![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বছর ঘুরে আবার আরেকটি পহেলা বৈশাখ এসে চলে গেল। ভার্সিটিতে ভর্তির আগে এই দিবসগুলো অতটা চোখে লাগত না। বরাবরের মত এবারও বৈশাখ উপলক্ষে গিয়েছিলাম ক্যাম্পাসে বন্ধুদের সাথে একটু আড্ডা দিয়ে ঘুরে বেড়াবো বলে। কিন্তু প্রতিবার কি দেখি? বৈশাখের মূল অনুষ্ঠান হল রমনা বটমূল, রবীন্দ্র সরোবর ইত্যাদি। অথচ ঢাবি ক্যাম্পাসে হাজারো মানুষের ঢল। এটা যে একটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তা বোঝার উপায় থাকে না। আর এইসব মানুষের মধ্যে একটা বিপুল অংশ হয় বহিরাগত। এই বহিরাগতদের ঠেলায় নিজেরদের নিজ বাসভূমে পরবাসী বলে মনে হয়।
সকাল থেকে রঙ্গিন পাঞ্জাবী আর শাড়ি পরা কপোত-কপোতীদের জন্য তিল ধারণের ঠাই নেই। কার্জন থেকে টিএসসি যেতে যেখানে দশ মিনিট সময় নেয়, সেই পথটুকু যেতে বার বার ধাক্কা খেতে হয়। আর এর সাথে বছর দুই যাবৎ যুক্ত হয়েছে বুবুজেলা। এই কর্কশ বাঁশির আওয়াজ কি করে বৈশাখের সাথে যায় তা বুঝলাম না।
মানুষের ঢল আর রোদের তাপ থেকে রক্ষা পেতে ভার্সিটির হলে বন্ধুর রুমে শুয়ে থাকলাম অনেকক্ষণ। বিকেলের দিকে যখন বেড়িয়েছি তখনও ঢল বিন্দুমাত্র কমেনি, বরং বেড়েছে। বুবুজেলার বিরক্তিকর শব্দের থেকে রক্ষা পেতে কানে একটু টিস্যু পেপার গুজে নিলাম। আর কপোত-কপোতী দেখে দেখে এগোতে থাকলাম (চোখ কটমট করে তাকাবেন না ) । একেজনের সে কি শ্রী!! আর জায়গায় দাঁড়িয়ে এমন পোজ দিয়ে ছবি তুলছে ঠিক যেন মডেল কন্যা!!!
ঘুরতে ঘুরতে এক সময় বিশ্রামের জন্য বসলাম সামাজিক বিজ্ঞান ইন্সটিটিউটের কুংফু-পান্ডা মার্কা লম্বা সিড়ির উপর। সত্যি বলছি অন্যান্য সময় এটা খুব দর্শনীয় একটা স্থানের মত লাগে। কিন্তু সেদিন দেখি সিড়ির ধাপে ধাপে ময়লা-আবর্জনা, ফেলে দেয়া খাবারের প্যাকেট।
ওখানে কিছুক্ষণ বসে আড্ডা দিয়ে চলে গেলাম এফবিএস'এর সামনের মাঠটাতে। মোটামুটি শান্তিমত বসার মত অবস্থা ছিল, কিন্তু সেখানেও ময়লা আবর্জনা, উচ্ছিষ্ট।
ফেরার পথে নীলক্ষেতের কাছে বাসে উঠতে না পেরে বাধ্য হয়ে চলে গেলাম আরো এক স্টপেজ পিছনে, বহুকষ্টে দাড়াবার একটা জায়গা হল। দরজায় তখন লোকে বাদুর ঝোলা হয়ে আছে, কেউ কেউ বিপজ্জনক ভঙ্গিতে চলতি বাসেই উঠে পরছে ছাদে। নাস ঘুরে শাহবাগ চলে গেল। বাংলামোটর পর্যন্ত যেতে যেতে দেখি রাস্তার পাশে আঁখের ছোবা দিয়ে গোয়ালঘর বানিয়ে ফেলা হয়েছে। হ্যা দিনটা গরম ছিল, আঁখের রসের চাহিদা অনেক। কিন্তু এই উচ্ছিষ্ট পরিষ্কার করার দায়িত্বও কি সিটি কর্পোরেশনের??
উৎসব করে বেড়ালেই হবে না, আজ সকালে আবার ক্লাস ছিল। টিএসসি'তে ডুকতেই দেখি রাস্তার পাশে ময়লা ঝাড়ু দিয়ে স্তুপ করে রাখা হয়েছে আর সেটা বিশাল এক গাড়িতে তোলা হচ্ছে। শুধু একটা সামান্য দিবসের জন্য আমরা ক্যাম্পাসটাকে কি পরিমাণ নোংরা করেছি আমরা!!!
যাইহোক, বহিরাগত বলতে যাদের বুঝিয়েছি তারা দয়া করে রাগ করবেন না। জানি আপনারা আমাদের ক্যাম্পাসের মনোরম পরিবেশে ঘুরে আনন্দ পান। এখানে খাবারের অভাব নেই, খাবার পানিও ফ্রি! যেখানে সেখানে বাথরুমের অভাব নেই, পান্তা খেয়ে পেট খারাপে সমস্যা নেই। শুধু অনুরোধ, যেখানেই ঘুরতে বেরোন না কেন, জায়গাটাকে গোয়াল ঘর বানিয়ে ছাড়বেন না।
১৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৮:৫২
বোধহীন স্বপ্ন বলেছেন: ডাস্টবিন না পেলেও অন্তত একটা সাইড করে ফেলা যায় যাতে দৃষ্টিকটু না হয়। কিন্তু একটা ইন্সটিটিউট, ছোট একটু বসার জায়গা, সেখানেও তাদের ময়লা ফেলতে হবে। এদের সামান্য সেন্সটুকু কবে হবে বুঝি না।
২| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৯:৫৫
মামুন রশিদ বলেছেন: হাহাহা, এই সেন্স কবে আমরা অর্জন করব জানিনা ।
১৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১০:০৪
বোধহীন স্বপ্ন বলেছেন: হুম্...বড়ই হতাশ!
৩| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১২:২৬
আমিনুর রহমান বলেছেন:
ব্যাপকভাবে সচেতনার অভাব ! তাই মানুষকে সচেতন করার জন্য প্রয়োজন সরকারী উদ্যোগ।
১৯ শে এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১৮
বোধহীন স্বপ্ন বলেছেন: সরকারী উদ্যোগে খুব একটা লাভ হবে বলে হয় না। পাশাপাশি পারিবারিক শিক্ষাটাও জরূরী।
ধন্যবাদ আমিনুর রহমান।
৪| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১০:১৩
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
নিজেদেরকেই সচেতন হতে হবে।
১৯ শে এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১৯
বোধহীন স্বপ্ন বলেছেন: হুম্। ধন্যবাদ কান্ডারি ভাই।
৫| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:০৯
মুদ্দাকির বলেছেন: আসলেই নিজের এলাকাই অচেনা হয়ে যায় !!!!
১৯ শে এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২৩
বোধহীন স্বপ্ন বলেছেন: বড় দুঃখ লাগে যখন তারা ইচ্ছেমত সব নোংরা করে রেখে যায়।
৬| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ২:০৫
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: এই সচেতন হওয়াটাই আমরা পারি না।
১৯ শে এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২৪
বোধহীন স্বপ্ন বলেছেন: হুম্। নিজে সচেতন না হলে আইন করেও সেটা রোধ করা যাবে না। চাই সঠিক পারিবারিক শিক্ষা।
©somewhere in net ltd.
১|
১৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৮:৩৮
ভাইটামিন বদি বলেছেন: কে শুনে কার কথা.......যে দেশে শিক্ষিত শ্রেনী বলে দাবীদার এই আমরা ঠিকমতো ময়লাটা ফেলতে জানি না......সেখানে!!!