![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পৃথিবী আমাকে শূণ্যতায় বাঁধতে পারেনা অস্তিত্বে মাকে আগলে রেখেছি বলে।
আমরা সাধারণত কোন শব্দ বা বাক্য লিখতে গিয়ে সংযুক্ত বর্ণ লিখে থাকি বা ব্যবাহার করে থাকি। যেমন : অন্ন। এখানে অ এর পরে ন এর সাথে আরেকটি ন এর সংযুক্ত করা হয়েছে। কিন্তু বাংলা বর্ণমালায় এমন কতকগুলো বর্ণ আছে যেগুলো গঠনগত দিক থেকেই দু'টি বর্ণের সংযুক্ত রূপ। একটু খেয়াল করলেই দেখা যায় যে এই বর্ণগুলোর উচ্চারণ এবং ব্যবহারে কিছু ভিন্নমাত্রিকতা রয়েছে। সে সম্পর্কে এখানে কিছু আলোচনা তুলে ধরা হলো।
১) ক্ষ = বর্ণটি ক ও ষ বর্ণের যুক্তরূপ। আমরা এই বর্ণটাকে বলি খিয়ো। কিন্তু শব্দের মধ্যে এর ব্যবহার খিয়ো রূপে নয়। বরং অন্য দুই প্রকার উচ্চারণে এটার ব্যবহার হয়ে থাকে। যেমন ঃ শব্দের প্রথমে এর উচ্চারণ খ এর মতো। অর্থাৎ ক্ষমা, ক্ষমতা বা এই জাতীয় শব্দগুলো লিখতে খিয়ো ব্যবহৃত হয়। আবার শব্দের মধ্যে বা শেষে এর উচ্চারণ অন্যরকম। যেমন ঃ দক্ষ, রুক্ষ, লক্ষণ ইত্যাদি।
২) জ্ঞ = জ ও ঞ বর্ণের যুক্তরূপ। কিন্তু উচ্চারণে এই দুই বর্ণের কোনটাকে পাওয়া যায়না। শব্দের শুরু এবং শেষে দুই রূপে উচ্চারিত হয়ে থাকে। শব্দের শুরুর উচ্চারণে এতে গ এর প্রাধান্য থাকে। যেমন ঃ জ্ঞান, জ্ঞাপন ইত্যাদি। শব্দের শেষেও এর উচ্চারণে গ এর প্রাধান্য থাকে। তবে এখানে গ এর সাথে গ এর সংযুক্ত রূপে উচ্চারিত হয়। যেমন ঃ বিজ্ঞ, অজ্ঞ, বিজ্ঞান ইত্যাদি।
৩) ঞ্জ = ঞ ও জ বর্ণের যুক্তরূপ। এই বর্ণটি কখনও শব্দের শুরুতে ব্যবহৃত হয়না। উচ্চারণে জ এর অস্তিত্ব অটুট থাকলে ঞ এর কোন অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায় না। ঞ বর্ণটি এখানে ন এর মতো উচ্চারিত হয়ে থাকে। যেমন ঃ অঞ্জন, ব্যঞ্জন ইত্যাদি।
৪) হ্ম = হ ও ম বর্ণের যুক্তরূপ। কিন্তু উচ্চারণে হ বর্ণের জোড় কম। বরং ম বর্ণের উপর বেশি জোড় দেয়া হয়ে থাকে। শব্দের শুরুতে কখনও এই বর্ণটি ব্যবহৃত হয়না। যেমন ঃ ব্রাহ্মণ, ব্রহ্মপুত্র ইত্যাদি।
৫) দ্ম= দ ও ম এর মিলিত রূপ দ্ম কিন্তু উচ্চারনের সময় ম এর কোন উচ্চারণ হয়না। বরং দ দুই বার অর্থাৎ দ এর সাথে দ সংযুক্তরূপে উচ্চারিত হয়। যেমন ঃ পদ্মফুল, পদ্মানদী। ইত্যাদি। সম্ভবত এই বর্ণটিও শব্দের শুরুতে কখনও উচ্চারিত হয়না।
(এই অংশটুকুর জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি ব্লগার বন্ধু ইমতিয়াজের নিকট)।
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৮:০২
সুফিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ বন্ধু জুলিয়ান আরও একটু বিস্তৃত ব্যাখ্যা দেয়ার জন্য।
ভালো থাকবেন।
২| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৭
বিদগ্ধ বলেছেন: ধন্যবাদ।
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৮:০৩
সুফিয়া বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
৩| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:৫৯
বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: ক্ষ জ্ঞ ঞ্জ হ্ম এই চারটা যুক্ত বর্ণ সম্বন্ধে জানলাম। অভ্রতে লিখি বলে এগুলোর আসল সংযুক্তি কীভাবে হয় ভুলেই গিয়েছিলাম। আজ একটু ঝালাই করে নিলাম।
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৮:০৪
সুফিয়া বলেছেন: আপনি ঠিকই বলেছেন অভ্রতে এই যুক্ত বর্ণগুলোর স্বরূপ জানার সুযোগ নেই।
ধন্যবাদ আপনাকে পড়ার জন্য এবং মন্তব্য করার জন্য।
৪| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ ভোর ৪:৪১
জাফরুল মবীন বলেছেন: আমাদের জানাজানির ভান্ডারকে সমৃদ্ধ করার জন্য ধন্যবাদ বোন।
শুভকামনা জানবেন।
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৮:০৫
সুফিয়া বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ জাফরুল ভাই। ভালো থাকুন সব সময়।
৫| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:৫৩
এহসান সাবির বলেছেন: দারুন শেয়ার..
২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৭:৫৪
সুফিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ এহসান। ভালো থাকুন আপনি।
৬| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:১৬
ইমতিয়াজ ১৩ বলেছেন:
দ্ম= দ ও ম এর মিলিত রূপ দ্ম কিন্তু উচ্চারনের সময় দ দুই বার উচ্চারিত হয়।
ভাল পোস্টে লাইক এবং প্রিয়তে।
২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৭:৫৫
সুফিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ ইমতিয়াজ। আরও একটা মনে করিয়ে দিলেন। আমি আমার পোস্টে যোগ করে নিতে চাই আপনার অনুমতি স্বাপেক্ষে।
ভালো থাকুন আপনি।
৭| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:৪২
কায়সার ইয়াসিন বলেছেন: ধন্যবাদ দারুন একটা বিষয় অবগত করার জন্য
কিন্তু
কেন এমন হয়
তা জাননোর অনুরোধ রইলো
২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৭:৫৭
সুফিয়া বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ অবগত হওয়ার জন্য।
কিন্তু কেন এমন হয় ? তাই তো ! আমারও তো জানতে ইচ্ছে করছে। এই ব্লগে এমন কেউ কি আছেন যিনি আমাদের এই জিজ্ঞাসার পরিসমাপ্তি ঘটাতে পারেন ?
তাহলে কৃতজ্ঞ থাকব।
৮| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:২৯
ইমতিয়াজ ১৩ বলেছেন: অনুমতির কি আছে? অবশ্যই যোগ করতে পারেন। তবে আমি কেমন যেন পুলকিত
২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:২১
সুফিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ ইমতিয়াজ। ভালো থাকুন।
৯| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:২১
ইমতিয়াজ ১৩ বলেছেন: প্রীত হইলাম
২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:২৮
সুফিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:০৬
জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ক্ষ > শব্দের শুরুতে খ এর মতো উচ্চারিত হয়। কিন্তু শব্দের মধ্য বা শেষভাগে উচ্চারিত হয় খ্খ হিসেবে।
জ্ঞ> এখানে আমরা টাইপ করতে গ আর ঞ যোগে বানাই। আসলে এখানে একটা য-ফলা আছে। জ্ঞান শব্দটাকে কিন্তু আমরা গান এর মতো উচ্চারণ করি না। করি গ্যান অনেকে গিয়ান ও উচ্চারণ করেন।