নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

গ্রাম-প্রকৃতি-সবুজ-সারল্য যেখানে মিলেমিশে একাকার, সেখানে ফিরে যেতে মন চায় বার বার।

গ্রাম-প্রকৃতি-সবুজ-সারল্য যেখানে মিলেমিশে একাকার, সেখানে ফিরে যেতে মন চায় বার বার।

সুফিয়া

পৃথিবী আমাকে শূণ্যতায় বাঁধতে পারেনা অস্তিত্বে মাকে আগলে রেখেছি বলে।

সুফিয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

সুকুমার রায়ের তিনটি বিখ্যাত ছড়া।

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ৮:৩৬

সুকুমার রায় ছিলেন বাংলা সাহিত্যের অন্যতম ছড়াকার ও শিশু সাহিত্যিক। জন্মেছিলেন ১৮৮৭ সালের ৩০ অক্টোবর। তার বাবার নাম উপেন্দ্রকিশোর রায় চৌধুরী। তিনি রম্যরচনাকারও ছিলেন। এজন্য তার উপাধি ছিল হাসির রাজা। তার লেখা কবিতার বইগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে - আবোল তাবোল, গল্প হযবরল, পাগলা দাশু ইত্যাদি। তার আরও একটি পরিচয় হলো তিনি উপমহাদেশের বিখ্যাত চলচ্চিত্রকার সত্যজিৎ রায়ের পিতা। জন্মদিনে এই বিখ্যাত সাহিত্যিকের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলী জানিয়ে তার তিনটি বিখ্যাত ছড়া এখানে শেয়ার করলাম।



বাবুরাম সাপুড়ে



বাবুরাম সাপুড়ে,

কোথা যাস বাপুরে

আয় বাবা দেখে যা,

দুটো সাপ রেখে যা-

যে সাপের চোখ নেই,

শিং নেই, নোখ নেই,

ছোটে না কি হাঁটে না,

কাউকে যে কাটে না,

করে না কো ফোঁসফাঁস

মারে না কো ঢুসঢাস,

নেই কোন উৎপাত,

খায় শুধু দুধভাত,

সেই সাপ জ্যান্ত,

গোটা দুই আন তো,

তেড়ে মেরে ডান্ডা

ক'রে দেই ঠান্ডা।





এমন যদি হতো



এমন যদি হতো

ইচ্ছে হলেই আমি হতাম

প্রজাপতির মতো।

নানান রঙের ফুলের পরে

বসে যেতাম চুপটি করে

খেয়াল মতো নানান ফুলের

সুবাস নিতাম কতো।



এমন যদি হতো

পাখি হয়ে পেরিয়ে যেতাম

কত পাহাড় নদী

দেশ-বিদেশের অবাক ছবি

এক পলকে দেখে সবই

সাতটি সাগর পাড়ি দিতাম

উড়ে নিরবধি।



এমন যদি হতো

আমায় দেখে এই পৃথিবীর

সবাই পেতো ভয়

মন্দটাকে ধ্বংস করে

ভালোয় দিতাম জগৎ ভরে

খুশীর জোয়ার বইয়ে দিতাম

এই দুনিয়াময়।



এমন হবে কি ?

এক লাফে হঠাৎ আমি

চাঁদে পৌঁছেছি !

গ্রহ থেকে গ্রহান্তরে

দেখে শুনে ভাল করে

লক্ষ যুগের অন্ত আদি

জানতে ছুটেছি।





রামগরুড়ের ছানা



রামগরুড়ের ছানা হাসতে তাদের মানা,

হাসির কথা শুনলে বলে,

‍‍ 'হাসব না-না, না-না !'

সদাই মরে ত্রাসে-- ওই বুঝি কেউ হাসে !

এক চোখ তাই মিটমিটিয়ে

তাকায় আশে পাশে।

ঘুম নাহি তার চোখ আপন ব'কে ব'কে

আপনারে কয়, 'হাসিস যদি

মারব কিন্তু তোকে !'

যায় না বনের কাছে, কিম্বা গাছে গাছে

দখিন হাওয়ার সুড়সুড়িতে

হাসিয়ে ফেলে পাছে !

সোয়াস্তি নেই মনে মেঘের কোণে কোণে

হাসির বাস্প উঠছে ফেঁপে

কান পেতে তাই শোনে !

ঝোপের ধারে ধারে রাতের অন্ধকারে

জোনাক জ্বলে আলোর তালে

হাসির ঠারে ঠারে !

হাসতে হাসতে যারা হচ্ছে কেবল সারা,

রামগরুড়ের লাগছে ব্যথা

বুঝছে না কি তারা ?

রামগরুড়ের বাসা ধমক দিয়ে ঠাসা,

হাসির হাওয়া বন্ধ সেথায়

নিষেধ সেথায় হাসা।





মন্তব্য ১০ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:১০

ভূতের কেচ্ছা বলেছেন: :D :D :D :D :D :D :D :D :D :D
"হল্‌‌দে সবুজ ওরাং ওটাং
ইঁট পাট্‌‌কেল চিৎ‌ পটাং
মুস্কিল আসান উড়ে মালি
ধর্মতলা কর্মখালি।"
B-) B-)

একের পিঠে দুই
চৌকি চেপে শুই
পোঁটলা বেঁধে থুই
গোলাপ চাঁপা জুঁই
ইলিশ মাগুর রুই
হিন্‌চে পালং পুঁই
সান্‌ বাঁধানো ভুঁই
গোবর জলে ধুই
কাঁদিস কেন তুই ?

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:১৩

সুফিয়া বলেছেন: বেশ মজার তো ? এটা কার লেখা ? আপনার ?

ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।

২| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:১৬

আমি তুমি আমরা বলেছেন: অনেকদিন পর আপনার পোস্টের সুবাদে শৈশবের প্রিয় কবির কবিতাগুলো পড়া হল। ধন্যবাদ :)

পোস্টে প্রথম ভাল লাগা :)

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:১৪

সুফিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

ছড়াগুলো পড়তে গিয়ে কেমন যেন নষ্টালজিক হয়ে গিয়েছিলাম। তাই শেয়ার করলাম।

৩| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৩৫

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: প্রিয় তিনটি ছড়া :)

ভালো থাকবেন আপু :)

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:১৪

সুফিয়া বলেছেন: আপনিও ভাল থাকবেন। ধন্যবাদ আপনাকে।

৪| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:২২

ভূতের কেচ্ছা বলেছেন: এটাও সুকুমারের..

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫৪

সুফিয়া বলেছেন: দারুন তো ! আমরা আর কয়টার কথা জানি ?

ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করা জন্য।

৫| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৭

ডি মুন বলেছেন: ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।

সুকুমার রায় আমারো ভীষণ প্রিয়। :)

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫৫

সুফিয়া বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.