নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পরিবেশ বন্ধু *** আমি কবি হতে আসিনি , কবি হয়েই জন্ম নিয়েছি । ।\n

পরিবেশ বন্ধু

আমি এক ঐতিহাসিক নব সৃষ্টি / মুক্ত লিখি দুর্বার দৃষ্টি

পরিবেশ বন্ধু › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম কে এর গান জাতীয় সংগীত করার প্রস্তাব ।

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:১৩



যার যথা স্থান তাকে সেথা পৌঁছে দাও

*****************************

জিব্রাইলের ডানা যিনি লিখেছেন সেই বিশিষ্ট প্রয়াত সাহিত্যক শাহেদ আলী সাহেব কে প্রস্ন রেখেছিলাম নজরুল অর্থ কি / উত্তর এল মুক্তির কাণ্ডারি । ভাবতে অবাক লাগে ইসলাম

কে তিনি বাংলাভাষি সাহিত্য প্রতিভায় একাই সমৃদ্ধি করেছেন ।

তার অসংখ্য ইসলামী গান , গজল , কবিতা ও রচনায় , বিশ্ব সাহিত্যর রত্ন বিশেষ । যা মানুষের

কল্যান ও মুক্তির পথ পাথেয় । আমি তার বিদ্রোহী কবিতার একজন গবেষক দার্শনিক / না কোন ডক্টরেড উপাধি লাভ করিনাই , তবে তার গভিরতা কতটুকু তাত্ত্বিক সামান্য উপমা

দেব । দ্যুলোক ভূলোক গোলোক ভেদিয়া

খোদার আরশ আসন ছেদিয়া ;;;;;;;;; কথাটি যথার্থ । হাদিস শরিফ

থেকে আয়াত খুলুবিল মুমিনিনা আরশুল্লাহ অর্থ মুমিনের কলবে

আল্লাহর সিংহাসন । নিশ্চয় কবি একজন আল্লাহর মুমিন বান্ধা ছিলেন । কোরআনের আয়াত আলা আউলিয়াল্লাহু লা খাওফুন অয়াআলা ইয়াহযানুন অর্থ নিশ্চয় আমার বন্ধুগনের ভয় নাই দুনিয়া ও আখেরাতে । নজরুল ইসলাম তার বিদ্রোহী কবিতা

যে ভাবে বর্ণনা করেছেন যে সয়ং বিধাতাই তার নিজ ভাষায় ব্যক্ত

করেছেন ।যেমন আমি অমর অজর অক্ষয়

আমি মানব দানব দেবতার ভয় । একমাত্র অমর অক্ষয় আল্লাহ

ছাড়া আর কেউ নয় । দর্শন কবি মাওলানা রুমি তার বিখ্যাত

কাব্য মসনবি শরিফে উল্লেখ করেছেন

এক যামানা ছহবত বা আউলিয়া /ব্যাহতরে বে ছাল ছালে তাত বেরিয়া অর্থ মুহুরথ সময় আউলিয়া কেরামের সান্নিধ্য থাকা শত বছরের এবাদতের সমান । নিশ্চয় নজরুল বড় বুজুর্গ বা অলি ছিলেন । মহা বিদ্রোহী রন ক্লান্ত আমি সেই দিন হব শান্ত যবে উৎপীড়নের .ক্রন্ধন রোল আকাশে বাতাসে ধবনিবেনা ।



আসলে দর্শনে কথাটি এমন দেহের মৃত্যু হয় কিন্তু আত্তার মৃত্যু

নেই । পরিশেষে তার ধুমকেতু কবিতাটির চরন এমন

আমি যুগে যুগে আসি আসিয়াছি পুনঃ মহা বিপ্লবি হেতু

ঐ স্রষ্টার শনি মহাকাল ধুমকেতু । বিজ্ঞান ধুমকেতু নামে একটি

গ্যাসীয় প্রকাণ্ড গ্যাসিয় বলয় ৮৩ বছর অন্তর অন্তর একবার

পৃথিবী পদক্ষিন করে । আরেকটি কবিতার পংতি এমন

বিশ্ব জগত দেখব আমি আপন হাতেমুটুঁয় পুড়ে ।

আসলে মিথ্যার

লেশ মাত্র নেই । প্রমান মুটুঁ ফোন ,লেফটপ প্রভৃতি তিনি আমাদের জাতীয় কবি । শুধু দুঃখ একটাই আজও কবির স্মৃতি

বিরজিত কাজীর সিমলা স্কুল ও ত্রিশাল নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় আজও উন্নয়নের ছোঁয়া পায়নি । ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কবিকে সম্মান সুচক ডি লিট ডিগ্রী উপাধিতে ভূষিত করেছিলেন ।এস সবে মিলে জাতীয় কবির মর্যাদা কে হ্রদয়ে লালন করি গভীর শ্রদ্ধায় ।



নজরুলের ধুমকেতু কবিতার অংশ

*******************************



আমি যুগে যুগে আসি আসিয়াছি পুন বিপ্লবী হেতু

ঐ স্রস্টার শনি মহা কাল নাগ ধুমকেতু ।



সে যা সৃষ্টি করে গেল কাব্য কথায়

তা ইতিহাসে কিয়ামত পর্যন্ত জিবন্ত থাকবে নানা শিক্ষার্থীদের চেতনায় ।

তাই কবি তাদের মাধ্যমেই তো যুগে যুগে আসে

আর শনি একটি গ্রহ যার নিকটে সূর্যের তাপ অগ্নিগোলক হয়ে

চিরদিন ভস্ম হয় শনি অগ্নিলাভায়

তাই কবি বলেছেন শনির মতই গ্যাসীয় ধুমকেতু যেভাবে ছুটে

বেড়ায় মহাশুন্য সেভাবেই কবির পদার্পণ ।



তার রচিত ইসলামী সংগীত ইসলামের উজ্জলতা বহুলাংশে

বৃদ্ধি করেছে ।

যেমন তৌহীদেরও মুর্শিদ আমার মুহাম্মাদের নাম

যে নাম হয় সয়ং খোদায়ী কালাম ।

মুর্শিদ অর্থ সত্য পথ চেনানো অয়ালা ।

ঈদের থিম সঙ্গীত বিশ্ব ব্যপি শুনি আনন্দ জলসায়

রমজানেরই রোযার শেষে এল খুশির ঈদ .........

রন সংগীত যা এখনত বিশ্ব সৈনিকদের যুদ্ধের প্রেরনা জাগায় ,

চল চল চল

উদ্ধ গগনে বাজে মাদল

নিম্নে উথালা ধরনি তল

অরুন প্রাতের তরুণ দল

চলরে চলরে চল

ঊষার দোয়ারে হানি আঘাত

আমরা আনিব রাঙ্গা প্রভাত

আমরা টুটাব তিমির রাত

বাধার বিন্ধা চল

চল চল চল ...............



ব্রিটিশ বিরুধি আন্দোলনে তার কবিতা ডাক

বিশ্ব বিবেকের ঘুম ভাঙ্গিয়ে দিয়েছিল ।

কারাগারে থেকেও তিনি রচনা করেছিলেন

কারার ঐ লৌহ কপাট

ভেঙ্গে সব কররে লোপাট

লাথি মেরে ভাঙ্গরে তালা

যত সব বন্ধি শালা আগুন জ্বালা,;;;;;;;;



আমাদের প্রানের দাবি আমাদের জাতীয় কবির গানকে

*******************************************

বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত করা হোক ।

বিশ্ব কবি রবি ঠাকুর ব্রিটিশ বিরুধি আন্দোলন বা আমাদের দেশের

স্বাধীনতার পক্ষে কোন কবিতা লিখেন নি , তাকে বিশ্ব কবি হিসাবে শ্রদ্ধা করা যায় কিন্তু জাতীয় মর্যাদা দেওয়া অনেক ভুল । তিনি ভারতের জাতীয়

কবি , আমাদের নয় ।

মুক্ত মতামত হোক আমদের জাতীয় চেতনার উৎস ।





নজরুল ত্রিশাল কাজির সিমলা দারোগা বাড়িতে থাকার সময়

এখানের স্থানীয় অধিবাসী নজরুলের সাথে মুসলিম শিউলি অরফে মিলা চৌধুরীর সাথে বিয়ে টিক করেছিলেন অথচ নজরুল

ভালবাসতেন সিয়ার সোলের মেয়ে জুলেখাকে ।

বিয়ের রাত্রে নজরুল পালিয়ে গিয়েছিলেন এবং সৈনিকে যোগ দেন ।সেখান থেকে ফিরে নজরুল প্রতিভার বিস্ফোরণ ঘটলে ।

তিনি নিজেই ব্রিটিশ বিরুধি আন্দোলনে যোগ দেন এবং কলকাতা থেকে পত্রিকা সম্পাদনা করেন , তখন অবশ্য কলকাতা বাংলার

অংশ ছিল ।

লাঙ্গল , নবযুগ , ধুমকেতু প্রভৃতি তার সাময়িক পত্রিকা ।

ব্রিটিশের ভিত নড়ে নজরুল গ্রেফতার হয় ।

পরের ইতিহাস সবার জানা ।

পরে দেশে ফিরলে নজরুল উদাসিন হয়ে যায় ।

এবং হিন্দু মুসলিম দাঙ্গা লাগলে তিনি মুখ্য ভুমিকা পালন করেন দাঙ্গা িনরসনে ।

অনেক গবেষকদের তাত্ত্বিক লেখায় উটে এসেছে যে নজরুল প্রমিলার মিলনের মধ্য দিয়ে

হিন্দু মুসলিমের দাঙ্গা রহিত হয় এবং এর রাজনৈতিক চাল চালেন সয়ং রবি ঠাকুর ।

দুষ আসলে কার

নিয়তির শিকার

আরও জানা যায় নজরুলের সাবেক প্রেমিকা জুলেখা বাকি জীবনে আর কোথাও বিয়ে করেন নি

যখন নজরুল বাকশক্তি হারা

তখন এক নারি তার সেচ্ছা সেবা দিতেন

আর নজরুল নির্বাক নয়নে তাকিয়ে তাকতেন

সম্ভবত সেই যে ছিল তার বাল্য সখি ।





মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৫১

রেজোওয়ানা বলেছেন: কেন এখন যেটা আমাদের জাতীয় সঙ্গীত আছে, সেখানে কি সমস্যা?
ঠিক কি কি কারণে আপনি মনে করছেন, বর্তমান জাতীয় সঙ্গীত পরিবর্তন করা উচিত?

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৩৪

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: কারন ১৯৭২ সালে সাংবিধানিক প্রস্তাবে কবি নজরুলের
সোনা সোনা নয় লোকে বলে সোনা
''''''''' গানটি এবং দিরেন্দ্র লাল এর
এমন দেশটি কোথাও খুজে পাবেনাকো তুমি
'''''''''' বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত হিসাবে গান দুটি প্রস্তাবিত কণ্ঠ ভোটে ১ম ও ২য় অবস্থানে ছিল
এবং রবিঠাকুরের গানটি ছিল সেরা দশে ৭ম
আমার প্রশ্ন গরীব নজরুল রা রাজনৈতিক বিবেচনায় নোবেল থেকে রাসটীয় মর্যাদা সহ সব ক্ষেত্রে আর কত টকবে ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.