![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পৃথিবী আমাকে শূণ্যতায় বাঁধতে পারেনা অস্তিত্বে মাকে আগলে রেখেছি বলে।
গল্প--- সেই তো এলে ।
অনেক পরিকল্পনা করে এক ঝাঁপি মিথ্যে কথা বলে তবে বাসা থেকে বের হতে হয় সুমিকে। রিকশায় বসোর পরই মনে হয়, বাবার সাথে মিথ্যে কথা বলা কি ঠিক হয়েছে আমার ? বুঝতে পারলে বাবা অনেক কষ্ট পাবে। কিন্তু আমি কি করব ? বাবার মনে কষ্ট দিতে তো আমি চাইনি ? নিরুপায় হয়ে একাজটা করতে হয়েছে আমাকে। তানাহলে মিলুর সাথে কিছুতেই দেখা হতনা আমার। অথচ ওর সাথে দেখা করা আমার ভীষণ দরকার। যে করেই হোক আমার কথাগুলো বলতে হবে ওকে। আমি চাই মিলু চলে যাবার আগে আসল সত্যিটা জেনে যাক।
পরক্ষণে আবার ভাবে সুমি। আচ্ছা, মিলু আমার সাথে দেখা করবে তো ? আমার দেরি হতে পারে একথা তো আমি ওকে বলেইছি। তবু যদি মিলুকে না পাই ! বলছিল ওর একটা কি জরুরী কাজ আছে। জীবনে প্রথম বাবার সাথে মিথ্যে কথা বলেছি। মিলুর সাথে দেখা না হলে সব ব্যর্থ হয়ে যাবে আমার। কিছুতেই নিজকে ক্ষমা করতে পারবনা আমি।
মোবাইলটা অন করে সময় দেখে সুমি। চারটা বাজে। মিলু এই সময়টাতেই থাকবে বলেছিল। অথচ আমি এখন রাস্তায়। কি হবে এখন ? মিলু যদি আমাকে না পেয়ে চলে যায় ?
সুমি একটু চিন্তিত হয়। রিকশাওয়ালাকে তাড়াতাড়ি চালাতে বলে। সুমির কথামতো রিকশাওয়ালা গায়ের সমস্ত শক্তি দিয়ে জোড়ে জোড়ে প্যাডেল ঘুরাতে থাকে। সুমি মনে মনে বলে, এ হতে পারেনা। মিলু আমার সাথে দেখা না করে চলে যেতে পারেনা। আমার কথাগুলো ওকে শুনতেই হবে। সেদিন কেন আমি ওকে অমনভাবে ফিরিয়ে দিয়েছিলাম সেই কারণটা মিলুর জানা দরকার। তানাহলে ও চিরদিন আমাকে ভুল বুঝে থাকবে। আর আমি আত্মগ্লানিতে দগ্ধ হতে থাকব। এমনটা হতে পারেনা।
এই রিকশা , বামে ঐ গেটে রাখো।
দ্রুতহাতে ভাড়া মিটিয়ে দিয়ে ভিতরে ঢুকে সুমি। এদিক-ওদিক তাকিয়ে দেখে কোন টেবিল খালি নেই। সবাই জোড়ায় জোড়ায় বসে নাস্তা খাচ্ছে আর গল্প করছে। কিন্তু মিলু কোথাও নেই। তবু সুমি সেখানে দাঁড়িয়ে থাকে।
মিলু আসেনি এটা হতে পারেনা। কাউকে কোন কথা দিলে সেটা প্রাণপণে রাখার চেষ্টা করে মিলু। আজ সে সুমিকে কথা দিয়েছিল এখানে থাকবে। সুমি আবার সময় দেখে। সাড়ে চারটা বাজে।
নিশ্চয় মিলু এসে আমাকে না পেয়ে চলে গেছে। এখন কি হবে ? কি করব আমি ? কাল সকালেই ওর ফ্লাইট। অথচ আমার কথাটা বলা হলনা মিলুকে। বাবার সাথে এতগুলো মিথ্যা কথা বলে বেড়িয়েছি। কে লাভ হলো তাতে ? মিলু আমাকে ভুল বুঝে চলে গেল !
মনটা অশান্ত হয়ে উঠে সুমির। এর জন্য নিজকেই দোষারোপ করে সে। মনে মনে বলে, বাবার সাথে মিথ্যে বলার ফল এটা। বাসা থেকে বের হয়ে রিকশা পেতে দেরি হলো। তারপর রাস্তায় জ্যাম। সব যেন আজ পণ করেছিল আজই ওর পথ আগলে দাঁড়াবে !
ভিতরে ভিতরে রাগে গজরাতে থাকে সুমি। এমন সময় ব্যাগের পকেটে মোবাইলটা বেজে উঠে। তাড়াতাড়ি মোবাইলটা হাতে নিয়ে দেেখে মিলুর ফোন। অবাক হয় সুমি ! মিলু ওকে ফোন করেছে ?সেদিন সুমি ওকে ওভাবে ফিরিয়ে দেয়ার পর থেকে কোন যোগাযোগ করেনি সে সুমির সাথে। সুমি গতকাল ফোনে খুব করে অনুরোধ করেছিল আজ দেখা করার জন্য। কথা দিয়েছিল মিলু, সে আসবে।
কিন্তু দোষটা সুমিরই। আধঘন্টা দেরি করেছে সে আসতে। তবু তো ফোন করেছে মিলু ! খুশীমনে ফোনটা রিসিভ করে কানে ধরে সুমি।
হ্যালো মিলু, তুমি চলে গেলে কেন ? একটু দেরি করতে পারলেনা আমার জন্য ? আমি তোমাকে কিছু বলব বলে কবে থেকে ছটফট করছি।
হ্যালো মিলু, শুনতেপাচ্ছ ?
শুনছি। বলো।
মিলু, তুমি কোথায় আছো বলো। আমি এক্ষুণি আসছি। তোমার সাথে আজ আমার কথা হওয়া খুব দরকার। আমি তোমাকে আজ যা বলব তা তুিম ভাবতেও পারবেনা। আমি তোমাকে ----
থাক সুমি। এখন আর ওকথা বলে লাভ নেই।
সুমির কানে মিলুর কথা যেন পৌঁছায়নি। সে আবার বলে,
বলনা তুমি কোথায় ?
আমি বাড়িতে ।
বাড়িতে ?
হ্যাঁ সুমি। আমি বাড়িতে। তোমাকে কথা দিয়েছিলাম। কিন্তু আমি দু:খিত। তোমার সাথে দেখা করতে যেতে পারিনি।
কেন মিলু ? তুমিতো অমনটি নও ?
আজ আমার বিয়ে। ঘরোয়াভাবে আজ রাতেই আমার বিয়ে হচ্ছে।
কি ? তাহলে তোমার কানাডা যাওয়া ?
সেটাও ঠিক আছে। কালই যাচ্ছি আমি।
আমি এখন কি করব মিলু ? আমি যে তোমাকে অনেক ভালোবাসি মিলু---।
বলতে বলতে হাতের মুঠি শিথিল হয়ে মোবাইলটা মাটিতে পরে ভেঙে কয়েক টুকরো হয়ে যায়। সুমি মোবাইলের ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা টুকরোগুলোর দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকে। ভিতর থেকে কে যেন বলে, তোর জীবনটাও এই মুহূর্ত থেকে ভেঙে খান খান হয়ে গেলো। আর কখনও জোড়া লাগবেনা সেটা।
১০-০১-২০১৫
১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:৩৫
সুফিয়া বলেছেন: ট্যাবে টাইপ করতে গিয়ে অনেকগুলো শব্দ জোড়া লেগে ছিল। এমন অবস্থায় একটা লেখা পড়া সত্যিই কষ্টকর। তবু আপনি পড়েছেন। সেজন্যে আপনাকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। ভালো থাকবেন।
২| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৩
ডি মুন বলেছেন:
ছোট্ট গল্প।
মোটামুটি ভালো লাগল।
আমাকেভুল , কথা িদিলে , সুমিসেখানেদাঁড়িয়ে , আমিওকেঅমনভাবে
এরকম আরো কিছু শব্দ একসাথে লেগে গেছে।
আরেকবার পড়ে এডিট করে নিতে পারেন।
শুভকামনা রইলো
১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:৩৮
সুফিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ ডি মুন। আপনি ঠিকই ধরেছেন। কতকগুলো শব্দ জোড়া লেগেছিল। ঠিক করে দিয়েছি।
পড়ার জন্য আবারও ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
৩| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫০
রহস্৪২০ বলেছেন: ভাল লাগল
১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:৩৯
সুফিয়া বলেছেন: পড়ার জ্য ধন্যবাদ আপনাকে। ভালো থাকবেন।
৪| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:০১
আহেমদ ইউসুফ বলেছেন: চমৎকার অনুগল্প!
১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৭:৫৬
সুফিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ অাহেমদ গল্পটা পড়ার জন্য ।
৫| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:১৪
আমি অথবা অন্য কেউ বলেছেন: ভালো লাগলো। সুন্দর
১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৭:৫৯
সুফিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ অাপনােক পড়ার জন্য । অনেক অনেক ভাল থাকবেন অপনি ।
৬| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ২:১০
বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: গল্প পড়ে মনে হল কাউকে ভালবাসলে 'যদি', 'কিন্তু' ইত্যাদির উপর নির্ভর করে সিদ্ধান্তহীনতায় না ভুগাই ভালো। মিলন হোক বা না হোক, ভালোবাসার কথাটা বলে ফেলাই ভালো। যদিও এর ভিন্ন ব্যাখ্যাও আছে। তাই কেউ যদি ভোগে তার অবস্থা সুমির মতোই হবে।
অন্যদিকে মিলুর মতো ছেলেদের প্রত্যাখ্যাত হওয়ার সাথে সাথই তাদের ভালোবাসা উবে যায়। একেবারে ঠুনকো ভালোবাসা। এটাকে ঠিক ভালোবাসা বলতে আমি নারাজ।
গল্পটা পড়ে মনে হল খুব দ্রুতই লিখে ফেলেছেন। আরও একটু বেশী মনোযোগী হলে আরও ভালো হতে পারতো মনে হয়। তারপরও আমার কাছে ভালো লেগেছে। নিরন্তর শুভ কামনা রইলো সুফিয়া।
১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৮:০৭
সুফিয়া বলেছেন: অামার খুব ভাল লােগ এই যে অাপনি অামার লেখা মনেযাগ সহকারে পড়েন এবং অসম্পুর্ণতাগুলি ধরিেয় দেন । অাপনার নিকট অামি সেজন্য কৃতজ্হ । ভাল থাকবেন সতত ।
৭| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৮:১৩
জাফরুল মবীন বলেছেন: গল্পে ভাললাগা জানিয়ে গেলাম
১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১৬
সুফিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ জাফরুল ভাই। ভালো থাকবেন।
৮| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৩
আবু শাকিল বলেছেন: পড়লাম।
ভাল লাগল।
১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১৮
সুফিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ শাকিল। ভালো থাকবেন।
©somewhere in net ltd.
১|
১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:৪৯
নুর ইসলাম রফিক বলেছেন: ভাই গল্পটা ভাল লাগলো। কিন্তু শব্দ গঠন গুলি সঠিক হলে আরো বেশি ভাল লাগতো মনে হয়।
আগামীতে এর চেয়েও আরো ভাল কিছু পাবার আশায়
প্রহর গুনছি...............
ভাল থাকবেন,শুভ কামনা রইলো।