![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাংলাদেশে কোন শক্তিশালী ও কার্যকরী বিরোধীদল না থাকায় সংসদে বাংলাদেশের প্রায় সবগুলো সিটের মালিক দল আওয়ামীলীগ প্রকৃতপক্ষেই একটি ফ্যাসিস্ট রাজনৈতিক দলে পরিণত হয়েছে। এক মাস সভা সমাবেশ নিষিদ্ধের স্বিদ্ধান্ত সেই ফ্যাসিস্ট চরিত্রের বহিঃপ্রকাশ। আওয়ামীলীগ সরকার শাহবাগ খেয়ে ফেলেছে, মতিঝিল ডুবিয়ে দিয়েছে। বিএনপি এই পুরো সময়ে আরেক ফ্যাসিস্ট জামাত ইসলামের রাজনীতির অংশ হয়ে ফ্যাসিস্ট কায়দাতেই সরকার উৎখাতের চেষ্টা করে আওয়ামীলীগের এই ফ্যাসিস্ট হয়ে ওঠার পথে ইন্ধন যুগিয়েছে। এখন তার মূল্য দিতে হচ্ছে সাধারণ জনগণ এবং প্রগতিশীল রাজনৈতিক ধারার শক্তিগুলোকে। সরকার সহিংশতা ও রক্তপাতের দোহাই তুলে জনগনের গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নিয়ে বাংলাদেশের গণপ্রজাতন্ত্র চরিত্রকে প্রশ্নের মুখে ফেলে দিচ্ছে। এই সরকারী ফ্যাসিজমের কোন জবাব বিএনপির কাছে নাই, তাই তাদের কোন উল্লেখযোগ্য কর্মসূচীও নাই। কারন ফ্যাসিস্ট কায়দায় সহিংসতা ও রক্তপাতের মধ্য দিয়া ক্ষমতা দখলের রাজনীতির সাথে নিজেদের জরিয়ে, কখনো সেনাবাহিনী আবার কখনো বিদেশী প্রভুদের ডেকে ক্ষমতার মসনদে বসার চেষ্টা করে, জনগণের উপর আস্থা হারিয়ে জনগণের আস্থা তারা হাড়িয়ে ফেলেছেন। সরকারী ফ্যাসিজমের বিরুদ্ধে প্রকৃতি গণতান্ত্রিক রাজনীতির মধ্য দিয়ে জবাব দেয়ার, প্রতিবাদ প্রতিরোধ গড়ে তোলার নৈতিক এবং অবশ্যই রাজনৈতিক শক্তিও তারা হারিয়ে ফেলেছে।
আজ বাম মোর্চার নেতাদের মিরপুরে সমাবেশ করতে না দিয়ে গ্রেফতার করে সরকার জানান দিয়েছে যে সহিংসতা আসলে ইস্যু নয়। সরকার শুধুমাত্র এদেশের ব্যাবসায়ী শ্রেনীর জন্যে স্বস্তিকর পরিস্থিতি নিশ্চিত করতে এবং শুধুমাত্র রাষ্ট্রের একটি শ্রেণীর প্রতি পক্ষপাত করতে গিয়ে স্বৈরাচারী অবস্থান গ্রহণ করেছে। আওয়ামীলীগ শুধুমাত্র দেশের ব্যাবসায়ী শ্রেনী এবং নিজেদের বিদেশী প্রভুদের খুশি রাখতেই মনযোগী। জনগণের শক্তির উপরে তাদের আস্থা নাই, কারন জনগণ আওয়ামীলীগের উপর আস্থা হারিয়েছে অনেক আগেই। জনগণের জানমালের পাহাড়া দিতে ব্যর্থ আওয়ামীলীগ পারেনাই ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করতে। এমনকি একাত্ত্বরের শহীদদের পক্ষে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠাকে তারা রাজনৈতিকভাবে কলুসিত করেছে। এদেশের গার্মেন্টস শিল্প টেকাতে হলে শ্রমিকদেরও বাঁচাতে হবে, কিন্তু শ্রমিকদের পক্ষে রাজনীতি না করা গেলে, সভা সমাবেশ না করে গেলে শ্রমিকদের অধিকার কিকরে আদায় করে নেয়া যাবে? দাবি দাওয়া ছাড়া এদেশের শোষিত শ্রেনীগুলা কবে কি আদায় করতে পেরেছে? রামপালে কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্প বানিয়ে সুন্দরবন ধ্বংসের পায়তারা হচ্ছে। জনগণ কি এসব অন্যায় মুখ বুজে সহ্য করবে? আপাতত মুখ চেপে ধরে সহ্য করানোই সরকারের উদ্দেশ্য।
এর বিরুদ্ধে রূখে দাঁড়াতে হবে। কারন আমরা এদেশের জনগণ বুকের রক্ত ঢেলে সংগ্রামের মধ্য দিয়ে এদেশের স্বাধীণতা সার্বভৌমত্ব ছিনিয়ে এনেছি একটি গণপ্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে। মুজিবনগর সরকার গঠিত হওয়ার সময় স্রবাধীনতার ঘোষনাপত্রে পরসিকার ভাষায় বলা আছে "বাংলাদেশের জনগণ তাদের বীরত্ব,সাহসিকতা ও বিপ্লবী তৎপরতার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের জমিনে নিয়ন্ত্রন প্রতিষ্ঠা করেছে; এবং বাংলাদেশের সার্বভৌম জনতার ইচ্ছাই চুরান্ত বিধায় তাদের নির্বাচিত প্রতিনিধীরা বাংলাদেশ সরকার গঠন করবে'।
স্বাধীন বাংলাদেশের সংবিধানে রাষ্ট্রের মূলনীতি হিশাবে গণতন্ত্র গ্রহণ কয়ড়া হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন করতে গিয়েই। পার্টিতান্ত্রিক ফ্যাসিজমের সামনে গণতন্ত্র কখনোই মাথানত করবেনা। সুতরাং, আগামী ২৪ মে, শুক্রবার শাহবাগ মোড়ে বিকেল ৪টা ৩০ মিনিটে আমরা অধিকার আদায়ের দাবিতে মিলিত হব। প্রতিবাদী সমাবেশ ও মিছিল করে আমরা জানান দেব- এই রাষ্ট্র জনতার, আর জনতার গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নেয়ার চেষ্টা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থী। আমরা তা হতে দেবোনা। এইই অগণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের জন্যে আমরা মুক্তিযুদ্ধ করিনাই, এর জন্যে আমরা নব্বইএ গণঅভ্যুত্থান ঘটাই নাই। ২০১৩ সালেও আমরা এর বিরুদ্ধেই জাগনা আছি।
ইভেন্ট লিংকঃ
http://www.facebook.com/events/164024533776237
২| ২৩ শে মে, ২০১৩ রাত ১২:৩৭
বিবাগী বাউল বলেছেন: বাংলাদেশে কোন শক্তিশালী ও কার্যকরী বিরোধীদল না থাকায় সংসদে বাংলাদেশের প্রায় সবগুলো সিটের মালিক দল আওয়ামীলীগ প্রকৃতপক্ষেই একটি ফ্যাসিস্ট রাজনৈতিক দলে পরিণত হয়েছে। এক মাস সভা সমাবেশ নিষিদ্ধের স্বিদ্ধান্ত সেই ফ্যাসিস্ট চরিত্রের বহিঃপ্রকাশ।
৩| ২৩ শে মে, ২০১৩ রাত ১২:৪৬
নষ্ট ছেলে বলেছেন: কুনু লাভ নাই। সরকার যা কইছে মাথা পাইতা নিলাম।
সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করলে সাধারণ মানুষের কি ক্ষতি?
আইন করে হরতালও নিষিদ্ধ করে দেওয়া হোক।
ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করলে আরো ভাল হয়।
৪| ২৩ শে মে, ২০১৩ রাত ১:০৯
জালিমের দুশমন বলেছেন: নষ্ট ছেলে বলেছেন: কুনু লাভ নাই। সরকার যা কইছে মাথা পাইতা নিলাম।
সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করলে সাধারণ মানুষের কি ক্ষতি?
আইন করে হরতালও নিষিদ্ধ করে দেওয়া হোক।
ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করলে আরো ভাল হয়।
এটাতো স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ না। দেশের স্বার্থেই সরকার ১ মাসের জন্য এই ব্যবস্থা নিয়েছে। এর মধ্যে যদি সরকার এমন কোন পরিস্থিতি তৈরি করে যে আমাদের পথে না নেমে উপায় নেই তখন দেখা যাবে। সরকারের নির্দেশ মেনে চলা সুনাগরিকের কর্তব্য।
৫| ২৩ শে মে, ২০১৩ সকাল ৮:৩২
একাকী বাংলাদেশি বলেছেন: ভাই আপনারা কে কে সরকারের কাছাকাছি আছেন প্লীজ একটু বুঝান। প্রতিদিন একটু একটু কইরা নাটক না কইরা একবারে বাকশাল টা চালু কইরা দেক। সরকারও বাচেঁ আমরাও বাচিঁ। চ্যালেন্জ দিয়া বলতে পারি অন্তত ২৩% মানুষ খুব খুশী হইবো। কিন্তু তাও প্রতিদিন একটার পর একটা নিত্য নতুন নিউজ দিয়া পেরেশানী তে ফালাইয়েননা। এ যেন কুমারী মেয়ের সতীত্ব হরনের খেলা। সেই তো হরন করবেনই কিন্তু মাঝখান দিয়ে বিভিন্ন ফোরপ্লের মধ্যমে আপনার সর্বোচ্চ মজা লুটার আয়োজন। সতীত্ব হরনের পরে কিন্তু ঐ মেয়েও দাস হয়ে যায় কারন তার আর কিছু করার থাকেনা। আমাদেরও কিছু করার নাই, আমরাও আপনাদের আজীবন দাস হয়ে থাকবো। কোনদিন অবাধ্য হবোনা।
৭৫'এও জনগন ঠিকই মাইনা নিছিলো কোন প্রতিবাদ করে নাই কিন্তু অবাধ্য বিশ্বাসঘাতক সেনাবাহিনী পল্টি মারছিলো দেইখা সেইবার একটু অসুবিধা হইছিলো। কিন্তু এইবার তো সেই বিড়াল ক্ষমতায় আইসা প্রথম প্রহরেই মাইরা ফালাইছেন। সো আপনাদের ক্ষমতার গ্যারান্টি আমি নিজে দিতে পারি আর তাছাড়া ৬ই মে তে ছোটখাট একটা ট্রায়াল মারছেনই আর সেই ট্রায়ালের রেজাল্টা আপনাদের পক্ষে দেইখা যে আপনারা মহাখুশী সেইটা তো টকশো'তে আপনাদের নেতাদের বক্তব্য দেইখা ফকফকা ক্লিয়ার।
সুতরাং দয়া করিয়া অতি ধীরে ধীরে কাপর হরণ না করিয়া একেবারে আপনার যে মর্জি সেই কর্মে মনোনিবেশ করুন।
৬| ২৩ শে মে, ২০১৩ সকাল ১০:১৩
আমিনুর রহমান বলেছেন:
যে দেশের প্রধান বিরোধী দল হিজড়া সে দেশে এটা কোন ব্যাপার না। সহজ সরল দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে অবশ্যই তা অন্যায় কিন্তু এই সভা-সমাবেশ বন্ধে কিন্তু কোন কিছুর পরিবর্তন হবে না দে্শের। সভা-সমাবেশ করতে দিলে কি বিরোধী দল টিকফা চুক্তি, রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র চুক্তি বাতিলের বা গার্মেণ্টস কর্মীদের ন্যাযদাবী আদায়ের জন্য কি সাধারণ মানুষের পাশে থাকতো। থাকতো না বরং কয়েকদিন ভালোই থাকবো ওদের সভা-সমাবেশ বা হরতাল এর কারনে একটু বেশী নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতাম রাস্তায় নামতে। সাধারণ মানুষ হিসেবে এই অন্যায়ের প্রতিবাদে আগামীকাল শাহবাগ থাকছি ...
৭| ২৩ শে মে, ২০১৩ দুপুর ১:২৫
রুম৭৪ বলেছেন: সাধারন মানুষ সভা সমাবেশ মোটেই পছন্দ করেনা। এইসব ফালতু প্যাচাল বাদ দিয়া মানুষকে একটু শান্তিতে থাকতে দেন।
©somewhere in net ltd.
১|
২২ শে মে, ২০১৩ রাত ১১:২৬
রৌহান খাঁন বলেছেন: সভা সমাবেশ নিষিদ্ধ করছে ভাল করছে - কয়েকটা দিন আমাদের মত সাধারণদের একটু শান্তিতে থাকতে দেন!