চা করার অধিকার দিতে বাধ্য। এইটা হেফাজতে ইসলামের অজানা নয়, তাদের দাবিদাওয়াও এটাও পরিস্কার হয়যে গণপ্রজাতন্ত্রি বাংলাদেশ সরকারকে তারা ইসলামী সরকার মনে করেনা, বরং ইসলামী সরকারে পরিণত করতে চায়। সেটা করতে গেলে দেশের সংবিধান ও প্রচলিত আইন পরিবর্তন করতে হবে। সংবিধান পরিবর্তনের দাবি হেফাজতে ইসলামের ১৩ দফা দাবিতেও আছে। তাদের ভাষায় অনৈসলামিক সরকারের কাছে কাদিয়ানীদের অমুসলিম ঘোষনা করার দাবি কোন যুক্তিতে করলো সেই প্রশ্ন উঠলে তাদের ‘ঈমানী’ আন্দোলনের ঈমানের জোর নিয়েও প্রশ্ন উঠতে বাধ্য।

তবে যেই বিষয়টা পরিস্কার করা দরকার তা হলো যে ইসলাম কারো বাপ দাদার সম্পত্তি নয়। তাওহীদের উপর ভিত্তি করে একজন ব্যক্তি মুসলমান হন। এদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ নিজের নিজের মতো করে ইসলাম বোঝে, পালন করে, এক্ষেত্রে নানান মতবিরোধ থাকলেও এবং মুসলমানিত্ব নিয়ে বিভিন্ন গোষ্ঠির মাঝে পুরোপুরি ঐ্ক্যমত্ত্ব না থাকলেও এখন পর্যন্ত কে মুসলমান আর কে মুসলমান নয় সেই প্রশ্নে বড় ধরণের কোন বিরোধ তৈরি হয়নাই। ইসলামের হেফাজতের নামে ইসলামকে নিজেদের সম্পত্তি দাবি করে এই বিরোধ উস্কে দিচ্ছে হেফাজতে ইসলাম। এদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমান ইসলাম এবং মুসলমানিত্বের উপর হেফাজতে ইসলামের এই মাতবরি মেনে নেবেনা, বরং এই মাতবরি তাদের ধর্মানুভুতিকে প্রবলভাবেই আহত করেছে।

হেফাজতে ইসলামের দাবিদাওয়াগুলো থেকে এটাও পরিস্কার হয় যে দেশের আইন এবং সংবিধানকে নিজেদের মতো ইসলামিকিকরণ করার মাধ্যমে আদতে তারা এদেশের হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান, আদিবাসী, নাস্তিকসহ বিভিন্ন ধর্মমতের মানুষদের ধর্মীয় অনুভুতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল নয়। বাংলাদেশ সকল ধর্মের মানুষের আবাস, এবং নাগরিক হিসাবে তারা সাংবিধানিক আইনের অনুগত, অসাম্প্রদায়িকতার চেতনায় এদেশের মুক্তিযুদ্ধ সংগঠিত হয়েছে, বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। হেফাজতে ইসলাম তাদের ‘বাংলাদেশ’ বিরোধী দাবিদাওয়ার মাধ্যমে এদেশের কোটি কোটি মানুষের ধর্মানুভুতিকে আহত করেছে এটা তাই নিঃসন্দেহে বলা যায়। সুস্পষ্টভাষাতেই তারা দাবি তুলেছে যে খ্রিষ্ঠান মিশনারীদের ধর্মান্তকরণ কার্যক্রম বন্ধ করতে হবে। ইসলামের হেফাজতের নামে সকল ধর্মের মানুষের ধর্মানুভুতি আহত করা হেফাজতে ইসলামের তাই কোন অধিকার নাই ধর্মানুভুতি আহত হওয়ার বিচার দাবি করার।



হেফাজতের দাবি দাওয়ায় একটা বিশেষ দাবি আছে নারী পুরুষের প্রকাশ্য চলাফেরা নিষিদ্ধ করার। নারী পুরুষের সম্মিলিত আন্দলন, সংগ্রাম এবং যুদ্ধের মধ্য দিয়ে আমরা বাংলাদেশ রাষ্ট্র পেয়েছি। নারী পুরুষের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। হেফাজতে ইসলামের নারী পুরুষের সম্মিলিত অংশগ্রহণের এই বাংলাদেশে আস্থা নাই এটা পরিস্কার। কিন্তু ১৮ দলীয় জোট, বিকল্প ধারা বাংলাদেশ এই লংমার্চে সমর্থন দিয়ে যে হেফাজতের সাথে একমত হয়ে গেলো তাতে এই প্রশ্ন আমাদের করতেই হবে এ দুই দলের নারী নেতা কর্মীদের রাজনৈতিক অধিকারের ক্ষেত্রে তাদের অবস্থান কি হবে? খালেদা জিয়া কি পুরুষদের মাঝখানে থেকে রাজনীতি চালিয়ে যাবেন? বিএনপির মহিলা সাংসদদের কি হবে? সরকারের প্রতিনিধীরা যেখানে দাবিদাওয়া মেনে নেয়ার কথা বলছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিষয়ে তাদের স্বিদ্ধান্ত কি হবে? মতিয়া চৌধুরী, সাজেদা চৌধুরীর মতো রাজনীতিকদের কি আজীবন রাজপথে সংগ্রাম করে এবার ঘরে ফিরতে হবে?



সর্বশেষ হেফাজতে ইসলামের ইমানী আন্দোলনের সবচেয়ে বড় ইমানী পরীক্ষাটা আমাদের নেয়া দরকার। আমাদের প্রশ্ন তুলতে হবে শাহবাগ আন্দোলনের পূর্বে তাদের ঈমান কোথায় ছিল? এদেশের সুদি ব্যাংক ব্যবস্থা বিষয়ে তাদের অবস্থান কি? বিদেশী স্যাটেলাইট চ্যানেলে নারী পুরুষের বেলাল্লাপানা নিয়া তাদের কোন কথা নাই কেনো? ইন্টারনেটে নাস্তিকদের লেখা নিয়া তারা সোচ্চার, তাইলে ইন্টারনেটে পর্ণগ্রাফি নিয়ে তারা নিশ্চুপ কেনো? গোপন ক্যামেরায় ধারণকৃত ভিডিয় নিয়ে ইন্টারনেটে যে সাইবার ক্রাইম হয়ে আসছে এতোদিন ধরে তাতে কি তাদের কাছে ইসলাম, ধর্ম ইত্যাদি বিপন্ন মনে হয়নাই? তখন কোথায় ছিল তাদের ইমানী আন্দোলন? শাহবাগ আন্দলনে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবি ওঠার পরেই কেনো তাদের ধর্মানুভুতি আহত হলো, তাদের ইমান জেগে উঠলো? এইসব প্রশ্নের উত্তর আমরা দেখতে পাবো সামনের নির্বাচনে। যখন আদর্শহীণ রাজনৈতিক দলগুলোর জোটে হেফাজতে ইসলাম নিজেদের অবস্থান করে নিয়ে কোন না কোন নারী নেতৃত্বের অধীনেই নির্বাচনে অংশ নেবে। ঈতিপূর্বে জামাত ইসলামী নারী নেতৃত্ব হারাম বলেও নারী নেতৃত্বের অধীনে ক্ষমতায় গেছে। জামাতকে বাঁচাতে ইসলামের নামে ভন্ডামি করতে নামা হেফাজতে ইসলামও ভবিষ্যতে তাই করবে। ধর্ম ব্যাবসায়, ভন্ডামিতে হেফাজতে ইসলামের ‘ইমানী আন্দলনের’ তাবৎ তাৎপর্য নিহীত। ইতিহাস এটা প্রমান করবে। তবে সেই ইতিহাস আমরা রচিত হতে দেবো কিনা সেই প্রশ্নের মোকাবেলা আমাদের সবার আগে করতে হবে।

মন্তব্য ৫৫ টি রেটিং +১২/-০

মন্তব্য (৫৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:০৪

প্রযুক্তি বলেছেন: আপনার কথাবার্তা অপ্রাসঙ্গিক। অফ যান।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:০১

পারভেজ আলম বলেছেন: কিসের সাপেক্ষে অপ্রাসঙ্গিক?

২| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:০৬

রাহি বলেছেন: ঈশ্বর পৃথিবীর শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত কি হবে বলে রেখেছেন। কিভাবে ইসলামের চুড়ান্ত বিজয় হবে। কখন কোনো নাস্তিক থাকবে না(ঈসা (আঃ) এর যুগে।

হেফাজতে ইসলামি মনেহয় এসব বিশ্বাস করেনা। তারা ইসলাম ধ্বংস হয়ে যাওয়ার ভয়ে ভীত। ভাবসাব দেখে মনে হচ্ছে তারা ব্যাপারেও সন্দিহান যে ঈশ্বর উনার পছন্দের ধর্মকে রক্ষা করতে সক্ষম না অক্ষম। তাই তারা ইসলামকে হেফাজত করার উদ্দেশ্যে মাঠে নেমেছে।

তাদের এই লং মার্চ, হাসিনা ম্যাডামের ব্লগারদের গ্রেফতার এবং মৌলবাদীদের নাস্তিক কতলের মাধ্যমে তারা ইসলামকে হেফাজত করে ফেলবে। পৃথিবীতে আর কোনো নাস্তিক মুরতাদ থাকবে না। ভালো তো, ঈসা (আঃ) এর আর কষ্ট করা লাগবে না!

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:০৩

পারভেজ আলম বলেছেন: ভন্ডামি

৩| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:০৭

রানার ব্লগ বলেছেন: প্রযুক্তি @ নাস্তিকের আসল সংজ্ঞা কি জানেন, জানলে বলেন।

৪| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:১২

বিপদেআছি বলেছেন: দারুন বিশ্লেষন , ব্রাহ্মণ্যবাদী চেতনা শুধু হিন্দুদের না এদেশের মুসলমানদেরও গ্রাস করেছে। এই ব্রাহ্মণ্যবাদী চেতনা আস্তাকুড়ে নিক্ষেপ না করা পর্যন্ত এদেশে সত্যিকারের মুক্তি আসবেনা।

৫| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:১৭

প্রযুক্তি বলেছেন: @রানার ব্লগঃ এখানে নাস্তিকতার কথা আসছে কেন? রাজিব যেদিন মারা গেল, সেদিন রাজিব এর ব্লগ থেকে একটা কবিতা নিয়ে পোস্ট দিয়েছিলাম, ২ ঘন্টার মাঝে আমার পোস্টসহ রাজিবের ব্লগ থেকেও কবিতাটা উধাও। কবিতাটা কুরবানি নিয়ে কটাক্ষ করে লেখা ছিল। একে নাস্তিকতা বলেনা, কি বলে আপনিই বের করেন।

আমার কিছু গুজরাটি হিন্দু কলিগ কে বাসায় দাওয়াত করেছিলাম। অনেক মজা করেছিলাম। কাল দেখি এক বন্ধু ফেসবুকে লিখেছে, মুসলিমস আর টেরোরিস্ট। তাহলে কথা দাঁড়ায়, টেরোরিস্টদের বাসায় দাওয়াত নিলেন কেন?

ভাবিয়া করিও কাজ, করিয়া ভাবিওনা।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ২:১৭

পারভেজ আলম বলেছেন: কবিতাটা আপনি কেনো পোস্ট দিয়েছিলেন? ভালো লেগেছিলো?

৬| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:২১

যুক্তিপ্রাজ্ঞ বলেছেন: ধর্ম ব্যাবসায়, ভন্ডামিতে হেফাজতে ইসলামের ‘ইমানী আন্দলনের’ তাবৎ তাৎপর্য নিহীত।

হতে পারে, পৃথিবীতে কোন কিছুই অসম্ভব না. তবে শাহবাগী ভন্ডামি ও আপনার ভন্ডামিতে কোন ভেদ নাই - আপনার সকল যুক্তি, কুযুক্তি, অপযুক্তি ও প্যাঁচাল সেই ভন্ডামিকেই ধারণ করে... স্যরি.

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ২:১৮

পারভেজ আলম বলেছেন: কিভাবে? যুক্তি, কুযুক্তি যেভাবেই হউক বুঝায়া বলেন। আপনের জ্ঞান বুদ্ধির দায়ভার আমার উপরে চাপায়া দিলে চলবে?

৭| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:২২

নষ্ট ছেলে বলেছেন: তবেগণজাগরণ মঞ্চ বনসাই হওয়ার একমাত্র কারণ ইসলাম বিদ্বেষী নাস্তিকরা। শাহবাগ থেকে ধর্ম ভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি, উগ্রবাদী নাস্তিক রাজীবকে শহীদ ঘোষনার মধ্য দিয়ে যাত্রা শুরু হইছে।
গণজাগরণ দেইখা কমুনিষ্ট বাম গুলার মাথা নষ্ট হইয়া গেছিল। মনে করছে এই সুযোগ ধর্ম ভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করার। কমুনিজন প্রতিষ্ঠা করারও খোয়াব যে তারা এখনো দেখে সেটা বুঝতে কারো বাকি থাকার কথা না।
মওদুদীবাদে বিশ্বাস করার কারণে জামায়াতকে বেশির ভাগ ইসলামী দলই দেখতে পারে না। এই সুযোগটা কাজে লাগিয়ে জামায়তের ভন্ডামী মানুষের কাছে তুলে ধরতে পারত, নিষিদ্ধও করতে পারত। কিন্তু অতি চালাক(!) বাম তথা আওয়ামী লীগ নেতারা সবাইকে জামাতি ট্যাগিং দিয়ে এক পাল্লায় মাপা শুরু করল।
এখন হেফাজতে ইসলামের সাথে আলোচনা করো কেন? ওরা জামাতি হলে তাদের সাথে কিসের আলোচনা? সত্যিই যদি জামাতি হত তাহলে ১৩ দফার মধ্যে একটা দাবিও কি আছে যে যুদ্ধাপরাধীদের ছেড়ে দিতে হবে?
জামাতের প্রথম সারির সব নেতাই তো ফাঁসির দ্বারপ্রান্তে। তাদের মুক্তির জন্য কি হেফাজত ইসলাম কোন শর্ত দিছে?
তবে হ্যাঁ হেফাজত ইসলামে লং মার্চে জামাত থাকতে পারে কারণ এতে জামাতের স্বার্থ আছে। আর এর জন্য দায়ী আওয়ামী লীগ। তাদের ভুল পরিকল্পনার কারণে জামাত সুযোগ পাচ্ছে।
যারা জামাতের শত্রু তারাও আওয়ামী লীগের শত্রু হয়ে যাচ্ছে, যাদের কিছুদিন আগে গানম্যান দেওয়া হল আজ তাদের গ্রেফতার করে বন্ধুদেরও শত্রু বানাচ্ছে!
সামনের দিন গুলোতে ঠ্যালা সামলানো কঠিন হবে।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ২:২০

পারভেজ আলম বলেছেন: আপনে তো ভাই কিছুই জানেন না। গণজাগরন মঞ্চ থেকে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি বামদের ইচ্ছায় হয়নাই। এই মুহুর্তে বাংলাদেশে এধরণের কোন দাবির পক্ষে বামদের অবস্থান নাই।

৮| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:২২

আনাম বলেছেন: প্রযুক্তি বলেছেন: আপনার কথাবার্তা অপ্রাসঙ্গিক। অফ যান।[/sb

প্রসঙ্গ তো উনি উত্থাপন করলেন! আপনি কিসের ভিত্তিতে অপ্রাসঙ্গিক বলছেন?
ঠিক কি করলে কখন কার ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লাগবে সেটা আসলে কে ঠিক করবে? ট্রাইবুনালের বিচারক কারা হবেন? বিচারকরা তো অধিকাংশ আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত- তাদের বিচার কি মেনে নেবেন আলেম সমাজ? নাকি ইরানের মত ধর্মীয় কাউন্সিল হবে? এসব জানার অধিকার আমার আছে না নাই? জানতে চাই সরকারের কাছে....

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ২:২১

পারভেজ আলম বলেছেন: আমিও জানতে চাই

৯| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:৪০

জীবন্মৃত০১ বলেছেন: হেফাজতে ইসলামের কতাডা ইমুন--বুশের কথার মত...আমার সাথে থাকলে বুঝমু তোম্রা সন্ত্রাসবিরোধী, আমার সাথে না থাক্লে বুঝমু তোম্রা সন্ত্রাসবাদী।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ২:২৩

পারভেজ আলম বলেছেন: দুইজনেই ধর্মে বেইচা সন্ত্রাস কায়েমে বিশ্বাসী।

১০| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:৪০

একমত না বলেছেন: শাহবাগের আন্দোলনের আগে আমরা বেশীর ভাগ ব্লগার অ্যান্ড অনলাইন একভিস্ত নেটওয়ার্কের নাম শুনিনাই এবং শাহবাগের আন্দলের আগে প্রায় ২০ বছর ধরে কোন জোরাল কর্মসূচিও দেখি নাই যুদ্ধারপরাধির বিচারের দাবিতে। তাহলে কি এখন আমি বলবো হঠাৎ করে তরুণদের দেশপ্রেম লাফদিয়ে উঠলো? এই প্রশ্ন অপ্রসাঙ্গিক। কারন দেশপ্রেম আগেও ছিল সময় ও সুযোগের অপেক্ষাতে ছিল একটা আন্দোলনের। হেফাজতে ইসলামের ইসলাম প্রেম আগেও ছিল এখনো আছে হঠাৎ করে লাফ দিয়ে উঠেনি।

শাহবাগে থাবাবাবাকে নিয়ে নাটক না করলে এত কিছু হত কিনা সেই প্রশ্ন কিন্তু থেকেই যায়।

আর আপনি "মধ্যযুগীয় ব্রাহ্মণদের" দ্বারা আসলে ব্রাহ্মণদের বুঝান নাই এটা সহজেই বুঝা যায়।

আর ধর্ম ব্যবসার ক্ষেত্রে নাস্তিকরাও কম যায়না। চার্লস ডকিন্সের কথা নাই বা বললাম। বিদেশ থেকে চাকরি ছেড়ে দেশে এসে ব্লগ খুলে কাম কাজ বাদ দিয়ে নাস্তিকতা প্রচার মানুষ এমনি করেনা যদি না পিছন থেকে ডলার আশার নিশ্চয়তা না থাকে।

১১| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:৪৬

নষ্ট ছেলে বলেছেন:
"যে পোষে রাজাকার, সেও কিন্তু রাজাকার"
এখন হেফাজত যদি বলে
"যে পোষে নাস্তিক সেও কিন্তু নাস্তিক"?
শাহবাগ শিখিয়েছিল
"আর কোনো রায় নাই, রাজাকারের ফাঁসি চাই" (এখনও শাহবাগ মোড়ে একথা লেখা ব্যানার আছে)
শিবিরের বাঁশেরকেল্লা অলরেডি বলা শুরু করেছে
"আর কোনো বিচার নাই, নাস্তিকের ফাঁসি চাই"


[copy paste]

১২| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:৪৭

নষ্ট ছেলে বলেছেন:
শাহবাগ শিখিয়েছিল
"যে পোষে রাজাকার, সেও কিন্তু রাজাকার"
এখন হেফাজত যদি বলে
"যে পোষে নাস্তিক সেও কিন্তু নাস্তিক"?
শাহবাগ শিখিয়েছিল
"আর কোনো রায় নাই, রাজাকারের ফাঁসি চাই" (এখনও শাহবাগ মোড়ে একথা লেখা ব্যানার আছে)
শিবিরের বাঁশেরকেল্লা অলরেডি বলা শুরু করেছে
"আর কোনো বিচার নাই, নাস্তিকের ফাঁসি চাই"


[copy paste]

১৩| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:৫৪

মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় বলেছেন: চমৎকার বিশ্লেষন ।

১৪| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:০৩

বিস্কুট বলেছেন: পারভেজ আলম, ডোন্ট টক লাইক স্টুপিড। আমি হাটহাজারী এবং তাদের দেওবন্দী আদর্শের বিরোধী, কিন্তু যারা ইসলামবিদ্বেষী তারা চিহ্নিত এবং তারা শফীর সার্টিফিকেট ছাড়াই সরকারি চৌদ্দশিকের ভিতরে যাবে। সো অফ যাও।

১৫| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:০৪

আলাপচারী বলেছেন: কি বলবো ?
পলিটিশিয়ানদের বিউটিশিয়ান মার্কা ভেল্কি বাজীর মতো
রূপ পাল্টানো দেখে দেখে ক্লান্ত।
আর ভালো লাগে না।

১৬| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:০৬

দখিনা বাতাস বলেছেন: সবাই কি সুন্দর শাহবাগরে বানাইয়া ফালাইতেছে ব্লগারদের আন্দোলন। বাহ বাহ বাহ,........ শাহবাগে যাওয়া ঐ মানুষগুলার মাঝে কয়জন যে ব্লগ জিনিসটা বুঝে আমার সন্দেহ আছে ভালোমত। হাজারে হাজারে মানুষ আমরা গেলাম, আমগো অনুভুতির কোন দাম নাই। ব্লগের হাতের ১০ আন্গুলে গুইনা শেষ করা যায় এমন কয়টা নাস্তিক এখন আমগো সবার প্রতিনিধি হইয়া গেছে। কি সুন্দর কাহিনী..........

ব্লগ, নাস্তিক, আওয়ামীলীগ, ভারতের দালাল, এইসব কইলেই কি আমগো বুকের ভিতর থেকে রাজাকারের জন্য যেই ঘৃনা, ঐটা মুছতে পারবো কেউ???????

হেফাজতের হুজুরগো নিয়া আওয়ামীলীগ যা ইচ্চা করুকগা। আওয়ামীলীগ মরুক আর হেজাজত মরুক, আমগো কিছু যায় আসেনা। জামাতের বিষয়ে কিছু কওয়ার দরকারই দেখি না।

বিএনপিরে হিসাবের বাইরে দিয়া দিসি, যেইদিন থেকে দেখলাম তারা কেয়ারটেকার দাবির আন্দোলন বাদ দিয়া উপরে দিয়া সরকার পতনের আন্দোলনের কথা কইয়া আসলে "রাজাকার বাচাও আন্দোলন" শুরু করছে ঐদিন থাইকা।

তাইলে বাকী থাকলো কি? বাকি থাকলো ঐ ঘুরাইয়া ফিরাইয়া আওয়ামীলীগের সরকার। হেরাই যা একটু রাজাকারের বিচার নিয়া লম্ফঝম্ফ দিতাছে। সরকারের পিছেই আপাতত আছি তাইলে। মিনিমাম একটা রাজাকারের যদি ফাসিতে না ঝুলাইয়া দিয়া যায়, তাইলে এই শালার আওয়ামীলীগরেও লাথি মারতে লাগবো ৫ সেকেন্ডে।

তারপরে কই যামু, কার কাছে যামু? সামরিক শাসন? নাকি চাই আরেকটা যুদ্ব?????

১৭| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:১৯

ইসকে পাল বলেছেন: অনেক কথাই আপ্নে খোরা জুক্তি দেখিএছেন। সময় নাই , নাইলে সবটা নিয়া লেখতাম। তুম্রা ইস্লাম নিয়া কুটক্তি কর্বা আর হেফাজতে ইস্লাম সেটা নিয়া নাম্লে তখন কইবা হেফাজত ইস্লাম, ইস্লাম রক্ষা করার কে। তাই কই নাস্তিকদের পক্ষে নিয়া কি জন্য লেখো।তা বলি আম্রা জদি না নামি তা আল্লাহ কি নেমে এছে ইস্লাম রুক্ষা কর্বেন (নাউজুবিল্লাহ).

১৮| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:২৩

মঈনউদ্দিন বলেছেন: +++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
হেফাজতের দাবি দাওয়ায় একটা বিশেষ দাবি আছে নারী পুরুষের প্রকাশ্য চলাফেরা নিষিদ্ধ করার। নারী পুরুষের সম্মিলিত আন্দলন, সংগ্রাম এবং যুদ্ধের মধ্য দিয়ে আমরা বাংলাদেশ রাষ্ট্র পেয়েছি। নারী পুরুষের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। হেফাজতে ইসলামের নারী পুরুষের সম্মিলিত অংশগ্রহণের এই বাংলাদেশে আস্থা নাই এটা পরিস্কার। কিন্তু ১৮ দলীয় জোট, বিকল্প ধারা বাংলাদেশ এই লংমার্চে সমর্থন দিয়ে যে হেফাজতের সাথে একমত হয়ে গেলো তাতে এই প্রশ্ন আমাদের করতেই হবে এ দুই দলের নারী নেতা কর্মীদের রাজনৈতিক অধিকারের ক্ষেত্রে তাদের অবস্থান কি হবে? খালেদা জিয়া কি পুরুষদের মাঝখানে থেকে রাজনীতি চালিয়ে যাবেন? বিএনপির মহিলা সাংসদদের কি হবে? সরকারের প্রতিনিধীরা যেখানে দাবিদাওয়া মেনে নেয়ার কথা বলছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিষয়ে তাদের স্বিদ্ধান্ত কি হবে? মতিয়া চৌধুরী, সাজেদা চৌধুরীর মতো রাজনীতিকদের কি আজীবন রাজপথে সংগ্রাম করে এবার ঘরে ফিরতে হবে?

ধর্ম ব্যাবসায়, ভন্ডামিতে হেফাজতে ইসলামের ‘ইমানী আন্দলনের’ তাবৎ তাৎপর্য নিহীত। ইতিহাস এটা প্রমান করবে। তবে সেই ইতিহাস আমরা রচিত হতে দেবো কিনা সেই প্রশ্নের মোকাবেলা আমাদের সবার আগে করতে হবে।

১৯| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:৪১

কপোতাক্ষের তীরে এক অসামাজিক বলেছেন: এক নাস্তিক কুকুরের কাছ থেকে ইসলামের কোনো ব্যাপারে মন্তব্য বা কোনো সার্টিফিকেট নেয়া লাগবে না, এটা কি এখনও ক্লিয়ার হয়নি?

"সর্বশেষ হেফাজতে ইসলামের ইমানী আন্দোলনের সবচেয়ে বড় ইমানী পরীক্ষাটা আমাদের নেয়া দরকার।"

নাস্তিক কুকুরদের সাহস দেখে আশ্চর্য হ্ই।

"ধর্ম ব্যাবসায়, ভন্ডামিতে হেফাজতে ইসলামের ‘ইমানী আন্দলনের’ তাবৎ তাৎপর্য নিহীত"
তুমি কিংবা তোমার কোন বাপেরা এদের টাকা দাও সেই প্রমাণটা দিও, তারপর ধর্ম ব্যাবসা, ভন্ডামি বোঝা যাবে।

২০| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:৪২

বহুব্রীহি বলেছেন: নেক্সট যদি কোন নির্বাচন যদি হয়ে থাকে তবে আমি না ভোট দেব।

২১| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:০৪

শামীম সুজায়েত বলেছেন: দু-একজন ব্লগারের মুক্তচিন্তা বা প্রকৃতবাদি মনোভাব কখনও "ইসলাম" ধর্মকে বিনষ্ট করতে পারেনা। ধর্মকে যারা গভীর ভাবে অনুভব করেন, আল্লাহ-রসুলের ওপর যাদের বিশ্বাস এবং আস্থা অন্তর থেকে, তারা এসব নাস্তিকতার প্রচারণায় প্রভাবিত হয়না। সুতরাং তাদের এই লেখালেখিতে ধর্মের কিছু যাই-আসেনা। তাছাড়া গুটি কয়েক ব্লগার কি লিখলো, না লিখলো তা নিয়ে হৈ চৈ করার কিছু নেই।

দেশের চলমান পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে বলা যাই, আওয়ামী সরকারের কাছে "গণজাগরণ মঞ্চর" প্রয়োজনীয়তা ফুরিয়ে গেছে। বরং এটি তাদের কাছে হয়ে উঠেছে চরম বিরক্তিকর। কেননা দেশে এখন দুই ধরণের "সরকার" চলছে এবং দুই সরকার "স্পর্ধা" শব্দটি গুরুত্বসহকারে ব্যবহার করছে।

প্রসঙ্গক্রমে এখন যদি বলা হয়, দেশ জুড়ে গত একমাস ধরে চলমান সকল মানুষ হত্যা, পুলিশ হত্যা, ভাঙচুড়, বাসে, ট্রেনে আগুনসহ সকল সহিংসতা এবং নৈরাজ্য পরিস্থিতির জন্য শাহাবাগ দায়ী।

একথা আমি সরাসরি বলতে পারছিনা। কারণ আমার ভেতরে ৭১ এর চেতনা নতুন করে জাগ্রত করেছে শাহাবাগ। আমি তা অস্বীকার করতে পারিনা। শুরু থেকেই সেখানে সুর মিলিয়েছি, আড্ডা দিয়েছি, জনতার উচ্ছাস দেখেছি, চিল্লায়ে বলেছি "কাদের মোল্লা তুই রাজাকার"।




২২| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:৩৬

কাঠুরে বলেছেন: ইসলামকে নিয়ে কটুক্তিকারিদের শাস্তি কি আপনি চান?? নাকি চান না?? এইটার সদুত্তর দিবেন আশা করি।

আর আপনার মতো মানুষদের মুখে ইসলাম ধর্ম বিশ্লেষণ বেমানান। আল্লামা সফী সাহেব বাংলাদেশের সকল আলেমদের মাথা, ইসলামিক ব্যাপারে উনার যোগ্যতার ধারে কাছেও নেই আপনি, আপনার কাছ থেকে উনার ইসলাম ধর্ম পালন শিখতে হবে??

২৩| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ২:৪১

বাংলার হাসান বলেছেন: Click This Link

২৪| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ২:৪৫

মোহাম্মদ হারুন বলেছেন: শাহবাগ আন্দোলন শুরু হওয়ার আগে হেফাজতে ইসলামের ব্যানারে এই দাবিদাওয়াগুলো নিয়ে কোন আন্দোলন ছিলনা। তাদের ঈমান তখন কোথায় ছিলো সেই প্রশ্ন তুলতে হবে।

২৫| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ২:৪৮

ডাব্বা বলেছেন: আপনার এই লেখাটা পড়ে হতাশ হলাম। লোকমুখে শুনেছিলাম যে আপনি উদার এবং দৃস্টিভংগী ভাল। মত ও পথ আপনার যাই হোক না কেন। যৌক্তিক মানুষ।

যুক্তি দিয়ে এই লেখাটিকে 'তুলোধুনো' [ইচ্ছে করেই ব্যবহার করলাম শব্দটি] করা সম্ভব। আমি নিজেই পারতাম [ক্ষুদ্র মানুষ যদিও], কিন্তু খুব দৌড়ের উপর আছি।

দুটো বিষয় একটু খুলে বললে বুঝতে পারতাম:
১। বাঙলা ভাষায় নাস্তিক বলতে আমরা বুঝি যে বা যারা সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্বে বিশ্বাস করেনা। বৌদ্ধ ধর্মে সৃষ্টিকর্তার কোন ধারণা নাই। সেই সুবাদে বৌদ্ধরা নাস্তিক।
- এটা কি শুধু আপনার বিশ্বাস না বৌদ্ধরা ও নিজেদের তাই মনে করে?

২। এর বাইরেও সারা দেশে হাজার হাজার নাস্তিক আছে যাদের নানান রকম ধর্ম বিশ্বাস আছে।
- গোটা তিনেক উদাহরন যদি দিতেন।

থ্যান্কস্‌।


২৬| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ২:৫০

দন্ডিত বলেছেন: যারা হেফাজতে ইসলামের সাথে একমত তারা কি তাদের ১৩ দফা পড়ে দেখছেন?

ঐগুলার ব্যাপারে আপনাদের কি মতামত?

সংবিধান সংশোধন থেকে শুরু করে ভাস্কর্য ভাঙ্গা, মেয়েদের চলাফেরায় বিধিনিষেধ আরোপ, গনমাধ্যম কে নিয়ন্ত্রন কিছুই তো বাদ যায় নাই।

এইগুলার ব্যাপারে আপনারা কি ভাবেন?

২৭| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ২:৫৯

বাদল দিনের গান বলেছেন: পোষ্টে প্লাস! +++++++++

২৮| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৩:০৭

মনে নাই বলেছেন: নাস্তিকতাকে মোটেও সমর্থন করিনা, তাই এদেরকে ইগনোর করার চেষ্টা করি।আর নাস্তিকতার নাম নিয়ে যারা বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে, ইসলাম ধর্ম নিয়ে বাজে কথা বলেছে তাদের প্রতি খুবই বিরক্ত।কিন্তু শাস্তি দেয়ার জন্য ট্রাইবুনাল গঠন করতে হবে!!!! অবাক না হয়ে পারছিনা, এই নাস্তিকরাতো কাউকে হত্যা করেনি, কারোর কাছে চাদা চায়নি, বা এদের কারনে পদ্মা সেতু বা শেয়ার মার্কেট বা হলমার্ক দূর্নীতি হয়নি। তারা কেবল ব্লগে লিখে, ব্লগ বাংলাদেশের কয়টা লোকে পড়ে, আর ইন্টারনেট জুড়েই তো যার যা খুশী বলছে, লিখছে। সমগ্র ইন্টারনেটবাসীকে আটকাবে কি করে? সকল নেট ব্যবহারকারীদেরকে ফাসি দিতে হবে!!

হেফাজতে ইসলাম যে দাবী নিয়ে আসছে তার মধ্যে একটা আছে নারী-পুরুষ একসাথে চলাফেরা করতে পারবেনা, তাহলেতো প্রথমেই গার্মেন্টস শিল্প বন্ধ করে দিয়ে মহিলাদেরকে ঘরের ভেতর আটকাতে হবে, তখন এদেরকে খাওয়াবে কে?? হেফাজতের হুজুররা কি দায়িত্ব নিবেন!!!
আমি জোর দিয়ে বলতে পারি দেশের মধ্যে চলমান মাদ্রাসাগুলোর বেশীরভাগ অর্থই আসে চিহ্নিত ঘুষখোর, সুদখোরদের কাছ থেকে। উনারা যদি সৎ হবেন তবে এই হারাম টাকা কেন গ্রহন করছেন??

২৯| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৩:০৭

আশফাক সুমন বলেছেন:
অপ্রাসঙ্গিকতা এবং ভণ্ডামি ছাড়া আর কিছু পেলাম না এই পোস্টে।
আপনার পরিচয় পেয়ে গেছি। দয়া করে ইসলাম ধর্ম বিশ্লেষণ না করে নিজের্র জানা বিষয় নিয়ে লিখুন ।

একজন ইমানদার মুস লিম হিসাবেই ৭১ এর অপ রাধিদের বিচার চাই।

কিন্তু দেশটা ইসলাম বিদ্বেষী নাস্তিক আর মুনাফিক দের হাতে চলে যাক তা চাই না ।

৩০| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৩:১৩

পথিক আমি বলেছেন: যারা অসংযত মন্তব্য করছেন তাদের অনুরোধ করব সবাইকে এক কাতারে ফেলে না মাপার জন্য। পারভেজ আলম অন্যান্য বিদ্বেষীদের তুলনায় যথেষ্ঠ পরিছন্ন এবং কদাচিত উনাকে ফালতু খুচাখুচিতে জড়াতে দেখা যায়, এমন যারা আছেন তাদেরকেও ঢালাওভাবে দূরে ঠেলে দেয়া সুবিবেচনার পরিচায়ক নয় কেনটা এটা তাদেরও কট্টরপন্থা অবলম্বনে উৎসাহিত করবে যা নিশ্চই আমরা কেউই চাই না।
আমি যেমন ঢালাওভাবে সব নাস্তিকদের গ্রেফতারের বিরোধী তেমনি বিদ্বেষীদের শাস্তি নিশ্চিত করারও পক্ষপাতি। বাক স্বাধীনতার ধুয়ো তুলে যারা ক্রমাগত যা ইচ্ছে বলে গেছেন তাদের জানা উচিত বাক স্বাধীনতাই শেষ কথা নয়, ব্যক্তি পর্যায়ে আমি কি বললাম সেটা ধর্তব্য না কিন্তু আমি যখন কোনো পাবলিক ফোরামে কথা বলি তখন এমনিতেই বাক দায়িত্বশীলতা জিনিসটাও চলে আসা উচিত অন্তত স্পর্শকাতর বিষয়গুলোতে।
আপনার পোস্ট নিয়ে কিছু বলি;
এই প্রশ্ন তুলতে হবে কারন শাহবাগ আন্দোলন শুরু হওয়ার আগে হেফাজতে ইসলামের ব্যানারে এই দাবিদাওয়াগুলো নিয়ে কোন আন্দোলন ছিলনা। তাদের ঈমান তখন কোথায় ছিলো সেই প্রশ্ন তুলতে হবে।

এটা আপনিও ভালো করেই জানেন যে এর আগে ব্লগের ব্যাপারগুলো বাইরের কারো জানার উপায় ছিল না, না জানা জিনিস নিয়ে নিশ্চই আন্দোলনের প্রশ্নই আসে না। আর ব্লগাররা ব্লগে সবসময়ই সব ধরনের নোংরামির প্রতিবাদ করেছেন মডারেটরদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে, ফলশ্রুতিতে তাদের উপর পক্ষপাতদুষ্ট মডারেশনের খড়গ নেমে এসেছে!
তারমানে দাঁড়ালো যে নাস্তিকতা এবং আস্তিকতার সংজ্ঞা তারা নির্ধারণ করছেন তাকে সাফ কথায় বলে দেয়া যায় ‘হেফাজতের পক্ষ হলে আস্তিক এবং বিপক্ষ হলে নাস্তিক’
ব্যাপরটা এতটা সরল তারা করেননি আপনিও ভালো করেই বুঝেন,তারপরও এটাকে টুইস্ট করা উচিত হবে না।
সেইসাথে নাস্তিক হলেই কেউ খারাপ হয় কিনা সেই বিষয়টাও খতিয়ে দেখতে হবে।

সম্পূর্ণভাবে একমত। তবে এক্ষেত্রে আমি মনে করি এদেশের নাস্তিকদের অনকে কিছু করার আছে, যেমন নাস্তিকদের মাঝে যারা চরমপন্থা অবলম্বন অন্যের অনুভুতিকে 'নুনুভুতি' আখ্যায়িত করে যা ইচ্ছা বলে গেছেন তাদের সম্পর্কে আপনাদের অবস্থান পরিষ্কার করা। ব্লগে বলতে গেলে কখনই দেখা যায়নি কোনো নাস্তিককে অন্য নাস্তিকের ধর্মবিদ্বেষী পোস্টে গিয়ে দ্বিমত জানাতে বা আরও পরিশালিতভাবে নিজের কথা উপস্থাপন করার অনুরোধ করতে, এক্ষেত্রে দায়টা কার? উন্নত বিশ্বে প্রচুর আজ্ঞেয়বাদী/নাস্তিক আছেন যারা প্রকাশ্যেই কট্টরপন্থী নাস্তিকদের সমালোচনা করছেন।
কিন্তু বাংলাদেশ সরকার কাউকে মুসলিম অথবা অমুসলিম ঘোষনা করার এখতিয়ার রাখেনা।

একমত
হেফাজতের দাবি দাওয়ায় একটা বিশেষ দাবি আছে নারী পুরুষের প্রকাশ্য চলাফেরা নিষিদ্ধ করার। নারী পুরুষের সম্মিলিত আন্দলন, সংগ্রাম এবং যুদ্ধের মধ্য দিয়ে আমরা বাংলাদেশ রাষ্ট্র পেয়েছি। নারী পুরুষের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে।

সম্পূর্ণভাবে একমত, এই ধরনের কট্টরপন্থী দাবি মানার বা সমর্থন দেয়ার কোনো কারণ নেই।
আমাদের প্রশ্ন তুলতে হবে শাহবাগ আন্দোলনের পূর্বে তাদের ঈমান কোথায় ছিল?

এখানেও বেশ সরলীকরণ হয়ে গেল, শাহবাগ আনদোলনের পূর্বে দেশের মানুষ এভাবে একত্রিত হয়ে যুদ্ধপরাধীদের বিচার দাবি করেনি, তারমানে কি তারা আগে কখনো যুদ্ধপরাধীদের বিচার চান নি?

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৩:৩০

পারভেজ আলম বলেছেন: প্রথমেই আপনাকে যুক্তি দিয়ে কথা বলার জন্যে ধন্যবাদ জানাই। এই জিনিসটা ব্লগে কমে গেছে বলেই আজকাল কম আসি। কম কমেন্টের জবাব দেই। একসময় এই ব্লগে অনেক যৌক্তিক আলোচনা এবং তর্ক বিতর্ক হয়েছে। আমার নিজেরই অনেক পুরনো পোস্ট এর উদাহরণ।

দ্বিতীয়ত আমাকে একজন বিদ্বেষী হিসাবে দন্ডিত করার তিব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমি কখনো কোন বিশেষ ধর্মের প্রতি বিদ্বেষপ্রসূত লেখা লিখিনাই, এ ধরণের কোন অভিযোগ আপনি প্রমান করতে পারবেন না। আর আপনার অবগতির জন্যে জানাচ্ছি যে আমি বিশেষ কোন সংখ্যালঘু নাস্তিক গোষ্ঠির অংশ নই যে 'তাদেরকে' জাতীয় বচনে আমি অভিহিত করবেন। আমি বাঙলা ব্লগ কালচারের সংখ্যাগরিষ্ঠ পরমতসহীষ্ণু ব্লগারদের প্রতিনিধীত্ব করি।

আপনি আমার বক্তব্য খানিকটা ভুল বুঝেছেন। হেফাজতে ইসলামের আন্দোলনের দাবি শুধুমাত্র নাস্তিক বিষয়ক নয়। তাদের নারী, সংবিধান, আইন ইত্যাদি বিষয়ে বাংলাদেশের গণপ্রজাতন্ত্রী চরিত্র বিরোধী অনেক দাবি দাওয়া আছে। আমি প্রশ্ন তুলেছি এধরণের দাবি দাওয়া নিয়ে তারা আগে কেনো লংমার্চ ডাকেনাই?

আর আমি তার বক্তব্যকে টুইস্ট করছিনা। হঠাৎ পাওয়া ফোকাস, ফান্ড আর ক্ষমতার কারনে আল্লাম সাফি এখন শর্ত দিয়ে আস্তিক নাস্তিক ঘোষনায় যাচ্ছেন। এটাকে এর ক্ষমতালিপ্সু রাজনৈতিক চরিত্র দিয়েই বুঝতে হবে।


৩১| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৩:৩০

আহমাদ জাদীদ বলেছেন: যেভাবে পরিচয় সংকটে ব্লগাররা

৩২| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৩:৩৭

আহমাদ জাদীদ বলেছেন: আমি যতদূর জানি আপনি নাস্তিক তবে উগ্রতার আশ্রয় নেন না । এভাবে ব্লগের ইমেজ খারাপ হওয়ার জন্য আপনার অভিন্ন বিশ্বাসের কয়েকজনের কুতসিত ব্লগিং দায়ী । এদের বিপক্ষে প্রতিবাদ করেছেন বলে এভাবে আপনি ঢালাওভাবে আলেমদের অভিযুক্ত করতে পারেন না । তারা কয়েকদিন আগে পর্যন্তও অনলাইনের এসব ব্যাপার নিয়ে জানত না । তারা কিভাবে খোঁজ পেল এবং কাদের কারণে খোঁজ পেল? একটু ভাবুন উত্তর পেয়ে যাবেন । তাদের মন-মানসিকতাও বোঝার চেষ্টা করুন । মানছি "ব্লগার মাত্রই নাস্তিক" এমন একটা প্রচার হয়েছে । এর জন্য কিছু মানুষের অতি উতসাহী মাতব্বরির দায়ও আছে ।

৩৩| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৪:০৮

নষ্ট ছেলে বলেছেন: "লেখক বলেছেন: আপনে তো ভাই কিছুই জানেন না। গণজাগরন মঞ্চ থেকে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি বামদের ইচ্ছায় হয়নাই। এই মুহুর্তে বাংলাদেশে এধরণের কোন দাবির পক্ষে বামদের অবস্থান নাই।"

দাবিটা একবারে শুরু দিকে উঠেছিল। তখন গণজাগরণ মঞ্চ বামদের হাতে ছিল। বামদের নিয়ন্ত্রনে থাকা গণজাগরণ মঞ্চে থেকে অন্য কার ইচ্ছায় এই দাবি উঠল?


"এই প্রশ্ন তুলতে হবে কারন শাহবাগ আন্দোলন শুরু হওয়ার আগে হেফাজতে ইসলামের ব্যানারে এই দাবিদাওয়াগুলো নিয়ে কোন আন্দোলন ছিলনা।"
কোন আন্দোলন ছিল না বললে ভুল হবে। সরকারের বিরুদ্ধে হেফাজতে ইসলাম আগেও আন্দোলন করেছে। প্রমাণ এখানে আছে।

৩৪| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৪:৩২

পথিক আমি বলেছেন: চলে যাচ্ছিলাম কিন্তু আবার আসতে হলো আপনি আমাকে ভুল বুঝলেন দেখে, আমি আপনাকে বিদ্বেষী বলিনি। আমি কি বলেছি দেখেন
পারভেজ আলম অন্যান্য বিদ্বেষীদের তুলনায় যথেষ্ঠ পরিছন্ন এবং কদাচিত উনাকে ফালতু খুচাখুচিতে জড়াতে দেখা যায়, এমন যারা আছেন তাদেরকেও ঢালাওভাবে দূরে ঠেলে দেয়া সুবিবেচনার পরিচায়ক নয়

যারা চরমপন্থা অবলম্বন অন্যের অনুভুতিকে 'নুনুভুতি' আখ্যায়িত করে যা ইচ্ছা বলে গেছেন তাদের সম্পর্কে আপনাদের অবস্থান পরিষ্কার করুন।

আপনাকে বিদ্বেষীদের কাতারে ফেলতে চাইলে এই কথাগুলো নিশ্চই বলতাম না তাই না, তারপরেও যদি আপনার মনে হয় না এই লোকও আমাকে বিদ্বেষী বলছে সেক্ষেত্রে আন্তরিক দুঃখবোধ প্রকাশ করলাম!
'তাদেরকে' এটাতেও ভুল বুঝেছেন, আপনাকে ছোট করে দেখানোর জন্য তাদের ব্যবহার করা হয়নি। যেটা বুঝতে চেয়েছি তা হলো, অনলাইনে যারা সক্রিয়ভাবে নাস্তিকতার সাথে জড়িত (আমার জানামতে ব্লগে অনেক নাস্তিকই আছেন যারা নাস্তিকতা-আস্তিকতা বিষয়ে না জড়িয়েই ব্লগিং করে যাচ্ছেন) তাদের মধ্যে যারা বিদ্বেষমূলক কথা না বলেই এটা করে যাচ্ছেন আপনি সেই অল্প কজনদের একজন, এখানে 'তাদের' দিয়ে আপনাকে ছোট না বরঞ্চ আপনার অবস্থানকে বড় করেই দেখাতে চেয়েছি। আপনার ব্লগিংকে নিশ্চই বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকেই দেখা যায়, আমি তার একটাতে আপনার অবস্থান তুলে ধরেছি এবং তা পজিটিভলিই তুলে ধরেছি।
আপনার বক্তব্য ভুল বুঝিনি, আমি আপনাকে বিষয়টাকে ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি থেকে দেখাতে চেয়েছি। সাম্প্রতিককালের বৃহত্তম মুভমেন্ট তাহরির স্কয়ারে মানুষ যখন জড়ো হয়ছিল তার অনেকগুলো কারণ ছিল এবং এর মানে এই না যে এই সমস্যাগুলো মানুষ আগে ফিল করেনি। যে কোনো আন্দোলনকে অন্য পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য 'বিশেষ কিছু একটার' দরকার হয়,তাহরির স্কয়ার যেমন তাদেরকে সেটা দিয়েছিল তেমনিভাবে কিছু ধর্মবিদ্বেষী নাস্তিকের কুকর্ম আজ হেফাজতে ইসলামকে তাদের আন্দোলনকে অন্য পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার উপলক্ষ্যটা তৈরী করে দিয়েছে এবং স্বাভাবিকভাবেই অন্য বিষয়গুলোও উঠে এসেছে। সেগুলোর সব যৌক্তিক কিনা সেটা ভিন্ন আলোচনার দাবিদার এবং ইতোমধ্যেই দেখেছেন আমি নিজেও অনেকগুলো ব্যাপারেই একমত না।
আপনি যদি উনার বক্তব্যকে সেভাবেই বুঝতে চান সেটা যে কারণেই হোক না কেন, সেক্ষেত্রে আমি শত চেষ্ঠা করলেও আপনি নিশ্চই সে অবস্থান থেকে সরে আসেবন না। সুতরাং এটা নিয়ে তর্কের কোনো মানে হয় না, আর আল্লামা শাফি ক্ষমতালিপ্সু আপনার এই ধারণাটা চরম ভুল, তবে উনার আশেপাশে ক্ষমতালিপ্সু কেউই নেই এটাও কখনই বলব না।

৩৫| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৪:৪০

পথিক আমি বলেছেন: আরেকটু যোগ করে যাই, আপনার সম্পর্কে আমার অবস্থান ফিফার আগের পোস্টে আমার কমেন্টে দেখতে পাবেন যেখানে আমি বলেছিলাম 'ব্লগে নাস্তিকতার জন্য পারভেজ আলমেকে ব্যান করার দাবি করে কতটা পোস্ট এসেছে, একটাও না!'।

৩৬| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৫:১৪

বর্ণান্ধ বলেছেন: যুক্তিপূর্ন লেখা।

৩৭| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৫:১৬

বর্ণান্ধ বলেছেন: যুক্তিপূর্ন লেখা।

৩৮| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৮:৫৪

আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: চমৎকার এবং যৌক্তিক বিশ্লেষন।

ইসলাম ধর্ম যেখনে বলেছে “ধর্মকে নিয়ে বাড়াবাড়ি করো না।” (সুরা বাকারা) -সেখানে হেফাজতে ইসলামের আস্ফালন আমাদের ভাবতে বাধ্য করে বৈকি। সবাইকে গণহারে নাস্তিক বলা টা কি ইসলাম সাপোর্ট করে? না করে না। এটা মধ্যযুগীয় ব্রাহ্মণ্যবাদী চিন্তাচেতনার প্রতিফলন। আর শাহবাগের আন্দোলন শুরু আগে কৈ ছিল তাদের ধর্মানুভুতি সেটাও জানতে চাই। কারণ এর আগে যে একটা গোষ্ঠি ধর্ম বেচে খেত তাদের সাথে বেশ মিল পাচ্ছি হেফাজতের!


আর প্রযুক্তি বাবাজীর ব্লগটা একবার ঘুরে আসলেই হলো। একদিকে হাদিস প্রচার করে আরেকদিকে মেয়েদের সাইজ জিরো নিয়েও ব্যাপক গবেষনা করেছেন। তার কছে এই বিশ্লেষন অযৌক্তিক লাগতেই পারে!

৩৯| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৯:১৫

আমরা তোমাদের ভুলব না বলেছেন: অতীব গিয়ানী পুস্ট, ইহা মানবতার জন্য পাথেয় স্বরূপ, বুদ্ধিমানের জন্য এক বিশাল দিক নির্দেশনা।
আপোনার এহেন পরোশ্রমের পোস্ট পড়িয়া যার পর নাই, মুগ্ধ হয়ে গেলুম।
চোখের জল শত চেস্টাতে ওআটকাইয়া রাখতে পারলাম না।

:(( :(( :(( :(( :(( :(( :(( :(

আপনার এই রকম হৃদয় বিদারক ঘহটনার জন্য বাজারের সব থেকে ভাল মলম (চুলকানীর জন্য) স্কয়ারের টা ইউঝ করতে পারেন।
(শুনেছি ওটাতে নাকি মেনথল দেওয়া থাকে),

আর সামুকে তেব্র আবেদন, যাতে এইরকম একটা পোস্টের অবদানের জন্য পোস্ট দাতাকে নুবেল প্রদান পুর্বক নাইলেনর কট সুতা দিয়ে শক্ত করে বাধিত করেন।

৪০| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:৪২

সাহসী আমি বলেছেন: নাস্তিকতা যার যার নিজস্ব ব্যাপার। কেউ কাউকে জোর করে আস্তিক বানাতে পারেনা। আমেরিকা-কানাডায় হাজার হাজার নাস্তিক দেখেছি যারা আস্তিকদের মতবাদকে নিয়ে কোন কটুক্তিতো করেই না, ক্ষেত্র বিশেষে কল্যানকর মনে করে।

নাস্তিকতা এক বিষয়; ধর্ম নিয়ে ঠাট্রা, কটুক্তি, বিকৃতকরণ ্অন্য বিষয়। এগুলোর শাস্তি না হলে সমাজ অশান্ত হয়ে পরবে স্বাভাবিকভাবেই। তাদের শাস্তি দেয়ার বিকল্প নেই।

৪১| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:০৬

ভাল ছাত্র বলেছেন: ইমাম শাফি - শুদ্ধ নয়।

আল্লামা আহমদ শফি - শুদ্ধ করে দিন।



ইমাম শাফি বলতে শাফেয়ী মাজহাবের ইমাম হযরত ইমাম শাফি রাহ কে বুঝান হয়ে থাকে। ২০০ হিজরী শতকের দিকে ওনার আবির্ভাব হয়েছিল (মতানৈক্য আছে)। তিনি মুসলিম বিজ্ঞানীও ছিলেন। মালয়শিয়ান মুসলমানগণ তার মাজহাব ফলো করে থাকেন। চীন, ইন্দোনেশিয়া, ব্রনাই, সৌদি আবরে ওনার মাজহাবে অনুসারী আছে।


৪২| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:০৬

কাউন্টার হেজিমনি বলেছেন: আপনেরা নাস্তিক মার্ক্সিস্টরা প্রশ্ন করতে পারেন এতোদিন মুনমুন ময়ূরীর অমুক তমুকের ন্যাংটা নাচের বিরূদ্ধে হিন্দী সিনেমার বিরূদ্ধে পর্ণোগ্রাফির বিরূদ্ধে ধর্ষণের সেঞ্চুরীর বিরূদ্ধে কিংবা আমলা-মন্ত্রীদের বদমাশির বিরূদ্ধে হেফাজত নামে নাই ক্যান?আজকে ক্যান তারা ইসলাম রক্ষা আর নাস্তিকদের শাস্তির দাবীতে মাঠে নামলো?এতোদিন কি তাইলে ইসলামের কোন ক্ষতি হয় নাই?এতোদিন তারা ছিলো কই? এই প্রশ্নটা ঘুরাইয়া কম্যুনিস্টগো করা যায়ঃ এতো এতো বৈপ্লবিক পরিস্থিতি থাকার পরও তাদের কাঙ্ক্ষিত বিপ্লব হয় নাই ক্যান?তারা মাঠে ঘাটে নাই ক্যান?ঝিম ধইরা বইসা আছেন ক্যান তারা? এই প্রশ্নের উত্তর নাই।ঘুরাইয়া প্যাঁচাইয়া তারা নানা রকম উত্তর দিয়া থাকেন। প্রশ্ন হইতেছে, নাস্তিক লইয়া হেফাজতিগো কামটা কি?লং মার্চেরই বা তাদের দরকারটা কি?এই প্রশ্নের উত্তর 'ষড়যন্ত্র-তত্ত্বকার'রা যা দিয়া থাকেন তার সারকথাটা হইলো, ঐ হেফাজতিরা জামাতের সঙ্গে আঁতাত কইরা সরকাররে বেকায়দায় ফেলনের লাইগা এইসব করতেছেন।এদের উদ্দেশ্য দুইটা কথা।প্রথমত, ইতিহাসের ঘটনারে ষড়যন্ত্র-তত্ত্ব দিয়া ব্যাখ্যা করলে নানামুখী ভুল হয়।ষড়যন্ত্র কইরা এখন কেউ ফিউডাল যুগে ফিরা যাইতে পারবে না, ষড়যন্ত্র কইরা সমাজতন্ত্রও আসবে না, ইসলাম তো কখনো না। দ্বিতীয়ত, ইতিহাসের নানা শ্রেণীর শ্রেণীসংগ্রামরে ষড়যন্ত্র নামক তত্ত্বে পর্যবসিত করাটা এক মৌলিক ভুল,তাতে কইরা নানা শ্রেণীর শ্রেণী-তৎপরতার ভাষা বুঝা যায় না। তৃতীয়ত, হেফাজত এখনো সরকাররে নাস্তিক ঘোষণা করে নাই।তারা সরকারের কাছে কিছু দাবী দাওয়া নিয়া যাইতে চাইতেছে। অতএব, সরকার-পতন-ষড়যন্ত্র-তত্ত্ব এইখানে বাতিল। প্রশ্নটা হইতেছে, এমন কি ঘটলো যাতে কইরা হেফাজতরে রাস্তায় নামতে হইতেছে?তার পিছনের রাজনৈতিক অর্থনৈতিক কারণ কি কি? হেফাজত-ওয়ালারা সর্বহারা তো বটেই, উপরন্তু এই দেশে তারা সর্বহারা প্রান্তিক মানুষজনের বুদ্ধিজীবীও বটে। এই মানুষগুলান হেফাজতিগো লালন পালন করে।তাই হেফাজতিগো উৎপাদনের লগে অ-জড়িত হিসাবে চিহ্নিত কইরা তাগোরে 'লুম্পেন' হিসাবে উপস্থাপন করাটা সংকীর্ণতা বাদে আর কিছুই না। আল্লাহ-নবী তাদের কেবল আধ্যাত্নিক সত্ত্বা না, এরা একেবারে রিয়েলিটি,সাক্ষাৎ 'প্রমাণ'। এইটার সাথে তার রুটি রুজির সম্পর্ক থেইকা শুরু কইরা সব ধরণের সম্পর্ক আছে।মায়ের সাথে শিশুর যেরকম সম্পর্ক থাকে,অনেকটা সেইরকম। সে একইসাথে মায়ের লগে নানারকম বন্ধনে জড়িত থাকে,আবার তার দুধ খাইয়া বড়োও হয়। যেসব সেক্যুলাররা বলে, এই হেফাজতিরা/হুজুরেরা আল্লাহ-নবীরে বেঁইচা খায়,তারা এই ব্যাপারটার কথা খেয়ালও রাখে না। কে কারে না-বেঁইচা খায়? 'মুক্তচিন্তা' বেঁইচা সেক্যুলাররা খায়, ওয়ার অন টেরর বেঁইচা শাহরিয়ার কবীর খায়, ফর্সাকরণ বেঁইচা ফেয়ার এন্ড লাভলী খায়, পুঁজিবাদ-ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যতা-আধুনিকতা বেঁইচা আমাগো প্রগতিশীলেরা খায়।এই যে এতো বেঁচাবেচি এতে দোষ আর কার? দোষ ঐ সিস্টেমের যেই সিস্টেম এইসবরে বাঁচাইয়া রাখছে।এখন হেফাজতিরা সেক্যুলারদের লগে নাই।গত কয়েক মাসে নানাভাবে তাদের ঈডিওলজির উপর, বাঁইচা থাকার প্রক্রিয়ার উপর আঘাত আসছে। এই আঘাতটা সেক্যুলাররাই একতরফা দিয়া গেছে। এইটার প্রতিক্রিয়ায় এখন হেফাজতিরা এইটার জন্য পালটা বলপ্রয়োগের জায়গায় গেছে।এই দুইটা মুখোমুখি বলপ্রয়োগকারী দলের মধ্যে কোনটা জয়ী হইবো সেইটা দেখার বিষয়।কিন্তু একটা ব্যাপার পরিষ্কার হইয়া গেছে, নাস্তিকতা/আস্তিকতার প্রশ্নটা এখন আর নাস্তিকতায়/আস্তিকতায় সীমাবদ্ধ নাই,এইটা এখন আরো বিস্তৃত হইয়া গেছে।অন্য ধর্মের উপর হেফাজতিরা বিদ্বেষ দেখাইতেছে না, হেফাজতিগো প্রতিবাদ ইসলামের উপর আক্রমণকারী/ইসলাম-বিদ্বেষীদের বিরূদ্ধে।ওয়ার অন টেররের এই যুগে ইসলাম-বিদ্বেষ সহিংসতার রূপ নিয়া নিছে অনেক আগেই। নানা ভাবে আক্রমণ কইরা শেষমেষ আজকা ড্রোন হামলার যুগে পদার্পন করছে এই প্রবণতাটা। এইটার বিরূদ্ধে হেফাজতিগো আন্দোলন এক দিক দিয়া 'ওয়ার অন টেরর এবং তার বাংলাদেশী ধারক বাহক সেক্যুলার-ইসলাম-বিদ্বষীদের বিরূদ্ধেই আন্দোলন। এই আন্দোলনটা কতখানি ক্ষমতা অর্জন কইরা ব্যাপক আকার ধারণ করবে সেইটাই দেখার বিষয়। তবে ,মনে রাইখেন, এই কয়েক মাসে অনেক কিছুই চেঞ্জ হইয়া গেছে।আপনে আর চাইলেও পুরানা আওয়ামী-বিএনপির রাজনীতিতে ফেরত যাইতে পারবেন না। গঙ্গার জল কিন্তু ফেরত আনা যায় না ! (সংগৃহীত )

৪৩| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:২৪

নন্দনপুরী বলেছেন: হে আল্লাহ..........ধর্ম ব্যাবসায়ী শিবির ও নাস্তিক ব্লাগারদের হাত থেকে তুমি দেশ ও ইসলামকে রক্ষা কর।

৪৪| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৮

হাবিবউল্যাহ বলেছেন: আপনে জেনেশুনেই পোস্ট করে থাকেন বলে মনে করি।ধর্ম বিষয়ে আর ইতিহাস বিষয়েও আপনের ধারনা খুব খারাপ না।
হেফাজতে ইসলামির সব পয়েন্টের সাথে সবাই একমত না এটা নিশ্চয়ই আপনে জানেন?

আপনে দাড়িপাল্লা ফাইজলামির পরেও দাড়িপাল্লার পক্ষে আছিলেন।প্রতিবাদ করেন নাই।তার নিক খোয়া যাওয়াতে আপনে ব্যাথিত হইছেন।

তখন আপনাকে এত বুদ্ধিমান মনে হয়নাই।আপনের বুদ্ধি কারো কাছে বন্ধক রেখেছেন অথবা কোন ধারনার কাছে সেটাকে বিক্রি করে দিয়েছেন বলেই মনে হয়েছে।

চুলকানি অনেক পোষ্টের বিরোধিতা ই আপনে করেন নাই।
কারন?
তারা আপনার কাছাকাছি ধ্যান ধারনা পোষন করেন।

এখন এই মাওলানাদের আন্দোলনে অনেকেই সমর্থন দিচ্ছে।
কারন এইদেশের বেশীরভাগ মানুষ ই তাদের অনেক ধ্যান ধারনার সাথে সহমত পোষন করে।ধর্মিয় ব্যাপারে।

আপনের সাথে তাদের পার্থক্য কোথায় রইল?

আপনে তাইলে কোন হিসেবে সবার কাছে জবাব চাইতেছেন?

আর এতদিন ধরে ধর্মপ্রান ব্লগারেরা যখন চুলকানি নাস্তিকের প্রতিবাদ কর্তেছে সেটা কি আপনাদের নজরে আসেনাই?সেই প্রতিবাদ তো ব্লগেই করা হইত।
আপনেরা সেটাকে কি দাম দিয়েছেন?

এখন সেই প্রতিবাদ যখন রাস্তায় হচ্ছে তখন কেন এই চিন্তা আসল?
ঐ সময় যদি ব্লগারদের প্রতিবাদের সাথে নিজেরাও একমত হইতেন তাইলে আজকে রাস্তায় এই হেফাজতদের দেখতে হইতোনা।

আমাদের ব্লগারদের ভুলের মাশুল এখন আমাদের ই তো দিতে হবে।কে দিবে তাহলে?


ভিন্ন প্রসংগঃ

আপনের পোষ্টের শিরোনাম
"ইমাম শাফি মধ্যযুগীয় ব্রাহ্মণদের মতো নাস্তিকতার সংজ্ঞা দিচ্ছেন"

এইখানে কি আপনে সঠিক নাম ব্যবহার কর্ছেন?
ভুল কি ইচ্ছা কৈরা ই কর্ছেন নাকি অজ্ঞতাপ্রসুত ভুল এইটা?


ইমাম শাফি কে আপনে চেনেন না সেটা আবার বলতে যাইয়েন না কিন্তু।

আপনাদের সমমনারা কিন্তু বানানের ভুল নিয়ে অনেক ক্যাচাল করেছেন।

তো এখানে ইমাম শাফি আসল কিভাবে?
আমি তো প্রথম দেখায় ই থমকে গেলাম।ভাবলাম ইমাম শাফি'র সাথে হেফাজতে ইসলামের কি সম্পর্ক?

কোন সমপর্ক ই নাই আসলে।

তার নামটাও হয়ত আপনে ভালো করে খেয়াল করেন নাই।সেই লোক সমপর্কেও আপনের ধারনা তেমন পোক্ত না সেটাও বুঝতে পার্লাম।

অথচ মুফতি আহমদ শফিকে এই দেশের বেশীরভাগ মানুষ ই আল্লামা শফি অথবা আহমদ শফি বলে ডাকে।

আর তাকে আপনে ইমাম শাফি বানাইয়া ফেলছেন।

পোষ্টের শিরোনাম এডিট করেন যদি ইচ্ছা হয় আপনের।

ধন্যবাদ।

৪৫| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:০৩

শাশ্বত স্বপন বলেছেন: ইমাম শাফী বড় মাপের আলেম। তিনি বড় দুই দলের বড় বড় মাপের নাস্তিকদের এবং নাস্তিক ব্লগারদের একাধিক বার দ্বীনি দাওয়াত দিতে পারতেন, সেরা দুনীতিবাজদের বুঝানো বা শাস্তির জন্য আন্দোলন করতে পারতেন--যাদের কারণে দেশের খারাপ অবস্থা--তা না করে লংমার্চ, হরতাল!

হুজুরকে ভূল পথে চালানো হচ্ছে। আমি শাহবাগের এবং হেফাজতে ইসলামের আন্দোলনে রাজনীতির গন্ধ পাচ্ছি। সরকারের শেষ সময়ে কেন...

ভাইয়েরা, আপনারা বকা দিবেন না। তাহলে আর লিখব না।

৪৬| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:০৩

উন্মোচক বলেছেন: নাস্তিকের সংজ্ঞা নিয়া এত তড়পাতড়পি করেন ক্যান? আসিপ মহিউদ্দিন গং নিজেদের নাস্তিক হিসেবে স্বীকার করে কি না, হেইডা কন।

৪৭| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:৪৮

হাঁড় = ঘাঁড় বলেছেন: পোষ্টে +++++++++++++++

গত ২৪ ঘন্টায় সামুতে ফ্লাডিং হচেছ। হেফাজতে ইসলামের নাম করে পথে নামা তান্ডবকারীদের বিষয়ে অনেক ধর্মীয়, নৈতিক ও আইনগত বিষয় নিয়ে পোস্ট এসেছে। এই পোস্টগুলোতে অসংখ্য বিষয় স্পষ্ট করা হয়েছে।

...তালেবান জঙ্গিবাদের ভয়

মুসলমানিত্ব যাচাই পরীক্ষায় ব্লগারের ত্রাহি দশা : এই ধর্মব্যবসায়ীদের হারাতেই হবে

'হেফাজত' এর অণু-পরমাণু: শিউরে ওঠার উপাখ্যান

হয় তালেবানী না হয় শত্রু

মধ্যযুগের দিকে যাচ্ছে দেশ (বাংলাস্তান অথবা পূর্ব পাকিস্তান) : হেফাজতিদের ১৩ দফা দাবি এবং আমার চিন্তা

হেফাজত ইসলামের শান্তির নমুনায় হামলা চলছে

হেফাজতের নেতা আর টিভি র টক শোতে (আওয়ার ডেমোক্রেসি) বললেন বেপর্দার জন্য মালালা কে গুলি করা হয়েছ।।

ফিউশন ফাইভ এর পোস্টের ছবি নিয়ে যারা কনফিউসনে আছেন তারা এইদিকে আসেন

হিফজতের প্রধান আস্তানা ভারতের দেওবন্দ: দেখুন সেই দেওবন্দীদের কি অবস্থা

‘নাস্তিকদের শায়েস্তা করি, এরপর মিডিয়া’


...হেফাজতের কাছে প্রশ্ন

শাপলা চত্বরের এক নাম না জানা তরুণের কাছে শাহবাগ চত্বর থেকে খোলা চিঠি : আরিফ জেবতিক

হেফাজতিরা পারলে প্রশ্নগুলোর জবাব দিন নতুবা মেনে নিন আপনার ভন্ড!

হেফাজতের মঞ্চ দখলের ঘোষণা। গায়ে পড়ে ঝগড়া করার শামিল নয় কি?

জানুন অন্যকে মুশরিকক/কাফির/মুনাফেক/নাস্তিক বলা গোনাহ

আল্লাম শফি ধ্যযুগীয় ব্রাহ্মণদের মতো নাস্তিকতার সংজ্ঞা দিচ্ছেন

ইসলাম হেফাজতের মালিক কোনো মানুষ নয়, বরং স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক

ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করা সত্যিকারের মুসলমানের কাজ না

বুকে যদি বিন্দু মাত্র ঈমানী শক্তি ও জোর থাকে হেফাজতে ইসলাম, আমার ছবিগুলোর বিপক্ষে যুক্তি দেখান।

হেফাজতে ইসলামের আসল চরিত্র

প্রিয় নবীজির নামে জঘণ্য মিথ্যাচার করল হিফাজত!!!

হেফাজতে ইসলামের কাছে কি ইসলাম হেফাজত ?

...লংমার্চ

লংমার্চ জায়িয প্রমাণ করতে পারলে আনজুমানে আল বাইয়্যিনাত-এর পক্ষ থেকে একশ’ কোটি টাকার চ্যালেঞ্জ ঘোষণা।

লংমার্চ নাস্তিক্যবাদবিরোধী কর্মসূচি নয়; বরং কট্টর নাস্তিক মাওসেতুংয়ের নাস্তিক্যবাদ তথা কমিউনিস্টবাদ প্রতিষ্ঠার কর্মসূচি

পবিত্র ‘হিজরত’ এর সাথে মাওসেতুং এর লংমার্চ মিলানো কুফরী হবে

প্রাণপ্রিয় নবীজি লংমার্চ করেছেন!!! (নাউযুবিল্লাহ) উক্ত অপবাদ লেপনকারী নিশ্চিত জাহান্নামী

...শাহবাগ নিয়ে পুনর্মূল্যায়ন ও গণজাগরণ মঞ্চে হামলা

কাণ্ডারি হুশিয়ার!!

শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চে হামলা চালিয়েছে হেফাজতে ইসলামীর কর্মীরা।

লড়াই হবে রাজপথে। শাহবাগ আবার জেগেছে। আবার জেগেছে প্রজম্ম..........জয় বাংলা।

গণজাগরণ মঞ্চ।

এবার সশস্ত্র প্রতিরোধের পালা, সমবেত হোন শাহবাগে

হেফাজতে ইসলামের শান্তির নমুনা : নির্মূল কমিটির সমাবেশে হেফাজতের হামলা

...জামাত বিষয়ে হেফাজত অন্ধ

হেফাজতী ইসলামের লংমার্চঃ নেপথ্যের এক ভয়াবহ কাহিনী

জামাতের বিরুদ্ধে, দেওয়ান বাগির বিরুদ্ধে কোনদিন লং মার্চ করলেন না কেন মাওলানা শফি সাহেব (দঃবাঃ)?

একটি হেফাজতে জামায়েত ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য হুমকি!!

যুদ্ধাপরাধীদের টাকায় এই আন্দোলন.....

ওরা হেফাজতে ইসলাম নয়- হেফাজতে জামাত ॥

হেফাজতে ইসলাম এত টাকা পেল কোথায় ?

হেফাজতে জামাতের এইগুলো নাকি অরাজনৈতিক বক্তব্য

হেফাজত-জামায়াত গোপন ফোনালাপ ফাঁস সরকার উৎখাত ও লংমার্চের ষড়যন্ত্র নিয়ে কথোপকথন

...তেরো দফা

হেপাজতে জামাতে ইসলামীর ১৩ দাবীর বাস্তবতা এবং কল্প বাস্তবতা।

লংমার্চ কর্মসূচি ইসলাম ও কুরআন শরীফ বিরোধী : একাত্তরে ঘাতক বাহিনীর সংগঠক ছিলো মাওলানা শফী

...নারীর উপর তালেবানী হামলা

এবার নারী সাংবাদিককে বেধড়ক পিটিয়েছে হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীরা, অবস্থা গুরুতর।

বাংলা হবে আফগান : নারীদের পেটানো শুরু করে দিয়েছে হেফাজতে ইসলাম

ব্রেকিং!!বাংলাস্তানে স্বাগতম!!নারী সাংবাদিককে বেধড়ক পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে হেফাজতের লোকজন!

আমি ও চাই !

উপরের পোস্টগুলোতে এত বেশি সংখ্যাক তথ্য আছে যে এগুলোই যথেষ্ট। আর এই সময়ে হেফাজতিরা দিচ্ছে রাষ্ট্রদ্রোহী পোস্ট।

...রাষ্ট্রদ্রোহীদের নর্তনকুর্দন

'ঢাকা বিচ্ছিন্ন এইটাই চান্স' -এই ধরনের রাষ্ট্রদ্রোহী পোস্টদাতা ও তাদের সমর্থকদের চিনে নিন। মুখোশ উন্মোচন করুন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.