![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পৃথিবী আমাকে শূণ্যতায় বাঁধতে পারেনা অস্তিত্বে মাকে আগলে রেখেছি বলে।
এদেশের কাঁদামাটি গায়ে মেখে লাঙ্গলের ফলায় নিজের ভাগ্য খুঁজে ফিরে যে কৃষক, ভাগ্যের কাছে সবচেয়ে বঞ্চিত সে।
লাঙ্গলের পেছনে কৃষক-গ্রাম বাংলার চিরচেনা এই দৃশ্য আজ হারিয়ে গেছে যান্ত্রিক সভ্যতার কাছে।
নিজের বুকের সবটুকু ওম জড়িয়ে আশার আলো হাতে মাঠে শস্য বুনে কৃষক। তার ভাগ্যেল সবটুকু জড়িয়ে আছে এর সাথে।
ক্ষেতের ফসল ঘরে তোলার আনন্দে মেতে ভুলে যায় সে তার না পাওয়ার সবটুকু বেদনা। ওর সেই হাসি মুখের মূল্য দেয় সাধ্য কার ?
কিন্তু সে যে তার ন্যায্য পাওনা থেকে কিভাবে বঞ্চিত হচ্ছে তা সে নিজেও জানেনা। এখানেও সে স্বান্তনা খুঁজে ভাগ্যের দোহাই দিয়ে।
নিজের সবজি ক্ষেতে দাঁড়িয়ে যে হাসি হাসছে এই কৃষক, সেটা যে তার জন্য কতবড় গর্বের তা সে নিজেও জানেনা। একই সবজি আমরাও খাই, কিন্তু তার সাথে কি খাই সেটা না বললেও চলে। এখানেই এই কৃষকের গর্ব।
গ্রামীণ মানুষের জিবীকা নির্বাহের এটি আর একটি উৎস, যার সাথে পরিচয় হবার সুযোগ বর্ষাকাল ছাড়া হয়না। আমাদের দেশে এটাকে বলা হয় উইনা। বাঁশ দিয়ে তৈরী করতেও দেখেছি। মাছ ধরার চির পরিচিত যন্ত্র।
নদী-নালা, খাল-বিল বিধৌত বাংলাদেশের মানুষের জীবিকা নির্বাহের আর একটি প্রধান উৎস মাছ ধরা। শুধু গ্রামীণ জনগোষ্ঠীই নয়, মাছ ধরার মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করে এদেশের জনগণের একটা উল্লেখযোগ্য অংশ। মাছ ধরার এই যন্ত্রটার নাম সম্ভবত কুচ।
এদেশের হাওড়-বাওড়, খাল-বিলে এক সময় যে পরিমাণ মাছ পাওয়া যেত আজ আর তেমন মিলেনা। এমনকি ঐ সমস্ত হাওড়-বাওড় এর অস্তিত্বও আজ বিলীন হয়ে গেছে।
কিন্তু ধরে আনা টাটকা মাছের স্বাদ আজও যেন হাতে লেগে আছে। মনে পড়ে যাচ্ছে মায়ের হাতে রান্না করা রং-বেরং এর সেই মাছের তরকারীর কথা।
ও কি গাড়িয়াল ভাই---। গানটির আসল গাড়িয়াল ভাইয়ের দেখা আজকাল আর মিলেনা। এই গানের মাধ্যমেই বেঁচে আছে ওরা।
মহিশের গাড়ি ছিল এক সময় গাড়িয়াল ভাইদের জীবিকা নির্বাহের প্রধান উপায়।
মনে হতে পারে গাড়িয়াল ভাই তার গাড়িসহ পানিতে ডুবে যাচ্ছে। কিন্তু তা ঠিক নয়। এটা তার নদী পারাপারের দৃশ্য।
বাঁশ এর তৈরী দৃষ্টিনন্দন বহু সামগ্রী আমরা আমাদের চারপাশে দেখছি। সেই সামগ্রী তৈরীতে ব্যস্ত গ্রামীণ জনশক্তি।
নৌকা চেনেনা এমন মানুষ এই বাংলাদেশে বোধহয় খুঁজে পাওয়া কষ্টকর হবে। নৌকায় চড়ার অভিজ্ঞতা না থাকলেও ছবিতে দেখেছেন অনেকেই। সেই নৌকা তৈরী হচ্ছে অতি সাধারণ আয়োজনে।
এরপর দ্বিতীয় ধাপে সেই নৌকা জীবিকা উপার্জনের হাতিয়ার হিসেবে নদীর ঘাটে। পারাপারের অপেক্ষায় মাঝি।
মাঝি বাইয়া যাও রে ------। আর কিছু কি বলার আছে ?
মাছ ধরা যাদের জীবিকার প্রধান উপায়, একটি জাল তাদের কাছে মহামূল্যবান সম্পদ। সেই জাল ছিড়ে যাওয়া মানে তার ভাগ্য লন্ডভন্ড হয়ে যাওয়া। তাই তো শতচ্ছিন্ন জাল মেরামত করে নিজের ভাগ্যকে
এক জায়গায় দাড় করানোর চেষ্টা করছে এই জেলে।
যান্ত্রিক সভ্যতার কাছে আমরা যা যা হারিয়েছি তার মধ্যে ঢেকি একটি। এক সময় গ্রাম এলাকায় বাড়ি বাড়ি এই ঢেকির অস্তিত্ব ছিল। দরিদ্র পরিবারের বউরা জোতদার কিংবা মহাজনদের বাড়িতে এই ঢেকিতে ধান ভানার মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করত। আমাদের বাড়ির ঢেকিটার কথা মনে পড়ছে। সখের বশে অনেকবার ঢেকিতে পা রেখেছি অন্যদের সাথে।
বাংলাদেশের হস্তশিল্প সমূহের মধ্যে এই শিল্পটি এখনও তার অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে সক্ষম হয়েছে। আমরা সখের বশে মাটির তৈরী অনেক দৃষ্টিনন্দন পণ্যসামগ্রী কিনে এনে আমাদের ড্রয়িং রোমের শোভা বর্ধন করে থাকি। সেই সামগ্রী তৈরী করতে ব্যস্ত একজন কারিগর।
আজকাল এদের অস্তিত্ব সচরাচর দেখা যায়না। আমরা ছোটকালে দেখেছি গ্রামে কামারবাড়ি কুমারবাড়ি বলে বাড়ি থাকত। িগয়েছিও সেই সব বাড়িতে অনেকবার। তখন দেখেছি কামাররা কিভাবে দা-কাচি-খুন্তি তৈরী করে।
আজকাল গ্রামের বাড়িতে এদের দেখা না েগলেও বাজারে বাজরে দেখা যায়। আমি কাওরান বাজারের ভিতর দিয়ে আসার সময় প্রায়ই এই দৃশ্য দেখি। তবে এখনকার আয়োজন অনেকটা উন্নত হয়েছে।
যে কোন শহরের সর্বত্র এই দৃশ্য আজকাল আর কারও কাছে অপরিচিত নয়। নগর সভ্যতাকে কেন্দ্র করে এখানে প্রান্তিক মানুষের জীবিকা নির্বাহের উপায় তৈরী হয়েছে ঠিকই।
কিন্তু এইসব শ্রমিকরা প্রায়ই তাদের ন্যায্য মজুরী পাচ্ছেনা বলে অভিযোগ শুনা যায়।
গ্রামের তুলনায় শহরে এই রিকশার অস্তিস্ত বেশী। কোন কোন সময় রাস্তায় বেরিয়ে রিকশা না পেয়ে আমরা যেমন বিরক্ত হই তেমনি রিকশার কারণে আজকাল অনেক রাস্তায় পথচলা দায় বলেও আমরা বিরক্ত বোধ করি।
সাধারণত রেলষ্টেশন বা বাস স্টেশনে যাত্রির আশায় এভাবেই অপেক্ষা করতে দেখা যায় রিকশাওয়ালাকে।
আমাদের চারপাশের অতি পরিচিত দৃশ্য।
শামুক সংগ্রহ করে এক শ্রেণীর মানুষ আজও জীবিকা নির্বাহ করে আমাদের দেশে।
লাকড়ির চুলায় মায়ের হাতের রান্নার মজাই আলাদা। ছবিটা দেখে মনে পড়ে যাচ্ছে সেই দিনগুলোর কথা।
বাইরে বেরিয়ে বন্ধু-বান্ধবের সাথে সময় কাটাতে আমাদের সব সময়ের সংগী মুখরোচক বাদাম। কে না পছন্দ করে ? অথচ বাদামওয়ালা কি চায় তা কি আমরা কখনও ভেবে দেখেছি ?
এদের রক্ত পানি করা টাকায় মোটাতাজা হয় মালিকের ব্যায়ক-ব্যালেন্স আর গতিশীল হয় দেশের অর্থনীতির চাকা। আর এদেরকেই নিজের ন্যায্য পাওনা আদায় করার জন্য আন্দোলন করতে হয়। যেমন করছে তোবা গার্মেন্টস এর শ্রমিকরা।
এরা একটা আলাদা সম্প্রদায়, যারা শুকর পালন করে।
শিশুশ্রম সব দেশেই নিষিদ্ধ। কিন্তু বন্ধ কি আছে কোথাও ? দারিদ্র যেখানে নখর থাবা বিস্তার করে আছে সেখানে কিভাবে বন্ধ হবে শিশু শ্রম ?
।শ্রম আইন অনুসারে শিশুদেরকে বিপদ্দজনক কাজে লাগানো যাবেনা। ইট ভাঙার কাজ কতটা বিপদ্দজনক সেটা আমরা সকলেই জানি। এরপর--
ধন্যবাদ সবাইকে।
০৫ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:১৬
সুফিয়া বলেছেন: ছবিগুলো সংগ্রহ করার জন্য অনেকগুলো ওয়েবসাইট ঘুরতে হয়েছে। এরপরও সংগৃহীত সবগুলো ছবি দিতে পারিনি। সামু সাপোর্ট দিচ্ছিল না।
ধন্যভাদ আপনাকে।
২| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:৪৭
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: ও আমার সোনার দেশ
দেখেছি তোর রূপের কেশ
হরেক রকম মানুষ বাঁচে
অঙ্গে মেখে মাটি বেশ ।।
চিত্র গুলু অনেক সুন্দর
০৫ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:১৮
সুফিয়া বলেছেন: আমার দেশের মাটি আর মানুষকে নিয়েই এই পোস্ট। যাদের গায়ে মাটির সূধা-গন্ধ জড়িয়ে থাকে তারা কিভাবে জীবিকা নির্বাহ করে তার একটা ধরণা দিয়ে চেয়েছি এই পোস্টে।
ধন্যবাদ আপনাকে।
৩| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ২:১৭
আহমেদ জী এস বলেছেন: সুফিয়া ,
প্রান্তিক জনগোষ্ঠির প্রায় সব ছবিই তুলে এনেছেন পোষ্টে যত্ন করে । চিরচেনাকে আবার নতুন করে চিনিয়ে দিলেন ।
কিন্তু ছবিগুলোর উৎস কোথায় তা বলেন নি । যদি আপনার তোলা হয়ে থাকে তবে বলবো - বাহাদুরী আছে ভাবনায় , ক্যামেরায় ।
আর কিছু কিছু কথা জুড়ে দিলে এই ছবিগুলোর মতোই মনোরম হয়ে উঠতে পারতো আপনার পোষ্টটি ।
ধন্যবাদ আপনাকেও এতো সুন্দর একটি ছবি ব্লগের জন্যে ।
০৫ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:২২
সুফিয়া বলেছেন: প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর প্রায় সব ছবি তুলে আনলেও সবগুলো খুঁজে পাইনি। আমার হিসেবে বেদেনী, মুচিসহ এরকম আরও অনেক জীবিকার উৎস বাদ পড়েছে।
এবার আপনার দ্বিতীয় প্রশ্নে আসি। ছবিগুলো আমার তোলা নয়। গুগলস এ ঢুকে বাংলাদেশের গ্রামীণ জীবন সংক্রান্ত অনেকগুলো ওয়েবসাইট ঘুরে ছবিগুলো সংগ্রহ করিছি।
আপনার পরামর্শমতো দেখি এডিট এ ঢুকে কিছু কথা জুড়ে দেয়া যায় কি না।
ধন্যবাদ আপনাকে।
৪| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৭
শুঁটকি মাছ বলেছেন: বাহ
০৫ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৪:১৪
সুফিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।
৫| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:৩৯
মুদ্দাকির বলেছেন: বাহ
০৬ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৭:৩১
সুফিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।
৬| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৯
রানা বলেছেন: আপু..... জাস্ট ফাটাফাটি।
১০ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:৪৯
সুফিয়া বলেছেন: আসলেন তাহলে ব্লগে। আপনার প্রত্যাবর্তনকে সাধুবাদ জানাচ্ছি। থাকুন কিছুদিন। দেখবেন ব্লগে কেবল রাজনীতির ক্যাচালই হয়না। ভাল কিছুও হয়।
ধন্যবাদ রানা ভাই। ভাল থাকবেন।
©somewhere in net ltd.
১|
০৫ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:২২
লেখোয়াড় বলেছেন:
সুন্দর পোস্ট।
যে গোটা বাংলাদেশকে তুলে এনেছেন এক জায়গায়।
এত ছবি একসাথে পেলেন কিভাবে?
অনেক ভাল লাগল।