নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

[email protected]

"প্রত্যেক সত্ত্বাকে মৃত্যু আস্বাদন করতে হবে। আর তোমরা কিয়ামতের দিন পরিপূর্ণ বদলা প্রাপ্ত হবে। তারপর যাকে দোযখ থেকে দূরে রাখা হবে এবং জান্নাতে প্রবেশ করানো হবে, নিঃসন্দেহে সে হল সফল। আর পার্থিব জীবন ধোঁকা ছাড়া অন্য কোন সম্পদ নয়।" আল ইমরান,আয়াত ১৮৫

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম

সুস্থ মানসিকতা এবং সুন্দর মনের মানুষদের বন্ধু হিসেবে পেতে চাই...

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

নোরুজ ঘোরাঘুরি - শিরায নগরী দর্শন - শেষ পর্ব

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৭

শিরাযে আজ শেষ দিন। সকালে রয়াল শিরায হোটেলের জম্পেশ বুফে নাশতা করে হোটেল থেকে চেক আউট করে বের হতে প্রায় ১০ টা বেজে গেল। রৌদ্রোজ্জল দিন, বেশ গরমই লাগছিল বলা চলে। আমার পরিবার এবং আমাদের সহভ্রমনকারী লেমনের পরিবার, দু’টো গাড়ি রওনা হয়ে গেলাম, পেছনে ফেলে আসলাম সা’দী, হাফেয এর স্মৃতি বিজড়িত নগরী “শিরায”!

আমাদের প্রথম গন্তব্য হল শিরায থেকে ৬০ কি.মি. উত্তর পূর্বে অবস্থিত পেরসপোলিস বা “তাখত-এ-জামশিদি”। আসলে এ দিন আমাদের যা জায়গাগুলো দেখার পরিকল্পনা সেগুলো শিরাজ থেকে তেহরানের দিকে যেতে পড়ে। তাই পরিকল্পনাটাও সেভাবে করেছিলাম যাতে দর্শনীয় স্থানগুলো দেখতে দেখতে আমরা তেহরানের দিকে এগিয়ে যেতে থাকি।

আনুমানিক খ্রিষ্টপূর্ব ৫১৮ অব্দে বিশ্বের সর্ববৃহৎ সাম্রাজ্য হাখামানশি (Acheamenid dynesty) রাজ্যের সম্রাট দারিয়ুশ দ্য গ্রেট বর্তমান ফারস প্রদেশের রাজধানী শিরায নগরী থেকে ৬০ কিমি উত্তর-পূর্বে কুহে রহমত বা মেহর পর্বতের উত্তর-পশ্চিম অংশকে নির্বাচিত করে তাখতে জামশিদের নির্মাণ কাজ শুরু করেন। পরবর্তীতে তাঁর পুত্র রাজা খাশাইয়ার শাহ ও নাতি রাজা প্রথম আরদাশির ক্রমান্বয়ে এর বিভিন্ন মনোরম প্রাসাদ নির্মাণ করেন। এক লাখ ২৫ হাজার বর্গমিটার আয়তনের এই বিশাল স্থাপত্য নির্মাণে প্রায় ১৫০ থেকে ২০০ বছর সময় লেগেছিল।


তাখতে জামশিদ

তাখতে জামশিদের প্রবেশ পথ

তাখতে জামশিদ মহলটি তৈরি হয়েছিল শুধুমাত্র নোরুজ (পারস্যের নববর্ষ উৎসব) ও মেহরগান উৎসবটি জাঁকজমকপূর্ণ ভাবে পালনের জন্য। যেহেতু হাখামানশি সাম্রাজ্য তৎকালীন দুনিয়ার সর্ববৃহৎ রাজ্য ছিল, তাই নওরোজ উৎসবে শামিল হতে সমকালীন বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ওই অঞ্চলের প্রসিদ্ধ উপঢৌকনসহ এই মহলে হাজির হতেন। যেমন; শুশ নগরীর প্রতিনিধিরা জীবন্ত সিংহ ও যুদ্ধাস্ত্র, আর্মেনিয়ার প্রতিনিধিরা স্বর্ণ, রৌপ্য ও ঘোড়া, বাবেল বা ইরাকের প্রতিনিধিরা স্বর্ণখচিত পোশাক ও মহিষ, বাইজেন্টাইন প্রতিনিধিরা বিভিন্ন মূল্যবান পাথর খচিত পাত্র ও ঘোড়া, সোগদি প্রতিনিধিরা ভেড়া ও এর চামড়া দ্বারা তৈরি পোশাক, কৃষ্ণসাগর ও আনাতোলির প্রতিনিধিরা স্বর্ণখচিত পোশাক ও ঘোড়া, ভারতের প্রতিনিধিরা যুদ্ধাস্ত্র ও খচ্চর বাদশাহকে উপহার দিতেন। দারিয়ুসের নিজস্ব প্রাসাদে প্রতিনিধিদের খাবার পরিবেশন করা হত। যা এখনো তাখতে জামশিদের গায়ে অংকিত রয়েছে!



খ্রিষ্টপূর্ব ৩৩০ অব্দে গ্রিক বীর অ্যালেকজান্ডার দ্য গ্রেট তাখতে জামশিদ আক্রমণ করেন এবং অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে একে ধ্বংস করেন। পেরসপোলিসকে ১৯৭৯ সালে ইউনেসকো কর্তৃক বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে ঘোষণা করা হয়। প্রতি বছর ২১ মার্চ থেকে শুরু হওয়া ১৫ দিনের নোরুজের ছুটিতে এখানে উপচে পড়া ভিড় পরিলক্ষিত হয়। ছবিতে দেখুন, লোকজন প্রচুর, কারণ আমরাও এই নোরুজের ছুটিতে সেখানে বেড়াতে গিয়েছিলাম।



ঈগল গ্রিফিন (হোমা)


অসমাপ্ত প্রবেশ দ্বার









পেরসপোলিস দেখতে দেখতে সত্যিই হাজার বছর আগে চলেগিয়েছিলাম। সূর্য তখন একেবারে মাথার ওপর, গণগণে রৌদ্র। বাস্তবে ফিরে এসে ছুটলাম পরবর্তী গন্তব্য “নাগশে রোস্তাম”। জায়গাটা পেরসপোলিস থেকে ১২ কি.মি. উত্তর পূর্বে। এখানে মূলতঃ পাহাড়ের গায়ে রয়েছে হাখামানশি (একামেনিড) এবং সাসানিদ সাম্রাজ্যের রাজাদের কবর। অনেক আগের ইরানিরা এটি জানত না, পাহাড়ের গায়ে যেহেতু ঘোড়ার ছবি এবং সমর যুদ্ধের বিরত্বগাথা আকা আছে, তাই তারা এই জায়গার নাম তাদের জাতীয় বীর রোস্তামের নামে করে। এছাড়া নাগশে রোস্তামের এই এলাকার মধ্যে একটি স্থাপনাকে জোরোস্তার ধর্মের কা’বা বলা হয়।



রাজাদের কবর

নাগশে রোস্তাম

জোরোস্তার ধর্মের কা’বা

নাগশে রোস্তামের বাইরেই উটে চড়ার ব্যবস্থা ছিল। দুই ছেলেকে নিয়ে কিছুক্ষণ উটের পিঠে ঘুরে নিতেও ভুললাম না। :)

বেলা বেশ গড়িয়ে গেছে, ক্ষুধায় পেট চো চো করছিল। নাগশে রোস্তাম থেকে বেরিয়ে কিছু দূরে হাইওয়েতে এক রেস্টুরেন্টে দুপুরের খাওয়া সেরে নিলাম। ফ্রেশ হয়ে আবার চলতে লাগল গাড়ি। শিরায থেকে তেহরানের দূরত্ব ৯৫০ কি.মি.। পরের গন্তব্য “পাসারগাদ” যেটি কিনা শিরায নগরী থেকে তেহরানের দিকে ১৩৬ কি.মি.। বিকেল চারটা নাগাদ পৌছে গেলাম পাসারগাদ বা পারস্যের মহান বীর ও একসময়কার বিশ্বের সর্ববৃহৎ সাম্রাজ্য হাখামানশি (Acheamenid dynesty) রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা সাইরাস দ্য গ্রেটের সমাধি! এটি ইরানের সর্বপ্রাচীন সমাধি, যেটি সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে ১৯০০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত। গ্রিক বীর অ্যালেকজান্ডার দ্য গ্রেট এই সমাধিতে দাঁড়িয়ে সদম্ভ উক্তি করেছিলেন, “সমাধির প্রত্যেকটি ইট পাথর উপড়ে ফেল! দেখতে চাই কে ছিল সেই মহান বীর! যার অধীনে গোটা বিশ্বে ছড়ি ঘুড়িয়েছে পারস্য সাম্রাজ্য!”

পাসারগাদ মূলতঃ সাইরাস দ্য গ্রেট এর শাসনামলে হাখামানশি (একামেনিড) সাম্রাজ্যের রাজধানী ছিল। এটি খ্রিস্টপূর্ব ৫৫৯ থেকে ৫৩০ এর মধ্যে নির্মিত হয়েছিল। এটিও ইউনেসকো ঘোষিত একটি বিশ্ব ঐতিহ্য। হাখামানশি সম্রাট ক্যামবাইসিস দ্বিতীয় সম্রাটের আগ পর্যন্ত পাসারগাদই ছিল রাজধানী। পরে ক্যামবাইসিস দ্বিতীয় বর্তমান খুজেস্তান প্রদেশের সুসাতে তার রাজধানী সরিয়ে নেন। পরবর্তীতে সম্রাট দারিয়ুস পেরসপোলিসে রাজধানী স্থাপন করেন। যাহোক, ছবিতে দেখুন এবার।


সাইরাস দ্য গ্রেট এর সমাধি

প্রাসাদের ধ্বংসাবশেষ

এটিই ছিল আমাদের এই ভ্রমনের শেষ দর্শনীয় স্থান। বিকেল ৬ টা নাগাদ আমরা পাসারগাদ থেকে তেহরানের উদ্দেশ্যে রওনা দেই, সাথে নিয়ে ফিরি অনেক অনেক ঐতিহাসিক স্মৃতি। সত্যিই একটা অসাধারণ ভ্রমন ছিল এটি। ভোর ৪ টার দিকে তেহরান পৌছাই আমরা প্রায় ৮১৪ কি.মি. পথ পাড়ি দিয়ে। এই ট্রিপে ৫ দিনে আমি প্রায় ২০০০ কি.মি. এর বেশী গাড়ি চালিয়েছিলাম যেটা আমার জন্য ছিল একটা নতুন অভিজ্ঞতা। ধন্যবাদ ইরানের মহাসড়ক নির্মানকারী সংস্থাকে।


তেহরান থেকে শিরায...

আমার এই পোস্টের বেশ কিছু তথ্য আমি নিয়েছি আজকে (২৫ ফেব্রুয়ারী) একুশের বই মেলায় মুমিত আল রশিদ ভাইয়ের প্রকাশিত “ইরানের পথে প্রান্তরে” বই থেকে। মুমিত ভাই মূলতঃ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের সহকারী অধ্যাপক, বর্তমানে ইরানের শিক্ষক প্রশিক্ষণ বিশ্ববিদ্যালয় পিএইচডি গবেষক। উনি ইরানের প্রায় ২২ টি প্রদেশ ঘুরেছেন এবং খুবই তথ্য সমৃদ্ধ এই বইটি লিখেছেন। যারা ভিন দেশের ইতিহাস ঐতিহ্য সম্পর্কে চমকপ্রদ তথ্য জানতে ইচ্ছুক তারা বই মেলার ১২ নম্বর প্যাভিলিয়নে কাকলী প্রকাশনী থেকে বইটি সংগ্রহ করতে পারেন।



সবাই ভাল থাকবেন, ইনশাআল্লাহ দেখা হবে ইরানের অন্য কোন জায়গা নিয়ে লেখা ভ্রমন পোস্টে। :)

নোরুজ ঘোরাঘুরি - শিরাজ নগরী দর্শন - ১
নোরুজ ঘোরাঘুরি - শিরাজ নগরী দর্শন - ২
নোরুজ ঘোরাঘুরি - শিরাজ নগরী দর্শন - ৩

মন্তব্য ৩৮ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (৩৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:০২

তাওহিদ হিমু বলেছেন: "ইরানের পথে প্রান্তরে" বইয়ের পিডিএফ বা এমন কোনো ফাইল ইন্টারনেটে পাওয়া যাবে?

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:০৫

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: না ভাই, বইটাতো মাত্র আজকে প্রকাশিত হল! :)

২| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:১২

কহেন কবি কালিদাস বলেছেন: ভাই আপনার আগের সবগুলো পর্ব পড়েছিলাম কিন্তু মন্তব্য করে হয়নি । চমৎকার লেখা সাথে ছবি । আমার খুব প্রিয় দেশ নিয়ে আপনি লিখেছেন । তবে নওরোজ নিয়ে যদি বিস্তারিত লিখতেন তাহলে আরও ভাল লাগত ।
আপনার কারনে ইরান সম্পর্কে অনেক জানা হল ।
ভাল থাকবেন সবসময় ।

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:২০

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই আপনার মন্তব্যের জন্য।

আসলে চাকরি নিয়ে খুব ব্যস্ত থাকি, সুযোগ পেলে ঘুরতে যাই। পরে এসে ব্লগ লেখা বা আরো একটু পড়াশোনা করার সময় পাওয়া যায় না। পরিবার সন্তান সন্ততি আছে এখানে।

দেশে থাকলে মুমিত ভাইয়ের বইটা সংগ্রহ করে ফেলুন, আপনার পিপাসা অনেক খানি মিটবে আমি নিশ্চিত। সম্প্রতি মুমিত ভাইয়ের বিশ্ববিদ্যালয় ওনাকে "ট্রাভেল এম্বাসেডর" নিয়োগ করেছে। আর উনি গবেষনারত, তাই যেখানে যান সেই জায়গার পুরো ইতিহাস তুলে নিয়ে আসেন। ওনার লেখাগুলো বিভিন্ন পত্র পত্রিকাতেও প্রকাশিত হয়।

ভাল থাকবেন আপনিও।

৩| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৪৯

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: খুব ভালো লাগলো। সবগুলো পর্বই পড়লাম! তোমরা সবাই খুব ভাল সময় কাটাচ্ছ!

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৩:১৭

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। আসলেই, ইরানের দিনগুলো খুব ভাল কাটছে এবং ইরান ছেড়ে গেলে এই দেশটাকে অনেক মিস করব।

৪| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৪১

উল্টা দূরবীন বলেছেন: অসাধারণ

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৪২

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। :)

৫| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৫৪

শাহাদাত হোসেন বলেছেন: চমৎকার লেখা সাথে সুন্দর ছবি ++

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৪৪

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্য... :)

৬| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৪৩

দিল মোহাম্মদ মামুন বলেছেন: সুন্দর পোষ্টটির জন্য আপনাকে ধন্যবাদ, মনে হয় আপনার সাথে আমার ও ঘুরা হয়ে গেল !!

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৫২

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: হা হা, ভাল বলেছেন। আপনিও আরব আমিরাতে ঘুরে পোস্ট দিন, আপনার চোখে আমাদেরও দেখা হয়ে যাবে। ট্যুরিস্ট ভিসাতো মনে হয় দিবে না আমিরাতে ঘুরতে যেতে চাইলে !

৭| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৪

দিল মোহাম্মদ মামুন বলেছেন: ভাই পুরা আরব-আমিরাতই তো ঘুরলাম, আসলে তখন আমি ব্লগের সাথে জড়িত ছিলাম না, ট্যুরিস্ট ভিসা পাওয়া যাবে, আসতে পারেন।

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:১২

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: ভাবছি একেবারে যখন বাংলাদেশে চলে যাব তখন দেশ থেকে ভিসা এপ্লাই করে আমিরাত ঘুরতে যাব। ধন্যবাদ ভাই।

৮| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২০

জুন বলেছেন: নোরুজ ঘুরে আসলাম জহির। অনেক অনেক ভালোলাগা লেখায়। আমি এখন পাশের ফুড কোর্টে সি ফুড খেয়ে সামুতে প্রবেশ করলাম আর ইরানী খাবারের গন্ধ নাকে আসলো :)
+

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৩৬

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: আপু, নোরুজ না, শিরায ঘুরে আসলেন !

ইরানে চলে আসেন, আপনাকে চেলো জুজে কাবাব, কুবিদে কাবাব, জেরেশক পোলো ব মোর্গ, লুবিয়া পোলো ব গুশত, কাল্লে পাচ্চে, তাহচিনি মোর্গ কামেল, বাগালি পোলো ব মোর্গ, সাবজি পোলো ব মাহিয়ে গেজেলালা, চেলো খোরেশ গেইমে সিবজামিনি, আলবালু পোলো ব মোর্গ, খোরাকে মোর্গ ব গর্চ, আদাস পোলো ব গুশত, খোরাকে কু কু সাবজি, কুফতে তাবরিজি এরকম হরেক রকম ইরানি খাবার খাওয়াব ! B-)) B-))

৯| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪০

অন্তঃপুরবাসিনী বলেছেন: এক কথায় অসাধারণ!! আপনার পোষ্টে ইরান ঘুরে এলাম।

+ :)

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৩৭

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: হা হা, আপনাকে ঘোরাতে পেরে আমারো ভাল লাগল। :)

১০| ২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৫৯

জুন বলেছেন: হ্যা শিরাজ। কিন্ত হেডিংটাই লিখেছি আমি জহির।
ইন্টারমিডিয়টে থাকতে আমাদের ইতিহাস ছিল প্রাচীন ইতিহাস। এর মধ্যে ডেরিয়াস দ্যা গ্রেট, গ্রীকদের পার্সিপোলিস ধ্বংস করার কাহিনী। সাইরাস দ্য গ্রেট এর নাম শুনে কত স্মৃতি মনে পড়ে গেল সেই এইচ এস সির সময়ের।


২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:০৬

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: তাহলেতো আপু ইরান সফর করা আপনার জন্য ফরজ ! নাইলে এইসব স্মৃতি আপনাকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তাড়িয়ে বেড়াবে ! :P :P

১১| ২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৭

মনিরা সুলতানা বলেছেন: চমৎকার পোস্ট এ ভালো লাগা :)

২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:২২

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ মনিরা আপু, ভাল থাকবেন। :)

১২| ০২ রা মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:১৫

শ।মসীর বলেছেন: আমোগ দেশ ছাড়া সব দেশই পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন :(

০৫ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪১

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: হ রে ভাই, আমাগো পুরা জাতির সিপিইউতে রিস্টার্ট না দিলে আমাগো মাথায় পরিচ্ছন্নতার ব্যপারটা ঢুকব না ! :|

১৩| ০৫ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৪

হা হা হা বলেছেন: পোস্ট ভাললাগল।
অসাম:)

০৫ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৪

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে, ব্লগে স্বাগতম! :)

১৪| ০৭ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:০১

ঢাকাবাসী বলেছেন: হাসপাতালে ছিলুম তাই অনেক মূল্যবান পোস্ট পড়া হয়নি যেমন এই আপনারটা। লেখায় উঁচুমানের পান্ডিত্য লক্ষনীয়। অপুর্ব সব ছবি আর অসাধারণ পেশাদারী বর্ণনায় চমৎকার লাগল । বিলম্বে পাঠ মার্জনীয়।

০৮ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:৩৩

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: ভাই, এই অধমের পোস্টকে আপনি মূল্যবান বললেন, আমি সত্যিই স্তম্ভিত! তবে হয়ত আপনার বুঝতে একটু ভুল হয়েছে, আমার এই পোস্টে কিছু তথ্য আমি শ্রদ্ধেয় মুমিত ভাইয়ের লেখা থেকে নিয়েছি যিনি ইরানে এখন পিএইচডি করছেন। তাই, আসল সাধুবাদ মুমিত ভাইয়েরই প্রাপ্য!

চাকরি আর পরিবারের জন্য ব্যস্ততায় দুদন্ড থিতু হয়ে কিছু লেখা এখন খুব কষ্টকর, তাই কোন মতে পোস্ট দেয়ার চেষ্টা করি ভাই। পড়েছেন, দেখেছেন, এতেই অনেক খুশী হয়েছি। ভাল থাকবেন। :)

১৫| ১৮ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:০৩

খোলা মনের কথা বলেছেন: ভাল লাগলো সুন্দর ছবি আর তথ্য যুক্ত পোষ্ট। শুভ কামনা রইল

১৮ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:২৯

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: শুভ কামনা আপনার জন্যও, ধন্যবাদ। :)

১৬| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৮

প্রামানিক বলেছেন: অনেক ভাল একটি পোষ্ট। অনেক কিছু জানা হলো। ছবিগুলোও সুন্দর। ধন্যবাদ

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:০২

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকেও প্রামানিক ভাই সময় করে পড়ার জন্য।

১৭| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৫

ফারিহা নোভা বলেছেন: বাহ সব গুলো পর্ব পড়তে হবে, অনেক ভাল লিখেছেন।

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৪

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: হা হা, এইসব ফাকিবাজি পোস্ট, ছবি বেশী, লেখা কম... :P

যাহোক, সময় করে এসেছেন সেজন্য অনেক ধন্যবাদ। :)

১৮| ০৮ ই মে, ২০১৬ বিকাল ৪:০২

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: দারুন লাগল

০৮ ই মে, ২০১৬ বিকাল ৪:২৮

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ফাতেমা আপু। :)

১৯| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:৩৯

ইন্জিনিয়ার জনি বলেছেন: পরে সময় করে পড়ব সব পর্ব, :)

১৬ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:৩০

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ জনি ভাই। :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.