![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পৃথিবী আমাকে শূণ্যতায় বাঁধতে পারেনা অস্তিত্বে মাকে আগলে রেখেছি বলে।
আমরা, বাংলাদেশের আমজনতা যে অরাজকতা ও অনৈতিকতার রাম রাজত্বে বাস করছি তার সর্বশেষ নজির হলো গত অক্টোবর তারিখে সারাদেশে ওষুধ বিক্রেতাদের ধর্মঘট পালন। না, আমি এখানে তাদের ধর্মঘট পালনে দোষারূপ করছি না। ন্যায্য দাবী-দাওয়া থাকলে তা আদায়ে ধর্মঘট পালন করার অধিকার সবার আছে। কিন্তু ওষুধ বিক্রেতারা যে কারণে ধর্মঘট পালন করে মানুষকে চরম ভোগান্তির মুখে ঠেলে দিয়েছিল তা আমাদের সকলের জানা। এর আগে ভেজাল বিরোধী অভিযানে ধরা পড়ে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রির বিষয়টি। জরিমানাও করা হয় কোন কোন ফার্মেসির মালিককে। এতেই আঁতে ঘা যায় তাদের। দাবী তোলা হয় এই অভিযান বন্ধের এবং পাল করা হয় এক দিনের ধর্মঘট। মামার বাড়ির আবদার বোধহয় একেই বলে। অন্যায়কারী অন্যায় করার পর ধরা পড়ে জোড় গলায় দাবী তোলে তার এই অন্যায়কে বিচারের মুখোমুখি না করার। সত্যি সেলুকাস !
আমি মনে করি জেনেশুনে মেয়াদোত্তীর্ণ ও ভেজাল ওষুধ বিক্রি করা শুধু অন্যায় নয়, রীতিমতো দন্ডনীয় অপরাধ। জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে মানুষ ওষুধ সেবন করে সুস্থভাবে বেঁচে থাকার আশায়। কিন্তু কিছু মুনাফাখোর ও অতিলোভী ওষুধ বিক্রেতার লোভের শিকার হয়ে ভেজাল ওষুধ খেয়ে যখন সেই মানুষটি মৃত্যুর দিকে আরও একধাপ এগিয়ে যায় তখন সেই ওষুধ ব্যবসায়ীর কি শাস্তি হওয়া উচিত তা আমার জানা নেই। নিশ্চয়ই ভেজাল বিরোধী অভিযানকারীরা সেদিন আইন সম্মতভাবেই ভেজাল ওষুধ বিক্রেতাদের শাস্তি দিয়েছিলেন। কিন্তু এরপর আমরা কি দেখলাম ? চোরের মায়ের বড় গলার মতো তারা ধর্মঘট পালন করে জানান দিল তারা যা-ই করুক, তাদের অপরাধকে এভাবে জনসমক্ষে তুলে ধরা যাবে না বা শাস্তির আওতায় আনা যাবে না। কারণ, একাগুলো করতে গেলে প্রথমেই যেটা করতে হবে সেটা হলো এই অভিযান অব্যাহত রাখতে হবে। কিন্তু ভেজাল ও মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রেতাদের দাবীই তো এটা যে, এই অভিযান বন্ধু করতে হবে। তার মানে এই দাঁড়াল যে, যেসব জায়গায় এখনও অভিযান চালানো হয়নি তারা একই গুরুর শীষ্য অর্থাৎ তাদের এখানেও রযেছে ভেজাল ওষুধ।
এর ফল বলি আর প্রমাণ বলি, গতকালই হাতে হাতে পেলাম আমরা। টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে মেয়াদোত্তীর্ণ ইনজেকশান পুশ করার কারণে চার চারটি সদ্যজাত শিশু মৃত্যুবরণ করল। এ নিয়ে তদন্ত চলছে। এখন পর্যন্ত পাওয়া প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী ঘটনা এটাই। তদন্তশেষে যদি এই রিপোর্টই সত্য প্রমাণিত হয়, তাহলে প্রশ্ন থেকে যায়। জীবনের ধুকপুকানি নিয়ে যে মানুষটা বেঁচে থাকার আর্তি নিয়ে সরল বিশ্বাসে ওষুধ সেবন করেন তার নির্ভরতার জায়গাটা কতটা পোক্ত ? কে দিবে এর জবাব ?
স্বান্তনার কথা একটাই। ওষুধ বিক্রেতারা ভেজাল বিরোধী অভিযানের বিরুদ্ধে সারাদেশে ধর্মঘট পালন করা সত্ত্বেও স্বাস্থ্যমন্ত্রী আসম রুহুল হক বলেছেন যে, এই ভেজাল বিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকবে । গতকাল টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের ঘটনার পর সচেতন প্রতিটি মানুষের বুকের ভিতর থেকে একটিই ক্ষুব্ধ উচ্চারণ বেরিয়ে আসছে। সেটা হলো ভেজাল ও মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রেতাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক এবং এই অভিযান অব্যাহত থাকুক।
আমরা যারা সামুতে নিয়মিত বিচরণ করছি, আসুন সবাই মিলে এই দাবীর শাস্তি একাত্ম হই যেন
-- ভেজাল ও মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধের কারণে আর একটি প্রাণও পৃথিবী ছেড়ে চলে না যায়।
--এখনই যেন বন্ধ হয় ভেজাল ও মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রয়।
--টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে চার শিশুর মৃত্যুর জন্য দায়ী ব্যক্তি এবং সকল ভেজাল ও মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রেতাদের যেন উপযুক্ত শাস্তি হয়।
০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৩
সুফিয়া বলেছেন: আমাদের কষ্টের জায়গাটাতে সদম্ভে পা ফেলে অসাধু ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যভসা চালিয়ে যাবে এমনটা হতে পারনা। হতে দেওয়া উচিত নয়।
ধন্যবাদ আপনাকে।
©somewhere in net ltd.
১|
০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:৪০
জামিনুর রহমান বলেছেন: খুব কষ্টো লাগে । ভাবি দেশে হচ্ছেটা কি।