নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সুস্থ মানসিকতা এবং সুন্দর মনের মানুষদের বন্ধু হিসেবে পেতে চাই...
শুক্রবারের সকাল, রাস্তাঘাটে লোকজন কম, তবে রোদ বেশ চড়া। এল কাহিরাহতে আমার শেষ দিন কিন্তু সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিন। ঘোরার তালিকায় আছে স্বপ্নের পিরামিড, স্ফিংস আর গ্রেট ইজিপশিয়ান যাদুঘর যেখানে নাকি ফেরাউনের লাশ সংরক্ষিত আছে! কড়া একটা নাশতা খেয়ে রাস্তার ওপর দাড়ালাম, কিছুক্ষণ পর মোটামুটি ফাকা একটা মাইক্রোবাস এসে দাড়াল। আরবীতো পারি না, শুধু বললাম, গিজা, পিরামিড। প্রসংগত, পিরামিড গিজা (ম্যাপের আরবী দেখে বুঝলাম, আসলে এটার উচ্চারণ হবে জিজা, Giza) এলাকায় অবস্থিত। ড্রাইভার পালটা প্রশ্নসূচক কন্ঠে বলে উঠল, হারাম?? তখনই মনে পড়ল গতকাল গুগল ম্যাপে দেখেছিলাম, পিরামিডের লোকেশনের ওখানে লেখা আছে, “এল হারাম এল কাবির ফিল জিজা”। বুঝলাম পিরামিড আর স্ফিংসকে এরা হারাম বলে। আরবী এই হারাম শব্দের অর্থ “পবিত্র”। যেমনটা মক্কা এবং মদিনার দুই গ্র্যান্ড মসজিদকে “মাসজিদুল হারাম” বলা হয়।
গাড়ি ছুটে চলল দুর্বার গতিতে, রাস্তাঘাট ফাকা, আর আমিও সকাল সকাল বেরিয়ে পড়েছি। কিন্তু ওদিকে সূর্য মামার তেজ এই সকাল নয়টাতেই প্রবল। এক ফ্লাইওভারের নীচে মাইক্রোবাস স্ট্যান্ড টাইপের এক জায়গায় এসে ঐ মাইক্রোবাসের যাত্রা শেষ হয়ে গেল। ভাড়া নিল মাত্র ৫ পাউন্ড। আমি বলি, পিরামিড কই ভাই? ড্রাইভার আরবীতে এবং ইশারায় যা বোঝাল, সামনে যাও, ওখানে প্রধান সড়কে গিয়ে অন্য কোন গাড়িতে উঠতে হবে। সামনে এগিয়ে দেখি, রাস্তার মাঝে বিশাল সাইন দেয়া, “হারাম ডিস্ট্রিক্ট”। বুঝলাম কাছাকাছিই চলে এসেছি। এক গাড়িতে “পিরামিড”, “হারাম” বলতে গাড়িতে থাকা তরুণ বুঝতে পারল আমি কোথায় যেতে চাইছি।
গাড়ি থেকে পিরামিড দৃশ্যমান হচ্ছে
১.৫ পাউন্ডে পিরামিডের কাছে চলে এলাম, তবে মূল গেইটের একটু আগেই নেমে গেলাম, ভাবলাম আবার কতদূর নিয়ে যায়। নীচে নেমেই পড়ে গেলাম এক দালালের খপ্পরে, সে আমাকে সাহায্য করার জন্য আমার সংগী হয়ে গেল। সে আমাকে বোঝাল, ঘোড়ায় চড়ে ঐখানে ঘুরতে হবে। এই দেখলে এত টাকা, সেই দেখলে এত টাকা। শেষ মেশ ওর সাথে দরদাম করে প্রায় ৪০০ পাউন্ডে দেড়/দুই ঘন্টার একটা প্যাকেজ নিয়ে একটা ঘোড়ার পিঠে চড়ে বসলাম। ৮০ পাউন্ড দিয়ে পিরামিডে ঢোকার টিকেট কাটা হল আর তখন দেখলাম, ঘোড়া ছাড়াও এখানে এই গেইট দিয়ে ঢুকে হেটেও ঘোরা যায়। তবে সেটা সমস্যা না, আমার ইজিপশিয়ান সহকর্মীও ঘোড়ার পিঠে করে ঘোরার কথা বলেছিল, তাই সেটার জন্যই মানসিকভাবে প্রস্তুত ছিলাম। আমার গাইড আরেকটা ঘোড়া নিয়ে আমার পাশে পাশে চলল, পেছনের এক গেইট দিয়ে ঢুকে পড়লাম। সেখানে এক ধান্দাবাজ অপেক্ষা করছিল, সে আমার মাথায় একটা রুমাল আর বিড়া জড়িয়ে দিল (ঐ যে আরবের লোকজন যেমন পড়ে), আর হাতে ছোট্ট এক বোতল পানি ধরিয়ে দিল। প্রথমে বলে, এটার জন্য কোন টাকা লাগবে না, ফ্রি। দেয়ার পরে বলে, এবার খুশী হয়ে যা মনে চায় দাও। গাইড আবার তাল মেলায়, কেউ দেয় এত, কেউ দেয় অত। তবে সব এমাউন্টই বড় বড়। বুঝলাম, শালারা সবাই মিলে এভাবেই সবাইকে সিল দেয়, পুরোটা একটা চেইন। ২০ পাউন্ড দিয়ে ওর আশাহত মুখ দেখে কোন মতে মুক্তি পেলাম। তবে সত্যি বলতে, ঐ রুমাল আর পানি সত্যিই কাজে দিয়েছিল, নইলে ঐ গরমে অবস্থা আরো খারাপ হত। গাইডকে কড়া করে বলে দিলাম, এর পর আর কোন ধান্দাবাজি চলবে না, একটা টাকাও দেব না।
পিরামিডের এলাকাটা মরুভূমির মত। নীচে বালি, প্রখর সূর্যের তাপে সেই বালি আরো উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। একটু পর পর পানি খাচ্ছি একটু একটু করে। আর হাতের চামড়া পুড়ে মনে হল কয়লা হয়ে যাচ্ছে। এর মধ্যে এগুচ্ছি আর দূর থেকে পিরামিড নজরে আসল।
ঘোড়ায় চড়িয়া আমি পিরামিডের দিকে অগ্রসর হইতেছি!
ছবি তোলা হল, আমার গাইড আমাকে পিরামিডের সামনে দাড় করিয়ে হরেক রকম ছবি তুলে দিল। পিরামিডের মাথায় হাত দিয়ে (ঐযে কক্সবাজারে মানুষ যেমন সূর্য হাতে নিয়ে ছবি তোলে, ঐসব আর কি)। বউ বলে দিয়েছিল, পিরামিড দেখে যেন পিরামিডসহ একটা সেলফি তুলি। সেলফি তোলাটাকে যদিও একটা মানসিক রোগ মনে হয়, তবুও বউ এর আব্দার রাখতে একটা সেলফি তুলেই ফেললাম পিরামিড পেছনে নিয়ে। ফেইসবুকে ব্যাপক লাইকও পেল সেটা! হঠাৎ দেখি, দূর থেকে উট নিয়ে দৌড়ে আসছে সাদা পোষাক পড়া পুলিশ এর মত এক লোক। কাছে এসে আমার গাইড এর কাছ থেকে নির্ধারিত পরিমাণ চাদা নিয়ে আবার সে চলে গেল।
ঐ দেখা যায় পিরামিড! এখানে তিনটা বড় পিরামিড আছে যেটাতে রাজাদের কবর দেয়া হত আর ছয়টা ছোট ছোট পিরামিড আছে যেগুলোতে রাণীদের কবর দেয়া হয়েছে
রাজাদের জন্য নির্মিত তিনটির মধ্যে সবচেয়ে ছোট পিরামিড - কাছ থেকে
রাজাদের জন্য নির্মিত তিনটির মধ্যে মাঝারি পিরামিড - কাছ থেকে
স্ফিংস
যাহোক, পিরমিডের কাছে দিয়ে ঘুরলাম, স্ফিংস এর কাছে ঘুরে ছবি তুললাম, এরপর ঘোড়া নিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার সময় দেখি কে আবার ইশারা দেয়। গাইড গিয়ে ওর হাতে কিছু চাদা দিয়ে আসল। দুর্নীতিতে ভালই এগিয়েছে বোঝা গেল। বেরুনোর পর গাইড বলে, এবার আমাকে টাকা দাও, খুশী হয়ে। আমি বলি, বল কি? তোমার সাথেতো পুরো প্যাকেজ এর কন্ট্রাক্ট করে সব টাকা দিয়ে দিলাম, আবার কি? বলে, ঐটা ঘোড়ার জন্য টাকা, গাইড হিসেবে আমাকে তোমার যা খুশী দাও। উদাহরণ দিচ্ছে, কেউ দেয় ১০০ ডলার, কেউ দেয় ২০০! মেজাজ চরম খারাপ হল। বললাম, দেখ, আমাকে এখন যাদুঘরে যেতে হবে, জানি না সেখানে কত চার্জ, দুপুরে খেতে হবে আর রাত্রে নীল নদে রিভার ক্রুজে যেতে হবে। সুতরাং, তুমি যদি এভাবে আমার কাছ থেকে সব টাকা কেড়ে নাও, তাহলে হবে কিভাবে?? বলে, তোমাকে বাসে তুলে দিচ্ছি, ট্যাক্সিতে গেলে ৮০ পাউন্ড লাগবে, বাসে ২.৫ পাউন্ডে মিউজিয়াম চলে যেতে পারবে। শেষ পর্যন্ত ১০০ পাউন্ড দিয়ে ওর সাথে রফা করে বললাম আমাকে বাসে তুলে দাও। বাসে উঠে বসেছি, একটু পর দেখি ও একটা টিকেট আর মিরিন্ডার ক্যান নিয়ে এসেছে আমার জন্য! বেচারা আমার ঝাড়ি খেয়ে আমার মন ভাল করার জন্য মনে হল ওটা করেছে। বললাম, হেলপারকে বলে দাও যাতে জায়গামত নামিয়ে দেয়।
যাদুঘর যাওয়ার পথে একটি সুন্দর স্থাপনা
বাস আমাকে যেখানে নামিয়ে দিল সেটা ছিল এল গালা স্কয়ার। এখান থেকে নীল নদের ওপর দু’টো ব্রিজ পার হলেই বিখ্যাত তাহরীর স্কয়ার, এর এক পাশেই হল মিশরীয় যাদুঘর। এল গালা ব্রিজের ওপর উঠে নদী পারের কায়রোর অপূর্ব দৃশ্য অবলোকন করছি আর ছবি তুলছি। সূর্য তখন মাথার ওপর, সবটুকু তাপ ঢেলে দিচ্ছিল, কিন্তু এর মধ্যেও ভাল লাগছিল হাটতে, কারণ এভাবে ধীরে সুস্থে দেখা যায়।
এল গালা ব্রিজ থেকে নীল নদ এবং কায়রো শহর
এর মধ্যে ব্রিজের ওপর এক ফেউ গায়ে পড়ে কথা বলে একেবারে আমার নেংটা কালের দোস্ত হয়ে গেল। বলল সে শেরাটন হোটেলের কর্মচারী, কাল তার বিয়ে, এখন বাড়ি যাচ্ছে। শুভেচ্ছা জানিয়ে যেই পা বাড়াচ্ছি, বলে তুমি কি আমার বিয়ে উপলক্ষে কিছু উপহার দিবে?? মনে মনে বলি, মহা যন্ত্রণায় পড়লাম। টেনে টুনে তিন দিনের ট্যুর, তাই ডলার ভাংগিয়েছি মোটে তিনশ। পকেটে যা আছে তা দিয়ে মিউজিয়াম, লাঞ্চ আর রাতের নদী ভ্রমন হয়ে যাবে। মিউজিয়ামে ঢোকার ফি কত সেটাও জানি না, সাধারণতঃ বিদেশীদের জন্য বেশী হয়। বললাম, ভাই, আসলে বিয়েতেতো আমরা একটু ভাল গিফট দেই, সে পরিমাণ টাকা আমার কাছে এখন নাই। আর যদি কম টাকা দেই, তাহলে তুমি আবার মাইন্ড করে বসবে, ভিক্ষা দিলাম ভেবে। তাই আমি তোমার বিয়েতে কোন গিফট দিতে চাচ্ছি না। কিন্তু সে নাছোড়বান্দা, পেছনে পেছনে আসছেই। শেষ মেশ বলেই বসলাম, ভাই, বিরক্ত করো না, আমাকে যেতে দাও। এই বলে হন হন করে হাটা ধরলাম, পেছনে আর তাকালামই না। মিউজিয়ামে এসে বুঝেছিলাম, ওকে কোন টাকা না দেয়াটা সঠিক সিদ্ধান্ত ছিল।
কাসর আল নাইল ব্রিজ থেকে নীল নদ, এটা নদের আরেকটা শাখা
ব্রিজ পার হয়ে একটু এগুতেই সুন্দর একটা স্থাপনা, কাছে গিয়ে মনে হল কোন সরকারি কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে
মিশরীয় যাদুঘর
কাসর আল নাইল ব্রিজ পার হয়ে তাহরীর স্কয়ার চলে আসলাম। বা পাশে তাকাতেই মিশরীয় যাদুঘর নজরে এল, কত স্বপ্ন ছিল এই যাদুঘর দেখব, মমি দেখব, হায়ারোগ্লিফিক্স দেখব! ৭৫ পাউন্ড দিয়ে টিকেট কেটে ঢুকে পড়লাম। মিশরীয় বা বিদেশী পর্যটক সবার জন্য একই ফি। মনে মনে খুশী হলাম। সিকিউরিটি চেক পয়েন্ট দিয়ে ঢোকার সময় বলে, ছবি তুলতে চাইলে আরো ৫০ পাউন্ড দিয়ে টিকেট কেটে আসতে হবে। ভাবলাম, এত দূর এসেছি, ছবিতো তুলতেই হবে। ফিরে গিয়ে আবার ক্যামেরার জন্য টিকেট কাটলাম। যাদুঘরে এসি নেই, এই একটা দিক গরমে কষ্ট দিল। যাদুঘরটা কিছু ছবিতেই দেখুন।
যাদুঘরের বাইরেও অনেক পূরাকীর্তি রাখা আছে
সময় হল যাদুঘর থেকে বের হবার
তো ফেরাউনের মমি বলে আমরা যেটা ইন্টারনেটে দেখি, সেটা রাখা আছে রাজা বাদশাদের মমির সাথে “রয়াল মাম্মী রুম” এ। আর দেখতে হলে আরো ১০০ পাউন্ড দিয়ে আলাদা টিকেট কাটতে হবে যাদুঘরের ভেতরেই। তাহলে কত হল, সব মিলিয়ে ২২৫ পাউন্ড! ঐ ধান্দাবাজকে মাঝারি অংকের পাউন্ড দিয়ে আসলেও নিশ্চিত সমস্যা পড়তাম!
রয়াল মাম্মী রুমে ছবি তোলা নিষেধ। এই ছবিটি ইন্টারনেট থেকে নেয়া। রাজা রামেসেস ২ এর মমি এটি যেটি ফেরাউনের মমি বলে জনশ্রুতি আছে। ইনি মিশরকে খ্রীস্টপূর্ব ১২৭৯ থেকে ১২১৩ সাল পর্যন্ত শাসন করেছেন।
গরমে প্রাণ ওষ্ঠাগত। ঘন্টা দুয়েকে যাদুঘর দেখে বাইরে এসে খোজ করলাম, ভাই খাওয়ার ভাল দোকান কই আছে। একজন বলল, রাস্তার ঐ পাড়ে ফেলফেলা রেস্টুরেন্ট আছে, খুব ভাল। ফেলফেলায় এসে “শিশ তাউক” অর্ডার দিলাম, এটা মুরগী দিয়ে তৈরী করে। এত অসাধারণ লাগল, বলে বোঝাতে পারব না। দুই বোতল পানি আর একটা কোক সাবাড় করে ফেললাম, এত পিপাসা লেগেছিল।
ফেলফেলা রেস্টুরেন্ট এর শিশ তাউক! স্বাদটা এখনো মুখে লেগে আছে!!
এটাই বিখ্যাত তাহরীর স্কয়ার
তাহরীর স্কয়ারে ঢোকার মুখেই মেট্রো স্টেশনের সাইন দেখেছিলাম। নীচে নেমে দেখি, এটাই সা’দাত স্টেশন। কাল রাতে যেখান থেকে ট্রেন চেঞ্জ করেছিলাম। রাস্তাতো আমার চেনাই, মনের আনন্দে মা’য়াদি স্টেশনে চলে আসলাম। স্টেশনের বাইরে বেরিয়ে দেখি,এক ছেলে ফ্রেশ মাল্টার জুস বিক্রি করছে, ২ পাউন্ড দিয়ে এক গ্লাশ খেয়ে কি যে শান্তি লাগল বোঝাতে পারব না। আসার পথে দু’টো ড্রিংকিং ইয়োগার্ট আর বড় এক বোতল পানি কিনে নিলাম। পিপাসার কারণে মনে হচ্ছিল, পুরো নীল নদ খেয়ে ফেলতে পারব!
হোটলে ঢুকে একটা গোসল দিয়ে ঘুম দিলাম। রাত নয়টায় রিভার ক্রুজে যাব, জাহাজ আমাদের হোটেলের সামনেই নোংগর করা থাকে।
নদের তীরে সুন্দর একটি বাড়ি
রাতে আবহাওয়া অনেকটাই আরামদায়ক হয়ে এসেছিল। জাহাজ যখন চলা শুরু করল, বাতাসে শরীরটা জুড়িয়ে যাচ্ছিল। নদীর তীর ঘেষে আলোক সজ্জা, রেস্টুরেন্ট-বার আর মাথার ওপর দিয়ে একটু পর পর উড়োজাহাজ চলে যাচ্ছে, সব মিলিয়ে নীল নদ ভ্রমন ভালই লাগল। আর এভাবেই খুব ছোট কিন্তু মনে রাখার মত এল কাহিরাহ ভ্রমন শেষ হল।
ঝটিকা সফরে কায়রো... (প্রথম পর্ব)
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৬
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: নিশ্চয় আছে, তবে আমারো সময় কম ছিল। মূলত: অফিসের কাজে গিয়েছিলাম। ট্যুরিস্ট হিসেবে গেলে আরো খোজ খবর নিয়ে একা একাই অবশ্য ম্যানেজ করে ফেলতে পারতাম সব
ধন্যবাদ।
২| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৩
কোলড বলেছেন: I got sick and tired of reading all those India travel stories which I wont even go to shit. This Egyptian travelogue of yours is like a fresh breath of air. I always wanted to go there but never got the time and it is out of my regular path.
Your story telling is very good.
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫০
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ কোলড, আশা করি এখনো যাবেন সেখানে...
৩| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:২৮
আহমেদ জী এস বলেছেন: মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম ,
এবারও চমৎকার ঝরঝরে লেখা ।
তবে "হারাম" যদি পবিত্রই হবে তবে আমরা হারামকে অচ্ছুত বলি কিসের আরামে ????
ঘোড়ায় চড়িয়া আমি পিরামিডের দিকে অগ্রসর হইতেছি! এইটা দেখিয়া মনে হইলো এতো এতো ছবি তুলিলেনই যদি তবে ঘোড়ায় চড়া বঙ্গসন্তানের একটা ছবি থাকিলে ভালো হইতো না ?
ভালো থাকুন আর সহি-সালামতে ।
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৫৬
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: জাজাকাল্লাহু খায়রান আহমেদ ভাই।
حرام = নিষিদ্ধ
حرم = পবিত্র
পার্থক্যটা বোঝা গেল ভাই? এছাড়া বাংলা, ইংরেজিতেও তো অনেক শব্দ আছে না যার বিভিন্ন অর্থ হয়?
আর ব্লগে নিজের ছবি দিয়ে লোকের হাসির খোরাক হতে চাই না রে ভাই...
আপনিও ভাল থাকবেন ভাই।
৪| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ভোর ৫:১৫
রক্তিম দিগন্ত বলেছেন:
ঘুরে আসলাম কায়রো! এই শিরোনামে আমিও পোস্ট দিব ভাবছি।
আপনি তো বিনা খরচে কায়রো ঘুরিয়ে আনলেন।
দুটো পর্বই মারাত্নক লেগেছে।
তবে, এই পর্বটা বেশি মনে ধরেছে।
কায়রোতেও তাহলে আছে দালাল জাতীয় লোক। ব্রিজের উপরের দালালটা বেশি হারামি মনে হয়। বিয়ের কথা বলে টাকা নেয় ট্যুরিস্টদের থেকে?? ভয়ানক।
আপনার সুবাদে কায়রোর মিউজিয়ামের সাথেও পরিচয় হয়ে গেল। ছবিগুলোর সাথে ঘুরে আসলাম আমিও।
রয়েল মমি রুমে ক্যামেরা নিতে দেয় না ক্যান???
যাই হোক, আপনার সিরিজটা পড়ে বুঝলাম - দিনের কায়রো থেকে রাতের কায়রো বেশি সুন্দর।
ঝটিকা সফরে বিশ্ব ভ্রমণে বের হয়ে পড়েন ভাই। আমরাও ঘুরি আপনার সাথে সাথে।
+
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ভোর ৬:৪৭
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: সময় নিয়ে এত মজার একটি মন্তব্য করেছেন, সেজন্য অনেক ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞ...
রয়্যাল মাম্মী রুম এ রাজা বাদশাদের মাম্মী আছে, স্পেশাল, হয়ত সেজন্যই আলাদা চার্জ নেয় আর ক্যামেরা দিয়ে ছবি তুলতে দেয় না। এছাড়া তুতেনখামেনের (আরেক রাজা) মাস্ক রুমেও ছবি তোলা নিষেধ।
আর চাকরি বাকরি ছেড়ে বিশ্ব ভ্রমনে বের হয়ে পড়লে ভ্রমনের খরচটা কে দেবে শুনি??
৫| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:৫৩
জুন বলেছেন: সময় নিয়ে দেখা আমার দেখা মিশরের কিছু অংশ ঝটিকার বেগে দেখে নিলাম জহির আপনার চোখে। গাইডের এই ধরনের প্রতারনার কথা আমি আমার লেখায় ও উল্লেখ করেছিলাম। গাড়ি করে পিরামিড দেখার জন্য টাকা দেয়ার পরেও গাইড আমাদের উট আর ঘোড়া যেখানে ভাড়া দেয়া হয় সেখানে নিয়ে যায় এবং উটে চড়তে বাধ্য করে। অভিজ্ঞতা না থাকায় পিরামিড না দেখে ভীত সন্ত্রস্ত ছিলাম উটের পিঠে চড়ে। আমাদের দুজনার জন্য দুই উট আর তার ঘোড়া বাবদ আমাদের অতিরিক্ত ১০০০ ইজিপশিয়ান পাউন্ড দিতে হলো। যার থেকে কমিশন নিয়েছিল সেই সুন্দরী।
এরপর আমাদের নিয়ে গেল এক পারফিউম কারখানায়। সে সব রাজ রাজড়াদের ব্যাপারস্যাপার। কোনটা ক্লিওপেট্রা পারফিউম তো কোনটা র্যমেসিস। দাম শুনে তো আমাদের আক্কেল গুড়ুম। আমি উঠে আসলাম সোফা থেকে, এদিকে আমার সহ পর্যটক আর আসে না। গিয়ে দেখি গাইড তার হাত চেপে ধরে রেখেছে পারফিউম না কিনে ছাড়বেই না। সেখানেও তার কমিশন আছে সেই উটের মত।
পরদিন আমাদের নিয়ে তার মিউজিয়াম যাবার কথা ছিল, আমরা হোটেল কতৃপক্ষকে জানালাম আমাদের গাইডের প্রয়োজন নেই। তবে গাইডের কাহিনী বলার পর হোটেল মালিক ডিনা খুবই লজ্জিত এবং রাগ হয়েছিল। এরজন্য পরে উনি পরের ভ্রমনে কম টাকা নিয়েছিল।
আর মিউজিয়ামে ছবি তুলতে না দেয়ার কারন মমি, সারকোফেগাস সহ প্যপিরাসে আকা আর লেখার রঙ চটে যাবার সম্ভাবনা রয়েছে বলে আমরা জেনেছি। তুতেনখামেনের চটি জোড়া দেখেছেন? মনে হয় এখনো সমান জনপ্রিয় কোলাপুরি ডিজাইনে তৈরী।
যাই হোক, যতই ঠকবাজ হোক কিছু লোক, তারপর ও সেই প্রাচীনতম এক ইতিহাসের সাক্ষী হতে পেরে অনেক ভালোলেগেছিল। বর্ননা আর ছবিতে দারুন লেখায় অনেক অনেক ভালোলাগা রইলো।
+
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৭:৪৭
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপু আপনার অভিজ্ঞতাগুলোও আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আশা করি যারা সামনে যাবে তারা আরো সতর্ক হতে পারবে।
তুতেনখামেনের চটি নিশ্চয় দেখেছি, তবে এই মুহুর্তে মনে পড়ছে না...
আমারো অনেক ভাল লেগেছে আপু, হঠাৎ এক ঝটকায় ছোট বেলা বইয়ে পড়া প্রাচীন ইতিহাসগুলোর সাক্ষ্য দেখে আসতে পারায়। বিশেষ করে মাম্মীগুলোর কাহিনী যখন পড়েছি, তখন থেকেই একটা স্বপ্ন ছিল, একদিন মিশরে গিয়ে দেখে আসব। আল্লাহর অশেষ রহমতে সে আশা পূরণ হয়েছে।
৬| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:৫১
ইমরান আশফাক বলেছেন: যাদুঘরের ছবিগুলির নীচে একটু বর্ননা দিলে আমাদের অনেক উপকার হতো। যাইহোক, আপনাকে ধন্যবাদ এত সুন্দর একটা ট্যুর পোস্ট দেওয়ার জন্যে।
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৭:৫১
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: ভাই, আসলে যাদুঘরে এত বেশী ঐতিহাসিক নিদর্শন ছিল যে সেগুলো দেখে, আবার সব বর্ণনা পড়ে মনে রাখাটা আমার জন্য বড়ই দুরুহ ব্যাপার ছিল, সেজন্য দুঃখিত। ওটা করতে চাইলে হয়ত পুরো এক দিন সময় দিতে হত, খাতা পত্র সাথে নিয়ে। আর মিশরের প্রাচীন ইতিহাসগুলোও খুব ভাল ভাবে পড়াশোনা করে যেতে হত। সংগত কারণেই আমার পক্ষে এত সময় দেয়া সম্ভব না।
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ সাথে থাকার জন্য। আপনার আসন্ন আফ্রিকা সফরের জন্য শুভ কামনা।
৭| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:০৫
ঢাকাবাসী বলেছেন: অসাধারণ একটা পোস্ট! দারুণ লাগল। এত সুন্দর সব ছবি আর চমৎকার বর্ণনা মনে হয় যেন আমি নিজেই চলে গেছি চল্লিশ বছর আগে। খরচটা তো এখন সাংঘাতিক মনে হচ্ছে! যাক সুন্দর একটা ভ্রমনকাহিনী উপহার দেয়ার জন্য ধন্যবাদ।
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:১৬
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ঢাকাবাসী ভাই। ভাল লাগছে আপনাকে আনন্দ দিতে পেরেছি বলে।
খরচটা কি আসলেই অনেক বেশী, ধরুন ইউরোপের সাথে তুলনা করলে? এই পাউন্ড কিন্তু মিশরীয় পাউন্ড (১ পাউন্ড = ৬.৭৫ টাকা)
৮| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:১৪
ঢাকাবাসী বলেছেন: এই যাহ, আমি মিশরীয় গাধার মত পাউন্ড মানেই বৃটিশ পাউন্ড ধরে বসে আছি! কি লজ্জা! আপনাকে কষ্ট দেয়ার জন্য আবার লজ্জিত। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। ভাল থাকবেন।
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৫
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: হা হা, মজা পেলাম আপনার মন্তব্য পড়ে। তা মিশরীয় গাধারা কি একটু বেশীই গাধা??!!
৯| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৩
পুলহ বলেছেন: দু'টো পর্বের বর্ণনাই খুব সাবলীল। পড়ে আনন্দ পেয়েছি।
মিশরিয়রা তো বেশ ভালোই আমুদে মনে হোল (প্রথম পর্ব)
পিরামিডের ভেতর কি ঢোকা যায় ভাই?
দালালি- তা দেশে হোক কিংবা বিদেশ- সবসময়েই বিরক্তিকর
শুভকামনা আপনার জন্য। চমৎকার পোস্টে প্লাস
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৫
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ পুলহ সময় করে ব্লগ দু'টো পড়ার জন্য। হুম, মোয়েজ স্ট্রিটে গিয়ে মনে হয়েছে, সময় কাটানোর জন্য জায়গাটাকে মিশরীয়রা ভালই পছন্দ করে।
বড় পিরামিডের ভেতরে ঢোকা যায়, অতিরিক্ত ২০০ পাউন্ড খরচ করে। আমি ইচ্ছে করেই ঢুকিনি। আসলে এত গরম ছিল, কখন ওখান থেকে বের হব, সেই অপেক্ষায় ছিলাম!
ভাল থাকবেন।
১০| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৬ ভোর ৪:১১
ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: আপনার ঝরঝরে লেখার ধরণে আমি মুগ্ধ। খুব মজা করে লিখেন আপনি। সেলফি যারা তুলে তাদের আমার কাছেও মানসিক রুগি মনে হয়। তবে আপনি ভাবীর ঝাড়ি খাওয়া থেকে বাচার জন্য তুলেছেন তাই এটা কোন ব্যাপারনা। জীবন বাচানো ফরজ।
কি আর করা, নিজের চোখে দেখতে পাবো কিনা জানিনা, তবে আপনার চোখেই দেখে নিলাম।
০৭ ই অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ২:১৪
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: হা হা, মজা পেলাম আপনার মন্তব্য পড়ে।
আপনার ব্লগ পরে যা বুঝলাম, আল্লাহ পাক আপনাদের সামর্থ্য দিয়েছেন, সাউথ আফ্রিকা যেহেতু ঘুরে এসেছেন, মিশরও ইনশাআল্লাহ যেতে পারবেন...
১১| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩২
ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: ইনশাআল্লাহ্। আমাদের এবারের মিশন শুরু করবো মক্কা মদীনা আর মিশর দিয়ে। ভিসার আবেদন করা হয়ছে, পেয়ে গেলেই উড়াল দিবো।
২৮ শে নভেম্বর, ২০১৬ ভোর ৬:০১
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: দোয়া রইল আপনাদের ইচ্ছে পূরণ হোক, আমিন।
১২| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৮:১৮
সামিউল ইসলাম বাবু বলেছেন:
প্রিয়তে
পরে পড়েনিবো
২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:০২
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, ভাল থাকবেন।
১৩| ০৮ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ২:০৫
নতুন নকিব বলেছেন:
জহির ভাই,
প্রিয় তালিকায় রেখে দিলাম।
ভাল থাকবেন নিরন্তর।
১৬ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:২৫
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: আপনিও ভাল থাকবেন নকিব ভাই, শুভেচ্ছা রইল।
১৪| ১৫ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:০৯
বিজন রয় বলেছেন: ব্লগে ফিরে আসুন, নতুন পোস্ট দিন।
২১ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ৯:০৫
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: ভাইরে, এই ইজিপ্ট সফরের পর কোম্পানি আমারে একটা নতুন প্রজেক্টের দায়িত্ব দিয়েচিল, তারপরে দিন রাত কখন যায় আসে টের পেতাম না! সেখান থেকেই ব্লগিং লাইফের এই অবস্থা!!
অনুপ্রেরণার জন্য ধন্যবাদ ভাই।
১৫| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৩:২৬
চানাচুর বলেছেন: চমৎকার! কত কিছু জানতে পারলাম
০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:২৫
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: জ্বি, জানার কোন শেষ নেই!
১৬| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:১৪
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: পিরামিড দেখার স্বপ্নটা মনের মাঝে আছে, সেই সাথে ফেলফেলা রেষ্টুরেন্টের মুখরোচক খাবারটাই মিস করতে চাই না।
১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:৫৩
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: ভাই, আপনি যেভাবে হাটছেন তাতে নিশ্চিত একদিন পিরামিড এর কাছে পৌছে যাবেন !!
©somewhere in net ltd.
১| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৪
করুণাধারা বলেছেন: রুদ্ধশ্বাসে পড়ছিলাম। খুব ভাল লাগল। টুরিস্টদের জন্যেকদিনের কোন প্যাকেজ নেই? তাহলে এই অযাচিত সাহায্যকারীদের হাত থেকে বাঁচতেন!