নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সুস্থ মানসিকতা এবং সুন্দর মনের মানুষদের বন্ধু হিসেবে পেতে চাই...
*** মডারেটরের প্রতি অনুরোধ রইল, আমার এই পোস্টটিকে সরিয়ে না ফেলার। এই পোস্টে কাউকে কটাক্ষ করা হচ্ছে না, বরং মুসলমানদের জন্য কিছু ফিকহি মাসয়ালা শেখার সুযোগ রয়েছে।
প্রথমেই গতকালকের ঘটে যাওয়া ব্লগার থাবা বাবা হত্যা কান্ডের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং এই হত্যাকান্ডের বিচার দাবী করছি। কোন যৌক্তিক দাবীতে আন্দোলন করলে এবং তার সাথে মতে মিল না থাকলে তাকে মেরে ফেলতে হবে, সেটা কখনোই গ্রহণযোগ্য নয় !! যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দাবী আস্তিক, নাস্তিক সকলেরই দাবী। আমিতো বলি, শুধু এই পাচ-ছয়জন কেন? একাত্তরের সকল যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হতে হবে। শুধু পাচ-ছয় জনের ফাসী দিয়ে এই বিচার সমাপ্ত হলে সেটা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে রইবে।
এখন প্রসংগ হল, ব্লগার থাবা বাবা একজন আত্মস্বীকৃত নাস্তিক ছিলেন। আল্লাহ এবং তার প্রেরিত রাসূল (সঃ) কে নিয়ে তার বেশ কিছু কুরুচীপূর্ণ লেখা তার মৃত্যুর পরে সামনে চলে এসেছে। এর আগে আমি ওনাকে চিনতামই না। যাহোক, ব্লগে বিভিন্ন ধরণের আলোচনা দেখতে পাচ্ছি। তার নামাযে জানাযা নিয়েও কথা হচ্ছে। আমাদের জানা প্রয়োজন, এ ব্যাপারে আল্লাহ এবং রাসূল(সঃ) এর সুন্নাহ কি।
যারা মুসলমান এবং আল্লাহর হুকুম এবং রাসূল(সঃ) এর সুন্নাহ মোতাবেক নিজের জীবনকে পরিচালনা করেন, তাদের একজন অবিশ্বাসী'র ব্যাপারে আল্লাহ এবং তার রাসূল(সঃ) নির্দেশনা মেনে চলতেই হবে, এখানে বিভ্রান্তির কোন সুযোগ নেই। নইলে আল্লাহর মনোনীত দ্বীন থেকে বিচ্যুত হয়ে যাওয়ার আশংকা আছে। যেসব নাস্তিক ইতোমধ্যে মারা গিয়েছেন তাদের জন্য তো আর কিছু করার নেই, তবে যারা বেচে আছেন, তাদের হেদায়েতের জন্য আমরা সবাই আল্লাহর কাছে দোয়া করি।
নাস্তিক ব্যক্তির জন্য দোয়া করা বা জানাযা নামাজ পড়ার ব্যাপারে islamqa সাইটে শাইখ মুহাম্মদ সালিহ আল মুনাজ্জিদ এর দেয়া ফতোয়াটি আমি এখানে বংগানুবাদ করে তুলে দিচ্ছি আপনাদের সেবায়। আশা করি এ ব্যাপারে মুসলমানগণ ভালভাবে অবগত হবেন এবং অনুধাবণ করবেন।
আলহামদুলিল্লাহ !
যদি কোন ব্যক্তি মুসলিম ঘরে জন্মগ্রহণ করে এবং পরে সে নাস্তিক হয়ে যায়, ইসলাম ধর্মে আর বিশ্বাস না করে এবং সে অবস্থায় তার মৃত্যু হয়ে যায়, তাহলে যে ব্যক্তি তার এই অবস্থা সম্পর্কে জ্ঞাত, তার জন্য সেই নাস্তিক ব্যক্তির জানাযার নামাজে অংশগ্রহণ করা বা তার জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করা বা তাকে গোসল দেয়া, কাফনের কাপড় পড়ানো এবং মুসলমানদের কবরস্থানে দাফন করা জায়েজ নয়।
কারণ আল্লাহ বলেছেনঃ
مَا كَانَ لِلنَّبِيِّ وَالَّذِينَ آمَنُواْ أَن يَسْتَغْفِرُواْ لِلْمُشْرِكِينَ وَلَوْ كَانُواْ أُوْلِي قُرْبَى مِن بَعْدِ مَا تَبَيَّنَ لَهُمْ أَنَّهُمْ أَصْحَابُ الْجَحِيمِ
নবী ও মুমিনের উচিত নয় মুশরেকদের মাগফেরাত কামনা করে, যদিও তারা আত্নীয় হোক একথা সুস্পষ্ট হওয়ার পর যে তারা দোযখী।
(সূরা তওবা, আয়াত ১১৩)
وَلاَ تُصَلِّ عَلَى أَحَدٍ مِّنْهُم مَّاتَ أَبَدًا وَلاَ تَقُمْ عَلَىَ قَبْرِهِ إِنَّهُمْ كَفَرُواْ بِاللّهِ وَرَسُولِهِ وَمَاتُواْ وَهُمْ فَاسِقُونَ
আর তাদের মধ্য থেকে কারো মৃত্যু হলে তার উপর কখনও নামায পড়বেন না এবং তার কবরে দাঁড়াবেন না। তারা তো আল্লাহর প্রতি অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করেছে এবং রসূলের প্রতিও। বস্তুতঃ তারা না ফরমান অবস্থায় মৃত্যু বরণ করেছে।
(সূরা তওবা, আয়াত ৮৪)
মুসলিম শরীফের ৯৭৬ নাম্বার হাদীসে বর্ণিত আছে, হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেছেন, রাসূল (সঃ) বলেছেন, "“আমি আল্লাহর কাছে আমার মায়ের মাগফিরাতের জন্য দোয়া করার অনুমতি চেয়েছি কিন্তু তিনি তা দেননি। এবং আমি তার কাছে আমার মায়ের কবরের কাছে যাওয়ার অনুমতি চেয়েছি, তিনি তা দিয়েছেন।“"
সুতরাং, এটা স্পষ্ট যে, যে ব্যক্তি “শিরক” অথবা “কুফর” অবস্থায় মারা গেল, তার জন্য দোয়া করা কোন মুসলমানের জন্য জায়েজ হবে না।
এবং আল্লাহই সবচেয়ে ভাল জানেন।
=============================================
শেষ কথাঃ
একজন মৃত নাস্তিক বা অবিশ্বাসী ব্যক্তির জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করে তার বিশ্বাসের প্রতিই কিন্তু অশ্রদ্ধা প্রদর্শন করা হচ্ছে যেটা বেচে থাকলে তিনি নিজেই পছন্দ করতেন না। তাকে তার বিশ্বাস নিয়েই শান্তিতে থাকতে দিন।
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৩১
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: জামাত শিবিরের রাজনীতি আমিও সাপোর্ট করি না, তারা ইসলামের মূল আদর্শ থেকে অনেকটাই সরে গিয়েছে।
কে খুন করেছে সেটা আমরাও জানি না, তদন্তেই বের হয়ে আসবে আশা করি...
২| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:২৮
ডিজ৪০৩ বলেছেন: তুই কে একটু সাহবাগে এসে এটা বলিস........।
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৩২
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: ভাইরে, গতকালকেও আমি শাহবাগে ছিলাম...
৩| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:০১
পুংটা বলেছেন: ধন্যবাদ ভালই দিয়া গেলেন..... বাঙালীর তিনটা হাত, ডানহাত, বামহাত আর অজুহাত।
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:০৯
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: পোস্টে কি বললাম আর আপনি মন্তব্য কি দিলেন??? !!!
৪| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:০৮
ফাঁকা মাঠ বলেছেন: সবার উপরে নাস্তিক সত্য তাহার উপরে নাই। নাস্তিক মরলে তখন সবাই বলা শুরু করে সে ইসলাম কে গালি দিলেও সে সবার আগে মানুষ। নাস্তিক মরলে হয়ে যায় মানুষ কিন্তু শিবির মরলেও শিবির বাচলেও শিবির। যেন শিবির যারা করে তারা মানুষ না।তাদের জবাই করার শ্লোগান দিলেও কোন সমস্যা নাই। কারন তারা তো আর মানুষ না। তারা শিবির করে। তাই এখন কবিতা চেঞ্জ করে এইটা করার দাবী জানাই "সবার উপরে নাস্তিক সত্য, তাহার উপরে নাই"
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:১৩
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: ভাই, পোস্টে কথা হচ্ছিল, নাস্তিক ব্যক্তির জন্য জানাযা প্রসংগে। কারণ, সাধারণ মুসলমানগণ অনেকেই খেয়াল করেন না যে একজন নাস্তিক বা অবিশ্বাসীর জানাযায় অংশগ্রহণ বা তার জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করা নাজায়েজ এবং ঈমানের পরিপন্থী...
মুসলমানদের সতর্ক করার জন্যই আমার এই পোস্ট...
৫| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:১৬
পুংটা বলেছেন: হিন্দু-মসুলমান, ধনী-গরিব, আস্তিক-নাস্তিক ইত্যাদি ইত্যাদির উর্ধে একজন মানুষকে হত্যা করা হয়েছে... এটা ভাবতে পারছেন না কেন?
কে নাস্তিক কে আস্তিক এটার বিচারও কি আমরা করবো...???
সবার আগে মানুষ সত্য...
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:২৩
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: হিন্দু-মসুলমান, ধনী-গরিব, আস্তিক-নাস্তিক ইত্যাদি ইত্যাদির উর্ধে একজন মানুষকে হত্যা করা হয়েছে... এটা ভাবতে পারছেন না কেন?
ভাই, আপনি মনে হয় আমার পোস্টের প্রথম প্যারাটা পড়েন নি... দয়া করে আবার পড়ুন...
কে নাস্তিক কে আস্তিক এটার বিচারও কি আমরা করবো...???
আমাদের এটা বিচার করতে হবে না, থাবা বাবা ওরফে রাজীব ভাইই সেটা বলে দিয়ে গিয়েছেন...
সবার আগে মানুষ সত্য...
সেজন্যই জীবিত সকল নাস্তিকের হেদায়েতের জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করেছি...
৬| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:৫১
ছারমী বলেছেন: সময়ের সাহসি পোস্ট। মানুষ হত্যা কোনভাবেই কাম্য নয়। কিন্তু নাস্তিকের জানাযা এটা একটা লোক দেখানো খেলা ছাড়া আর কিছু না। এতে তার আত্মা আরো বেশি কষ্ট পাবে।সে যাকে ভালবাসেনি, যাকে গালাগালি করত আজ তার আনিত দ্বীনের উপর, তার মিল্লাতের উপর তার দাফন হবে এটা কোন ভাবেই যৌক্তিক বলে মনে হয় না।
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:৫৯
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: জাজাকাল্লাহ খায়র... আপনার মতামতের সাথে সহমত।
নাস্তিককে কিভাবে রাসূল (সঃ) এর মিল্লাতের উপর দাফন করা যাবে??? !!!
৭| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:৫৪
পুংটা বলেছেন: "কে নাস্তিক কে আস্তিক এটার বিচারও কি আমরা করবো...???
আমাদের এটা বিচার করতে হবে না, থাবা বাবা ওরফে রাজীব ভাইই সেটা বলে দিয়ে গিয়েছেন... "
বাপরে... থাবা_বাবার কথা আপনি এত্তো মানেন...?
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:৫৮
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: বাপরে... থাবা_বাবার কথা আপনি এত্তো মানেন...?
এখানে মানার প্রশ্ন আসে কোথা থেকে?? বিষয়টাতো জানার এবং সেটা তিনিই আমাদের জানিয়ে দিয়ে গেছেন।
ব্লগার আসিফ মহিউদ্দীন বা প্রভাষক এর মৃত্যুর পর কি আমাদের নতুন করে জানতে হবে তারা নাস্তিক ছিলেন না আস্তিক ছিলেন??
৮| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:০৮
shomoyerdam বলেছেন: দল-মত নির্বিশেষে সবাইকে ব্লগার রাজিব হায়দার শোভন হত্যার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। অবশ্যই খুনীদের বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। কারণ আমরা যে সরকারের বিরুদ্ধে ফ্যাসিবাদের অভিযোগ করছি প্রতিনিয়ত, সেই ফ্যাসিবাদে মত প্রকাশের জন্য মানুষকে জীবন দিতে হয়। ফ্যাসিবাদ এমন এক অন্ধকার, যেখানে পক্ষ-বিপক্ষ সবার প্রাণই অনিরাপদ হয়ে যায়।
রাজীব সরকারদলীয় একজন নেত্রীর ছেলে। তারপরেও তাকে খুন হতে হয়েছে। আওয়ামী লীগের ঘাটি পল্লবী, সেখানে কি না নিজের বাড়ির সামনে তিনি নৃশংসভাবে খুন হয়েছেন। তাহলে যারা সরকার বিরোধী, বিরোধী দলের নেতা-কর্মী বা ভিন্নমতের লোক তাদের নিরাপত্তা কতটুকু আছে?
আমি মনে করি রাজীবকে খুন করার মাধ্যমে বাংলাদেশের সব মানুষকে খুন করার ইশতেহার ঘোষণা করা হয়েছে। কাজেই রাষ্ট্র ও সরকারকে এমন সব প্রচেষ্টা দৃশ্যমান করতে হবে যে তারা এই ইশতেহারের সাথে ভিন্নমত পোষণ করেন। অবশ্যই খুনীদের গ্রেফতার ও বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। এবং আর যেন কোন মানুষ মত প্রকাশের জন্য খুন না হন।
আমরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি, সরকার কী ব্যবস্থা নেয়। কারণ এর আগে আমরা সাংবাদিক সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনিকে খুন হতে দেখেছি। তাদের খুনীদের আজো বিচারের মুখোমুখি করা হয়নি। আমরা দেখেছি ইলিয়াস আলীকে গুম করা হয়েছে। কিন্তু দায়ীদের বিচার কিম্বা ইলিয়াস আলীকে উদ্ধার করা হয়নি। গত চার বছরে শত শত মানুষ রাজীব হায়দারের মতই গুপ্ত হত্যার শিকার হয়েছেন। অনেকেই গুম হয়েছেন। কিন্তু এ ব্যাপারে আজো কাউকে জবাবদীহী করতে হয়নি।
বাংলাদেশের সব মানুষের প্রাণের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবিতে সবাই সোচ্চার হোন। ফ্যাসিবাদ নিপাত যাক। ভিন্ন মতালম্বীরা জিন্দাবাদ।
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৮
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: রাজীব হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত দাবী করছি। প্রকৃত খুনীদের সবোচ্চ শাস্তি দাবী করছি !!!
৯| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:১২
অন্ধ দাঁড়কাক বলেছেন: আপনার পোস্টের সাথে সহমত। তাঁর এই মৃত্যুকে কেউই মেনে নিতে পারেনি, সবাই সেটার জন্য প্রতিবাদ জানাচ্ছে। কিন্তু থাবা বাবা নিজেই ইসলাম ধর্মে বিশ্বাসী ছিলোনা, তাহলে তাকে জানাজা পড়ানো হবে কেন? কারো যদি তার নাস্তিকতায় আপত্তি না থাকে তাহলে তাকে ইসলাম ধর্মমতে জানাজা পড়ানোর কারণ কি হতে পারে ? সেটা কি তাঁর প্রতি চরম অসম্মান দেখানো হচ্ছেনা?
আর একটা ব্যাপার, এইখানে অনেকে একটা জিনিস ভুলে যাচ্ছে, অনেক ধার্মিক মুসলিমও শাহবাগ আন্দোলনে শামিল। তাদের ধর্মীয় অনুভূতি নিয়ে কিছু বলা উচিত না। কেউ যদি নাস্তিক কারো জানাজায় শরীক হতে না চায়, সেটা তাঁর ব্যক্তিগত অধিকার হওয়া উচিত। এর মানে এই না যে সে আন্দোলনের পক্ষে নেই।
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৪
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: আপনার খুব সুন্দর এই মন্তব্যটির জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। আশা করি আমরা সবাই ব্যাপারটা বুঝব...
১০| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৯
পুংটা বলেছেন: ব্লগার আসিফ মহিউদ্দীন বা প্রভাষক এর মৃত্যুর পর কি আমাদের নতুন করে জানতে হবে তারা নাস্তিক ছিলেন না আস্তিক ছিলেন??.........
বাপরে, আপনিতো সবজান্তা... আখেরাতের বিচার বিশ্বাসই করেন না।
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৫
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: ফাজলামো করতে ইচ্ছে হয় সেটা অন্যখানে গিয়ে করুন এখানে নয়...
চুলকানী বেশী হলে বিচ্ছু মলম লাগান, এখানে খাউজানোর দরকার নাই, ওকে???
১১| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৪
দায়িত্বশীলভাই বলেছেন: নিহত জঘন্য নাস্তিক "থাবা বাবার" জানাযার নামাজ পড়া যাবে কিনা সহীহ বুখারির একদিন হাদীস পড়ে বুঝে নিন।
"হজরত আব্দুল্লাহ ইবন ওমর (রা) থেকে বর্ণিত, মুনাফিক নেতা আব্দুল্লাহ বিন উবাই যখন মৃত্যুবরণ করলো, তখন তার ছেলে আব্দুল্লাহ এসে রাসূল (সাঃ) এর কাছে আরজ করলোঃ হে রাসূল (সাঃ), আপনার পরিধেয় কাপড়টি চাই আমার পিতার কাফন দিতে। আপনি জানাজার নামাজ পড়াবেন এবং আমার বাবার রুহের মাগফেরাতের জন্য দোয়া করবেন।
রাসূল (স) তাঁর কাপড় দিলেন এবং যথাসময়ে জানাজার নামাজ পডানোর জন্য প্রস্তুতি নিলেন। এই সংবাদ পাওয়া মাত্রই হজরত ওমর (রা) রাসূল (স) এর জামা টেনে ধরে বললেন, আল্লাহ আপনাকে মুনাফিকদের জানাযা পড়তে কি নিষেধ করেন নি? জবাবে রাসূল (স) বললেন, দোয়া করা না করা উভয়ই আমার এখতিয়ার। আল্লাহ আমাকে এই ব্যাপারে পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছেন। যেমন আল্লাহ বলেনঃ
"হে রাসূল (স), আপনি তাদের জন্য মাগফেরাত কামনা করুন আর নাই করুন, উভয়ই সমান। আপনি সত্তুর বার ক্ষমা প্রার্থনা করলেও আল্লাহ তাদের ক্ষমা করবেন না।"
অতঃপর রাসূল (স) আব্দুল্লাহ বিন উবাইয়ের জানাযার নামাজ পড়ালেন। তারপর রাসূল (স) এর উপর মুনাফিকদের জানাযার নামাজ না পডানোর নির্দেশ দিয়ে আল্লাহর পক্ষ থেকে ওহী নাযিল হলোঃ "হে রাসূল (স), মুনাফিকদের মাঝে কেউ মারা গেলে আপনি তাদের কারো কখনো জানাযার নামাজ আদায় করবেন না। এমনকি তার কবরের পাশেও দাডাবেন না।"
সূত্রঃ মূল কিতাবের ১৬৯ পৃষ্ঠা
অধ্যায়ঃ কাফনের জন্য জামা দান প্রসঙ্গ
সহীহুল বুখারী
এই হাদীস থেকে প্রমান হয়ে গেল ঐ নাস্তিকটার জানাযার নামাজ পড়া যাবেনা। সারাজীবন যে আল্লাহ-রাসূলের (সাঃ) বিরোধীতা মরার পর তার আবার জানাযার নামাজ!! ঐটাকে মাটি দিয়ে পুতে রাখা হোক।
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৮
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: জাজাকাল্লাহ খায়র...
আপনার শেষ প্যারার ব্যাপারে বলছি, আমরা আরো সুন্দরভাবে কোন কিছু উপস্থাপন করি...
১২| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৯
আমি ইহতিব বলেছেন: অনভিপ্রেত মৃত্যু কারোই কাম্য নয় সে যেই হোক না কেন। যেভাবে রাজীব ভাইয়ের মৃত্যু হলো তার প্রতি তীব্র ঘৃণা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
আপনার পোস্টের ব্যাখ্যা যথাযথ ও সময়োপযোগী হয়েছে। কিন্তু কিছু মানুষ কেনো ভুল বুঝছে তা বুঝতে পারছিনা, একটা মানুষের ভালো খারাপ দুটো দিকই থাকবে এটাই স্বাভাবিক, আমরা ভালোটাকে ভালোই বলবো খারাপকে খারাপ। একটা লোক আত্বস্বীকৃত নাস্তিক, তাকে নিয়ে এতো মহানুভবতা দেখানোর কি প্রয়োজন আছে বুঝিনা, যার যার অভিমত তার তার কাছে, যে লোকটা ধর্মই মানতোনা তাকে নিয়ে ধর্মীয় রীতি পালনের কি যৌক্তিকতা আছে?
শাহবাগের অতুলনীয় গণজাগরণে এই ইস্যুটা নিয়ে মাতামাতি না করলেই মনে হয় ভালো হয়।
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৫০
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
এই পোস্টে আমার উদ্দেশ্য ছিল, মুসলমানদের কে তাদের ধর্মীয় অনুশাসন সম্পর্কে সচেতন করা।
কিছু ভিন্ন মতাবলম্বী অতি প্রতিক্রিয়াশীল আচরণ করছেন, আশা করি এক সময় তারাও সঠিক পথে আসবেন।
১৩| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪২
onlyone বলেছেন: সুন্দর
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:২৮
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: জাজাকাল্লাহ খায়র...
১৪| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:২২
লালবািত বলেছেন: কোন মুসলমানের জানাযা তিন তাকবীরে হয়না। ওটা নাস্তিকের জানাযা ।
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৯
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: ইমাম সাহেবের বুদ্ধি আছে বলতে হয়...
১৫| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:৫৪
চন্দনকন্যা বলেছেন: ভাইয়া আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার এই পোষ্ট টি পরে আমি আনেক কিছু জানতে পেরেছি। কিন্তু থাবা বাবা আল্লাহ আর নবী করিম (সা নিয়ে যা লিখেছেন তা আমি কিছুই খুজে পাচ্ছি না। পেলে হয়তো ভাল হত।
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:২৭
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ। আশা করি আমরা ইসলাম এর বিধানগুলো জেনে বুঝে সে অনুযায়ী আ'মল করব।
থাবা বাবা'র লেখাগুলো দেখতে হলে তার ফেইসবুক প্রোফাইল দেখতে হবে যেহেতু ব্লগগুলো তার বাজে লেখাগুলো সরিয়ে ফেলেছে।
আপনি এই পোস্টের ৩ এবং ৪ নং মন্তব্যের লিঙ্কগুলো দেখতে পারেন।
Click This Link
১৬| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:০৭
চন্দনকন্যা বলেছেন: আপনাকে আবারও অসখ্য ধন্যবাদ। আমার পরিচিত কিছু মানুষ থাবা বাবা যে নাস্তিক ছিলেন তা বিশ্বাস করেন না। আমি তাদের কে এগুলো দেখাবো।
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:৪৪
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: ঠিক আছে...
যদি মুসলমান হয়ে থাকেন, তাহলে বলছি, থাবা বাবাতো চলে গেছে, তার জন্য অবশ্যই দুঃখ থাকতে হবে মনে, কারণ সে ঈমান ছাড়া চলে গেছে। থাবা বাবা'র মত যারা দুনিয়াতে বেচে আছে এবং এই জঘন্য কাজে লিপ্ত আছে, তাদের সবার জন্য আমরা দোয়া করি। এরা যদি ভুল বুঝতে পেরে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে, আল্লাহ যেন এদের সরল পথে চলার তৌফিক দান করেন, আমিন।
দুনিয়ার প্রতিটি মানুষ উম্মতে মোহাম্মদী, সুতরাং সবাই যাতে জাহান্নামের আগুন থেকে বেচে জান্নাতে যেতে পারে, সেই দোয়াই আমাদের করতে হবে এবং সেজন্য মানুষকে সত্যের পথে ডাকতে হবে।
©somewhere in net ltd.
১| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:২৮
বিত্তবান ফকির বলেছেন: আমার ব্লগটি স্থগিত অথবা ব্যান করে দিয়েছে।
আমার আর ব্লগ লিখতে পারছি না।
তাই মতামতেই আমি আমার কথা লিখি।
গতকাল থাবা বার মৃত্যুর খবর পেয়ে আমি সাথে সাথে প্রতিক্রিয়া জানাই।
আর আমার লেখাটি ছিল নিরপেক্ষ দৃষ্টিকোণ থেকে। থাবা বাবা কে যে জামাত-শিবির খুন করেছে এটা শিওর কিভাবে আমরা হই? আমি এই ব্যাপার ব্যাখার করেছি। আর সাথে সাথে নিন্দা জানিয়েছি খুনের।
আমি জামাত শিবির কখনোই সাপোর্ট করি না। ওদের ঘৃণা করি। কিন্ত আমাকে কেন ব্যান করা হল?