নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পরিবেশ বন্ধু *** আমি কবি হতে আসিনি , কবি হয়েই জন্ম নিয়েছি । ।\n

পরিবেশ বন্ধু

আমি এক ঐতিহাসিক নব সৃষ্টি / মুক্ত লিখি দুর্বার দৃষ্টি

পরিবেশ বন্ধু › বিস্তারিত পোস্টঃ

আল্লাহর জাতী নুর এবং হায়াতুন্নবি মোহাম্মদ সা

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:১০





নবী দুলালি জগত জননী মা ফাতেমা ফাতেমা রা হইতে বর্ণিত ।

*************



নবী পাক সা এর নিকট জিব্রাইল আ মানুষের বেশে আসতেন

আল্লাহর পক্ষ থেকে ওহি নিয়ে ।



একদিন মা ফাতেমা কে জিব্রাইল আ জিজ্ঞাস করে নবীজীর কথা ।

ফাতেমা রা কাকা ডাকলে

জিব্রাইল আ অখুশি হয়ে জিজ্ঞাসে তোমার আব্বাজান কি আমার চাইতে বয়সে বড় ।

তৎক্ষণাৎ নবীজী উপস্থিত হলে ফাতেমা যথার্থ জানতে চাইলে নবীজী জিব্রাইল আ কে প্রশ্ন করলেন হে দুত তোমার বয়স কত । ইয়া রাছুলুল্লাহ সা আমি জানিনা তবে পূর্ব আকাশে একটা তারকা উদয় হইত ৭০ হাজার বছর পর পর এরূপ আমি ৭২ হাজার বার দেখেছি ।



নবীজী বললেন এখন কি দেখ ,

জিব্রাইল আ নবীজীর মুখ পানে চাইলেন এবং দেখলেন সেই তারকার উজ্জ্বল প্রদিপ্ত নুর জগতের মাঝে চমকিত এবং তার রউশনার সারা জাহান আলোকিত ।



চিৎকার দিয়ে উটে দুত হে আল্লাহর রাছুল বেয়াদবি মাফ হয়

আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি নিশ্চই সেই তারকাই আপনি ।



ইয়া রাছুলুল্লাহ ৭০ হাজার বছর পর পর দেখতাম এই বিশাল সময়ের ফাকে আপনি কোথায় থাকতেন ।



আল্লাহর ক্ষুত্রতি আরশে মহল্লায় ।

কি করতেন

উম্মতের গোনাহ মাফে আল্লাহর দরবারে সিজদায় লুটাইতাম

আর উম্মতের নাজাতে বাসনা জানাইতাম হে আল্লাহ আমার

উম্মত কে মাফ কর ।

আল্লাহ কি উত্তর দিতেন

হে আমার প্রিয় হাবিব মাথা তুলেন আরশের সিং হাসন কম্পিত

আমি অঙ্গীকার নিলাম অবশ্যই সর্ব প্রথম আপনার উম্মত কে

জান্নাতে দাখিল করা হবে ।



দুনিয়ায় এসে দয়াল নবীজী কেদেছেন

এখন কাঁদেন শুইয়া মদিনায়

তিনি সকল যাতনা সহ্য করে বলতেন হে আল্লাহ এরা অবুঝ

এরা পাপি মাফ কর হেদায়েত দাও

আর আমার শাফায়াতের রহমতে ইসলামের রোশনায় ।



হাদিস সংকলন থেকে

ন: ইসলামী বিষয়ে ভুল ব্যক্ষা হারাম ।

***********



আরবি ইল্ম শব্দ অর্থ জ্ঞানি

আলেম ইলম থেকে বিশেষিত যিনি জ্ঞানের অধিকারী

এখন মাওলা আল্লাহর নাম

অর্থ প্রভু

মাওলানা অর্থ যিনি আল্লাহর মহত্ত্বে গুণান্বিত । তাই বলে আল্লাহ্‌ নয় ।

নবীজীর নামের পূর্বেও মাওলানা ব্যবহার করা হয় এতএব অর্থ গ্রামার

না বুঝে করলে ঈমান এর ক্ষতি ।

সকল আউলিয়া কেরাম এবং অধ্যবধি জ্ঞানি গুনিদের নামের আগে

শব্দটি মর্যাদার সহিত ব্যবহৃত হয়ে আসছে ।



শব্দটি ভুল ব্যখ্যা ও বিশ্লেষণে আলেম গন কে কাফের বলার জন্য





আলেম দের এ ব্যক্ষা দিয়ে ১৫০০ বছরের মধ্য কি উপযুক্ত লোক

লোক ছিলনা কাফের প্রমান করার জন্য ।

প্লিজ ভুল ব্যাখ্যা ইসলাম সমাজ এবং মানুষের ক্ষতি ।





হাদিস সংকলন তিরমিজি ও মুসলিম শরিফ দেখুন

আর আল্লাহর রাছুল হায়াতুন্নবি বা জিন্দা নবী



কোরআনে প্রমান

আব্দুল কাদির জিলানি রা এর স্বহস্তে লেখা কিতাব তালেবুন গুনিয়াত পড়ুন তার সম্পর্কে ভুল ভাঙবে ।

আর নবিজিকে জানতে কবি গোলাম মস্তুফা রচিত বিখ্যাত বিশ্বনবী পড়ুন ।



আল্লাহর ক্ষুদ্রতি সমাধান

বাহ্যিক ভাবে আমরা তার ৬৩ বছরের জিন্দেগিকে দেখি আসলে তা নয়

এটাই মানুষের বিবেকের জন্য মহা জিজ্ঞাসা আসলেই তিনি

আল্লাহর ক্ষুদ্রতি রহস্য ।

হাদিস

আলহামদু লিল্লাহি রাব্বিল আলামিন , আলামান কানা নাবিয়াও অয়া আদাম বা মায়ে অয়াত্তিন ।

নবীজী বলেন সকল প্রশংসা আল্লাহর এবং আদম যখন কাদা মাটি মিশ্রিত মূর্তি তখনি আমি আল্লাহর রাছুল ।

ইবনে মাজাহ

কোরআন আয়াত কুল ইন কুন্তুম তুহিব্বুন আল্লাহি ফাত্তাবিউনি ইবিব কুমুল্লা ইয়াগ ফিরলাকুম যুনুবাকুম অয়াল্লাহু গাফুরুর রাহিম

আল্লাহ বলেন যদি তোমরা আমাকে লাভ করতে চাও তাহলে সর্ব প্রথম আমার রাছুলের পায়রবি কর তার অনুসরন কর তবেই আমি তোমাদের মাফ করিয়া দিব ।

সুরা ইম্রান ।

ঈশা আ এবং শীষ আ কে আল্লাহ জিন্দা আকাশে উটিয়ে নিয়েছিলেন সেটা আল্লাহর ক্ষুত্রত

তেমনি আল্লাহর রাছুল সাধারন মানুষের ন্যায় মানবের বেশে মানবের সাথে মিশে জিন্দেগি কাটায়ে আবার মানুষের ন্যায় পরজগতে বা পর্দার আড়াল হন সেটাও আল্লাহর রহস্য ।

আসলে তিনি মানুষ নন তিনি আল্লাহর নুর

নবীজীর সহধর্মিণী আয়েশা সিদ্দিকা রা আনহুম একদিন হাস্য চ্ছলে নবীজীকে তার ওড়না দিয়ে পেছিয়ে আগলে রাখতে চাইলে ওড়না নবীজীর দেহ মোবারক ভেদ করে মা আয়েশার হাতে চলে আসে , মা আয়েশা অবাক হলেন জানতে চাইলে দায়াল নবীজী উত্তর দিলেন আমি কি তোমাদের মত ।

শুধু তাই নয় নবীজী আধার রাতে বের হলে সমস্ত জগত তার নুরে আলোকিত হত ।

মা আয়েশা সিদ্দিকা রা আনহুম বলেন আমি ঘরে সুই বা ক্ষুত্র জিনিস হারিয়ে ফেললে নবিজি কে ডেকে ঘরে নিয়ে আসতাম

এবং হারানো জিনিস ত্বরিতে তার নুরের ঝলকে খুজে পাইতাম

হাদিস

আয়শা রা হইতে বর্ণীত

নবীজীর ব্যবহৃত রুমাল বা গামছা মাঝে মধ্য ময়লা হয়ে গেলে

তিনি তা জলন্ত আগুনে নিক্ষেপ করতেন কিছুক্ষন পর দেখা যেত

তা দুধের মত ছাফ হয়ে যেত , বলুন ছুবহানাল্লাহ ।

অথচ দুনিয়ার সব মানুষ যা ব্যবহার করে আগুনে সেই সব নিমিষেই পুড়ে ছাই হয়ে যাবে ।

নবীজী সয়ং আল্লাহর জাতি নুর , আর আল্লাহর নুর আগুনের চাইতে কোটি

কোটি গুনে গুনান্নিত ।

আগুন কে জ্বালালে দেখা যায় তাপ অনুভব করা যায় কিন্তু তাকে ধরে রাখার সাধ্য যেমন কারও নাই

তেমনি আল্লাহর রাছুল সা জাগতিক রহস্য কে ইমানের দ্বারা পুস্পটিতিকরা মুমিনদের জন্য মুক্তি ও জান্নাতের সুসংবাদ । শুধু তাই নয় আল্লাহর অলি বা তার বন্ধুগণও তেমনি । ধন্যবাদ











ঈমান নাশক কুফুরি এদের অন্তর থেকে দূর হোক

জানার নাম ঈমান নয় মানার নাম ঈমান

নবীজী বলেন লোক দেখানো এবাদত আল্লাহর নিকট গ্রহন যোগ্য নয়

এরা তাই করে

হেদায়েত যা আল্লাহর পক্ষ থেকে আসে আর রহমত আসে

নবীজীর পক্ষ থেকে

হজরত আলি রা হইতে বর্ণীত নবীজী বলেন আখেরি যামানায় আমার উম্মতের মধ্য ৭২ দল হবে

এক দল বাদে বাকি সব জাহান্নামি ।

সাহাবায়ে কেরাম প্রশ্ন করলেন ইয়া রাছুলুল্লাহ সা সেই মুক্তি প্রাপ্ত দল

কোনটি

আহলে ছুন্নাতয়াল অনুসারি । যারা আমার ছুন্নত কে মানে কোরআন মানে এবং আমার উত্তম সাহাবাদের জীবন অনুস্মরণ করে তারাই

মুক্তি প্রাপ্ত । হাদিস বোখারি শরিফ

আল্লাহ আমাদের হেদায়েত দিন এবং ভ্রান্তি হইতে ধুকাবাজি হইতে

ভাল পথে চলার রহমত দিন । আমিন ।

মন্তব্য ২৮ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (২৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:৩১

সকাল>সন্ধা বলেছেন: আপনার পোষ্টের হেডলাইন আর ভিতরের বিষয় ভিন্ন।
হুজুর পাক সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নূর তবে আল্লাহ্ পাক উনার জাতী নূর নয়। কারণ তাহলে কুর আন শরীফের সুরা ফালাক এর আয়াত শরীফ নাজিল হত না। তবে নুরে মুজাস্সাম হাবীবুল্লাহ হুজুর পাক সল্লাল্লাহু আলইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে যে নূর মূবারক দ্বারা সৃষ্টি করা হয়েছে তার মালিক হচ্ছেন খালিক মালিক আল্লাহ্ পাক।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:৪০

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: নুরুন আলা নুর , আলা কুল্লি সায়িন নুরি
সেই প্রজ্বলিত নুর বা মোহাম্মদ আমার নুর হইতে
আর সারা জাহান সমুদয় সৃষ্টি তার নুর হইতে

মোহাম্মদ মস্তুফা নুরুন আলা নুর
হাবিবে কিব্রিয়া নুরুন আলা নুর
হজরত শাহ জালাল ইয়েমেনি রা মস্তুফা ছরিত মিলাদে নুরে খোদা থেকে
আরও বুঝুন
কোরআনে শুধু ইঙ্গিত আর বুঝতে হলে হাদিস ও কিতাব ঘাটতে হবে
ধন্যবাদ

২| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৩৪

সাদী বলেছেন: কোররান শরীফে সরাসরি বলা হইসে, নবীজী আমাদের মতই মানুষ। আপনাদের এইসব ভ্রান্ত ধারনা বর্জন করুন।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:১৮

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: কি কারনে বলেছেন সুরা ইয়াছিন এ
যখন নবীজীর নুর মোবারক চমকাইত বিদ্যুতের ন্যায় তখন অনেক মানুষ ভয় পেয়ে নবীজীর নিকট আসতনা , আল্লাহ পাক
এ সম্পর্কে মানুষের সাথে মিশার প্রেক্ষিতে আয়াত নাযিল করেন ।
কোরআনে অনুবাদ পড়ে শুধু আল্লাহ এবং তার রাছুল কে জানা যায়না ,এজন্য কোরআনের তাফসির বা ব্যক্ষা যা হাদিস থেকে বর্ণীত তা হৃদয়ে ধারন এবং উত্তম রুপে জানা ইসলামের সঠিক দিক নির্দেশ । আরও কোরআনের তাফসির থেকে বিস্তারিত জানুন , কোরআন বুঝুন
তাফছিরে রহুল বয়ান , তাফছিরে কবির ,ও তাফছিরে জালালায়ন পড়ুন , বিস্তারিত জানা যাবে , নিজে না জেনে অন্যজন কে ভ্রান্ত মতবাদ দেওয়া গুমরাহ বা গোনাহ গারদের
দল ভুক্ত , আল্লাহ সঠিক ভাবে কোরআন এবং হাদিস বুঝার হেদায়েত দিন আমিন ।

৩| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:৩৬

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: আরও +
কোরআন এবং হাদিসের আলোচনা এবং দিক নির্দেশ ।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:৩৭

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: ইসলামের প্রধান রক্ষন শীল হাতিয়ার মুলত দুইটি এক কোরআন
এবং ২য় হাদিস ।
নবীজী বিদায় হজের ভাষণে শেষ যে দিক নির্দেশনা দেন তা হল
মুক্তির লক্ষ্য আল্লাহর কোরআন এবং হাদিস কে যারা আঁকড়ে ধরে
রাখবে তারাই দুনিয়া এবং আখেরাতে মুক্তি প্রাপ্ত ।

নবীজীর প্রধান চার খলিফা এবং সাহাবাগন , ইমাম গন , অলি আউলিয়া গন এবং বুজুরগানে আলেম গন কোরআন হাদিস অনুযায়ী

চলতেন , হক বিচার করতেন , এবং সমাজ ও রাস্ট পরিচালনা করতেন ।

একদা এক লোক নামাযের অযু লয়ে মহা প্যাঁকরা বাজিয়ে দিল ।
অবশেষে সটীক ফয়ছালা বা সমাধানের আশায় শত মাইল পাড়ি দিয়ে
ইমাম শাফেয়ী রা এর নিকট আসে
জানতে চাইলে বলে হুজুর অযুর ফরজ আদায় করব মাথা মাছেহ
কয় ভাগে করব ।
তিনি উত্তর দিলেন দুই ভাগের এক ভাগ করলেই চলবে ।

কিছুদিন যাওয়ার পর আবার সন্দেহ জাগল এলেন ইমাম হাম্বল রা
এর নিকট তিনি বললেন তিন ভাগের এক ভাগ , আবার দিন গড়াল
এবং মতভেদ দেখা দিল এলেন ইমাম মালেক রা নিকট তিনি বললেন
চার ভাগের এক ভাগ করলেই চলবে , আবার মতভেদ দেখা দিলে
ইমামে আযম আবু হানিফার দরবারে এলেন , তিনি সব শুনে চিন্তিত
হলেন এবং এমন সমাধান দিলেন যে সমস্ত ইসলামি দুনিয়ায় আর কোন মতভেদ রইলনা ।
তিনি বললেন সমস্ত মাথা মাছেহ করা অয়াজিব কারন নবীজী মাঝে মধ্য তাই করতেন ।

সেই আমল আর বর্তমান সময় এক নয় ।
তখনকার আলেম দের মর্যাদা এত বেশি ছিল যে রাজা বাদশা গনও
তাদের ফয়ছালার বাইরে কোন কাজ করতেন না । আর বর্তমান চিত্র
সম্পূর্ণ বিপরিত । কারন উন্নত শিক্ষা দিক্ষা , দলীয় করন এবং আলেমের সংখ্যা এত বেশি , এত মতাদর্শী
যে সবাই সবাইকে ভুল ধরতে উস্তাদ কিন্তু ভুল সংশোধন করতে এবং
ইসলামী জিন্দেগিতে ঈমান ধংশ কার্যক্রমে স্বীকৃতি মিলে কিন্তু নিজের
ভুল স্বীকার করে সংশোধনে অনেকেই ভুল সিদ্ধান্ত নেয় ।
তা থেকে মুখ ফেরানোই একমাত্র মুক্তি । এত এব আত্তসংযমে আত্তসুদ্ধিতার মাযহাব বা মতাদর্শে নিজেকে গড়ি , আল্লাহ অবশ্যই
তার বান্ধার বাসনা কৃত গোনাহ ক্ষমা করে দেন ।

আউলিয়া কেরাম গন তদ্রুপ আত্তাধিক সমাধান দিয়ে থাকেন ।


লেখক বলেছেন: আমাদের নবী রাছুল ব্যতীত কোন আত্তাধিক মহা পুরুষের
জীবনী তে যা ঘটে তা বিশ্বাস করতে বুঝি খুব গুঁড় লাগে ।

বর পীর আব্দুল কাদির জিলানী রা ১২ বছর বয়সে মৃত বরযাত্রী সহ ডুবন্ত মানুষকে আল্লাহর ক্ষুত্রতে জিন্দা করেছিলেন ।
আল্লাহর অলি বা আল্লাহর বন্ধুদের দ্বারা এমন কাজ লক্ষ কোটি বার সংঘটিত হয়েছে ।
এবং অলি আউলিয়া দুনিয়ায় এসে হয়না , তারা পবিত্রতা ও
রহমতের অধিকারি হয়েই জন্ম নেয় ।
যার মধ্য শিশু বয়স থেকেই তা পুস্পটিত হয় ।
আব্দুল কাদির জিলানী রা শিশু বয়সে তার উস্তাদের নিকট গিয়েছিলেন কোরআন শিক্ষা নিতে । উস্তাদ তাকে পড়তে বললে
এক দমে ১৮ প্যারা কোরআন তিনি মুখস্ত বললেন । সবাই অবাক হয়ে প্রশ্ন করলেন কি ভাবে তা সম্ভব । তিনি উত্তর দিলেন গরবাবস্থায় মা জননী কোরআন পাট করতেন আমি
শুনে শুনে তা শিখে নিয়েছি ।
আব্দুল কাদির জিলানী রা এর সহস্তে লিখা কিতাবের বাংলা অনুবাদ গুনিবাত তালেবুল পড়ুন । অলিদের পরিচয় মিলবে ।

৪| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:২২

নতুন বলেছেন: বন্ধু কোরআনের আয়াত দিলাম... তাও মুঝে দিলা?

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০১

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: একহাতে চাঁদ আরেক হাতে সূর্য এনে দিলেও কাজ হবেনা
কমেন্টে অন্যকে না বুঝিয়ে নিজে হেদায়েত হওয়া বুদ্ধিমানের কাজ

৫| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:১০

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: বি ; দ্র = কমেন্ট যেন হয়
ভদ্রতার পরিচয় <>/

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৩

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: জাতীতে স্থিতিতে গতিতে ক্ষনে
সৃষ্টির রহস্য আবরনে
তোমাকে দিল শিক্ষা যেজন
সেই প্রভু নিরাঞ্জন ।

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৪

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: জাতীতে স্থিতিতে গতিতে ক্ষনে
সৃষ্টির রহস্য আবরনে
তোমাকে দিল শিক্ষা যেজন
সেই প্রভু নিরাঞ্জন ।

৬| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৫৬

নতুন বলেছেন: বন্ধু আপনি আমার দেওয়া কোরআনের আয়াত মুছে ফেলছেন কেন>>>

আমি একটা আয়াতের অথ` বুঝতে চাইছিলাম... আর আপনি কেন ভয় পাইতেছেন ঐ আয়াতকে?

কোরআনের আয়াত মুছতে একটু হাত কাপে না>?

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:০১

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: আমাকে কাফের প্রমান করার জন্য কিছু কম জ্ঞানি বেবুঝ দলিল
দিল তাও কোরআন হাদিস অনুযারি নয় অশ্রাব্য ভাষায় আমি
ভাবনায় বন্ধু কারন একমাত্র মোহাদ্দেস বা কোরআনের সম্পূর্ণ তাফছির যে জানে ভুল তার ধরা সাজে আবার ৬টি ছহি সুদ্ধ হাদিস
সংকলন প্রায় লক্ষাধিক হাদিস আর লক্ষাধিক হাদিস আয়ত্ত করে
যেজন সেই হল মুফতিয়ে ছুন্নাহ ভুল ধরা তার সাজে বাংলাদেশে
গোটা কজন হবে হিসাব করলে ।
আমিও তাদের মধ্য একজন নিজেকে নিয়ে গর্ব করিনা কিন্তু যুগটা খুব খারাপ , নিজে কি শিখল তাদের নাই হেদায়েত যারা শিক্ষাদানে অন্যর প্রতি কারপন্য করেনা তাদের কে ধরে বসে
ঐ সব অপরিপক্ষ লোকে ভুল এজন্য ভয় হয় নিজেকে আড়ালে রাখি , যমুনা ভাল না ধন্যবাদ সাথে থাকার জন্য শুভকামনা ।

৭| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:১১

নতুন বলেছেন: সুরা কাহাফ আয়াত ১১০:- বলুনঃ আমি ও তোমাদের মতই একজন মানুষ, আমার প্রতি প্রত্যাদেশ হয় যে, তোমাদের ইলাহই একমাত্র ইলাহ। অতএব, যে ব্যক্তি তার পালনকর্তার সাক্ষাত কামনা করে, সে যেন, সৎকর্ম সম্পাদন করে এবং তার পালনকর্তার এবাদতে কাউকে শরীক না করে।



এইখানে আল্লাহ রাসুলকে কি বলতে বলেছেন???

এই আয়াতে কি প্রমান হয়না যে রাসুল আমাদের মতনই মানুষ ছিলেন?

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:০৭

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: শুধু আয়াতের বাংলা অনুবাদ পড়েই সব বুঝে নেওয়া ভুল
কোরআন একটা বিশ্বকুশ সাত সাগরের পানি দ্বারা কালি এবং সমস্ত বৃক্ষ দারা কলম বানালেও কালি সাত বার নিঃশেষ হয়ে যাবে তবু কোরআনের আলোচনা , আল্লাহর মহিমা এবং তার রাছুলের
মর্যাদার শান লিখে শেষ করা যাবেনা ।

কোরআনে অনুবাদ পড়ে শুধু আল্লাহ এবং তার রাছুল কে জানা যায়না ,এজন্য কোরআনের তাফসির বা ব্যক্ষা যা হাদিস থেকে বর্ণীত তা হৃদয়ে ধারন এবং উত্তম রুপে জানা ইসলামের সঠিক দিক নির্দেশ । আরও কোরআনের তাফসির থেকে বিস্তারিত জানুন , কোরআন বুঝুন
তাফছিরে রহুল বয়ান , তাফছিরে কবির ,ও তাফছিরে জালালায়ন পড়ুন , বিস্তারিত জানা যাবে , নিজে না জেনে অন্যজন কে ভ্রান্ত মতবাদ দেওয়া গুমরাহ বা গোনাহ গারদের
দল ভুক্ত , আল্লাহ সঠিক ভাবে কোরআন এবং হাদিস বুঝার হেদায়েত দিন আমিন ।

৮| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:১৬

নতুন বলেছেন: এই আয়াতের তফসির দিন... বোঝান কিভাবে আমরা এই আয়াতের পরে রাসুল স: কে নুরের বলে দাবি করবেন???

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৪:১৭

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: কোরআন , আল্লাহ বলেন হে নবী । নিশ্চয় আমি আপনাকে প্রেরন
করেছি, ,উপস্থিত 'পর্যবেক্ষণ [হাজির নাজির } করে , সুসংবাদ দাতা এবং সতর্ক কারী রূপে ,এবং আল্লাহর প্রতি তার নির্দেশে আহবান কারি এবং আলোকোজ্জ্বল নুর বা সূর্য হিসাবে পাটিয়েছি।
নবীজী যখন আল্লাহর দিদার লাভের উদ্দেশ্য মেরাজ রজনিতে উদ্ধাকাশ ভ্রমন করেন তখন তিনির সঙ্গী ছিলেন আল্লাহ্‌র প্রধান ফেরেস্তা জিব্রাইল আ , ১ম আকাশে আদম আ এর সাথে সাক্ষাৎ লাভ করেন , ২য় আকাশে মুসা , ৩য় হারুন ও ইদ্দ্রিস আ ৪তুরথ ইশা আ ৫ম নুহ আ ৬স্ট ইউছুফ আ এবং ৭ম আকাশে ইব্রাহিম আ এর সাক্ষাৎ পান । এবার ৭ম আকাশ
পাড়ি জমাবেন নুরের তৈরি জিব্রাইল আরজ করলেন ইয়া রাছুলুল্লাহ সা আমার আর যাওয়ার ক্ষমতা নাই যদি আর একটু অগ্রসর হই আল্লাহর নুরের তেজাল্লিতে আমার সারে ৬ শত নুরের পাখা পুড়ে চাই হয়ে যাবে , নবীজী একাই রবরবে আরোহণ করে আল্লাহর আরশ মহল্লায় তার ক্ষুত্রতি শানে মিলিত হন এখন যেখানে নুরের ফেরেস্তাদের সাধ্য নাই সেথায়
পৌছার সেথা নুর নবী সা অনায়াসে আল্লাহর পাক দরবারে হাজির আর কম ইমানি মানুষের বুঝতে বুঝি খুব কষ্ট লাগে ।
আমার সাহিত্য চর্চা ব্যাহত হয় তবুও আপনার প্রশ্নের যথাসাধ্য
উত্তর দিয়ে যাই , ধন্যবাদ ।

৯| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:০০

নতুন বলেছেন: সুরা কাহাফ আয়াত ১১০:- বলুনঃ আমি ও তোমাদের মতই একজন মানুষ,>>

বন্ধু আয়াতের শুরুতে এই লাইনের কথা না বলে অন্য কথায় উত্তর লিখলেন????????????????????????

আর আপনি কি বলতে চাইছেন যে " রাসুল সা: মানুষ হইলে আল্লাহর কাছে যেতে পারবেনা? >>> আল্লাহ ইচ্চা করেছে কিন্তু যদি রাসুল সা: মানুষ হতেন তবে আল্লাহ উনাকে নিতে পারতেন না?????

জিব্রাইয় আ: জান নাই ...বা যেতে পারেন নাই... তাতো প্রশ্ন না//// সেটা দিয়া প্রমান হয়না যে রাসুল নুরের তৌরি.... কারন ফেরেস্তারা তো নুরের তৌরি...


আপনা কেন প্রথম লাইনের::: "" বলুনঃ আমি ও তোমাদের মতই একজন মানুষ"" এই কথাটুকুর তরজমা করেন নাই?

এইটুকু বুঝতে যদি মোহাদ্দেজ হতে হয়... তবে তো সমস্যা...

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৩৯

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: এক কথায় তুমি হাদিস মাননা হাদিসে হাজার বার প্রমান
নবীজী বলেন আমি আল্লাহর নুর এবং আমার নুর হইতে সকল
সৃষ্টি ।

আর সুরা কাহফ
এর শানে নুযুল হল আসহাবে কাহফ বা আসহাবদের কুকুর
সে কাহিনী আমি আগেও বর্ণনা করেছি ।
আর এই আয়াত কখন নাযিল হয় । যখন নবীজীর নুর মোবারক বিদ্যুতের আলোর মত চমকাইত তখন ভয়ে তখনকার মানুষ তিনির নিকট ভিড়তে ভয় পাইত , যেন নবীজী সব মানুষের সাথে ভাল করে মিশতে পারে এজন্য আল্লাহ ইঙ্গিত
দিলেন আয়াত বলুন আমি তো তোমাদের মতই একজন মানুষ ।
তখন থেকে ছোট বড় আবাল বৃদ্ধ বনিতা আর নবীজীর সাথে মিশ্ তে ভয় পাইতনা ।
আর কেহ যদি এর সারমর্ম না বুঝে
তাহলে সে ভ্রান্তির মধ্য থাকবে , উদাহারন শের আলী বাঘের মত , কার মত বলা হল বাঘের মত আসলে কি শের আলি বাঘ ।
এখানে মত দিয়ে মানুষ , আসলে নুর ।
আর আল্লাহর হাবিব মোহাম্মদ সা কে নিয়ে কারও কোন সামান্য পরিমাণ সন্দেহের উদ্রেগ ঘটলে সে হবে ঈমান হারা
জাহান্নামী , মুহাম্মদ শব্দের অর্থই প্রশংসিত যার প্রশংসার অন্ত
নাই , আল্লাহ যার প্রশংসা নিজে করেছেন বারবার অতি উত্তম রূপে বিভিন্ন আসমানি কিতাবে তার প্রতি দরুদ ওছালাম পাঠ করাই মুলত ইসলাম এর মুল ভিত্তি ।

১০| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৯

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: আবু দাউদ শরীফে বর্ণিত একটি হাদীছ শরীফে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ মুবারক করেনঃ
إِنَّ اللهَ يَبْعَثُ لِهذِهِ الْأُمَّةِ عَلَى رَأسِ كُلِّ مِأَةِ سَنَةٍ مَنْ يُجَدِّدُ لَهَا دِيْنَهَا -
(অর্থ: নিশ্চয়ই আল্লাহ পাক তিনি এই উম্মতের (ইছলাহের জন্য) প্রত্যেক হিজরী শতকের শুরুতে একজন ব্যক্তিকে (মুজাদ্দিদ) পাঠাবেন যিনি দ্বীনের তাজদীদ (সংষ্কার) করবেন) ।
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন,“যে ব্যক্তি তার যামানার ইমামকে চিনলো না সে জাহিলিয়াতের মৃত্যূর ন্যায় মৃত্যূবরণ করলো।” (মুসলিম শরীফ)
হাদীছ শরীফ অনুযায়ী এ শতকেও একজন মুজাদ্দিদ ও ইমাম থাকার কথা। সুমহান ব্যক্তিত্ব উনি কে?

১১| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:০৯

দিশার বলেছেন: আমার তো মনে হয় উনি, জামানার মু জাদ্দেদ, পির সাহিব রাজার ব্যাগ না তো?

আচ্ছা একটা হাদিস শুনেন

সহি বুখারী ভলিউম ০০৪ , বুক ০৫৪ হাদিস ৪৮২
আবু হুরায়রা হতে বর্ণিত . আলাহর নবী বলেছেন, দোজক অভিযোগ করলো আল্লাহর কাছে , হে আমার প্রভু আমার বিভিন্ন অংশ নিজেদের কে খেয়ে ফেলে (!) তাই আল্লাহ পাক দোজখ কে , দুই বার দম নেবার সুযোগ করে দিলেন , একবার গরমের কালে একবার শীতকালে . এটাই কারণ প্রচন্ড গরম এবং ঠান্ডা আবহাওয়া র ..

১১ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১:০৯

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: আমি রাজার বাগি না খাঁটি ছুন্নি
হাদিস যা সত্য
আসলে কি বুঝাতে চাইলেন বুঝলাম না

১২| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:০৯

নতুন বলেছেন: রাজারবাগী ছাড়া আর কেই না... কারন তার দোয়ায় আমেরিকায় দূযোগ হয়..

দেওয়ানবাগীও হইতে পারে... কারন তাকে চাদে দেখা গেছিলো...

১১ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১:১৩

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: বন্ধু রাজার বাগি দেওয়ান বাগি কোনটাই না
আমি খাঁটি ছুন্নি আলেম
ভয় পাওয়ার কিছু নাই
আমার আকিদা রেজভিয়া দরবার শরিফ শত্রশ্রি , নেত্রকোনা ।
ট্যাকলে আইসেন আর ভুল জানলে সংশোধনের সুযোগ ও
লিংক দিয়েন । ধন্যবাদ

১৩| ১৭ ই মে, ২০১৩ রাত ১০:২৩

নড়াইলের ছেলে বলেছেন: الله نورا لسماوت والارض مثل نوره كمشكوة فيها مصباح المصباح فى زجاجة الزجاجة كانها كوكب درى يوقد من شجرة مباركة زيتونة لا شرقية ولاغربية يكاد زيتها يضيئ ولولم تمسسه نار- نور على نور- يهدى الله لنوره من يشاء ويضرب الله الامثال للناس والله بكل شيئ عليم.

তরজমা ঃ- মহান আল্লাহ্ পাক আসমান ও যমীনের নূর অর্থাৎ আসমান-যমীন আলো করনেওয়ালা। তাঁর আলো বা নূর মোবারকের উদাহরণ হলো যেমন একটি তাক, যার উপরে আছে একটি প্রদীপ। যেই প্রদীপটি একটি কাঁচের পাত্রের মধ্যে রয়েছে। সেই কাঁচ পাত্রটি এমন, যেন উহা একটি উজ্জ্বল নক্ষত্র। সেই প্রদীপটি বরকতময় যাইতুন বৃক্ষের (তৈল) দ্বারা প্রজ্জলিত হয়। সেই বৃক্ষটি পূর্বমুখীও নয়, পশ্চিমমুখীও নয়। সেই তৈল (এমন যে) যদিও উহাকে অগ্নি স্পর্শ না করে তবুও উহা জ্বলে উঠে। নূরের উপরে নূর। আল্লাহ্ পাক যাকে ইচ্ছা তাকেই স্বীয় নূরের দ্বারা পথ প্রদর্শন করেন। মহান আল্লাহ্ পাক মানুষের জন্যই দৃষ্টান্ত পেশ করেন। আল্লাহ্ পাক সর্ব বিষয়ই জ্ঞানী।” (সুরা নূর/৩৫)

তাফসীর ঃ- আলোচ্য আয়াত শরীফের শাব্দিক অর্থে মহান আল্লাহ্ পাককেই আসমান ও যমীনের নূর (আলো) বলা হয়েছে। মূলতঃ মহান আল্লাহ্ পাক নূর নন। কারণ নূর হলো- আল্লাহ্ পাক-এর অসংখ্য সৃষ্টির মধ্যে একটি মাখলুক্ব বা সৃষ্ট বস্তু। আর মহান আল্লাহ্ পাক হলেন- নুর সহ সকল মাখলুকাতের স্রষ্টা বা খালেক। কাজেই আল্লাহ্ পাককে নূর বললে আল্লাহ্ পাক-এর সাথে অংশী স্থাপন বা শরীক করা হয়।

আলোচ্য আয়াত শরীফের তাফসীরে হুজ্জাতুল ইসলাম, হযরত ইমাম গাজ্জালী (রঃ) মেশকাতুল আনওয়ারের মধ্যে উল্লেখ করেছেন- জনৈক বেদুঈন ব্যক্তি সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হুজুর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে মহান আল্লাহ্ পাক-এর উপমা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেছিল। তখনই নিম্নোক্ত আয়াত শরীফ অবর্তীণ হয়-

قل هوا لله احد- الله الصمد لم يلد ولم يولد ولم يكن له كفوا احد.

অর্থঃ- “হে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি বলুন, তিনিই এক আল্লাহ্। মহান আল্লাহ্ পাক বেনিয়াজ। তিনি কারো থেকে জন্ম নেননি এবং তিনিও কাউকে জন্ম দেননি। তাঁর সমকক্ষ কেউই নেই।” (সুরা ইখলাছ)

আলোচ্য আয়াত শরীফের তাফসীরে “নূর” শব্দের ব্যাখ্যায় উল্লেখ করা হয়েছে

الله هادى اهل السماوت الارض.

অর্থঃ- “মহান আল্লাহ্ পাক আসমান ও যমীনবাসীদের হিদায়েত দানকারী।” (মাযহারী ৬/৫২২, ইবনে কাসীর ৬/৪৭৮)

তাফসীরে মাযহারীতে আরো উল্লেখ করা হয়েছে-



هو مصدر بمعنى الفاعل يعنى منور السماوت والارض بالشمس والقمر والكواكب وبا لانبياء والملائكة والمؤمنين.

অর্থঃ- “নূর শব্দটি মাছদার, যা ইসমে ফায়েল অর্থে ব্যবহৃত, অর্থাৎ মহান আল্লাহ্ পাক সূর্য, চন্দ্র, তারকারাজী, নবী-রাসূল (আঃ), ফেরেশ্তাগণ এবং মু’মিনদের দ্বারা আসমান ও যমীনের আলোদানকারী।” (মাযহারী ৬/৫২১)

এ আলোচনা দ্বারা এটাই সাব্যস্ত হয় যে, মহান আল্লাহ্ পাক নূর নন, বরং তিনি নূরের সৃষ্টিকর্তা। আর মূলতঃ নূর দ্বারা আল্লাহ্ পাক-এর হিদায়েতকে বুঝান হয়েছে। এ প্রসঙ্গে আরো উল্লেখ্য যে, মহান আল্লাহ্ পাক পবিত্র কালামুল্লাহ্ শরীফে বলেন,

قد جاء كم من الله نور وكتاب مبين.

অর্থঃ- “অবশ্যই তোমাদের নিকট এসেছে মহান আল্লাহ্ পাক-এর পক্ষ থেকে নূর ও প্রকাশ্য কিতাব।” (সুুরা মায়েদা/১৫)

আলোচ্য আয়াত শরীফে نور দ্বারা হুজুর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে এবং كتاب দ্বারা কোরআন শরীফকে বোঝানো হয়েছে।” (মাযহারী, ইবনে কাসীর, জালালাইন, ত্ববারী, কুরতুবী, ইবনে আবি হাতিম)

এ আয়াত শরীফের ব্যাখ্যায় সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হুজুর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন-

اول ما خلق الله نورى وكل شيى ء من نورى.

অর্থঃ- “সর্ব প্রথম মহান আল্লাহ্ পাক আমার (হুজুর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর) নূর মোবারককে সৃষ্টি করেছেন। আর আমার সেই নূর মোবারক থেকেই সমস্ত কিছু সৃষ্টি করা হয়েছে।” অন্য হাদীস শরীফে উল্লেখ করা হয়েছে-

كنت نورا بين يدى ربى.

অর্থঃ- “আমি মহান আল্লাহ্ পাক-এর সামনে নূর হিসাবে ছিলাম।” (আল ইনসানূল কামিল)

হাদীস শরীফে আরো উল্লেখ করা হয়েছে,



انه صلى الله عليهه وسلم لما ولد رأت امه نورا وخرج معه نور أضائت له قصور الشام.

অর্থঃ- “যখন হুজুর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ভুমিষ্ট হন, তখন তাঁর মাতা (হযরত আমিনা (রাঃ)) দেখতে পেলেন একটি নূর মোবারক, উক্ত নুর মোবারক বের হয়ে শাম দেশের রাজ প্রাসাদকে আলোকিত করেছে।” (মাওয়াহে বুল্লাদুন্নিয়া ১/১২, ইনসানুল কামিল ২১)

মূলতঃ নূর শব্দটি কোরআন শরীফ ও হাদীস শরীফের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে।



যেমন ইতিপূর্বের আলোচনায় نور দ্বারা হিদায়েত ও হুজুর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বুঝান হয়েছে। এছাড়া কিতাবে আরো উল্লেখ করা হয়েছে-

هادى من فى السماوات والارض فهم بنوره يهتدون الى الحق.

অর্থঃ- “আল্লাহ পাক আসমান ও যমীনে যারা বসবাস করে, তাদের হিদায়েত দানকারী। তারা আল্লাহ্ পাক-এর নূরের দ্বারা হক্ব পথে পরিচালিত হয়।” (মুখতাছার তাফসীরে ত্ববারী ৩৫৪)

এ সম্পর্কে মহান আল্লাহ্ পাক বলেন-

الله ولى الذين امنوا- يخرجهم من الظلمات الى النور.

অর্থঃ- “আল্লাহ্ পাক মু’মিনদের অভিভাবক, তিনি তাদেরকে গোমরাহী থেকে হিদায়েতের দিকে নিয়ে যান।” (সূরা বাক্বারা/২৫৭)

আবার নূর দ্বারা কোরআন শরীফকেও বুঝানো হয়। যেমন আল্লাহ পাক বলেন-

فالذين امنوا به وعزروه ونصروه واتبعوا النور الذى انزل معه اولئك هم المفلحون.

অর্থঃ- “অতঃপর যারা হুজুর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর উপর ঈমান আনবে, তাঁকে তা’যীম করবে, সাহায্য-সহযোগীতা করবে এবং তাঁর প্রতি যেই নূর (কোরআন শরীফ) অবতীর্ণ করা হয়েছে তার অনুসরণ করবে, তারাই সফলতা লাভ করবে।” (সূরা আ’রাফ ১৫৭) আলোচ্য আয়াত শরীফে নূর দ্বারা কোরআন মজিদকে বুঝানো হয়েছে।

অনুরূপ আল্লাহ্ পাক বলেন



يريدون ليطفئوا نور الله بافواههموالله متم نوره ولو كره الكافرون.

অর্থঃ- “তারা চায় তাদের মুখের ফুৎকারের দ্বারা আল্লাহ্র নূর (দ্বীন ইসলামকে) নিভিয়ে দিতে। কিন্তু আল্লাহ পাকই তার দ্বীনকে পূর্ণরূপে বিকশিত করবেন। যদিও কাফেররা উহা অপছন্দ করে।” (সূরা ছফ/৮)

প্রদত্ত আয়াত শরীফের তাফসীরে কিতাবে আরো উল্লেখ করা হয়েছে-

وقال الحسن وزيد بن اسلم اراد بالنور القران وقال سعيد بن جبير والضحاك هو محمد صلى الله عليه وسلم وقي اراد بالنور الطاعة سمى طاعة الله نورا- واضاف هذه الانوار الى نفسه.

অর্থঃ- “হযরত হাসান ও যায়েদ বিন আসলাম (রাঃ) বলেন- নূর দ্বারা উদ্দেশ্য হলো কোরআন শরীফ। আর সাইদ ইবনে জুবায়ের ও যুহাক (রাঃ) বলেন, নূর দ্বারা হুজুর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বুঝান হয়েছে। কেউ কেউ বলেন, নূর বলতে অনুগত হওয়াকে বুঝানো হয়েছে। আল্লাহ্ পাক-এর আনুগত্যতাকেই নূর হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে। এই নূরকেই আত্মার সাথে স্থাপন করা হয়েছে।” (মাযহারী-৬/৫২২)

অতঃপর مثل نوره كمشكوة -এর ব্যাখ্যায় কিতাবে উল্লেখ করা হয়েছে,

قيل مثل نور من امن به وقيل مثل نور محمد صلى الله عليه وسلم وقيل نور القران.

অর্থঃ- “কেউ কেউ বলেন مثل نوره বলতে যে ব্যক্তি আল্লাহ্ পাক-এর প্রতি ঈমান এনেছে, তার নূরের বা হিদায়েতের কথা বলা হয়েছে। কারো কারো মতে হুজুর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর নূর মোবারকের কথা বুঝান হয়েছে। আর কারো মতে- কোরআনের নূর বা হিদায়েতকে বুঝান হয়েছে।” (মুখতাছার তাফসীরে ত্ববারী/৩৫৪)

অপরদিকে প্রদত্ত আয়াত শরীফে বর্ণিত উপমা (তাক, কাঁচ, বাতি, বৃক্ষ ও তেল) সম্পর্কে হুজ্জাতুল ইসলাম, হযরত ইমাম গাজ্জালী (রঃ) বলেন- এর দ্বারা ইন্দ্রীয় শক্তি, কল্পনা শক্তি, বুদ্ধি শক্তি, চিন্তা শক্তি, নুবুওওয়াতী ও বেলায়েতের পবিত্র শক্তিকে বুঝানো হয়েছে। (মেশকাতুল আনওয়ার)

উল্লেখ্য, নুবুওওয়াত নবী (আঃ)গণের সাথে সম্পৃক্ত এবং বেলায়েত আওলিয়া-ই-কিরামগণের সাথে সম্পৃক্ত।

মূলতঃ বর্ণিত আয়াত শরীফে মু’মিনের অন্তরে মহান আল্লাহ্ পাক-এর পক্ষ থেকে হাক্বীক্বী হিদায়েতের বাণী পৌঁছার দৃষ্টান্ত পেশ করা হয়েছে। অর্থাৎ ঈমানদার ব্যক্তি পূর্ণরূপে হিদায়েত প্রাপ্ত হয়ে আল্লাহ্ পাক-এর মতে ও হুজুর পাক সাল্লাল্লাহু আলইহি ওয়া সাল্লাাম-এর পথে পরিচালিত হলে তার যেরূপ অবস্থা হয়, তারই ইঙ্গিত সূচক দৃষ্টান্ত এখানে পেশ করা হয়েছে।

এ সম্পর্কে হুজ্জাতুল ইসলাম, হযরত ইমাম গাজ্জালী (রহঃ) তাঁর মেশকাতুল আনওয়ার কিতাবে আরো বলেন- “বিশ্বাসী, নবী (আঃ) ও ওলী আল্লাহ্গণের অন্তকরনের বেলায় এ উপমা দেয়া চলে। কাফেরদের বেলায় এ উপমা খাটেনা। কারণ নূর বা আলো কথাটি সৎ পথে চলাকেই বলে।”

আর এজন্যই আল্লাহ্ পাক বলেছেন,

نور على نور.

নূরের উপর নূর। অর্থাৎ হিদায়েত প্রাপ্ত হওয়ার পরে পূর্ণরূপে হিদায়েত লাভ করলেই হয় নূরুন আলা নূর। আল্লাহ্ পাক অন্য আয়াত শরীফে বলেছেন-

يا ايها الذين امنوا امنوا.

অর্থঃ- “হে ঈমানদারগণ! তোমরা ঈমান আনয়ন কর।”

অর্থাৎ প্রথমে ঈমান আনার পরে সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম ও পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে আল্লাহ্ পাক-এর মতে ও হুজুর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর পথে পরিচালিত হয়ে পরিপূর্ণ ঈমানদার হয়ে যাও। আল্লাহ্ পাক আমাদের সকলকে পরিপূর্ণ ঈমানদার হওয়ার তৌফিক দান করুন। (আমীন) ইতিপূর্বের আলোচনায় এটাই প্রতীয়মান হয় যে, নূর শব্দটি কোরআন শরীফ ও হাদীস শরীফের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। মূলতঃ মহান আল্লাহ্ পাক নূর নন, তিনি নূরের স্রষ্টা। আলোচ্য আয়াত শরীফের তাফসীরে হাদীস শরীফে উল্লেখ করা হয়েছে,

عن عبد الله بن شقيقق قال قلت لابى ذر (رضى) لو كنت رأيت رسول الله صلى الله عليه وسلم لسئالته قال عن اى شيئ قلت اسئاله هل رائ محمد صلى الله عليه وسلم ربه قال فقال قد سئالته فقال نورا انى أراه. অর্থঃ- “হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে শাকীক (রাঃ) বলেন, আমি হযরত আবু জর গিফারী (রাঃ)কে বললাম- আমি যদি সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হুজুর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে দেখতাম, তবে আমি অবশ্যই তাঁকে একটি সুওয়াল করতাম। তখন হযরত আবু জর (রাঃ) বলেন, কোন বিষয় তুমি প্রশ্ন করতে? আমি বললাম- আমি জিজ্ঞাসা করতাম যে, হুজুর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মহান আল্লাহ্ পাককে দেখেছেন কিনা? বর্ণনাকারী বলেন, তখন হযরত আবু জর গিফারী (রাঃ) বলেন, আমিই এ বিষয় হুজুর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে প্রশ্ন করেছিলাম। উত্তরে তিনি বলেছেন, আমি মহান আল্লাহ্ পাককে (মেছালী ছুরতে) নূর হিসেবে দেখেছি।” (মছনদে আহ্মদ-৫/১৭১, ১৫৭, ১৭৫, মুসলিম, তিরমিযী, মেশকাত/৫০১) অন্য হাদীস শরীফে বর্ণিত হয়েছে- হুজুর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,

قد رأيته نورا أنى أراه.

অর্থঃ- “আমি আল্লাহ্ পাককে নূর হিসেবে দেখতে পেয়েছি।” (মছনদে আহ্মদ- ৫/১৪৭, মুসলিম শরীফ) বর্ণিত হাদীস শরীফদ্বয়ে স্বয়ং আল্লাহ্র রাসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হুজুর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মহান আল্লাহ্ পাককে নূর হিসেবে দেখেছেন, যা তাঁর মেছালী ছূরত সমূহের মধ্যে একটি মেছাল। আবার অন্য হাদীস শরীফে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হুজুর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,

رأيت ربى عزوجل فى صورة شاب أمرد.

অর্থঃ- “আমি মহান আল্লাহ্ পাককে (মেছালী সূরতে) দাঁড়ি-মোছবিহীন যুবকের ছুরতে দেখেছি।” হুজুর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অন্যত্র বলেন,

رأيت ربى عزوجل فى احسن صورة.

অর্থঃ “আমি মহান আল্লাহ্ পাককে উত্তম ছূরত মোবারকে দেখেছি।” (তিরমিযী, হাক্বীক্বতে মুহম্মদী/১৩৩) আর হযরত আউলিয়া-ই-কিরাম (রঃ)গণও আল্লাহ্ পাককে নানা প্রকার মেছালী ছূরতে দেখেছেন। যেমন হানাফী মায্হাবের ইমাম, ইমামে আ’যম হযরত আবু হানীফা (রঃ) এবং হাম্বলী মায্হাবের ইমাম, হযরত আহমদ বিন হাম্বল (রঃ)-এর সীরাতে উল্লেখ রয়েছে যে, তাঁরা উভয়ে মহান আল্লাহ্ পাককে মেছালী ছুরতে একশত বার করে দেখেছেন। আরো উল্লেখ আছে যে, গাউছুল আ’যম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া, হযরত বড় পীর সাহেব (রঃ), ক্বাইউমে আউয়াল, হযরত মুজাদ্দিদে আল্ফে সানী (রঃ), মহান আল্লাহ্ পাককে যুবকের ছূরতে দেখেছেন। হযরত মুহিউদ্দীন ইবনুল আরাবী (রঃ) মেয়ে লোকের ছূরতে দেখেছেন। আবার অনেক আউলিয়া-ই-কিরাম (রঃ)গণ আল্লাহ্ পাককে হুজুর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর ছূরত মোবারকে দেখেছেন। এছাড়াও অনেক আউলিয়া-ই-কিরাম আল্লাহ্ পাককে নানা প্রকার মেছালী ছূরতে দেখেছেন। অতএব বর্ণিত হাদীস শরীফ ও আউলিয়া-ই-কিরাম (রঃ)-এর ক্বওল দ্বারা এটাই ছাবেত হয় যে, আল্লাহ্ পাককে নানা প্রকার মেছালী ছূরত মোবারকে দেখা সম্ভব। তবে অবশ্যই একথা স্মরণ রাখতে হবে যে, উল্লিখিত ছূরত মোবারক কোনটিই আল্লাহ্ পাক-এর হাক্বীক্বী বা প্রকৃত ছূরত মোবারক নয়। বরং তাঁর মেছালী ছূরত মোবারক মাত্র। কাজেই বান্দা পৃথিবীতে আল্লাহ্ পাককে যে ছূরত মোবারকেই দেখুক না কেন, আর তা যেভাবেই দেখুক যেমন- স্বপে¦, কাশ্ফে, মোরাকাবায়, রূহানীভাবে, তা প্রত্যেকটিই মূলতঃ মেছালী ছূরত। এ প্রসঙ্গে ক্বাইউমে আউয়াল, হযরত মুজাদ্দিদে আল্ফে সানী (রঃ) তাঁর মকতুবাত শরীফে বলেন, মহান আল্লাহ্ পাক-এর মেছালী ছূরত দেখেই কেউ যদি তাকে আল্লাহ্ পাক বলে মনে করে, তাহলে তা কুফরী হবে। আর আহ্লে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের ফতওয়া হলো- পৃথিবীতে কেউ আল্লাহ্ পাক-এর হাক্বীক্বী ছূরত মোবারক দেখবেনা। তবে হ্যাঁ, বান্দারা পরকালে আল্লাহ্ পাককে স্পষ্টভাবে দেখতে পাবে। আল্লাহ্ জাল্লা শানুহুর জাতে পাক-এর বর্ণনা করতে গিয়ে কাইউমে আউয়াল, আফজালুল আউলিয়া, হযরত মুজাদ্দিদে আল্ফে সানী (রঃ) বলেন, “মহান আল্লাহ্ পাক ‘আল্লাহু’ শব্দ থেকেও পবিত্র, তিনি এ শব্দেরও মুখাপেক্ষী নন। সূরা ইখলাছের মধ্যে এ বিষয়টিই পরিস্ফুটিত হয়েছে-

الله الصمد. لم يلد ولم يولد ولم يكن له كفوا احد.

অর্থঃ- “আল্লাহ্ পাক (সমস্ত কিছু থেকে) বেনিয়াজ। তিনি কাউকে জন্ম দেন নাই। আর কেউ তাঁকে জন্ম দেয় নাই। তাঁর সমকক্ষ কেউ নেই।

এ আয়াত শরীফের তাফসীরে হাদীস শরীফে উল্লেখ করা হয়েছে,



عن عمران بن حصين (رضى) قال قال النبى صلى الله عليه وسلم كان الله ولم يكن شيئ غيره كان الله ولا شيئ معه وكان الله ولم يكن شيئ قبله.

অর্থঃ- “ইমরান ইবনে হুসাইন (রাঃ) বর্ণনা করেন, হুজুর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, আল্লাহ্ পাক ব্যতীত কেউই ছিলনা, আল্লাহ্ পাক-এর সাথেও কেউ ছিলনা এবং আল্লাহ্ পাক-এর পূর্বেও কেউ ছিলনা।” (বোখারী, মুসলিম)

আল্লাহ্ পাক অন্য আয়াত শরীফে বলেন,

ليس كمثله شيى.

অর্থঃ- “আল্লাহ্ পাক-এর অনুরূপ কোন কিছুই নাই।” (সূরা শুয়ারা/১১)

মূলতঃ নূর হলো মহান আল্লাহ্ পাক-এর অসংখ্য সৃষ্টির মধ্যে একটি مخلوق বা সৃষ্ট বস্তু। আর আল্লাহ্ পাক হলেন, নূরসহ সকল সৃষ্টির خالق বা স্রষ্টা।

তিনি আরো বলেন,

الله خالق كل شيئ.

অর্থঃ- “মহান আল্লাহ্ পাকই সমস্ত কিছুর স্রষ্টা।” (সূরা রা’দ/১৬)

এ আয়াত শরীফের ব্যাখ্যায় হাদীস শরীফে উল্লেখ করা হয়েছে, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হুজুর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,



خلق الله التربة يوم السبت وخلق الجبال فيها يوم الاحد وخلق الشجر فيها يوم الاثنين وخلق المكروه يوم الثلثاء وخلق النور يوم الاربعاء.

অর্থঃ- “আল্লাহ্ পাক মাটি (যমীন) সৃষ্টি করেছেন শনিবারে, আর উহাতে পাহাড় তৈরী করেছেন রবিবারে এবং উহাতে বৃক্ষ তৈরী করেছেন সোমবারে। আর অপছন্দনীয় জিনিস তৈরী করেছেন মঙ্গলবারে। আর আল্লাহ্ পাক নূরকে সৃষ্টি করেছেন বুধবারে।”

হাদীস শরীফে আরো উল্লেখ করা হয়েছে,

اول ما خلق الله نورى وكل شيئ من نورى.

অর্থঃ- “আল্লাহ্ পাক সর্ব প্রথম আমার নূর মোবারক সৃষ্টি করেন। আর আমার নূর হতে সমস্ত কিছু সৃষ্টি করেন।” (হাক্বীক্বতে মুহম্মদী)

এ সম্পর্কে হুজ্জাতুল ইসলাম হযরত ইমাম গাজ্জালী (রঃ) তাঁর দাকায়েকুল আখবারের মধ্যে উল্লেখ করেন, হাদীস শরীফে বর্ণিত আছে আল্লাহ্ পাক সর্ব প্রথম চারিকান্ড বিশিষ্ট “শাজারাতুল ইয়াক্বীন” নামে একটি বৃক্ষ সৃষ্টি করেন। তারপর নূরে মুহম্মদীকে ময়ূরের আকৃতিতে সৃষ্টি করতঃ শুভ্র আঁধারে রেখে উক্ত বৃক্ষে স্থাপন করেন। ঐ অবস্থায় হুজুর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সত্তর হাজার বৎসর একাদিক্রমে আল্লাহ্র গুণগানে রত থাকেন। অতঃপর আল্লাহ্ তায়ালা শরমরূপ আয়না তাঁর সম্মুখে রাখেন। উক্ত আয়নায় তিনি তাঁর কান্তিময় উজ্জ্বল চেহারা দেখে লজ্জিত হন এবং অবনত মস্তকে সৃষ্টিকর্তা মহান আল্লাহ্কে পাঁচবার সিজদাহ্ করেন। এ কারণেই তাঁর উম্মতগণ নির্দিষ্ট সময়ে দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজ আদায় করে থাকেন। পুণরায় আল্লাহ্ তায়ালা উক্ত নূরের প্রতি দৃষ্টিপাত করলে উক্ত নূর আল্লাহ্র ভয়ে ঘর্মাক্ত ও লজ্জিত হয়ে পড়ে। তাঁর মাথার ঘাম হতে ফেরেশ্তাকুল, চেহারার ঘাম হতে আরশ-কুরসী, লৌহ-মাহ্ফুয, কলম, চন্দ্র, সূর্য, তারকারাজি এবং আকাশ মন্ডলের যাবতীয় কিছু সৃষ্টি করেন। কানের ঘাম হতে ইহুদী, খৃষ্টান, অগ্নি উপাসক এবং অন্যান্য কাফের সম্প্রদায় সৃষ্টি হয়। পদদ্বয়ের ঘাম হতে পৃথিবীর যাবতীয় বস্তু সমূহ সৃষ্টি হয়। এরপর আল্লাহ্ তায়ালা তাঁকে সম্মুখের দিকে দৃষ্টিপাত করালে তিনি তাঁর সম্মুখে, পশ্চাতে, ডানে, বাঁয়ে পর্যায়ক্রমে হযরত আবু বকর সিদ্দীক (রাঃ), হযরত ওমর (রাঃ), হযরত ওসমান (রাঃ) এবং হযরত আলী (রাঃ)-এর নূর দেখতে পান। ইহার পর নূরে মুহাম্মদী সত্তর হাজার বৎসর আল্লাহ্র তাসবীহ্-তাহ্লীলে নিমগ্ন থাকেন। আল্লাহ্ তায়ালা সমস্ত নবীদের নূর নূরে মুহাম্মদী হতে সৃজন করেন এবং আল্লাহ্ তায়ালা তৎপ্রতি দৃষ্টি করা মাত্র নবীদের আত্মা পয়দা হয়ে সমস্বরে বলে উঠল- লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ্। অতঃপর আল্লাহ্ তায়ালা হুজুর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নামাজরত অবস্থায় লাল আকীক পাথরে তৈরী একটি লক্তনের মধ্যে বসিয়ে রাখেন। নবীদের আত্মসমূহ নূরে মুহম্মদীকে এক লক্ষকাল যাবৎ তাওয়াফ করে আল্লাহ্ পাক-এর শোকরগুজারী করেন।

উপরোক্ত সকল আলোচনা থেকে এটাই প্রতীয়মান হলো যে, মহান আল্লাহ্ পাক নূর নন বরং তিনি নূরের স্রষ্টা। আর আল্লাহ্ পাক সর্ব প্রথম সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন্নাবিয়্যীন, হুজুর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর নূর মোবারককে সৃষ্টি করেছেন।

১৪ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৪:১০

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: শেয়ার হওয়ার জন্য ধন্যবাদ
ভাল লিখেছেন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.