নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

গ্রাম-প্রকৃতি-সবুজ-সারল্য যেখানে মিলেমিশে একাকার, সেখানে ফিরে যেতে মন চায় বার বার।

গ্রাম-প্রকৃতি-সবুজ-সারল্য যেখানে মিলেমিশে একাকার, সেখানে ফিরে যেতে মন চায় বার বার।

সুফিয়া

পৃথিবী আমাকে শূণ্যতায় বাঁধতে পারেনা অস্তিত্বে মাকে আগলে রেখেছি বলে।

সুফিয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

পৃথিবীর সবচেয়ে বড় মাটির তৈরী মসজিদ।

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৩:০০





আফ্রিকার উত্তরাঞ্চলে ডিজেনি (Djenne) শহরে মসজিদটির অবস্থান। নাম গ্র্যান্ড মস্ক অব ডিজেনি। এটি পৃথিবীতে মাটির তৈরী সবচেয়ে বড় মসজিদ।



মসজিদটি প্রথম কবে নির্মাণ করা হয়েছিল সে সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানা যায়নি। তবে ১২০০ শতাব্দী থেকে ১৩০০ শতাব্দীর মধ্যবর্তী মসজিদটি নির্মাণের পক্ষে অধিকাংশ মতের সমর্থন পাওয়া যায়। জানা যায় যে, সুলতান কুনবুরু (Kunburu) ধর্মান্তরিত হয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার পর তার প্রাসাদটি ভেঙ্গে ফেলে সেখানে এই মসজিদটি তৈরী করেন। মসজিদের পূর্ব দিকে নিজের বসবাসের জন্য অন্য একটি প্রাসাদ তৈরী করেন। তার পরবর্তী উত্তরাধীকারী এই মসজিদের দুটি টাওয়ার নির্মাণ করেন এবং তার উত্তরাধীকারী মসজিদটির চারপাশের দেয়াল নির্মাণ করেন।





১৮২৮ সালে ফরাসী পর্যটক রেনে কর্তৃক এই এলাকা সফরের আগ পর্যন্ত এই মসজিদটি সম্পর্কে লিখিত কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। রেনে তার সফরশেষে লিখেন, ডিজেনি শহরে মাটির তৈরী একটি মসজিদ আছে। এর দুইপাশে দুটি দর্শনীয় কম উচ্চতার টাওয়ার আছে। এরপর থেকে মাটির তৈরী এই মসজিদ সম্পর্কে মানুষের মধ্যে আগ্রহের সৃষ্টি হয়।





বানি নদীর তীরে অবস্থিতইে মসজিদটি ২৪৫ী২৪৫ ফুট আয়তনবিশিষ্ট ৩ ফুট উঁচু ফ্ল্যাটফরমের উপর তৈরী। বর্ষাকালে বানি নদীর প্লাবিত পানি থেকে মসজিদটিকে সুরক্ষা করে এই ফ্ল্যাটফরম। মসজিদের দেয়ালগুলো তাল গাছের কাঠ, যা স্থানীয়ভাবে টরল নামে পরিচিত, সেগুলো দ্বারা নকশা করা। শুধু নকশা নয়, তাল গাছের কাঠ মসজিদের দেয়ালে এমনভাবে গেঁথে দেয়া হয়েছে যাতে মাটির দেয়াল সহজে ধ্বসে না যায়।



মধ্যযুগে আফ্রিকার এই অঞ্চলে গুরুত্বপূর্ণ ইসলামী শিক্ষা বিস্তারের প্রধান কেন্দ্র ছিল এই মসজিদটি। হাজার হাজার শিক্ষার্থী তখন কুরআন শিক্ষার জন্য এই মসজিদে আসত।



প্রতি বছর স্থানীয় মুসলিম স¤প্রদায়ের উদ্যোগে মসজিদটির সংস্কার কাজ চলে। ২০০৬ সালের ২০ জানুয়ারী মসজিদের ছাদের একটি অংশ এবং ২০০৯ সালের ৫ নভেম্বর এর দক্ষিণ দিকের টাওয়ার এর একটি অংশ ধ্বসে পড়লে দি আগা খান ট্রাষ্ট কালচার নিজস্ব খরচে এটির সংস্কার করে।



১৯৮৮ সালে ইউনেস্কো এই মসজিদটিসহ এর চারপাশের ঐতিহাসিক স্থানসমূহকে বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে তালিকাভূক্ত করে।







মন্তব্য ৫৪ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (৫৪) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৩:০৬

বোকার ডায়রী বলেছেন: সুন্দর পোস্ট।

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:২০

সুফিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

২| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৩:১৫

সাদা আকাশ বলেছেন: ধন্যবাদ। নতুন একটা জিনিষ জানতে পারলাম।

শুভ কামনা আপনার জন্যে।

০৪ ঠা মে, ২০১৪ সকাল ৯:৩৯

সুফিয়া বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ। মাটির তৈরী মসজিদের কথা জানতে পেরে আমারও প্রথম অবাক লেগেছে।

৩| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৩:২২

শরৎ চৌধুরী বলেছেন: বাহ! চমৎকার পোষ্ট।

০৪ ঠা মে, ২০১৪ সকাল ৯:৩৯

সুফিয়া বলেছেন: বজ্ব, বিষয়টি সত্যিই চমৎকার এবং নতুন।

ধন্যভাদ আপনাকে।

৪| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৩:২৫

বঙ্গবাসী হাসান বলেছেন: এই লিংকে জ্বনি মসজিদ ছারাও আফ্রিকার আরো কিছু সুন্দর নিদর্শনের বিবরন পাবেন, চলুন ঘুরে আসি আফ্রিকা মহাদেশ থেকে, আরদেখি আসি অদ্ভুত , সুন্দর ও রহস্যময় কিছুজায়গা।

০৪ ঠা মে, ২০১৪ সকাল ৯:৪০

সুফিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে লিংক দেয়ার জন্য।

ভালো থাকবেন।

৫| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৩:২৯

আজীব ০০৭ বলেছেন: শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ......।

০৪ ঠা মে, ২০১৪ সকাল ৯:৪০

সুফিয়া বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ । ভালো থাকবেন।

৬| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৩

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: বাহ! সত্যিই চমৎকার পোষ্ট।

০৪ ঠা মে, ২০১৪ সকাল ৯:৪১

সুফিয়া বলেছেন: জ্বি, সত্যিই চমৎকার।

ধন্যবাদ আপনাকে।

৭| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৩

অনন্য দায়িত্বশীল আমি বলেছেন: সুন্দর পোষ্ট।

০৪ ঠা মে, ২০১৪ সকাল ৯:৪১

সুফিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। আসলে বিষয়টিই সুন্দর এবং নতুন।

৮| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৩:৪১

স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন:


সুন্দর পোষ্ট!!!

০৪ ঠা মে, ২০১৪ সকাল ৯:৪৩

সুফিয়া বলেছেন: জ্বি, সুন্দর। কারণ, বিষয়টা সুন্দর।

ধন্যবাদ আপনাকে।

৯| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৩:৪২

চুক্কা বাঙ্গী বলেছেন: কত কিছুই যে এখনও অজানা। মসজিদের ডিজাইনটাও অদ্ভুত রকমের। দেখতে অনেকটা দুর্গের মত।

০৪ ঠা মে, ২০১৪ সকাল ৯:৪৪

সুফিয়া বলেছেন: আপনার সাথে আমি একমত। মসজিদটি দেখতে অনেকটা দুর্গের মতো। আমার মনে হয় মাটি দিয়ে তৈরী বলে সুরক্ষার জন্য এমন ডিজাইন করা হয়েছে।

ধন্যবাদ আপনাকে।

১০| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৭

আমি সাদমান সাদিক বলেছেন: আগে জানতাম না , তবে আরেকটু বিস্তারিত লিখলে ভাল হত ।। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য :)

০৪ ঠা মে, ২০১৪ সকাল ৯:৪৬

সুফিয়া বলেছেন: আমিও আগে জানতাম না। বিস্তারিত লিখতে গেলে অনেক বড় হয়ে যেত। আপনি এ সম্পর্কে আরও জানতে চাইলে উইকিপিডিয়ায় গিয়ে ওর্য়াল্ড হেরিটেজ অব আফ্রিকায় খুঁজলে পেয়ে যাবেন।

ধন্যবাদ আপনাকে।

১১| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৪:১১

মদন বলেছেন: +

০৪ ঠা মে, ২০১৪ সকাল ৯:৪৭

সুফিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

১২| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৪:৫৮

ইখতামিন বলেছেন:
দারুণ পোস্ট

০৪ ঠা মে, ২০১৪ সকাল ৯:৪৮

সুফিয়া বলেছেন: আমারও দারুণ লাগছে আপনাদের এত সাড়া দেখে।

ধন্যবাদ আপনাকে।

১৩| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪১

না পারভীন বলেছেন: সুন্দর পোস্ট

০৪ ঠা মে, ২০১৪ সকাল ৯:৪৯

সুফিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ । ভালো থাকবেন।

১৪| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪৩

লিরিকস বলেছেন: সব গুলো ছবি দেখতে পারিনি আপু।
++

০৪ ঠা মে, ২০১৪ সকাল ৯:৫০

সুফিয়া বলেছেন: ছবিগুলো আমার সংগ্রহে আছে। কিন্তু আমারও অনেক খারাপ লাগছে জানেন ছবিগুলো ঠিকমতো আপলোড হয়নি বলে। একাধিকবার চেষ্টা করেছি। কিন্তু হয়নি।

ধন্যবাদ আপনাকে।

১৫| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪৮

এক্সট্রাটেরেস্ট্রিয়াল স্বর্ণা বলেছেন:
ওয়াও।

০৪ ঠা মে, ২০১৪ সকাল ৯:৫০

সুফিয়া বলেছেন: ওয়াও ! অনেকদিন পর আপনাকে পেলাম। কোথায় ছিলেন ?

ধন্যবাদ।

১৬| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫২

রিফাত ২০১০ বলেছেন: অসাধারণ পোস্ট ।

০৪ ঠা মে, ২০১৪ সকাল ৯:৫২

সুফিয়া বলেছেন: পোস্টের বিষয়বস্তুটাই অসাধারণ। মাটির তৈরী মসজিদের কথা এর আগে কখনও শুনিনি।

ধন্যবাদ আপনাকে।

১৭| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫৪

স্পেলবাইন্ডার বলেছেন: ভাল লাগল।

০৪ ঠা মে, ২০১৪ সকাল ৯:৫৩

সুফিয়া বলেছেন: আমারও ভালো লাগল।

ধন্যবাদ আপনাকে।

১৮| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৮:২৫

এনামুল রেজা বলেছেন: দারুণ ব্যাপার দেখি!

০৪ ঠা মে, ২০১৪ সকাল ৯:৫৪

সুফিয়া বলেছেন: সত্যিই ব্যাপারটা দারুণ !

ধন্যবাদ আপনাকে।

১৯| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৯:২১

মোঃ নুরুল আমিন বলেছেন: সুন্দর

০৪ ঠা মে, ২০১৪ সকাল ১১:৩১

সুফিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

ভালো থাকবেন।

২০| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:০৬

আমি কাল্পনিক সজল বলেছেন: জেনে ভালো লাগলো। :)

০৪ ঠা মে, ২০১৪ সকাল ১১:৩২

সুফিয়া বলেছেন: আপনার জানার পেছনে সামান্য ভূমিকা রাখতে পেরে আমারও ভালো লাগছে।

ধন্যবাদ আপনাকে।

২১| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:৩৩

এহসান সাবির বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ্‌। দারুণ ব্যাপার।

০৪ ঠা মে, ২০১৪ সকাল ১১:৩৩

সুফিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

২২| ০১ লা মে, ২০১৪ রাত ১:৩৬

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: দুর্গসদৃশ মসজিদ। দারুণ লাগল দেখতে।

০৪ ঠা মে, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৯

সুফিয়া বলেছেন: আমার কাছেও খুব সুন্দর লেগেছে মসজিদটি। আমাদের দেশে প্রচলিত মসজিদের গতানুগতিক ডিজাইনের বাইরে এর ডিজাইন।

ধন্যবাদ আপনাকে।

২৩| ০১ লা মে, ২০১৪ রাত ৩:৪০

জল কনা বলেছেন: সুন্দর আর তথ্যবহুল পোস্ট! !:#P

০৪ ঠা মে, ২০১৪ দুপুর ১২:৫০

সুফিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

২৪| ০১ লা মে, ২০১৪ ভোর ৬:০৬

মেঘপিয়ন বলেছেন: এই প্রথম জানার ও দেখার সৌভাগ্য হলো আপনার মাধ্যমে! !!

+++++

০৪ ঠা মে, ২০১৪ দুপুর ১২:৫১

সুফিয়া বলেছেন: আপনার এমন সৌভাগ্যের পেছনে আমার একটু ভূমিকা থাকায় নিজকে বেশ ভালো লাগছে।

ধন্যবাদ আপনাকে।

২৫| ০১ লা মে, ২০১৪ সকাল ৯:০০

হাসান বিন নজরুল বলেছেন: আমাদের সোনালী অতিত :)

০৪ ঠা মে, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৫

সুফিয়া বলেছেন: অবশ্যই এটা আমাদের গর্বিত সোনালী অতীত এবং একই সাথে প্রাচীন স্থাপত্যকলা ও প্রত্নতাত্তিক নিদর্শনের পরিচয়বাহী।

ধন্যবাদ।

২৬| ০১ লা মে, ২০১৪ দুপুর ২:২৮

আমি তুমি আমরা বলেছেন: আগে একবার পড়েছিলাম মসজিদটি সম্পর্কে।আজ বিস্তারিত জেনে ভাল লাগল :)

০৪ ঠা মে, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৬

সুফিয়া বলেছেন: আমারও ভালো লাগছে আপনার এই জানার পেছনে একটুখানি ভূমিকা রাখতে পেরে।

ধন্যবাদ আপনাকে।

২৭| ১০ ই মে, ২০১৪ রাত ১২:১১

কসমিক- ট্রাভেলার বলেছেন:








++++++++++++++




১১ ই মে, ২০১৪ সকাল ৯:৫১

সুফিয়া বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.