![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পৃথিবী আমাকে শূণ্যতায় বাঁধতে পারেনা অস্তিত্বে মাকে আগলে রেখেছি বলে।
আয় ছেলেরা আয় মেয়েরা চড়ুইভাতির মাঠে
রান্না-বাড়ার সওদা করব শিমুলতলীর হাটে।
সেই বাঁশঝাড়তলা আজও আছে, কদমতলার গান
সবাই মিলে জমত যেথায় চড়ুইভাতির প্রাণ।
শুধু আমরা ক'জন পথ হারিয়েছি, চলে গেছি দূরে
মনের মাঝে মন কাঁদে আজও ভাটিয়ালীর সুরে।
মায়ের বকুনি, বাবার শাসন পাবনা আর খোঁজে
সেই রান্নাঘর, উঠোন কোণ, পুকুর পাড় জুড়ে।
চড়ুইভাতির রান্না শেষে সবাই মিলে নাইতে নেমে
পুকুর জুড়ে প্রাণ জাগাতাম সৃষ্টি সুখের উল্লাসে।
আরও আছে এরপরে, গাছের তলায় পাতার পাতে
খেতে বসে ক্ষুধার পেটে
দেখি ভাত হয়েছে গলা-দলা
কখনও বা পোড়া ছ্যাঁচা
তরকারীতে নুনের টানে
ঝালে মরি হাপুস নয়নে।
তবু আজ মনে হয় চড়ুইভাতির সেই রান্না
ছিল যেন অমৃতের স্বাদ, যার তুলনা হয়না।
আজ ফেলে এসেছি সেইদিন মেঠো পথের বাঁকে
অযুত লক্ষ প্রহরের ব্যবধানে তবু আজও সে কাছে ডাকে।
বন্ধুরা, তোরা কি শুনিতে পাস সেই ডাক
হারানো দিনের সেই গান ?
আমাদের দস্যূতার আড়ালে জাগত যেথায় প্রাণ।
যদি পড়ে মনে, বন্ধুরা আয়না আরেকবার
আয়োজন করি দল বেঁধে চড়ুইভাতির মাঠে যাবার।
হয়তো পাবনা ফিরে সেই দিন, সেই ক্ষণ, সেই কলহাস্যতান
তবু যদি জাগে মনে স্বর্ণালি দিনের গান।
আয়না আরেকবার জল টলোমল পদ্মপুকুরে নেমে
মনের খেয়া ভাসিয়ে দিই বাদলা দিনের সুরে।
মনের ভিতর আশাপাখি ডানা ঝাপটায় বার বার
আয়না বন্ধুরা, গাঁয়ের পথে পথ হাটি আরেকবার।
২| ২৩ শে মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৫
মোঃ খালিদ সাইফুল্লাহ্ বলেছেন: কী করে ফিরে যাবেন সেই দিনে। দিন দিন মানুষের দ্বায়িত্ব যে কেবলই বেড়ে যায় ক্রমান্বয়ে জীবন বন্দী হয়ে যায় আটসাঁট এক ছকে। এখন যা পারেন সব আত্নীয়দের এক করে একদিনের এক পিকনিক করে আসতে পারেন। জোর দিয়ে বলতে পারি বনভোজনের পর আমাকে ধন্যবাদ দেবেন।
২৪ শে মে, ২০১৩ সকাল ১০:০৭
সুফিয়া বলেছেন: কাজটা যদি করতে পারতাম তাহলে সত্যিই আপনাকে মনের গভীর থেকে ধন্যবাদ দিতাম। সত্যিই বলছেন দিন দিন আমরা জীবনের জটিল ছকে আঁটকে যাচ্ছি। ইচ্ছে করলেই সেখান থেকে বেরিয়ে ঐ পুতুল চড়ুইভাতির দিনে যাওয়া আর সম্ভব নয়। তাই তো দুধের স্বাদ ঘোলে মিটানোর মতো মনের কাব্যিক আরাধনা এই কবিতায়।
এই মুহূর্তে আপনার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ রইল আমার মনের ইচ্ছোকে উপলব্ধি করার জন্য।
©somewhere in net ltd.
১|
২৩ শে মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৩
মোঃ খালিদ সাইফুল্লাহ্ বলেছেন: কী করে ফিরে যাবেন সেই দিনে। দিন দিন মানুষের দ্বায়িত্ব যে কেবলই বেড়ে যায় ক্রমান্বয়ে জীবন বন্দী হয়ে যায় আটসাঁট এক ছকে। এখন যা পারেন সব আত্নীয়দের এক করে একদিনের এক পিকনিক করে আসতে পারেন। জোর দিয়ে বলতে পারি বনভোজনের পর আমাকে ধন্যবাদ দেবেন।