![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পৃথিবী আমাকে শূণ্যতায় বাঁধতে পারেনা অস্তিত্বে মাকে আগলে রেখেছি বলে।
মস্ত বড় দালান-বাড়ীর উই-লাগা ঐ কড়ির ফাঁকে
ছোট্ট একটি চড়াই-ছানা কেঁদে কেঁদে ডাকছে মাকে।
'চু চা' রবের আকুল কাঁদন যাচ্ছিল নে' বসন বায়ে,
মায়ের পরাণ ভাবলে - বুঝি দুষ্ট ছেলে নিচ্ছে ছা-য়ে।
অমনি কাছের মাঠটি হতে ছুটলো মাতা ফড়িং মুখে,
স্নেহের আকুল আশিস-জোয়ার উথলে ওঠে মা'র সে বুকে।
আধ-ফুরফুরে ছা'টি নীড়ে দেখেছে মা তার আসছে উড়ে,
ভাবলে আমিই যাই না ছুটে, বসি গে' মা'র বক্ষ জুড়ে।
হৃদয়-আবেগ রুধতে নেরে উড়তে গেল অবোধ পাখি,
ঝুপ করে সে গেল পড়ে -- ঝরল মায়ের করুণ আঁখি।
হায় রে মায়ের স্নেহের হিয়া বিষম ব্যথায় উঠল কেঁপে,
রাখলে না কো প্রাণের মায়া, বসল ডানায় ছা'টি ঝেঁপে
ধরতে ছোটে ছানাটিরে ক্লাসের যত দুষ্ট ছেলে ;
ছুটছে পাখি প্রাণের ভয়ে ছোট্ট দুইটি ডানা মেলে।
বুঝতে নারি কি সে ভাষায় জানায় মা তার হিয়ার বেদন,
বুঝে না কেউ ক্লাসের ছেলে -- মায়ের সে যে বুক-ভরা ধন।
পুরছে কেহ ছাতার ভিতর, পকেটে কেউ পুরছে হেসে,
একটি ছেলে দেখছে, আসু চোখ দু'টি তার যাচ্ছে ভেসে।
মা মরেছে বহুদিন তার, ভুলে গেছে মায়ের সোহাগ,
তবু গো তার মরম ছিঁড়ে উঠলো বেজে করুণ বেহাগ।
মই এনে সে ছানাটিরে দিল তাহার বাসায় তুলে,
ছানার দু'টি সজল আঁখি করলে আশিস পরান খুলে।
অবাক-নয়ান মা'টি তাহার রইলো চেয়ে পাঁচুর পানে,
হৃদয়-ভরা কৃতজ্ঞতা দিল দেখা আঁখির কোণে।
পাখির মায়ের নীরব আশিস যে ধারাটি দিল ঢেলে,
দিতে কি তার পারে কণা বিশ্বমাতার বিশ্ব মিলে।
* শ্রীযুক্ত শৈলজানন্দ মুখোপাধ্যায় লিখেছেন যে, কবি যখন রাণীগঞ্জ সিয়ারসোল রাজ হাই-স্কুলের ছাত্র, তখন তিনি এই কবিতাটি রচনা করেন।
২| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৯:৩৫
সুফিয়া বলেছেন: কবিতাটি যতটা না ভাল লাগে এর ছন্দ মিলের জন্য, তার চেয়ে বেশী ভাল লাগে বিষয়বস্তুর হন্য।
ধন্যবাদ আপনাকে। ভাল থাকবেন।
©somewhere in net ltd.
১|
৩০ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ৯:৩৮
আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: এটা ছেলেবেলায় পড়া আমারও প্রি্য একটি কবিতা।