![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১. সংবিধানে ‘আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস’ পুনঃস্থাপন এবং কোরআন-সুন্নাহবিরোধী সব আইন বাতিল করা।
-গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সকল ধর্মের মানুষকে নাগরিকত্ব দিতে বাধ্য। তা না দিলে এই রাষ্ট্র গণপ্রজাতন্ত্রী চরিত্র হারাবে। কোরআন-সুন্নাহ’র আইন বলতে কি বোঝায় সে বিষয়েও বাংলাদেশের সকল মুসলিম আলেম এবং সকল মুসলিম সমাজ একমত হবেন না। সিয়া, সুন্নি এবং সুফিপন্থীদের সুন্নাহ বিষয়ক ধারণা এবং কুরান বিষয়ক ইন্টারপ্রিটেশনেও ফারাক আছে। এই অবস্থায় কুরান-সুন্নাহর আইন প্রতিষ্ঠা দাবি করলে আগে এর অর্থ সুস্পষ্ট করতে হবে। তার আগে এমন কোন দাবি বিবেচনা করার বিন্দুমাত্রও অবকাশ নাই। সেই সাথে শুধুমাত্র ইসলাম ধর্মের শরিয়া আইনকে বাংলাদেশের আইন হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করলে বাংলাদেশ আর গণপ্রজাতন্ত্রী থাকবেনা, ইসলামী প্রজাতন্ত্র হবে। ইসলামী প্রজাতন্ত্র এবং সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করে আমরা সকল ধর্ম ও মতের মানুষের সমান অধিকারের গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেছি ১৯৭১এর মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে, লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে। মানব লিখিত এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় পরিবর্তন সক্ষম সংবিধান বাংলাদেশ রাষ্ট্রের তাবৎ আইনের ভিত্তি। হেফাজতে ইসলামের ১ নম্বর দাবী তাই গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সম্পূর্ণ পরিপন্থী।
২. আল্লাহ্, রাসুল (সা.) ও ইসলাম ধর্মের অবমাননা এবং মুসলমানদের বিরুদ্ধে কুৎসা রোধে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে জাতীয় সংসদে আইন পাস।
-শুধু মুসলিমদের বিরুদ্ধে কুৎসা রোধ করতে হবে কেনো? অন্য ধর্মাবলম্বীরা কি দোষ করেছে? তাদের বিরুদ্ধে কি কুৎসা রটনা হয়না? এদেশে হিন্দুর মন্দির ভাঙা হয়েছে, বৌদ্ধদের মুর্তি ভাঙা হয়েছে, তার বিরুদ্ধে হেফাজত বিচার চায়না, টু শব্দও করেনা। কিন্তু ব্লগে কুৎসা রটনার শাস্তি হিসাবে তারা মৃত্যুদন্ড চায়। এবং সেইটা চায় আবার জাতীয় সংসদে আইন পাসের মাধ্যমে। অথচ তাদের প্রথম দাবি সংসদীয় ব্যবস্থা অস্বিকার করে। কারন, সংসদিয় ব্যবস্থা একটি গণতান্ত্রিক পদ্ধতি, কুরান বা সুন্নাহ থেকে এমন কোন ব্যবস্থা পাওয়া যায়না।
৩. কথিত শাহবাগি আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী স্বঘোষিত নাস্তিক-মুরতাদ এবং প্রিয় নবী (সা.)-এর শানে জঘন্য কুৎসা রটনাকারী ব্লগার ও ইসলামবিদ্বেষীদের সব অপপ্রচার বন্ধসহ কঠোর শাস্তিদানের ব্যবস্থা করা।
-শাহবাগ আন্দোলনের সাথে ব্লগের নাস্তিকতা অথবা ইসলামবিদ্বেষী কোন ব্লগারের ব্লগিংএর কোন সম্পর্ক নাই। এখানে শাহবাগ ও নাস্তিকতা একসাথে এসেছে জামাত বাঁচাতে মাহমুদুর রহমানের মিথ্যাচারের মাধ্যমে। আর এই মিথ্যাচারের উপরই নির্ভর করে আগাচ্ছে হেফাজত। মাহমুদুর রহমানের আমারদেশ পত্রিকায় কাবার গিলাফ পরিবর্তনের ছবিকে পর্যন্ত মিথ্যাচারের মাধ্যমে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বিরোধী মানববন্ধন হিসাবে প্রচার করা হয়েছে। পশ্চিমাদের দালাল মাহমুদুর রহমানের প্রোপাগান্ডার উপরে ভর করে আন্দোলন করে হেফাজতে ইসলাম নিজেদের আন্দোলনকে ঈমানী আন্দোলন বলে দাবি করছে।
৪. ব্যক্তি ও বাকস্বাধীনতার নামে সব বেহায়াপনা, অনাচার, ব্যভিচার, প্রকাশ্যে নারী-পুরুষের অবাধ বিচরণ, মোমবাতি প্রজ্বালনসহ সব বিজাতীয় সংস্কৃতির অনুপ্রবেশ বন্ধ করা।
-প্রকাশ্যে নারী-পুরুষের অবাধ বিচরণ, মাইন্ড ইট! গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ লিঙ্গ নিরপেক্ষভাবে নারী পুরুষ সবাইকে সমান নাগরিক অধিকার দিতে বাধ্য। এদেশের গার্মেন্টস শ্রমিকদের একটা বড় অংশই নারী, যারা পুরুষের পাশাপাশি কাজ করে এদেশের অর্থনীতি শক্তিশালী করছে। হেফাজতের দাবি মেনে নিলে তাদের ঘরে ফিরে যেতে হবে। হেফাজতের দাবি মেনে নিলে এদেশের নারীরা রাজনীতি করার অধিকার হাড়াবে। খালেদা জিয়া, শেখ হাসিনা, মতিয়া চৌধুরি, পাপিয়া এরা রাজনীতি করতে পারবেন না। এরপরও বিএনপি, বিকল্প ধারা এরা কিভাবে এই ১৩ দফার লংমার্চে সমর্থন দেয় তার উত্তর খুজলে, একটা বিষয় পরিস্কার হবে যে হেফাজত এবং তাদের সমর্থনদানকারীরা সমান ভন্ড। এইসব দাবিদাওয়া শুধুমাত্র এদেশের সাধারণ মুসলমানদের বিভ্রান্ত করতে ব্যবহৃত হবে।
৫. ইসলামবিরোধী নারীনীতি,ধর্মহীন শিক্ষানীতি বাতিল করে শিক্ষার প্রাথমিক স্তর থেকে উচ্চমাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত ইসলাম ধর্মীয় শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করা।
-আগের কথাতেই ফিরে আসি, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সকল লিঙ্গের নাগরিককে সমানাধিকার দিতে বাধ্য। সেই সাথে ইসলাম ধর্মীয় শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করার দাবি নেহায়েতই একটি মামাবাড়ির আবদারসূলভ দাবি। বলা হচ্ছে ধর্মহীণ শিক্ষানীতি বাতিল করতে হবে, তাইলে সকল ধর্মের শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করতে বলার কথা, কিন্তু বলা হচ্ছে শুধু ইসলাম ধর্মীয় শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করতে হবে। হেফাজতের এই দাবি সাম্প্রদায়িক।
৬. সরকারিভাবে কাদিয়ানিদের অমুসলিম ঘোষণা এবং তাদের প্রচারণা ও ষড়যন্ত্রমূলক সব অপতৎপরতা বন্ধ করা।
-এই দাবির মধ্য দিয়ে হেফাজতের আসল চেহারা আরো পরিস্কার হয়। কে মুসলমান এবং কে অমুসলমান সেইটা নির্ধারণ করার এখতিয়ার বাংলাদেশ সরকারের নাই। বরং প্রত্যেকের নিজ নিজ স্বাধীন ধর্ম পালনের অধিকার দিতে বাংলাদেশ সরকার বাধ্য। কাদিয়ানীরা সংখ্যালঘু হতে পারে, কিন্তু তারা নিজেদের মুসলমান হিসাবেই দাবি করে। হেফাজত অথবা সরকার তাদের সেই দাবি কেড়ে নেয়ার কে বা কারা? হেফাজতের এই দাবি কাদিয়ানীদের ধর্মানুভুতি আহত করে, এবং একি সাথে এদেশের বিভিন্ন মাজহাবের মুসলমানদের ভবিষ্যতের জন্যে হুমকিস্বরূপ।
৭. মসজিদের নগর ঢাকাকে মূর্তির নগরে রূপান্তর এবং দেশব্যাপী রাস্তার মোড়ে ও কলেজ-ভার্সিটিতে ভাস্কর্যের নামে মূর্তি স্থাপন বন্ধ করা।
- আরব দেশগুলোতেও মুর্তি আছে। মুর্তি ভাঙা তালেবানীদের আমরা ভুলিনাই। এই তালেবানীরা আমেরিকার টাকা খেয়ে জঙ্গী হয়ে উঠেছে, আবার পরে আমেরিকার আগ্রাসনের সুযোগই করে দিয়েছে। অপরাজেয় বাঙলা’র মতো মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবাহী ভাক্সর্য ধ্বংস করতে চায় হেফাজত। হেফাজতে ইসলাম পাকিস্তানের প্রেতাত্মা। এই প্রেতাত্মাকে পাকিস্তানেই ফিরে যেতে হবে।
৮. জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমসহ দেশের সব মসজিদে মুসল্লিদের নির্বিঘ্নে নামাজ আদায়ে বাধাবিপত্তি ও প্রতিবন্ধকতা অপসারণ এবং ওয়াজ-নসিহত ও ধর্মীয় কার্যকলাপে বাধাদান বন্ধ করা।
- এই বিষয়ে একমত। কিন্তু এইখানে বিঘ্ন ঘটাচ্ছে জামাত এবং তাদের সমমনারা। হেফাজত তাদের বিরুদ্ধে কিছু বলছেনা কেনো?
৯. রেডিও-টেলিভিশনসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে দাড়ি-টুপি ও ইসলামি কৃষ্টি-কালচার নিয়ে হাসিঠাট্টা এবং নাটক-সিনেমায় নেতিবাচক চরিত্রে ধর্মীয় লেবাস-পোশাক পরিয়ে অভিনয়ের মাধ্যমে তরুণ প্রজন্মের মনে ইসলামের প্রতি বিদ্বেষমূলক মনোভাব সৃষ্টির অপপ্রয়াস বন্ধ করা।
- এই বিষয়ে কিঞ্চিত একমত। তবে হেফাজতের যেই চরিত্র আমরা দেখতে পাচ্ছি তাতে সহসা ইসলাম ধর্মীয় লেবাসকে নেতিবাচক চরিত্র থেকে বের হতে দেখতে পাবো বলে মনে হচ্ছেনা।
১০. পার্বত্য চট্টগ্রামসহ দেশব্যাপী ইসলামবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত এনজিও এবং খ্রিষ্টান মিশনারিগুলোর ধর্মান্তকরণসহ সব অপতৎপরতা বন্ধ করা।
- এই দাবি খ্রিষ্ঠানদের ধর্মানুভুতিকে আহত করে। তাদের স্বাধীনভাবে ধর্ম প্রচারের অধিকার আছে।
১১. রাসুলপ্রেমিক প্রতিবাদী আলেম-ওলামা, মাদ্রাসার ছাত্র ও তৌহিদি জনতার ওপর হামলা, দমন-পীড়ন, নির্বিচার গুলিবর্ষণ এবং গণহত্যা বন্ধ করা।
- একমত। তবে পুলিশের উপর নির্বিচার হামলার বিরুদ্ধেও তাদের প্রতিবাদ করা উচিৎ ছিলো। সেটা না করে হেফাজত নিজেদের জামাতের দোসর হিসাবে প্রমাণ ক্রএছে।
১২. সারা দেশের কওমি মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষক, ওলামা-মাশায়েখ ও মসজিদের ইমাম-খতিবকে হুমকি-ধমকি, ভয়ভীতি দানসহ তাঁদের বিরুদ্ধে সব ষড়যন্ত্র বন্ধ করা।
- এমন কিছু হয়ে থাকলে এই দাবির সাথে সহমত।
১৩. অবিলম্বে গ্রেপ্তারকৃত সব আলেম-ওলামা, মাদ্রাসাছাত্র ও তৌহিদি জনতাকে মুক্তিদান, দায়ের করা সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং আহত ও নিহত ব্যক্তিদের ক্ষতিপূরণসহ দুষ্কৃতকারীদের বিচারের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি দিতে হবে।
- নিরপরাধ যেকোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে রাষ্ট্রিয় হয়রানী বন্ধের দাবি জানাই। তবে এইসব আলেম-ওলামার মধ্যে কি একাত্ত্বরের যুদ্ধাপরাধীরা আছে? থাকলে এই দাবিরে CTN
০৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:০৬
পারভেজ আলম বলেছেন: আপনি যে একজন অধার্মিক সেটা আপনার মুখের ভাষা প্রমাণ করে দেয়।
২| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:১০
বিজনও ঘরে বলেছেন: ভাই লেখাটা পরে ভাল লাগলো । ১০০% সত্য কথা বলছেন আপনি । আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ।
৩| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:১২
দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: + সহ প্রিয়তে নিলাম পারভেজ ভাই, আলোচনা আছে।
৪| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:১৯
আহমেদ রিজভী বলেছেন: জয় বাংলার দিন শেষ নারায়ে তাকবীরের বাংলাদেশ । যতই লাফালাফি কর বাংলাদেশ অচিরেই ইসলামিক রিপাবলিক অব বাংলাদেশে পরিণত হতে যাচ্ছে । জাষ্ট ওয়েট এন্ড সি ।
৫| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:২৩
কাফের বলেছেন: ভান্ডামির দাতভাঙ্গা জবাব
৬| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:২৫
তথই বলেছেন: আষাঢ় মাস আসতে এখনও অনেক দেরি ভাইজান
৭| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:৫২
নায়করাজ বলেছেন: এরা মনে করছে তালিবান শাসন আনতে পারবে, কিন্তু তারা জানে না, তালিবানের পরেই আসে আমেরিকা। তারপর আমেরিকান ঘাটি।
৮| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:২৭
সায়েম মুন বলেছেন: এ যেন মামাবাড়ির আবদার নিয়ে আসছে আবদার আলী।
ব্যাখ্যা ভাল লেগেছে।
©somewhere in net ltd.
১|
০৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:০১
কপোতাক্ষের তীরে এক অসামাজিক বলেছেন: নাস্তক কুকুরদের দাবি করার সাহস দেখে অবাক হই।
জাস্ট ওয়েট কর, সংবিধানে ‘আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস’ পুনঃস্থাপন এবং কোরআন-সুন্নাহবিরোধী সব আইন বাতিল করা হবে, তা হবে খুব শিঘ্রই,
বাকশালী কুকুরের দলও এটা থামাতে পারবে না।
আর অন্যান্য দাবীর ভেতরে কোনো অযৌক্তিক কিছু নাই, মেজরিটি পপুলেশন যা চাবে তাই হবে, মাইনর হীনজন্মা নাস্তিকদের ম্যাৎকারে কিছু এসে যাবে না।