নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

গ্রাম-প্রকৃতি-সবুজ-সারল্য যেখানে মিলেমিশে একাকার, সেখানে ফিরে যেতে মন চায় বার বার।

গ্রাম-প্রকৃতি-সবুজ-সারল্য যেখানে মিলেমিশে একাকার, সেখানে ফিরে যেতে মন চায় বার বার।

সুফিয়া

পৃথিবী আমাকে শূণ্যতায় বাঁধতে পারেনা অস্তিত্বে মাকে আগলে রেখেছি বলে।

সুফিয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

সেই তালগাছ আজও আছে এক পায়ে দাঁড়িয়ে

২৩ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৪:০২

সেই তালগাছ আজও আছে এক পায়ে দাঁড়িয়ে







সেই তালগাছ আজও আছে এক পায়ে দাঁড়িয়ে

শহরপাণে তৃষ্ণাতুর দৃষ্টি ছড়িয়ে

তার খেলার সাথী আসবে ফিরে

পীচঢালা পথ ছেড়ে এই মেঠোপথ ধরে।



আসবে ফিরে তার কাছে এই তাল-তমালের গাঁয়ে

বাবুই এর নীড়ে দুলবে দু’জনে গোধূলী বেলার বায়ে।



সেই বেণুবন, সরষেক্ষেত মটরশুটির ডাকে

খেলার সাথী তার আসবেই ফিরে এই রাখালিয়া বাঁকে।



বন্ধু তার হয়তো ভুলে গেছে সেই তাল-তমালের সারি

বহুদূর গাঁ থেকে চেনা যেত যে বাড়ি।



সে বাড়িও আজ তেমনি আছে ঘন বাঁশঝাড়ের আলিঙ্গনে

আজও সেথায় সন্ধ্যা নামে লক্ষী পেঁচার ডাকে।

আজও সেথা রাত নিঝুমে হুক্কা-হুয়া শিয়াল ডাকে

জোনাকজ্বলা রাত গভীরে আজও সেথা কেউ প্রহর গুণে।



সেই জোনাকজ্বলা প্রহরগুণা

লক্ষীপেঁচার সন্ধ্যা নামা

ঘু ঘু ডাকা নিঝুম দুপুরে

ষোড়শী বালিকার জলকেলীতে

কাখের কলসী ঘাটে রেখে

উদাসী বধূর মনাহারা মন ছুঁয়ে

আজও আছে সেই তাল গাছ এক পায়ে দাঁড়িয়ে।



বরষায় ভরপুর তালতলার ক্ষেতে

সেই যে হয়েছিল মিতালী মাছেদের সাথে

বন্ধু, দূর প্রবাসী হয়তো ভুলে গেছে সবই

কিন্তু ভুলেনি সে, হয়ে আছে কালের সাক্ষী

আজও তাই সেই তালগাছ এক পায়ে দাঁড়িয়ে।



গ্রাম-মাঠ-পথ-নদী পার হয়ে

সুদূর শহরের পাণে দৃষ্টি ছড়িয়ে

খেলার সাথী তার আসবেই ফিরে

স্বর্ণালী এই শৈশবের ঘরে।

আজও তার অপেক্ষা আশাভরা দৃষ্টি নিয়ে

বন্ধু তার আসবেই, সে যে এখনও একপায়ে দাঁড়িয়ে।

মন্তব্য ২৪ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (২৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৪:০৬

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: অসাধারন কথার শৈলী
জানা হল কাব্য
আরও হোক উদ্ঘাটন
আরও সৃজন হোক ভাষার ঝালর সম্ভাব্য

২৩ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৪:২১

সুফিয়া বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ। ভালো লাগল আপনার কথার কাব্যগাঁথা।

২| ২৩ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৪:৩১

শুটকাভাই বলেছেন: শাহজাদপুরে রবীন্দ্র কুঠিবাড়ীতে সেই তালগাছ দুটি এখনও আছে।

২৩ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৪

সুফিয়া বলেছেন: আমার বাড়ির পুকুর পাড়ের সেই তালগাছটিও এখনও আছে। দূর থেকে তাল গাছটি দেখে এখনও চেনা যায় আমাদের বাড়িটি। ছোটকালে অনেক দূর থেকে স্কুল থেকে হেঁটে হেঁটে যখন বাড়ি ফিরতাম তখন তালগাছটি চোখে পড়ত সবার আগে। সাথে সাথে হাঁটার ক্লান্তি দূর হয়ে যেত। ভাবতাম এই তো এসে গেছি।

৩| ২৩ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৯

একজন আরমান বলেছেন:
শিরোনাম দেখে ভেবেছিলাম ছড়া, পড়ে দেখি কবিতা।

ভালো লেগেছে।

২৩ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৫:১০

সুফিয়া বলেছেন: ছোটকালে পড়া

তালগাছ একপায়ে দাঁড়িয়ে
সব গাছ ছাড়িয়ে
উঁকি মারে আকাশে।

এই ছড়াটি তো আসলেই ভুলার মতো নয়।

ধন্যবাদ আমার কবিতাটি পড়ার জন্য।

৪| ২৩ শে জুন, ২০১৩ রাত ১০:১০

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: ২য় ভালোলাগা +++++ দারুন লিখেছেন :)

২৩ শে জুন, ২০১৩ রাত ১০:৫৩

সুফিয়া বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। আপনার কমপ্লিমেন্ট দেখে নিজকে কিছু একটা ভাবতে ইচ্ছে করছে। দোয়া করবেন সেই ইচ্ছেটা যেন পূর্ণ হয়।

৫| ২৪ শে জুন, ২০১৩ সকাল ১১:০৯

সরদার হারুন বলেছেন: গাছ থেকে পাকা তাল নিচে এসে পরছে,
সাথে সাথে বৃষ্টি ঝর ঝর ঝরছে।

অমি শুধু দূরে বসে একা একা ভাবি,
হেন কালে শুধালো সে তাল আনতে যাবি ?

আমি বলি ভয় করে যদি পরে গায় !
মন বলে তাহলে কে তাল আনতে যায় ?

২৪ শে জুন, ২০১৩ সকাল ১১:৫০

সুফিয়া বলেছেন: শুধাল যে সে আজও অপেক্ষায় আছে
খুঁজে তাকে দেখুন না হয়তো কাছেই আছে।


অনেক অনেক ধন্যবাদ।

৬| ২৪ শে জুন, ২০১৩ সকাল ১১:২২

রেজোওয়ানা বলেছেন: ভালো লাগলো সুফিয়া আপু....

২৪ শে জুন, ২০১৩ সকাল ১১:৫২

সুফিয়া বলেছেন: আপনাদের ভালো লাগা দেখে আমারও ভালো লাগছে। এই ভালো লাগা থেকে হয়তো আবার মন চলে যাবে ঐ দূরে, যেথা তাল গাছ এক পায়ে দাঁড়িয়ে।

ধন্যবাদ।

৭| ২৪ শে জুন, ২০১৩ সকাল ১১:২৯

~মাইনাচ~ বলেছেন: ভাল লাগা রইল কবিতায়

২৪ শে জুন, ২০১৩ সকাল ১১:৫৩

সুফিয়া বলেছেন: আমারও শুভ কামনা রইল অসীম ভালোবাসায়।

৮| ২৪ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:০০

সরদার হারুন বলেছেন: কবে আসবে তুমি শুধাতে আমায়
যদি বলে দিতে
তবে তোমার আসার পথে
হৃদয়ের সব ফুল বিছায়ে দিতাম,
আমিও তোমার সাথে যেতাম।

২৪ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:০৩

সুফিয়া বলেছেন: আমার মেঠোপথের বাঁকে
ঘাসফুলখানি আজও ফুটে আছে
যেমনি দাঁড়িয়ে আছে তালগাছখানি
আমার পথের পাণে ছেয়ে।
শুধু পারিনা কথা দিতে
কবে ফিরে যাব বন্ধু তোর কাছে।

৯| ২৪ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ১:৪৬

সরদার হারুন বলেছেন: তুমি যদি সাগর হতে আমি হতাম নদী
তোমার বুকে হারিয়ে যেতাম
ডাকতে আমায় যদি।

ঢেউ হয়ে আমি বুকে ভাসিতাম
তোমারই গান গেয়ে,
জীবন তোমার ভরিয়ে দিতাম
আমার জোছনা দিয়ে।

২৪ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ২:৪৬

সুফিয়া বলেছেন: কবি মানেই জোছনায় কাব্য লেখা নিজের শব্দ ও ছন্দশৈলীর গুণে।
কবি মানেই ভেসে যাওয়া কাব্যের স্রোতে নিজের সীমানাকে আকীর্ণ করে।

১০| ২৪ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ১:৫৭

ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন:
আজও তাই সেই তালগাছ এক পায়ে দাঁড়িয়ে।


সুন্দর!!! অনেক ভালোলাগা!

২৪ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ২:৪৭

সুফিয়া বলেছেন: আজও সেই তাল গাছ এক পায়ে দাঁড়িয়ে
বন্ধু তার আসবেই ফিরে এই তাল-তমালের নীড়ে।

ধন্যবাদ পড়ার জন্য।

১১| ২৫ শে জুন, ২০১৩ সকাল ১০:১৭

জ্যোস্নার ফুল বলেছেন: পাঠ্য বইয়ে অন্তর্ভুক্ত করার মতন কবিতা।

২৫ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:২৭

সুফিয়া বলেছেন: অনেক বড় কমপ্লিমেন্ট দিলেন। জানিনা এটা ধারণ করার ক্ষমতাও আমার আছে কি না। তবে আপনার শুভ কামনা যে আমার পাওনা হয়ে গেছে সে ব্যাপারটা নিশ্চিত।

ধন্যবাদ। অনেক অনেক ভালো থাকবেন।

১২| ২৭ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ২:৩০

মায়াবী ছায়া বলেছেন: কবিতায় ভালো লাগা ।।

২৭ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ২:৩৭

সুফিয়া বলেছেন: আপনাদের ভালো লাগা দেখে আমারও ভালো লাগছে। ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.