![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পৃথিবী আমাকে শূণ্যতায় বাঁধতে পারেনা অস্তিত্বে মাকে আগলে রেখেছি বলে।
রক্তঝরা স্বাধীনতা
স্বাধীনতা কি ?
হৃদয়ের যতটা তাড়নায় জানতে চেয়েছো
তার চেয়েও বেশী ক্ষরিত হবে তোমার হৃদয়
যদি তুমি জানতে পারো
এর পেছনের রক্তঝরা ইতিহাস।
তুমি কি সেই মায়ের কথা জানো ?
সবগুলো সন্তানকে যুদ্ধে পাঠিয়ে দিয়ে যে মা
নয়টা মাস কাটিয়েছিল রোজা রেখে
শুধু তার সন্তানদের মঙ্গল কামনা করে ?
অবশেষে সেই মা যখন তার আত্মজের মৃত্যুর খবর পেলো
কিংবা পেলো কোন লাশ,
তখন তার বুকে সৃষ্টি হয়েছিল যে রক্ত নদী
তার গভীরতা যদি তুমি পরিমাপ করতে পারো
তাহলেই বুঝতে পারবে স্বাধীনতা কি।
তুমি কি সেই স্ত্রীর কথা জানো ?
বিয়ের মেহদী রাঙা হাতে
যে তার স্বামীর মনে এঁকে দিয়েছিল
স্বাধীনতার রক্তিম আলপনা।
যুদ্ধে গেলো সেই স্বামী।
কিন্তু আর ফিরে এলো না।
সেই স্ত্রীর মেহদীর লাল রং
তার হৃদয়ের শোণিত ধারায় মিশে
আজও উড়ছে
লাল-সবুজ পতাকার বুক ছিঁড়ে।
সেই রক্তের আকরে ইতিহাসের পাতাকে রাঙিয়ে
বারোহাতি সাদা থানের মোড়কে নিজকে সাজিয়ে
সে আজও আঁকড়ে ধরে আছে
তার বাসর জাগার স্মৃতি।
তুমি কি সেই বোনের কথা জানো ?
ভাই এর যুদ্ধে যাবার দিনে যে বোন
বলেছিল, ‘স্বাধীনতা নিয়ে আসিস ভাই,
আমি অপেক্ষায় থাকব।’
সেই বোনের অপেক্ষার প্রহর সাঙ্গ হয় একদিন।
রক্তলোলুপ হায়েনাদের কাছ থেকে
নিজের ইজ্জত রক্ষা করতে না পেরে
ভাই এর জন্যে প্রতীক্ষীত প্রাণের বিসর্জন ঘটিয়ে।
সেই বোনটিকে যদি তুমি চিনতে পারো
তাহলে জানতে পারবে স্বাধীনতা কি ?
সেই প্রেমিক হৃদয়ের সন্ধানও তোমাকেই পেতে হবে।
যে অপেক্ষায় ছিল শুধু ভাই এর জন্য নয়,
হাতে মেহদীর আলপনা আঁকবে বলে
যে তার প্রেমিকের অপেক্ষাতেও প্রহর গুণছিল।
চেয়েছিল,
তাদের ভালোবাসার মুখর পৃথিবীতে
স্বাধীনতার লাল সূর্যটা হবে অনন্য উপহার।
তার সেই উপহার এলো। কিন্তু---
বিনিময়ে তার ভাই গেলো, প্রেমিক গেলো, আর-- ?
সে তার বাঁচার পথ খুঁজে নিল
নিজের জীবন বিসর্জন দিয়ে।
কি দিয়ে বিচার করবে তুমি এই যোদ্ধার ?
তুমি কি সেই পঙ্গু মুক্তিযোদ্ধার খোঁজ করেছো কখনও ?
স্বাধীনতাকে ছিনিয়ে আনার ব্রত নিয়ে যে
সেদিন জীবন-যৌবনকে তুচ্ছ করেছিল।
সে আজ হুইল চেয়ারে বসে
স্বাধীন দেশে বেঁচে থাকার অর্থ খুঁজছে প্রাণপণে
আর প্রতি মুহূর্তে রক্তাক্ত হচ্ছে।
স্বাধীনতা কি ?
এরপরও কি বলার প্রয়োজন আছে ?
যদি জানতে চাও আরও
তবে খুঁজে বের করো
সেই মাকে, সেই স্ত্রীকে, সেই বোনকে
এবং সেই পঙ্গু মুক্তিযোদ্ধা ভাইকে।
তোমার চেতনার গভীর অবগাহনে
যদি তাদেরকে উপলব্ধি করতে পারো
তবেই জানতে পারবে
স্বাধীনতা কি ?
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:২৩
সুফিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ অপূর্ব। আপনিও ভালো থাকেবন।
২| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:১১
ইমতিয়াজ ১৩ বলেছেন: যুদ্ধে গেলো সেই স্বামী।
কিন্তু আর ফিরে এলো না।
সেই স্ত্রীর মেহদীর লাল রং
তার হৃদয়ের শোণিত ধারায় মিশে
আজও উড়ছে
লাল-সবুজ পতাকার বুক ছিঁড়ে।
লেখায় ++
স্বাধীনতার মর্মার্থ বুঝাটা সহজ নয়।
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:২৩
সুফিয়া বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। ভাল থাকবেন।
৩| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:২০
কলমের কালি শেষ বলেছেন: অসাধারন কবিতা ।
১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:৫৪
সুফিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
©somewhere in net ltd.
১|
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:১১
অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: তুমি কি সেই বোনের কথা জানো ?
ভাই এর যুদ্ধে যাবার দিনে যে বোন
বলেছিল, ‘স্বাধীনতা নিয়ে আসিস ভাই,
আমি অপেক্ষায় থাকব।’
সেই বোনের অপেক্ষার প্রহর সাঙ্গ হয় একদিন।
রক্তলোলুপ হায়েনাদের কাছ থেকে
নিজের ইজ্জত রক্ষা করতে না পেরে
ভাই এর জন্যে প্রতীক্ষীত প্রাণের বিসর্জন ঘটিয়ে।
সেই বোনটিকে যদি তুমি চিনতে পারো
তাহলে জানতে পারবে স্বাধীনতা কি ? অসাধারণ +
ভালো থাকবেন আপু।।