![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পৃথিবী আমাকে শূণ্যতায় বাঁধতে পারেনা অস্তিত্বে মাকে আগলে রেখেছি বলে।
এই কি শরতের রূপ ?
আষাঢ় গেল, শ্রাবণ গেল, বর্ষাও গেল ভাবি
আকাশজুড়ে মেঘের খেলা
শিউলী তলায় ফুলের মেলা
কাশবনে উদাসী বালিকা
শরতের হাতছানি।
মেঘেরা তবু নেয়না বিদায়
জল থৈ থৈ মানুষের আঙিনায়
অস্তিত্বহীন পথ-ঘাট-মাঠ
পাকার পাড়, ক্ষেতের আল, সীমারেখার বাঁধ।
ভাসছে মানুষ, ভাসছে ঘর
আঙিনা তাদের জলে ভর ভর
পশু আর মানুষে মিলে
ঠাঁই নিয়েছে একই পাটাতনে।
ক্ষেতের ফসল সব খেয়েছে বানে
ক্ষুধার জ্বালাও ভেসে গেছে জলে
তবু ক্ষুধার্ত শিশুর আহজারি দেখে
মায়ের চোখের জল ঝরে অথৈ জলে।
বুক পানিতে দাড়িয়ে আমার কিশোরী বোনটি
লজ্জা ঢাকার আশায় খোঁজে একটু ভিটে-মাটি।
কিন্তু তার ভিটে-মাটি-জনপদ
থৈ থৈ জলে সব আজ হাস্যস্পদ।
মানুষকে থাকতে দিলনা মানুষের স্থানে
মানবতাহীন জীবনের কাছে এনেছে টেনে
এই কি তবে শরতের রূপ ?
মানুষের বসতবাড়ি অথৈ জলের কূপ ?
আমার আঙিনায় কেন জল এক বুক ?
৩০ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:২৬
সুফিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।
শরতের এমন স্নিগ্ধ সময়ে বানভাসা মানুষের কস্ট দেখে আর থাকতে পারলাম না। মনের খেদটা তাই কবিতার মাধ্যমেই প্রকাশ করলাম।
©somewhere in net ltd.
১|
৩০ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:১০
নুরএমডিচৌধূরী বলেছেন: ভাল লিখেছ আপু