![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পৃথিবী আমাকে শূণ্যতায় বাঁধতে পারেনা অস্তিত্বে মাকে আগলে রেখেছি বলে।
স্বাধীনতার মাসের শেষ লগ্নে গত ২৮-০৩-২০১৪ তারিখে আমার সুযোগ হয়েছে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধকালীন সময়ে ইতিহাসের ইতিহাস রচনা করেছিল যে স্থান সেই মুজিবনগর স্মৃতিসৌধ দেখার। আমার বহুদিনের সুপ্ত আকাংখার বাস্তবায়নের পথে আমি যতই অগ্রসর হচ্ছিলাম ততই যেন একাত্তরের গর্বিত ইতিহাস আমাকে কাছে ডাকছিল। অবশেষে হাজির হলাম আমি সেই ইতিহাসের পাদপ্রদীপতলে। এ যেন আমার চেতনার বিস্তৃত আঙিনায় নতুন করে খুঁজে পাওয়া সেই সূর্য সন্তানদের, যারা একাত্তরে আমাদের স্বাধীনতা অর্জনে অনন্য ভুমিকা রেখে গেছেন। কিন্তু আমার সেই দেখা শুধু দেখা ছিলনা। বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে মুজিবনগর সরকারের স্মৃতি রক্ষার্থে তৈরী বিভিন্ন স্থাপনা ও ঐতিহাসিক আম্রকানন দেখে বিমোহিত না হয়ে পারলাম না আমি। আমাদের একাত্তরের ইতিহাস যেন এখানে জীবন্ত প্রসবনে বহমান। আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য যেভাবে একাত্তরের প্রাণপ্রতীক মুজিবনগর সরকারকে এখানে জীবন্ত করে তোলা হয়েছে তার সংক্ষিপ্ত ইতিহাস এখানে তুলে ধরা হয়েছে।
১)লাল মঞ্চ (স্বাধীনতার রক্তাক্ত সূর্য) -
১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকারের শপথ গ্রহণের স্থানে ২৪ ফুট দীর্ঘ ও ১৪ ফুট প্রশস্ত সিরামিক ইটের তৈরী আয়তকার এই লাল মঞ্চটিকে স্থান দেয়া হয়েছে মুজিবনগর স্মৃতিসৌধের মূল ভিতের ঠিক মাঝখানে।এখানে দাঁড়িয়ে অধ্যাপক ইউছুপ আলী স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করেছিলেন।
২) ২৩টি স্তম্ভ --
স্বাধীনতার রক্তাক্ত সূর্য হতে বিচ্ছুরিত ২৩টি রশ্মির শেষাংশ দ্বারা ২৩টি স্তম্ভ বুঝানো হয়েছে, যা ১৯৪৮ থেকে ১৯৭১ পর্যন্ত পাকিস্তানী শোষণ ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে বাঙালীর স্বাধীকার আন্দোলন ও স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রতীক। দেয়ালগুলোর প্রথমটির উচ্চতা ৯ ফুট ৯ ইঞ্চি এবং দৈর্ঘ্য ২০ ফুট। পরবর্তী প্রতিটি দেয়াল ক্রমান্বয়ে দৈর্ঘ্যে ১ ফুট ও উচ্চতায় ৯ ইঞ্চি করে বেড়েছে। যার অর্থ হলেঅ বাংলাদেশ তার স্বাধীনতার জন্য ৯ মাস ধরে যুদ্ধ করেছে। এভাবে বাড়তে বাড়তে শেষ দেয়াÍে উচ্চতা ২৫ ফুট ৬ ইঞ্চি। প্রতিটি দেয়ালের গায়ে ছোট ছোট অসংখ্য ছিদ্র আছে যেগুলোকে পাকিস্তানী শাসকগোষ্ঠীর অত্যাচারের চিহ্ন হিসেবে দেখানো হয়েছে।
৩) ১ লক্ষ বুদ্ধিজীবির খুলি -
স্মৃতিসৌধের ভূ-তল থেকে ৩ ফুট উচ্চতার বেদীতে অসংখ্য গোলাকার বৃত্ত দ্বারা ১ লক্ষ বুদ্ধিজীবির খুলি বুঝানো হয়েছে।
৪) ৩০ লক্ষ শহীদ -
স্মৃতিসৌধের ভূ-তল থেকে ৩ ফুট উচ্চতার বেদীতে অসংখ্য পাথর দ্বারা ৩০ লক্ষ শহীদ ও মা-বোনের সম্মানের প্রতি ঐতিহাসিক দায়বদ্ধতা ও স্মৃতিচারণা প্রকাশ করা হয়েছে। পাথরগুলোর মাঝখানে ১৯টি রেখা দ্বারা তৎকালীন পূর্ব বাংলার ১৯টি জেলাকে বুঝানো হয়েছে।
৫) ১১টি সিঁড়ি -
স্মৃতিসৌধের বেদীতে আরোহণের জন্য ১১টি সিঁড়ি রয়েছে, যা দ্বারা মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে সমগ্র বাংলাদেশকে ১১টি সেক্টরে ভাগ করাকে বুঝানো হয়েছে।
৬) বঙ্গোপসাগর -
স্মৃতিসৌধের উত্তর পাশের আমবাগান ঘেঁষা যে স্থানটি মোজাইক করা আছে তার দ্বারা বঙ্গোপসাগরকে বুঝানো হয়েছে। যদিও বঙ্গোপসাগর বাংলাদেশের দক্ষিণে তবুও শপথ গ্রহণ মঞ্চটির সাথে স্মৃতিসৌধের সামঞ্জস্য রক্ষার জন্য এটিকে উত্তরে স্থান দেয়া হয়েছে।
৭) ২১শে ফেব্রুয়ারীর প্রতীক -
স্মৃতিসৌধের প্রধান ফটক থেকে যে রাস্তাটি মূল স্মৃতিসৌধের রক্তের সাগর নামক ঢালকে স্পর্শ করেছে সেই রাস্তাটিকে ভাষা আন্দোলনের বা ২১শে ফেব্র“য়ারীর প্রতীকি অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। এই রাস্তায় সকল প্রকার যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ।
৮) রক্তের সাগর -
পশ্চিম পাশে স্মৃতিসৌধের প্রথম দেয়ালের পাশ দিয়ে শহীদদের রক্তপ্রবাহ বয়ে গেছে, যাকে রক্তাক্ত সাগর বলা হয়।
৯) সাড়ে সাত কোটি ঐক্যবদ্ধ জনতা -
লাল মঞ্চ থেকে যে ২৩টি দেয়াল সৃষ্টি হয়েছে সেগুলোর ফাঁকে অসংখ্য নুড়ি পাথর মোজাইক করা আছে। এই স্থানটা সাড়ে সাত কোটি ঐক্যবদ্ধ জনতার প্রতীক।
৩১ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ৯:৩২
সুফিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকেও। ভালো থাকবেন।
২| ৩১ শে মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০৪
বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন: ইতিহাস কথা বলে...........
প্রিয়তে রাখলাম অসাধারণ এ পোস্টটি।
৩১ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ৯:৩৪
সুফিয়া বলেছেন: আমার খুব ভালো লাগছে দেখে যে আমার পোস্টটি আপনার প্রিয় এর তালিকায় স্থান পেয়েছে।
ধন্যবাদ আপনাকে।
৩| ৩১ শে মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১১
বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: মুজিব নগর স্মৃতিসৌধের ছবি দেখেছি বহুবার কিন্তু আপনার মতো করে কেউ এর পুরো তাৎপর্য কখনো তুলে ধরে নাই। ১৯৪৮ থেকে ১৯৭১ পর্যন্ত বাংলার সব কিছুই ধরা দিয়েছে এই স্মৃতিসৌধে। দারুণ ভাবে পোস্টটি সাজিয়েছেন। অনেক ধন্যবাদ সুফিয়া। অনেক ভালো লাগলো। অনেক কিছু জানলাম।
৩১ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ৯:৩৫
সুফিয়া বলেছেন: চেষ্টা করেছি কিছু তথ্য দেয়ার। আপনার ভালো লেগেছে দেখে আমারও ভালো লাগল।
ধন্যবাদ আপনাকে।
৪| ৩১ শে মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩৬
অপু তানভীর বলেছেন: মুজিবনগর আমার বাড়ির পাশে ! আমি গিয়েছি বেশ কয়েকবার ! চমৎকার একটা জায়গা ! সেখানে গেলে বুকের মাঝে কেমন একটা অদ্ভুদ অনুভুতি হয় ! ভাল থাকবেন !
এটা নিয়ে আমারও একটা ব্লগ আছে ! চাইলে দেখতে পারেন ! Click This Link
৩১ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ৯:৪০
সুফিয়া বলেছেন: আপনার পোস্টটাও চমৎকার হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে।
৫| ৩১ শে মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫৭
বটবৃক্ষ~ বলেছেন:
আগেও এই নিয়ে পোস্ট হয়েছে!
নাইস পোস্ট!
৩১ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ৯:৩৭
সুফিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। আমার মনে হয় এসব বিষয়ে পোস্ট যত বেশী হবে ততই আমরা ইতিহাসমুখী হতে শিখব।
ধন্যবাদ আপনাকে।
৬| ৩১ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ৯:৪৫
ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
সুন্দর পোস্ট ||
৩১ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ৯:৫৩
সুফিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।
৭| ৩১ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:১১
এহসান সাবির বলেছেন: আমি গিয়েছিলাম, কিন্তু ছবি নাই, তখ ক্যামেরা ছিল না।
++++++
০১ লা এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৯:১৬
সুফিয়া বলেছেন: ছবি তুলতে পারলে ভালো হতো। ঐতিহাসিক স্মৃতি হয়ে থাকত আপনার ছবিটা।
ধন্যবাদ।
৮| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৪ ভোর ৪:১৯
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: ভালো লাগলো। যাওয়ার সুযোগ হয়নি। লেখা ও ছবিতে দেখা হয়ে গেল।আরও বেশী ভালো লেগেছে কোন স্থাপনার তাৎপর্য কী তা গুছিয়ে লেখবার জন্যে । শেয়ারের জন্যে ধন্যবাদ। ++++
০১ লা এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৯:২২
সুফিয়া বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
ওখানে যা যা দেখে এসেছি তার সব ছবি কিন্তু দিতে পারিনি। এই ছবিগুলোর বাইরেও মূল কমপ্লেক্সে রয়েছে ৭ মার্চ ভাষণরত বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য, পাকিস্তানী হানাদারদের জ্বালাও-পোড়াও ও নির্যাতনের ভাস্কর্য, আমাদের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের যুদ্ধরত ভাস্কর্য, মুবিজনগর সরকারের শপথ গ্রহণের ভাস্কর্য এবং সবশেষে আত্মসমর্পণের ভাস্কর্য। এসবগুলোকে জড়িয়ে আছে আমাদের জাতীয় ফুল চারটি শাপলার কলি। সব মিলিয়ে ওখানে একাত্তর জীবন্ত হয়ে আছে।
৯| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৯:৩৯
ইখতামিন বলেছেন: চমৎকার পোস্ট
০১ লা এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১০:৩৯
সুফিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।
©somewhere in net ltd.
১|
৩১ শে মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৫:১৫
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: মুজিবনগর সরকার গঠনের ইতিহাস পড়ে এবং সংশ্লিষ্ট ছবিগুলো দেখে খুব ভালো লাগলো।
ধন্যবাদ, সুফিয়া।