![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পৃথিবী আমাকে শূণ্যতায় বাঁধতে পারেনা অস্তিত্বে মাকে আগলে রেখেছি বলে।
সকল বাণিজ্যিক ব্যাংক ও বড় বড় প্রতিষ্ঠানে‘শিশু দিবা যত্ন কেন্দ্র’ খোলা বাধ্যতামূলক করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্ণর।
সব বাণিজ্যিক ব্যাংক ও বড় প্রতিষ্ঠানে ‘শিশু দিবা-যত্ন কেন্দ্র’ খোলা বাধ্যতামূলক করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। গভর্নর ড. আতিউর রহমান সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেন, শুধু একটি প্রজ্ঞাপন নয়, বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহী ও ব্যবস্থাপকদের নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দিয়ে তা নিশ্চিত করতে হবে। গতকাল আরও বড় পরিসরে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে ‘শিশু দিবা-যত্ন কেন্দ্র’-এর উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আবুল কাশেম, নাজনীন সুলতানা, নির্বাহী পরিচালক এসএম মনিরুজ্জামান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
গভর্ণর আতিউর রহমান বলেন, শিক্ষাক্ষেত্রে একটি বিপ্লব ঘটে গেছে। উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা বেশি সংখ্যায় শিক্ষা গ্রহণ করছে। এবং সম্মান পর্যায়েও তাদের অনুপাত প্রায় সমান। তাই কর্মক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণ বাড়ছে। আর ব্যাংকিংখাত কর্মসংস্থানের একটি বড় খাত। একই সঙ্গে এটি খুব সংবেদনশীল। নারীদের কাজে মনোযোগী করতে হলে তার শিশুর যত্ন আবশ্যক। এ জন্য প্রত্যেক ব্যাংকে এ ধরনের কেন্দ্র স্থাপনের নির্দেশ দেন গভর্নর। যত্ন কেন্দ্রটিতে আরও আধুনিক শিক্ষা উপকরণ সংযোজন এবং এ কেন্দ্রে যে সব কর্মকর্তা কাজ করবে তাদের সুযোগ-সুবিধার বিষয়ে আরও কোন প্রস্তাবনা থাকলে তাও দেয়ার আহ্বান জানান তিনি।
তিনি বলেন, সামাজিক দায়বদ্ধতার আরেকটি অংশ হিসেবে আমরা ডে-কেয়ার সেন্টার স্থাপন করেছি। এটাকে আমরা আধুনিক ও বিশ্বমানের করার জন্য চেষ্টা করছি। খুব দ্রুত এটা সারা বিশ্বে মডেল কেয়ার হিসেবে পরিচিতি লাভ করবে বলে আশা প্রকাশ করেন গভর্নর।
জানা গেছে, বাংলাদেশ ব্যাংকে কর্মরত মহিলা কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং যেসব পুরুষ কর্মকর্তা-কর্মচারীর স্ত্রী চাকরিতে আছেন, তাদের শিশু সন্তানকে অফিস সময়ে পরিচর্যা দেয়ার লক্ষ্যে ২০০৬ সালের ১লা আগস্ট কেন্দ্রীয় ব্যাংক শিশু দিবা-যত্ন কেন্দ্র চালু করা হয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের ১ম সংলগ্নী ভবনে এ কেন্দ্রটি অবস্থিত। শুরু থেকে ‘সেবা নারী ও শিশু কল্যাণ’ নামক একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তির মাধ্যমে এটি পরিচালনা করা হতো। সেখান থেকে সেবা কেন্দ্রটি এখন পুরোপুরিভাবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আওতায় এলো। এ কেন্দ্রে ৬ মাস থেকে সর্বোচ্চ ৮ বছর বয়সী শিশুকে অফিস সময়ে লালন-পালন ও পরিচর্যা করা হয়। ১ জন তত্ত্বাবধায়ক, ৩ জন পরিচর্যাকারী, ৬ জন আয়া এখানে কর্মরত রয়েছে। এতে সকালের নাস্তা, দুপুরের খাবার, বিকালের নাস্তা পরিবেশন করা হয়। এ কেন্দ্রে খাবার ও অন্যান্য ব্যবস্থাপনা বাবদ প্রত্যেক শিশুর জন্য প্রতি মাসে ৫ হাজার টাকা ব্যয় হয়। যার ৩৫ শতাংশ শিশুর অভিভাবক, বাকি অংশ বাংলাদেশ ব্যাংক বহন করে।
সূত্র ঃ
দৈনিক মানবজমিন: ৩০/০৯/২০১৩
মাননীয় গভর্ণরের এই উদ্যোগকে আমরা স্বাগত জানাই। পাশপাশি আমরা নিশ্চিত হতে চাই যে, তার এই উদ্যোগ বাস্তবায়নে এগিয়ে আসবে বাণিজ্যিক ব্যাংকসমূহ ও বড় বড় আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্ণধারগণ।
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৫৪
সুফিয়া বলেছেন: মাতৃত্বকালীন ছুটি ছয় মাস করার ঘোষণা অনেক আগেই দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কিন্তু এখনও পুরোপুরি বাস্তবায়িত হয়েছে কি-না এ ব্যাপারে সন্দেহ আছে। কথাটা বললাম এ কারণে যে কয়েকমাস আগে আমার ব্যাংকে এ সংক্রান্ত অগ্রগতি জানতে চেয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক চিঠি দিয়েছিল বলে আমি জানি। সম্ভবত তখন থেকে কার্যকরী হলেও হতে পারে নির্দেশটি।
ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন।
২| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:৩৪
সাদা রং- বলেছেন: খুব ভালো উদ্যেগ।
০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:১০
সুফিয়া বলেছেন: স্বাগত জানাই গভর্ণর সাহেবের এই উদ্যোগকেসাথে সাথে বাস্তবায়নের দাবীও জানাচ্ছি সংশ্লিষ্টদের।
ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:২৩
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: খুব ভাল সিদ্ধান্ত, আর সব প্রতিষ্ঠানে মাতৃত্ত্বকালীন ছুটি ৬ মাস করা জরুরী...