![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১৯৭১ সালের বাংলাদেশের প্রত্যন্ত জেলা ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার ফুলসুতি ইউনিয়নের কাজীকান্দা-হিয়াবলদী গ্রামের রাজাকার এই প্রিন্স মুসা বিন শমশের । গ্রামের লোকেরা যার কথা মনে করে আজও শিউরে ওঠে । সবাই যাকে চেনে নুলা মুসা নামে ।
আপনাদের বলে নেই যে, এই মুসা বিন শমশেরের নাম, কি করে নুলা মুসা হলো । নুলা মুসার বাম হাতের উপরের অংশটি জন্মগতভাবে খানিকটা বাঁকা ও সেটিকে সোজা করে রাখতে পারতনা সে । অনেকটা ঝুলিয়ে রাখতে হতো । সে কারনেই স্থানীয় লোকজন তাকে “নুলা মুসা” বলে সম্বোধন করে । তবে তার এই নামকরন টি মুক্তিযুদ্ধে তার ঘৃণ্য ভূমিকার পর-পরই হয়েছিলো।
এই মুসা বিন শমশের কতটা ভয়াবহ ও প্রভাবশালী সে সম্পর্কে আপনারা জানবেন এই পোস্টে । জানবেন আর শিউরে উঠবেন । কিছুক্ষণ চুপ-চাপ বসে থেকে, কিছুটা দীর্ঘ একটা দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেলে আমার মতই বলে উঠতে পারেন “বালের দুনিয়া” ।
নুলা মুসার বাবার নাম ছিলো শমশের মোল্লা । আজকে নুলা মুসা যেমন তার নামের আগে প্রিন্স শব্দটি বসিয়েছে ঠিক তেমনি এইভাবেই তার বাবা শমশের মোল্লা নিজের নামের আগে পীর শব্দটি বসিয়েছিলো । এই ভন্ড ও তথাকথিত পীর ততকালীন সময়ে একজন আধ্যাত্নিক সাধক হয়ে উঠবার জন্য প্রাণ-পণ চেষ্টা করতে থাকে এবং প্রচার করে যে সে স্বপ্নে বিভিন্ন নির্দেশ পায় ও আল্লার সাথে তার একেবারে ডাইরেক্ট যোগাযোগ । বাংলাদেশের মানুষ খুব সহজেই এইসব বিশ্বাসে আক্রান্ত হয় এবং খুব স্বাভাবিকভাবেই শমশের মোল্লাকে বিশ্বাস করতে শুরু করে । পীর নামটি প্রকাশ করতে না করতেই ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয় ও মেজর আকরাম কোরায়শীর নেতৃত্বে পাকিস্তানী হানাদারেরা ফরিদপুরে প্রবেশ করে ।( এখানে একটি কথা বলে নেয়া ভালো যে এই আকরাম কোরায়শী-ই হচ্ছে সেই ১৯১ জন যুদ্ধপরাধীদের একজন যাদের বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে বিচারের কার্যক্রম শুরু হয়েছিলো এবং পরবর্তীতে বিতর্কিত সিমলা চুক্তির মাধ্যমে ছাড়া পেয়ে যায় । ) পাকিস্তানী আর্মি ফরিদপুরে ঢুকবার পর-পরি এই তথাকথিত ভন্ড পীর শমশের মোল্লার কথা শুনতে পায় এবং আকরাম কোরায়শী এই শমশের মোল্লার সাথে পরিচিত হয় । ঠিক সে সময়েই মোল্লা তার ছেলে নুলার সাথে আকরাম কোরায়শীকে পরিচয় করিয়ে দেয় এবং ফরিদপুরে হানাদারদের সাথে একাত্ন হয়ে তাদের সাহায্য করবে হিন্দুদের উতখাত করবার জন্য, সেই মর্মে তারা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয় । এর আগেও আমরা জেনেছি যে রাজাকার শর্ষিনার ভন্ড পীর আবু জাফর সালেহ ( এই রাজাকার কিন্তু দুই দু’বার স্বাধীনতা পদক পেয়েছে, হায় জাতি !!! ১৯৮০ সালে খুনী জিয়া ও ১৯৮৫ সালে লুইচ্চা এরশাদ) সাথে পাকিস্তানী হানাদারদের সখ্যের কথা । কোনো এক কারনে এই পাকিস্থানী হানাদারেরা এই পীর-ফকির এই জাতীয় নাম শুনে গলে যেত । ফরিদপুরের মানুষের কাছে কথিত আছে যে ভন্ড পীর শমশের মোল্লা পাকি সেনাদের মনোবোল বাড়াতে বিভিন্ন রকম দোয়া করে তাদের গায়ে ফুঁ দিত ।
এছাড়াও নুলা মুসা যখন স্কুলে পড়ত তখন করাচীতে একটি বিতর্ক প্রতিযোগিতায় এই নুলা শ্রেষ্ঠ বক্তার পুরষ্কার পায় এবং আইয়ুব খান সেই অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলো । সে সময়েই এই খুদে সাপটি প্রথম নজরে আসে । পরবর্তীসময়ে ২১ শে এপ্রিল ১৯৭১ সালে নগরকান্দায় যেদিন পাকিস্তানী বাহিনী আক্রমণ চালায় সেদিন থেকেই বাবা শমশের মোল্লার হাত ধরে খুনী আকরাম কোরায়শীর সাথে হাত মেলায় এই নরপশু মুসা ।
মুসার প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় শহরের মদনগোপাল আংগিনার চন্দ্রকান্ত নাথ, গৌরগোপাল আংঙ্গিনার বিজয় মজুমদার,টেপা খোলার কবির আহমেদ চৌধুরী,গুড় বাজারের শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ দুলাল, খোদাবক্স রোডের অপরেশ সাহা, ভোম্বল সাহা, বৈদ্যনাথ সাহাকে খুন করে এই পাকি হানাদার বাহিনী এই নুলা মুসার সহযোগিতায় । একাত্তরে এই নুলা মুসা যে একাই তার সব অপকর্ম করেছে নগরকান্দায় তা নয় । তার লুটপাটের সহযোগী হিসেবে যাদের নাম খুবই উল্লেখযোগ্য , তারা হলো , মজিদ বিহারী ,আবুল বিহারী ,কালু বিহারী, চান্দা, ভেটকা, আয়নাল, আইয়ূব, অনু,পান্নু, চন্দন,রবি,হাম্মাদ মৌলানা সহ অনেক পাকি দোসর । নিত্যানন্দ কবিরাজ, সুখেন্দু রায়,মুক্তিযোদ্ধা আজাদ সিদ্দীকি অহিভূষন পোদ্দার, ধীরেন সাহা, চন্দ্রকান্ত পোদ্দার সহ আরো অনেক নিরীহ মানুষের বাসায় আজকের ডক্টর প্রিন্স মুসা বিন শমশের আগুন ধরিয়ে দেয় । এই লাহিড়ীপাড়া,ওয়ারলেস পাড়া,শোভারামপুর সহ বিভিন্ন এলাকার নির্যাতিত মানুষের মুখে মুখে আজও সেই নির্যাতনের গল্প আর মুসার বিভিষীকাময় সে গল্প রূপকথার গল্পকেও হার মানায় তার দুই সময়ের কর্মকান্ডে । ১৯৭১ সালের রাজাকার নুলা মুসা আর বর্তমানে অসীম বিত্ত আর বৈভবের মালিক ডক্টর প্রিন্স মুসা ।
ডক্টর এম এ হাসানের ১৯১ জন পাকিস্তানী যুদ্ধপরাধী বইটিতে ফরিদপুর নগরকান্দা উপজেলার দায়িত্বে থাকা পাকি অফিসার মেজর আনসারী, মেজর আকরাম কোরায়শী ও সিপাহী রাশিদ খান (বেলুচ) সম্পর্কে সেই অঞ্চলেরই কিছু সাক্ষীর জবানবন্দীতে পাকি হানাদারদের তান্ডব এবং সেসময় নুলা মুসার প্রত্যক্ষ মদদ সম্পর্কে আরো জানা যায় । এম এ হাসানের ১৯১ পাকিস্তানী যুদ্ধপরাধীদে বইটির ৪৮ নাম্বার পৃষ্ঠা থেকে কিছু অংশ বলছি--
“আমাদের গাড়ি গিয়ে থামল ফরিদপুর সার্কিট হাউসের ভেতরে। দেখলাম চেনা-অচেনা অনেককে সেখানে আটকে রাখা হয়েছে। আমাদেরকে একটা রুমের ভেতরে নিয়ে গেল। সেখানে পাকিস্তানি মেজর আকরাম কোরেশীর সঙ্গে আমাদের মুসা বিন শমসের ও নাজমা ক্ল স্টোরের মালিককে দেখলাম খোশ গল্প করছে। এই মেজরকে তখন চিনতাম না, পরে নাম জানতে পেরেছি। সিএন্ডবি ও পাবলিক হেলথের দু’জন ড্রাইভার এবং অন্য ছ’জন আর্মিও সেখানে দাঁড়ানো ছিল। যাহোক কিছুক্ষণ পর সার্কিট হাউজে মেজর কোরেশীর রুমে আরও বারো-তেরো জন যুবককে ধরে আনল পাকি সেনেরা। তারপর তাদের সবাইকে বাইরে এনে রাস্তার পাশে লাইন করে দাঁড় করাল। আমরা রুমের ভেতর থেকেই সব দেখতে পারছিলাম। মুহূর্তের মধ্যে তাদের ওপর মেশিনগান চালিয়ে দেওয়া হল। আমরা চিন্তাই করিনি, এ রকম ভয়াবহ ঘটনা ঘটতে পারে। দেখলাম ধীরে ধীরে নিথর হয়ে আসছে দেহগুলো। আমাদেরও একই পরিণতি হবে ভেবে দু’ভাই ততক্ষণে কাঁপতে শুরু করেছি। এর পর তিন জন আর্মি আমাদের রুমে এসে ঢুকল। তাদের একজন বলল, আমাদেকে মারা হবে না। আরেকজন বলল, ‘মারা হবে না মানে? আমি নয় আদমি মেরেছি, এই শালাদেরকেও মারব।’ আমার তখন জ্ঞান হারানোর দশা। মুসা বিন শমসের আমাদেরকে ভালভাবেই চিনত।মেজর যখন আমাদের পরিচয় জিজ্ঞেস করল, তখন সে কোন কথাই বলল না। আর্মির সঙ্গে মুসার তখন অনেক খাতির। আমরা আশা করেছিলাম, সে কিছু একটা বলবে । কিন্তু তার মধ্যে কোন রকম প্রতিক্রিয়া দেখতে পেলাম না”
নুলা মুসার নামে ১৯৭১ সালে একটি বড় অভিযোগ ছিলো, সে ফরিদপুরের তালমা’র অমূল্য কুন্ডু এবং কার্তিক সাহার বাড়ি থেকে লুট করে এনেছিলো প্রায় আট মন সোনা । উল্লেখ্য কার্তিক সাহা ও অমূল্য কুন্ডু স্বর্ণের ব্যাবসায়ী ছিলেন । মূলত পাকি মেজর আকরাম কোরায়শীর অনেকটা চামচা গোছের ভৃত্য ছিলো এই মুসা । কোরায়শীর বিভিন্ন মিশনের ফায়-ফরমাশ খাটাই ছিলো আজকের ডক্টর মুসা বিন শমশেরের প্রধান কাজ ।
মুসা বিন শমশের ১৯৭১ সালে পাকিস্তানী হানাদার আকরাম কোরায়াশী ও আরো সৈন্যকে নিয়ে যখন ফরিদপুরের মহিম স্কুল সংলগ্ন ধর্মশালায় ঢুকে তার কেয়ারটেকার কেষ্টমন্ডলকে হত্যা করে, যখন সেই নিরীহ কেষ্টমন্ডলের চার কন্যা ননী,বেলী,সোহাগী ও লতাকে ধর্ষনের পর ধর্ষন করে রক্তাক্ত অবস্থায় পথে ফেলে যায় তখন বিধাতা কই ছিলেন জানি না ।( উল্লেখ্য সে সময় ননী আর বেলীকে পাকিস্তানী আর্মি তাদের ক্যাম্পে নিয়ে যায় ।) আমি এও জানিনা যখন ওই হানাদার আর্মি অফিসার ফরিদপুর শহরের গোয়ালচামট এলাকার মদন গোপালের মেয়ে কমলা ঘোষকে ধর্ষন করে বীরত্বের বুক ফুলিয়ে চলে গিয়েছিলো, জানিনা তখন বিধাতা কোথায় ছিলেন । হায় বিধাতা !! পরবর্তীতে ওই চার বোন আর তাঁদের মা মাখন বালার স্থান হয় ফরিদপুরের পতিতা পল্লীতে । আজ স্বাধীনতার এত বছর পরে বুড়ো বটগাছের মতন বেঁচে আছেন আমাদের ওইসব জননীরা নিভৃতে আর নিরবে । ৪০ বছরের অশ্রু গালে আর চোখে নিয়ে তারা বেঁচে থাকবেন নিঃশ্ব হয়ে । এই-নিয়তি । ওইদিকে কমলা ঘোষের কি হয়েছিলো জানতে চান ?
কমলা ঘোষের স্বামী জানতে পারে তার স্ত্রী’র লাঞ্চিত ও নির্যাতিত হবার ঘটনা । স্বভাবতই কুত্তার বাচ্চা স্বামী বঙ্গ জননী কমলাকে আর ঘরে নেয় নি । তেলাপোকা আর বীভৎস শুওরের বাচ্চার মত কমলাকে নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলো সেই অমানুষ । ফলশ্রুতিতে কমলা দেশের বাইরে আশ্রয় নেয় স্ময়ের পরিক্রমায় । এখন তিনি দেশের বাইরে বেঁচে আছেন একা হয়ে । সে দুঃস্বপ্নকে তাড়া করে । একা …একা ।
ওয়ার ক্রাইমস ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটির তালিকায় ফরিদপুর জেলার প্রধান ১৩ জন রাজাকারের মধ্যে তার নাম আছে শুরুর দিকেই। কিন্তু যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর ঘৃন্য রাজাকার মুসা বিন শমশের ওরফে নুলা মুসা নিজেকে রীতিমতো ‘মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক’ হিসেবে দাবি করে বসে আছে! ‘ওয়ার ক্রাইম ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটি’র আহ্বায়ক ডা. এমএ হাসান আওয়ামী লীগে যুদ্ধাপরাধী খোঁজার বিষয়ে বলেন, ‘আমি প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করবো, দলের মর্যাদা অক্ষুণ্ন ও নিষ্কলুষ করার জন্য নিজেদের উদ্যোগেই জরুরি ভিত্তিতে একটি তদন্ত কমিটি করা উচিত।’ (আমাদের সময়, ২৮ এপ্রিল, ২০১০)
১৯৭১ সালের আগে এই নুলা মুসা ১৯৭০ সালের নির্বাচনে আওয়ামীলীগের পক্ষে মাইকিং করেছিলো । ১৯৭১ সালের অসহযোগ আন্দোলনেও তার ভুমিকা ছিলো বলে কথিত রয়েছে । ২১ শে এপ্রিল যখন ফরিদপুরে পাক সেনারা ঢোকে তখন এই নুলা মুসাই পাক আর্মিদের স্বাগত জানিয়েছিলো । ২২ শে এপ্রিল ১৯৭১ সালে এই আকরাম কোরায়শীর সাথে এক বৈঠকে এই নুলা মুসাকে দেখা যায় ।এই ঘটনার প্রতক্ষ্যদর্শী ছিলেন ফরিদপুরের মুক্তিযোদ্ধা এ কে এম আবু ইউসুফ সিদ্দীক পাখি ।
মোটামুটি আপনাদের কল্পনারও বাইরে নুলা মুসার সম্পত্তি আর তার অর্থের পরিমাণ সম্পর্কে ধারনা করা , কেননা নুলা নিজেই এই সম্পদের প্রকৃত হিসেব জানে না । সংক্ষেপে বলছি নুলা মুসার ধন সম্পদের আর ক্ষমতার কথা !
ড. মুসা বিন শমসেরের ৭ বিলিয়ন ডলারের একাউন্ট ফ্রিজ করেছিল সুইস ব্যাংক।অনিয়মিত লেনদেনের অভিযোগ এনে এ হিসাব জব্দ করে সুইস কর্তৃপক্ষ। এনিয়ে আইনি লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন তার লন্ডনস্থ আইনজীবিরা। “সুইস ব্যাংকে আটকা ৫১ হাজার কোটি টাকা ফিরিয়ে আনতে প্রিন্স মুসার লবিং” ২০ ডিসেম্বর ২০১০ এর মানবজমিন প্রধান শিরোনাম এটি।
এ বিশাল অর্থ তিনি গড়ে তুলেছেন আন্তর্জাতিক অস্ত্র, তেল ও ক্ষমতার দালালী (পাওয়ার ব্রোকারেজ) করে। বাংলাদেশে তার ড্যাটকো নামে জনশক্তি রফতানির একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
ড. মুসা ১৯৯৪ সালে সর্বপ্রথম তার বন্ধু ব্রিটেনের বিরোধী দলীয় নেতা (পরে প্রধানমন্ত্রী) টনিব্লেয়ারের নির্বাচনী ফান্ডে ৫০ লাখ পাউন্ড অনুদান দেয়ার আগ্রহ প্রকাশ করে বিশ্ব দরবারে আলোচনায় উঠে আসেন। একজন বিদেশী নাগরিক হওয়ায় টনিব্লেয়ার অবশ্য সে অনুদান গ্রহণ করেননি। তার পরে নানা কর্মকান্ডের মাধ্যমে এ ব্যবসায়ী মাঝে মধ্যেই বিশ্ব মিডিয়ার আলোচনা বিষয়বস্তু হয়ে উঠেছেন। লোক মুখে আছে তার বিচিত্র ও বর্ণাঢ্য জীবনের অনেক চমকপ্রদ কাহিনী। ১৯৯৭ সালে ড. মুসা বিন শমসের তার ইউরোপিয়ান সদর দপ্তর হিসেবে একবার আয়ারল্যান্ডের কালকিনি দুর্গ কিনতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তিনি সফল হননি।
মুসা বর্তমান বাস করছেন গুলশানে অবস্থিত তার প্রাসাদোপম বাড়িতে। এ বাড়িতে প্রায় প্রতিদিনই পার্টি থাকে। সেখানে সবসময় তার দেশি বেদেশি হাইপ্রোফাইল মেহমানরা উপস্থিত থাকেন। পার্টিতে খাবার পরিবেশনের জন্য রয়েছে প্রশিক্ষিত কয়েক ডজন সেফ। এরা সবাই রান্না-বান্না ও পরিবেশনার উপর উচ্চ ডিগ্রিধারী। বিখ্যাত কলম ও স্টেশনারী প্রস্তুত কারক প্রতিষ্ঠান মন্ট ব্লাঙ্ক নুলা মুসার জন্য একটি কলম বানিয়ে দিয়েছে যার মধ্যে রয়েছে ৭,২৫০ টি ছোট ছোট হীরা । এই কলম দিয়েই নুলা মুসা সব গুরুত্বপূর্ণ দলিল দস্তাবেজ,চুক্তি,ইত্যাদি সাক্ষর করে থাকে । তার হীরক খচিত জুতো রয়েছে অসংখ্য । পৃথিবীর সব বিখ্যাত ফ্যাশন ডিজাইনার এই রাজাকারের জন্য স্যুটের ডিজাইন করে দেয় । ১৯৯৯ সালের দিকেই সম্ভবত, এই মুসা পুরো এটিএন বাংলা কয়েক ঘন্টার জন্য ভাড়া নিয়েছিলো শেরাটনে তার জন্মদিনের অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করবার জন্য । তার ব্যাক্তিগত জেট প্লেনটি ধার দেয়া হয়েছিলো আমেরিকার ডেমোক্র্যাট প্রার্থী বব ডোলের জাতীয় নির্বাচনের সময় যাতায়াতের জন্য । ১৯৯৫ সালে মৃত্যু বরণ কারী রাশিয়ার জার হবার প্রার্থী ( যিনি স্পেনে লুকিয়ে ছিলেন) আলেক্সিস-২ ছিলো এই নুলা মুসার বিশ্বস্ত বন্ধু । কঙ্গোর প্রেসিডেন্ট এই নুলা মুসাকেই ফোন করে জানতে চায় তার রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত কি হবে । রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট বরিস ইয়েলতসিন নিয়মিত খোজ নিয়ে জানত মুসা বিন শমশেরের খবরা খবর ।
পৃথিবীর হাজারো মানুষ নেলসন ম্যান্ডেলাকে সম্মান করেন । একজন জগত বিখ্যাত লেজেন্ড হিসেবে তিনি টিকে রয়েছেন আমাদের মাঝে । অথচ এই নেলসন ম্যান্ডেলা তার নিজের লেখা আত্নজীবনী এই নুলা মুসাকে উপহার দিয়েছে এবং সেখানে লিখেছে, “আমার প্রিয় বন্ধুকে” । শুধু সেখানেও ব্যাপারটি শেষ হয়ে যেতে পারত । তা হয় নি । নেলসন ম্যান্ডেলা মুসার সাথে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ভাবে বিভিন্ন উপদেশও নিয়ে থাকেন ও তাদের ভেতর খুব ভালো সম্পর্ক রয়েছে ।
জানিনা টুঙ্গি পাড়া থেকে ফরিদপুর শহরের নগরকান্দা কতদূর । তবে বিভিন্ন মাধ্যমে শেখ সেলিমের জানার কথা এই নুলা মুসা রাজাকারের কথা। আপনারা জামাত শুয়োরের বাচ্চা এবং তাদের পা চাটা কুকুর সমর্থক গুলোকে চেনেন । তাদের নাম জানেন । আপনারা এও জানেন এখানে ছাগু নামকরণের ব্যাপারটি। অথচ শেখ সেলিম তার বড় ছেলে শেখ ফজলে ফাহিমের বিয়ে যখন নুলা মুসার মেয়ে যাহারা ন্যান্সির সাথে দেন তখন গণতন্ত্রের মানসকন্যা , বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা কোথায় ছিলেন? এই বিয়ে যে প্রেমের বিয়ে তাওতো নয় । সম্পূর্ন এরেঞ্জন্ড বিয়ে । তাহলে “প্রেমে পড়লে বাপের কি করবার আছে” এই যুক্তিও খাটে না । এই বিয়ের উকিল বাপ ছিলো আমাদের চির নবীন, ৮০ বছরের দাদাভাই লেফটেনেন্ট জেনারেল হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদ ওরফে লুইচ্চা দাদাভাই। কি,চমকে গেলেন ?
যেই লোক ১৯৭১ সালে আমাদের বোন-মা কে ধর্ষন করে , উলংগ করে, আমাদের বাপ-চাচা-ভাইদের বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে মেরে ফেলেছে সে কি করে এই দেশে দিব্যি বেঁচে থাকে ? কি করে এত ধন-সম্পদ, ক্ষমতার অধিকারী হয়? এই লোকটিই ঠিক ৪০ বছর আগে মেয়েদের ধরে ধরে ধর্ষন করত আর পাকি হানাদারদের কাছে দিয়ে আসত । যেই লোকটি এত অপরাধ করেছে তার মেয়েরই সাথে আবার বিয়ে হচ্ছে তথাকথিত মুক্তিযুদ্ধের পতাকা বাহী শেখ সেলিমের ছেলের । তার বড় ছেলে ববি হাজ্জাজ অক্সফোর্ড থেকে পড়ালেখা করে, ছোট ছেলে ব্যারিস্টার হয়ে যায় লন্ডন থেকে । কি করে তা সম্ভব হয় ? আপনারা জানুন, কি করে অর্থ দিয়ে আওয়ামীলীগ কেনা যায়, বিএনপি কেনা যায়, লেবার পার্টি কেনা যায়,লিবারেল পার্টি কেনা যায়, ডেমোক্রেট কেনা যায় । আপনারা জানুন অর্থ থাকলেই কি করে রাজাকারের তালিকা থেকে শেখ সেলিমের বেয়াই হয়ে পার পাওয়া যায় ।
টাকার কাছে বিক্রি হয়ে গেছে সব মনুষ্যত্ব?
প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবেন???? জানি পারবেন না ! আমার মতই আপনাদের মুখ ফসকে বের হয়ে যাবে, “বালের দুনিয়া” .!.
সূত্রঃ
১. দৈনিক জনকন্ঠে (তুই রাজাকার)
২. দৈনিক মানবজমিন, ২০ ডিসেম্বর ২০১০
৩. ১৯১ পাকিস্তানী যুদ্ধপরাধী(এম এ হাসান)
(দয়া করে আমাকে কেউ ছাগু বলবেন না।এই পোষ্টটা শেয়ার করা উচিত মনে হল তাই করলাম।আমি অন্তর থেকে চাই শুধু শিবির জামাত না সকল দলের যুদ্ধপরাধী বিচার হোক।যাতে আমরা তরুন প্রজন্ম বলতে পারি আমরা কলঙ্ক মুক্ত ।আমি চাই যারা পবিত্র ধর্মকে নিয়ে রাজনীতি করে ধর্মকে কলঙ্কিত করে তাদেরকে এই বাংলার মাটি থেকে তাড়িয়ে দিয়ে মাটিকে কলঙ্ক মুক্ত করতে )
বিশেষ কৃতজ্ঞতায়ঃ নিঝুম মজুমদার এর "এপিটাফ" ব্লগ .!.
লিংক
১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৩৫
ডার্ক ম্যান সুজা বলেছেন: সকল দলের যুদ্ধপরাধী বিচার চাই ।
২| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৩:১৭
আহসান ০০১ বলেছেন: !!!!
৩| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৩:৪১
*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: ভাইরে, আমরা হইলাম ১০ টাকার মানুষ। এইসব রাজা রাজরাদের ব্যাপার স্যাপার নিয়া আমরা আর কি বলব! টাকা আর ক্ষমতার কাছে মনুষ্যত্ব বিক্রি তো আর নতুন কিছু না! তাছাড়া বাংলাদেশের রাজনীতি যেখানে প্রায় এ টু যেড সবই কমার্শিয়াল সেখানে এসব তো পানি পান্তা! যেমন ধরেন, আপনি জাতীয়তাবাদ বা স্বাধীনতার স্বপক্ষের চেতনা লালন করেন (যদিও এই দুটো কোন রাজনৈতিক মতাদর্শ হতে পারেনা কেননা মানুষ জন্মসূত্রেই জাতীয়তাবাদী এবং স্বাধীনতাকামী) যতই আদর্শের উপর আপনি থাকেন। দলীয় নমিনেশন দাতাদের ঠিকমতো খাইয়ে আর দলীয় ফান্ডে কিছু টাকা দিয়ে আপনার এলাকা থেকে দলীয় নমিনেশনটা আমিই নেব, আপনার আদর্শবাদিতাতে সে নমিনেশন আসবেনা গ্যারান্টি। আর ইলেকশনে দলীয় ভোটব্যাংক তো রয়েছেই, সাথে থাকছে আকিজ বিড়ি খোর ভোটার
আর সর্বসাকুল্যে এই হইল আমাদের ডেমোক্রেসি, এই হইল আমাদের সাকুল্যে রাজনীতি! বাকী সব ঝুঁট হ্যায় :দ
১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৩৭
ডার্ক ম্যান সুজা বলেছেন: টাকার কাছে বিক্রি হয়ে গেছে সব মনুষ্যত্ব ।“বালের দুনিয়া”।
৪| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৪:২৭
মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: আপনার খপর আছে বেয়াইয়ের নামে অপবাদ দিলে।
১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৩৮
ডার্ক ম্যান সুজা বলেছেন: সকল দলের যুদ্ধপরাধীদের বিচার চাই
৫| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৪:৩৮
বাবুই পািখ বলেছেন: Agree with you
৬| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৫:৩১
গরিব বলেছেন: আপনার খপর আছে বেয়াইয়ের নামে অপবাদ দিলে। তাইলে কিন্তু
শাহবাগের আন্দোলন আবার পুলিশের কু-নজড়ে পইরা যাইতে পারে !
১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৩৯
ডার্ক ম্যান সুজা বলেছেন: সকল দলের যুদ্ধপরাধীদের বিচার চাই
৭| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৬:৪০
আব্দুর রহ্মান বলেছেন: এসব মেনে নেয়া জায়না। বিচার চাই। ফাসি চাই।
৮| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৭:৩২
রিমন০০৭ বলেছেন: “বালের দুনিয়া”
৯| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৮:০৫
চলতি নিয়ম বলেছেন: +++
এই টার ও ফাসি চাই
১০| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৮:৪০
মেহেদী_বিএনসিসি বলেছেন: মাথায় উকুন বা বিছানায় ছাড়পোকা মারলে সব মারতে হয়...........দু-চারটা মারলে কোন ফায়দা হয়না..........।
তবুও একটা গুরুত্বপূর্ন বিচার যখন শুরু হয়েছে.........চলতে থাকুক........আপাতত জামাতী আর বিএনপিরগুলারে লটকানো হোক...........আর এগুলারে ঝুলালেইতো ট্রাইবুনাল বাতিল হয়ে যাবেনা..........তখন অন্য দলগুলো যখন ক্ষমতায় যাবে তখন না হয় এই প্রিন্স-বেয়াইদের বিচার হবে.....।
১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৩৯
ডার্ক ম্যান সুজা বলেছেন: সকল দলের যুদ্ধপরাধীদের বিচার চাই
১১| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:১৪
সুইট টর্চার বলেছেন: আপনি একটা ছাগু, এই জন্য যে আপনি আম্লীগে শুধু মুসা নয় আরো অনেক যুদ্ধাপরাধী আছে তাদের কথা না বলেই লেভেল প্লেইং করার জন্যে সাথে বিএনপি কে টেনে এনেছেন।আজকে যারা শাহবাগে আন্দোলন করছে তাড়াও তাদের নাম জানে কিন্ত তাদের কথা বলছেনা শুধু জামাতিদের কথাই বলছে এটাও প্রশ্নবিদ্ধ।
১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৪০
ডার্ক ম্যান সুজা বলেছেন: আমি অন্তর থেকে চাই শুধু শিবির জামাত না সকল দলের যুদ্ধপরাধী বিচার হোক।যাতে আমরা তরুন প্রজন্ম বলতে পারি আমরা কলঙ্ক মুক্ত ।
১২| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:১৮
সুইট টর্চার বলেছেন: সামুর সাহশ থাকলে পোস্টটি স্টিকি করার জন্য আবেদন জানাচ্ছি!
১৩| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:২৫
বাঁধলেই বাঁধন বলেছেন: হুমমম
১৪| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:১২
সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি বলেছেন: ক্ষমতাসীন দলের কয়েকজন রাজাকার/যুদ্ধাপরাধীদের তালিকা :
১. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। লেবার মিনিষ্টার। হাসিনার বিয়াই । ৭১ সালে তার বাড়িতেই পাকবাহিনীর
ক্যাম্প ছিলো। মোশারফের বাবা ছিলেন ফরিদপুরের শান্তি কমিটির
চেয়ারম্যান।
২. স্বরাষ্ট্রমন্ত্ রী মহিউদ্দিন খান
আলমগীর। ১৯৭১ সালে যুদ্ধের ৯ মাস
ময়মনসিংহে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (জেনারেল) ছিলেন। পাকিস্তান রক্ষার জন্য রাজাকার বাহিনী নিয়োগ কর্তা ছিলেন।
৩. এইচ এন আশিকুর রহমান। আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কমিটিরকোষাধ্যক্ষ। বর্তমানে রংপুর-৫ আসনের এমপিএবং অনুমিত হিসাব সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতাযুদ্ধক ালে আশিকুর টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হিসাবে বাংলাদেশের মধ্যে সবচেয়ে বড় রাজাকার বাহিনীর প্রতিষ্ঠাতা।
৪. সাজেদা চৌধুরী। সংসদ উপনেতা। শেখ হাসিনার ফুফু। পাকিস্তানের গেজেট করা রাজাকার। ৭/৮/১৯৭১ তারিখের পাকিস্তান সরকারের গেজেটবদ্ধ।
৫. এ ছাড়া ১৯৯৬ এর কেবিনেটে জামালপুরের নুরু রাজাকারকে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বানিয়েছিলো হাসিনা।
এই দেশে কোন রাজাকারই থাকতে পারবেনা !!
সবাইকে ধরে ধরে ফাঁসি দেওয়া হোক ।
বন্ধুরা, সব রাজাকারের একই শাস্তি কি হওয়া উচিৎ নয় কি ??
১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৩৯
ডার্ক ম্যান সুজা বলেছেন: সকল দলের যুদ্ধপরাধীদের বিচার চাই
১৫| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:৪৩
মহসিন১২৩ বলেছেন: আমার নানা ছিলেন ৭২ এ পাকিস্তান ফেরত জামাত সর্মথক, দাদা ছিলেন স্কুল শিক্ষক আ্ওয়ামিলীগ সর্মথক, আর আমি বিএনপি সর্মথক।তারা একে অপরকে সম্নান করতেন, সালামদিতেন, ককোলাকুলি করতেন, কখনও দেখিনি নিজেস্ব মতামত নিয়ে তর্ক করতে। সবাই বাংলাদেশি এক বিশাল পরিবারের মানুষ।রাজরকারের বিচারের নামে যা শুরু হয়েছে, তা চলতে থাকলে এ দেশ আফগানিস্থান হতে আর বেশি দেরি নাই।তাই বলে কি বিচার হবে না? অবশ্যই হবে, আনর্তজাতিক ভাবে স্বীকৃত, সবার কাছ গ্রহন যোগ্য উপায়ে।
১৬| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:১৭
সাদা রং- বলেছেন: অনেক আগে একবার ওর ফিচার পড়ে ছিলাম ঐখানে তাকে বিরাট প্রভাবশালী হিসাবে উপস্থাপন করেছে।
১৭| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:০৭
খুব সাধারন একজন বলেছেন: প্রিন্স সাহেব নাকি বাংলাদেশের সবচে বড় ধনী এবং রাজাকার?
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৩:০৫
রানার ব্লগ বলেছেন: ফাঁশি চাই এক্ষনি , আর নয় দেরি