নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

গ্রাম-প্রকৃতি-সবুজ-সারল্য যেখানে মিলেমিশে একাকার, সেখানে ফিরে যেতে মন চায় বার বার।

গ্রাম-প্রকৃতি-সবুজ-সারল্য যেখানে মিলেমিশে একাকার, সেখানে ফিরে যেতে মন চায় বার বার।

সুফিয়া

পৃথিবী আমাকে শূণ্যতায় বাঁধতে পারেনা অস্তিত্বে মাকে আগলে রেখেছি বলে।

সুফিয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

একটি সুন্দর নামের সৌন্দর্য ও তাৎপর্য অপরিসীম

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৩১

একটি সুন্দর নামের সৌন্দর্য ও তাৎপর্য অপরিসীম





একটি সুন্দর নাম আল্লাহর নেয়ামত। কাল কেয়ামতে কঠিন মসিবতের সময় যখন কোন সাহায্যকারী থাকবেনা, তখন হয়ত বা একটি সুন্দর ও ভাল নামের ওসিলায় আমরা নাজাত পেতে পারি। শেষ বিচারের দিন যখন বান্দার বাম ও ডানের পাল্লা সমান হবে তখন আল্লাহ তার সুন্দর নামের ওসিলায় তার ডান পাল্লা ভারি করে দিতে পারেন। তাই সন্তানের প্রতি পিতা মাতার দায়িত্ব হলো তাদের সুন্দর ও ইসলাম সম্মত নাম রাখা। নবী করিম (স.) এরশাদ করেছেন- “তোমরা আমার নামে নাম রাখো তবে, আমার উপনামে তোমরা নাম রেখো না” (আবু দাউদ)।



হযরত আয়েশা (রা.) হতে বর্ণিত তিনি বলেন “নবী করিম (স.) খারাপ নাম পরিবর্তন করে দিতেন”।

সন্তানের সুন্দর নাম রাখা,তাদের আদব কায়দা শিক্ষা দেওয়া পিতা মাতার একটা বড় দায়িত্ব। “বাবা মা তাদের সন্তানকে উত্তম আদব কায়দা শিক্ষা দানের চাইতে ভালো কিছু দান করতে পারেনা” (তিরমিযী:আইয়ুব বিন মুসা)।



আজকাল আমাদের মুসলিম সমাজের সন্তানদের নামকরণে আমরা অত্যন্ত উদাসীন ও স্বেচ্ছাচারিতার পরিচয় দিয়ে থাকি। আমাদের সন্তানদের নাম শুনে মনে হয় না যে সে হিন্দু না মুসলমান, ছেলে না মেয়ে, ইনসান না অন্য কোন জাত, এমনকি আমরা আল্লাহ শব্দেরও প্রতিশব্দ বের করে ফেলেছি। আমরা আল্লাহকে খোদা বলে ডাকি। আল্লাহর নামের প্রতিশব্দ খোদা নয়। পৃথিবীর কোন ভাষার কোন শব্দই এই অদ্বিতীয় শব্দের প্রতিশব্দ হওয়ার স্পর্ধা রাখে না। পবিত্র কুরআন ও হাদীসের কোথাও আল্লাহ শব্দের কোন প্রতিশব্দ নাই। আল্লাহ তায়ালা যেমন লা- সানী অদ্বিতীয়, তার জাত পাক এই মহামহিমান্বিত নামও তেমনি অদ্বিতীয়, অনুপম।



হযরত আবু হুরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (স.) বলেছেন, নিঃসন্দেহে মহান আল্লাহর নিরানব্বই অর্থাৎ এক কম একশতটি নাম রয়েছে। যে ব্যক্তি এ সকল নাম মুখস্থ করবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে (বুখারী ও মুসলিম)।



সূরা আরাফে আল্লাহ বলেন, “তোমরা সেই সমস্ত নামের দ্বারা তাকে ডাকো, আর যারা তাঁর নামের মাহাত্ব্যকে অস্বীকার করে, সে সমস্ত পাপাচারীদের কর্মপদ্ধতি ত্যাগ কর। অচিরেই তাদেরকে তাদের কৃতকর্মের শাস্তি দেয়া হবে”।



সূরা বনী ইসরাইলের ১১০ নং আয়াতে আল্লাহ বলেন, বল তোমরা আল্লাহর নামে আহবান কর বা রাহমান নামে আহবান কর, তোমরা যে নামেই আহবান কর সকল সুন্দর নামই তো তার।



সূরা আহযাবের ৫ নং আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেন তোমরা তাদেরকে ডাকো তাদের পিতৃ পরিচয়ে, আল্লাহর দৃষ্টিতে এটা অধিক ন্যায় সংগত। যদি তোমরা তাদের পিতৃ পরিচয় না জান তাহলে তারা তোমাদের দ্বীনি ভাই এবং বন্ধু। এ ব্যাপারে তোমরা কোন ভুল করলে তোমাদের কোন অপরাধ নাই, কিন্তু তোমাদের অন্তরে সংকল্প থাকলে অপরাধ হবে। আর আল্লাহ পরম মাশীল ও পরম দয়ালু”।



আমাদের উচিত উপযুক্ত পাত্রে উপযুক্ত শব্দ ব্যবহার করা। যদি আমরা না করি তাহলে সেটা হবে জুলুম, আদল হবে না। আর এ জন্য পিতা মাতা কে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।



রাসূলুল্লাহ (স.) বলেন “প্রত্যেক শিশুই জন্মগ্রহন করে ইসলামী ফিতরাতের ওপর, অর্থাৎ, ইসলামের ওপর, ইসলামের যোগ্যতা সহকারে কিন্তু পিতা মাতা তাকে ইহুদী,ও নাসারা বানিয়ে ছাড়ে সন্তান জন্ম গ্রহণের সপ্তম দিনে তার নাম রাখা ও আকীকা করা মুস্তাহাব। প্রতিটি শিশুরই একটা সুন্দর নাম, উত্তম চরিত্র এবং মানসম্মত শিক্ষা লাভের অধিকার আছে।



হযরত সামুরা ইবনে জনদুব (রা.) বলেন- রসূল (স.) বলেছেন, জন্মের সপ্তম দিন তার (শিশুর) পক্ষ থেকে পশু জবেহ করবে, নাম রাখবে, ও তার মাথা মুন্ডন করবে (আবু দাউদ, তিরমিযী, নাসাঈ, আহমদ)।



শিশুদের নাম রাখতে হবে আল্লাহ ও তার রাসূলের (স.) নামের সাথে সম্পর্ক রেখে। সুতরাং শিশুর জীবনের টার্নিং পয়েন্ট শুরু হয় ভালো নাম রাখার মধ্য দিয়ে। আর নাম রাখার ব্যাপারে আমরা যোগ্য আলেমদের সহযোগিতা নিতে পারি।



নবী করিম (স.) বলেন- “আল্লাহ তায়ালার নিকট কেয়ামতের দিন ঐ ব্যক্তির নাম সবচেয়ে ঘৃণিত যে তার নাম ধারণ করেছে রাজাধিরাজ (বুখারী-৫৭৫৯:আবু হুরায়রা)।



হযরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) বলেন, রাসূল (স.) বলেছেন- তোমাদের নামসমুহের মধ্যে আল্লাহ তায়ালার নিকট সবচেয়ে প্রিয় নাম হলো আবদুল্লাহ ও আবদুর রহমান”(মুসলিম)।

রাসূল (স.) ভাল নামে ডাকতে উৎসাহিত করেছেন।



নবী (স.) বলেন- মুমিনের হক অপর মুমিনের ওপর এই যে, তাকে অধিক পছন্দনীয় নাম ও পদবী সহকারে ডাকবে। রাসূল (স.) বলেন নাম বদলিয়ে পূর্বের নামের চেয়ে উত্তম নাম রাখা যাবে” (বুখারী- ৫৭৪৫)।



সুতরাং শিশুর জন্য সুন্দর নাম রাখা ও সুন্দর নাম নির্বাচন করা পিতা মাতার প্রধান দায়িত্ব।



(লেখাটি আমার নয়। প্রতিদিন আমার মেইলে বিভিন্ন পত্রিকার কিছু উল্লেখযোগ্য খবর এটাচড করে একটি মেইল আসে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটড, প্রধান কার্যালয়ের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট জনাব আব্দুর সবুর সাহেবের কাছ থেকে। এই লেখাটি সেখান থেকে নেয়া। কিন্তু লেখাটি কোন পত্রিকার কিংবা অন্য কোথাও থেকে নেয়া হয়েছে কি না এমন কিছু উল্লেখ নেই। তবে লেখাটি আমার ভালো লেগেছে তাই শেয়ার করলাম।)

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৬

আমিভূত বলেছেন: ভালো লাগলো ,কথা গুলো শেয়ার করার জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ ।

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৮

সুফিয়া বলেছেন: পড়ার জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.