![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পৃথিবী আমাকে শূণ্যতায় বাঁধতে পারেনা অস্তিত্বে মাকে আগলে রেখেছি বলে।
ধূসর পান্ডুলিপি
আজকের দিনটা আমার
ইচ্ছের দাসত্ব করার দিন।
আমার চিন্তা-চেতনা-হৃদয়ের অনুভব,
আনন্দ বিলাসী মন,
ফুলের সাথে সখ্যতা করার ক্ষণ,
সবাইকে নিয়ে ভাল থাকার আয়োজন
সবকিছু চলে গেছে ইচ্ছের দখলে।
তাই আজ আমার ইচ্ছের কাছে নতি স্বীকার করার দিন।
মন আজ আামর দস্যি মেয়ে
ইচ্ছেমতো নেচে নেচে চলছে ধেয়ে
শহর-রাজপথ-অবিন্যস্ত ভবন,
ইটের পর ইট গাঁথা প্রাণহীন
নগর জীবনের কাঠিন্যতাকে পেছনে ফেলে।
আজ আমি ওর নিকট সম্পূর্ণরূপে সমর্পিত।
চলেছি ওর পিছু পিছু
যেমন চলেছে সে।
ওর গতি আজ আকাশের মতো বাঁধাহীন।
ওর চলার ছন্দে বিধূর আনন্দে
খলখলিয়ে উঠছে আমার স্মৃতিময় দিন।
অবশেষে এখানে, কাজি পাড়ার স্কুলে
থামলো যখন সে এসে,
আমি চমকিত হলাম
হারিয়ে গেলাম সেই দিনগুলোতে।
ভুলে গেলাম কে আমি এখানে ?
মনে আমার সুখ সুখ ভাল লাগা
বুকের ভিতর স্মৃতির পাপিয়ার ডানা ঝাপটানোর খেলা।
আমি খুঁজে পেলাম নিজকে
কাজি পাড়ার এই স্কুলমাঠে।
ছাপা কাপড়ের ফ্রক পরা,
রঙিন ফিতায় চুল বাঁধা,
বই-খাতা-কলম হাতে
আমি সেই মেয়েটি এই স্কুল মাঠে।
তখনও ঘন্টা পড়েনি
মাঠজুড়ে হৈ চৈ
খেলার সাথীরা গেল কৈ।
গেল্লাছুট, দাড়িয়াবান্দা আর কুতকুত এর জমাট আড্ডা
হঠাৎ ভেঙে যায়।
খান খান বেজে উঠে ক্লাসের ঘন্টা
পড়িমড়ি ছুটি মাঠ ছেড়ে
শূন্য বেঞ্চগুলো মুহূর্তেই ভরে উঠে কেলাহলে।
স্যার আসেন ক্লাসে
রোল কলের খাতা হাতে।
এই চুপ, সব চুপ, যেন শ্বাসটি না পড়ে।
স্যার মন দেন খাতায়
রোল নম্বর এক, --দুই, --তিন, --চার
হাজির স্যার।
আহা ! কি মধুর সেই ধ্বনি ! কানে বাজে আজও।
এই বুঝি স্যার ডাকলেন আবারও ।
তারপর ছন্দ-সুরের সেই কবিতা
“আয় ছেলেরা, আয় মেয়েরা।”
এরপর তারেক স্যার, অংকের ক্লাস।
দুই একে দুই, দুই দু’গুণে চার
স্যারের সাথে কোরাস মিলিয়ে
পড়তাম আমরা বার বার।
হৃদয়ের গভীর তলে
সেই পড়ার সুর আজও বাজে।
কিন্তু মন যে উন্মন
কখন আসবে ছুটির ক্ষণ
কখন বাজবে শেষ ঘন্টা।
হুড়মুড় ক্লাস ছেড়ে
বাড়ির পাণে ছুটি পথে
মা দিতেন আঁচলে মুখ মুছে।
সেই সুখের পরশ আজও লেগে আছে।
মন চায় আবার ফিরে পেতে।
লোলুপ মনে সেই সুখের পরশ নিতে
ধরতে চাইলাম মায়ের আঁচলখানি।
হাত বাড়িয়ে পেলাম না তা
পেলাম শুধু মুখর শূন্যতা।
ফিরে এলাম ইচ্ছের কাছে
দেখি, ব্যস্ত সে পান্ডুলিপির আয়োজনে।
বলে, এই তোমার আজকের উপহার।
অবাক আমি ! বললাম, কেন ? তা হবে কেন ?
এই তো একটু আগে
জীবনের সোনালী সূর্যোদয়ের কাছে
ঘুরে এলাম মধুময় সময়ের হাত ধরে।
ইচ্ছে বলে, সে শুধুই স্মৃতি।
এর পরের সময়টুকু এই নাও
সে এক ধূসর পান্ডুলিপি।
২০ শে আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১০:২২
সুফিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ ভ্রমরের ডানা আপনাকে আমার কবিতাটি পড়ার জন্য ও মন্তব্য করার জন্য।
২| ২০ শে আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১:০২
সুমন কর বলেছেন: স্মৃতিগুলো কখনো ধূসর হয় না।।
২+।
উঠে কেলাহলে < কোলাহলে
২১ শে আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১০:১২
সুফিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ সুমন কর আপনাকে। ভাল থাকুন সব সময়।
৩| ২০ শে আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ২:২৬
মহাকাল333 বলেছেন: ধূসর পান্ডুলিপি কবিতাটি পড়ে স্মৃতিকাতর হয়ে গেলাম।আপনার সবগুলো কবিতাই অসাধারণ। ধূসর পান্ডুলিপি ও এর ব্যতিক্রম নই। ধূসর পান্ডুলিপি হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়া একটি কবিতা। পোস্টে প্লাস।
২১ শে আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১০:১২
সুফিয়া বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মহাকাল। ভাল থাকুন সব সময়।
৪| ২১ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ১২:৪৫
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর +
২১ শে আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১০:১৩
সুফিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ সেলিম আনোয়ার আপনাকে। ভাল থাকুন সব সময়।
৫| ২১ শে আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৫
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: স্মৃতির পাণ্ডুলিপি ধুসর হলেও মলিন হয় না কখনো।
ভালো থাকুন সবসময়, শুভকামনা রইল।
২২ শে আগস্ট, ২০১৫ সকাল ৮:৪৯
সুফিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে পড়ার জন্য ও মন্তব্য করার জন্য। ভাল থাকুন সব সময়।
৬| ২২ শে আগস্ট, ২০১৫ সকাল ৯:৩৮
খেয়ালি দুপুর বলেছেন: ভাল লেগেছে কবিতা। ভাল থাকা হোক অনেক।
২৩ শে আগস্ট, ২০১৫ সকাল ৮:০৮
সুফিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে আমার কবিতা পড়ার জন্য ও মন্তব্য করার জন্য। ভাল থাকুন সব সময়।
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১০:২০
ভ্রমরের ডানা বলেছেন: আহ! যদি ফিরে যেতে পারতাম সেই দিনগুলিতে। কবিতায় নস্টালজিক হয়ে গেছি।