![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সুস্থ মানসিকতা এবং সুন্দর মনের মানুষদের বন্ধু হিসেবে পেতে চাই...
জুলাই স্মরণে এনসিপি'র এই পোস্টারটা দারুণ হয়েছে! যাহোক, আমিও কিন্তু একজন জুলাই যোদ্ধা, ১৮ বছর আগে এই দিনে বিয়ে করে জীবনযুদ্ধে নেমেছিলাম!
আমি একজন জুলাই যোদ্ধার বাবাও! আমার বড় ছেলে নাযিফ (নবম শ্রেণিতে পড়ত) খুব উত্তপ্ত তিনটি দিনে রাস্তায় বড় ভাইদের সাথে আন্দোলনে নেমেছিল। ও প্রথম রাস্তায় নেমেছিল ১৮ জুলাই ২০২৪ যেদিন বিকেলে মীর মুগ্ধ শহীদ হয়। দুপুর ২ টা পর্যন্ত মুগ্ধ যেখানে গুলিবিদ্ধ হয়, তার আশে পাশেই ছিল নাযিফ। আন্দোলনের দিনগুলোতে নাযিফ ছিল অপ্রতিরোধ্য, তাকে না করেও ঘরে রাখতে পারিনি। একটা সময় আমি মুখে না করলেও অন্তর থেকে মৌন সম্মতি দিয়েছিলাম জাতির ক্রান্তিলগ্নে দায়বোধ থেকে!
২ অগাস্ট ২০২৪ জুমার পরেও ও রাস্তায় নেমেছিল এবং উত্তরা ১১ নম্বর সেক্টরে মাইলস্টোন স্কুলের ওখানে পুলিশ ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের গুলির মুখে পড়ে একটা হাসপাতালে আশ্রয় নিয়ে প্রাণে বেঁচেছিল!
নাযিফ সর্বশেষ রাস্তায় নেমেছিল ৪ অগাস্ট ২০২৪! সেদিন পুলিশ কোন আক্রমণ করেনি, শ্রেফ উত্তরা পূর্ব থানার নিরাপত্তা দিয়ে দাঁড়িয়েছিল। ঐ দিন যুদ্ধ হয়েছিল অবৈধ অস্ত্রধারী আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের সাথে, বিএনএস সেন্টার থেকে শুরু করে আজমপুর বাস স্ট্যান্ড হয়ে রাজলক্ষ্মী পর্যন্ত। আওয়ামী গুন্ডারা এদিন প্রচন্ড মার খায় আন্দোলনকারীদের হাতে। মূলতঃ এটা ছিল স্বৈরাচারী খুনি হাসিনার সাম্রাজ্য পতনেরই এক সংকেত!
আল্লাহ সকল জুলাই, অগাস্ট শহীদদের ক্ষমা করুন এবং জান্নাতবাসী করুন, আমিন।
©somewhere in net ltd.